hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের রুকনসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

লেখকঃ কতিপয় ছাত্র

দ্বিতীয়ত: ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর রুকন
কালেমা তাওহীদের প্রধান দু’টি রুকন রয়েছে। তা হলো:

ক- নাফী তথা নেতিবাচক। এটার উদ্দেশ্য হলো ‘লা ইলাহা’ (সব প্রকারের ইলাহকে অস্বীকার করা)।

খ- ইসবাত তথা ইতিবাচক। অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহকে ইলাহ হিসেবে সাব্যস্ত করা।

অতএব, কালেমায়ে শাহাদাতের মূল অর্থ হলো, আল্লাহ ব্যতীত সব মা‘বুদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা এবং একমাত্র আল্লাহর জন্যই উলুহিয়্যাত সাব্যস্ত করা, তার সাথে কাউকে শরীক না করা। শাহাদাতের এ অর্থে উপরোক্ত দু’টি রুকন সম্পর্কে অসংখ্য আয়াত ও হাদীস রয়েছে। যথা:

১- আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿لَآ إِكۡرَاهَ فِي ٱلدِّينِۖ قَد تَّبَيَّنَ ٱلرُّشۡدُ مِنَ ٱلۡغَيِّۚ فَمَن يَكۡفُرۡ بِٱلطَّٰغُوتِ وَيُؤۡمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسۡتَمۡسَكَ بِٱلۡعُرۡوَةِ ٱلۡوُثۡقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَاۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ٢٥٦﴾ [ البقرة : ٢٥٦ ]

“দীন গ্রহণের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই। নিশ্চয় হিদায়াত স্পষ্ট হয়েছে ভ্রষ্টতা থেকে। অতএব, যে ব্যক্তি তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত রশি আঁকড়ে ধরে, যা ছিন্ন হবার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৫৬]

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু, সাঈদ ইবন জুবায়ের, দাহহাক রহ.-এর মতে, উপরোক্ত আয়াতে ٱلۡعُرۡوَةِ ٱلۡوُثۡقَىٰ দ্বারা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর সাক্ষ্য বুঝানো হয়েছে।

আর তাগূত হলো বান্দা কর্তৃক একমাত্র মা‘বুদ ও অনুসরণকৃত সত্তার সীমা অতিক্রম করে অন্য কিছুর ইবাদত করা এবং সে মা‘বুদ ও অনুসরণকৃত সত্তা এতে সন্তুষ্ট থাকা।

অতএব, উক্ত আয়াত দু’টি রুকন প্রমাণ করে। তাগূতকে অস্বীকার করা ও একমাত্র মহান আল্লাহর ওপর ঈমান আনয়ন করা। আর এটাই কালেমা শাহাদাহ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর মর্মকথা।

২- আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেছেন,

﴿وَلَقَدۡ بَعَثۡنَا فِي كُلِّ أُمَّةٖ رَّسُولًا أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱجۡتَنِبُواْ ٱلطَّٰغُوتَۖ فَمِنۡهُم مَّنۡ هَدَى ٱللَّهُ وَمِنۡهُم مَّنۡ حَقَّتۡ عَلَيۡهِ ٱلضَّلَٰلَةُۚ فَسِيرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَٱنظُرُواْ كَيۡفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلۡمُكَذِّبِينَ ٣٦﴾ [ النحل : ٣٦ ]

“আর আমরা অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ কাউকে হিদায়াত দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কারো ওপর পথভ্রষ্টতা সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং তোমরা জমিনে ভ্রমণ কর অতঃপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণতি কীরূপ হয়েছে”। [সূরা আন-নাহল, আয়াত: ৩৬]

এ আয়াতও পূর্বের আয়াতের ন্যায় কালেমা শাহাদাতের অর্থ বহন করে।

৩- আল্লাহ তা‘আলা ‘আদ জাতির ভাষায় বলেছেন,

﴿قَالُوٓاْ أَجِئۡتَنَا لِنَعۡبُدَ ٱللَّهَ وَحۡدَهُۥ وَنَذَرَ مَا كَانَ يَعۡبُدُ ءَابَآؤُنَا فَأۡتِنَا بِمَا تَعِدُنَآ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ ٧٠﴾ [ الاعراف : ٦٩ ]

“তারা বলল, ‘তুমি কি আমাদের নিকট এজন্য এসেছ যে, আমরা এক আল্লাহর ইবাদাত করি এবং ত্যাগ করি আমাদের পিতৃপুরুষগণ যার ইবাদাত করত? সুতরাং তুমি আমাদেরকে যে ওয়াদা দিচ্ছ, তা আমাদের কাছে নিয়ে এসো, যদি তুমি সত্যবাদী হও’।” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৬৯]

হূদ আলাইহিস সালামের দাওয়াতী কার্যক্রম সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

﴿وَإِلَىٰ عَادٍ أَخَاهُمۡ هُودٗاۚ قَالَ يَٰقَوۡمِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مَا لَكُم مِّنۡ إِلَٰهٍ غَيۡرُهُۥٓۚ أَفَلَا تَتَّقُونَ ٦٥﴾ [ الاعراف : ٦٤ ]

“আর (প্রেরণ করলাম) আদ জাতির নিকট তাদের ভাই হূদকে। সে বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর। তিনি ছাড়া তোমাদের কোনো (সত্য) ইলাহ নেই। তোমরা কি তাকওয়া অবলম্বন করবে না?” [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৬৪]

এখানে ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مَا لَكُم مِّنۡ إِلَٰهٍ غَيۡرُهُۥ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর অর্থেই। এমনিভাবে নিম্নোক্ত আল্লাহর বাণীও একই অর্থ প্রমাণ করে,

﴿وَمَآ أَرۡسَلۡنَا مِن قَبۡلِكَ مِن رَّسُولٍ إِلَّا نُوحِيٓ إِلَيۡهِ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱعۡبُدُونِ ٢٥﴾ [ الانبياء : ٢٥ ]

“আর তোমার পূর্বে এমন কোনো রাসূল আমি পাঠাই নি যার প্রতি আমি এ অহী নাযিল করি নি যে, ‘আমি ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই। সুতরাং তোমরা আমার ইবাদাত কর”। [সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত: ২৫]

সকল আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম তাদের উম্মতকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এ কালেমার দিকে আহ্বান করেছেন। তারা প্রধানত দু’টি বিষয় উম্মতকে বুঝিয়েছেন ও তাদেরকে এ পথে আহ্বান করেছেন,

প্রথমত: একমাত্র এক আল্লাহর ইবাদত করা। এটি এ আয়াতে لِنَعۡبُدَ ٱللَّهَ وَحۡدَهُۥ ইসবাত রুকন বা একচ্ছত্র আল্লাহর ইবাদত সাব্যস্ত করণ।

দ্বিতীয়ত: নাফী রুকন তথা আল্লাহর সাথে সব ধরণের শির্ক মুক্ত রাখা। এটি তাদের এ কথা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, وَنَذَرَ مَا كَانَ يَعۡبُدُ ءَابَآؤُنَا “এবং ত্যাগ করি আমাদের পিতৃপুরুষগণ যার ইবাদাত করত”।

৪- সহীহ মুসলিমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَكَفَرَ بِمَا يُعْبَدُ مَنْ دُونِ اللهِ، حَرُمَ مَالُهُ، وَدَمُهُ، وَحِسَابُهُ عَلَى اللهِ»

“যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, এ কথা বলে এবং আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য উপাস্যকে অস্বীকার করে, তবে তার জান-মাল নিরাপদ। আর তার হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৩।]

অন্য বর্ণনায় এসেছে,

«مَنْ وَحَّدَ اللَّهَ وَكَفَرَ بِمَا يُعْبَدُ مِنْ دُونِهِ، حَرُمَ مَالُهُ وَدَمُهُ، وَحِسَابُهُ عَلَى اللَّهِ» .

“যে ব্যক্তি আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় বলে স্বীকার করে এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্যকে অস্বীকার করে, তবে তার জানমাল নিরাপদ। আর তার হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে”। [ইবন হিব্বান, হাদীস নং ১৭১,আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। মুসনাদ আহমদ, হাদীস নং ১৫৮৭৫। আল্লামাশু‘য়াইব আরনাউত হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন।]

এ হাদীসে নেতিবাচক রুকন তথা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত না করার প্রতি তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন