hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৬২
মুসলিম কাকে বলে?
মুসলিম হওয়ার জন্য শর্ত ও মুসলিম হওয়ার জন্য কমপক্ষে শর্ত কী আর মানুষের মধ্যে কমপক্ষে কী কী গুণ বর্তমান থাকলে তাকে মুসলিম বলা যেতে পারে, সে বিষয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা যাক। একথাটি ভালো করে বুঝার জন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে কুফর ও ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারণা অর্জন করতে হবে।

এ সম্পর্কে মোটামুটি আমরা জেনে রাখি যে, আল্লাহর আদেশ পালন করতে অস্বীকার করাকেই ‘কুফর' বলা হয়; আর কেবলমাত্র আল্লাহর আদেশ পালন করে চলা এবং আল্লাহর দেয়া কুরআনের বিপরীত যে নিয়ম, যে আইন এবং যে আদেশই হোক না কেন তা অমান্য করাকেই বলা হয় ইসলাম। ইসলাম এবং কুফরে’র এ পার্থক্য কুরআনের নিম্নোল্লিখিত আয়াতে সুস্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে :

ومن ك يخة بما أنزل الله فأوليك هة الكافرون

“যে আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ী বিচার-ফায়সালা করে না সে কাফির।” (সূরা আল মায়িদা ৫ : ৪৪)।

আদালত ও ফৌজদারীতে যেসব মামলা উপস্থিত হয় কেবল সেই সবের বিচার ফায়সালাই কুরআন-হাদীস অনুসারে করার কথা শুধুমাত্র এখানে বলা হয়নি। বরং প্রত্যেকটি মানুষ তার জীবনের প্রত্যেকটি কাজের সময় যে ফায়সালা বা সিদ্ধান্ত নেয় সেই ফায়সালার কথাই এখানে বলা হয়েছে। প্রত্যেকটি ব্যাপারেই আমাদের সামনে এ প্রশ্ন ওঠে যে, এ কাজ করা উচিত কি উচিত নয়, অমুক কাজ এ নিয়মে করবো কি আর কোন নিয়মে করবো?

এ সময় আমাদের কাছে সাধারণত দু প্রকারের নিয়ম এসে উপস্থিত হয়। এক প্রকারের নিয়ম আমাদেরকে দেখায় আল্লাহর কুরআন এবং রসূলের হাদীস। আর এক প্রকারের নিয়ম উপস্থিত করে আমাদের নফস, বাপ-দাদা হতে চলে আসা নিয়ম-প্রথা অথবা মানব রচিত নিয়ম।

এমতাবস্থায় যে ব্যক্তি আল্লাহর দেয়া নিয়ম বাদ দিয়ে অন্যান্য পন্থা অবলম্বন করে কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, প্রকৃতপক্ষে সে কুফরীর পথই অবলম্বন করে। যদি সে তার সমস্ত জীবন সম্বন্ধেই এ সিদ্ধান্ত করে নেয় এবং কোনো কাজেই যদি আল্লাহর দেয়া নিয়ম অনুসরণ না করে তবে সে পুরোপুরিভাবে কাফির। যদি সে কতক কাজে আল্লাহর হিদায়াত মেনে চলে। আর কতকগুলো নিজের নফসের হুকুম মতো কিংবা বাপ-দাদার প্রথা মতো অথবা মানুষের রচিত আইন অনুযায়ী করে তবে যতখানি আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধাচরণ করবে, সে ঠিক ততখানি কুফরীর মধ্যে লিপ্ত হবে।

এ হিসেবে কেউ অর্ধেক কাফির, কেউ চার ভাগের এক ভাগ কাফির। কারো মধ্যে আছে দশ ভাগের এক ভাগ কুফরী আবার কারো মধ্যে আছে বিশ ভাগের এক ভাগ। মোটকথা, আল্লাহর আইনের যতখানি বিরোধিতা করা হবে ততখানি কুফরি করা হবে, তাতে সন্দেহ নেই।

বস্তুত কেবলমাত্র আল্লাহর বান্দা হয়ে থাকা এবং নফস, বাপ-দাদা, বংশ-গোত্র, মৌলভী সাহেব, পীর সাহেব, মাজার, দরগা, মুরুব্বী, বুজুর্গ, জজ-ম্যাজিষ্ট্রেট প্রভৃতি কারো আনুগত্য না করারই নাম হচ্ছে ইসলাম। আল্লাহ ছাড়া আর কারো দাস হবে না। আর কারো দাসত্ব কবুল করবে না-এটাই হচ্ছে মুসলিম ব্যক্তির কাজ। আল কুরআনে বলা হয়েছে।

“(হে নবী)! আহলে কিতাবদের বল ও আস, আমরা ও তোমরা এমন একটা কথায় একত্রিত হই, যা তোমাদের ও আমাদের মধ্যে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য (অর্থাৎ তোমাদের নবীরা যা বলেছে, আমিও আল্লাহর নবী হওয়ার কারণে তাই বলছি।) তা এই যে,

(১) আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারোও বান্দা হবে না

(২) আল্লাহর উলুহিয়াতের সাথে অন্য কাউকেও শরীক করবো না এবং

(৩) আমাদের মধ্যে কেউ আল্লাহ ছাড়া অপর কাউকেও নিজের অভিভাবক ও মালিক বলে মান্য করবো না। এ তিনটি কথা যদি তারা স্বীকার না করে তবে তোমরা তাদেরকে পরিষ্কার বলে দাও তোমরা সাক্ষী থাক, আমরা মুসলিম-অর্থাৎ আমরা এ তিনটি কথাই পুরোপুরি কবুল করে নিচ্ছি।” (সূরা আলে ইমরান ৩ : ৬৪)

অন্যত্র বলা হয়েছে:

“তোমরা কি আল্লাহর আনুগত্য ছাড়া অন্য কারো আনুগত্য করতে চাও? অথচ আকাশ ও পৃথিবীর প্রত্যেকটি জিনিস ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক তাঁরই আনুগত্য করে যাচ্ছে। আর সকলেই তাঁর কাছে ফিরে যাবে।” (সূরা আলে ইমরান ৩ : ৮৩)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন