মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
“তোমাদের কারো পক্ষে বা তোমাদের পক্ষে সম্ভব হলে নিজেদের সচরাচর পরিধেয় বস্ত্র ছাড়া-জুমু‘আর সালাতের জন্য পৃথক দুইটি কাপড়ের ব্যবস্থা করে নেবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১০৭৮। আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। ইবন মাজাহ, হাদীস নং ১০৯৬। আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমু‘আর মর্যাদা সম্পর্কে বলেছেন,
“প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য হলো জুমু‘আর দিনে মিসওয়াক করা, গোসল করা ও সুগন্ধি ব্যবহার করা (নিজের না থাকলেও) তার স্ত্রীর সুগন্ধি থেকে হলেও”। [মুসনাদ বাযযার, হাদীস নং ৪১৭১। হাদীসটি সহীহ।]
“যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন জানাবাত গোসলের (ফরয গোসল) ন্যায় গোসল করে এবং সালাতের জন্য আগমন করে সে যেন, একটি উট নৈকট্যের জন্য পেশ করল। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন, একটি গাভী নৈকট্যের জন্য পেশ করল। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা নৈকট্যের জন্য পেশ করল। চতুর্থ পর্যায়ে আগমন করল সে যেন একটি মুরগী নৈকট্যের জন্য পেশ করল। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করল সে যেন, একটি ডিম নৈকট্যের জন্য পেশ করল। পরে ইমাম যখন খুৎবা প্রদানের জন্য বের হন তখন ফিরিশতাগণ যিকির শোনার জন্য হাযির হয়ে যান (তখন আর কারও নাম লিখেন না)”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৮১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৫০।]
৩- ইমাম মিম্বারে উপবিষ্ট হওয়ার আগে নফল সালাত আদায় করা। তবে ইমাম যখন খুৎবা দেওয়ার জন্য মিম্বারে উপবিষ্ট হবেন তখন নীরবে শুধু ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ এর দু রাকা‘আত সালাত আদায় করে বসে পড়বে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন গোসল করে এবং যথাসাধ্য উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে ও নিজের তেল থেকে ব্যবহার করে বা নিজ ঘরের সুগন্ধি ব্যবহার করে এরপর বের হয় এবং দু‘জন লোকের মাঝে বিচ্ছিন্ন না করে, তারপর তার নির্ধারিত সালাত আদায় করে এবং ইমামের খুৎবা দেওয়ার সময় চুপ থাকে, তাহলে উক্ত জুমু‘আ থেকে পরের জুমু‘আ পর্যন্ত তার যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়, যতক্ষণ না সে কবীরা গুনাহে লিপ্ত হয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৮৩।]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,
“তোমাদের কেউ জুমু‘আর দিনে মসজিদে আসার পর ইমামকে খুৎবারত অবস্থায় পেলে সে যেন দু’ রাকা‘আত সালাত (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) পড়ে নেয়, তবে সে যেন উক্ত রাকা‘আতদ্বয় সংক্ষেপে আদায় করে।”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৭৫।]
৪- লোকের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে যাওয়া ও দু‘জন লোকের মাঝে বিচ্ছিন্ন করা মাকরূহ। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের খুতবারত অবস্থায় এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করলো। সে লোকের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের দিকে যাচ্ছিলো। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন,
“এবং দু‘জন লোকের মাঝে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি না করে বসে পড়ে... তাহলে উক্ত জুমু‘আ থেকে পরের জুমু‘আ পর্যন্ত তার যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৮৩।]
৫- ইমাম খুৎবার জন্য বের হলে কথাবার্তা বন্ধ রাখা ও পাথরের টুকরা বা অন্য কোনো কিছু হাতে নিয়ে অনর্থক নড়াচড়া না করা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করার পর জুমু‘আর সালাতে এলো, নীরবে মনোযোগ সহকারেখুৎবা (আলোচনা) শুনলো, তার পরবর্তী জুমু‘আ পর্যন্ত এবং আরও অতিরিক্ত তিন দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি কঙ্কর স্পর্শ করলো সে অনর্থক কাজ করলো”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৫৭।]
৬- জুমু‘আর আযান হলে বেচা কেনা করা হারাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
“হে মুমিনগণ, যখন জুমু‘আর দিনে সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে”। [সূরা আল-জুমু‘আ, আয়াত: ৯]
৭- জুমু‘আর দিনে ও রাতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি বেশি বেশি সালাত ও সালাম পেশ করা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“তোমরা জুমু‘আর দিনে আমার প্রতি বেশি বেশি সালাত পেশ করো; কেননা যে কেউ আমার প্রতি জুমু‘আর দিনে সালাত পেশ করবে তার সেটা আমার কাছে পেশ করা হয়”। [মুসতাদরাক লিলহাকিম, হাদীস নং ৩৫৭৭। ইমাম হাকিম বলেন, হাদীসের সনদটি সহীহ। সনদের আবু রাফি হলো ইসমাইল ইবন রাফি। ইমাম বুখারী ও মুসলিম তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেন নি।]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন,
“তোমরা জুমু‘আর দিনে ও রাতে আমার প্রতি বেশি বেশি সালাত পাঠ করো। যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার সালাত পাঠ করবে আল্লাহ তার প্রতি দশবার সালাত পেশ করবেন”। [সুনান আল-বায়হাকী, ৫৯৯৪। হাদীসের সনদটি হাসান।]
“যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিনে সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে তাকে সে জুমু‘আ থেকে পরবর্তী জুমু‘আ পর্যন্ত নূর দ্বারা আলোকিত করা হবে”। [মুসতাদরাক লিলহাকিম, হাদীস নং ৩৩৯২। ইমাম হাকিম রহ. বলেন, হাদীসের সনদটি সহীহ; কিন্তু বুখারী ও মুসলিম এ সনদে বর্ণনা করেন নি। ইমাম যাহাবী রহ. বলেছেন, নু‘আইম ইবন হাম্মাদ থেকে অনেক মুনকার হাদীস বর্ণিত আছে।]
৯- জুমু‘আর দিনে দো‘আ কবুল হওয়ার সময় বেশি বেশি দো‘আ করা। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“জুমু‘আর দিনের মধ্যে অবশ্যই এমন একটি মুহূর্ত আছে কোনো মুসলিম সে সময় আল্লাহর নিকট কোনো কল্যাণ প্রার্থনা করলে নিশ্চয় তিনি তাকে তা দান করেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৫২।]
অন্য হাদীসে এসেছে, এ সময়টি জুমু‘আর দিনের শেষ সময় তথা বিকেল বেলা। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“জুমু‘আর দিনের বার ঘন্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে, তখন কোনো মুসলিম আল্লাহর নিকট যা-ই চাইবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে তা-ই প্রদান করেন। তোমরাসেটাকে আসরের পরের মুহূর্তে সন্ধান করো”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১০৪৮। আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
১০- আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“যে সব দিনে সূর্যোদয় হয় তার মধ্যে জুমু‘আর দিনই সর্বোত্তম। এ দিনেই আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এ দিনই তাঁকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়, এ দিনই তাঁর তাওবা কবুল হয় এবং এ দিনই তিনি মারা যান। এ দিনই কিয়ামত কায়েম হবে, এ দিন জিন ও ইনসান ব্যতীত সমস্ত প্রাণি সুবহে সাদেক হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত কিয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত থাকে। এ দিনের মধ্যে এমন একটি সময় আছে, তখন কোনো মুসলিম বান্দা সালাত আদায়ে থেকে আল্লাহর নিকট যা প্রার্থনা করবে তা-ই প্রাপ্ত হবে। কা‘ব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, এরূপ দো‘আ কবুলের সময় সারা বছরের মধ্যে মাত্র এক দিন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁকে বললাম, বছরের একটি দিন নয়, বরং এটি প্রতি জুমু‘আর দিনের মধ্যে নিহিত আছে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর কা‘ব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু তার প্রমানস্বরূপ তাওরাত পাঠ করে বলেন, আল্লাহর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য বলেছেন। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, অতঃপর আমি বিশিষ্ট সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবন সালাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর সাথে সাক্ষাৎ করি (যিনি ইয়াহূদীদের মধ্যে বিজ্ঞ আলিম ছিলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন) এবং তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করি। এ সময় কা‘ব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবন সালাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, দো‘আ কবুলের সেই বিশেষ সময় সম্পর্কে আমি জ্ঞাত আছি। তখন আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমাকে ঐ সময় সম্পর্কে অবহিত করুন। আব্দুল্লাহ ইবন সালাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, তা হলো জুমু‘আর দিনের সর্বশেষ সময়। আমি বললাম, তা জুমু‘আর দিনের সর্বশেষ সময় কীরূপে হবে? অথচ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে কোনো বান্দা সালাতে থেকে উক্ত সময়ে দো‘আ করলে তার দো‘আ কবুল হবে। অথচ আপনার বর্ণিত সময়ে কোনো সালাত আদায় করা যায় না। আব্দুল্লাহ ইবন সালাম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বলেন নি যে, কোনো ব্যক্তি সালাতের অপেক্ষায় বসে থাকলে সালাত আদায় না করা পর্যন্ত তাকে সালাতরত হিসাবে গণ্য করা হয়? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেন, এটাও সে রকম”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১০৪৬। আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]
কেউ কেউ বলেন, এ সময়টি হলো ইমাম মিম্বারে বসা থেকে সালাত শেষ করা পর্যন্ত মুহুর্ত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/15/57
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।