hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৮৯
তাগুতের অর্থ
তাগুত শব্দের অর্থ সীমালঙ্ঘনকারী। আল্লাহ আয়াতুল কুরসীতে তাঁর সার্বভৌম গুণাবলী উল্লেখ করে তারপর বলেন:

قم يكفر بالطاغوت ویمن پال قي اشتمسك بالثروة الوثقى لا انفصام لها والله سميع عليه

“অতএব যে কেউ তাগূতকে অস্বীকার করে আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে, সে এমন মযবুত রশি ধরেছে যা কখনও ছিড়বে না। আল্লাহ সব কিছু শুনেন ও জানেন।” (সূরা বাকারা ২ : ২৫৬)।

আল্লাহর গুণাবলী উল্লেখ করে এ আয়াতে যা বলা হয়েছে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বলা হয়েছে, কেউ যদি উপযুক্ত গুণাবলীসম্পন্ন আল্লাহর প্রতি ঈমান আনতে চায় তাহলে প্রথমে তাকে তাগূতের বিপরীত হতে হবে। তাগুতের বিপরীত না হয়ে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলে তাগুতের চাপে ও দাপটে সে ঈমানের দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ হবে। আল্লাহর প্রতি ঈমান আনলে আল্লাহর সাথে যে সম্পর্ক সৃষ্টি হয় তাগুতের চাপে এ সম্পর্ক বহাল থাকে না। তাগুতকে মানতে অস্বীকার করলে অর্থাৎ তাগুতের চাপকে অগ্রাহ্য করার সাহস করলে আল্লাহর সাথে ঈমানের সম্পর্ক এমন মযবুত হয় যে, তা আর ছিন্ন হয় না। আয়াতে ঈমানের এ সম্পর্কটিকে রশি বা রজ্জ্বর সাথে তুলনা করা হয়েছে।

এ কারণেই মযবুত ঈমানের শর্ত হিসেবে তাগূতকে মানতে অস্বীকার করতে হবে। তাই তাগূত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন বা তাগুতকে ঠিকমত চিনে নেয়া দরকার।

‘আল্লাহ তাঁর হুকুম মেনে চলার জন্য যেমন বাধ্য করেননি, অমান্য করতেও বাধ্য করেননি। মানা ও না মানার স্বাধীনতা মানুষকে দিয়েছেন। আল্লাহর নাফরমানীর দুটো সীমা রয়েছে। প্রাথমিক সীমা হলো (ফিসক) আর চূড়ান্ত ও শেষ সীমা হচ্ছে (কুফর)। যে আল্লাহর হুকুম স্বীকার করে বটে, কিন্তু পালন করে না, সে ফাসিক। আর যে হুকুমকে স্বীকারই করে না, সে কাফির। যে নাফরমানীর এ দুটো সীমালঙ্ঘন করে সেই তাগুত।

ব্যক্তিগতভাবে কেউ ফাসিক বা কেউ কাফির হতে পারে। এটা যার যার স্বাধীন ইচ্ছা। আল্লাহর নাফরমানীর এ দুটো সীমা রয়েছে। যে এই সীমালঙ্ঘনও করে সে হলো তাগূত। এ দুটো সীমালঙ্ঘন করার মানে কী? কেমন করে এ সীমালঙ্ঘন করা হয়? এটা বুঝলেই তাগূতকে চেনা সহজ হবে।

যে নিজে ফাসিক এবং অন্য মানুষকেও ফাসিক বানানোর চেষ্টা করে সেই তাগুত। সে নাফরমানীর প্রাথমিক সীমালঙ্ঘন করলো। যে নিজে কাফির এবং অন্যকেও কাফির বানানোর চেষ্টা করে সেই তাগূত। সে আল্লাহর নাফরমানীর শেষ সীমালঙ্ঘনও করলো।

এখানে একটি কথা বিশেষভাবে বোঝার আছে। আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকে নিজস্ব সত্ত্বা দিয়ে আলাদাভাবে সৃষ্টি করেন। সে দুনিয়ায় আসার সময় যেমন একা এসেছে, যাওয়ার সময়ও একাই যায়। আখিরাতে তাকে তার কৃতকর্মের ফল আলাদাভাবেই দেয়া হবে।

তার শাস্তি সে একাই ভোগ করবে। তার পুরস্কারও সে একাই পাবে। তার কর্মের জন্য সে-ই দায়ী হবে। তাই তাকে আল্লাহর হুকুম অমান্য করার স্বাধীনতা এককভাবেই দেয়া হয়েছে। অন্য মানুষকে আল্লাহর নাফরমান বানানোর কোনো ইচ্ছা কাউকে দেয়া হয়নি। যারা নিজে নাফরমান এবং অন্যকেও নাফরমান বানাতে চেষ্টা করে, তারাই আল্লাহর দেয়া নাফরমানীর সীমালঙ্ঘন করে-এরাই তাগুত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন