hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা আলে ইমরান

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১০৫
আয়াত : ১৯৯ – ২০০ ধৈর্যধারণের নির্দেশ
وَاِنَّ مِنْ اَهْلِ الْكِتَابِ لَمَنْ يُّؤْمِنُ بِاللهِ وَمَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْكُمْ وَمَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْهِمْ خَاشِعِيْنَ لِلّٰهِ لَا يَشْتَرُوْنَ بِاٰيَاتِ اللهِ ثَمَنًا قَلِيْلًاؕ اُولٰٓئِكَ لَهُمْ اَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْؕ اِنَّ اللهَ سَرِيْعُ الْحِسَابِ (১৯৯) يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا۫ وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ (২০০)

শাব্দিক অনুবাদ

১৯৯. وَاِنَّ নিশ্চয় مِنْ اَهْلِ الْكِتَابِ আহলে কিতাবের মধ্যে (এমন লোকও রয়েছে), لَمَنْ যারা يُؤْمِنُ বিশ্বাস স্থাপন করে بِاللهِ আল্লাহর প্রতি وَمَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْكُمْ ও তোমাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তার প্রতি وَمَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْهِمْ এবং তাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তার প্রতি। خَاشِعِيْنَ তারা খুবই বিনয়ী لِلّٰهِ আল্লাহর বিষয়ে; لَا يَشْتَرُوْنَ তারা বিক্রি করে না بِاٰيَاتِ اللهِ আল্লাহর আয়াতসমূহ ثَمَنًا মূল্যে قَلِيْلًا সামান্য। اُولٰٓئِكَ এরাই ঐসব লোক لَهُمْ তাদের জন্য রয়েছে اَجْرُهُمْ তাদের প্রতিদান عِنْدَ رَبِّهِمْ তাদের প্রতিপালকের নিকট; اِنَّ اللهَ নিশ্চয় আল্লাহ سَرِيْعُ দ্রুত اَلْحِسَابِ হিসাব গ্রহণকারী।

২০০. يَاۤ اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا হে ঈমানদারগণ! اِصْبِرُوْا তোমরা ধৈর্য অবলম্বন করো وَصَابِرُوْا ও ধৈর্যধারণে প্রতিযোগিতা করো وَرَابِطُوْا এবং প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত থাকো। وَاتَّقُوا আর তোমরা ভয় করো اَللهَ আল্লাহকে, لَعَلَّكُمْ যাতে তোমরা تُفْلِحُوْنَ সফলকাম হতে পার।

সরল অনুবাদ

১৯৯. নিশ্চয় আহলে কিতাবের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে, যারা আল্লাহর প্রতি ও তোমাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে (কুরআন) তার প্রতি এবং তাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। তারা আল্লাহর (আদেশ পালনের) প্রতি খুবই নিষ্ঠাবান; তারা আল্লাহর আয়াতসমূহ সামান্য মূল্যে বিক্রি করে না। তাদের জন্যই তাদের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে প্রতিদান; নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।

২০০. হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য অবলম্বন করো আর ধৈর্যধারণে প্রতিযোগিতা করো এবং (শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য) প্রস্তুত থাকো। [রিবাত শব্দটির শাব্দিক অর্থ হলো, ঘোড়াকে বাঁধা। পারিভাষিক অর্থে রিবাত বলা হয়, ইসলামী রাষ্ট্রের সীমান্ত বা জিহাদের ময়দানে মুজাহিদদের ঘাঁটি পাহারা দেয়া; যাতে শত্রুবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণ থেকে ইসলামী রাষ্ট্র বা মুসলিমবাহিনীকে রক্ষা করা যায়। এর অনেক ফযীলত রয়েছে। যেমন- হাদীসে এসেছে, সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহর পথে একদিন অথবা একরাত পাহারা দেয়া একাধারে একমাস সাওম পালন করা ও সালাত আদায় করার চেয়েও উত্তম। সে যদি (ঐ অবস্থায়) মারা যায়, তাহলে তার আমলের নেকী জারি থাকবে, যেমনটি সে আমল করে আসছিল এবং তার রিযিক জারি রাখা হবে এবং সে ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহীহ মুসলিম, হা/৫০৪৭)সীমান্ত পাহারাদারদের জন্য জান্নাত অবধারিত। সাহল ইবনে হানযালিয়্যা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা তারা হুনাইনের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে সফরে ছিলেন। তখন দ্রুতগতিতে উট চালিয়ে সন্ধ্যাকালে মাগরিবের সালাতের সময় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট গিয়ে পৌঁছলেন। এমন সময় একজন অশ্বারোহী সৈনিক এসে তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনাদের নিকট হতে আলাদা হয়ে ঐ সকল পাহাড়ের উপর আরোহণ করে দেখতে পেলাম যে, হাওয়াযিন গোত্রের স্ত্রী-পুরুষ সকলেই তাদের উট, বকরী সবকিছু নিয়ে হুনাইনে একত্রিত হয়েছে। তা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, আল্লাহ যদি ইচ্ছা করেন তাহলে ঐ সকল বস্তু আগামীকাল মুসলিমদের গনীমতের সামগ্রীতে পরিণত হবে। এরপর তিনি বললেন, আজ রাতে কে আমাদেরকে পাহারা দেয়ার জন্য প্রস্তুত? তখন আনাস ইবনে আবু মারসাদ আল-গানাবী (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি পাহারা দেব। তিনি বললেন, তাহলে তুমি ঘোড়ায় আরোহণ করো। অতঃপর তিনি তার একটি ঘোড়ায় আরোহণ করে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট উপস্থিত হন। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে উদ্দেশ্য করে নির্দেশ দিলেন, যাও- এ দু’পাহাড়ের মধ্যবর্তী উপত্যকার দিকে রওয়ানা হয়ে এর চূড়ায় পৌঁছে পাহারায় রত থাকো। আমরা যেন তোমার আসার আগে আজ রাতে কোন ধোঁকায় না পড়ি। অতঃপর ভোরবেলায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার সালাতের স্থানে গিয়ে ফজরের দু’রাকআত (সুন্নাত) সালাত আদায় করলেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা তোমাদের পাহারাদার অশ্বারোহী সৈনিকের কোন সন্ধান পেয়েছ কি? সকলে উত্তর করল, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি পাহারায় রত আছেন বলে মনে হয়, কিন্তু দেখতে পাইনি। এরপর ফজরের সালাতের ইকামত দেয়া হলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সালাত পড়তে আরম্ভ করলেন। এমতাবস্থায় তিনি উপত্যকার দিকে লক্ষ্য রাখতে রাখতে সালাত শেষ করে সালাম ফেরালেন। এরপর তিনি বললেন, তোমরা সকলে সুসংবাদ নাও যে, তোমাদের পাহারাদার সৈনিক তোমাদের নিকট এসে পড়েছে। তখন আমরা উপত্যকার গাছের ফাঁক দিয়ে দেখতে পেলাম যে, তিনি সত্যই এসে পড়েছেন এবং তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সামনে দাঁড়িয়ে সালাম করলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে যেভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন সেভাবেই আমি এই উপত্যকার উপরাংশের শেষ মাথায় গিয়ে পৌঁছেছিলাম। সকাল হওয়ার পর আমি উভয় পাহাড়ের উপত্যকা দুটির উপর দৃষ্টি রাখলাম, কিন্তু কোন শত্রুকে দেখতে পেলাম না। তা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি সারা রাত কখনও কি ঘোড়ার পিঠ হতে নেমেছিলে? তিনি বললেন, না- সালাত পড়ার জন্য অথবা পায়খানা-প্রস্রাবের প্রয়োজন ছাড়া কখনো ঘোড়ার পিঠ হতে নামিনি। তা শুনে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তোমার জন্য জান্নাত অবধারিত হলো। তোমার জীবনে আর কোন অতিরিক্ত নেক কাজ না করলেও চলবে। (অর্থাৎ সারা রাত জাগ্রত থেকে পাহারায় রত থাকার মতো বৃহৎ নেক কাজটি তোমার জান্নাতে প্রবেশের জন্য যথেষ্ট। অবশ্য ফরয-ওয়াজিব যথারীতি আমল করতে হবে)। (আবু দাউদ, হা/২৫০৩)পাহারা দানের রাত্রি কদরের রাত্রির চেয়েও ফযীলতপূর্ণ। ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সাঃ) বলেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন রাত্রির সংবাদ দেব না, যে রাত্রটি কদরের রাতের চেয়েও ফযীলতপূর্ণ? (তা হলো আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদ) প্রহরী কোন ভীতিকর স্থানে এমন মন-মানসিকতা নিয়ে পাহারা দেয় যে, হয়তো তার আর নিজ পরিবারের নিকট আর ফিরে আসা হবে না। (মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/২৪২৪)আল্লাহর রাস্তায় জাগ্রত চোখের জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম। আবু রাইহানা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, যে চোখ আল্লাহর রাস্তায় (পাহারার কাজে) নিদ্রাহীন কাটিয়েছে, সে চোখকে জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে। (নাসাঈ, হা/৩১১৭)অপর হাদীসে এসেছে,আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, দু’প্রকার চোখকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। একটি হচ্ছে আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দনকারী চোখ; আর অপরটি হচ্ছে এমন চোখ, যা আল্লাহর পথে পাহারারত অবস্থায় রাত্রি অতিবাহিত করে। (তিরমিযী, হা/১৬৩৯)পাহারারত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীদের আমল সর্বদা জারি থাকে। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে পাহারারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, সে জীবিত থাকাবস্থায় যে নেক আমল করত আল্লাহ তার উপর তা অব্যাহত রাখবেন এবং তার রিযিক জারি রাখবেন, তাকে ফিতনা থেকে দূরে রাখবেন এবং কিয়ামতের দিন তাকে সব রকমের পেরেশানী থেকে নিরাপদ অবস্থায় উঠাবেন। (ইবনে মাজাহ, হা/২৭৬৭) اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِي بِنِعْمَتِه تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِهٖ مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ اَجْمَعِيْنَ ] তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করতে থাকো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

আয়াতগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা

১. আহলে কিতাবের মধ্যে যারা ঈমান আনয়ন করবে এবং আল্লাহর আদেশ-নিষেধসমূহ যথাযথভাবে পালন করবে, তারাও আল্লাহর পক্ষ হতে পুরস্কৃত হবে।

২. সকল ক্ষেত্রে ধৈর্যধারণে প্রতিযোগিতা করতে হবে।

৩. মুসলিম ভূখন্ডের প্রতিরক্ষা করতে হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন