hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সূরা আলে ইমরান

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪০
আয়াত : ৬৪ দাওয়াতের কৌশল
قُلْ يَاۤ اَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا اِلٰى كَلِمَةٍ سَوَآءٍ ۢبَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ اَلَّا نَعْبُدَ اِلَّا اللهَ وَلَا نُشْرِكَ بِه شَيْئًا وَّلَا يَتَّخِذَ بَعْضُنَا بَعْضًا اَرْبَابًا مِّنْ دُوْنِ اللهِؕ فَاِنْ تَوَلَّوْا فَقُوْلُوا اشْهَدُوْا بِاَنَّا مُسْلِمُوْنَ (৬৪)

শাব্দিক অনুবাদ

৬৪. قُلْ বলো, يَا হে اَهْلَ الْكِتَابِ আহলে কিতাব! تَعَالَوْا তোমরা আসো اِلٰى দিকে كَلِمَةٍ এমন একটি কালিমার (বাণীর), سَوَآءٍ যা সমান بَيْنَنَا আমাদের মাঝে وَبَيْنَكُمْ এবং তোমাদের মাঝে। اَلَّا نَعْبُدَ আমরা ইবাদাত করব না اِلَّا اللهَ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো, وَلَا نُشْرِكَ এবং আমরা শরীক করব না بِهٖ তাঁর সাথে شَيْئًا কোন কিছুই وَلَا يَتَّخِذَ এবং আমরা গ্রহণ করব না بَعْضُنَا আমাদের কতক بَعْضًا কতককে اَرْبَابًا প্রতিপালক হিসেবে مِنْ دُوْنِ اللهِ আল্লাহকে বাদ দিয়ে । فَاِنْ এরপরও যদি تَوَلَّوْا তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় فَقُوْلُوا তবে বলো, اِشْهَدُوْا তোমরা সাক্ষী থাকো, بِاَنَّا নিশ্চয় আমরা مُسْلِمُوْنَ মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।

সরল অনুবাদ

৬৪. (হে নবী!) বলো, হে আহলে কিতাব! তোমরা এমন একটি কালিমার (বাণীর) দিকে আসো, যা আমাদের মাঝে এবং তোমাদের মাঝে সমান। আর তা হলো, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করব না, তাঁর সাথে কোন কিছুই শরীক করব না এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে একে অপরকে প্রতিপালক হিসেবে গ্রহণ করব না। আমাদের কেউ অপর কাউকে প্রতিপালক হিসেবে গ্রহণ করব না। [এখানে ইহুদী সম্প্রদায় কর্তৃক উযায়ের (আঃ)-কে আল্লাহর পুত্র এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায় কর্তৃক ঈসা (আঃ)-কে আল্লাহর পুত্র এবং মারইয়াম (আঃ)-কে আল্লাহ স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে। আর এ কথা বুঝানো হয়েছে, তারা তো আদম সন্তানেরই অন্তর্ভুক্ত এবং তোমাদের বংশ হতেই আগত। সুতরাং তোমরা কীভাবে তাদেরকে প্রভু হিসেবে গ্রহণ করে নিলে। অথচ তারা নিজেরাও কখনো এরূপ কোন দাবী করেননি এবং তোমাদেরকেও এরূপ কোন দাবীর প্রতি আহবান জানায়নি। সুতরাং তাদের ব্যাপারে এরূপ বিশ্বাস থেকে ফিরে আসাটাই হচ্ছে তোমাদের ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা, যা আমাদের ধর্মের সাথে হুবহু সাদৃশ্যপূর্ণ।] এরপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলো, তোমরা সাক্ষী থাকো যে, আমরা মুসলিম। [এ আয়াতটি নাযিল হওয়ার পর পরই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দিহইয়া কালবী (রাঃ) এর মাধ্যমে তৎকালীন রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস এর নিকট এ মর্মে একটি পত্র প্রেরণ করেন যে, ‘‘আমি তোমাকে ইসলামের দাওয়াত প্রদান করছি। সুতরাং তুমি ইসলাম গ্রহণ করে নাও, তাহলে নিরাপত্তা পাবে। আর তুমি মুসলিম হয়ে যাও, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে দ্বিগুণ নেকী দান করবেন। কিন্তু যদি তুমি মুখ ফিরিয়ে নাও, তাহলে প্রজাদের পাপও তোমার উপর চাপানো হবে। আর হে আহলে কিতাব! তোমরা এমন একটি কালিমার (বাণীর) দিকে আসো, যা আমাদের মাঝে এবং তোমাদের মাঝে সমান। আর তা হলো, আমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করব না, তাঁর সাথে কোন কিছুই শরীক করব না এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে একে অপরকে প্রতিপালক হিসেবে গ্রহণ করব না। আমাদের কেউ অপর কাউকে প্রতিপালক হিসেবে গ্রহণ করব না। এরপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলো, তোমরা সাক্ষী থাকো যে, আমরা মুসলিম।’’ অতঃপর দিহইয়া কালবী (রাঃ) পত্রটি হিরাক্লিয়াস এর কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য বসরার শাসকের কাছে দেন। এরপর সে হিরাক্লিয়াস এর কাছে পৌঁছে দেয়। এ সময় আবু সুফিয়ান একটি বাণিজ্যিক দল নিয়ে সিরিয়ায় অবস্থান করছিলেন। এদিকে সম্রাট হিরাক্লিয়াস পত্র পেয়ে তার লোকদেরকে জিজ্ঞেস করল, যে লোকটি নিজেকে নবী বলে দাবী করেছে তাঁর গোত্রীয় কেউ এখানে আছে কি? তারা বললো, হ্যাঁ- আছে। তখন তারা আবু সুফিয়ান ও তার দলকে তার কাছে ডেকে নিয়ে গেল এবং তাদেরকে হিরাক্লিয়াসের সামনে বসতে দেয়া হলো। তারপর হিরাক্লিয়াস জিজ্ঞেস করল, যে লোকটি নিজেকে নবী বলে দাবী করছে তোমাদের মধ্যে বংশের দিক থেকে তাঁর আত্মীয় কেউ আছে কি? আবু সুফিয়ান বলল, বংশগত দিক থেকে আমিই তাঁর নিকটাত্মীয়। এ কথা শোনার পর হিরাক্লিয়াসের লোকজন তাকে তার সাথীদের সামনে বসিয়ে দিল। তারপর তারা একজন দোভাষীকেও ডেকে নিয়ে আসল। তখন হিরাক্লিয়াস দোভাষীকে বলল, তাদেরকে বলো, আমি একে (আবু সুফিয়ান) নবুওয়াত দাবীকারী লোকটি সম্পর্কে প্রশ্ন করব। যদি সে মিথ্যা বলে তাহলে তোমরা তার মিথ্যা ধরিয়ে দেবে। এরপর তিনি তাঁর দোভাষীকে বললেন, তাকে জিজ্ঞেস করো যে, তোমাদের মধ্যে তাঁর (নবুওয়াতের দাবীদার লোকটির) বংশমর্যাদা কেমন? আবু সুফিয়ান বলল, তিনি আমাদের মধ্যে অভিজাত বংশের। তারপর হিরাক্লিয়াস পুনরায় জিজ্ঞেস করল, তাঁর পূর্বপুরুষদের মধ্যে কেউ বাদশাহ ছিল কি? আবু সুফিয়ান বলল, না। হিরাক্লিয়াস জিজ্ঞেস করল, তিনি এখন যা বলছেন তার আগে কি তোমরা কখনো তাঁকে মিথ্যাচারের অপবাদ দিতে? আবু সুফিয়ান বলল, না। হিরাক্লিয়াস জিজ্ঞেস করল, নেতৃস্থানীয় ও উচ্চ সম্ভ্রান্ত লোকেরাই তাঁর অনুসরণ করছে, না দুর্বল লোকেরা। আবু সুফিয়ান বলল, দুর্বল লোকেরাই বরং তার অনুসরণ করছে। হিরাক্লিয়াস জিজ্ঞেস করল, তাঁর অনুসারীদের সংখ্যা বাড়ছে না কমছে? আবু সুফিয়ান বলল, বরং বৃদ্ধি পাচ্ছে। হিরাক্লিয়াস জিজ্ঞেস করল, উক্ত দ্বীনে প্রবেশ করার পর তাদের মধ্যে কেউ কি তার প্রতি অখুশি হয়ে তা ত্যাগ করে? আবু সুফিয়ান বলল, না। হিরাক্লিয়াস জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি কোন সময় তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করেছো? আবু সুফিয়ান বলল, হ্যাঁ। হিরাক্লিয়াস আবার জিজ্ঞেস করল, তাঁর সাথে তোমাদের যুদ্ধের ফলাফল কি? আবু সুফিয়ান বলল, তাঁর ও আমাদের মাঝে যুদ্ধের ফলাফল হলো পালাক্রমে বালতি ভরে পানি উঠানোর মতো। কখনো তিনি আমাদের থেকে পান আবার কখনো আমরা তার কাছ থেকে পাই। হিরাক্লিয়াস জিজ্ঞেস করল, তিনি কি কখনো প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন? আবু সুফিয়ান বলল, না। তবে আমরা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তার সঙ্গে এক চুক্তিতে আবদ্ধ আছি। জানি না এ সময় তিনি কি করেন। হিরাক্লিয়াস জিজ্ঞেস করল, তাঁর আগে এমন কথা আর কেউ কি বলেছে? আবু সুফিয়ান বলল, না। এরপর তিনি তাঁর দোভাষীকে বললেন, তাকে বলো, আমি তোমাকে প্রশ্ন করলাম, তোমাদের মধ্যে তাঁর বংশমর্যাদা কেমন? তুমি বললে যে, তিনি তোমাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত বংশের। রাসূলদেরকে এভাবে তাঁদের কওমের সম্ভ্রান্ত বংশেই পাঠানো হয়। আমি তোমাকে প্রশ্ন করলাম যে, তাঁর পূর্বপুরুষদের মধ্যে কেউ কি রাজা বাদশাহ ছিল? তুমি বললে, না। তাহলে আমি বলতাম, সে এমন এক ব্যক্তি যে, তাঁর পিতৃপুরুষের রাজ্য পুনরুদ্ধার করতে চায়। আমি তোমাকে তাঁর অনুসরণকারীদের সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম যে, তারা সমাজের দুর্বল লোক না সম্ভ্রান্ত উচ্চবংশীয় লোক? তুমি বললে যে, সমাজের দুর্বল লোক। এসব লোকই তো রাসূলদের অনুসারী হয়ে থাকে। আমি তোমাকে প্রশ্ন করলাম, সে এখন যা কিছু বলছে তা বলার পূর্বে তোমরা কি কখনো তার উপর মিথ্যা বলার অপবাদ দিতে পেরেছো? তুমি বললে, না। তাতে আমি বুঝলাম যে, তিনি মানুষের বেলায় মিথ্যা পরিত্যাগ করেন আর আল্লাহর ব্যাপারে মিথ্যা বলবেন এমন কখনো হতে পারে না। আমি তোমাকে প্রশ্ন করলাম, তাদের কেউ কি তাঁর দ্বীনে প্রবেশ করার পর অখুশি হয়ে তা পরিত্যাগ করে? তুমি বললে না। ঈমানের ব্যাপারটা এমনই হয়ে থাকে, যখন তার সজীবতা অন্তরে গেঁথে যায়। আমি তোমাকে প্রশ্ন করলাম যে, তাঁর দ্বীন গ্রহণকারীদের সংখ্যা বাড়ছে না কমছে? তুমি বললে, বাড়ছে। পূর্ণতা প্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত ঈমানের অবস্থা এমনই হয়। আমি তোমাকে প্রশ্ন করলাম, তোমরা কি তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করেছ? তুমি বললে যে, তোমরা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধও করেছো। কিন্তু যুদ্ধের ফলাফল হয়েছে বালতিতে করে পালাক্রমে পানি উঠানোর মতো। অর্থাৎ যুদ্ধের ফলাফল কখনো তোমাদের পক্ষে আবার কখনো তাঁর পক্ষে। এভাবেই রাসূলদের পরীক্ষা করা হয়। তবে পরিণামে তারাই বিজয়ী হন। আমি তোমাকে প্রশ্ন করলাম, তিনি কি কখনো ওয়াদা খেলাফ বা চুক্তি ভঙ্গ করেন? তুমি বললে, না- তিনি কখনো চুক্তি ভঙ্গ করেন না। রাসূলগণ কখনো চুক্তি ভঙ্গ করেন না। আমি তোমাকে প্রশ্ন করলাম, এমন কথা এর পূর্বে আর কেউ কি কখনো বলেছে? তুমি বললে, না। তাঁর পূর্বে এমন কথা আর কেউ বলে থাকলে আমি বলতাম, সে পূর্বের বলা কথারই অনুসরণ করছে। আবু সুফিয়ান বলেন, তারপর তিনি প্রশ্ন করলেন, তিনি তোমাদেরকে কী কী হুকুম করেন? আমি বললাম, তিনি আমাদেরকে সালাত আদায় করতে, যাকাত দিতে, আত্মীয়তা ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে এবং পাপ কাজ ত্যাগ করে চলতে হুকুম করেন। তিনি বললেন, তুমি যা বলছ তা যদি সঠিক হয় তাহলে নিশ্চয়ই তিনি নবী। আমি জানতাম তিনি আবির্ভূত হবেন। কিন্তু আমি এ ধারণা করিনি যে, তিনি তোমাদের মধ্য থেকে আবির্ভূত হবেন। যদি আমি বুঝতাম যে, আমি তাঁর কাছে পৌঁছতে পারবো তাহলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতাম; আর যদি আমি তাঁর নিকট থাকতাম তাহলে তাঁর পা দু’খানি ধুয়ে দিতাম। তাঁর রাজত্ব আমার পায়ের নিচের জমিন পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে। এরপর উক্তি চিঠিটি এনে তার সামনে পাঠ করা হলো। তখন উক্ত মজলিসের চতুর্দিকে হৈ চৈ শুরু হলো এবং আবু সুফিয়ান ও তার দলবলকেও বের করে দেয়া হলো। এ পরিস্থিতি দেখে আবু সুফিয়ান বলল, আবু কাবশার সন্তানের ব্যাপারটা তো বেশ বিস্তার ঘটেছে। তাকে এখন বনী আসফারদের (রোমবাসী) বাদশাহও ভয় করছে। এরপর হিরাক্লিয়াস তার একটি কক্ষে রোমের নেতৃবৃন্দকে ডেকে একত্রিত করে বললেন, হে রোমবাসীগণ! তোমরা কি স্থায়ী সফলতা ও সৎপথ চাও? তোমরা কি তোমাদের রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব কামনা করো? এ কথা শোনামাত্র সবাই পলায়নপর বন্য গর্দভের মতো প্রাণপণে দরজার দিকে ছুটে চললো। কিন্তু দরজার গোড়ায় পৌঁছে দেখলো তা আগেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন হিরাক্লিয়াস তাঁর দরবারের লোকদের নির্দেশ দিলেন, তাদেরকে ফিরিয়ে আনো। তারপর তাদেরকে ডেকে নেয়া হলে তিনি বললেন, আমি আমার এসব কথার দ্বারা তোমাদের ধর্মের প্রতি দৃঢ়তা পরীক্ষা করলাম। তোমাদের কাছে আমি যা আশা করেছিলাম তা এইমাত্র দেখলাম। এ কথা শুনে সবাই তাকে সিজদা করলো এবং খুশি হলো। (সহীহ বুখারী, হা/৭, ৪৫৫৩)]

আয়াতগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা

১. দাওয়াতের কৌশল হিসেবে বিরুদ্ধের কাছে সর্বপ্রথম তাদের সাদৃশ্যপূর্ণ বিষয় সমূহ উপস্থাপন করা উচিত।

২. আল্লাহর ইবাদাত করা এবং তার সাথে কাউকে শরীক না করার দাওয়াতটি সকল নবীর দাওয়াত।

৩. বিরুধীদের অতি বাড়াবাড়ির সময় এ বলে কেটে পড়া উচিত যে, আমি মুসলিম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন