hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা আলে ইমরান

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৯
আয়াত : ৬১ - ৬৩ মুবাহালার বিধান
فَمَنْ حَآجَّكَ فِيْهِ مِنْ ۢبَعْدِ مَا جَآءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ اَبْنَآءَنَا وَاَبْنَآءَكُمْ وَنِسَآءَنَا وَنِسَآءَكُمْ وَاَنْفُسَنَا وَاَنْفُسَكُمْ۫ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَّعْنَتَ اللهِ عَلَى الْكَاذِبِيْنَ (৬১) اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الْقَصَصُ الْحَقُّۚ وَمَا مِنْ اِلٰهٍ اِلَّا اللهُۚ وَاِنَّ اللهَ لَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ (৬২) فَاِنْ تَوَلَّوْا فَاِنَّ اللهَ عَلِيْمٌ ۢبِالْمُفْسِدِيْنَ (৬৩)

শাব্দিক অনুবাদ

৬১. فَمَنْ সুতরাং যারা حَآجَّكَ তোমার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয় فِيْهِ এ সম্পর্কে مِنْ ۢبَعْدِ এর পরও مَا جَآءَكَ যা তোমার কাছে এসেছে مِنَ الْعِلْمِ জ্ঞান থেকে। فَقُلْ বলো, تَعَالَوْا তোমরা আসো, نَدْعُ আমরা আহবান করি اَبْنَآءَنَا আমাদের সন্তানদেরকে وَاَبْنَآءَكُمْ ও তোমাদের সন্তানদেরকে, وَنِسَآءَنَا আমাদের নারীদেরকে وَنِسَآءَكُمْ ও তোমাদের নারীদেরকে وَاَنْفُسَنَا এবং আমাদের নিজেদেরকে وَاَنْفُسَكُمْ ও তোমাদের নিজেদেরকে ثُمَّ তারপর نَبْتَهِلْ আমরা মুবাহালা করি। فَنَجْعَلْ অতঃপর আমরা প্রদান করি لَعْنَتَ اللهِ আল্লাহর অভিশাপ عَلَى الْكَاذِبِيْنَ মিথ্যাবাদীদের উপর।

৬২. اِنَّ নিশ্চয় هٰذَا এটাই لَهُوَ অবশ্যই তা اَلْقَصَصُ কাহিনী اَلْحَقُّ সত্য। وَمَا আর নেই مِنْ اِلٰهٍ কোন ইলাহ اِلَّا اللهُ আল্লাহ ব্যতীত । وَاِنَّ নিশ্চয় اَللهَ আল্লাহ لَهُوَ অবশ্যই তিনি اَلْعَزِيْزُ পরাক্রমশালী اَلْحَكِيْمُ ও প্রজ্ঞাময়।

৬৩. فَاِنْ এরপরও যদি تَوَلَّوْا তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, فَاِنَّ اللهَ তবে নিশ্চয় আল্লাহ عَلِيْمٌ ভালো করে জানেন بِالْمُفْسِدِيْنَ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের সম্পর্কে।

সরল অনুবাদ

৬১. সুতরাং (ঈসা সম্পর্কে) তোমার কাছে জ্ঞান আসার পরও যারা এ সম্পর্কে তোমার সাথে (অযথা) বিতর্কে লিপ্ত হয় তাদেরকে বলো, তোমরা আসো, আমরা আহবান করি আমাদের সন্তানদেরকে ও তোমাদের সন্তানদেরকে, আমাদের নারীদেরকে ও তোমাদের নারীদেরকে এবং আমাদের নিজেদেরকে ও তোমাদের নিজেদেরকে অতঃপর আমরা মুবাহালা করি। অতঃপর মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর লানত (অভিশাপ) প্রদান করি। [কারো দাবীকে সত্যতা প্রমাণের জন্য এটিই হচ্ছে চূড়ান্ত স্তর। অত্র আয়াতে এটিকে মুবাহালা হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। নিয়ম হচ্ছে, যখন কোন বিষয় সত্য অথবা মিথ্যা হওয়ার ব্যাপারে কোন দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয় এবং এ ব্যাপারে কোন পক্ষই চূড়ান্ত মীমাংসায় পৌঁছতে না পারে; অপরদিকে উভয় পক্ষই নিজ নিজ দাবীর উপর পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে অটল থাকে, তখন উভয় পক্ষ নিজ নিজ পরিবারবর্গকে নিয়ে একটি ময়দানে উপস্থিত হবে এবং এই বলে দু‘আ করবে যে, হে আল্লাহ! আমাদের উভয়ের মধ্যে যে মিথ্যাবাদী, তার উপর তোমার অভিশাপ বর্ষণ হোক। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা মিথ্যাবাদী সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দেয়ার মাধ্যমে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করবেন। তবে প্রতিক্রিয়াটি সাথে সাথেই সংঘটিত হবে নাকি পরবর্তীতে কোন এক সময় সংঘটিত হবে- এ ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা নেই। বদর যুদ্ধের উদ্দেশ্যে যাত্রার প্রাক্কালে মক্কার নেতা আবু জাহিল কাবা ঘরের গিলাফ ধরে যে দু‘আটি করেছিল, সেটি প্রায় এই মুবাহালার মতোই। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যুদ্ধের ময়দানে তাদেরকে পরাজিত করার মাধ্যমে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে প্রমাণ করে দেন। অত্র আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর পরই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আলী, ফাতিমা ও হাসান-হুসাইন (রাঃ)-কে ডেকে এনে বলেছিলেন, হে আল্লাহ! এরাই আমার পরিজন। (তিরমিযী, হা/২৯৯৯)]- [অত্র আয়াতটির শানে নুযূল হলো, ৯ম হিজরীতে যখন ইসলামের জয়ধ্বনি মদিনা ও তার আশেপাশের এলাকাসহ দূরবর্তী অনেক অঞ্চলেই ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন মানুষের মনে ধীরে ধীরে এ ধারণা জন্ম নিল যে, একদিন মুহাম্মাদ (সাঃ) ও তার সাহাবীগণই সম্পূর্ণ আরবের কর্তৃত্ব গ্রহণ করবে। তাই আরবের অনেক গোত্র দলে দলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট আগমন করে কেউ ইসলাম গ্রহণ করছিল আবার কেউ চুক্তিতে আবদ্ধ হচ্ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় একদিন নাজরান এলাকা থেকে একটি খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট আগমন করে এবং নিজেদের সীমালঙ্ঘনমূলক আক্বীদার ভিত্তিতে ঈসা (আঃ) সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সাথে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে এসে পড়ে যে, উভয় পক্ষের মধ্যে মুবাহালার প্রয়োজন হয়। ফলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাদেরকে মুবাহালার আহবান জানান। অতঃপর তিনি আহলে বাইত তথা আলী, ফাতিমা এবং হাসান ও হুসাইন (রাঃ) - এদেরকে সাথে নিয়ে মুবাহালার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। তারপর খ্রিস্টানদেরকে আহবান করেন যে, তোমরাও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে নিয়ে এসো; তারপর মিথ্যাবাদী দলের উপর অভিশাপ বর্ষণ করো। এদিকে খ্রিস্টান প্রতিনিধি দলটি পূর্ব হতেই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বিশ^স্ততা, সত্যবাদিতা, চরিত্র মাধুর্যতা, শিক্ষা ও কার্যাবলি সম্পর্কে অবগত ছিল। ফলে তাদের এতদিনের বিশ্বাসের ভিত নড়ে গেল; এমনকি তাদের মধ্যে অনেকের অন্তরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নবুওয়াতের প্রতি বিশ্বাসের বীজ জন্ম নিয়েছিল। যার কারণে তারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মুবাহালার আহবানে সাড়া দিতে পরিপূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। অবশেষে তারা নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলল যে, আপনি আমাদের কাছে যা চাইবেন, আমরা তা-ই দেব। সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাদের উপর জিযিয়া কর ধার্য করে দেন এবং তা আদায় করার জন্য আবূ উবায়দা ইবনে জার্রাহ (রাঃ)-কে তাদের সাথে প্রেরণ করে দেন। (ইবনে কাসীর, ফাতহুল কাদীরের সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসীর)]

৬২. নিশ্চয় এটাই সত্য কাহিনী। আর আল্লাহ ব্যতীত (সত্যিকারের) কোন ইলাহ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।

৬৩. এরপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের সম্পর্কে ভালো করে জানেন।

আয়াতগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা

১. দাওয়াতের স্বার্থে প্রয়োজনে মুবাহালা করা যাবে।

২. ইসলামের উপর মিথ্যারোপকারীরা আল্লাহর অভিশাপে পতিত হয়।

৩. ইসলামের কোন বিধান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া যাবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন