hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

১৯
দ্বিতীয় কারণ : আল্লাহ যে রব তাকে অস্বীকার করা বা তাঁর ইবাদতে কোন শিরক করা
১) এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হলো : তারা, যারা সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র, গাছগাছালি, শয়তান ও অন্যান্য মাখলুকের ইবাদতকারী। আর তারা, যে আল্লাহ এই সমস্ত জিনিসের স্রষ্টা, তাঁর ইবাদত হতে বিরত থাকে। আর এই সমস্ত জিনিস না কারো ভাল করতে পারে আর না পারে ক্ষতি করতে। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন :

ومن آيات الليل و البناء والشمس والقمر لا تجدوا للشمس ولا ة إياه تعبدون القمر وانشجو ا يلبي الذي خلقه إن

“আর তার নিদর্শনের মধ্যে আছে রাত্র, দিবস, সূর্য, চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সিজদা কর না, চন্দ্রকেও নয়, বরং ঐ আল্লাহর সিজদা কর যিনি এদের সৃষ্টি করেছেন। যদি তোমরা সত্যিকারভাবে তারই ইবাদত করতে চাও।” (সূরা হা-মীম সাজদাহ ৪১ : ৩৭)।

২) ঐ সমস্ত ব্যক্তি যারা এক আল্লাহর ইবাদত করে এবং তার ইবাদত করার সাথে সাথে অন্য মাখলুকের ও ইবাদত করে থাকে - যেমন আউলিয়াদের ইবাদত করে তাদের ছবি বা কবরকে সামনে রেখে তারা ইসলামের পূর্বের মুশরিকদের সমতুল্য। কারণ তারাও আল্লাহর ইবাদত করত এবং যখনই প্রচন্ড বিপদে পড়ত একমাত্র তাঁকেই ডাকত। আর সুখের সময় অথবা বিপদ কেটে গেলে অন্যদের ডাকত। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ আল কুরআনে বলেন :

فإذا سكبوا في الفلبي دعوا الله مخلصين له الين قلقا نجاهم إلى البير إذا هم يشر گون

“আর যখন তারা কোন নৌকায় আরোহণ করত তখন ইখলাসের সাথে তাঁকে ডাকত। আর যখন তিনি তাদের রক্ষা করে তীরে পৌছিয়ে দিতেন, তখনই তারা তাঁর সাথে শিরক করত।” (সূরা আনকাবুত ২৯ : ৬৫)

আল্লাহ এদেরকে মুশরিক বলে বর্ণনা করেছেন যদিও তারা যখন নৌকাতে ডুবে যাওয়ার ভয় পেত তখন এক আল্লাহকে মনে-প্রাণে ডাকত। কিন্তু তারা এ নীতির উপর সর্বদা চলত না। বরং যখন তিনি তাদের উদ্ধার করতেন তখন তারা অন্যকেও তাঁর সাথে ডাকত।

৩) আল্লাহ ইসলামের পূর্বের আরবদের অবস্থা সম্পর্কে রাজী খুশী ছিলেন না, আর বিপদের সময়ে তাঁকে যে তারা ডাকত ঐ ইখলাসকেও গ্রহণ করতে রাজী ছিলেন না। ফলে তাদেরকে তিনি মুশরিক বলে সম্বোধন করেছিলেন। তাহলে বর্তমান যামানার কিছু সংখ্যক মুসলিম নামধারী লোক আজকাল সুখের ও দুঃখের উভয় সময় আউলিয়া বলে কথিত লোকদের কবরে আশ্রয় ও বিপদমুক্তি চায় তাদের সম্বন্ধে আমাদের কী ধারণা? আর তাদের কাছে এমন সব জিনিস চায় যা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো দেবার ক্ষমতা নেই।

যেমন রোগ মুক্তি, চাকুরী, ব্যবসা, সন্তান চাওয়া, হিদায়াত চাওয়া ও এই জাতীয় অন্যান্য জিনিস। আর তারা এই সমস্ত অলী-আউলিয়াদের যিনি স্রষ্টা, তাকে তারা ভুলে থাকে। যিনি হচ্ছেন রোগে সুস্থতা দানকারী, রিযিকদাতা, হিদায়াত দানকারী। ঐ সমস্ত মৃত ব্যক্তিদের বা মাজারের হাতে কোন ক্ষমতাই নেই। তারা অন্যদের কান্নাকাটি শুনতেই পায় না। যাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন:

“আর তোমরা তাকে ছেড়ে অন্যদের যে ডাকছ তারা তো সামান্যতম জিনিসেরও অধিকারী নয়। যদি তাদের কাছে দু’আ করো তারা তো তোমার দু'আ শুনতেই পায় না। আর যদি শুনত, কণই তোমাদের উত্তর দিত না। আর তোমরা যে শিরক করছ তাকে কিয়ামতের দিন তারা পুরাপুরি অস্বীকার করে বসবে। আর আমার মত এইরকম খবরদার ছাড়া অন্য কেহ তোমাকে এইরকম সাবধানও করবে না। (সুরা ফাতির ৩৫ : ১৩-১৪)

৪) এই আয়াতে আল্লাহ স্পষ্ট করে বুঝিয়েছেন যে, মৃত ব্যক্তিদের যে ডাকা হয় তা তারা শুনতে পায় না। আর এটাও স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তাদের নিকট দুআ করা বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত। হয়ত কেউ কেউ বলতে পারে, আমরা তো এই ধারণা পোষণ করি না যে, এই সমস্ত আউলিয়া ও নেককারগণ কোন ভাল বা মন্দ করার ক্ষমতা রাখে। বরং তাদেরকে মধ্যস্থতাকারী বা শাফায়াতকারী হিসাবে গ্রহণ করছি যাদের অসিলায় আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। তাদের উত্তরে বলা যায়, ইসলামের পূর্বের মুশরিকরাও এই ধারণাই পোষণ করতো। তাদের সম্বন্ধে আল কুরআন বলেছে :

ويعبدون من دون اللي ما لا ي هم ولا ينفعه ويقولون هؤلاء شفعاؤنا عبيد اللو ل أتون الله بما لا يعلم في السموات ولا في الأرض شبحانه وتعالی عمائر گون

“আর তারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদের যে ইবাদত করত তাদের না কোন ক্ষতি করতে পারত, আর না ভাল করতে পারত। তারা বলত, এরা হচ্ছে আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট শাফায়াতকারী। হে নবী আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহকে এমন কোন কথা বলতে চাও যা আসমান ও জমিনের কেউ জানে না? সমস্ত পবিত্রতা তো আল্লাহর। আর এরা যে শিরক করেছে তিনি তার অনেক উর্ধ্বে।” (সূরা ইউনুস ১০ : ১৮)

এই আয়াত হতে এটা স্পষ্টই প্রতিয়মান হচ্ছে যে, যারা আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের ইবাদত করে ও দুআ করে তারা মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত। যদিও তাদের অন্তরে এটা থাকে যে, তারা ভাল বা মন্দ কিছুই করতে পারে না, বরং তারা শুধুমাত্র শাফায়াত করার অধিকারী। আল্লাহ মুশরিকদের সম্পর্কে বলেন :

والبنين اخدها من دون أولياء ما نعبدهة إليقونا إلى اللي لقى إث الك يگه يبية في ما هم فيه يتلقون إن الله لا يهيي من هو اب

“আর যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদেরকে অভিভাবক বানিয়ে নিয়েছে আমরা তো শুধু এ উদ্দেশ্যে তাদের ইবাদত করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহ পর্যন্ত পৌছে দেবে। তারা যেসব বিষয়ে মতভেদ করছে সেসব বিষয়ের ফায়সালা আল্লাহ অবশ্যই করে দেবেন। আল্লাহ এমন লোককে হিদায়াত দান করেন না, যে মিথ্যাবাদী ও সত্য অস্বীকারকারী।” (সূরা যুমার ৩৯: ৩)

এই আয়াতে স্পষ্টভাবে এটাই বলা হয়েছে যে, যারা আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য গাইরুল্লাহর নিকট দু’আ করবে তারা কাফির। কারণ, রসূল (ﷺ) বলেনঃ “নিশ্চয়ই দু'আ হচেছ ইবাদত।” (তিরমিযী)

ঈমান ভঙ্গকারী আমলের মধ্যে আছে, যদি এই ধারণা পোষণ করা হয় যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তার দ্বারা বিচার করা বর্তমান যামানায় সম্ভব নয়। অথবা অন্যান্য যে মানুষের বানানো নিয়ম কানুন আছে তাকে যদি সহীহ মনে করা হয় তাহলেও সে কাফির। কারণ এই হুকুম দেয়াটা হচ্ছে ইবাদত। আল্লাহ বলেন :

إن الكه إلا يلبي أمر ألا تعبدوا إلا إياه ليك الين اليه ولكن أكثر الاس لا يعلمون

“শাসনক্ষমতা আল্লাহ ছাড়া আর কারো জন্য নয়। তিনি হুকুম দিয়েছেন যে, তিনি ছাড়া তোমরা আর কারো দাসত্ব করবে না। এটাই সঠিক, মযবুত দীন। কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষই তা জানে না।” (সূরা ইউসূফ ১২ : ৪০)

অন্যত্র আল্লাহ বলেন :

گه بما أنزل الله فأولئك هم التعاون ومن له

“আর যারা আল্লাহ কর্তৃক নাযিলকৃত আয়াত দ্বারা বিচার করবে না তারাই হচ্ছে কাফির।” (সূরা মায়িদা ৫: ৪৪)

আর যদি কেউ আল্লাহ কর্তৃক নাযিলকৃত আইন ছাড়া অন্য আইন দ্বারা বিচার করে এই ধারণা করে যে, আল্লাহ প্রদত্ত আইনই সঠিক, কিন্তু মানুষের আইনে বিচার করে নিজের নফসানিয়াত অনুযায়ী অথবা কারো অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য, তবে সে যালিম ও ফাসিক। ইবনে আব্বাস (রা.)-এর কাওল অনুযায়ী সে কাফির নয়। তিনি বলেছেন : যে ব্যক্তি আল্লাহ কর্তৃক অবতীর্ণ কোন হুকুমকে অস্বীকার করে সে কাফির। আর যে উহাকে স্বীকার করে অথচ সেই অনুযায়ী বিচার করে না সে যালিম ও ফাসিক। এটাকে ইবনে জারীর তবারী (রহ.) গ্রহণ করেছেন।

আর আতা (রহ.) বলেন : কুফর এর ছোট কুফরিও আছে। কিন্তু যদি কেহ আল্লাহর শরীয়তকে বাতিল করে ঐ স্থানে মানুষের বানানো কোন আইন কানুনের প্রচলন করে এই বিশ্বাসে যে, এটা এই যামানার জন্য উৎকৃষ্ট, তাবে সে কাফির হয়ে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। এতে কোন দ্বিমত নেই।

বিশেষ নোট : উপরের এই আয়াতকে ভুল ব্যাখ্যা করে কোন দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করা যাবে না। কে কাফির আর কে কাফির নয় তা জনগণ সিদ্ধান্ত দিবেন না। এই সিদ্ধান্ত দেয়ার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ। আর কোর্টের বিচারক নিয়োগের দায়িত্বও সরকারের, কোন দেশের বিচার কার্য বিচারকের ব্যক্তিগতও কোন সিদ্ধান্তে হয় না। বিচারক বিচার করেন সে দেশের কন্সিটিটিউশন অনুযায়ী। এছাড়া কাউকে ব্যক্তিগতভাবেও কাফির বলা যাবে না।

৬) ঈমান নষ্টকারী আমলের মধ্যে আছে : আল্লাহ প্রদত্ত বিচারে খুশী না থাকা অথবা এতটুকুও ধারণা করা যে, ঐ বিচার বড়ই সংকীর্ণ ও কষ্টদায়ক। কারণ আল্লাহ বলেনঃ

لا يجدوا في قلا وبك لا يمون كي يحموك فيما شجر بينهم أنفسهم حرجا مما قضيت ويسلموا تسليما

“না, কখনো নয়, তোমার রবের কসম! তারা কখনো ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের মধ্যে যে বিরোধ দেখা দেয় তাতে তোমাকে বিচারক না করে। তারপর তুমি যে বিচার করবে তাতে তাদের অন্তরে কোন কষ্ট অনুভব করবে না বরং তাকে পূর্ণভাবে গ্রহণ করে নেবে।” (সূরা নিসা ৪ : ৬৫)

অথবা আল্লাহ কর্তৃক অবতীর্ণ বিচারকে অপছন্দ করা। কারণ আল্লাহ বলেন :

والذين كفروا فتالفة أضل أعمالقة ذلك بانه گرمموا ما أنزل الله فأحبط أعمالقة

“আর যারা কুফুরি করে তাদের জন্য ধ্বংস, আর তাদের আমলসমূহ গোমরাহীতে পরিণত হবে। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা তারা অপছন্দ করেছে। ফলে তাদের আমলসমূহকে তিনি নষ্ট করে দিয়েছেন।” (সূরা মুহাম্মাদ ৪৭: ৮-৯)

ঈমান নষ্টকারী আমলের মধ্যে আল্লাহর সিফাতসমূহে শিরক করা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন