hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা আলে ইমরান

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৭২
আয়াত : ১২৮ – ১২৯ রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কর্তৃত্বের সীমাবদ্ধতা
لَيْسَ لَكَ مِنَ الْاَمْرِ شَيْءٌ اَوْ يَتُوْبَ عَلَيْهِمْ اَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَاِنَّهُمْ ظَالِمُوْنَ (১২৮) وَلِلّٰهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْاَرْضِؕ يَغْفِرُ لِمَنْ يَّشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَنْ يَّشَآءُؕ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ (১২৯)

শাব্দিক অনুবাদ

১২৮. لَيْسَ لَكَ তোমার জন্য নেই مِنَ الْاَمْرِ এ বিষয়ে شَيْءٌ কোন কিছুই اَوْ অথবা يَتُوْبَ তিনি তাওবা কবুল করবেন عَلَيْهِمْ তাদের উপর اَوْ অথবা يُعَذِّبَهُمْ অথবা তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন; فَاِنَّهُمْ কেননা নিশ্চয় তারা ظَالِمُوْنَ অত্যাচারী।

১২৯. وَلِلّٰهِ আর আল্লাহরই জন্য مَا যা রয়েছে فِي السَّمَاوَاتِ আকাশসমূহে وَمَا এবং যা রয়েছে فِي الْاَرْضِ পৃথিবীতে; يَغْفِرُ তিনি ক্ষমা করেন لِمَنْ يَّشَآءُ যাকে তিনি ইচ্ছা করেন وَيُعَذِّبُ এবং তিনি শাস্তি প্রদান করেন مَنْ يَّشَآءُ যাকে তিনি ইচ্ছা করেন। وَاللهُ আর আল্লাহ غَفُوْرٌ অতি ক্ষমাশীল رَحِيْمٌ ও পরম দয়ালু।

সরল অনুবাদ

১২৮. (হে নবী!) এ বিষয়ে তোমার কোন কিছুই (কর্তৃত্ব) নেই (বরং তা আল্লাহর ইচ্ছাধীন)। তিনি হয় তাদের তাওবা কবুল করবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন; কেননা অবশ্যই তারা অত্যাচারী। [উহুদ যুদ্ধে যখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সামনের মাড়ির দাঁত ভেঙ্গে যায়, চেহারা আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং কপালে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মুখমন্ডলে রক্ত ঝরতে থাকে, তখন তিনি বলেছিলেন যে, ‘‘এমন জাতি কীভাবে সফল হতে পারে, যারা তাদের নবীর সাথে এরূপ আচরণ করে; অথচ তিনি তাদেরকে আল্লাহর পথে আহবান করেন’’। এর দ্বারা তিনি হেদায়াত থেকে এক প্রকার নিরাশা প্রকাশ করেছিলেন। তখন আল্লাহ তা‘আলা এই আয়াত নাযিল করেন। (তিরমিযী, হা/৩০০২-০৩) এর দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা নবী (সাঃ)-কে মনে করিয়ে দেন যে, হেদায়াতের বিষয়টি সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছাধীন। তিনি কাকে হেদায়াত করবেন অথবা কাকে হেদায়াত করবেন না- এটা কেবল তিনিই সিদ্ধান্ত নিবেন। অতএব তাদের হেদায়াতের ব্যাপারে তোমার নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। সুতরাং তুমি তোমার কাজ চালিয়ে যাও। অপর হাদীসে এসেছে, সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, উহুদের দিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দু‘আ করলেন যে, হে আল্লাহ! আবু সুফইয়ানের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন। হে আল্লাহ! আল-হারিস ইবনে হিশামের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন। হে আল্লাহ! সাফওয়ান ইবনে উমাইয়ার প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন। তখন এ আয়াত নাযিল হয়। অতঃপর আল্লাহ তাদের তাওবা কবুল করেন এবং তারা ইসলাম গ্রহণ করে উত্তম মুসলিম হয়ে যান।এ আয়াত থেকে আরো একটি বিষয় স্পষ্ট যে, নবী (সাঃ) কখনো এরূপ ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন না যে, তিনি যখন যা কিছু ইচ্ছা করতেন, তা-ই সংঘটিত করতে পারতেন। এমনকি এতটুকু ক্ষমতার অধিকারীও ছিলেন না যে, তিনি কাউকে সঠিক পথের দিকে নিয়ে আসতে পারবেন। বরং তিনি কেবল মানুষকে এই পথের দিকে আহবান করার জন্যই প্ররিত হয়েছিলেন।]

১২৯. আর আসমানসমূহে যা আছে আর যা আছে জমিনে তা আল্লাহরই; তিনি যাকে ইচছা ক্ষমা করেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেবেন। আর আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

আয়াতগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা

১. কাউকে শাস্তি দেয়া অথবা তাওবা করে কবুল করে ক্ষমা করার বিষয়টি কেবল আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন।

২. স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ﷺ-ও কাউকে হেদায়াত দেয়ার ক্ষমতা রাখেন না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন