hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের রুকনসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

লেখকঃ কতিপয় ছাত্র

৯৫
যাকাতের খাতসমূহ:
যাকাতের খাত হলো আটটি। তা হলো:

১ – ফকীর।

২ – মিসকীন।

৩ - যাকাতে নিয়োজিত কর্মচারী।

৪ - দীনের জন্য যাদের অন্তর আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য।

৫ – গোলাম আযাদ।

৬ - ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি।

৭ - আল্লাহ রাস্তায় দান।

৮ - মুসাফির।

এসব খাত সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿إِنَّمَا ٱلصَّدَقَٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡعَٰمِلِينَ عَلَيۡهَا وَٱلۡمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمۡ وَفِي ٱلرِّقَابِ وَٱلۡغَٰرِمِينَ وَفِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِۖ فَرِيضَةٗ مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ ٦٠﴾ [ التوبة : ٦٠ ]

“নিশ্চয় সদকা হচ্ছে ফকীর ও মিসকীনদের জন্য এবং এতে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য, আর যাদের অন্তর আকৃষ্ট করতে হয় তাদের জন্য; (তা বণ্টন করা যায়) দাস ‘আযাদ করার ক্ষেত্রে, ঋণগ্রস্তদের মধ্যে, আল্লাহর রাস্তায় এবং মুসাফিরদের মধ্যে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়”। [সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত: ৬০]

যাকাতের এসব প্রকার নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১- ফকীর: ফকীর হলো যার নিজের ও পরিবারের অবশ্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের অভাব রয়েছে, যেমন খাদ্য, পানীয়, কাপড় ও বাসস্থানের অভাব থাকা। অর্থাৎ তার কাছে এসব জিনিস একেবারেই নেই বা সামান্য কিছু থাকলেও তা প্রয়োজনের অর্ধেকের কম।

২- মিসকীন: মিসকীন কখনো কখনো ফকীরের চেয়ে স্বল্প অভাবে থাকে অথবা বেশি, কিন্তু বিধানের দিক থেকে উভয়ের বিধান একই। সর্বাবস্থায় বলা যায় যে, মিসকীনের অভাব রয়েছে। যেমন এক ব্যক্তির কাছে একশ টাকা আছে, কিন্তু তার প্রয়োজন দু’শ টাকার, এমতাবস্থায় তার ও তার পরিবারের প্রয়োজন পূরণ হতে বাকি যা টাকা লাগে তা যাকাত থেকে দেওয়া হবে।

৩- যাকাত আদায়ে নিয়োজিত কর্মচারী: যারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশে যাকাত জমা করেন, যাকাতের সম্পদ পাহারা দেন, অভাবগ্রস্তদের মাঝে বণ্টন করেন, এ সম্পদ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আনা নেওয়া করেন ইত্যাদি যাকাতের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি যাদেরকে বাইতুল মাল থেকে বেতন নির্ধারণ করে দেওয়া হয় নি। তারা ধনী হলেও যাকাতের সম্পদ থেকে বেতন নিতে পারবেন।

৪ -দীনের প্রতি যাদের অন্তর আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য: নিজগোত্রে সম্মান ও আনুগত্যের পাত্র এমন নেতৃবর্গ যাদেরকে অর্থদান করলে ইসলাম গ্রহণ করার অথবা মুসলিমদেরকে নির্যাতন করা থেকে বিরত থাকার অথবা তাদের ঈমানে মজবুতি সৃষ্টি হওয়ার অথবা মুসলিমদের কোনো শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আশা করা যায়। যে পরিমাণ সম্পদ দিলে এদের অন্তর আকৃষ্ট হবে বলে আশা করা যায়, যাকাতের সম্পদ থেকে এদেরকে সে পরিমাণ সম্পদ দেওয়া হবে।৫ - গোলাম আযাদ: এ খাতের উদ্দেশ্য এমন মুসলিম যিনি দাস হয়ে রয়েছেন। এমতাবস্থায় তাকে যাকাতের সম্পদ দ্বারা ক্রয় করে স্বাধীন করে দেওয়া হবে। অথবা যদি কোনো ‘মুকাতাব’ (যে দাসত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য টাকা দেওয়ার ব্যাপারে মনিবের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এমন) মুসলিম দাস হিসেবে থাকে, তাকে তার দাসত্ব থেকে মুক্ত করার জন্য বাকী কিস্তির অর্থ প্রদান করার জন্য যাকাতের টাকা থেকে দেওয়া যেতে পারে।

ফায়েদা: মুসলিম ও কাফিরের মধ্যকার যুদ্ধে যারা যুদ্ধবন্দি তাদেরকেই দাস বলে। কিন্তু বর্তমানে প্রচলিত ভুল ধারণা যে, কালো বর্ণের মানুষকে দাস বলা ইসলাম সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করে। ইসলাম মানবজাতিকে স্বাধীন করতে অত্যন্ত তৎপর। মানুষের দাসত্ব থেকে মুক্ত করে আল্লাহর দাসত্বে আবদ্ধ করাই ইসলামের মূল লক্ষ্য উদ্দেশ্য। এজন্যই ইসলাম নানাভাবে তা বাস্তবায়ণ করার ব্যাপারে চেষ্টা চালায়, সে জন্যই দাসমুক্তিকে যাকাতের খাত নির্ধারণ করেছে, অনুরূপভাবে কাফফারা দেওয়ার জন্যও দাসমুক্তির বিধান দিয়েছে। তাছাড়াও স্বাধীন করার জন্য অনেক বেশি তাগিদ দিয়েছে।

৬ - ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি: ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি বলতে বুঝায় যার জিম্মায় আল্লাহর নাফরমানী কাজ ব্যতীত অন্যভাবে নিজের জায়েয কাজে বা অন্য মানুষের মধ্যে সমঝোতা করতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়েছে। সুতরাং তাকে তার ঋণগ্রস্ততা থেকে মুক্ত করার জন্য যাকাতের সম্পদ দেওয়া যাবে।

৭ - আল্লাহ রাস্তায় দান: (আল্লাহর রাস্তা) বলতে বুঝায় এমন পথ যা আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে ধাবিত করে। অধিকাংশ আলেমরে নিকট এর দ্বারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারী লোকদের বুঝানো হয়েছে। সুতরাং জিহাদে নিয়োজিত মুজাহিদ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যাদের বেতন নির্ধারিত নেই তারা ধনী হোক বা গরিব হোক তাদেরকে বেতন হিসেবে যাকাতের অর্থ দেওয়া যাবে।

৮ - মুসাফির: সফর অবস্থায় যে নিঃস্ব ও অর্থশূন্য হয়ে পড়েছে। এরূপ ব্যক্তিকে নিজ দেশে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাকাত থেকে যথেষ্ট পরিমাণ টাকা দেওয়া হবে, স্বদেশে সে ধনী হলেও। তবে শর্ত হলো কেউ যদি তাকে ধার হিসেবে টাকা না দেয়। যদি কেউ ধার হিসেবে টাকা দেয় তবে তার ওপর কর্তব্য হবে সে ধার গ্রহণ করা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন