hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের রুকনসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

লেখকঃ কতিপয় ছাত্র

১১১
কাদের জন্য সাওম ভঙ্গ করা জায়েয ও তা কাযা করতে হবে:
নিম্নোক্ত লোকদের জন্য সাওম ভঙ্গ করা জায়েয, তবে পরবর্তীতে তা কাযা করতে হবে:

১- অসুস্থ: অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রমযান মাসে সাওম ভঙ্গ করা বৈধ। যদি অসুস্থ ব্যক্তি সাওম ভঙ্গ করে আর তার অসুস্থতা এমন হয় যা সুস্থ হবে বলে আশা করা যায়, তবে সুস্থ হওয়ার পর যেসব সাওম ছুটে গেছে তা কাযা করতে হবে। আর যদি অসুস্থ ব্যক্তি বিনা কষ্টে সাওম পালন করতে পারে তবে সে সাওম পালন করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٖ فَعِدَّةٞ مِّنۡ أَيَّامٍ أُخَرَ﴾ [ البقرة : ١٨٤ ]

“তবে তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ হবে, কিংবা সফরে থাকবে, তাহলে অন্যান্য দিনে সংখ্যা পূরণ করে নেবে”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৮৪]

২- মুসাফির: কেউ সালাত কসর করা যায় এমন দূরত্ব [অধিকাংশ সাহাবী ও তাবে‘ঈ এর মত হচ্ছে যে কসরের দূরত্ব হচ্ছে চার বুর্দ। যা ইমাম মালেক, শাফে‘ঈ, আহমাদ ও তার সঙ্গীগণ, লাইস ইবন সা‘দ, আওযা‘ঈ, আসহাবুল হাদীসের ফকীহগণ এবং অনুরূপগণের মত। সেটা অনুসারে ৪ বুর্দ হচ্ছে, ১৬ ফার্লং। সুতরাং চার বুর্দ হচ্ছে: ৪×১৬=৪৮ মাইল। আর এক মাইল হচ্ছে ১৭৪৮ মিটার। আল্লাহ ভালো জানেন। এ বিষয়ে আরও মতামত রয়েছে। কেউ বেশি জানতে চাইলে তার নির্দিষ্ট স্থানে দেখতে পারে। তবে একদিন একরাত্রির সফর হিসেবে নির্ধারণ করাই বেশি উপযুক্ত মত। সেটা পায়ে হাটার সফরই হোক বা বিমানের সফরই হোক।] পরিমাণ সফর করলে তার জন্য সাওম ভঙ্গ করা জায়েয। তবে সফর শেষে এসব সাওম কাযা করা ফরয। আর সফর যদি কষ্টকর না হয়, সেক্ষেত্রে সাওম ভঙ্গ না করাই উত্তম। পক্ষান্তরে সফর কষ্টকর হলে তার জন্য সাওম ভঙ্গ করা উত্তম। কেননা নিম্নোক্ত হাদীসে এটি প্রমাণ হয়: আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«كُنَّا نَغْزُو مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ، فَمِنَّا الصَّائِمُ وَمِنَّا الْمُفْطِرُ، فَلَا يَجِدُ الصَّائِمُ عَلَى الْمُفْطِرِ، وَلَا الْمُفْطِرُ عَلَى الصَّائِمِ، يَرَوْنَ أَنَّ مَنْ وَجَدَ قُوَّةً فَصَامَ، فَإِنَّ ذَلِكَ حَسَنٌ وَيَرَوْنَ أَنَّ مَنْ وَجَدَ ضَعْفًا، فَأَفْطَرَ فَإِنَّ ذَلِكَ حَسَنٌ»

“রমযান মাসে আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ষুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতাম। এ সময় আমাদের কেউ সাওম পালন করেছেন, আবার কেউ সাওম ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু সাওম পালনকারী সাওম ভঙ্গকারীকে খারাপ মনে করতেন না আবার সাওম ভঙ্গকারীও সাওম পালনকারীকে খারাপ মনে করতেন না। তারা মনে করতেন, যার সামর্থ্য আছে সে-ই সাওম পালন করছে, এটিই তার জন্য উত্তম। আর যে দুর্বল সে সাওম ছেড়ে দিয়েছে, এটিও তার জন্য উত্তম”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১১৬।]

৩- গর্ভবতী ও দুগ্ধপানকারী:

গর্ভাবস্থা অথবা দুগ্ধদান অবস্থায় নারী যদি তার নিজের ক্ষতির আশঙ্কা করে অথবা তার সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা করে অথবা তার নিজের ও সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা করে তবে তার জন্য সাওম ভঙ্গ করা বৈধ হবে। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إِنَّ اللهَ وَضَعَ عَنِ الْمُسَافِرِ الصَّوْمَ، وَشَطْرَ الصَّلَاةِ، وَعَنِ الْحُبْلَى وَالْمُرْضِعِ الصَّوْمَ »

“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা মুসাফির ব্যক্তির ওপর থেকে সাওম ও সালাতের একাংশ উঠিয়ে নিয়েছেন। আর গর্ভধারী ও দুগ্ধদানকারী নারীর ওপর থেকে তিনি সাওম উঠিয়ে নিয়েছেন”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১৬৬৭।আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।]

উপরোক্ত তিন অবস্থায় ওযর শেষ হলে তাকে ক্বাযা করতে হবে অসুস্থ ব্যক্তির মতো। কিন্তু নিজের ক্ষতির কোনো ভয় না থাকে, শুধু বাচ্চার ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তাহলে সে অবস্থায় তাকে কাযা করার সাথে ফিদিয়া তথা প্রতিদিনের সাওমের পরিবর্তে একজন মিসকীনকে এক মুদ্দ পরিমাণ খাদ্যদান করতে হবে। এতে তার সাওম পরিপূর্ণ হবে এবং অত্যধিক সাওয়াব পাওয়া যাবে। গর্ভধারী ও দুগ্ধদানকারী নারী সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে সাওম ভঙ্গ করলে সাওম কাযার পাশাপাশি ফিদিয়া আদায় করতে হবে বলে ইবন আব্বাস, ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা, শাফে‘ঈ, আহমদ রহ. এ মত ব্যক্ত করেছেন। ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেছেন, শুধু ক্বাযা করলেই হবে, ফিদিয়া দিতে হবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন