hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

১০৭
আল-কুরআন ও হাদীসের আলোকে মুহাম্মাদ (ﷺ) -কে অবমাননার পরিণতি
মানব জাতির হিদায়াতের জন্য আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। তাঁরা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসার জন্য যথা সাধ্য চেষ্টা করেছেন। নবীগণ ছিলেন মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠ মানুষ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে, প্রত্যেক নারীই তাঁর স্বজাতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকমের বাধা বিপত্তি, অবমাননার শিকার হয়েছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন,

“আর এমনিভাবেই আমরা প্রত্যেক নবীর জন্যে বহু শয়তানকে শত্রুরূপে সৃষ্টি করেছি, তাদের কতক শয়তান মানুষের মধ্যে এবং কতক শয়তান জিনদের মধ্য থেকে হয়ে থাকে, এরা একে অপরকে কতগুলো মনোমুগ্ধকর, ধোকাপূর্ণ ও প্রতারণাময় কথা দ্বারা প্ররোচিত করে থাকে। আর আপনার রবের ইচ্ছা হলে তারা এমন কাজ করতে পারত না, সুতরাং আপনি মুহাম্মাদ তাদেরকে এবং তাদের মিথ্যা রচনাগুলোকে বর্জন করে চলুন। (সূরা আল-আনআম ৬ : ১১২ )

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, “আর এভাবেই আমরা প্রত্যেক নারীর জন্য অপরাধীদের থেকে শুক্র করে দিয়েছি। আর আপনার রবই তো হিদায়াতকারী ও সাহায্যকারী হিসেবে যথেষ্ট”। (সূরা আল-ফুরকান ২৫ : ৩১)

আর এই ধারাবাহিকতা থেকে আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) ও মুক্ত ছিলেন না। তাঁর উপরও নবুওয়তী জীবনের শুরু থেকে বিভিন্ন রকমের কটুক্তি, অবমাননা এমনকি তাঁর পরিবারের উপরও অপবাদ দেয়া হয়েছে। মূলতঃ ইসলাম এবং নবীর প্রতি হিংসার কারণেই অমুসলিমরা একাজ করে থাকে। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন, “তাদের অন্তরে আছে শুধু অহংকার, যা সফল হবার নয়। (সুরা গাফির:৫৬ )

বাস্তবে হিংসা তাদেরকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে, ইসলাম এবং নবীর কোনো ক্ষতিই তারা করতে পারে নি। নবী (ﷺ) বলেন : তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, কীভাবে আল্লাহ আমাকে কুরাইশদের অবমাননাকর গালি, অভিসম্পাত থেকে পবিত্র রাখেন, তারা আমাকে মুহাম্মামকে (নিন্দিতকে) গালি দেয়, মুম্মামকে অভিসম্পাত করে, আর আমি মুহাম্মাদ (প্রশংসিত)। তারা নবীকে নিয়ে যতই কটুক্তি এবং অৰ্মাননা করেছে আল্লাহ ততই তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন।

আল্লাহ্ বলেন, “আর আমরা আপনার খ্যাতিকে উচ্চমর্যাদা দান করেছি। (সূরা ইনশিরাহ ৯৪:৪)

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সলাতের আযানে বিশ্বব্যাপী মসজিদে মসজিদে তাঁর নাম উচ্চারিত হচ্ছে। মুয়াযিন বলছেন, (আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ) “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল।” তাঁর অবমাননাকারীদের অবমাননা থেকে তাঁকে রক্ষার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ বলেন, “অবমাননাকারীদের জন্য আমরাই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট।” (সূরা আল হিজর ১৫ : ৯৫)

অন্য আয়াতে আল্লাহ্ তা'আলা ঘোষণা করেন, “আল্লাহ্ কি তাঁর বান্দার জন্য যথেষ্ট নন?” (সূরা আয-যুমার ৩৯ : ৩৬)

এই আয়াতের তাফসীরে সুদ্দী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন : যে কেউই রসূল (ﷺ) এবং তাঁর আনিত বিধান নিয়ে বিদ্রুপ বা অবমাননা করেছে আল্লাহ তাকে ধবংস করেছেন এবং নির্মম শাস্তি দিয়েছেন। যুগে যুগে যারা নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) -কে অবমাননা করেছে তাদের কেউ রক্ষা পায়নি, আল্লাহ তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন।

ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “নিশ্চয়ই যারা রসূল (ﷺ) -কে কষ্ট দেয়, তাঁকে অবমাননা করে, আল্লাহ তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দিবেন, তিনি তাঁর দ্বীনকে বিজয় করবেন, আর মিথকদের মিথ্যা রটনাকে মিথ্যায় পরিণত করবেন, যদিও মুসলিমরা তাদেরকে শাস্তি দিতে না পারে।”

রসূল (ﷺ) -কে অবমাননার ভয়াবহ পরিণতি:

রসূল (ﷺ) -কে অবমাননা করার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। কখনও কখনও সেটা দুনিয়ার জীবনেও অবমাননাকারীর উপর নেমে আসে, আবার কখনও কখনও সেটা আখিরাতের জন্য বরাদ্দ থাকে।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

“নিশ্চয় যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি দুনিয়া ও আখিরাতে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি।” (সূরা আল-আহযাব ৩৩ : ৫৭)

আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : এক ব্যক্তি নাসারা ছিল সে ইসলাম গ্রহণ করল এবং সূরা আল-বাকারা ও আলে ইমরান শিখল। সে নবী (ﷺ) -এর নিকট কেরাণীর কাজ করত। সে পুনরায় নাসারা হয়ে গেল এবং বলতে লাগল মুহাম্মাদ আমি যা লিখি তাই বলে এর বাইরে সে আর কিছুই জানে না। এরপর সে মারা গেল, তখন তার সাথীরা তাকে দাফন করল, সকালে উঠে দেখল তার লাশ বাইরে পড়ে আছে। তখন নাসারারা বলতে লাগল। মুহাম্মাদের সাথীরা এই কাজ করেছে কেননা সে তাদের ধর্ম ত্যাগ করেছিল। তখন তারা আরো গভীর করে কবর খনন করে তাকে আবার দাফন করল, আবার সকালে উঠে দেখল তার লাশ বাইরে পড়ে আছে। তখন তারা বলল এটা মুহাম্মাদ এবং তার সাথীদের কাজ; কেননা সে তাদের ধর্ম ত্যাগ করেছিল। তখন তারা আবার আরো গভীর করে কবর খনন করল এবং তাকে দাফন করল। আবার সকালে উঠে দেখল তার লাশ আবার বাইরে পড়ে আছে, তখন তারা বুঝল এটা কোনো মানুষের কাজ নয়, তখন তারা তার লাশ বাইরেই পড়ে থাকতে দিল। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন