hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ঈমানের স্বচ্ছ ধারণা

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৩০
কালিমা তায়্যিবার প্রকৃত অর্থ
মানুষ একটি কালিমা পাঠ করে ইসলামের সীমার মধ্যে প্রবেশ করে থাকে। সেই কালিমাটি খুব লম্বা-চওড়া কিছু নয় কয়েকটি শব্দ মাত্র। “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ” এ কয়টি শব্দ মুখে উচ্চারণ করলেই মানুষ একেবারে বদলে যায়। ফলে পূর্বে সে নাপাক ছিল, এখন সে পাক হয়ে গেল। পূর্বে তার উপর আল্লাহর আযাব আসতে পারতো; কিন্তু এখন সে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হয়ে গেল। প্রথমে সে জাহান্নামে যাবার যোগ্য ছিল, এখন জান্নাতের দরজা তার জন্য খুলে গেল।

শুধু এটুকুই নয়, এ ‘কালিমা’র দরুন মানুষে মানুষের বড় পার্থক্য হয়ে পড়ে। এ ‘কালিমা’ যারা পড়ে তারা এক উম্মাত আর যারা এটা অস্বীকার করে তারা হয় আলাদা এক জাতি। পিতা যদি কালিমা’ পড়ে আর পুত্র যদি তা অস্বীকার করে তবে পিতা আর পিতা থাকবে না, পুত্র আর পুত্র বলে গণ্য হবে। পিতার সম্পত্তি হতে সেই পুত্র কোনো অংশই পাবে না, তার নিজের মা ও বোন পর্যন্ত তাকে দেখা দিতে ঘৃণা করবে। পক্ষান্তরে একজন বিধর্মী যদি কালিমা পড়ে, আর ঐ ঘরের মেয়ে বিয়ে করে, তবে সে এবং তার সন্তান ঐ ঘর হতে সম্পত্তি পাবে।

কিন্তু নিজ ঔরসজাত সন্তান শুধু এ ‘কালিমা’কে অস্বীকার করার কারণেই একেবারে পর হয়ে যাবে। এটা দ্বারা বুঝতে পারা যায় যে, এ ‘কালিমা এমন জিনিস যা পর লোককে আপন করে একত্রে মিলিয়ে দেয়। আর আপন লোককে পর করে পরস্পরের সম্পর্ক ছিন্ন করে।

একটু ভেবে দেখি

একটু ভেবে দেখি মানুষে মানুষে এতবড় পার্থক্য হওয়ার প্রকৃত কারণ কী? ‘কালিমা’তে কয়েকটা অক্ষর ছাড়া আর কী-ই বা রয়েছে? কাফ, লাম, মীম, আলিফ, সীন আর এ রকমেরই কয়েকটা অক্ষর ছাড়া আর তো কিছুই নয়। এ অক্ষরগুলো যুক্ত করে মুখে উচ্চারণ করলেই কোন যাদুর স্পর্শে মানুষ এতখানি বদলে যায়! শুধু এতটুকু কথা দ্বারা কি মানুষের পরস্পরের মধ্যে এত আকাশ পাতাল পার্থক্য হতে পারে? একটু চিন্তা করলেই আমরা বুঝতে পারবো আমাদের বিবেক-বুদ্ধি বলে উঠবে যে, কয়েকটা অক্ষর মিলিয়ে মুখে উচ্চারণ করলেই এতবড় ক্রিয়া কিছুতেই হতে পারে না।

মূর্তিপূজক মুশরিকগণ অবশ্য মনে করে যে, একটা মন্ত্র পড়লেই পাহাড় টলে যাবে। যমীন ফেটে যাবে এবং তা হতে পানি উথলে ওঠবে! মন্ত্রের কোনো অর্থ কেউ অবগত হোক বা না-ই হোক, তাতে কোন ক্ষতি-বৃদ্ধি নেই। কারণ অক্ষরের মধ্যেই যাবতীয় শক্তি নিহিত আছে বলে তারা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে।

কাজেই তা মুখে উচ্চারিত হলেই সকল রহস্যের দুয়ার খুলে যাবে। কিন্তু ইসলামে এরূপ ধারণার কোনোই মূল্য নেই। এখানে আসল জিনিস হচ্ছে অর্থ; শব্দের মধ্যে যা কিছু ক্রিয়া আছে, তা অর্থের দরুনই হয়ে থাকে। শব্দের কোনো অর্থ না হলে, তা মনের মূলের সাথে গেঁথে না গেলে এবং তার ফলে মানুষের চিন্তাধারা, বিশ্বাস, চরিত্র ও তার কাজ-কর্মে পরিবর্তন না ঘটলে, শুধু শব্দের উচ্চারণ করলেই কোনো লাভ নেই।

একটি উদাহরণ

একথাটি সহজ উদাহরণ দ্বারা বুঝানো যাক। মনে করি, আমার ভয়ানক শীত লাগছে। এখন আমি যদি মুখে লেপ-তোষক' লেপ-তোষক’ করে চিৎকার করতে শুরু করি, তবে শীত লাগা বিছুমাত্র কমবে না। সারা রাত বসে লেপ তোষক’ বলে হাজার তাসবীহ পড়লেও কোনো ফল ফলবে না। অবশ্য আমি লেপ-তোষক যোগাড় করে যদি গায়ে দিতে পারি তবে শীত লাগা নিশ্চয় বন্ধ হয়ে যাবে। এরূপে মনে করি, আমার তৃষা লেগেছে। এখন যদি আমি সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি পানি করে চিৎকার করতে থাকি, তবে তাতে পিপাসা মিটবে না। কিন্তু এক গ্লাস পানি নিয়ে যদি পান করি, তবে আমার পিপাসা মিটবে।

মনে করি, আমার অসুখ হয়েছে; এখন যদি আমি ‘ঔষধ’ ‘ঔষধ’ করে তাসবীহ পাঠ শুরু করি, আমার রোগ তাতে দূর হবে না। হাঁ যদি ঠিক ঔষধ কিনে তা সেবন করি, আমার রোগ সেরে যাবে। কালিমার অবস্থাও ঠিক এটাই। শুধু ছয়-সাতটি শব্দ মুখে বলে দিলেই এত বড় পার্থক্য হতে পারে না, যে মানুষ কাফির ছিল সে এর দরুন একেবারে মুসলিম হয়ে যাবে, নাপাক হতে পাক হবে, শত্ৰ একেবারে বন্ধু হয়ে যাবে, জাহান্নামী ব্যক্তি একেবারে জান্নাতী হয়ে যাবে। মানুষে মানুষে এরূপ পার্থক্য হয়ে যাওয়ার একটি মাত্র উপায় আছে। তা এই যে, প্রথমে এ শব্দগুলোর অর্থ বুঝে নিতে হবে, সেই অর্থ যাতে মানুষের মনের মূলে শিকড় গাড়তে পারে, সেজন্য চেষ্টা করতে হবে।

এভাবে অর্থ জেনে ও বুঝে যখন এটা মুখে উচ্চারণ করবো, তখনই আমরা বুঝতে পারবো যে, এ ‘কালিমা পড়ে আমরা আমাদের আল্লাহর সামনে কত বড় কথা স্বীকার করেছি, আর এর দরুন আমাদের উপর কত বড় দায়িত্ব এসে পড়েছে। এসব কথা বুঝে শুনে যখন আমরা ‘কালিমা পড়বো, তখন আমাদের চিন্তা এবং আমার সমস্ত জীবনের উপর এ ‘কালিমা’র পূর্ণ আধিপত্য স্থাপিত হবে। এর উপর এ ‘কালিমা’র বিরোধী কোনো কথা আমাদের মন ও মগজে একটুও স্থান পেতে পারে না। চিরকালের তরে আমাদের একথাই মনে করতে হবে যে, এ ‘কালিমার বিপরীত যা তা মিথ্যা- এ ‘কালিমাই একমাত্র সত্য। আমাদের জীবনের সমস্ত কাজ-কারবারে এ 'কালিমা’ই হবে একমাত্র হুকুমদাতা। এ ‘কালিমা পড়ার পরে কাফিরদের মতো স্বাধীনভাবে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবো না।

এখন এ ‘কালিমা’রই হুকুম পালন করে চলতে হবে, এটা যে কাজ করতে বলবে তাই করতে হবে এবং যে কাজের নিষেধ করবে তা হতে ফিরে থাকতে হবে। এভাবে ‘কালিমা পড়লেই মানুষে মানুষে পূৰ্বোল্লিখিতরূপে পার্থক্য হতে পারে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন