hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

১০১
সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টার গুরুত্ব
ইকামাতে দ্বীনের কাজ কারো পক্ষে একা করা কিছুতেই সম্ভব নয়। এমন কি শত যোগ্যতা সত্ত্বেও কোন নবীও একা দ্বীনকে বিজয়ী করতে পারেননি। অবশ্য প্রথমে নবীকে একাই শুরু করতে হয়েছে। যে নবীর ডাকে মানুষ সাড়া দেয়নি এবং জামায়াতবদ্ধভাবে কাজ করার সুযোগ যে নবী পাননি তিনি দ্বীনকে বিজয়ী করতে পারেননি।

একটা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলিয়ে নতুন করে সে সমাজকে গড়ে তুলবার কাজটি এমন কঠিন ও জটিল যে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক একদল লোকের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া এ বিরাট উদ্দেশ্য কিছুতেই সফল হতে পারে না। তাই প্রত্যেক নারীই মানুষকে আল্লাহর দাসত্ব কবুলের দাওয়াত দেয়ার সাথে সাথে তার আনুগত্য করে ইকামাতে দ্বীনের দায়িত্ব পালনে তাঁর সাথী হবার জন্য তাদেরকে আহবান জানিয়েছেন।

“আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।” প্রত্যেক নবীই এ দাওয়াত দিয়েছেন। কারণ একদল লোকের আনুগত্য না পেলে দ্বীনকে বিজয়ী করা সম্ভব নয়। এ কারণেই ইসলামে অর্গানাইজেশনের গুরুত্ব এতবেশী। রোজ পাঁচ ওয়াক্ত জামায়াতের সাথে সলাতে আদায়ের নির্দেশ দিয়ে জামায়াতবদ্ধ জীবনের গুরুত্ব গভীরভাবে অনুভব করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন কি জামাতবদ্ধ জীবনযাপনকে ইসলামের আনুগত্যের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যে অর্গানাইজেশন থেকে বিচ্ছিন্ন তাকে হাদীসে এ বলে সাবধান করা হয়েছে যে, মেষের পাল থেকে বিচ্ছিন্ন মেষকে যেমন নেকড়ে বাঘ ধরে নিয়ে যায় তেমনি শয়তান অর্গানাইজেশন (জামায়াত) থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিকে নিজের খপ্পরে নিয়ে নেয়।

এমন কি সফরের সময় দু’জন এক সাথে সফর করলেও একজনকে আমীর মেনে অর্গানাইজেশনের শৃংখলা মতো চলার জন্য রসূল (ﷺ) নির্দেশ দিয়েছেন। অর্গানাইজেশন (সংঘবদ্ধ) ছাড়া ইসলামী জীবন সম্ভব নয় এবং আমীর ছাড়াও অর্গানাইজেশন হতে পারে না। এ দ্বারা একথাই প্রমাণিত হয় যে, একজন মুসলিম হয় আমীর (হুকুমকর্তা) হবে, না হয় মামুর (হুকুম পালনকারী) হবে।

যেমন জামায়াতে সলাত আদায় করা অবস্থায় তাকে হয় ইমাম হতে হবে, না হয়। মুক্তাদী হতে হবে। কেউ যদি ইমাম বা মুক্তাদির কোনটাই না হয় তাহলে বুঝতে হবে যে, সে সলাতের জামায়াতে শামিল হয়নি। তেমনিভাবে যে ব্যক্তি কোন দ্বীনি অর্গানাইজেশনে শামিল হয়নি সে সঠিক ইসলামী জীবন্যাপনের কর্মসূচী গ্রহণ করেনি। এ অবস্থায় সে নাফস ও শয়তাদের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকতে পারবে না। নবী কারীম (ﷺ) -এর সময়ে শুধু তারাই মুসলিম বলে গণ্য হতেন যারা নবীর জামায়াতে শরীক হয়ে নবীর নিকট বা তাঁর প্রতিনিধির নিকট বাইয়াত হতেন। ঐ জামাতের বাইরে থাকলে মুসলিম বলে গণ্যই হতো না। ততকালীন সময়ে ঐ জামায়াতই দ্বীনের একমাত্র জামায়াত বা আল-জামায়াত ছিল।

বর্তমানে কোন এক জামায়াতই আল-জামায়াতের মর্যাদা পেতে পারে না। রসূলের আদর্শের ভিত্তিতে যত অর্গানাইজেশন গঠিত হতে পারে সব অর্গানাইজেশন মিলে আল জামায়াত বলে গণ্য। কিন্তু যে কোন দ্বীনি অর্গানাইজেশনে শামিল-ই হয়নি সে ঈমানের দিক দিয়ে মোটেই নিরাপদ অবস্থায় নেই।

ইসলামে অর্গানাইজেশনের এ গুরুত্বকে কোন আলেমই অস্বীকার করতে পারবেন না। আল্লাহর দ্বীনের খিদমতের জন্য হলেও কোন অর্গানাইজেশন ভুক্ত হওয়া হাদীসের দৃষ্টিতে কমপক্ষে ওয়াজিব বলে স্বীকার করা ছাড়া উপায় নেই।

সুতরাং প্রত্যেক সচেতন মুসলিমকেই কোন না কোন একটি অর্গানাইজেশনে শামিল হতে হবে। প্রচলিত অর্গানাইজেশনগুলোর কোনটাই যদি পছন্দ না হয় তাহলে এমন ব্যক্তিকে একটা নতুন অর্গানাইজেশন গঠন করার চেষ্টা করা উচিত। সব অর্গানাইজেশনকে প্রথমে ভাল করে জানার চেষ্টা করা কর্তব্য। এরপরও যে ব্যক্তি সব কটা অর্গানাইজেশনকে ক্রটিপূর্ণ বলে বুঝবার যোগ্যতা রাখেন তার ঐসব ক্রটি থেকে মুক্ত একটা অর্গানাইজেশন গঠন করার যোগ্য হওয়া উচিত।

অবশ্য একটা কথা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে প্রত্যেক দ্বীনি অর্গানাইজেশনকে ভালভাবে জানবার চেষ্টা করা সবারই দায়িত্ব। প্রত্যেক অর্গানাইজেশনকে কাছে এসেই জানতে হবে এবং সে অর্গানাইজেশনের দায়িত্বশীল লোকদের কাছ থেকে জানতে চেষ্টা করতে হবে। উড়ো কথায় কান দিয়ে বা কোন অর্গানাইজেশনের বিরোধীদের প্রচার দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া একেবারেই অযৌক্তিক। যে বিচারক বাদীর অভিযোগ শুনেই আসামীর যবানবন্দী না নিয়ে রায় দেয় সে বিচারক হবারই যোগ্য নয়।

তাই কোন অর্গানাইজেশন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হলে সে অর্গানাইজেশনকে কাছে এসে দেখা দরকার। সব কটা দ্বীনি অর্গানাইজেশন সম্পর্কে সচেতন মুসলিমদের ভালভাবে জানার চেষ্টা করা উচিত। তুলনামূলকভাবে বিচার করে যে যেটাকে বেশী পছন্দ করবেন সেখানে কাজ করে তিনি বেশী তৃপ্তি পাবেন। আর তুলনা করলে সব অর্গানাইজেশনেরই দ্বীনি খেদমতটুকুকে স্বীকার করতে সক্ষম হবেন। এক অর্গানাইজেশনকে বেশী পছন্দ করার অর্থ এ নয় যে, অন্যান্য অর্গানাইজেশনকে মন্দ মনে করতে হবে। একটা “বেশী ভাল” বলে স্বীকার করেও অন্যটাকে অন্ততঃ “শুধু ভাল” মনে করা উচিত। একটাকে বেশী পছন্দ করলেই অন্য সবগুলোকে মন্দ মনে করা কোন অবস্থায় যরূরী নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন