hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৩৮
কালিমা তাইয়্যিবার প্রচারে বাধা
কিন্তু এ কালিমা ও তাওহীদের এ বাণী দুনিয়ায় যেমন নূতন নয়, ঠিক তেমনি এ কালিমার বিরুদ্ধতা ও শত্রতাও দুনিয়ার ইতিহাসে কিছুমাত্র নূতন বা বিস্ময়কর নয়; বরং যখনই, যে দেশেই এবং যার মুখেই এই ‘চির-পুরাতন’ কথাটি নূতন করে ঘোষিত ও ধবনিত হয়েছে, তখনই চারিদিক হতে এর বিরুদ্ধতা ও শত্রুতার পাহাড় মাথা জেগে উঠেছে। এ আওয়াজকে চিরতরে স্তব্ধ করার জন্য স্থানীয় সকল অপশক্তি প্রাণপণে চেষ্টা করেছে।

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এ ছোট্ট কালিমাটির মধ্যে এমন কী কথা বা বস্তু নিহিত রয়েছে, যে জন্য এটা উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চারিদিকে এত শত্রুর উদ্ভব হয়? এটা বিশেষভাবে চিন্তা করার বিষয় যে, আল্লাহর নবীগণ যখনই, যে দেশে এবং যে সমাজেই এই ছোট্ট 'কালিমার দাওয়াত পেশ করেছে, তখনই সে সমাজের অধিকাংশ লোক তাঁদের ভয়ানক শত্রু হয়ে গেছে। অথচ এ দাওয়াত পেশ করার পূর্বে প্রত্যেক নারীই নৈতিক চরিত্রের দিক দিয়ে সেই সময়ের সমস্ত মানুষের নিকট খুবই শ্রদ্ধাভাজন ও প্রিয়পাত্র বলে বিবেচিত হয়েছেন।

মূসা (আলাইহিস সালাম) তৎকালীন বাদশাহ ফিরাউনের ঘরেই লালিত-পালিত এবং বড় হয়েছেন। কিন্তু তিনি যখনই এ ‘কালিমা উচ্চারণ করলেন, অমনি তাঁর পালক পিতা ফিরাউন হয়ে গেল তাঁর বড় শত্ৰ।

ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) একজন রাজপুরোহিতের পুত্র, পিতার আদরের সন্তান এবং সে কারণে অন্যান্য সব লোকের বিশেষ স্নেহের পাত্র ছিলেন। কিন্তু তিনি যখন এ তাওহীদের আওয়াজ উচ্চারণ করলেন তখনই তাঁর পিতা-মাতা হতে শুরু করে তৎকালীন বাদশাহ পর্যন্ত সকলেই তাঁর ঘোরতর শত্রু হয়ে গেল। এমন কি, তারা তাঁকে চিরতরে শেষ করে দেবার জন্য জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছিল।

ঈসা (আলাইহিস সালাম)-এর জন্মই ছিল সকল মানুষের নিকট একটা মস্তবড় মুজিযা- যা মানুষ সাধারণ বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে পারে না। এ জন্য সকল মানুষ তাঁকে ‘অসাধারণ কিছু বলে মনে করত। কিন্তু তিনিও যখন একজন নারী হিসেবে আল্লাহর পবিত্রতা ও একত্বের কথা ঘোষণা করলেন, তখন তাঁর নিজ বংশের লোক ও আত্মীয়-স্বজনরাই তাঁর শত্রতায় উঠে পড়ে লেগেছিল এবং শেষ পর্যন্ত তখনকার ইয়াহুদী সরকার তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল।

শেষ নবী মুহাম্মাদ এই তাওহীদের কথা ঘোষণা করার পূর্বে দীর্ঘ চল্লিশটি বৎসর পর্যন্ত তাঁর আপন বংশের এবং তখনকার অন্যান্য লোকদের মধ্যে জীবনযাপন করেছেন। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সকলেরই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভক্তি তিনি পেয়েছেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও তিনি তাওহীদের এ বাণী প্রথম যেদিন নিজের পরিচিত লোকদের মধ্যে প্রচার করলেন সেদিন হতেই তাঁর আপন বংশের লোকেরা প্রকাশ্যভাবে তাঁর শত্র তা করতে শুরু করেছিল। অতঃপর তাঁর নবুয়তের দীর্ঘ তেরটি বৎসর কালের মক্কী জীবনে অত্যাচার, নির্যাতন ও নিষ্পেষণ এবং গালিগালাজের আকাশছোঁয়া তুফানের সঙ্গে মুকাবিলা করতে- এমন কি, শেষ পর্যন্ত তিনি মদীনায় হিজরত করে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু কেন এমন হয়? নবী-রসূলরা (আলাইহিস সালাম) এমন কী বড় কথা বলেছেন, যার ফলে তাদেরকে এরূপ দুঃখ ও নিষ্পেষণ, নির্যাতন ও নির্বাসন ভোগ করতে হয়েছিল।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন