hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা আলে ইমরান

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৭৬
আয়াত : ১৩৯ – ১৪১ মুমিনদের প্রতি সুসংবাদ
وَلَا تَهِنُوْا وَلَا تَحْزَنُوْا وَاَنْتُمُ الْاَعْلَوْنَ اِنْ كُنْتُمْ مُّؤْمِنِيْنَ (১৩৯) اِنْ يَّمْسَسْكُمْ قَرْحٌ فَقَدْ مَسَّ الْقَوْمَ قَرْحٌ مِّثْلُه ؕ وَتِلْكَ الْاَيَّامُ نُدَاوِلُهَا بَيْنَ النَّاسِۚ وَلِيَعْلَمَ اللهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَيَتَّخِذَ مِنْكُمْ شُهَدَآءَؕ وَاللهُ لَا يُحِبُّ الظَّالِمِيْنَ (১৪০) وَلِيُمَحِّصَ اللهُ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَيَمْحَقَ الْكَافِرِيْنَ (১৪১)

শাব্দিক অনুবাদ

১৩৯. وَلَا تَهِنُوْا আর তোমরা দুর্বল হয়ো না وَلَا تَحْزَنُوْا এবং তোমরা দুশ্চিন্তা করো না, وَاَنْتُمُ তোমরাই اَلْاَعْلَوْنَ বিজয়ী হবে اِنْ كُنْتُمْ যদি তোমরা হও مُؤْمِنِيْنَ মুমিনদের অন্তর্ভুক্ত।

১৪০. اِنْ যদি يَمْسَسْكُمْ তোমাদেরকে স্পর্শ করে থাকে قَرْحٌ আঘাত, فَقَدْ তবে নিশ্চয় مَسَّ স্পর্শ করেছিল اَلْقَوْمَ সে সম্প্রদায়কেও قَرْحٌ আঘাত مِثْلُه  অনুরূপ। وَتِلْكَ الْاَيَّامُ আর এ দিবসসমূহ نُدَاوِلُهَا আমি তা আবর্তিত করি بَيْنَ النَّاسِ মানুষের মধ্যে وَلِيَعْلَمَ যাতে করে জানতে পারেন اَللهُ আল্লাহ اَلَّذِيْنَ যারা اٰمَنُوْا ঈমান এনেছে وَيَتَّخِذَ এবং গ্রহণ করতে পারেন مِنْكُمْ তোমাদের মধ্য হতে (কিছু ব্যক্তিকে) شُهَدَآءَ শহীদরূপে। وَاللهُ আর আল্লাহ لَا يُحِبُّ ভালোবাসেন না اَلظَّالِمِيْنَ অত্যাচারীদেরকে।

১৪১. وَلِيُمَحِّصَ আর যাতে পরিশুদ্ধ করতে পারেন اَللهُ আল্লাহ اَلَّذِيْنَ যারা اٰمَنُوْا ঈমান এনেছে وَيَمْحَقَ এবং নিশ্চিহ্ন করতে পারেন اَلْكَافِرِيْنَ কাফিরদেরকে ।

সরল অনুবাদ

১৩৯. (অতএব) তোমরা দুর্বল হয়ো না এবং দুশ্চিন্তা করো না, তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাকে। [এখানে মুসলিমদেরকে বিজয়ী হওয়ার আগাম সুসংবাদ প্রদান পূর্বক আরো একটি সূক্ষ্ম নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, তোমাদের জয়-পরাজয়ের বিষয়টি নির্ভর করবে তোমাদের ঈমানের উপর। তোমরা যদি প্রকৃতপক্ষেই মুমিন হয়ে থাক, তাহলে অবশ্যই তোমরা বিজয়ী হবে।]

১৪০. যদি তোমাদেরকে (উহুদে) আঘাত স্পর্শ করে থাকে, তবে নিশ্চয় সে সম্প্রদায়কেও (বদরে) অনুরূপ আঘাতই স্পর্শ করেছিল। [এখানে আরো একটু ভিন্ন ভঙ্গিমায় সান্ত্বনা প্রদান করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, তোমরা যে বিপর্যয়ের সম্মুখী হয়েছ, তাতে এত দুশ্চিন্তা করার কি আছে? ইতিপূর্বে তোমরা যখন তাদেরকে বদর যুদ্ধে পরাস্ত করেছিলে, তখন তারা তো তোমাদের থেকে আরো বেশি দুশ্চিন্তায় পতিত হয়েছিল। আর এজন্যই তো তারা এখন আবার এই যুদ্ধে এতো শক্তি নিয়ে এসেছে। তবে এতে তোমাদের জন্য অনেক শিক্ষা রয়েছে। তোমরা সেগুলো গ্রহণ করে পুনরায় উজ্জীবিত হও।] এ দিবসসমূহকে [এখানে দিবস বলতে ঐসব দিনকে বুঝানো হয়েছে, যে দিনগুলোতে মুসলিমগণ কাফিরদের সাথে যুদ্ধ লিপ্ত হয়। আল্লাহ তা‘আলা এরূপ দিবস যুগে যুগে বার বার আবর্তন করে থাকেন।] আমি মানুষের মধ্যে আবর্তিত করি, যাতে করে যারা ঈমান এসেছে তাদেরকে আল্লাহ জানতে (স্পষ্ট করতে) পারেন এবং তোমাদের মধ্য হতে কিছু ব্যক্তিকে শহীদরূপে [এখানে شهداء (শহীদগণ) এর দুটি অর্থ হতে পারে। তা হলো- (১) তোমাদের মধ্য হতে কিছু লোককে নিহত করার মাধ্যমে শহীদের মর্যাদা অধিষ্ঠিত করতে চান। (২) বর্তমানে তোমাদের মধ্যে ঈমানদার ও মুনাফিকদের দ্বারা মিশ্রিত যে দলটি রয়েছে, তার মধ্য হতে এমন একটি ছোট দলকে নির্বাচন করে নিতে চান, যারা প্রকৃতপক্ষেই এই মহান পদের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত। কেননা এই মহান ও মর্যাদাপূর্ণ পদেই মুসলিম উম্মাহকে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে।] গ্রহণ করতে পারেন। [এখানে মুসলিমদেরকে আরো একটু ভিন্ন ভঙ্গিমায় সান্ত্বনা প্রদান করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, তোমরা যে ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছো, সেটা তো আমার ইচ্ছাতেই সংঘটিত হয়েছে। আর আমি যা ইচ্ছা তা-ই করে থাকে। সুতরাং তোমরা এতো দুঃখ প্রকাশ করছ কেন? আমার এই কর্মের পেছনে কয়েকটি বৃহত্তম স্বার্থ রয়েছে, যা তোমাদেরই জন্য সুসংবাদস্বরূপ। আর তা হলো- (১) এর মাধ্যমে আমি তোমাদের ঈমানের পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকি। কেননা যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার সাথে সাথেই প্রমাণ হয়ে যায় যে, কে প্রকৃত ঈমানের অধিকারী এবং কে প্রকৃত ঈমানের অধিকারী নয় তথা মুনাফিক। (২) তোমরা যে প্রতিনিয়ত শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষাবোধ কর, আমি এই দিবসসমূহের পুনরাবর্তন ঘটিয়ে সেই সুযোগ করে দেই। (৩) এর মাধ্যমে আমি অত্যাচারী শাসকদেরকে প্রতিহত করে থাকি।] আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালোবাসেন না।

১৪১. আর আল্লাহ পরিশুদ্ধ করবেন যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে এবং কাফিরদেরকে নিশ্চিহ্ন করবেন। [এখানে আরো দুটি স্বার্থের কথা বলা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী আয়াতে বর্ণিত স্বার্থসমূহের মধ্যে অন্যতম। আর তা হলো- (৪) এর মাধ্যমে আমি ঈমানদারদের ভুল-ভ্রান্তিসমূহ পরিশুদ্ধ করে থাকি, যাতে করে তারা পরবর্তীতে এরূপ কোন ভুলের মধ্যে পতিত না হয় এবং তাদের ঈমানী শক্তিও বৃদ্ধি পায়। (৫) এর মাধ্যমে আমি কাফিরদের সকল শক্তিকে পরিপূর্ণভাবে ধ্বংস করে থাকি- যাতে করে তারা আর কখনো সত্যের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।]

আয়াতগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা

১. মুমিনদের জন্য কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়া এবং দুর্বলতাও প্রদর্শন করা উচিত নয়।

২. মুমিনদের বিজয় আবশ্যম্ভী।

৩. কখনো কখনো আল্লাহ তা‘আলা মুসলিমদেরকে সাময়িক কষ্টের মধ্যে ফেলে পরীক্ষা করে থাকেন।

৪. কোন পরিস্থিতিতে ঈমান হারা হওয়া যাবে না।

৫. যুদ্ধের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা অনেক মুমিনকে শহীহ হিসেবে গ্রহণ করেন।

৬. যুদ্ধের মাধ্যমে কাফিরদের শক্তি খর্ব হয়।

৭. যুদের মাধ্যমে ঈমানদারগণ নিজেদের দুর্বলতা খুঁজে বের করে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করে নিতে পারেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন