hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা আলে ইমরান

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৬
আয়াত : ৫২ – ৫৪ ঈসা (আঃ) এর জাতির প্রতিক্রিয়া
فَلَمَّاۤ اَحَسَّ عِيْسٰى مِنْهُمُ الْكُفْرَ قَالَ مَنْ اَنْصَارِيْۤ اِلَى اللهِ ؕ قَالَ الْحَوَارِيُّوْنَ نَحْنُ اَنْصَارُ اللهِۚ اٰمَنَّا بِاللهِۚ وَاشْهَدْ بِاَنَّا مُسْلِمُوْنَ (৫২) رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا بِمَاۤ اَنْزَلْتَ وَاتَّبَعْنَا الرَّسُوْلَ فَاكْتُبْنَا مَعَ الشَّاهِدِيْنَ (৫৩) وَمَكَرُوْا وَمَكَرَ اللهُؕ وَاللهُ خَيْرُ الْمَاكِرِيْنَ (৫৪)

শাব্দিক অনুবাদ

৫২. فَلَمَّا অতঃপর যখন اَحَسَّ অনুভব করল عِيْسٰى ঈসা مِنْهُمُ তাদের থেকে اَلْكُفْرَ কুফরী قَالَ তখন সে বলল مَنْ কে হবে اَنْصَارِيْ আমার সাহায্যকারী اِلَى اللهِ আল্লাহর উদ্দেশ্যে। قَالَ الْحَوَارِيُّوْنَ হাওয়ারীগণ বলল نَحْنُ আমরাই হব اَنْصَارُ اللهِۚ সাহায্যকারী আল্লাহর; اٰمَنَّا আমরা ঈমান এনেছি بِاللهِ আল্লাহর উপর। وَاشْهَدْ আর আপনি সাক্ষী থাকুন যে, بِاَنَّا নিশ্চয় আমরা مُسْلِمُوْنَ মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।

৫৩. رَبَّنَا হে আমাদের প্রতিপালক! اٰمَنَّا আমরা ঈমান এনেছি بِمَا যা اَنْزَلْتَ আপনি নাযিল করেছেন (তাতে) وَاتَّبَعْنَا এবং আমরা অনুসরণ করেছি اَلرَّسُوْلَ রাসূলের। فَاكْتُبْنَا সুতরাং আপনি আমাদেরকে তালিকাভুক্ত করুন مَعَ সাথে اَلشَّاهِدِيْنَ সাক্ষ্যদানকারীদের।

৫৪. وَمَكَرُوْا তারা ষড়যন্ত্র করল وَمَكَرَ اللهُ এবং আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করলেন। وَاللهُ মূলত আল্লাহই خَيْرُ সর্বোত্তম اَلْمَاكِرِيْنَ কৌশলীদের মধ্যে।

সরল অনুবাদ

৫২. অতঃপর যখন ঈসা তাদের থেকে কুফরী অনুভব করল তখন বলল, আল্লাহর পথে কে আমার সাহায্যকারী হবে। [এখানে বনী ইসরাঈলদের গোঁড়ামির কথা বর্ণনা করা হয়েছে। কেননা ঈসা (আঃ)-এর নবী হওয়ার পক্ষে এতে বেশি স্পষ্ট নিদর্শন ছিল যে, তাকে অস্বীকার করার মতো কোন অজুহাত অবশিষ্ট ছিল না। উপরন্তু তারা ঈসা (আঃ) এর জন্মের শুরু থেকেই জানত যে, ইনি একদিন নবী হবেন। অতঃপর নবুওয়াত আসার পূর্ব পর্যন্ত তাঁকে অনুরূপভাবেই সম্মান করে আসছিল। কিন্তু যখনই তিনি নবুওয়াত প্রাপ্ত হয়ে তাদেরকে দাওয়াত প্রদান করতে শুরু করলেন, যা ছিল তাদের নিজেদের পরিচিত বিকৃত ধর্মের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, তখনই তারা নিজেদের পূর্ব চরিত্র অনুযায়ী তার বিরুধিতা করতে শুরু করল এবং তার বিরুদ্ধে সকলেই চড়াও হয়ে গেল। অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে, ঈসা (আঃ)-কে উপরোক্ত বাক্যে নিজের সঙ্গী-সাথিদেরকে আহবান করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আর এই বাক্যটি তখনই উচ্চারণ করা হয়, যখন কোন ব্যক্তি চারদিক থেকে চরম বিরুধিতার সম্মুখীন হয় এবং জাতির জন্য আফসোস ব্যতীত অন্য কোন করণীয় খোঁজে না পায়।] হাওয়ারীগণ [‘হাওয়ারী’ শব্দটি আনসার শব্দের কাছাকাছি অর্থ বহন করে থাকে। মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সঙ্গী-সাথিদেরকে যেরকমভাবে সাহাবী বলা হয়, অনুরূপভাবে ঈসা (আঃ) এর সঙ্গী-সাথিদেরকে এখানে হাওয়ারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।] বলল, আমরাই আল্লাহর সাহায্যকারী [এই বাক্যটির অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক। কেননা আল্লাহর সাহায্যকারী কর্ম হিসেবে বিশেষ কোন কর্ম নির্দিষ্ট নেই। বরং দ্বীনের পথে সকল ধরনের পদক্ষেপই এই বাক্যের অন্তর্ভুক্ত। যেমন- আল্লাহর প্রতি সঠিক বিশ্বাস স্থাপন করা, যতটুকু সম্ভব আল্লাহর ইবাদাত-বন্দেগী করে যাওয়া, মানুষকে দ্বীনের পথে আহবান করা, সৎ কাজের আদেশ দেয়া এবং অসৎকর্ম হতে নিষেধ করা ইত্যাদি। যখন যেরূপ কর্মের প্রয়োজন আল্লাহ তা‘আলা যাকে ইচ্ছা তাকে দিয়ে সেই কর্ম সংঘটিত করে থাকেন।]; আমরা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছি। আর আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরা মুসলিম।

৫৩. (তারপর তারা দু‘আ করে বলল) হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি যা নাযিল করেছেন আমরা তাতে ঈমান এনেছি এবং আমরা রাসূলের অনুসরণ করেছি। সুতরাং আপনি আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের সাথে তালিকাভুক্ত (অন্তর্ভুক্ত) করুন।

৫৪. (অতঃপর) তারা [ঈসা (আঃ) এর সম্প্রদায়] ঈসা (আঃ) এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল; আর আল্লাহও কৌশল অবলম্বন করলেন। মূলত আল্লাহই উত্তম কৌশলী। [ঘটনাটি ছিল এই যে, যখন ঈসা (আঃ) মানুষকে সঠিক দ্বীনের পথে দাওয়াত দিতে শুরু করলেন, তখন একদল লোক কঠোরভাবে তার বিরুধিতায় লিপ্ত হয়েছিল। অবশেষে তারা তৎকালীন শাসকের কাছে ঈসা (আঃ) এর বিরুদ্ধে নানা ধরনের কুৎসা রটনা করে তাকে রাগান্বিত করে তোলার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল। অতঃপর উক্ত শাসক রাগান্বিত হয়ে ঈসা (আঃ)-কে শূলে চড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল। তারপর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যখন তারা ঈসা (আঃ)-কে আটক করার জন্য গৃহবন্দী করল, তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদের সকল ধরনের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়ে ঈসা (আঃ)-কে সযত্নে আসমানে উঠিয়ে নেন এবং তার স্থানে চক্রান্তকারীদের থেকে কাউকে ঈসা (আঃ) এর চেহারার অনুরূপ করে দেন। ফলে তারা ঈসা (আঃ) এর পরিবর্তে তাঁর মতো দেখতে অন্য কাউকে শূলে চড়িয়ে দেয় এবং মনে করে যে, তারা ঈসা (আঃ)-কে শূলে চড়িয়েছে। আল্লাহ অত্র আয়াতে এটিকেই চক্রান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।]

আয়াতগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা

১. প্রত্যেক নবীরই কিছু হাওয়ারী থাকে, যাকে দাওয়াতের কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকে।

২. মুজিযা থাকা সত্ত্বেও সম্প্রদায়ের লোকেরা ঈসা (আঃ) এর আনুগত্য করতে অস্বীকার করেছিল।

৩. ঈসা (আঃ) এর সম্প্রদায়ের লোকেরা ঈসা (আঃ) এর বিরুদ্ধে মারাত্মক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল।

৪. সর্বযুগে সত্যের বিরুদ্ধে কিছু লোক ষড়যন্ত্র করেই থাকে।

৫. আল্লাহর কাছে কোন ষড়যন্ত্রই সফল হতে পারে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন