hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের রুকনসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

লেখকঃ কতিপয় ছাত্র

৪৪
সালাতে যেসব কাজ করা জায়েয:
সালাতে মুসল্লীর জন্য কিছু কাজ করা বৈধ, সেগুলো হলো:

১- সালাতে ইমাম কিরাত ভুলে গেলে তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া ও কিরাত শুরু করা।

আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার সালাত আদায় করতে কিরাত ভুলে যান। ফলে তিনি সালাত শেষ করে আমাকে বললেন,

«أَشَهِدْتَ مَعَنَا؟ » قَالَ : نَعَمْ، قَالَ : فَمَا مَنَعَكَ أَنْ تَفْتَحَهَا عَلَيَّ؟ »

“তুমি কি আমাদের সাথে সালাত আদায় কর নি? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে আমাকে ভুলে যাওয়া কিরাত স্মরণ করিয়ে দিতে তোমাকে কে নিষেধ করেছে?” [ইবন হিব্বান, হাদীস নং ২২৪২। শু‘আইব আরনাউত হাদীসের সনদটিকে সহীহ বলেছেন।]

২- সালাতে কোনো প্রয়োজন দেখা দিলে যেমন, ইমাম ভুল করলে তাকে সতর্ক করা বা অন্ধকে পথ দেখানো ইত্যাদির ক্ষেত্রে পুরুষ তাসবীহ বলবে আর মেয়েলোক হাতে তালি দিবে। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ نَابَهُ شَيْءٌ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَقُلْ : سُبْحَانَ اللَّهِ، فإنَّمَا التَّصْفِيق لِلنِّسَاءِ»

“কারো সালাতের মধ্যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে যেন ‘সুবহানাল্লাহ’ বলে। হাততালি তো মেয়েদের জন্য।”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১২১৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪২১।]

৩- সাপ, বিচ্ছু ও ক্ষতিকর প্রাণি হত্যা করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«اقْتُلُوا الْأَسْوَدَيْنِ فِي الصَّلَاةِ : الْحَيَّةَ، وَالْعَقْرَبَ» [ اقْتُلُوا الْأَسْوَدَيْنِ মূলত সাপ ও বিচ্ছুকে বুঝায়। الأسود দ্বারা সাপকেই বুঝানো হয়।]

“কষ্টদায়ক দু’ কালো বস্তুকে তোমরা সালাতরত অবস্থায়ও হত্যা করবে: আর তা হচ্ছে, সাপ ও বিচ্ছু”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৯২১।আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। তিরমিযী, হাদীস নং ৩৯০। তিনি হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।]

৪- কেউ সালাতের সামনে দিয়ে হেঁটে গেলে তাকে বাঁধা দেওয়া। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ إِلَى شَيْءٍ يَسْتُرُهُ مِنَ النَّاسِ فَأَرَادَ أَحَدٌ أَنْ يَجْتَازَ بَيْنَ يَدَيْهِ فَلْيَدْفَعْ فِي نَحْرِهِ فَإِنْ أَبَى فَلْيُقَاتِلْهُ فَإِنَّمَا هُوَ الشَّيْطَانُ»

“তোমাদের মধ্যে কোনো ব্যক্তি যখন কোনো বস্তু মানুষদের থেকে সুতরা হিসেবে সামনে রেখে সালাতরত হয়, তখন যদি কোনো ব্যক্তি তার সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করতে চায়, তবে সে যেন তাকে ইশারায় বাধা দেয়। অতিক্রমকারী যদি ইশারার প্রতি ভ্রূক্ষেপ না করে তবে সে যেন তার সাথে যুদ্ধ করে। কেননা সে একটা শয়তান”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৭০০।আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

৫- কেউ ডাকলে বা সালাম দিলে ইশারা দিয়ে তার উত্তর দেওয়া। জাবির রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী মুস্তালিক গোত্রের দিকে যাওয়ার সময় আমাকে কোনো এক কাজে পাঠিয়েছিলেন। আমি এসে দেখি তিনি তাঁর উটের উপর সালাত আদায় করছেন। আমি ঐ অবস্থায়ই তাঁর সাথে কথা বললাম। হাত দ্বারা (চুপ করতে) ইশারা করলেন। বর্ণনাকারী যুহাইর রহ. এ সময় তাঁর হাত দ্বারা ইশারা করে দেখালেন, আমি আবার কথা বললাম। আবার এরূপ ইশারা করলেন। বর্ণনাকারী যুহাইর রহ. এবারও তাঁর হাত দ্বারা মাটির দিকে ইশারা করে দেখালেন। তখন আমি তার কুরআন তিলাওয়াত শুনছিলাম। মাথায় ইশারা করে রুকু সাজদাহ করছিলেন। তারপর সালাত শেষ করে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন,

«مَا فَعَلْتَ فِي الَّذِي أَرْسَلْتُكَ لَهُ؟ فَإِنَّهُ لَمْ يَمْنَعْنِي أَنْ أُكَلِّمَكَ إِلَّا أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي»

“আমি যে কাজে তোমাকে পাঠিয়েছিলাম, তার কী করেছ? আমি সালাত আদায় করছিলাম বলে তোমার কথার উত্তর দিতে পারি নি”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৪০।]

ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু সুহাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,

«مَرَرْتُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يُصَلِّي، فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ، فَرَدَّ إِشَارَةً»، قَالَ : «وَلَا أَعْلَمُهُ إِلَّا قَالَ إِشَارَةً بِأُصْبُعِهِ»

“একবার আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খিদমতে হাযির হয়ে তাঁকে সালাতরত অবস্থায় দেখতে পাই। আমি তাঁকে সালাম দেই। এ সময় তিনি আঙ্গুলের ইশারায় এর জবাব দেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৯২৫।আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

অতএব, এসব হাদীস দ্বারা প্রমাণ হয় যে, কেউ ডাকলে বা সালামের জবাব দিতে হলে পুরো হাত দ্বারা বা মাথা নেড়ে বা আঙ্গুলের ইশারায় জবাব দেওয়া যায়।

৬- বাচ্চা বহন করা বা মুসল্লির সাথে মিশিয়ে নেওয়া জায়েয। আবু কাতাদা আনসারী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَؤُمُّ النَّاسَ وَأُمَامَةُ بِنْتُ أَبِي الْعَاصِ وَهِيَ ابْنَةُ زَيْنَبَ بِنْتُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَاتِقِهِ، فَإِذَا رَكَعَ وَضَعَهَا، وَإِذَا رَفَعَ مِنَ السُّجُودِ أَعَادَهَا»

“আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি সালাতে লোকদের ইমামতি করছেন আর তাঁর নাতনী উমামা বিনত আবিল ‘আস অর্থাৎ রাসূলের কন্যা যায়নাব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার কন্যা তার কাঁধে উঠে আছে। তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রুকুতে যাচ্ছেন তখন তাকে (কাঁধ থেকে) নামিয়ে রাখছেন, আবার সাজদাহ থেকে উঠার পর পুনরায় কাঁধে উঠিয়ে নিচ্ছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৪৩।]

৭- প্রয়োজনে সামান্য হাঁটা। ‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ أَحْمَدُ - يُصَلِّي وَالْبَابُ عَلَيْهِ مُغْلَقٌ، فَجِئْتُ فَاسْتَفْتَحْتُ - قَالَ أَحْمَدُ : - فَمَشَى فَفَتَحَ لِي، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى مُصَلَّاهُ، وَذَكَرَ أَنَّ الْبَابَ كَانَ فِي الْقِبْلَةِ»

“একবার রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরের দরজা বন্ধ করে সালাত আদায় করছিলেন। এ সময় আমি এসে দরজা খুলতে চাইলে তিনি দরজা খুলে দিয়ে পুনরায় সালাতরত হন। হাদীসে আরও উল্লেখ আছে যে, দরজাটি কিবলামুখী ছিল”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৯২২।আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। মুসনাদ আহমদ, হাদীস নং ২৪০২৭, শু‘আইব আরনাউত হাদীসের সনদটিকে হাসান বলেছেন।]

৮- সামান্য কাজ করা, যেমন কাতার সোজা করার জন্য বা কাতার ঠিক করার জন্য সামনে, পিছনে, ডানে বা বামে সামান্য নড়াচড়া করা ও চলা বা মুসল্লীকে বা পাশ থেকে ডান পাশে নিয়ে আসা বা কাপড় ঠিক করা, কাশি দেওয়া, শরীর চুলকানো, হাই তোলার সময় মুখের উপর হাত রাখা ইত্যাদি ছোট খাটো কাজ করা জায়েয। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,

«بِتُّ عِنْدَ خَالَتِي ميمونة، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ، فَقُمْتُ أُصَلِّي مَعَهُ، فَقُمْتُ عَنْ يَسَارِهِ، فَأَخَذَ بِرَأْسِي، فَأَقَامَنِي عَنْ يَمِينِهِ»

“একরাতে আমি আমার খালা মাইমুনা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার ঘরে রাত যাপন করি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে সালাত আদায় করতে দাঁড়ালেন। আমিও তাঁর সঙ্গে সালাত আদায় করতে তাঁর বাম পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তখন তিনি আমার পিছন দিয়ে মাথায় ধরে আমাকে তাঁর ডান পাশে এনে দাঁড় করালেন”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬৯৯।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন