hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা আলে ইমরান

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২০
আয়াত : ২৮ – ২৯ কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা
لَا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُوْنَ الْكَافِرِيْنَ اَوْلِيَآءَ مِنْ دُوْنِ الْمُؤْمِنِيْنَۚ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللهِ فِيْ شَيْءٍ اِلَّاۤ اَنْ تَتَّقُوْا مِنْهُمْ تُقَاةًؕ وَّيُحَذِّرُكُمُ اللهُ نَفْسَه ؕ وَاِلَى اللهِ الْمَصِيْرُ (২৮) قُلْ اِنْ تُخْفُوْا مَا فِيْ صُدُوْرِكُمْ اَوْ تُبْدُوْهُ يَعْلَمْهُ اللهُؕ وَيَعْلَمُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْاَرْضِؕ وَاللهُ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ (২৯)

শাব্দিক অনুবাদ

২৮. لَا يَتَّخِذِ গ্রহণ করে না اَلْمُؤْمِنُوْنَ মুমিনরা اَلْكَافِرِيْنَ কাফিরদেরকে اَوْلِيَآءَ বন্ধু হিসেবে مِنْ دُوْنِ বাদ দিয়ে اَلْمُؤْمِنِيْنَ মুমিনদেরকে। وَمَنْ যে ব্যক্তি يَفْعَلْ করবে ذٰلِكَ এরূপ فَلَيْسَ তাহলে থাকবে না مِنَ اللهِ আল্লাহর সাথে فِيْ شَيْءٍ কোন কিছুই (সম্পৃক্ততা), اِلَّاۤ তবে اَنْ تَتَّقُوْا যদি তোমরা আশঙ্কা কর مِنْهُمْ তাদের পক্ষ থেকে تُقَاةً কোন প্রকার ক্ষতির। وَيُحَذِّرُكُمُ আর তোমাদেরকে সতর্ক করছেন اَللهُ আল্লাহ نَفْسَه  তাঁর নিজের ব্যাপারে; وَاِلَى اللهِ আল্লাহরই দিকে اَلْمَصِيْرُ সকল প্রত্যাবর্তনস্থল।

২৯. قُلْ বলো اِنْ যদি تُخْفُوْا তোমরা গোপন রাখ مَا فِيْ صُدُوْرِكُمْ তোমাদের অন্তরে যা আছে اَوْ অথবা تُبْدُوْهُ তা প্রকাশ কর, يَعْلَمْهُ সব কিছু্ই জানেন اَللهُ আল্লাহ। وَيَعْلَمُ আর তিনি জানেন مَا যা কিছু আছে فِي السَّمَاوَاتِ আকাশসমূহে وَمَا এবং যা কিছু আছে فِي الْاَرْضِ জমিনে। وَاللهُ আর আল্লাহ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ সকল বিষয়ের উপর قَدِيْرٌ সর্বশক্তিমান।

সরল অনুবাদ

২৮. (অতএব) মুমিনরা যেন মুমিনদেরকে বাদ দিয়ে কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করে। [এখানে মুমিনদেরকে কাফিরদের সাথে আন্তরিক বন্ধুত্ব স্থাপন করা থেকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। কেননা কাফিররা হচ্ছে আল্লাহ, তাঁর রাসূল এবং মুমিনদের চরম শত্রু। আর কোন শত্রুর সাথে আন্তরিক বন্ধুত্ব স্থাপন করাটা চরম মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর আন্তরিক বন্ধুত্ব বলতে বুঝানো হয় ঐ বন্ধুত্বকে, যারা একে অপরের আনন্দে আনন্দিত হয় এবং একে অপরের দুঃখে দুঃখিত হয়; বিপদাপদে একে অপরকে সাহায্য করে থাকে। কিছু কিছু পথভ্রষ্ট নামধারি মুসলিম কাফিরদের সাথে এরূপ বন্ধুত্ব স্থাপন করলেও, কাফিররা কখনো কোন মুসলিমের সাথে এরূপ বন্ধুত্ব স্থাপন করতে প্রস্তুত নয়। কঠিন বিপদের সময়ই তাদের আসলরূপ প্রকাশ পেয়ে যায়।] যে ব্যক্তি এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তার কিছুই (সম্পৃক্ততা) থাকবে না [এখানে কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করার শেষ পরিণতির কথা বর্ণনা করা হয়েছে। আর বুঝানো হয়েছে যে, কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করলে একজন মুমিন অনেক দিক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন- ঈমান দুর্বল হয়ে যায়, আল্লাহভীতি কমে যায়, আল্লাহর ইবাদাতে বাধাগ্রস্ত হয়, অনেক বড় বড় পাপকর্মকেও হালকা মনে হয় ইত্যাদি। আর যার মধ্যে এসব গুণ একত্রিত হবে, পরিশেষে সে আর মুসলিম থাকে না; বরং সে কাফেরে পরিণত হয়।], তবে যদি তোমরা তাদের (কাফিরদের) পক্ষ থেকে কোন প্রকার ক্ষতির আশঙ্কা কর [অর্থাৎ যদি কোন মুমিন কোন কাফিরদের ফাঁদে আটকা পড়ে যায় এবং সে তাদের পক্ষ হতে যুলুম-নির্যাতন অথবা জীবন নাশের আশংকা করে, তাহলে সে নিজের ঈমান লুকিয়ে রেখে কাফিরদের সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে অবস্থান করতে পারবে। অনুরূপভাবে কোন মুমিন যদি কঠিন ভয়ভীতি ও আশংকাপূর্ণ অবস্থার সম্মুখীন হয়, তাহলেও সে অন্তরে ঈমান লুকিয়ে রেখে কুফরী বাক্য উচ্চারণ করতে পারবে। তবে এই অনুমতিটি অবশ্যই সাময়িক পরিস্থিতির জন্য প্রযোজ্য। সুতরাং যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় পতিত হবে, তাকে প্রথমে এরূপ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে হবে।] (তবে সাবধানতার সাথে বাহ্যিক সম্পর্ক রাখতে পারবে)। আর আল্লাহ তাঁর নিজের সম্পর্কে তোমাদেরকে সতর্ক করছেন; সকল প্রত্যাবর্তনস্থল আল্লাহরই দিকে। [এখানে সতর্ক বলতে ঐ অবস্থায় যেকোন পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ যখন মুমিন ঈমান ও কুফরের দ্বন্দ্বে এরূপ কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে, তখন সে কাফিরদের সাথে বাহ্যিক বন্ধুত্ব স্থাপন করতে গিয়ে যাতে এমন কোন কর্ম সংঘটিত করে না বসে, যার কারণে সে ঈমান থেকে বের হয়ে যায়। যেমন- কাফিরদের সাথে আন্তরিক বন্ধুত্ব স্থাপন করা, মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদেরকে সাহায্য করা, মুসলিমদের কোন গোপন তথ্য কাফিরদের কাছে পাচার করে দেয়া, কাফিরদেরকে আল্লাহকে ভয় করার ন্যায় অথবা তার চেয়েও বেশি ভয় করা, আল্লাহকে ভুলে যাওয়া ইত্যাদি। যদি এরূপ করা হয়, তাহলে পরকালে পুরস্কারের পরিবর্তে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে।]

২৯. (হে নবী!) বলো, তোমাদের অন্তরে যা আছে তা যদি তোমরা গোপন রাখ অথবা প্রকাশ কর, আল্লাহ সব কিছু্ই জানেন। [তোমরা মনে মনে কোন কাফিরের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করছ কি না অথবা তোমরা কুফুরের সাথে কতটুকু আন্তরিকতা পোষণ করে থাক অথবা তোমরা মুনাফিকীর মধ্যে কতটুকু নিমজ্জিত আছ, সে ব্যাপারে আল্লাহ তা‘আলা পরিপূর্ণভাবে অবগত আছেন। সুতরাং কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা থেকে সাবধান।] আর তিনি জানেন আকাশসমূহে যা কিছু আছে এবং যা কিছু আছে জমিনে। আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

আয়াতগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা

১. কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।

২. মুমিনদের সাথে শত্রুতা করা যাবে না।

৩. কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করলে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

৪. একান্ত বাধ্য হলে দুনিয়ার স্বার্থে কাফিরদের সাথে সাময়িক বন্ধুত্ব স্থাপন করা যাবে; তবে তা পরকালকে ক্ষতিগ্রস্ত করে নয়।

৫. পরকালীন বিষয়ে কাফিরদেরকে অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে।

৬. কাফিরদের সাথে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

৭. অন্তরের লুকায়িত সমস্ত সংবাদ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা ভালোভাবে অবগত আছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন