hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের রুকনসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

লেখকঃ কতিপয় ছাত্র

১৪৬
৪- ঈদের দিনে করণীয়:
যিলহজ মাসের দশ তারিখ করণীয় কাজসমূহ:

১- মুযদালিফা থেকে মিনায় পৌঁছার পর জামরায়ে আকাবায় কঙ্কর মারার জন্য সাতটি কঙ্কর খোঁজে নিবে। যা মুযদালিফা থেকে নেওয়া যাবে অথবা পথ থেকেও নিতে পারবে। কঙ্করগুলো মটরশুঁটির চেয়ে একটু বড় হবে। অতঃপর যখন মিনায় পৌছবে তখন বড় জামরা, যা সর্বশেষ জামরা এবং মক্কার কাছাকাছি, সেটাকে লক্ষ্য করে সাতটি কঙ্কর মারবে। একটির পর একটি বিরতিহীনভাবে মারবে। প্রতিটি কঙ্করের সাথে হাত উঠাবে ও আল্লাহু আকবর বলে তাকবির দেবে। কঙ্কর নিক্ষেপে জামরার খুঁটিতে লাগানো শর্ত নয়; বরং খুটির চারপাশের গর্তে ফেললেই হবে। কেউ খুঁটিতে মারল কিন্তু গর্তে পড়ল না তখন সে কঙ্করের পরিবর্তে অন্য একটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে। খুঁটিতে স্পর্শ না করেও যদি হাউজের মধ্যে পড়ে তাহলে সেটা যথেষ্ট হবে।

২- দশ তারিখ মধ্যরাত থেকে জামরা আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপ করার সময় শুরু হয় এবং সেদিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময় থাকে।

৩- জামরায় আকাবায় কঙ্কর নিক্ষেপ শেষে হাদী যবেহ করবে, যদি হাদী যবেহ করা আবশ্যক হয়ে থাকে। তামাত্তু ও কারিন হজ পালনকারীর ওপর হাদী যবেহ করা আবশ্যক।

৪- ঈদের দিন সূর্যোদয়ের পর থেকে তেরো তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত যবেহ করার সময়। অর্থাৎ ঈদের দিন ও তারপরের তিনদিন দিনে বা রাতে যে কোনো সময় যবেহ করা জায়েয। তবে দিনে যবেহ করা উত্তম। এছাড়া মিনা বা মক্কার যেকোনো স্থানে যবেহ করা জায়েয। যদিও মিনায় যবেহ করা উত্তম; তবে মক্কায় যবেহ করলে যদি আলাদা কোনো উপকার ও সুবিধা থাকে তাহলে সেখানে যবেহ করা ভালো। হাজীর জন্য মুস্তাহাব হলো হাদীর গোশত নিজে খাওয়া, অন্যকে খাওয়ানো ও দান সদকা করা।

৫- হাদী যবেহ করার পরে মাথার চুল মুণ্ডাবে বা ছোট করবে। তবে চুল মুণ্ডানো উত্তম। আর মহিলারা চুলের বেণী থেকে এক আঙ্গুলের প্রথম কড় পরিমাণ চুল কেটে ফেলবে।

৬- জামরা আকাবার দিন কঙ্কর নিক্ষেপ ও মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করার মাধ্যমে ইহরাম থেকে প্রাথমিকভাবে নিষেধাজ্ঞামুক্ত হয়ে যাবে। তখন তার জন্য স্বাভাবিক কাপড় পরিধান, সুগন্ধি ব্যবহার, চুল কাটা, নখ কাটা ইত্যাদি জায়েয। তবে এ সময় স্বামী-স্ত্রীর মিলন হালাল হবে না, যতক্ষণ তাওয়াফে ইফাদা এবং সাফা ও মারওয়ায় সা‘ঈ না করবে (তামাত্তু হজকারী হলে), অনুরূপ অন্য হজকারীর জন্যও, যদি ইতোপূর্বে তাওয়াফে কূদুমের সাথে সা‘ঈ না করে থাকে।

৭- কঙ্কর নিক্ষেপ, হাদী যবেহ, মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করা শেষে সম্ভব হলে সেদিন হাজী মক্কায় ফিরে যাবে ও তাওয়াফে ইফাদা তথা হজ্বের ফরয তাওয়াফ সম্পন্ন করবে। তামাত্তু হজকারী হলে সাফা-মারওয়ার সা‘ঈও করবে। তামাত্তু‘ হজকারী না হলেও সাফা-মারওয়ার সা‘ঈ করবে যদি তাওয়াফে কুদূমের সাথে সা‘ঈ করে না থাকে। ঈদের দিনে তাওয়াফে ইফাদা ও সা‘ঈ করা উত্তম। ঈদের দিনের পরে করলেও কোনো অসুবিধে নেই।

৮- দশ তারিখ মধ্যরাত থেকে তাওয়াফে ইফাদার সময় শুরু হয় এবং এর কোনো শেষসীমা নেই। তবে আইয়ামে তাশরিকের মধ্যে সম্পন্ন করা উত্তম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন