hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের রুকনসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

লেখকঃ কতিপয় ছাত্র

১২৭
ইহরামের ওয়াজিব, সুন্নত ও নিষিদ্ধ কাজসমূহ: ইহরামের ওয়াজিব কাজসমূহ:
ইহরামের এসব কাজ বাদ পড়লে হজ পালনকারীর ওপর দম দেওয়া ওয়াজিব হয়। দম দিতে অক্ষম হলে দশদিন সাওম পালন করতে হয়। ইহরামের ওয়াজিবসমূহ নিম্নরূপ:

১- মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা:

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব জায়গা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। সুতরাং হজ বা উমরা পালনকারীকে ইহরামের নিয়ত ব্যতীত মক্কার উদ্দেশ্যে এ সব স্থান অতিক্রম করা জায়েয নেই। এসব জায়গা হলো:

ক- যুলহুলাইফা: মদীনার দক্ষিণে অবস্থিত। স্থানটি বর্তমানে আবইয়ারে আলী বলে খ্যাত। যুলহুলাইফা মদীনাবাসী ও মদীনার দিক থেকে আসা জল, স্থল বা আকাশসীমার হাজীদের মিকাত।

খ- আল-জুহফা: এটি সমুদ্রতীরবর্তী পুরাতন একটি শহর। বর্তমানে এ শহরের নিদর্শন অনেকটাই চলে গেছে। তাই লোকেরা সেটার বদলে রাবেগ শহর থেকে ইহরাম বাঁধে। । এটি সিরিয়া, মিসর ও মরক্কোসহ পশ্চিমাঞ্চল থেকে আসা আসা জল, স্থল বা আকাশসীমার হাজীদের মিকাত।

গ- ইয়ালামলাম: এটি মূলত: পাহাড়। বর্তমানে এর নাম ‘আসসাআ‘দিয়াহ’। এটি ইয়েমেন ও ইয়ামেনের দিক থেকে আসা জল, স্থল বা আকাশসীমার হাজীদের মিকাত।

ঘ- কারনুল মানাযিল: বর্তমানে এর নাম ‘আস-সাইলুল কাবীর’। এটি নাজদবাসী ও এদিক থেকে দিক থেকে আসা জল, স্থল বা আকাশসীমার হাজীদের মিকাত।

ঙ- যাতু ইরক: এটি ইরাক ও এর ওপারের দেশবাসীদের দিক থেকে আসা জল, স্থল বা আকাশসীমার হাজীদের মিকাত।

চ- যাদের বাড়ি উপরোক্ত মিকাতের অভ্যন্তরে মক্কার দিকে, তাদের হজ ও উমরার মিকাত নিজের ঘর থেকে শুরু করতে হবে। তবে যাদের বাড়ি মক্কার মধ্যে তারা হারাম এলাকার বাড়ি থেকে বের হয়ে ‘হিল’ বা হালাল এলাকায় এসে উমরার নিয়ত করবে। আর হজের জন্য মক্কায় বসেই নিয়ত করবে।

মিকাতের দলীল নিম্নোক্ত হাদীস: ইবন ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«وَقَّتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَهْلِ المَدِينَةِ ذَا الحُلَيْفَةِ، وَلِأَهْلِ الشَّأْمِ الجُحْفَةَ، وَلِأَهْلِ نَجْدٍ قَرْنَ المَنَازِلِ، وَلِأَهْلِ اليَمَنِ يَلَمْلَمَ، فَهُنَّ لَهُنَّ، وَلِمَنْ أَتَى عَلَيْهِنَّ مِنْ غَيْرِ أَهْلِهِنَّ لِمَنْ كَانَ يُرِيدُ الحَجَّ وَالعُمْرَةَ، فَمَنْ كَانَ دُونَهُنَّ، فَمُهَلُّهُ مِنْ أَهْلِهِ، وَكَذَاكَ حَتَّى أَهْلُ مَكَّةَ يُهِلُّونَ مِنْهَا»

“রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহ্‌রাম বাঁধার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছেন, মদীনাবাসীদের জন্য যুল-হুলাইফা, সিরিয়াবাসীদের জন্য জুহফা, নজদবাসীদের জন্য কারনুল-মানাযিল, ইয়ামানবাসীদের জন্য ইয়ালামলাম। উল্লিখিত স্থানসমূহ হজ ও উমরার নিয়তকারী সেই অঞ্চলের অধিবাসী এবং ঐ সীমারেখা দিয়ে অতিক্রমকারী অন্যান্য অঞ্চলের অধিবাসীদের জন্য ইহরাম বাঁধার স্থান এবং মীকাতের ভিতরে স্থানের লোকেরা নিজ বাড়ি থেকে ইহ্‌রাম বাঁধবে। এমনকি মক্কাবাসীগণ মক্কা থেকেই ইহরাম বাঁধবে”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৫২৬; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৮১।]

ফায়েদা: উপরে যা উল্লেখ করা হলো তা মিকাতে মাকানী বা স্থানের মিকাত। হজ এর যামানী বা সময়েরও মিকাত রয়েছে। সেগুলো হলো:

হজের কাল-বিষয়ক মিকাত হলো হজের মাসসমূহ। আর তা হলো, শাওয়াল, যিলকদ ও যিলহজ মাসের প্রথম দশদিন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ٱلۡحَجُّ أَشۡهُرٞ مَّعۡلُومَٰتٞۚ﴾ [ البقرة : ١٩٧ ]

“হজের সময় নির্দিষ্ট মাসসমূহ”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৯৭]

কেউ এ সময়ের আগে হজের নিয়ত করলে তার ইহরাম বৈধ হবে না। অপরদিকে কেউ যিলহজ মাসের দশ তারিখ সূর্যোদয়ের আগে ইহরাম বেঁধে ‘আরাফায় অবস্থান করলে তার হজ শুদ্ধ হবে।

২- সেলাইবিহীন কাপড় পরিধান করা:

মুহরিম সেলাইকৃত জামা, কামিছ, টুপিওয়ালা জামা, পাগড়ি পরবে না। কোনো কিছু দিয়ে মাথা ঢেকে রাখবে না। চামড়ার মোজা বা কাপড়ের মোজাপরবে না। জাফরান ও ওয়ারস লাগানো পোশাকও পরিধান করবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«لاَ يَلْبَسُ المُحْرِمُ القَمِيصَ، ولا العمامة وَلاَ السَّرَاوِيلَ، وَلاَ البُرْنُسَ، وَلاَ الخُفَّيْنِ، إِلَّا أَنْ لاَ يَجِدَ النَّعْلَيْنِ، فَلْيَلْبَسِ الْخُفَّيْنِ، وَلْيَقْطَعْهُمَا أَسْفَلَ مِنَ الْكَعْبَيْنِ»

“মুহরিম জামা, পাগড়ী, পায়জামা, টুপিওয়ালা জামা এবং মোজা পরবে না। তবে যদি সে জুতা সংগ্রহ করতে না পারে, তা হলে মোজা পরতে পারবে, তবে সে যেন সেটার টাখনুর নিচের অংশ কেটে নেয়”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৭৯৪; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৭৭।]

পক্ষান্তরে নারী সে তার মুখের উপর থাকা বুরকা ও নিকাব দূর করবে, হাতের উপর থাকা হাতমোজাও সরিয়ে রাখবে। তবে মহিলা তার চেহারার উপর উড়না রাখতে পারবে যা দ্বারা তার পাশ দিয়ে গমনকারী বেগানা লোকদের থেকে চেহারা ঢেকে রাখবে, যদিও সেটা চেহারা স্পর্শ করে। কারণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«لاَ تَنْتَقِبِ المَرْأَةُ المُحْرِمَةُ، وَلاَ تَلْبَسِ القُفَّازَيْنِ»

“মুহরিম মহিলাগণ মুখে নেকাব এবং হাতে হাত মোজা লাগাবে না”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৮৩৮।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন