hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের রুকনসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

লেখকঃ কতিপয় ছাত্র

৪১
সালাতের রুকনসমূহ:
সালাতের বেশকিছু রুকন বা ফরয রয়েছে। এগুলোর কোনো একটি বাদ পড়লে সালাত বাতিল হয়ে যাবে। এগুলো নিম্নরূপ:

১- নিয়ত করা। নির্দিষ্ট ওয়াক্তের সালাত আদায় করতে অন্তরে দৃঢ় সংকল্প করা। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ»

“প্রত্যেক কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৯০৭।]

তাকবীরে তাহরীমার সাথে দু হাত উঠানোর সময়ই নিয়ত করতে হবে। তবে সামান্য আগে পরে হলে কোনো অসুবিধে নেই।

২- ‘আল্লাহু আকবর’ তাকবীর বলে সালাতে প্রবেশ করা। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مِفْتَاحُ الصَّلَاةِ الطُّهُورُ، وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ، وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ»

“পবিত্রতা হলো সালাতের চাবি, তার তাকবীর হলো (সালাত ব্যতীত সব কাজ) হারামকারী এবং তার সালাম হলো (সালাতের বাইরের সব কাজ) হালালকারী”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৭৫।আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। আবু দাউদ, হাদীস নং ৬১; তিরমিযী, হাদীস নং ৩, ইমাম তিরমিযী রহ. বলেছেন, এ হাদীসটি এ পরিচ্ছেদের সবচেয়ে বিশুদ্ধ হাদীস।]

৩- দাঁড়িয়ে সালাত আদায়: ফরয সালাত সামর্থ্য থাকলে দাঁড়িয়ে আদায় করা। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿حَٰفِظُواْ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلۡوُسۡطَىٰ وَقُومُواْ لِلَّهِ قَٰنِتِينَ٢٣٨﴾ [ البقرة : ٢٣٨ ] [ قَٰنِتِينَ হলো বিনয়ী, অবনত। এখানে কিয়াম দ্বারা সালাতে দাঁড়ানো বুঝানো হয়েছে।]

“তোমরা সালাতসমূহ ও মধ্যবর্তী সালাতের হিফাযত কর এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ২৩৮]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমরান ইবন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলেছেন,

«صَلِّ قَائِمًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَعَلَى جَنْبٍ»

“দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তাতে সমর্থ না হলে বসে, যদি তাতেও সক্ষম না হও তাহলে কাত হয়ে শুয়ে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১১১৭।]

৪- সূরা ফাতিহা পাঠ: ফরয ও নফল সালাতের প্রতি রাকা‘আতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الكِتَابِ»

“যে ব্যক্তি সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ল না তার সালাত হল না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৫৬।]

৫- রুকু করা। এটি নিম্নোক্ত আয়াতের মাধ্যমে সালাতের ফরযের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱرۡكَعُواْ وَٱسۡجُدُواْۤ وَٱعۡبُدُواْ رَبَّكُمۡ وَٱفۡعَلُواْ ٱلۡخَيۡرَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ۩ ٧٧ ﴾ [ الحج : ٧٧ ]

“হে মুমিনগণ, তোমরা রুকূ‘ কর, সাজদাহ কর, তোমাদের রবের ইবাদত কর এবং ভালো কাজ কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হতে পারবে”। [সূরা আল-হাজ, আয়াত: ৭৭]

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে ভুলকারীকে বলেছেন,

«ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا»

“তারপর রুকুতে যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে আদায় করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৫৭।]

৬- রুকু হতে উঠা। উপরোক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে ভুলকারীকে বলেছেন,

«ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْدِلَ قَائِمًا»

“তারপর রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়াবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৫৭।]

৭- রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো। উপরোক্ত হাদীসে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে। এছাড়াও রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য হাদীসে বলেছেন,

«لَا يَنْظُرُ اللهُ إِلَى صَلَاةِ رَجُلٍ لَا يُقِيمُ صُلْبَهُ بَيْنَ رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ»

“আল্লাহ সে ব্যক্তির সালাতের দিকে তাকান না, যে ব্যক্তি তার রুকু থেকে পিঠ সোজা করে দাঁড়ায় না ও সাজদাহ থেকে সোজা হয়ে বসে না”। [মুসনাদ আহমদ, হাদীস নং ১০৭৯৯। মুহাক্কিক শু‘আইব আরনাউত বলেছেন, হাদীসের সনদটি হাসান।]

৮- সাজদাহ করা। উপরোক্ত (সূরা হজের ৭৭নং) আয়াত সাজদাহ করতে নির্দেশ দিয়েছে। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে ভুলকারীকে বলেছেন,

«ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا»

“তারপর সাজদাহয় যাবে এবং ধীরস্থিরভাবে সাজদাহ করবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৫৭।]

৯- সাজদাহ থেকে উঠে বসা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে ভুলকারীকে বলেছেন,

«ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا»

“তারপর সাজদাহ থেকে উঠে স্থির হয়ে বসবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭৫৭।]

১০- দু’সাজদাহর মাঝে বসা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«لَا يَنْظُرُ اللهُ إِلَى صَلَاةِ رَجُلٍ لَا يُقِيمُ صُلْبَهُ بَيْنَ رُكُوعِهِ وَسُجُودِهِ»

“আল্লাহ সে ব্যক্তির সালাতের দিকে তাকান না, যে ব্যক্তি রুকু থেকে পিঠ সোজা করে দাঁড়ায় না ও সাজদাহ থেকে সোজা হয়ে বসে না”। [মুসনাদ আহমদ, হাদীস নং ১০৭৯৯। মুহাক্কিক শু‘আইব আরনাউত বলেছেন, হাদীসের সনদটি হাসান।]

১১- ধীর স্থিরভাবে করা: রুকু, সাজদাহ, রুকু থেকে উঠে দাঁড়ানো, সাজদাহ থেকে উঠে বসা ইত্যাদি ধীর স্থিরভাবে করা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে ভুলকারীকে বলেছেন,

«حَتَّى تَطْمَئِنَّ »

এ হাদীসে তিনি রুকু, সাজদাহ, রুকু ও সাজদাহ থেকে সোজা হয়ে উঠা উল্লেখ করেছেন। ধীরস্থিরতার পরিমান হলো, রুকু, সাজদাহ, দাঁড়ানো বা বসা অবস্থায় স্থির হয়ে কমপক্ষে একবার ‘সুবহানা রাব্বিয়াল ‘আযীম’ বলতে সক্ষম হওয়া। একের অধিক বলা সুন্নত।

১২- শেষ বৈঠক ও তাতে তাশাহহুদ পড়া। শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাশাহহুদ ফরয হওয়ার আগে আমরা ‘বান্দার পক্ষ থেকে আল্লাহকে সালাম, জিবরীল ও মিকাঈল আলাইহিমাস সালামের ওপর সালাম বলতাম’। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,

«لَا تَقُولُوا هَكَذَا، فَإِنَّ اللهَ هُوَ السَّلَامُ، وَلَكِنْ قُولُوا : «التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ، وَالطَّيِّبَاتُ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عَبادِ اللهِ الصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ»

“আল্লাহর প্রতি সালাম, তোমরা এরূপ বল না। কারণ আল্লাহ্ নিজেই সালাম; বরং তোমরা বল: ‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি............’ (সকল সম্ভাষণ, সালাত ও পবিত্র ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার প্রতি সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর প্রত্যেক বান্দাদের প্রতি। নিশ্চয় আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল’।” [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৮৩১; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪০২।]

অনুরূপ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ বৈঠকে বসা সম্পর্কে বলেছেন,

«إِذَا جَلَسَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ : التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ، وَالصَّلَوَاتُ، وَالطَّيِّبَاتُ»

“তোমরা যখন তাশাহহুদের সময় বসবে তখন অবশ্যই পড়বে ‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াত্ত্বায়্যিবাতু”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৯৬৮।আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

এ হাদীসে আখেরী বৈঠককে রুকন হিসেবে বলা হয়েছে; কেননা শেষ বৈঠকের তাশাহহুদ পড়া সালাতের রুকন।

১৩- সালাম ফিরানো। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مِفْتَاحُ الصَّلَاةِ الطُّهُورُ، وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ، وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ»

“পবিত্রতা হলো সালাতের চাবি, তার তাকবীর হলো (সালাত ব্যতীত সব কাজ) হারামকারী এবং তার সালাম হলো (সালাতের বাইরের সব কাজ) হালালকারী”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৭৫,আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। আবু দাউদ, হাদীস নং ৬১; তিরমিযী, হাদীস নং ৩। ইমাম তিরমিযী রহ. বলেন, এ হাদীসটি এ পরিচ্ছেদের সবচেয়ে বিশুদ্ধ হাদীস।]

১৪- রুকনসমূহের মাঝে তারতীব তথা ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। অতএব, তাকবীরে তাহরীমের আগে সূরা ফাতিহা পাঠ করবে না। আবার রুকুর আগে সাজদাহ করবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«وَصَلُّوا كَمَا رَأَيْتُمُونِي أُصَلِّي»

“যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখেছ ঠিক সেভাবে সালাত আদায় করো”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০০৮।]

অতএব, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে সালাত আদায় করেছেন সে ধারাবাহিকতা ভেঙ্গে কেউ সালাত আদায় করলে তার সালাত বাতিল হয়ে যাবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন