hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের রুকনসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

লেখকঃ কতিপয় ছাত্র

৪২
সালাতের ওয়াজিবসমূহ:
সালাতের ভিতরে কিছু কাজ করা ওয়াজিব। এসব কাজের কোনো একটি ইচ্ছাকৃত বাদ দিলে সালাত বাতিল হয়ে যাবে; আর ভুলে বাদ পড়লে সাজদাহ সাহু দিতে হবে। সালাতের ওয়াজিবসমূহ নিচে আলোচনা করা হলো:

১- প্রত্যেক উঠা, নামা, বসা, ও দাঁড়ানোর সময় তাকবীর বলা; তবে রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানোর সময় তাকবীর বলবে না। কেননা আব্দুল্লাহ ইবন মাস‘উদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেছেন,

«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُكَبِّرُ فِي كُلِّ خَفْضٍ وَرَفْعٍ، وَقِيَامٍ وَقُعُودٍ» .

“রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে প্রত্যেক উঠা, নামা, দাঁড়ানো ও বসার সময় তাকবীর বলতেন”। [তিরমিযী, হাদীস নং ২৫৩।]

২- রুকুতে কমপক্ষে একবার «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ» ‘সুবহানা রাব্বিয়াল ‘আযীম’ বলা। কেননা হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর বর্ণিত হাদীসে এসেছে,

«... فَكَان النَّبِي صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي رُكُوعِهِ : «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ»، وَفِي سُجُودِهِ : «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى»

“অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকুর মধ্যে “সুবহানা রাব্বিয়াল ‘আযীম” এবং সাজদাহয় “সুবহানা রাব্বিয়াল ‘আ‘লা” পড়তেন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৮৭১,আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। তিরমিযী, হাদীস নং ২৬২। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।]

৩- হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বর্ণিত হাদীস অনুযায়ী সাজদাহয় «سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى» ‘সুবাহানা রাব্বিয়াল ‘আ‘লা’ কমপক্ষে একবার পড়া।

৪- ইমাম ও একাকী সালাত আদায়কারী রুকু থেকে উঠার সময় «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ» ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলা। কেননা আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে যে,

«كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ يُكَبِّرُ حِينَ يَقُومُ، ثُمَّ يُكَبِّرُ حِينَ يَرْكَعُ» ثُمَّ يَقُولُ : «سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ حِينَ يَرْفَعُ صُلْبَهُ مِنَ الرُّكُوعِ» ثُمَّ يَقُولُ : وَهُوَ قَائِمٌ «رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ»

“রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন তখন ‘আল্লাহু আকবার’ বলে সালাত শুরু করতেন। তিনি রুকুতে যাওয়ার সময়ও তাকবীর বলতেন। তিনি রুকু থেকে পিঠ সোজা করে দাঁড়ানোর সময় ‘সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলতেন। অতঃপর দাঁড়ানো অবস্থায় ‘রব্বানা ওয়ালাকাল হামদ’ বলতেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৩৯২।]

৫- ইমাম, মুক্তাদি ও একাকী সালাত আদায়কারী রুকু থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়বে, «رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدَُ» ‘রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ’। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إِذَا قَالَ الإمام سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ . فَقُولُوا : اللهم رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدَُ»

“ইমাম যখন “সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদা” বলে, তোমরা তখন “রব্বানা ওয়ালাকাল হামদ” বলো”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪১১।]

৬- দু’সাজদাহর মাঝে দো‘আ পড়া। যেমন এ দো‘আ পড়া:

«اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَعَافِنِي، وَاهْدِنِي، وَارْزُقْنِي»

“হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি রহম করুন, আমাকে নিরাপত্তা দিন, আমাকে হিদায়াত দিন এবং আমাকে রিযিক দান করুন”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৮৫০।আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। তিরমিযী, হাদীস নং ২৮৪,আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

অথবা এ দো‘আ পড়া,

«رَبِّ اغْفِرْ لِي، رَبِّ اغْفِرْ لِي»

‘‘রাব্বিগ ফিরলী, রাব্বিগ ফিরলী’’ (হে আমার রব! আমায় ক্ষমা করুন, হে আমার রব! আমায় ক্ষমা করুন)। [ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৮৯৭।আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

৭- প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া।

৮- প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ার জন্য বসা। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রিফা‘আ ইবন রাফে‘ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বলেছেন,

«إِذَا أَنْتَ قُمْتَ فِي صَلَاتِكَ، فَكَبِّرِ اللَّهَ تَعَالَى، ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ عَلَيْكَ مِنَ الْقُرْآنِ» وَقَالَ فِيهِ : «فَإِذَا جَلَسْتَ فِي وَسَطِ الصَّلَاةِ فَاطْمَئِنَّ، وَافْتَرِشْ فَخِذَكَ الْيُسْرَى ثُمَّ تَشَهَّدْ»

“সালাতে দাঁড়ালে প্রথমে তাকবীর তাহরীমা” বলার পর তুমি কুরআন থেকে যা তোমার জন্য সহজ হয় তা পাঠ করবে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাতে আরও বলেন: “তুমি যখন সালাতের মধ্যে প্রথম বৈঠকে উপবেশন করো, তখন শান্তির সাথে (ধীরস্থিরভাবে) বসবে এবং এ সময় তোমার বাম পা বিছিয়ে (ইফতিরাশ পদ্ধতিতে) দিয়ে অতঃপর তাশাহুদ পাঠ করবে”। [আবু দাউদ, হাদীস নং ৮৬০।আলবানী রহ. হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন