মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কালেমা শাহাদাহ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ এর বিপরীত হচ্ছে আল্লাহকে অস্বীকার করা ও তাঁর সাথে শির্ক করা। এ সবের অনেক ধরণ আছে। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো:
প্রথমত: আল্লাহ ব্যতীত অন্য কেউ সৃষ্টি করেছে বা রিযিক দান করে বা জীবন মৃত্যু দান করে বা মহাবিশ্ব পরিচালনা করে বা তাঁর সাথে এসব কাজে শরীক আছে ইত্যাদি দাবী করা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর বিপরীত কাজ।
“বলুন, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ মনে করতে তাদেরকে আহ্বান কর। তারা আসমানসমূহ ও জমিনের মধ্যে অণু পরিমাণ কোনো কিছুর মালিক নয়। আর এ দু’য়ের মধ্যে তাদের কোনো অংশীদারিত্ব নেই এবং তাদের মধ্য থেকে কেউ তাঁর সাহায্যকারীও নয়”। [সূরা সাবা, আয়াত: ২২]
“সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সৃষ্টি করেছেন আসমান ও জমিন এবং সৃষ্টি করেছেন অন্ধকার ও আলো। তারপর কাফিররা তাদের রবের সমতুল্য স্থির করে”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১]
“বলুন, ‘আসমানসমূহ ও জমিনের রব কে’? বলুন, ‘আল্লাহ’। আপনি বলুন, ‘তোমরা কি তাঁকে ছাড়া এমন কিছুকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেছ, যারা তাদের নিজদের কোনো উপকার অথবা অপকারের মালিক নয়? বলুন, ‘অন্ধ ও দৃষ্টিমান ব্যক্তি কি সমান হতে পারে? নাকি অন্ধকার ও আলো সমান হতে পারে? নাকি তারা আল্লাহর জন্য এমন কতগুলো শরীক নির্ধারণ করেছে, যেগুলো তাঁর সৃষ্টির তুল্য কিছু সৃষ্টি করেছে, ফলে তাদের নিকট সৃষ্টির বিষয়টি একরকম মনে হয়েছে’? বলুন, ‘আল্লাহই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনি এক, একচ্ছত্র ক্ষমতাধর”। [সূরা আর-রা‘আদ, আয়াত: ১৬]
আল্লাহকে রব হিসেবে মেনে নেওয়ার ব্যাপ্যারটি সমস্ত জাতিই স্বীকার করত; বিশেষ করে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার যেসব মুশরিকদের মধ্যে প্রেরিত হয়েছিলেন তারাও আল্লাহকে রব হিসেবে স্বীকার করত। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“বলুন, ‘আসমান ও জমিন থেকে কে তোমাদের রিযিক দেন? অথবা কে (তোমাদের) শ্রবণ ও দৃষ্টিসমূহের মালিক? আর কে মৃত থেকে জীবিতকে বের করেন আর জীবিত থেকে মৃতকে বের করেন? কে সব বিষয় পরিচালনা করেন’? তখন তারা অবশ্যই বলবে, ‘আল্লাহ’। সুতরাং, আপনি বলুন, ‘তারপরও কি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না?” [সূরা ইউনুস, আয়াত: ৩১]
কিন্তু এতদসত্বেও তারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর সাক্ষ্য দিত না। তাদের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“তাদেরকে যখন বলা হত, ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই’, তখন নিশ্চয় তারা অহঙ্কার করত। আর বলত, ‘আমরা কি এক পাগল কবির জন্য আমাদের উপাস্যদের ছেড়ে দেব?” [সূরা আস-সাফফাত, আয়াত: ৩৫-৩৬]
“সে কি সকল উপাস্যকে এক ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে? নিশ্চয় এ তো এক আশ্চর্য বিষয়!” [সূরা সদ, আয়াত: ৫]
এতে বুঝা গেল যে, আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় পূর্ববর্তী আয়াতসমূহে বর্ণিত তাদের পক্ষ থেকে আল্লাহকে রব হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান তাদের ঈমানের ক্ষেত্রে কোনো কাজে আসে নি। তাহলে যারা একদম আল্লাহকে রব হিসেবেও মানে না তাদের কি অবস্থা এবার ভেবে দেখুন।
দ্বিতীয়ত: আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য যে কোনো ধরণের ইবাদত করা।
আর ইবাদত হচ্ছে এমন একটি সার্বিক নাম, যা এমন সকল প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য কথাবার্তা ও কাজকর্মকে অন্তর্ভুক্ত করে, যেগুলো আল্লাহ ভালোবাসেন ও তাতে তিনি সন্তুষ্ট থাকেন এবং এগুলো তিনি ব্যতীত কারো জন্য করা জায়েয নেই।। যেমন, জবাই, মানত, সাজদাহ, ভয়, আশা, ভালোবাসা, সাহায্য চাওয়া ও আশ্রয় প্রার্থনা করা ইত্যাদি। এ ব্যাপারে অনেক দলীল রয়েছে। যেমন,
“হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত কর, যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদেরকে, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২১]
“তোমরা ইবাদত কর আল্লাহর, তাঁর সাথে কোনো কিছুকে শরীক করো না। আর সদ্ব্যবহার কর মাতা-পিতার সাথে, নিকট আত্মীয়ের সাথে, ইয়াতীম, মিসকীন, নিকট আত্মীয়- প্রতিবেশি, অনাত্মীয়- প্রতিবেশি, পার্শ্ববর্তী সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীদের সাথে। নিশ্চয় আল্লাহ পছন্দ করেন না তাদেরকে যারা দাম্ভিক, অহঙ্কারী”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৩৬]
“তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কাউকে ডাকে, যে কিয়ামত দিবস পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না? আর তারা তাদের আহ্বান সম্পর্কে উদাসীন। আর যখন মানুষকে একত্র করা হবে, তখন এ উপাস্যগুলো তাদের শত্রু হবে এবং তারা তাদের ইবাদাত অস্বীকার করবে”। [সূরা আল-আহকাফ, আয়াত: ৫-৬]
“বলুন, ‘তোমাদের সাক্ষীদেরকে নিয়ে আস, যারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ এটি হারাম করেছেন’। অতএব, যদি তারা সাক্ষ্য দেয়, তবে তুমি তাদের সাথে সাক্ষ্য দিয়ো না। আর তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, যারা আমার আয়াতসমূহে মিথ্যারোপ করে, যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না এবং যারা তাদের রবের সমকক্ষ নির্ধারণ করে”। [সূরা আল-আন‘আম, আয়াত: ১৫০]
“আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে, যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তাদেরকে আল্লাহকে ভালোবাসার মতো ভালোবাসে। আর যারা ঈমান এনেছে, তারা আল্লাহর জন্য ভালোবাসায় দৃঢ়তর। আর যদি যালিমগণ দেখে- যখন তারা ‘আযাব দেখবে যে, নিশ্চয় সকল শক্তি আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আল্লাহ ‘আযাব দানে কঠোর”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৬৫]
««مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللَّهِ فَقَدْ كفر أو أَشْرَكَ»
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কসম খেল, সে অবশ্যই (আল্লাহর সঙ্গে) কুফরি করল বা শির্ক করল”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩২৫১, আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
চতুর্থত: আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য তাঁর ও সৃষ্টির মাঝে অসীলা ও মাধ্যম তালাশ করা, এ ধারণা পোষণ করা যে, তারা তাঁকে আল্লাহর নৈকট্য লাভে সাহায্য করবে ও তাদের জন্য সুপারিশ করবে। এ কথার দলীল,
“জেনে রেখ, আল্লাহর জন্যই বিশুদ্ধ ইবাদাত-আনুগত্য। আর যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে তারা বলে, ‘আমরা কেবল এজন্যই তাদের ‘ইবাদাত করি যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে।’ যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে আল্লাহ নিশ্চয় সে ব্যাপারে তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন। যে মিথ্যাবাদী কাফির, নিশ্চয় আল্লাহ তাকে হিদায়াত দেন না”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৩]
“আর তারা আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুর ইবাদত করছে, যা তাদের ক্ষতি করতে পারে না এবং উপকারও করতে পারে না। আর তারা বলে, ‘এরা আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশকারী’। বল, ‘তোমরা কি আল্লাহকে আসমানসমূহ ও জমিনে থাকা এমন বিষয়ে সংবাদ দিচ্ছ যা তিনি অবগত নন? তিনি পবিত্র মহান এবং তারা যা শরীক করে, তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে”। [সূরা ইউনুস, আয়াত: ১৮]
পঞ্চমত: আল্লাহর শরী‘আত ব্যতীত অন্য কোনো বিধান দ্বারা সমাজ ও দেশ পরিচালনা করা। এ সম্পর্কে দলীল হচ্ছে:
“তুমি কি তাদেরকে দেখ নি, যারা দাবী করে যে, নিশ্চয় তারা ঈমান এনেছে তার ওপর, যা নাযিল করা হয়েছে তোমার প্রতি এবং যা নাযিল করা হয়েছে তোমার পূর্বে। তারা তাগূতের কাছে বিচার নিয়ে যেতে চায় অথচ তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে অস্বীকার করতে। আর শয়তান চায় তাদেরকে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত করতে”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৬০]
“আর তাদের মধ্যে তার মাধ্যমে ফয়সালা কর, যা আল্লাহ নাযিল করেছেন এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক যে, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তার কিছু থেকে তারা তোমাকে বিচ্যুত করবে। অতঃপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রাখ যে, আল্লাহ তো কেবল তাদেরকে তাদের কিছু পাপের কারণেই ‘আযাব দিতে চান। আর মানুষের অনেকেই ফাসিক। তারা কি তবে জাহেলিয়্যাতের বিধান চায়? আর নিশ্চিত বিশ্বাসী কওমের জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক উত্তম? হে মুমিনগণ, ইয়াহূদী ও নাসারাদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম কওমকে হিদায়াত দেন না”। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৪৯-৫১]
এ সব ঈমান ও কালেমাবিরোধী কাজ কোনো কোনো মানুষের মাঝে একত্রে সব পাওয়া যেতে পারে, আবার কারো মধ্যে আংশিক পাওয়া যেতে পারে।
বস্তুত: কালেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর সাক্ষ্য সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম কাজ যা সকল নবী রাসূল করেছেন। রাসূলগণের এ দাওয়াত বহুবার উচ্চারিত হয়েছে। সকলেরই একই দাওয়াত ছিল।
“তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর। তিনি ছাড়া তোমাদের কোনো (সত্য) ইলাহ নেই”। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৫৮]
এ ধরণের একই দাওয়াত কুরআনে বহু জায়গায় উল্লেখ হয়েছে। এ দাওয়াতের জন্যই আল্লাহ তা‘আলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবুওয়াত দিয়ে প্রেরণ করেছেন। তিনি এ দাওয়াত প্রচারে আপ্রাণ চেষ্টা ও পরিশ্রম করেছেন। তাঁর জীবনীই এ সবের জীবন্ত সাক্ষ্য। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“আমি লোকদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জন্য প্রেরিত হয়েছি, যতক্ষণ না তারা কেবল আল্লাহর ইবাদত করে, যার কোনো শরীক নেই। আর তীরের ছায়ায় আমার রিযিক নির্ধারণ করা হয়েছে এবং যে আমার বিরুদ্ধাচারণ করে তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনা-বঞ্চনা।”। [মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ৫১১৪। আল্লামা শু‘আইব আরনাউত বলেছেন, হাদীসের সনদটি দ‘য়ীফ। তবে এ হাদীসে অনেকগুলো সহীহ শাহেদ আছে, সে ভিত্তিতে হাদীসটি হাসান পর্যায়ে উন্নীত হয়।]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,
“আমি লোকদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাবার জন্য আদিষ্ট হয়েছে, যতক্ষণ না তারা সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ্ নেই ও মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর রাসূল, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়। তারা যদি এ কাজগুলো করে, তবে আমার পক্ষ থেকে তাদের জান ও মালের ব্যাপারে নিরাপত্তা লাভ করল। অবশ্য ইসলামের বিধান অনুযায়ী যদি কোনো কারণ থাকে, তাহলে স্বতন্ত্র কথা। আর তাদের হিসাবের ভার আল্লাহর ওপর ন্যস্ত।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২০।]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দাওয়াত দিতে অনেকের কাছে দূত ও পত্র প্রেরণ করেছেন। যেমন, মু‘আয ইবন জাবাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর ইয়ামেনে প্রেরণের ঘটনা উল্লেখযোগ্য। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“তুমি আহলে কিতাব সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছ তাদের সাথে সাক্ষাৎ হলে এ কথার আহ্বান জানাবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। যদি তারা তা মেনে নেয় তাহলে তাদের জানিয়ে দেবে দিনে এবং রাতে আল্লাহ তাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্তের সালাত ফরয করেছেন। যদি তারা তা মেনে নেয়, তাহলে তাদের জানিয়ে দেবে যে, আল্লাহ তাদের ওপর যাকাত ফরয করেছেন। ধনীদের থেকে তা আদায় করা হবে এবং তাদের দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করা হবে। তারা এ কথাটি মেনে নিলে, সাবধান! যাকাত হিসেবে তুমি তাদের থেকে বাছাই করে উত্তমগুলো নিবে না। আর মযলুমের (বদ) দো‘আ থেকে সাবধান! কেননা আল্লাহর ও মযলুমের দো‘আর মধ্যে কোনো অন্তরায় নেই।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪৫৮; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯।]
কালেমা শাহাদাহ ‘লা ইলালা ইল্লাল্লাহ’ যেমন বান্দার ঈমানের প্রথম শর্ত তেমনি তা তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সময়েরও দাবী। হাদীসে এসেছে, আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ» .
“তোমাদের মধ্যে যাদের মৃত্যু অত্যাসন্ন তাকে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এ কালেমা তালকীন (স্মরণ) করতে থাক”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯১৬।]
অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তির সর্বশেষ কথা হবে “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ ব্যতীত হক্ব কোনো মা‘বুদ নেই), সে জান্নাতে প্রবেশ করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৩১১৬। আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
এ কালেমার জন্যই আল্লাহ জিহাদ, দাওয়াত, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ করা ফরয করেছেন। এ কালেমার কারণেই মানুষ দু্ই শ্রেণীতে বিভক্ত। একদল আহলে ঈমান; তারা জান্নাতী। আর অন্যদল আহলে কুফর; তারা হতভাগা জাহান্নামী।
যারা এ কালেমাকে জীবনে প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে, এ কালেমার দাবী প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে রয়েছে পূর্ণ নিরাপত্তা, সঠিক হিদায়াত ও সফলতা। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা এমন ব্যক্তির প্রতি জাহান্নাম হারাম করে দিয়েছেন, যে আল্লাহর সন্তোষ লাভের আশায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (আল্লাহ ব্যতীত হক্ব কোনো ইলাহ নেই) বলে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫২৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৩।]
এ কালেমা দুনিয়া ও আখিরাতে নাজাতের একমাত্র উৎস, অদ্বিতীয় উপায়। এটি সর্বোত্তম যিকির ও সর্বশ্রেষ্ঠ অসীলা। আমরা আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি যে, তিনি যেন আমাদেরকে ও আমাদের অন্যান্য মুসলিম ভাইদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন যারা এ কালেমার হাকীকত বুঝতে পেরেছেন, সে অনুযায়ী আমল করেছেন এবং কথা কাজে তারা একনিষ্ঠ ছিলেন। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও দো‘আ কবুলকারী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/15/9
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।