hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা আলে ইমরান

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৫
আয়াত : ৩৬ মারইয়াম (আঃ) এর জন্ম ও তাঁর নামকরণ
فَلَمَّا وَضَعَتْهَا قَالَتْ رَبِّ اِنِّيْ وَضَعْتُهَاۤ اُنْثٰىۚ وَاللهُ اَعْلَمُ بِمَا وَضَعَتْؕ وَلَيْسَ الذَّكَرُ كَالْاُنْثٰىۚ وَاِنِّيْ سَمَّيْتُهَا مَرْيَمَ وَاِنِّيْۤ اُعِيْذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (৩৬)

শাব্দিক অনুবাদ

৩৬. فَلَمَّا অতঃপর যখন وَضَعَتْهَا সে তাকে (মারইয়ামকে) প্রসব করল قَالَتْ তখন বলল, رَبِّ হে আমার প্রতিপালক! اِنِّيْ নিশ্চয় আমি وَضَعْتُهَا তাকে প্রসব করেছি اُنْثٰى নারী। وَاللهُ আর আল্লাহ اَعْلَمُ অধিক জানেন بِمَا وَضَعَتْ সে যা প্রসব করেছে। وَلَيْسَ আর নয় اَلذَّكَرُ পুরুষ كَالْاُنْثٰىۚ নারীর মতো। وَاِنِّيْ নিশ্চয় আমি سَمَّيْتُهَا তার নাম রেখেছি مَرْيَمَ ‘মারইয়াম’। وَاِنِّيْۤ নিশ্চয় আমি اُعِيْذُهَا তার জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করছি بِكَ আপনার কাছে وَذُرِّيَّتَهَا ও তার বংশধরের জন্য مِنَ الشَّيْطَانِ শয়তান থেকে اَلرَّجِيْمِ বিতাড়িত।

সরল অনুবাদ

৩৬. অতঃপর যখন সে তাকে (মান্নাতকৃত সন্তানটিকে) প্রসব করল তখন বলল, হে আমার প্রতিপালক! নিশ্চয় আমি তো নারী (কন্যা সন্তান) প্রসব করেছি (সুতরাং আমি এটাকে কীভাবে তোমার পথে উৎসর্গ করব)। [এ বাক্যটি মারইয়াম (আঃ) এর মাতার আক্ষেপের বহিঃপ্রকাশ। কেননা মারইয়াম (আঃ) এর মাতা ব্যাপক আশা পোষণ করেছিলেন যে, তাঁর গর্ভের সন্তানটি ছেলে হবে এবং তিনি তাকে আল্লাহর পথে ছেড়ে দিবেন। কিন্তু প্রসব করার পর তিনি দেখতে পেলেন যে, তিনি এতদিন যে সন্তানটির ব্যাপারে আশা পোষণ করছিলেন সেটি মেয়ে সন্তান। অথচ তখনকার সমাজব্যবস্থায় কোন মেয়ে সন্তান আল্লাহর পথে বের হওয়াটা ছিল খুবই দৃষ্টিকটু।] (মূলত) সে যা প্রসব করেছে আল্লাহ সে সম্পর্কে অধিক জানেন। (আর তিনি এটাও জানেন যে, তার কাঙ্ক্ষিত) পুরুষ (ছেলে সন্তানটি) এ নারীর (কন্যা সন্তানটির) মতো নয়। [এ বাক্যটির মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা বুঝিয়ে দিলেন যে, কেউ পুত্র সন্তানের জন্য চরম আশাবাদী হলেও আল্লাহ তা‘আলা তাকে তা প্রদান করেন না। বরং তিনি নিজের ইচ্ছানুযায়ীই যাকে ইচ্ছা তাকে পুত্র সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা তাকে কন্যা সন্তান দান করেন। আর এখানে আরো একটি কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, কোন কোন কন্যা সন্তানকে আল্লাহ তা‘আলা এমন ক্ষমতা দান করেন, যা সাধারণত কোন ছেলে সন্তান অর্জন করতে সক্ষম নয়। সুতরাং কন্যা সন্তান জন্ম হলেই কারো মন খারাপ করার কোন কারণ নেই। কেননা হয়তোবা আল্লাহ তা‘আলা তার মধ্যেই কল্যাণ নিহিত রেখেছেন। কোন ছেলে সন্তান জন্ম হলে হয়তোবা সে কল্যাণটি লাভ করা যেত না।] আর (ইমরানের স্ত্রী আরো বলল যে) নিশ্চয় আমি তার নাম রেখেছি ‘মারইয়াম’। নিশ্চয় আমি তার জন্য ও তার বংশধরের জন্য বিতাড়িত শয়তান থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [আল্লাহ তা‘আলা মারইয়াম (আঃ) এর মাতার দু‘আ কবুল করেছিলেন। ফলে মারইয়াম (আঃ) এর জন্মের সময় শয়তান তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক মানবশিশুকেই তার জন্মের সময় শয়তান আঘাত করে। এর কারণে সে চিৎকার করে কেঁদে উঠে; কিন্তু মারইয়াম (আঃ) ও তাঁর ছেলে ঈসা (আঃ) এটা হতে রক্ষা পেয়েছিলেন। (সহীহ বুখারী, হা/৩৪৩১)]

আয়াতগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা

১. কিছু কিছু নারী যোগ্যতা ও মর্যাদায় পুরুষদের থেকেও শ্রেষ্ঠ হতে পারে।

২. সন্তান ও তাঁর বংশধরের জন্য শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়া উচিত।

৩. গর্ভের যাবতীয় বিষয় সম্পর্কেও আল্লাহ তা‘আলা ভালোভাবে অবগত আছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন