hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

১৮
প্রথম কারণ : আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করা
১) আল্লাহর ইজ্জতের অস্তিত্ব অস্বীকার করা।

যেমন নাস্তিকরা করে থাকে এই বলে যে, স্রষ্টা বলে কোন জিনিসের অস্তিত্ব নেই। আর তারা বলে : কোন উপাস্য নেই। বরং জীবন হচ্ছে পদার্থ হতে। তারা প্রমাণ দেখায় যে, সৃষ্টি হওয়া এই সমস্ত কাজকর্ম হঠাৎ হয়ে যায় এবং প্রাকৃতিক কারণেই এগুলো ঘটে থাকে। তারা প্রকৃতি ও হঠাৎ হওয়ার যিনি মালিক তার কথা ভুলে গেছে। কারণ আল্লাহ তা'আলা বলেন। “আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের স্রষ্টা, আর তিনি এই সমস্ত জিনিসের অভিভাবক ও তত্ত্বাবধায়ক।” (সূরা যুমার ৩৯ : ৬২)।

এই দল ইসলামের পূর্বের যামানার কাফিরদের হতেও কট্টর। কারণ, তারা উভয়েই তাদের স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার করত। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা কুরআনে বলেন :

لقول الله ولئن سألتهم من خلق

“যদি তাদেরকে প্রশ্ন করি কে তাদের সৃষ্টি করেছে, তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ।” (সূরা যুখরুফ ৪৩ : ৮৭) শয়তান সম্পর্কে আল কুরআনে বলা হয়েছে :

قال أنا خير منه خلقتني من نار وخلقته من طين

“সে জবাবে বলল, আমি তাঁর (আদম) চেয়ে ভালো। আপনি আমাকে আগুন দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে মাটি দিয়ে।” (সূরা সদ ৩৮: ৭৬)

তাই এ জাতীয় কুফরির মধ্যে পড়বে যদি কোন মুসলিম বলে যে, একে প্রকৃতি সৃষ্টি করেছে অথবা বলে এর অস্তিত্ব নিজ থেকেই হয়েছে, যেমনভাবে নাস্তিক বা অন্যরা বলে থাকে।

২) যদি কেউ নিজেকে ফিরআউনের মত দাবী করে।

যেমন সে বলেছিল :

أنا ربة الأغلى

“আমিই তোমাদের সর্বোচ্চ প্রভূ।” (সূরা নাযিয়াত ৭৯ : ২৪)

৩) এই দাবী করা যে, দুনিয়াতে অলীদের মধ্যে কিছু কুতুব আছেন যারা দুনিয়ার কার্যসমূহ নিয়ন্ত্রণ করে, যদিও তারা আল্লাহর ইজ্জতের অস্তিত্ব স্বীকার করে।

তারা এই আকীদার ক্ষেত্রে ইসলামের পূর্বের কাফিরদের হতেও অধম। কারণ, কাফিররা সর্বদাই স্বীকার করত যে, দুনিয়ার সমস্ত কর্ম পরিচালনাকারী একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ তাদের সম্বন্ধে বলেন :

" من تركة من الماء و الأرض أمن يملك الشمع والأبصات ومن يخرج الحي من الميت ويخرج الميت من الحين ومن يدي الأمر فيقولون الله تقل أفلا تتقون

“হে নবী! তাদের প্রশ্ন করুন, কে তোমাদের রিযিক সরবরাহ করে দুনিয়া ও আসমান হতে? আর কে শ্রবণের ও দর্শনের ক্ষমতার মালিক? আর কে জীবিতকে মুত হতে বের করে? আর মৃতকে জীবিত হতে নির্গত করে? আর কে সমস্ত কার্য নিয়ন্ত্রণ করে? তারা সাথে সাথে উত্তর দেবে, আল্লাহ বলেন:

হে নবী! আপনি তাদের বলুন : তোমরা কি আল্লাহকে ভয় করবে না। (সূরা ইউনুস ১০ : ৩১)

৪) কিছু কিছু সূফী পীরেরা বলে : আল্লাহ কোন কোন সৃষ্টির মধ্যে আছেন।

যেমন, ইবনে আরাবী বলে এক সুফী, যাকে দামেস্কে কবর দেয়া হয়েছে, সে বলত : ‘রবও বান্দা, আর বান্দাও রব। হাল্লাজ বলত : ‘আমিই সে (আল্লাহ) আর তিনিই আমি। ওলামারা তাকে মুরতাদ বলে ঘোষণা দিয়ে তার কতলের রায় দিয়েছিলেন। ফলে তাকে হত্যা করা হয়। তারা যে এই ধরনের সাংঘাতিক কথাসমূহ বলে আল্লাহ তা হতে সম্পূর্ণ পাক ও পবিত্র।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন