hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

ইসলামের রুকনসমূহের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

লেখকঃ কতিপয় ছাত্র

১১৬
সাওম ভঙ্গের কারণসমূহ:
কিছু কারণে সাওম ভঙ্গ হলে শুধু ক্বাযা ওয়াজিব, আবার কিছু কারণে সাওম ভঙ্গ হলে কাযা ও কাফফারা দু’টি-ই ওয়াজিব।

ক- যেসব কারণে সাওম ভঙ্গ হলে শুধু ক্বাযা ওয়াজিব:

১- ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে সাওম ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর যদি ভুলে বা জোরপূর্বক কেউ খাওয়ালে সাওম ভঙ্গ হবে না। বরং তাকে পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সাওম পূর্ণ করতে হবে। কাযা ওয়াজিব হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ نَسِيَ وَهُوَ صَائِمٌ، فَأَكَلَ أَوْ شَرِبَ، فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ، فَإِنَّمَا أَطْعَمَهُ اللهُ وَسَقَاهُ»

“যে ব্যক্তি সাওমের কথা ভুলে গেলো, অতঃপর খেলো ও পান করলো, সে যেন তার সাওম পূর্ণ করে; কেননা আল্লাহ তা‘আলাই তাকে খাইয়েছেন ও পান করিয়েছেন”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৫৫।]

২- কেউ সুর্যাস্ত হয়েছে ভেবে পানাহার বা স্ত্রী সহবাস করলে পরে যদি প্রমাণিত হয় যে, দিন অবশিষ্ট ছিল তাহলে তার ওপর উক্ত সাওমের ক্বাযা ওয়াজিব।

৩- সাওমের কথা স্মরণে থাকা সত্বেও অতিরঞ্জিতভাবে কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার ফলে পেটে পানি চলে গেলে উক্ত সাওমের ক্বাযা আদায় করতে হবে। এমনিভাবে খাদ্য জাতীয় কিছু পেটে চলে গেলেও কাযা ওয়াজিব। এমনিভাবে খাদ্য জাতীয় ইনজেকশন শরীরে ঢুকালেও সাওম ক্বাযা করতে হবে।

৪- সাধারণত যা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয় না এ জাতীয় খাবার মুখ দিয়ে পেটে চলে গেলে, যেমন: অনেক লবন। এতে সাওম ক্বাযা করতে হবে।

৫- জাগ্রত অবস্থায় হস্তমৈথুন বা স্ত্রীর শরীর স্পর্শ বা চুম্বন বা তার দিকে একনাগাড়ে চেয়ে থাকার কারণে ইচ্ছাকৃত বীর্যপাত হলে সাওম ভেঙ্গে যাবে ও কাযা আদায় করতে হবে। তবে স্বপ্নদোষ হলে সাওম ভঙ্গ হবে না। কেননা এটি সাওম পালনকারীর ইচ্ছাধীন নয়।

৬- ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করলে। তবে কারো অনিচ্ছা সত্বেও বমি হলে তার সাওম ভঙ্গ হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«مَنْ ذَرَعَهُ قَيْءٌ، وَهُوَ صَائِمٌ، فَلَيْسَ عَلَيْهِ قَضَاءٌ، وَإِنْ اسْتَقَاءَ فَلْيَقْضِ»

“কারো (সিয়ামকালে) অনিচ্ছকৃত বমি হলে তাকে ক্বাযা করতে হবে না। কিন্তু কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বমি করে তবে সে কাযা করবে”। [তিরমিযী, হাদীস নং ৭২০। ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান গরীব বলেছেন।আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৮০।আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।]

৭- সাওমের নিয়ত ভেঙ্গে ফেললে সাওম ভঙ্গ হয়ে যাবে, যদিও সে খাদ্য দ্রব্য গ্রহণ না করে থাকে।

৮- মুরতাদ হয়ে গেলে সাওম ভঙ্গ হয়ে যাবে; যদিও আবার ইসলামে ফিরে আসে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,

﴿ لَئِنۡ أَشۡرَكۡتَ لَيَحۡبَطَنَّ عَمَلُكَ ٦٥ ﴾ [ الزمر : ٦٤ ]

“তুমি শির্ক করলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই”। [সূরা আয-যুমার, আয়াত, আয়াত: ৬৪]

খ- যেসব কারণে সাওম ভঙ্গ হয়ে যায় এবং ক্বাযা ও কাফফারা উভয়টি ওয়াজিব হয়:

১- ইচ্ছাকৃত সহবাস করলে সাওম ভেঙ্গে যাবে। এতে কাযা ও কাফফারা দু’টি-ই আদায় করতে হবে। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

«جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ : هَلَكْتُ، فَقَالَ : «وَمَا ذَاكَ؟»، قَالَ : وَقَعْتُ بِأَهْلِي فِي رَمَضَانَ، قَالَ : «تَجِدُ رَقَبَةً؟»، قَالَ : لاَ، قَالَ : «فَهَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَصُومَ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ؟»، قَالَ : لاَ، قَالَ : «فَتَسْتَطِيعُ أَنْ تُطْعِمَ سِتِّينَ مِسْكِينًا؟» قَالَ : لاَ، قَالَ : فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ بِعَرَقٍ، وَالعَرَقُ المِكْتَلُ فِيهِ تَمْرٌ، فَقَالَ : «اذْهَبْ بِهَذَا فَتَصَدَّقْ بِهِ»، قَالَ : عَلَى أَحْوَجَ مِنَّا يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالحَقِّ مَا بَيْنَ لاَبَتَيْهَا أَهْلُ بَيْتٍ أَحْوَجُ مِنَّا، قَالَ : «اذْهَبْ فَأَطْعِمْهُ أَهْلَكَ»

“এক লোক রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এলো এবং বললো: আমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তা কী? সে বললো, রমযানে (দিবাভাগে) আমি স্ত্রী সম্ভোগ করেছি। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি কোনো গোলামের ব্যবস্থা করতে পারবে? সে বললো, না। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি একাধারে দু’মাস সিয়াম পালন করতে পারবে? সে বললো, না। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে তুমি কি ষাট জন মিসকীকে খাওয়াতে পারবে? সে বললো, না। বর্ণনাকারী বলেন, ইতিমধ্যে জনৈক আনসারী এক ‘আরক’ খেজুর নিয়ে হাযির হলো। (আরক হলো নির্দিষ্ট মাপের খেজুরপাত্র।) তখন তিনি বললেন, যাও, এটি নিয়ে গিয়ে সদকা করে দাও। সে বললো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমাদের চেয়ে অধিক অভাবগ্রস্থ কাউকে সাদকা করে দিবো? যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন, তাঁর কসম, কংকরময় মরুভূমির মধ্যবর্তী স্থানে (অর্থাৎ মদীনায়) আমাদের চেয়ে অভাবগ্রস্থ কোনো ঘর নেই। শেষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আচ্ছা, যাও এবং তা তোমার পরিবার-পরিজনদের খাওয়াও”। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৬০০; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১১১১।]

সাওমের কাফফারা হলো একজন মুমিন দাস মুক্ত করা। দাস মুক্ত করতে অক্ষম হলে দু’মাস একাধারে সাওম পালন করা। দু’মাস সাওম পালনে অক্ষম হলে ৬০জন মিসকীনকে মধ্যমানের খাবার প্রদান করা। কাফফারা ধারাবাহিকভাবে আদায় করতে হবে। দাস আজাদ করতে সক্ষম হলে সাওম পালন করলে কাফফারা আদায় হবে না, এমনিভাবে সাওম পালনে সক্ষম হলে ৬০জন মিসকীনকে খাওয়ালে কাফফারা আদায় হবে না। প্রতি মিসকীনকে সাধ্যমত এক মুদ পরিমাণ গম, যব বা খেজুর দান করলেই হবে। কেউ রমযানে দিনের বেলায় একবার ইচ্ছাকৃত সহবাস করলে মাসের শেষে আবার যদি ইচ্ছাকৃত সহবাস করে তবে তাকে দু’বার কাফফারা দিতে হবে। তবে অনেকের মতে একবার কাফফারা দিলেই চলবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন