hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের রুকনসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

লেখকঃ কতিপয় ছাত্র

২৪
অযু ভঙ্গের কারণসমূহ:
১- মলদার ও লজ্জাস্থান থেকে কোনো কিছু বের হওয়া কম হোক অথবা বেশি হোক। যেমন পেশাব, পায়খানা, মযী, ওয়াদী [ الودي হলো পেশাব বা পরিশ্রমের পরে ঘন সাদা পানি পুং লিঙ্গ থেকে বের হওয়া। এতে গোসল ফরয হবে না। শুধু المني তথা বীর্য বের হলে গোসল ফরয হবে।] বের হওয়া, অনুরূপভাবে নিঃশব্দে কিংবা সশব্দে বায়ু নির্গত হওয়া। এর মধ্যে শেষোক্ত দু’টিকে শরী‘আতের পরিভাষায় ‘হাদাস’ বলে। আর এটিই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিম্নোক্ত বাণীর উদ্দেশ্য। তিনি বলেন,

«لاَ يَقْبَلُ اللَّهُ صَلاَةَ أَحَدِكُمْ إِذَا أَحْدَثَ حَتَّى يَتَوَضَّأَ»

“তোমাদের মধ্যে যার হাদাস (অপবিত্র) হয় আল্লাহ তা‘আলা তার সালাত কবুল করবেন না, যতক্ষণ না সে অযু করে”। । [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৩৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২৫।]

২- এমন গভীর ঘুম, যাতে অনুভুতি থাকে না এবং বসার স্থান মাটির সাথে লেগে থাকে না। কারণ, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«الْعَيْنُ وِكَاءُ [ وِكَاءُ হলো বন্ধন, আর السَّهِ হলো পশ্চাদদ্বার।] السَّهِ، فَمَنْ نَامَ، فَلْيَتَوَضَّأْ»

“চোখ হলো পশ্চাদদ্বারের বন্ধনস্বরূপ। অতএব, যে ব্যক্তি ঘুমায় সে (যদি সালাত আদায় করতে চায়) যেন অযু করে”। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৭৭।আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।]

৩- কোনো আবরণ ব্যতীত হাতের তালু ও আঙ্গুল দ্বারা লজ্জাস্থান স্পর্শ করা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ مَسَّ ذَكَرَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ»

“যে ব্যক্তি নিজের পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করবে তাকে অযু করতে হবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ১৮১।আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৪৮২।আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ লিগাইরিহী বলেছেন। তিরমিযী, হাদীস নং ৮২, তিনি হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছনে।আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

৪- অজ্ঞান হওয়া। পাগল, মাতাল, বেহুশ, রোগ বা নেশার কারণে জ্ঞানশূন্য হলে অযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। চাই অল্পসময় অজ্ঞান থাকুক বা বেশি সময়, মাটিকে বসে থাকা সম্ভব হোক বা না হোক। কেননা এ ধরণের জ্ঞানশূন্যতা ঘুমের কারণে বে-খেয়ালের চেয়েও বেশি অবচেতন থাকে, ফলে ব্যক্তি বুঝতে পারে না এ সময় অযু ভঙ্গকারী কোনো কারণ যেমন বায়ু নির্গত হওয়া বা অন্য কোনো কারণ তার দ্বারা সংঘটিত হয়েছে কি-না। অজ্ঞান হলে অযু ভঙ্গ হয়ে যায়, এ ব্যাপারে আলেমগণ একমত।

৫- কামভাবের সাথে নারী স্পর্শ করলে অযু ভেঙ্গে যাবে। লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে যেমন কামভাবের সৃষ্টি হয় ফলে অযু ভেঙ্গে যায়, তেমনি নারী স্পর্শ করলেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তাই এতে অযু ভেঙ্গে যায়। আব্দুল্লাহ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এ মতের প্রবক্তা। তিনি বলেন,

» قُبْلَةُ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ، وَجَسُّهَا بِيَدِهِ، مِنَ الْمُلاَمَسَةِ . فَمَنْ قَبَّلَ امْرَأَتَهُ، أَوْ جَسَّهَا بِيَدِهِ، فَعَلَيْهِ الْوُضُوءُ «.

“পুরুষ কর্তৃক তার স্ত্রীকে চুম্বন করা ও উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করা হলো কুরআনে বর্ণিত ‘মুলামাসা’। সুতরাং যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে চুম্বন করবে বা হাত দ্বারা স্পর্শ করবে তার ওপর অযু অবশ্যম্ভাবী হবে”। [মুয়াত্তা মালেক, হাদীস নং ১৩৪, হাদীসের সনদটি সহীহ। এখানে উল্লেখ্য যে, কুরআনে বলা হয়েছে, ﴿وَإِن كُنتُم مَّرۡضَىٰٓ أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوۡ جَآءَ أَحَدٞ مِّنكُم مِّنَ ٱلۡغَآئِطِ أَوۡ لَٰمَسۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدٗا طَيِّبٗا﴾ [ النساء : ٤٣ ] “আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রস্রাব-পায়খানা থেকে আসে কিংবা তোমরা স্ত্রী সম্ভোগ কর, তবে যদি পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটিতে তায়াম্মুম কর”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৪৩] এখানে মুলামাসা বা স্পর্শ বলতে সহবাস ছাড়া কামভাবের সাথে কোনো আবরণ ব্যতীত নারীকে স্পর্শ করা। আর তাতে অযু ভেঙ্গে যায়।]

৬- মুরতাদ হলে অযু ভেঙ্গে যায়। (আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন)। মুখে উচ্চারণ করুক বা অন্তরে বিশ্বাস করুক বা সন্দেহ পোষণ করুক যেভাবেই ইসলাম থেকে বের হয়ে মুরতাদ হোক তাতে অযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। কেউ এভাবে করলে তার অযু নষ্ট হয়ে যাবে এবং যাবতীয় ইবাদত বাতিল হয়ে যাবে। এরপর ইসলামে ফিরে আসলে যতক্ষণ সে অযু না করবে ততক্ষণ সালাত আদায় করতে পারবে না। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ وَمَن يَكۡفُرۡ بِٱلۡإِيمَٰنِ فَقَدۡ حَبِطَ عَمَلُهُ﴾ [ المائ‍دة : ٥ ]

“আর যে ঈমানের সাথে কুফরী করবে, অবশ্যই তার আমল বরবাদ হবে”। [সূরা আল-মায়েদা, আয়াত: ৫]

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿لَئِنۡ أَشۡرَكۡتَ لَيَحۡبَطَنَّ عَمَلُكَ﴾ [ الزمر : ٦٤ ]

“তুমি শির্ক করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত: ৬৪]

৭- উটের গোশত ভক্ষণ করলে অযু নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা এক সাহাবী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন,

أَأَتَوَضَّأُ مِنْ لُحُومِ الْغَنَمِ؟ قَالَ : «إِنْ شِئْتَ فَتَوَضَّأْ، وَإِنْ شِئْتَ فَلَا تَوَضَّأْ» قَالَ أَتَوَضَّأُ مِنْ لُحُومِ الْإِبِلِ؟ قَالَ : «نَعَمْ فَتَوَضَّأْ مِنْ لُحُومِ الْإِبِلِ»

“আমি কি বকরীর গোশত খেয়ে অযু করব? তিনি বললেন, তোমার ইচ্ছা, অযু করতেও পার আর নাও করতে পার। সে বলল, আমি কি উটের গোশত খেয়ে অযু করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ, উটের গোশত খেয়ে তুমি অযু করবে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৬০।]

ইমাম নাওয়াবী রহ. বলেছেন, এ মতটি দলীলের বিবেচনায় খুবই শক্তিশালী; যদিও জমহুর আলেম এ মতের বিপরীত মত ব্যক্ত করেছেন। সাহাবী, তাবে‘ঈ ও তাদের পরবর্তীগণ বিশেষ করে চার খলীফা ও জমহুর আলেমের মতে, উটের গোশত খেলে অযু ভঙ্গ হয় না। তারা উপরোক্ত হাদীসকে মানসূখ বলেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন