HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
দৈনন্দিন সহীহ দু‘আ ও কুরআন-সুন্নার চিকিৎসা
লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ ‐ وَالصَّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِهٖ مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ اَجْمَعِيْنَ
কুরআন ও হাদীসের মাসনূন দু‘আগুলো সংকলন করে এ গ্রন্থটি প্রকাশ করার তাওফীক দেয়াতে আল্লাহ তা‘আলার নিকট অসংখ্য শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। অগণিত দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর- যার পরে আর কোন নবী নেই।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন কেবল তাঁর ইবাদাতের উদ্দেশ্যে। আর দু‘আ হচ্ছে একটি ইবাদাত। সূরা মুমিনের ৬০ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। মহান আল্লাহ রাববুল আলামীনের যাবতীয় বিধিবিধান অনুসরণ এবং মাসনূন দু‘আসমূহ পাঠ করার মাধ্যমেই আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য লাভ করা যায়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজের শুরুতে ও শেষে বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ﷺ যেসকল দু‘আ পাঠ করেছেন এবং কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা‘আলা যেসকল দু‘আ শিক্ষা দিয়েছেন, সেসব দু‘আ এ বইয়ে সংকলন করা হয়েছে। আশা করি পাঠকসমাজ বইটি পড়ে খুবই উপকৃত হবেন।
এ বইটি রচনা করতে গিয়ে যেসকল কিতাবের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে সেসকল কিতাবের লিখকদেরকে আল্লাহ তা‘আলা যেন উত্তম প্রতিদান দান করেন। বইটি প্রকাশনার কাজে যারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে জানাই আমত্মরিক মুবারকবাদ। আল্লাহ তা‘আলা যেন তাদেরকেও উত্তম বিনিময় দান করেন। বইটি সুন্দর ও নির্ভুল করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও বইটিকে আরো সুন্দর ও এর মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে কোন পরামর্শ সাদরে গ্রহণযোগ্য।
পরিশেষে আল্লাহ তা‘আলার কাছে এ প্রার্থনাই করছি যে, তিনি যেন আমাদের এ শ্রমকে কবুল করেন এবং একে কিয়ামতের দিন আমাদের সকলের নাজাতের অসীলা বানিয়ে দেন। আমীন
আল্লাহর অনুগ্রহের একামত্ম মুখাপেক্ষী
মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন কামরুল
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ইমাম পাবলিকেশন্স লিমিটেড
কুরআন ও হাদীসের মাসনূন দু‘আগুলো সংকলন করে এ গ্রন্থটি প্রকাশ করার তাওফীক দেয়াতে আল্লাহ তা‘আলার নিকট অসংখ্য শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। অগণিত দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর- যার পরে আর কোন নবী নেই।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন কেবল তাঁর ইবাদাতের উদ্দেশ্যে। আর দু‘আ হচ্ছে একটি ইবাদাত। সূরা মুমিনের ৬০ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। মহান আল্লাহ রাববুল আলামীনের যাবতীয় বিধিবিধান অনুসরণ এবং মাসনূন দু‘আসমূহ পাঠ করার মাধ্যমেই আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য লাভ করা যায়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি কাজের শুরুতে ও শেষে বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ﷺ যেসকল দু‘আ পাঠ করেছেন এবং কুরআন মাজীদে আল্লাহ তা‘আলা যেসকল দু‘আ শিক্ষা দিয়েছেন, সেসব দু‘আ এ বইয়ে সংকলন করা হয়েছে। আশা করি পাঠকসমাজ বইটি পড়ে খুবই উপকৃত হবেন।
এ বইটি রচনা করতে গিয়ে যেসকল কিতাবের সহযোগিতা নেয়া হয়েছে সেসকল কিতাবের লিখকদেরকে আল্লাহ তা‘আলা যেন উত্তম প্রতিদান দান করেন। বইটি প্রকাশনার কাজে যারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে জানাই আমত্মরিক মুবারকবাদ। আল্লাহ তা‘আলা যেন তাদেরকেও উত্তম বিনিময় দান করেন। বইটি সুন্দর ও নির্ভুল করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। তারপরও বইটিকে আরো সুন্দর ও এর মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে কোন পরামর্শ সাদরে গ্রহণযোগ্য।
পরিশেষে আল্লাহ তা‘আলার কাছে এ প্রার্থনাই করছি যে, তিনি যেন আমাদের এ শ্রমকে কবুল করেন এবং একে কিয়ামতের দিন আমাদের সকলের নাজাতের অসীলা বানিয়ে দেন। আমীন
আল্লাহর অনুগ্রহের একামত্ম মুখাপেক্ষী
মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন কামরুল
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
ইমাম পাবলিকেশন্স লিমিটেড
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ ‐ وَالصَّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلٰى رَحْمَةٍ لِّلْعٰلَمِيْنَ ‐ وَعَلٰى اٰلِهٖ وَصَحْبِهٖ اَجْمَعِيْنَ
সকল প্রশংসা বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য, দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এর উপর।
আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদের সূরা আহযাবের ৪১ নং আয়াতে বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিক হারে আল্লাহর যিকির করো। সূরা বাক্বারার ১৫২ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। আল্লাহ তা‘আলাকে কীভাবে স্মরণ করতে হবে রাসূলুল্লাহ ﷺ তা আমলের মাধ্যমে উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহর স্মরণ এবং তাঁর সাহায্য কামনার লক্ষ্যে যে দু‘আগুলো পড়তে হবে হাদীস গ্রন্থে তা উল্লেখ করা হয়েছে। হাদীসের কিতাব হতে বাছাই করে সহীহ দু‘আগুলো এ কিতাবে সংকলিত করা হয়েছে। সেই সাথে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে যেসকল দু‘আ কুরআনের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন এবং পূর্ববর্তী নবীদের যেসকল দু‘আ কুরআন মাজীদে উল্লেখ করা হয়েছে সেসকল গুরুতবপূর্ণ দু‘আগুলোও এ বইয়ে সংকলন করা হয়েছে। আশা করি এ বইখানা মুসলিম সমাজের যথেষ্ট উপকারে আসবে।
বাজারে অগণিত দু‘আর বই থাকলেও এ বইটির বৈশিষ্ট্য ভিন্ন। কারণ এর মধ্যে দু‘আর সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং প্রতিটি দু‘আর সাথে কুরআন ও হাদীসের দলীলসহ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। দু‘আ হচ্ছে আল্লাহর সাহায্য ও তাঁর রহমত লাভের এক অনন্য মাধ্যম, তাই কুরআন ও সুন্নার দু‘আগুলো শিখে বাসত্মব জীবনে আমল করা আমাদের সকলের জন্য একামত্ম কর্তব্য।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে সে তাওফীক দান করুন। আমীন
বিনীত
শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী
চেয়ারম্যান
ইমাম পাবলিকেশন্স লিমিটেড
সকল প্রশংসা বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য, দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক বিশ্বনবী মুহাম্মাদ ﷺ এর উপর এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এর উপর।
আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদের সূরা আহযাবের ৪১ নং আয়াতে বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিক হারে আল্লাহর যিকির করো। সূরা বাক্বারার ১৫২ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। আল্লাহ তা‘আলাকে কীভাবে স্মরণ করতে হবে রাসূলুল্লাহ ﷺ তা আমলের মাধ্যমে উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহর স্মরণ এবং তাঁর সাহায্য কামনার লক্ষ্যে যে দু‘আগুলো পড়তে হবে হাদীস গ্রন্থে তা উল্লেখ করা হয়েছে। হাদীসের কিতাব হতে বাছাই করে সহীহ দু‘আগুলো এ কিতাবে সংকলিত করা হয়েছে। সেই সাথে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে যেসকল দু‘আ কুরআনের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন এবং পূর্ববর্তী নবীদের যেসকল দু‘আ কুরআন মাজীদে উল্লেখ করা হয়েছে সেসকল গুরুতবপূর্ণ দু‘আগুলোও এ বইয়ে সংকলন করা হয়েছে। আশা করি এ বইখানা মুসলিম সমাজের যথেষ্ট উপকারে আসবে।
বাজারে অগণিত দু‘আর বই থাকলেও এ বইটির বৈশিষ্ট্য ভিন্ন। কারণ এর মধ্যে দু‘আর সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং প্রতিটি দু‘আর সাথে কুরআন ও হাদীসের দলীলসহ এর প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। দু‘আ হচ্ছে আল্লাহর সাহায্য ও তাঁর রহমত লাভের এক অনন্য মাধ্যম, তাই কুরআন ও সুন্নার দু‘আগুলো শিখে বাসত্মব জীবনে আমল করা আমাদের সকলের জন্য একামত্ম কর্তব্য।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে সে তাওফীক দান করুন। আমীন
বিনীত
শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী
চেয়ারম্যান
ইমাম পাবলিকেশন্স লিমিটেড
১. আল্লাহ তা‘আলা দু‘আ কবুল করেন :
﴿وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُوْنِيْۤ أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِيْنَ يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِيْ سَيَدْخُلُوْنَ جَهَنَّمَ دَاخِرِيْنَ﴾
তোমাদের রব বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা অহংকারের কারণে আমার ইবাদাত থেকে নাফরমানী করে, অচিরেই তারা অপমানিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সূরা মুমিন- ৬০)
﴿وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِيْ عَنِّيْ فَإِنِّيْ قَرِيْبٌ أُجِيْبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيْبُوْا لِيْ وَلْيُؤْمِنُوْا بِيْ لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُوْنَ﴾
আর যখন আমার বান্দারা আমার সম্বন্ধে তোমাকে জিজ্ঞেস করে তখন তাদেরকে বলে দাও, নিশ্চয় আমি (তার) নিকটেই রয়েছি। কোন আহবানকারী যখনই আমাকে ডাকে তখনই আমি তার আহবানে সাড়া দিয়ে থাকি। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমাকে বিশ্বাস করে, এতে করে তারা সঠিক পথে চলতে পারবে। (সূরা বাক্বারা- ১৮৬)
এ আয়াতগুলোতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে বলেছেন যে, তোমরা আমার কাছে চাও, আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।
২. প্রতি রাতে আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন :
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالٰى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِيْنَ يَبْقٰى ثُلُثُ اللَّيْلِ الْاٰخِرِ فَيَقُوْلُ مَنْ يَدْعُوْنِىْ فَأَسْتَجِيْبَ لَهٗ وَمَنْ يَسْأَلُنِىْ فَأُعْطِيَهٗ وَمَنْ يَسْتَغْفِرُنِىْ فَأَغْفِرَ لَهٗ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমাদের মহান রব প্রতি রাতে দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন, যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। অতঃপর তিনি তাঁর বান্দাদেরকে ডেকে বলেন, কে আমাকে ডাকবে- আমি তার ডাকে সাড়া দেব, কে আমার কাছে চাইবে- আমি তাকে দান করব। কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে- আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। [সহীহ বুখারী, হা/১১৪৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৮; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৮; তিরমিযী, হা/৩৪৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৬৬; মিশকাত, হা/১২২৩।]
১ সহীহ বুখারী, হা/১১৪৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৮; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৮; তিরমিযী, হা/৩৪৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৬৬; মিশকাত, হা/১২২৩।
৩. আল্লাহকে ডাকলে বান্দারই কল্যাণ হয় :
﴿قُلْ مَا يَعْبَأُ بِكُمْ رَبِّيْ لَوْلَا دُعَآؤُكُمْ فَقَدْ كَذَّبْتُمْ فَسَوْفَ يَكُوْنُ لِزَامًا﴾
আপনি বলুন, তোমাদের ব্যাপারে আমার রব কোন পরোয়া করেন না, যদি তোমরা তাঁকে না ডাক। তোমরা তো তাঁকে অস্বীকার করেছ। কাজেই শীঘ্রই তোমাদের উপর এসে পড়বে আযাব। (সূরা ফুরকান- ৭৭)
এ আয়াতের মধ্যে বলা হয়েছে যে, আল্লাহকে না ডাকলে আল্লাহর কিছু আসে-যায় না। তাই আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে আল্লাহকে ডাকতে হবে এবং তাঁর কাছেই চাইতে হবে।
৪. দু‘আ ইবাদাতের একটি মৌলিক অংশ :
عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ عَنِ النَّبِىِّ - - قَالَ : اَلدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ
নু‘মান ইবনে বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, দু‘আ হচ্ছে ইবাদাত। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮১; তিরমিযী, হা/২৯৬৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮২৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৩৭৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮০২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৯০; মিশকাত, হা/২২৩০।]
২ আবু দাঊদ, হা/১৪৮১; তিরমিযী, হা/২৯৬৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮২৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৩৭৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮০২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৯০; মিশকাত, হা/২২৩০।
৫. দু‘আ আল্লাহর কাছে অতি সম্মানিত জিনিস :
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ : لَيْسَ شَيْءٌ اَكْرَمَ عَلَى اللهِ مِنَ الدُّعَاءِ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহর কাছে দু‘আর চাইতে অধিক সম্মানজনক আর কোন জিনিস নেই। [তিরমিযী, হা/৩৩৭০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮২৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৭৩৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৭১২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮০১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭০; মিশকাত, হা/২২৩২।]
৩ তিরমিযী, হা/৩৩৭০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮২৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৭৩৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৭১২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮০১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭০; মিশকাত, হা/২২৩২।
৬. দু‘আর ফলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় :
عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ ، عَنِ النَّبِيِّ قَالَ لَا يَرُدُّ الْقَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ وَلَا يَزِيْدُ فِيْ الْعُمُرِاِلَّا الْبِرُّ
সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, দু‘আ ছাড়া অন্য কিছু তাকদীর পরিবর্তন করতে পারে না, আর নেকী ছাড়া অন্য কিছু বয়স বাড়াতে পারে না। [তিরমিযী, হা/২১৩৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৯; জামেউস সগীর, হা/১৩৬৪৫; মিশকাত, হা/২২৩৩।]
৪ তিরমিযী, হা/২১৩৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৯; জামেউস সগীর, হা/১৩৬৪৫; মিশকাত, হা/২২৩৩।
৭. আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি খুশি হন :
দুনিয়াতে কোন মানুষের কাছে কিছু চাইলে সে নারাজ হয়, অথচ আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ তা‘আলা খুশি হন।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ لَّمْ يَسْأَلِ اللهَ يَغْضَبْ عَلَيْهِ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে আল্লাহর কাছে চায় না, আল্লাহ তার প্রতি রাগ করেন। [তিরমিযী, হা/৩৩৭৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৫৮; জামেউস সগীর, হা/৪১৮৩; মিশকাত, হা/২২৩৮।]
৫ তিরমিযী, হা/৩৩৭৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৫৮; জামেউস সগীর, হা/৪১৮৩; মিশকাত, হা/২২৩৮।
৮. আল্লাহ বান্দার হাতকে খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন :
সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّ رَبَّكُمْ حَيٌّ كَرِيْمٌ يَسْتَحْيِيْ مِنْ عَبْدِه إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَيْهِ أَنْ يَّرُدَّهُمَا صِفْرًا
তোমাদের রব লজ্জাশীল ও দাতা। বান্দা যখন তাঁর কাছে দু’হাত তুলে কিছু চায়, তখন তিনি তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। [তিরমিযী, হা/৩৫৫৬; আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭৬; জামেউস সগীর, হা/২৬৩৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৫; মিশকাত, হা/২২৪৪।]
৬ তিরমিযী, হা/৩৫৫৬; আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭৬; জামেউস সগীর, হা/২৬৩৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৫; মিশকাত, হা/২২৪৪।
৯. কোন দু‘আই বিফলে যায় না :
وَعَنْ أَبِيْ سَعِيْدِنِ الْخُدْرِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُوْا بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيْهَا ِإثْمٌ وَلَا قَطِيْعَةُ رِحْمٍ إِلَّا أَعْطَاهُ اللهُ بِهَا إِحْدٰى ثَلَاثٍ : إِمَّا أنْ يَّعْجَلَ لَهٗ دَعْوَتَه وَإمَّا اَنْ يَّدَّخِرَهَا لَه فِي الْاٰخِرَةِ وَإمَّا أَنْ يَّصْرِفَ عَنْهُ مِنَ السُّوْءِ مِثْلَهَا قَالُوْا إذَنْ نُكَثِّرَ قَالَ : اَللهُ أَكْثَرُ
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কোন মুসলিমের দু‘আ যদি পাপ কাজ ও রক্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য না হয়, তবে তার দু‘আর কারণে নিম্নের এ তিনটির একটি ফল অবশ্যই আল্লাহ তাকে দান করবেন। সেগুলো হলো :
ক. হয় দুনিয়াতেই তার চাওয়া বসত্মু তাকে দিয়ে দেবেন,
খ. অথবা পরকালে তাকে এর প্রতিদান দেবেন,
গ. অথবা তার থেকে অনুরূপ কোন অমঙ্গল দূর করে দেবেন।
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বক্তব্য শুনে সাহাবীগণ বললেন, তাহলে আমরা বেশি বেশি দু‘আ করব। নবী ﷺ বললেন, আল্লাহ আরো অধিক দান করবেন। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১১১৪৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৯৭৮০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৩; মিশকাত, হা/২২৫৯।]
৭ মুসনাদে আহমাদ, হা/১১১৪৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৯৭৮০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৩; মিশকাত, হা/২২৫৯।
﴿وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُوْنِيْۤ أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِيْنَ يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِيْ سَيَدْخُلُوْنَ جَهَنَّمَ دَاخِرِيْنَ﴾
তোমাদের রব বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা অহংকারের কারণে আমার ইবাদাত থেকে নাফরমানী করে, অচিরেই তারা অপমানিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সূরা মুমিন- ৬০)
﴿وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِيْ عَنِّيْ فَإِنِّيْ قَرِيْبٌ أُجِيْبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيْبُوْا لِيْ وَلْيُؤْمِنُوْا بِيْ لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُوْنَ﴾
আর যখন আমার বান্দারা আমার সম্বন্ধে তোমাকে জিজ্ঞেস করে তখন তাদেরকে বলে দাও, নিশ্চয় আমি (তার) নিকটেই রয়েছি। কোন আহবানকারী যখনই আমাকে ডাকে তখনই আমি তার আহবানে সাড়া দিয়ে থাকি। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমাকে বিশ্বাস করে, এতে করে তারা সঠিক পথে চলতে পারবে। (সূরা বাক্বারা- ১৮৬)
এ আয়াতগুলোতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে বলেছেন যে, তোমরা আমার কাছে চাও, আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।
২. প্রতি রাতে আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন :
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالٰى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِيْنَ يَبْقٰى ثُلُثُ اللَّيْلِ الْاٰخِرِ فَيَقُوْلُ مَنْ يَدْعُوْنِىْ فَأَسْتَجِيْبَ لَهٗ وَمَنْ يَسْأَلُنِىْ فَأُعْطِيَهٗ وَمَنْ يَسْتَغْفِرُنِىْ فَأَغْفِرَ لَهٗ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমাদের মহান রব প্রতি রাতে দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন, যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। অতঃপর তিনি তাঁর বান্দাদেরকে ডেকে বলেন, কে আমাকে ডাকবে- আমি তার ডাকে সাড়া দেব, কে আমার কাছে চাইবে- আমি তাকে দান করব। কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে- আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। [সহীহ বুখারী, হা/১১৪৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৮; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৮; তিরমিযী, হা/৩৪৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৬৬; মিশকাত, হা/১২২৩।]
১ সহীহ বুখারী, হা/১১৪৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৮; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৮; তিরমিযী, হা/৩৪৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৬৬; মিশকাত, হা/১২২৩।
৩. আল্লাহকে ডাকলে বান্দারই কল্যাণ হয় :
﴿قُلْ مَا يَعْبَأُ بِكُمْ رَبِّيْ لَوْلَا دُعَآؤُكُمْ فَقَدْ كَذَّبْتُمْ فَسَوْفَ يَكُوْنُ لِزَامًا﴾
আপনি বলুন, তোমাদের ব্যাপারে আমার রব কোন পরোয়া করেন না, যদি তোমরা তাঁকে না ডাক। তোমরা তো তাঁকে অস্বীকার করেছ। কাজেই শীঘ্রই তোমাদের উপর এসে পড়বে আযাব। (সূরা ফুরকান- ৭৭)
এ আয়াতের মধ্যে বলা হয়েছে যে, আল্লাহকে না ডাকলে আল্লাহর কিছু আসে-যায় না। তাই আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে আল্লাহকে ডাকতে হবে এবং তাঁর কাছেই চাইতে হবে।
৪. দু‘আ ইবাদাতের একটি মৌলিক অংশ :
عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ عَنِ النَّبِىِّ - - قَالَ : اَلدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ
নু‘মান ইবনে বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, দু‘আ হচ্ছে ইবাদাত। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮১; তিরমিযী, হা/২৯৬৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮২৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৩৭৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮০২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৯০; মিশকাত, হা/২২৩০।]
২ আবু দাঊদ, হা/১৪৮১; তিরমিযী, হা/২৯৬৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮২৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৩৭৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮০২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৯০; মিশকাত, হা/২২৩০।
৫. দু‘আ আল্লাহর কাছে অতি সম্মানিত জিনিস :
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ : لَيْسَ شَيْءٌ اَكْرَمَ عَلَى اللهِ مِنَ الدُّعَاءِ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহর কাছে দু‘আর চাইতে অধিক সম্মানজনক আর কোন জিনিস নেই। [তিরমিযী, হা/৩৩৭০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮২৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৭৩৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৭১২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮০১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭০; মিশকাত, হা/২২৩২।]
৩ তিরমিযী, হা/৩৩৭০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮২৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৭৩৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৭১২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮০১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭০; মিশকাত, হা/২২৩২।
৬. দু‘আর ফলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় :
عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ ، عَنِ النَّبِيِّ قَالَ لَا يَرُدُّ الْقَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ وَلَا يَزِيْدُ فِيْ الْعُمُرِاِلَّا الْبِرُّ
সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, দু‘আ ছাড়া অন্য কিছু তাকদীর পরিবর্তন করতে পারে না, আর নেকী ছাড়া অন্য কিছু বয়স বাড়াতে পারে না। [তিরমিযী, হা/২১৩৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৯; জামেউস সগীর, হা/১৩৬৪৫; মিশকাত, হা/২২৩৩।]
৪ তিরমিযী, হা/২১৩৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৯; জামেউস সগীর, হা/১৩৬৪৫; মিশকাত, হা/২২৩৩।
৭. আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি খুশি হন :
দুনিয়াতে কোন মানুষের কাছে কিছু চাইলে সে নারাজ হয়, অথচ আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ তা‘আলা খুশি হন।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ لَّمْ يَسْأَلِ اللهَ يَغْضَبْ عَلَيْهِ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে আল্লাহর কাছে চায় না, আল্লাহ তার প্রতি রাগ করেন। [তিরমিযী, হা/৩৩৭৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৫৮; জামেউস সগীর, হা/৪১৮৩; মিশকাত, হা/২২৩৮।]
৫ তিরমিযী, হা/৩৩৭৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৫৮; জামেউস সগীর, হা/৪১৮৩; মিশকাত, হা/২২৩৮।
৮. আল্লাহ বান্দার হাতকে খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন :
সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّ رَبَّكُمْ حَيٌّ كَرِيْمٌ يَسْتَحْيِيْ مِنْ عَبْدِه إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَيْهِ أَنْ يَّرُدَّهُمَا صِفْرًا
তোমাদের রব লজ্জাশীল ও দাতা। বান্দা যখন তাঁর কাছে দু’হাত তুলে কিছু চায়, তখন তিনি তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। [তিরমিযী, হা/৩৫৫৬; আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭৬; জামেউস সগীর, হা/২৬৩৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৫; মিশকাত, হা/২২৪৪।]
৬ তিরমিযী, হা/৩৫৫৬; আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭৬; জামেউস সগীর, হা/২৬৩৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৫; মিশকাত, হা/২২৪৪।
৯. কোন দু‘আই বিফলে যায় না :
وَعَنْ أَبِيْ سَعِيْدِنِ الْخُدْرِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُوْا بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيْهَا ِإثْمٌ وَلَا قَطِيْعَةُ رِحْمٍ إِلَّا أَعْطَاهُ اللهُ بِهَا إِحْدٰى ثَلَاثٍ : إِمَّا أنْ يَّعْجَلَ لَهٗ دَعْوَتَه وَإمَّا اَنْ يَّدَّخِرَهَا لَه فِي الْاٰخِرَةِ وَإمَّا أَنْ يَّصْرِفَ عَنْهُ مِنَ السُّوْءِ مِثْلَهَا قَالُوْا إذَنْ نُكَثِّرَ قَالَ : اَللهُ أَكْثَرُ
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কোন মুসলিমের দু‘আ যদি পাপ কাজ ও রক্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য না হয়, তবে তার দু‘আর কারণে নিম্নের এ তিনটির একটি ফল অবশ্যই আল্লাহ তাকে দান করবেন। সেগুলো হলো :
ক. হয় দুনিয়াতেই তার চাওয়া বসত্মু তাকে দিয়ে দেবেন,
খ. অথবা পরকালে তাকে এর প্রতিদান দেবেন,
গ. অথবা তার থেকে অনুরূপ কোন অমঙ্গল দূর করে দেবেন।
রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বক্তব্য শুনে সাহাবীগণ বললেন, তাহলে আমরা বেশি বেশি দু‘আ করব। নবী ﷺ বললেন, আল্লাহ আরো অধিক দান করবেন। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১১১৪৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৯৭৮০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৩; মিশকাত, হা/২২৫৯।]
৭ মুসনাদে আহমাদ, হা/১১১৪৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৯৭৮০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৩; মিশকাত, হা/২২৫৯।
১. আদম ও হাওয়া (আঃ) জান্নাতের নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তাদের দু‘আ কবুল করেছেন। (সূরা ত্বা-হা- ১২২)
২. নূহ (আঃ) জাতিকে দাওয়াত দিয়েছিলেন; কিমত্মু তারা তাঁর ডাকে সাড়া দেয়নি। পরে তিনি আল্লাহর কাছে দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তার দু‘আ কবুল করেছেন। (সূরা আম্বিয়া- ৭৬)
৩. ইউসুফ (আঃ) পাপ থেকে বাঁচার জন্য দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর দু‘আ কবুল করেছেন। (সূরা ইউসুফ- ৩৩, ৩৪)
৪. আইয়ূব (আঃ) অসুস্থ হয়ে দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর দু‘আ কবুল করে তাঁকে সুস্থ করেছিলেন। (সূরা আম্বিয়া- ৮৩, ৮৪)
৫. ইউনুস (আঃ) মাছের পেট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর দু‘আ কবুল করেছেন এবং তাঁকে মুক্তি দিয়েছেন। (সূরা আম্বিয়া, ৭৮-৮৮)
৬. যাকারিয়া (আঃ) সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তার দু‘আ কবুল করে তাকে সন্তান দান করেছেন।
(সূরা আম্বিয়া- ৮৯, ৯০)
৭. বদরের যুদ্ধে নবী ﷺ আল্লাহর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতা পাঠিয়ে মুসলিম বাহিনীকে সাহায্য করেছিলেন। কুরআন মাজীদে এসেছে-
﴿إِذْ تَسْتَغِيْثُوْنَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّيْ مُمِدُّكُمْ بِأَلْفٍ مِّنَ الْمَلَآئِكَةِ مُرْدِفِيْنَ﴾
স্মরণ করো, যখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে, তখন তিনি তোমাদেরকে জবাব দিলেন, আমি তোমাদেরকে এক হাজার ফেরেশতা দ্বারা সাহায্য করব যারা পর পর আসবে। (সূরা আনফাল- ৯)
কুরআনুল কারীমের এ সকল আয়াতের দৃষ্টান্ত থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, আল্লাহ অবশ্যই বান্দার দু‘আ কবুল করেন- এতে কোন সন্দেহ নেই।
২. নূহ (আঃ) জাতিকে দাওয়াত দিয়েছিলেন; কিমত্মু তারা তাঁর ডাকে সাড়া দেয়নি। পরে তিনি আল্লাহর কাছে দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তার দু‘আ কবুল করেছেন। (সূরা আম্বিয়া- ৭৬)
৩. ইউসুফ (আঃ) পাপ থেকে বাঁচার জন্য দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর দু‘আ কবুল করেছেন। (সূরা ইউসুফ- ৩৩, ৩৪)
৪. আইয়ূব (আঃ) অসুস্থ হয়ে দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর দু‘আ কবুল করে তাঁকে সুস্থ করেছিলেন। (সূরা আম্বিয়া- ৮৩, ৮৪)
৫. ইউনুস (আঃ) মাছের পেট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তাঁর দু‘আ কবুল করেছেন এবং তাঁকে মুক্তি দিয়েছেন। (সূরা আম্বিয়া, ৭৮-৮৮)
৬. যাকারিয়া (আঃ) সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তার দু‘আ কবুল করে তাকে সন্তান দান করেছেন।
(সূরা আম্বিয়া- ৮৯, ৯০)
৭. বদরের যুদ্ধে নবী ﷺ আল্লাহর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা ফেরেশতা পাঠিয়ে মুসলিম বাহিনীকে সাহায্য করেছিলেন। কুরআন মাজীদে এসেছে-
﴿إِذْ تَسْتَغِيْثُوْنَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّيْ مُمِدُّكُمْ بِأَلْفٍ مِّنَ الْمَلَآئِكَةِ مُرْدِفِيْنَ﴾
স্মরণ করো, যখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছিলে, তখন তিনি তোমাদেরকে জবাব দিলেন, আমি তোমাদেরকে এক হাজার ফেরেশতা দ্বারা সাহায্য করব যারা পর পর আসবে। (সূরা আনফাল- ৯)
কুরআনুল কারীমের এ সকল আয়াতের দৃষ্টান্ত থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, আল্লাহ অবশ্যই বান্দার দু‘আ কবুল করেন- এতে কোন সন্দেহ নেই।
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ -- : ثَلَاثَةٌ لَا تُرَدُّ دَعْوَتُهُمُ الصَّائِمُ حَتّٰى يُفْطِرَ وَالْإِمَامُ الْعَادِلُ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُوْمِ يَرْفَعُهَا اللهُ فَوْقَ الْغَمَامِ وَيَفْتَحُ لَهَا أَبْوَابَ السَّمَاءِ وَيَقُوْلُ الرَّبُّ وَعِزَّتِى لَأَنْصُرَنَّكَ وَلَوْ بَعْدَ حِيْنٍ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তিন শ্রেণির লোকের দু‘আ ফেরত দেয়া হয় না : ১. সিয়াম পালনকারী যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ইফতার করে, ২. ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ, ৩. মযলুম ব্যক্তি।
এই তিন ব্যক্তির দু‘আ আল্লাহ তা‘আলা মেঘের উপর উঠিয়ে নেন এবং এর জন্য আকাশের দরজা খুলে দেন। আল্লাহ তা‘আলা তার ইজ্জতের কসম খেয়ে বলেন, আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব- যদিও দেরিতে হয়। [তিরমিযী, হা/৩৯৪৭; ইবনে মাজাহ, হা/১৭৫২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০৩০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৯০১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৩৮৭।]
৮ তিরমিযী, হা/৩৯৪৭; ইবনে মাজাহ, হা/১৭৫২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০৩০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৯০১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৩৮৭।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ثَلَاثُ دَعْوَاتٍ مُسْتَجَابَاتٌ لَا شَكَّ فِيْهِنَّ : دَعْوَةُ الْوَالِدِ وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُوْمِ
তিনটি দু‘আ কবুল হয়ে থাকে, এতে কোন সন্দেহ নেই। সেগুলো হলো : ১. সন্তানের জন্য মাতাপিতার দু‘আ, ২. মুসাফিরের দু‘আ, ৩. মযলুম ব্যক্তির দু‘আ। [তিরমিযী, হা/১৯০৫; আবু দাঊদ, হা/১৫৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫০১; আদাবুল মুফরাদ, হা/৪৮১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৬৯৯; জামেউস সগীর, হা/৫৩৪২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩১৩২; মিশকাত, হা/২২৫০।]
৯ তিরমিযী, হা/১৯০৫; আবু দাঊদ, হা/১৫৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫০১; আদাবুল মুফরাদ, হা/৪৮১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৬৯৯; জামেউস সগীর, হা/৫৩৪২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩১৩২; মিশকাত, হা/২২৫০।
উপরোক্ত হাদীসদ্বয়ে মাধ্যমে সর্বমোট পাঁচ ধরনের ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের দু‘আ আল্লাহ তা‘আলা কবুল করেন। সেগুলো হলো :
১. সিয়াম পালনকারী, যতক্ষণ পর্যমত্ম না সে ইফতার করে। অর্থাৎ কোন সিয়াম পালনকারী ব্যক্তি ইফতার করার পূর্ব পর্যমত্ম আল্লাহর নিকট দু‘আ করলে আল্লাহ তা‘আলা তার দু‘আ কবুল করেন।
২. ন্যায়পরায়ণ বাদশার দু‘আ কবুল হয়। যে ইমাম বা নেতা ইসলামের নির্দেশ অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করবেন আল্লাহ তা‘আলা তার দু‘আ কবুল করেন এবং হাশরের ময়দানে যে সাত দল ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ছায়ায় স্থান দেবেন তাদের মধ্যে প্রথম সারিতেই তিনি অন্তর্ভুক্ত হবেন।
৩. মযলুম ব্যক্তি। কেননা যে নির্যাতিত-নিপীড়িত, তার ফরিয়াদ সরাসরি আল্লাহর নিকট পৌঁছে যায়।
৪. সমত্মানের জন্য পিতামাতার দু‘আ। মাতাপিতা সন্তানের সবচেয়ে বড় হিতাকাঙ্ক্ষী। পিতামাতা সন্তানের জন্য যে দু‘আ করেন, আল্লাহ তা‘আলা তা কবুল করেন।
৫. মুসাফিরের দু‘আ। কেননা সে যখন সফরে থাকে তখন সে এক ধরনের অসহায়ত্ব বোধ করে, তখন সে আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষী হয়, তাই আল্লাহ তার ডাক শোনেন।
৬. মা-বাবার ক্ষেত্রে সন্তানের দু‘আও আল্লাহ তা‘আলা কবুল করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
إِذَا مَاتَ الْاِنْسَانُ اِنْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُه إِلَّا مِنْ ثَلَاثَةٍ إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِه أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَه
মানুষ যখন মারা যায় তখন তার আমলের দরজাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল জারি থাকে, ১. সাদাকায়ে জারিয়া, ২. উপকারী ইলম, যা সে রেখে যায়, ৩. নেক সন্তান, যে তার জন্য দু‘আ করে। [সহীহ মুসলিম, হা/৪৩১০; আবু দাঊদ, হা/২৮৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮৩১।]
১০ সহীহ মুসলিম, হা/৪৩১০; আবু দাঊদ, হা/২৮৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮৩১।
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তিন শ্রেণির লোকের দু‘আ ফেরত দেয়া হয় না : ১. সিয়াম পালনকারী যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ইফতার করে, ২. ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ, ৩. মযলুম ব্যক্তি।
এই তিন ব্যক্তির দু‘আ আল্লাহ তা‘আলা মেঘের উপর উঠিয়ে নেন এবং এর জন্য আকাশের দরজা খুলে দেন। আল্লাহ তা‘আলা তার ইজ্জতের কসম খেয়ে বলেন, আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব- যদিও দেরিতে হয়। [তিরমিযী, হা/৩৯৪৭; ইবনে মাজাহ, হা/১৭৫২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০৩০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৯০১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৩৮৭।]
৮ তিরমিযী, হা/৩৯৪৭; ইবনে মাজাহ, হা/১৭৫২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০৩০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৯০১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৩৮৭।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
ثَلَاثُ دَعْوَاتٍ مُسْتَجَابَاتٌ لَا شَكَّ فِيْهِنَّ : دَعْوَةُ الْوَالِدِ وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ وَدَعْوَةُ الْمَظْلُوْمِ
তিনটি দু‘আ কবুল হয়ে থাকে, এতে কোন সন্দেহ নেই। সেগুলো হলো : ১. সন্তানের জন্য মাতাপিতার দু‘আ, ২. মুসাফিরের দু‘আ, ৩. মযলুম ব্যক্তির দু‘আ। [তিরমিযী, হা/১৯০৫; আবু দাঊদ, হা/১৫৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫০১; আদাবুল মুফরাদ, হা/৪৮১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৬৯৯; জামেউস সগীর, হা/৫৩৪২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩১৩২; মিশকাত, হা/২২৫০।]
৯ তিরমিযী, হা/১৯০৫; আবু দাঊদ, হা/১৫৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫০১; আদাবুল মুফরাদ, হা/৪৮১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৬৯৯; জামেউস সগীর, হা/৫৩৪২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩১৩২; মিশকাত, হা/২২৫০।
উপরোক্ত হাদীসদ্বয়ে মাধ্যমে সর্বমোট পাঁচ ধরনের ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যাদের দু‘আ আল্লাহ তা‘আলা কবুল করেন। সেগুলো হলো :
১. সিয়াম পালনকারী, যতক্ষণ পর্যমত্ম না সে ইফতার করে। অর্থাৎ কোন সিয়াম পালনকারী ব্যক্তি ইফতার করার পূর্ব পর্যমত্ম আল্লাহর নিকট দু‘আ করলে আল্লাহ তা‘আলা তার দু‘আ কবুল করেন।
২. ন্যায়পরায়ণ বাদশার দু‘আ কবুল হয়। যে ইমাম বা নেতা ইসলামের নির্দেশ অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করবেন আল্লাহ তা‘আলা তার দু‘আ কবুল করেন এবং হাশরের ময়দানে যে সাত দল ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ছায়ায় স্থান দেবেন তাদের মধ্যে প্রথম সারিতেই তিনি অন্তর্ভুক্ত হবেন।
৩. মযলুম ব্যক্তি। কেননা যে নির্যাতিত-নিপীড়িত, তার ফরিয়াদ সরাসরি আল্লাহর নিকট পৌঁছে যায়।
৪. সমত্মানের জন্য পিতামাতার দু‘আ। মাতাপিতা সন্তানের সবচেয়ে বড় হিতাকাঙ্ক্ষী। পিতামাতা সন্তানের জন্য যে দু‘আ করেন, আল্লাহ তা‘আলা তা কবুল করেন।
৫. মুসাফিরের দু‘আ। কেননা সে যখন সফরে থাকে তখন সে এক ধরনের অসহায়ত্ব বোধ করে, তখন সে আল্লাহর রহমতের মুখাপেক্ষী হয়, তাই আল্লাহ তার ডাক শোনেন।
৬. মা-বাবার ক্ষেত্রে সন্তানের দু‘আও আল্লাহ তা‘আলা কবুল করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
إِذَا مَاتَ الْاِنْسَانُ اِنْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُه إِلَّا مِنْ ثَلَاثَةٍ إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِه أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَه
মানুষ যখন মারা যায় তখন তার আমলের দরজাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি আমল জারি থাকে, ১. সাদাকায়ে জারিয়া, ২. উপকারী ইলম, যা সে রেখে যায়, ৩. নেক সন্তান, যে তার জন্য দু‘আ করে। [সহীহ মুসলিম, হা/৪৩১০; আবু দাঊদ, হা/২৮৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮৩১।]
১০ সহীহ মুসলিম, হা/৪৩১০; আবু দাঊদ, হা/২৮৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮৩১।
১. একমাত্র আল্লাহর কাছেই দু‘আ করতে হবে :
﴿لَه دَعْوَةُ الْحَقِّ وَالَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِه لَا يَسْتَجِيْبُوْنَ لَهُمْ بِشَيْءٍ إِلَّا كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ إِلَى الْمَآءِ لِيَبْلُغَ فَاهُ وَمَا هُوَ بِبَالِغِه وَمَا دُعَآءُ الْكَافِرِيْنَ إِلَّا فِيْ ضَلَالٍ﴾
সত্যের আহবান কেবল আল্লাহর জন্য। যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদের ডাকে, তারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। যেমন একজন মানুষ যে পিপাসায় কাতর হয়ে নিজের উভয় হাত পানির দিকে প্রসারিত করে এ আশায় যে, পানি নিজে নিজেই তার মুখে এসে পৌঁছবে, অথচ তা কোন অবস্থায়ই তার কাছে পৌঁছবে না। কাফিরদের দু‘আ ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নয়। (সূরা রা‘দ- ১৪)
আল্লাহই একমাত্র দু‘আ কবুলকারী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿أَمَّنْ يُّجِيْبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوْٓءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَآءَ الْاَرْضِ أَإِلٰهٌ مَّعَ اللهِ قَلِيْلًا مَّا تَذَكَّرُوْنَ﴾
তিনি কে, যিনি কোন অসহায় ব্যক্তির ডাকে সাড়া দেন- যখন নিরুপায় হয়ে সে তাঁকেই ডাকতে থাকে। অতঃপর তিনি তার বিপদাপদ দূর করে দেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি বানান। আল্লাহর সাথে আর কোন উপাস্য আছে কি? আসলে তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ করে থাক। (সূরা নামল- ৬২)
আল্লাহ ছাড়া অপরের কাছে দু‘আ করা গুমরাহী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَّدْعُوْ مِنْ دُوْنِ اللهِ مَنْ لَّا يَسْتَجِيْبُ لَهٗۤ إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَآئِهِمْ غَافِلُوْنَ﴾
তার চাইতে বেশি বিভ্রান্ত ব্যক্তি আর কে হতে পারে, যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকে, যাকে কিয়ামত পর্যন্ত ডাকলেও তার ডাকে সাড়া দিতে পারবে না? কারণ তারা তাদের অনুসারীদের ডাক সম্পর্কে সম্পূর্ণ বেখবর।
(সূরা আহকাফ- ৫)
উপরের আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা বলে দিয়েছেন যে, আমি ছাড়া তোমাদের দু‘আ কবুল করার কে আছে? অর্থাৎ কেউ নেই। তাই আমাদেরকে সবসময় আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। জীবিত বা মৃত কোন মাখলুকের কাছে চাওয়া যাবে না।
২. ইখলাস ও একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহকে ডাকতে হবে :
﴿قُلْ أَمَرَ رَبِّيْ بِالْقِسْطِ وَأَقِيْمُوْا وُجُوْهَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَّادْعُوْهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ كَمَا بَدَأَكُمْ تَعُوْدُوْنَ﴾
বলুন, আমার প্রতিপালক ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব প্রত্যেক সালাতে তোমাদের লক্ষ্য ও মনোযোগকে আল্লাহমুখী করো এবং তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁকে ডাকো। যেভাবে তিনি তোমাদেরকে প্রথমে সৃষ্টি করেছেন (মৃত্যুর পর আবার) সেভাবেই তোমরা ফিরে আসবে। (সূরা আ‘রাফ- ২৯)
৩. কবুলের আশা নিয়ে দু‘আ করতে হবে :
﴿إِنَّهُمْ كَانُوْا يُسَارِعُوْنَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُوْنَنَا رَغَبًا وَّرَهَبًا وَّكَانُوْا لَنَا خَاشِعِيْنَ﴾
তারা (নবীরা) সৎ কাজে ছিল দ্রুতগামী, তারা আমাকে ডাকতো আশা নিয়ে ও ভীত হয়ে, আর তারা ছিল আমার প্রতি বিনয়ী। (সূরা আম্বিয়া- ৯০)
এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা নবীদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, তারা ভয় ও আশা নিয়ে আল্লাহ তা‘আলাকে ডাকতেন। হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ -- : اُدْعُوا اللهَ وَأَنْتُمْ مُوْقِنُوْنَ بِالْإِجَابَةِ وَاعْلَمُوْا أَنَّ اللهَ لَا يَسْتَجِيْبُ دُعَاءً مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لَاهٍ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কবুল হওয়ার আশা ও বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করো। জেনে রেখো, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা অমনোযোগী অমত্মরের দু‘আ কবুল করেন না। [তিরমিযী, হা/৩৪৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/১০০৬১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৯২; মিশকাত, হা/২২৪১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৪।]
১১ তিরমিযী, হা/৩৪৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/১০০৬১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৯২; মিশকাত, হা/২২৪১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৪।
৪. নীরবে বিনয়ের সাথে দু‘আ করতে হবে :
﴿اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَّخُفْيَةً إِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ﴾
তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ডাকো বিনয়ের সাথে এবং গোপনে। নিশ্চয় তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা আ‘রাফ- ৫৫)
যাকারিয়া (আঃ) নীরবে দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ذِكْرُ رَحْمَتِ رَبِّكَ عَبْدَه زَكَرِيَّا ‐ إِذْ نَادٰى رَبَّه نِدَآءً خَفِيًّا﴾
এটা তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ তাঁর বান্দা যাকারিয়ার প্রতি। যখন তিনি তাঁর প্রতিপালককে গোপনে ডেকেছিলেন। (সূরা মারইয়াম- ২, ৩)
আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সব ডাকই শুনতে পান। তিনি বলেন,
﴿إِنَّ رَبِّيْ لَسَمِيْعُ الدُّعَآءِ﴾
অবশ্যই আমার রব দু‘আ শ্রবণকারী। (সূরা ইবরাহীম- ৩৯)
বান্দা যেখানেই থাকুক, সে আল্লাহকে কাছে পাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ﴾
আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন এবং তোমরা যা কিছু করে থাক, আল্লাহ তা দেখেন। (সূরা হাদীদ- ৪)
উপরের আয়াতগুলোর মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, আল্লাহ বান্দার সকল ডাক শুনতে পান। কারণ তিনি বান্দার অন্তরের খবর জানেন। তাই নীরবে বিনয়ের সাথে আল্লাহর কাছে দু‘আ করা উচিত।
৫. হাতের পেট সামনের দিকে রাখা :
মালিক ইবনে ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِذَا سَأَلْتُمُ اللهَ فَاسْأَلُوْهُ بِبُطُوْنِ أَكُفِّكُمْ وَلَا تَسْأَلُوْهُ بِظُهُوْرِهَا
যখন তোমরা আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইবে, তখন তোমরা তোমাদের হাতের পেট দিয়ে চাইবে এবং পিঠ দিয়ে চাইবে না। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৬৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০০১৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৫; মিশকাত, হা/২২৪২।]
১২ আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৬৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০০১৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৫; মিশকাত, হা/২২৪২।
৬. দু‘আর মাঝে আল্লাহর প্রশংসা ও নবীi cÖwZ দরূদ পাঠ করা :##
ফাযালা ইবনে উবাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ এক ব্যক্তিকে সালাতরত অবস্থায় দু‘আ করতে শুনলেন। কিমত্মু সে উক্ত দু‘আয় আল্লাহর গুণগান এবং নবী ﷺ এর উপর দরূদ পাঠ করল না। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, এ লোকটি তাড়াহুড়া করছে। তারপর তিনি তাকে ডাকলেন এবং বললেন, তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি সালাত পড়লে সে যেন তার রবের হামদ ও সানা দিয়ে আরম্ভ করে, তারপর নবীর উপর দরূদ পাঠ করে, অতঃপর নিজের পছন্দমতো দু‘আ করে। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৭; নাসাঈ, হা/১২৮৪।]
১৩ আবু দাঊদ, হা/১৪৮৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৭; নাসাঈ, হা/১২৮৪।
উল্লেখ্য যে, সূরা ফাতিহা হচ্ছে উত্তম প্রশংসা ও দু‘আ।
সূরা ফাতিহা :
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ‐ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ ‐ اَلرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ‐ مَالِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ ‐ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ ‐ اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ ‐ صِرَاطَ الَّذِيْنَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّآلِّيْنَ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহ্মা-নির রাহীম। আলহামদুলিল্লা-হি রাবিবল ‘আ-লামীন। আর রাহমা-নির রাহীম। মা-লিকিইয়াউ মিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতা‘য়ীন। ইহদিনাস সিরা-ত্বাল মুসতাক্বীম। সিরা-ত্বাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম। গাইরিল মাগযূবি ‘আলাইহিম ওয়ালায যা-ল্লীন।
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। যিনি পরম করুণাময় ও অতিশয় দয়ালু। যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক। আমরা শুধুমাত্র আপনারই ইবাদাত করি এবং আপনার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন; তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আপনার গযব নাযিল হয়েছে এবং তাদের পথও নয়, যারা পথভ্রষ্ট।
৭. আল্লাহর সিফাতী নাম দ্বারা দু‘আ করা :
﴿وَلِلّٰهِ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰى فَادْعُوْهُ بِهَا﴾
সুন্দর নামসমূহ আল্লাহর জন্যই। অতএব তোমরা সেসকল নামেই তাঁকে ডাকো। (সূরা আ‘রাফ- ১৮০)
﴿قُلِ ادْعُوا اللهَ أَوِ ادْعُوا الرَّحْمٰنَ أَيًّا مَّا تَدْعُوْا فَلَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰى﴾
বলো, তোমরা ‘আল্লাহ’ নামে ডাক বা ‘রহমান’ নামে ডাক, যে নামেই ডাক না কেন সকল সুন্দর নামই তাঁর। (সূরা বনী ইসরাঈল- ১১০)
এছাড়াও সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতে আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম উল্লেখ রয়েছে।
সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত :
﴿هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ ‐ - هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ ، سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ ‐ هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰى يُسَبِّحُ لَه مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ﴾
উচ্চারণ : হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি হুওয়ার রাহমা-নুর রাহীম। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, আল মালিকুল কুদ্দূসুস সালা-মুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আযীযুল জাববা-রুল মুতাকাবিবর। সুবহা-নাল্লাহি ‘আম্মা ইউশরিকূন। হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাউভিরু লাহুল আসমা-উল হুসনা। ইউসাবিবহু লাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল্আরযি ওয়াহুয়াল ‘আযীযুল হাকীম।
অর্থ : তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবুদ নেই, তিনি অদৃশ্য এবং দৃশ্যের সব কিছুই জানেন; তিনি দয়াময় ও পরম দয়ালু। তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবুদ নেই। তিনি অধিপতি, অতীব পবিত্র, পরিপূর্ণ শান্তিদাতা, নিরাপত্তা দানকারী, রক্ষক, পরাক্রমশালী, প্রবল, অতীব মহিমান্বিত, তার সাথে যা শরীক করা হয় তিনি তা হতে পবিত্র ও মহান। তিনিই আল্লাহ যিনি সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, সকল উত্তম নাম তাঁরই। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই তাঁর মহিমা ঘোষণা করে, তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাবান।
সূরা আলে ইমরানের ২৬ ও ২৭ নং আয়াতেও আল্লাহর সুন্দর নাম উল্লেখ রয়েছে।
﴿قُلِ اللّٰهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَآءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَآءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَآءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَآءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‐ تُوْلِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُوْلِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَآءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ﴾
উচ্চারণ : কুলিল্লা-হুম্মা মা-লিকাল্ মুলকি তু’তিল মুলকা মান তাশা-উ ওয়া তানযিউল মুলকা মিম্মানতাশা-উ ওয়াতু‘য়িযযু মান তাশা-উ ওয়াতুযিল্লু মান তাশা-উ বিইয়াদিকাল খাইর। ইন্নাকা ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। তূ-লিজুল লাইলা ফিন্নাহা-রি ওয়া তূ-লিজুন্নাহা-রা ফিল্লাইলি, ওয়া তুখরিজুল হাইয়া মিনাল মাইয়িতি ওয়া তুখরিজুল মাইয়িতা মিনাল হাইয়ি ওয়া তারযুকু মান তাশা-উ বিগাইরি হিসা-ব।
অর্থ : বলো, হে আল্লাহ! আপনি সমুদয় রাজ্যের মালিক, যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করেন আর যার থেকে ইচ্ছা রাজ্য কেড়ে নেন এবং যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন, আপনার হাতে সব কল্যাণ, নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। আপনিই রাতকে দিনের ভেতর আর দিনকে রাতের ভেতর প্রবেশ করান, আপনি জীবিতকে মৃত হতে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত হতে বের করেন আর যাকে ইচ্ছা অগণিত রিযিক দান করেন।
৮. ইসমে আ‘যম পড়ে দু‘আ করা :
আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদা (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন দেখলেন যে, এক ব্যক্তি সালাত আদায় করছে এবং এভাবে দু‘আ করছে-
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ بِأَنِّيْ أُشْهِدُكَ أَنَّكَ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ الْاَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নী উশহিদুকা আন্নাকা লা-ইলা-হা ইল্লা আনতাল আহাদুস সামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি এবং সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। আপনি একক ও অমুখাপেক্ষী। যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো কাছ থেকে জন্মলাভ করেননি, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।
এ দু‘আ শুনে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আল্লাহর কসম! সে ইসমে আ‘যম নিয়ে দু‘আ করছে- যার মাধ্যমে চাইলে চাওয়া পূর্ণ করা হয় এবং দু‘আ করলে দু‘আ কবুল করা হয়। [আবু দাঊদ, হা/১৪৯৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৫; মিশকাত, হা/২২৮৩।]
১৪ আবু দাঊদ, হা/১৪৯৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৫; মিশকাত, হা/২২৮৩।
৯. নেক আমলের অসীলা নিয়ে দু‘আ করা :
﴿مَنْ كَانَ يُرِيْدُ الْعِزَّةَ فَلِلّٰهِ الْعِزَّةُ جَمِيْعًا إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُه ﴾
যে ব্যক্তি সম্মান লাভ করতে চায় সে জেনে রাখুক যে, সকল সম্মান আল্লাহর জন্য। উত্তম বাক্যসমূহ তাঁর কাছে পৌঁছে থাকে। আর নেক কাজ তাকে উপরে তুলে দেয়। (সূরা ফাতির- ১০)
হাদীসে এসেছে, তিন ব্যক্তি একটি গর্তে আশ্রয় নিয়ে বিপদে পড়েছিল। পরে তারা পরস্পরকে বলাবলি করতে লাগল,
اُدْعُوا اللهَ بِأَفْضَلِ عَمَلٍ عَمِلْتُمُوْهُ
তোমরা জীবনে সবচেয়ে ভালো যে আমল করেছ, তার অসীলা নিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করো। তারা তাই করল, ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের দু‘আ কবুল করে তাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন। [সহীহ বুখারী, হা/২২১৫; সুনানুল কাবীর লিন নাসাঈ, হা/১১৮২৬।]
১৫ সহীহ বুখারী, হা/২২১৫; সুনানুল কাবীর লিন নাসাঈ, হা/১১৮২৬।
১০. দু‘আয় সীমালঙ্ঘন না করা :
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, এ উম্মতের মধ্যে এমন একদল লোক বের হবে, যারা দু‘আ এবং পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করবে। [আবু দাঊদ, হা/৯৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৭৬৩; জামেউস সগীর, হা/৪১৬১; মিশকাত, হা/৪১৮।]
১৬ আবু দাঊদ, হা/৯৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৭৬৩; জামেউস সগীর, হা/৪১৬১; মিশকাত, হা/৪১৮।
১১. সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ডাকা :
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি চায় যে, বিপদের সময় আল্লাহ তার দু‘আ কবুল করুক, সে যেন সুখের সময়ও আল্লাহকে ডাকে। [তিরমিযী, হা/৩৩৮২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৩৯৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৯৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬২৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৩; মিশকাত, হা/২২৪০।]
১৭ তিরমিযী, হা/৩৩৮২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৩৯৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৯৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬২৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৩; মিশকাত, হা/২২৪০।
মানুষ বিপদে পড়লে আল্লাহকে ডাকে, পরে ভুলে যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَإِذَا مَسَّ الْاِنْسَانَ الضُّرُّ دَعَانَا لِجَنْۢبِه ۤ أَوْ قَاعِدًا أَوْ قَآئِمًا فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُ ضُرَّهٗ مَرَّ كَأَنْ لَّمْ يَدْعُنَاۤ إِلٰى ضُرٍّ مَّسَّه ﴾
মহান আল্লাহ বলেন, মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন তারা শুয়ে, বসে ও দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকতে থাকে। অতঃপর যখন আমি তার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেই, তখন সে এমনভাবে চলাফেরা করে, মনে হয় যেন কোন বিপদে পড়ে সে আমাকে ডাকেনি। (সূরা ইউনুস- ১২)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন,
﴿وَإِذَا مَسَّ النَّاسَ ضُرٌّ دَعَوْا رَبَّهُمْ مُّنِيْبِيْنَ إِلَيْهِ ثُمَّ إِذَاۤ أَذَاقَهُمْ مِّنْهُ رَحْمَةً إِذَا فَرِيْقٌ مِّنْهُمْ بِرَبِّهِمْ يُشْرِكُوْنَ﴾
মানুষকে যখন বিপদাপদ স্পর্শ করে তখন তারা তাদের প্রতিপালককে ডাকে তাঁর অভিমুখী হয়ে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে তাঁর রহমতের স্বাদ আস্বাদন করান তখন তাদের একদল তাদের প্রতিপালকের সাথে শিরক করে বসে। (সূরা রূম- ৩৩)
﴿وَإِذَاۤ أَنْعَمْنَا عَلَى الْاِنْسَانِ أَعْرَضَ وَنَاٰى بِجَانِبِه وَإِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ فَذُوْ دُعَآءٍ عَرِيْضٍ﴾
আর যখন আমি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি, তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং উল্টো দিকে ফিরে যায়, আবার যখন তাকে কোন অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে দীর্ঘ দু‘আ নিয়ে আমার সামনে হাজির হয়। (সূরা হা-মীম সাজদা- ৫১)
১২. আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা :
দু‘আ কবুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে, আল্লাহর কাছে বিনয় সহকারে কাকুতি-মিনতি করে দু‘আ করতে হবে। যদি চোখের পানি ফেলে দিয়ে বান্দা আল্লাহর কাছে কিছু চায়, তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তার দিকে মনোযোগ দেবেন। আমরা দেখি কোন সন্তান যখন কান্না করে, তখন মা দৌড়ে এসে তাকে কোলে নেয় এবং আদর করে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে মায়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। তাই বান্দা যখন তার কোন প্রয়োজন পূরণের জন্য অথবা বিপদ থেকে মুক্তি লাভের জন্য কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে, তখন আল্লাহর রহমত তার দিকে অগ্রসর হয়। নবী ﷺ এবং সাহাবীরা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কান্না করতেন। যেমন নিচের আয়াত ও হাদীসগুলোতে আমরা তার প্রমাণ পাই।
১. আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাবের কিছু লোকের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন,
﴿وَيَخِرُّوْنَ لِلْاَذْقَانِ يَبْكُوْنَ وَيَزِيْدُهُمْ خُشُوْعًا﴾
আর তারা কাঁদতে কাঁদতে ভূমিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ১০৯)
২. কুরআন শোনার পর কান্না করার জন্য উৎসাহ দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿أَفَمِنْ هٰذَا الْحَدِيْثِ تَعْجَبُوْنَ ‐ - وَتَضْحَكُوْنَ وَلَا تَبْكُوْنَ﴾
তোমরা কি এ বাণী সম্পর্কে আশ্চর্যবোধ করছ? হাসছ অথচ কাঁদছ না।
(সূরা নাজম- ৫৯, ৬০)
৩. ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, দুটি চোখ জাহান্নামে প্রবেশ করবে না : ১. যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কাঁদে এবং ২. যে চোখ জিহাদের ময়দানে পাহাড়া দেয়। [তিরমিযী, হা/১৬৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২৫২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৪৩৪৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৪৩০; শারহুস সুন্নাহ, হা/২৬২০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৩২২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৭৩; জামেউস সগীর, হা/৬৩৩৮; মিশকাত, হা/৩৭২৯।]
১৮ তিরমিযী, হা/১৬৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২৫২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৪৩৪৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৪৩০; শারহুস সুন্নাহ, হা/২৬২০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৩২২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৭৩; জামেউস সগীর, হা/৬৩৩৮; মিশকাত, হা/৩৭২৯
৪. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ছায়ায় স্থান দেবেন যেদিন তার ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া থাকবে না। তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি হচ্ছে, যে নির্জনে আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ করে এবং তার দু’চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত করে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭০৯; সহীহ বুখারী, হা/৬৬০; সহীহ মুসলিম, হা/২৪২৭; তিরমিযী, হা/২৩৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৬৬৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৩৫৮; মিশকাত, হা/৭০১।]
১৯ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭০৯; সহীহ বুখারী, হা/৬৬০; সহীহ মুসলিম, হা/২৪২৭; তিরমিযী, হা/২৩৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৬৬৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৩৫৮; মিশকাত, হা/৭০১।
৫. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী ﷺ বললেন, আমাকে কুরআন পড়ে শোনাও। আমি বললাম, আপনাকে কুরআন শোনাব? অথচ আপনার উপর কুরআন নাযিল হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, অন্যের কাছ থেকে কুরআন শুনতে আমি পছন্দ করি। অতঃপর আমি সূরা নিসা পাঠ করে তাঁকে শোনাতে থাকলাম। যখন এ আয়াতে পৌঁছলাম-
﴿فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ ۢبِشَهِيْدٍ وَّجِئْنَا بِكَ عَلٰى هٰۤؤُلَآءِ شَهِيْدًا﴾
তখন কী অবস্থা হবে যখন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী নিয়ে আসব। আর আপনাকে তাদের সকলের উপর সাক্ষী হিসেবে দাঁড় করাব। [সূরা নিসা- ৪১।]
তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, যথেষ্ট হয়েছে। আর আমি তাকিয়ে দেখলাম যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। [সহীহ বুখারী, হা/৫০৫০; সহীহ মুসলিম, হা/১৯০৩; তিরমিযী, হা/৩০২৫; ইবনে মাজাহ, হা/৪১৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৩০; মিশকাত, হা/২৭৬০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭১৭;।]
২০ সূরা নিসা- ৪১।
২১ সহীহ বুখারী, হা/৫০৫০; সহীহ মুসলিম, হা/১৯০৩; তিরমিযী, হা/৩০২৫; ইবনে মাজাহ, হা/৪১৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৩০; মিশকাত, হা/২৭৬০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭১৭;।
৬. ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মৃত্যু যন্ত্রণা বেড়ে গেল, তখন তিনি বললেন, আবু বকরকে বলো- মানুষকে নিয়ে সালাত আদায় করতে। এ কথা শুনে আয়েশা (রাঃ) বললেন, আবু বকর আপনার স্থানে দাঁড়ালে কান্না করার কারণে মানুষকে কিছুই শোনাতে পারবেন না। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪১২; সহীহ বুখারী, হা/৬৭৯; তিরমিযী, হা/৩৬৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬৯১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৮৭৪; বায়হাকী, হা/১৬৩৫৯।]
২২ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪১২; সহীহ বুখারী, হা/৬৭৯; তিরমিযী, হা/৩৬৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬৯১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৮৭৪; বায়হাকী, হা/১৬৩৫৯।
৭. একদা আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ) এর নিকট খানা নিয়ে আসা হলো। তখন তিনি সিয়ামরত ছিলেন। অতঃপর বললেন, মাস‘আব ইবনে উমাইর শাহাদাত বরণ করেছিলেন, তিনি আমার চেয়ে উত্তম ছিলেন। তাকে কাফন পরানোর জন্য তার চাদরটি ব্যতীত অন্য কিছু পাওয়া যায়নি। মাথা ঢাকা হলে পা বেরিয়ে যেত আর পা ঢাকা হলে মাথা বেরিয়ে যেত। তারপর আমাদের জন্য দুনিয়া প্রশস্ত করে দেয়া হলো। আমি ভয় করছি আমাদের নেক আমলের সওয়াব দুনিয়াতেই পেয়ে যাচ্ছি কি না। এ কথা বলার পর খাবার রেখে তিনি কান্না শুরু করে দিলেন। [সহীহ বুখারী, হা/১২৭৫; বায়হাকী, হা/৬৪৭৫।]
২৩ সহীহ বুখারী, হা/১২৭৫; বায়হাকী, হা/৬৪৭৫।
৮. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ইন্তেকালের পর আবু বকর (রাঃ) উমর (রাঃ) কে বললেন, চলুন আমরা উম্মে আইমানের কাছে যাই, যেভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে দেখতে যেতেন। যখন তারা তার কাছে গেলেন তখন ঐ মহিলা কান্না করছিলেন। তারা তাকে বললেন তুমি কাঁদছ কেন? রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য আল্লাহর কাছে যা আছে তা অনেক উত্তম। তিনি বললেন, আমি এজন্য কান্না করছি না, আমি জানি আল্লাহর কাছে যা আছে তা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য উত্তম; বরং আমি কান্না করছি এজন্য যে, আসমান থেকে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ কথা শুনে তারা দু’জনও কাঁদতে লাগলেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৭২; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৩৫; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৯; বায়হাকী, হা/১৩৩১৪; মিশকাত, হা/৫৯৬৭।]
২৪ সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৭২; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৩৫; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৯; বায়হাকী, হা/১৩৩১৪; মিশকাত, হা/৫৯৬৭।
﴿لَه دَعْوَةُ الْحَقِّ وَالَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِه لَا يَسْتَجِيْبُوْنَ لَهُمْ بِشَيْءٍ إِلَّا كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ إِلَى الْمَآءِ لِيَبْلُغَ فَاهُ وَمَا هُوَ بِبَالِغِه وَمَا دُعَآءُ الْكَافِرِيْنَ إِلَّا فِيْ ضَلَالٍ﴾
সত্যের আহবান কেবল আল্লাহর জন্য। যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদের ডাকে, তারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। যেমন একজন মানুষ যে পিপাসায় কাতর হয়ে নিজের উভয় হাত পানির দিকে প্রসারিত করে এ আশায় যে, পানি নিজে নিজেই তার মুখে এসে পৌঁছবে, অথচ তা কোন অবস্থায়ই তার কাছে পৌঁছবে না। কাফিরদের দু‘আ ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নয়। (সূরা রা‘দ- ১৪)
আল্লাহই একমাত্র দু‘আ কবুলকারী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿أَمَّنْ يُّجِيْبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوْٓءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَآءَ الْاَرْضِ أَإِلٰهٌ مَّعَ اللهِ قَلِيْلًا مَّا تَذَكَّرُوْنَ﴾
তিনি কে, যিনি কোন অসহায় ব্যক্তির ডাকে সাড়া দেন- যখন নিরুপায় হয়ে সে তাঁকেই ডাকতে থাকে। অতঃপর তিনি তার বিপদাপদ দূর করে দেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি বানান। আল্লাহর সাথে আর কোন উপাস্য আছে কি? আসলে তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ করে থাক। (সূরা নামল- ৬২)
আল্লাহ ছাড়া অপরের কাছে দু‘আ করা গুমরাহী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَّدْعُوْ مِنْ دُوْنِ اللهِ مَنْ لَّا يَسْتَجِيْبُ لَهٗۤ إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَآئِهِمْ غَافِلُوْنَ﴾
তার চাইতে বেশি বিভ্রান্ত ব্যক্তি আর কে হতে পারে, যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকে, যাকে কিয়ামত পর্যন্ত ডাকলেও তার ডাকে সাড়া দিতে পারবে না? কারণ তারা তাদের অনুসারীদের ডাক সম্পর্কে সম্পূর্ণ বেখবর।
(সূরা আহকাফ- ৫)
উপরের আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা বলে দিয়েছেন যে, আমি ছাড়া তোমাদের দু‘আ কবুল করার কে আছে? অর্থাৎ কেউ নেই। তাই আমাদেরকে সবসময় আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। জীবিত বা মৃত কোন মাখলুকের কাছে চাওয়া যাবে না।
২. ইখলাস ও একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহকে ডাকতে হবে :
﴿قُلْ أَمَرَ رَبِّيْ بِالْقِسْطِ وَأَقِيْمُوْا وُجُوْهَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَّادْعُوْهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ كَمَا بَدَأَكُمْ تَعُوْدُوْنَ﴾
বলুন, আমার প্রতিপালক ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব প্রত্যেক সালাতে তোমাদের লক্ষ্য ও মনোযোগকে আল্লাহমুখী করো এবং তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁকে ডাকো। যেভাবে তিনি তোমাদেরকে প্রথমে সৃষ্টি করেছেন (মৃত্যুর পর আবার) সেভাবেই তোমরা ফিরে আসবে। (সূরা আ‘রাফ- ২৯)
৩. কবুলের আশা নিয়ে দু‘আ করতে হবে :
﴿إِنَّهُمْ كَانُوْا يُسَارِعُوْنَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُوْنَنَا رَغَبًا وَّرَهَبًا وَّكَانُوْا لَنَا خَاشِعِيْنَ﴾
তারা (নবীরা) সৎ কাজে ছিল দ্রুতগামী, তারা আমাকে ডাকতো আশা নিয়ে ও ভীত হয়ে, আর তারা ছিল আমার প্রতি বিনয়ী। (সূরা আম্বিয়া- ৯০)
এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা নবীদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, তারা ভয় ও আশা নিয়ে আল্লাহ তা‘আলাকে ডাকতেন। হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ -- : اُدْعُوا اللهَ وَأَنْتُمْ مُوْقِنُوْنَ بِالْإِجَابَةِ وَاعْلَمُوْا أَنَّ اللهَ لَا يَسْتَجِيْبُ دُعَاءً مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لَاهٍ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কবুল হওয়ার আশা ও বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করো। জেনে রেখো, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা অমনোযোগী অমত্মরের দু‘আ কবুল করেন না। [তিরমিযী, হা/৩৪৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/১০০৬১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৯২; মিশকাত, হা/২২৪১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৪।]
১১ তিরমিযী, হা/৩৪৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/১০০৬১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৯২; মিশকাত, হা/২২৪১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৪।
৪. নীরবে বিনয়ের সাথে দু‘আ করতে হবে :
﴿اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَّخُفْيَةً إِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ﴾
তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ডাকো বিনয়ের সাথে এবং গোপনে। নিশ্চয় তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা আ‘রাফ- ৫৫)
যাকারিয়া (আঃ) নীরবে দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ذِكْرُ رَحْمَتِ رَبِّكَ عَبْدَه زَكَرِيَّا ‐ إِذْ نَادٰى رَبَّه نِدَآءً خَفِيًّا﴾
এটা তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ তাঁর বান্দা যাকারিয়ার প্রতি। যখন তিনি তাঁর প্রতিপালককে গোপনে ডেকেছিলেন। (সূরা মারইয়াম- ২, ৩)
আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সব ডাকই শুনতে পান। তিনি বলেন,
﴿إِنَّ رَبِّيْ لَسَمِيْعُ الدُّعَآءِ﴾
অবশ্যই আমার রব দু‘আ শ্রবণকারী। (সূরা ইবরাহীম- ৩৯)
বান্দা যেখানেই থাকুক, সে আল্লাহকে কাছে পাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ﴾
আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন এবং তোমরা যা কিছু করে থাক, আল্লাহ তা দেখেন। (সূরা হাদীদ- ৪)
উপরের আয়াতগুলোর মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, আল্লাহ বান্দার সকল ডাক শুনতে পান। কারণ তিনি বান্দার অন্তরের খবর জানেন। তাই নীরবে বিনয়ের সাথে আল্লাহর কাছে দু‘আ করা উচিত।
৫. হাতের পেট সামনের দিকে রাখা :
মালিক ইবনে ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِذَا سَأَلْتُمُ اللهَ فَاسْأَلُوْهُ بِبُطُوْنِ أَكُفِّكُمْ وَلَا تَسْأَلُوْهُ بِظُهُوْرِهَا
যখন তোমরা আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইবে, তখন তোমরা তোমাদের হাতের পেট দিয়ে চাইবে এবং পিঠ দিয়ে চাইবে না। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৬৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০০১৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৫; মিশকাত, হা/২২৪২।]
১২ আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৬৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০০১৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৫; মিশকাত, হা/২২৪২।
৬. দু‘আর মাঝে আল্লাহর প্রশংসা ও নবীi cÖwZ দরূদ পাঠ করা :##
ফাযালা ইবনে উবাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ এক ব্যক্তিকে সালাতরত অবস্থায় দু‘আ করতে শুনলেন। কিমত্মু সে উক্ত দু‘আয় আল্লাহর গুণগান এবং নবী ﷺ এর উপর দরূদ পাঠ করল না। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, এ লোকটি তাড়াহুড়া করছে। তারপর তিনি তাকে ডাকলেন এবং বললেন, তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি সালাত পড়লে সে যেন তার রবের হামদ ও সানা দিয়ে আরম্ভ করে, তারপর নবীর উপর দরূদ পাঠ করে, অতঃপর নিজের পছন্দমতো দু‘আ করে। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৭; নাসাঈ, হা/১২৮৪।]
১৩ আবু দাঊদ, হা/১৪৮৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৭; নাসাঈ, হা/১২৮৪।
উল্লেখ্য যে, সূরা ফাতিহা হচ্ছে উত্তম প্রশংসা ও দু‘আ।
সূরা ফাতিহা :
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ‐ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ ‐ اَلرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ‐ مَالِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ ‐ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ ‐ اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ ‐ صِرَاطَ الَّذِيْنَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّآلِّيْنَ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহ্মা-নির রাহীম। আলহামদুলিল্লা-হি রাবিবল ‘আ-লামীন। আর রাহমা-নির রাহীম। মা-লিকিইয়াউ মিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতা‘য়ীন। ইহদিনাস সিরা-ত্বাল মুসতাক্বীম। সিরা-ত্বাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম। গাইরিল মাগযূবি ‘আলাইহিম ওয়ালায যা-ল্লীন।
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। যিনি পরম করুণাময় ও অতিশয় দয়ালু। যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক। আমরা শুধুমাত্র আপনারই ইবাদাত করি এবং আপনার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন; তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আপনার গযব নাযিল হয়েছে এবং তাদের পথও নয়, যারা পথভ্রষ্ট।
৭. আল্লাহর সিফাতী নাম দ্বারা দু‘আ করা :
﴿وَلِلّٰهِ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰى فَادْعُوْهُ بِهَا﴾
সুন্দর নামসমূহ আল্লাহর জন্যই। অতএব তোমরা সেসকল নামেই তাঁকে ডাকো। (সূরা আ‘রাফ- ১৮০)
﴿قُلِ ادْعُوا اللهَ أَوِ ادْعُوا الرَّحْمٰنَ أَيًّا مَّا تَدْعُوْا فَلَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰى﴾
বলো, তোমরা ‘আল্লাহ’ নামে ডাক বা ‘রহমান’ নামে ডাক, যে নামেই ডাক না কেন সকল সুন্দর নামই তাঁর। (সূরা বনী ইসরাঈল- ১১০)
এছাড়াও সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতে আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম উল্লেখ রয়েছে।
সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত :
﴿هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ ‐ - هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ ، سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ ‐ هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰى يُسَبِّحُ لَه مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ﴾
উচ্চারণ : হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি হুওয়ার রাহমা-নুর রাহীম। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, আল মালিকুল কুদ্দূসুস সালা-মুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আযীযুল জাববা-রুল মুতাকাবিবর। সুবহা-নাল্লাহি ‘আম্মা ইউশরিকূন। হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাউভিরু লাহুল আসমা-উল হুসনা। ইউসাবিবহু লাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল্আরযি ওয়াহুয়াল ‘আযীযুল হাকীম।
অর্থ : তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবুদ নেই, তিনি অদৃশ্য এবং দৃশ্যের সব কিছুই জানেন; তিনি দয়াময় ও পরম দয়ালু। তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবুদ নেই। তিনি অধিপতি, অতীব পবিত্র, পরিপূর্ণ শান্তিদাতা, নিরাপত্তা দানকারী, রক্ষক, পরাক্রমশালী, প্রবল, অতীব মহিমান্বিত, তার সাথে যা শরীক করা হয় তিনি তা হতে পবিত্র ও মহান। তিনিই আল্লাহ যিনি সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, সকল উত্তম নাম তাঁরই। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই তাঁর মহিমা ঘোষণা করে, তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাবান।
সূরা আলে ইমরানের ২৬ ও ২৭ নং আয়াতেও আল্লাহর সুন্দর নাম উল্লেখ রয়েছে।
﴿قُلِ اللّٰهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَآءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَآءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَآءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَآءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‐ تُوْلِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُوْلِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَآءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ﴾
উচ্চারণ : কুলিল্লা-হুম্মা মা-লিকাল্ মুলকি তু’তিল মুলকা মান তাশা-উ ওয়া তানযিউল মুলকা মিম্মানতাশা-উ ওয়াতু‘য়িযযু মান তাশা-উ ওয়াতুযিল্লু মান তাশা-উ বিইয়াদিকাল খাইর। ইন্নাকা ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। তূ-লিজুল লাইলা ফিন্নাহা-রি ওয়া তূ-লিজুন্নাহা-রা ফিল্লাইলি, ওয়া তুখরিজুল হাইয়া মিনাল মাইয়িতি ওয়া তুখরিজুল মাইয়িতা মিনাল হাইয়ি ওয়া তারযুকু মান তাশা-উ বিগাইরি হিসা-ব।
অর্থ : বলো, হে আল্লাহ! আপনি সমুদয় রাজ্যের মালিক, যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করেন আর যার থেকে ইচ্ছা রাজ্য কেড়ে নেন এবং যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন, আপনার হাতে সব কল্যাণ, নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। আপনিই রাতকে দিনের ভেতর আর দিনকে রাতের ভেতর প্রবেশ করান, আপনি জীবিতকে মৃত হতে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত হতে বের করেন আর যাকে ইচ্ছা অগণিত রিযিক দান করেন।
৮. ইসমে আ‘যম পড়ে দু‘আ করা :
আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদা (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন দেখলেন যে, এক ব্যক্তি সালাত আদায় করছে এবং এভাবে দু‘আ করছে-
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ بِأَنِّيْ أُشْهِدُكَ أَنَّكَ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ الْاَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নী উশহিদুকা আন্নাকা লা-ইলা-হা ইল্লা আনতাল আহাদুস সামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি এবং সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। আপনি একক ও অমুখাপেক্ষী। যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো কাছ থেকে জন্মলাভ করেননি, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।
এ দু‘আ শুনে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আল্লাহর কসম! সে ইসমে আ‘যম নিয়ে দু‘আ করছে- যার মাধ্যমে চাইলে চাওয়া পূর্ণ করা হয় এবং দু‘আ করলে দু‘আ কবুল করা হয়। [আবু দাঊদ, হা/১৪৯৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৫; মিশকাত, হা/২২৮৩।]
১৪ আবু দাঊদ, হা/১৪৯৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৫; মিশকাত, হা/২২৮৩।
৯. নেক আমলের অসীলা নিয়ে দু‘আ করা :
﴿مَنْ كَانَ يُرِيْدُ الْعِزَّةَ فَلِلّٰهِ الْعِزَّةُ جَمِيْعًا إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُه ﴾
যে ব্যক্তি সম্মান লাভ করতে চায় সে জেনে রাখুক যে, সকল সম্মান আল্লাহর জন্য। উত্তম বাক্যসমূহ তাঁর কাছে পৌঁছে থাকে। আর নেক কাজ তাকে উপরে তুলে দেয়। (সূরা ফাতির- ১০)
হাদীসে এসেছে, তিন ব্যক্তি একটি গর্তে আশ্রয় নিয়ে বিপদে পড়েছিল। পরে তারা পরস্পরকে বলাবলি করতে লাগল,
اُدْعُوا اللهَ بِأَفْضَلِ عَمَلٍ عَمِلْتُمُوْهُ
তোমরা জীবনে সবচেয়ে ভালো যে আমল করেছ, তার অসীলা নিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করো। তারা তাই করল, ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের দু‘আ কবুল করে তাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন। [সহীহ বুখারী, হা/২২১৫; সুনানুল কাবীর লিন নাসাঈ, হা/১১৮২৬।]
১৫ সহীহ বুখারী, হা/২২১৫; সুনানুল কাবীর লিন নাসাঈ, হা/১১৮২৬।
১০. দু‘আয় সীমালঙ্ঘন না করা :
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, এ উম্মতের মধ্যে এমন একদল লোক বের হবে, যারা দু‘আ এবং পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করবে। [আবু দাঊদ, হা/৯৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৭৬৩; জামেউস সগীর, হা/৪১৬১; মিশকাত, হা/৪১৮।]
১৬ আবু দাঊদ, হা/৯৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৭৬৩; জামেউস সগীর, হা/৪১৬১; মিশকাত, হা/৪১৮।
১১. সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ডাকা :
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি চায় যে, বিপদের সময় আল্লাহ তার দু‘আ কবুল করুক, সে যেন সুখের সময়ও আল্লাহকে ডাকে। [তিরমিযী, হা/৩৩৮২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৩৯৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৯৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬২৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৩; মিশকাত, হা/২২৪০।]
১৭ তিরমিযী, হা/৩৩৮২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৩৯৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৯৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬২৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৩; মিশকাত, হা/২২৪০।
মানুষ বিপদে পড়লে আল্লাহকে ডাকে, পরে ভুলে যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَإِذَا مَسَّ الْاِنْسَانَ الضُّرُّ دَعَانَا لِجَنْۢبِه ۤ أَوْ قَاعِدًا أَوْ قَآئِمًا فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُ ضُرَّهٗ مَرَّ كَأَنْ لَّمْ يَدْعُنَاۤ إِلٰى ضُرٍّ مَّسَّه ﴾
মহান আল্লাহ বলেন, মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন তারা শুয়ে, বসে ও দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকতে থাকে। অতঃপর যখন আমি তার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেই, তখন সে এমনভাবে চলাফেরা করে, মনে হয় যেন কোন বিপদে পড়ে সে আমাকে ডাকেনি। (সূরা ইউনুস- ১২)
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন,
﴿وَإِذَا مَسَّ النَّاسَ ضُرٌّ دَعَوْا رَبَّهُمْ مُّنِيْبِيْنَ إِلَيْهِ ثُمَّ إِذَاۤ أَذَاقَهُمْ مِّنْهُ رَحْمَةً إِذَا فَرِيْقٌ مِّنْهُمْ بِرَبِّهِمْ يُشْرِكُوْنَ﴾
মানুষকে যখন বিপদাপদ স্পর্শ করে তখন তারা তাদের প্রতিপালককে ডাকে তাঁর অভিমুখী হয়ে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে তাঁর রহমতের স্বাদ আস্বাদন করান তখন তাদের একদল তাদের প্রতিপালকের সাথে শিরক করে বসে। (সূরা রূম- ৩৩)
﴿وَإِذَاۤ أَنْعَمْنَا عَلَى الْاِنْسَانِ أَعْرَضَ وَنَاٰى بِجَانِبِه وَإِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ فَذُوْ دُعَآءٍ عَرِيْضٍ﴾
আর যখন আমি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি, তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং উল্টো দিকে ফিরে যায়, আবার যখন তাকে কোন অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে দীর্ঘ দু‘আ নিয়ে আমার সামনে হাজির হয়। (সূরা হা-মীম সাজদা- ৫১)
১২. আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা :
দু‘আ কবুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে, আল্লাহর কাছে বিনয় সহকারে কাকুতি-মিনতি করে দু‘আ করতে হবে। যদি চোখের পানি ফেলে দিয়ে বান্দা আল্লাহর কাছে কিছু চায়, তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তার দিকে মনোযোগ দেবেন। আমরা দেখি কোন সন্তান যখন কান্না করে, তখন মা দৌড়ে এসে তাকে কোলে নেয় এবং আদর করে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে মায়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। তাই বান্দা যখন তার কোন প্রয়োজন পূরণের জন্য অথবা বিপদ থেকে মুক্তি লাভের জন্য কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে, তখন আল্লাহর রহমত তার দিকে অগ্রসর হয়। নবী ﷺ এবং সাহাবীরা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কান্না করতেন। যেমন নিচের আয়াত ও হাদীসগুলোতে আমরা তার প্রমাণ পাই।
১. আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাবের কিছু লোকের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন,
﴿وَيَخِرُّوْنَ لِلْاَذْقَانِ يَبْكُوْنَ وَيَزِيْدُهُمْ خُشُوْعًا﴾
আর তারা কাঁদতে কাঁদতে ভূমিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ১০৯)
২. কুরআন শোনার পর কান্না করার জন্য উৎসাহ দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿أَفَمِنْ هٰذَا الْحَدِيْثِ تَعْجَبُوْنَ ‐ - وَتَضْحَكُوْنَ وَلَا تَبْكُوْنَ﴾
তোমরা কি এ বাণী সম্পর্কে আশ্চর্যবোধ করছ? হাসছ অথচ কাঁদছ না।
(সূরা নাজম- ৫৯, ৬০)
৩. ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, দুটি চোখ জাহান্নামে প্রবেশ করবে না : ১. যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কাঁদে এবং ২. যে চোখ জিহাদের ময়দানে পাহাড়া দেয়। [তিরমিযী, হা/১৬৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২৫২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৪৩৪৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৪৩০; শারহুস সুন্নাহ, হা/২৬২০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৩২২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৭৩; জামেউস সগীর, হা/৬৩৩৮; মিশকাত, হা/৩৭২৯।]
১৮ তিরমিযী, হা/১৬৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২৫২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৪৩৪৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৪৩০; শারহুস সুন্নাহ, হা/২৬২০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৩২২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৭৩; জামেউস সগীর, হা/৬৩৩৮; মিশকাত, হা/৩৭২৯
৪. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ছায়ায় স্থান দেবেন যেদিন তার ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া থাকবে না। তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি হচ্ছে, যে নির্জনে আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ করে এবং তার দু’চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত করে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭০৯; সহীহ বুখারী, হা/৬৬০; সহীহ মুসলিম, হা/২৪২৭; তিরমিযী, হা/২৩৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৬৬৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৩৫৮; মিশকাত, হা/৭০১।]
১৯ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭০৯; সহীহ বুখারী, হা/৬৬০; সহীহ মুসলিম, হা/২৪২৭; তিরমিযী, হা/২৩৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৬৬৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৩৫৮; মিশকাত, হা/৭০১।
৫. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী ﷺ বললেন, আমাকে কুরআন পড়ে শোনাও। আমি বললাম, আপনাকে কুরআন শোনাব? অথচ আপনার উপর কুরআন নাযিল হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, অন্যের কাছ থেকে কুরআন শুনতে আমি পছন্দ করি। অতঃপর আমি সূরা নিসা পাঠ করে তাঁকে শোনাতে থাকলাম। যখন এ আয়াতে পৌঁছলাম-
﴿فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ ۢبِشَهِيْدٍ وَّجِئْنَا بِكَ عَلٰى هٰۤؤُلَآءِ شَهِيْدًا﴾
তখন কী অবস্থা হবে যখন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী নিয়ে আসব। আর আপনাকে তাদের সকলের উপর সাক্ষী হিসেবে দাঁড় করাব। [সূরা নিসা- ৪১।]
তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, যথেষ্ট হয়েছে। আর আমি তাকিয়ে দেখলাম যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। [সহীহ বুখারী, হা/৫০৫০; সহীহ মুসলিম, হা/১৯০৩; তিরমিযী, হা/৩০২৫; ইবনে মাজাহ, হা/৪১৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৩০; মিশকাত, হা/২৭৬০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭১৭;।]
২০ সূরা নিসা- ৪১।
২১ সহীহ বুখারী, হা/৫০৫০; সহীহ মুসলিম, হা/১৯০৩; তিরমিযী, হা/৩০২৫; ইবনে মাজাহ, হা/৪১৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৩০; মিশকাত, হা/২৭৬০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭১৭;।
৬. ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মৃত্যু যন্ত্রণা বেড়ে গেল, তখন তিনি বললেন, আবু বকরকে বলো- মানুষকে নিয়ে সালাত আদায় করতে। এ কথা শুনে আয়েশা (রাঃ) বললেন, আবু বকর আপনার স্থানে দাঁড়ালে কান্না করার কারণে মানুষকে কিছুই শোনাতে পারবেন না। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪১২; সহীহ বুখারী, হা/৬৭৯; তিরমিযী, হা/৩৬৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬৯১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৮৭৪; বায়হাকী, হা/১৬৩৫৯।]
২২ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪১২; সহীহ বুখারী, হা/৬৭৯; তিরমিযী, হা/৩৬৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬৯১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৮৭৪; বায়হাকী, হা/১৬৩৫৯।
৭. একদা আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ) এর নিকট খানা নিয়ে আসা হলো। তখন তিনি সিয়ামরত ছিলেন। অতঃপর বললেন, মাস‘আব ইবনে উমাইর শাহাদাত বরণ করেছিলেন, তিনি আমার চেয়ে উত্তম ছিলেন। তাকে কাফন পরানোর জন্য তার চাদরটি ব্যতীত অন্য কিছু পাওয়া যায়নি। মাথা ঢাকা হলে পা বেরিয়ে যেত আর পা ঢাকা হলে মাথা বেরিয়ে যেত। তারপর আমাদের জন্য দুনিয়া প্রশস্ত করে দেয়া হলো। আমি ভয় করছি আমাদের নেক আমলের সওয়াব দুনিয়াতেই পেয়ে যাচ্ছি কি না। এ কথা বলার পর খাবার রেখে তিনি কান্না শুরু করে দিলেন। [সহীহ বুখারী, হা/১২৭৫; বায়হাকী, হা/৬৪৭৫।]
২৩ সহীহ বুখারী, হা/১২৭৫; বায়হাকী, হা/৬৪৭৫।
৮. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ইন্তেকালের পর আবু বকর (রাঃ) উমর (রাঃ) কে বললেন, চলুন আমরা উম্মে আইমানের কাছে যাই, যেভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে দেখতে যেতেন। যখন তারা তার কাছে গেলেন তখন ঐ মহিলা কান্না করছিলেন। তারা তাকে বললেন তুমি কাঁদছ কেন? রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য আল্লাহর কাছে যা আছে তা অনেক উত্তম। তিনি বললেন, আমি এজন্য কান্না করছি না, আমি জানি আল্লাহর কাছে যা আছে তা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য উত্তম; বরং আমি কান্না করছি এজন্য যে, আসমান থেকে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ কথা শুনে তারা দু’জনও কাঁদতে লাগলেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৭২; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৩৫; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৯; বায়হাকী, হা/১৩৩১৪; মিশকাত, হা/৫৯৬৭।]
২৪ সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৭২; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৩৫; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৯; বায়হাকী, হা/১৩৩১৪; মিশকাত, হা/৫৯৬৭।
১. হালাল উপার্জন করা :
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - : أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا وَّإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِيْنَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِيْنَ ، فَقَالَ ﴿ يَاۤ أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوْا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوْا صَالِحًا إِنِّىْ بِمَا تَعْمَلُوْنَ عَلِيْمٌ﴾ وَقَالَ ﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا كُلُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ﴾ ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيْلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَطْعَمُه حَرَامٌ وَمَشْرَبُه حَرَامٌ وَمَلْبَسُه حَرَامٌ وَغُذِىَ بِالْحَرَامِ فَأَنّٰى يُسْتَجَابُ لِذٰلِكَ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, হে লোক সকল! নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র ছাড়া কোন কিছু গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা‘আলা নবীদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুমিনদেরকেও সে নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন, ‘‘হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র জিনিস খাও এবং নেক আমল করো। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে বিষয়ে আমি অবগত আছি’’। [সূরা মুমিন- ৫১।] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন, হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দান করেছি তা থেকে পবিত্র জিনিস খাও। অতঃপর তিনি এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে দীর্ঘ সফর করে, এলোমেলো কেশবিশিষ্ট, ধূলোয় মলিন শরীর; সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, হে আমার রব! হে আমার রব! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক হারাম এবং হারামের দ্বারা সে প্রতিপালিত হয়েছে, সুতরাং কীভাবে তার দু‘আ কবুল হবে। [সহীহ মুসলিম, হা/২৩৯৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৩০; দারেমী, হা/২৭১৭; মুসনাদে ইবনে জা‘দ, হা/২০০৯।]
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
كُلُّ لَحْمٍ وَدَمٍ نَبَتَا مِنْ سُحْتٍ فَالنَّارُ أَوْلٰى بِهِمَا
যে মাংস ও রক্ত (শরীর) হারাম দ্বারা প্রতিপালিত, তার জন্য জাহান্নামের আগুনই উপযুক্ত। [মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৫৬৯২; মু‘জামুল আওসাত, হা/২৭৩০।]
উপরের হাদীস থেকে আমরা যা জানতে পারলাম তা হলো :
১. আল্লাহ তা‘আলা নিজে পবিত্র।
২. তিনি কেবল পবিত্র জিনিসকে কবুল করে থাকেন।
৩. সকল নবী ও ঈমানদারকে হালাল খাদ্য খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
৪. ইবাদাত কবুল হওয়ার জন্য হালাল রিযিক খাওয়া পূর্বশর্ত।
৫. হারাম খাদ্য খেলে দু‘আ কবুল হয় না।
২৫ সূরা মুমিন- ৫১।
২৬ সহীহ মুসলিম, হা/২৩৯৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৩০; দারেমী, হা/২৭১৭; মুসনাদে ইবনে জা‘দ, হা/২০০৯।
২৭ মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৫৬৯২; মু‘জামুল আওসাত, হা/২৭৩০।
২. মনোযোগী হয়ে দু‘আ করা :
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : اُدْعُوا اللهَ وَأَنْتُمْ مُوْقِنُوْنَ بِالْإِجَابَةِ وَاعْلَمُوْا أَنَّ اللهَ لَا يَسْتَجِيْبُ دُعَاءَ مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لَاهٍ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কবুল হওয়ার আশা ও বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করো। জেনে রেখো, অমনোযোগী অন্তরের দু‘আ আল্লাহ তা‘আলা কবুল করেন না। [তিরমিযী, হা/৩৪৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/১০০৬১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৯২; মিশকাত, হা/২২৪১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৪।]
২৮ তিরমিযী, হা/৩৪৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/১০০৬১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৯২; মিশকাত, হা/২২৪১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৪।
৩. দু‘আ কবুলের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া না করা :
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : يُسْتَجَابُ لِاَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ يَقُوْلُ : دَعَوْتُ فَلَمْ يُسْتَجَبْ لِيْ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ দু‘আ করলে তা কবুল করা হয় যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়া করে এবং বলতে থাকে- আমি দু‘আ করলাম অথচ আমার দু‘আ কবুল হলো না। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৭; সহীহ বুখারী, হা/৬৩৪০; সহীহ মুসলিম, হা/৭১১০; আবু দাঊদ, হা/১৪৮৬; তিরমিযী, হা/৩৩৮৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯১৩৭।]
এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, দু‘আ যেকোন সময় আল্লাহ কবুল করতে পারেন। কখনো দ্রুত আবার কখনো বিলম্বে দু‘আ কবুল হয়। তাই দু‘আ কবুল হতে বিলম্ব হলে আফসোস করা যাবে না এবং বলা যাবে না যে, আমি দু‘আ করলাম কিমত্মু কবুল হলো না।
২৯ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৭; সহীহ বুখারী, হা/৬৩৪০; সহীহ মুসলিম, হা/৭১১০; আবু দাঊদ, হা/১৪৮৬; তিরমিযী, হা/৩৩৮৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯১৩৭।
৪. দু‘আয় অন্যায় কিছু না চাওয়া :
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ - - أَنَّه قَالَ لَا يَزَالُ يُسْتَجَابُ لِلْعَبْدِ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيْعَةِ رَحِمٍ مَا لَمْ يَسْتَعْجِلْ قِيْلَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا الْإِسْتِعْجَالُ قَالَ يَقُوْلُ قَدْ دَعَوْتُ وَقَدْ دَعَوْتُ فَلَمْ أَرَ يُسْتَجَابُ لِىْ فَيَسْتَحْسِرُ عِنْدَ ذٰلِكَ وَيَدَعُ الدُّعَاءَ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, বান্দার দু‘আ কবুল হয়- যদি তার দু‘আ কোন গোনাহের কাজের উদ্দেশ্যে না হয় অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য না হয়, আর যদি সে তাড়াহুড়া না করে। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! তাড়াহুড়া কীভাবে হয়? তিনি বললেন, সে বলে, আমি দু‘আ করলাম কিমত্মু কবুল হলো না- এভাবে আফসোস করতে থাকে এবং দু‘আ করা ছেড়ে দেয়। [সহীহ মুসলিম, হা/৭১১২; বায়হাকী, হা/৬২২২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৯৭৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৪৯; জামেউস সগীর, হা/১৩৬৬৩।]
এ হাদীস দ্বারা জানা যাচ্ছে যে, কোন পাপ কাজের জন্য দু‘আ করা যাবে না। দুনিয়া ও আখিরাতের যেসব বিষয়ে কল্যাণ রয়েছে, কেবল সেসব বিষয়ে দু‘আ করতে হবে।
৩০ সহীহ মুসলিম, হা/৭১১২; বায়হাকী, হা/৬২২২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৯৭৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৪৯; জামেউস সগীর, হা/১৩৬৬৩।
৫. সর্বক্ষেত্রে ইসলামের বিধান পালন করা :
عَنْ أَبِيْ مُوْسٰى عَنِ النَّبِيِّ ثَلَاثَةٌ يَدْعُوْنَ فَلَا يُسْتَجَابُ لَهُمْ : رَجُلٌ كَانَتْ تَحْتَه اِمْرَأَةٌ سَيِّئَةُ الْخُلُقِ فَلَمْ يُطَلِّقْهَا وَرَجُلٌ كَانَ لَه عَلٰى رَجُلٍ ماَلٌ فَلَمْ يُشْهِدْ عَلَيْهِ وَرَجُلٌ اٰتٰى سَفِيْهًا مَالَه وَقَدْ قَالَ الله ُعَزَّ وَجَلَّ ﴿وَلَا تُؤْتُوْا السُّفَهَآءَ أَمْوَالَكُمْ﴾
আবু মূসা (রাঃ) নবী (সাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তিন ব্যক্তির দু‘আ কবুল হয় না- ১. যার অধীনে অসৎ স্ত্রী আছে, অথচ সে তাকে ত্যাগ করে না। ২. ঐ ব্যক্তি যে কারো কাছে সম্পদ রাখল, অথচ তার উপর সে কোন সাক্ষী রাখল না। ৩. যে ব্যক্তি তার সম্পদকে নির্বোধদের হাতে তুলে দেয়, অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তোমরা নির্বোধদের হাতে তোমাদের মাল তুলে দিও না’। [সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/২১০২২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩১৮১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/১৭১৪৪; সিলসিলা সহীহাহ হা/১৮০৫।]
এ হাদীসটিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রয়েছে। আমরা অনেকেই নিজেদের আমল ভালো করার চেষ্টা করি, অথচ নিজ পরিবার সম্পর্কে উদাসীন থাকি। নিজের স্ত্রী ও সন্তানরা দ্বীনের পথে আছে কিনা সে দিকে খেয়ালই দেই না। তাই আল্লাহর দরবারে আমাদের দু‘আ কবুল হওয়ার জন্য পরিবারকেও দ্বীনের উপর চালানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। তারপর বলা হচ্ছে লেনদেনের ব্যাপারটি। লেনদেনের ব্যাপারে অবশ্যই আমাদেরকে স্বচ্ছ এবং সচেতন থাকতে হবে। দেনা-পাওনার বিষয়ে যাতে কারো হক নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আল্লাহ আমাদেরকে যে ধনসম্পদ দান করেছেন তা হচ্ছে আমানত। যেখানে সেখানে মাল খরচ করা যাবে না এবং অন্যায়ের কাজে সম্পদ ব্যয় করা যাবে না। সমাজের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, এ তিনটি বিষয়েই আমরা উদাসীনতার মধ্যে আছি। অথচ এ বিষয়গুলো দু‘আ কবুলের অন্তরায়। তাই আমাদেরকে পরিবারের ব্যাপারে, লেনদেনের ব্যাপারে এবং সম্পদ জমা-খরচ করার ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন!
৩১ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/২১০২২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩১৮১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/১৭১৪৪; সিলসিলা সহীহাহ হা/১৮০৫।
৬. সৎ কাজের আদেশ ও অসৎকাজ হতে নিষেধ করা :
عَنْ حُذَيْفَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ : وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِه لَتَأْمُرُنَّ بِالْمَعْرُوْفِ وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ، أَوْ لَيُوْشِكَنَّ اللهُ أَنْ يَّبْعَثَ عَلَيْكُمْ عِقَابًا مِنْهُ ثُمَّ تَدْعُوْنَهٗ فَلَا يُسْتَجَابُ لَكُمْ
হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ হতে নিষেধ করবে। নতুবা অচিরেই তোমাদের নিকট আল্লাহ শাস্তি পাঠাবেন। অতঃপর তোমরা তাঁর কাছে দু‘আ করবে কিমত্মু দু‘আ কবুল হবে না। [তিরমিযী, হা/২১৬৯; ইবনে মাজাহ, হা/৪০০৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৩৭৫; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪১৫৪।]
এ মর্মে আয়েশা (রাঃ) হতে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত আছে, হে লোক সকল! আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে বলেছেন, তোমরা সৎ কাজের আদেশ করো এবং অসৎকাজ হতে নিষেধ করো। নতুবা তোমরা আমার কাছে দু‘আ করবে, কিমত্মু আমি তা কবুল করব না; আমার কাছে চাইবে কিমত্মু আমি তা দেব না এবং আমার কাছে সাহায্য চাইবে, কিমত্মু আমি সাহায্য করব না। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫২৯৪; ইবনে মাজাহ, হা/৪০০৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৯০; বায়হাকী, হা/১৯৯৮৭; মুসনাদে ইসহাক ইবনে রাহওয়াই, হা/৮৬৪।]
৩২ তিরমিযী, হা/২১৬৯; ইবনে মাজাহ, হা/৪০০৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৩৭৫; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪১৫৪।
৩৩ মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫২৯৪; ইবনে মাজাহ, হা/৪০০৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৯০; বায়হাকী, হা/১৯৯৮৭; মুসনাদে ইসহাক ইবনে রাহওয়াই, হা/৮৬৪।
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ - : أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا وَّإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِيْنَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِيْنَ ، فَقَالَ ﴿ يَاۤ أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوْا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوْا صَالِحًا إِنِّىْ بِمَا تَعْمَلُوْنَ عَلِيْمٌ﴾ وَقَالَ ﴿يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا كُلُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ﴾ ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيْلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ يَا رَبِّ يَا رَبِّ وَمَطْعَمُه حَرَامٌ وَمَشْرَبُه حَرَامٌ وَمَلْبَسُه حَرَامٌ وَغُذِىَ بِالْحَرَامِ فَأَنّٰى يُسْتَجَابُ لِذٰلِكَ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, হে লোক সকল! নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র ছাড়া কোন কিছু গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা‘আলা নবীদেরকে যে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুমিনদেরকেও সে নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন, ‘‘হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র জিনিস খাও এবং নেক আমল করো। নিশ্চয় তোমরা যা কর সে বিষয়ে আমি অবগত আছি’’। [সূরা মুমিন- ৫১।] আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন, হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দান করেছি তা থেকে পবিত্র জিনিস খাও। অতঃপর তিনি এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন যে দীর্ঘ সফর করে, এলোমেলো কেশবিশিষ্ট, ধূলোয় মলিন শরীর; সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, হে আমার রব! হে আমার রব! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক হারাম এবং হারামের দ্বারা সে প্রতিপালিত হয়েছে, সুতরাং কীভাবে তার দু‘আ কবুল হবে। [সহীহ মুসলিম, হা/২৩৯৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৩০; দারেমী, হা/২৭১৭; মুসনাদে ইবনে জা‘দ, হা/২০০৯।]
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
كُلُّ لَحْمٍ وَدَمٍ نَبَتَا مِنْ سُحْتٍ فَالنَّارُ أَوْلٰى بِهِمَا
যে মাংস ও রক্ত (শরীর) হারাম দ্বারা প্রতিপালিত, তার জন্য জাহান্নামের আগুনই উপযুক্ত। [মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৫৬৯২; মু‘জামুল আওসাত, হা/২৭৩০।]
উপরের হাদীস থেকে আমরা যা জানতে পারলাম তা হলো :
১. আল্লাহ তা‘আলা নিজে পবিত্র।
২. তিনি কেবল পবিত্র জিনিসকে কবুল করে থাকেন।
৩. সকল নবী ও ঈমানদারকে হালাল খাদ্য খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
৪. ইবাদাত কবুল হওয়ার জন্য হালাল রিযিক খাওয়া পূর্বশর্ত।
৫. হারাম খাদ্য খেলে দু‘আ কবুল হয় না।
২৫ সূরা মুমিন- ৫১।
২৬ সহীহ মুসলিম, হা/২৩৯৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৩০; দারেমী, হা/২৭১৭; মুসনাদে ইবনে জা‘দ, হা/২০০৯।
২৭ মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৫৬৯২; মু‘জামুল আওসাত, হা/২৭৩০।
২. মনোযোগী হয়ে দু‘আ করা :
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : اُدْعُوا اللهَ وَأَنْتُمْ مُوْقِنُوْنَ بِالْإِجَابَةِ وَاعْلَمُوْا أَنَّ اللهَ لَا يَسْتَجِيْبُ دُعَاءَ مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لَاهٍ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কবুল হওয়ার আশা ও বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করো। জেনে রেখো, অমনোযোগী অন্তরের দু‘আ আল্লাহ তা‘আলা কবুল করেন না। [তিরমিযী, হা/৩৪৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/১০০৬১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৯২; মিশকাত, হা/২২৪১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৪।]
২৮ তিরমিযী, হা/৩৪৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/১০০৬১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৯২; মিশকাত, হা/২২৪১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৪।
৩. দু‘আ কবুলের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া না করা :
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ : يُسْتَجَابُ لِاَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ يَقُوْلُ : دَعَوْتُ فَلَمْ يُسْتَجَبْ لِيْ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ দু‘আ করলে তা কবুল করা হয় যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়া করে এবং বলতে থাকে- আমি দু‘আ করলাম অথচ আমার দু‘আ কবুল হলো না। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৭; সহীহ বুখারী, হা/৬৩৪০; সহীহ মুসলিম, হা/৭১১০; আবু দাঊদ, হা/১৪৮৬; তিরমিযী, হা/৩৩৮৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯১৩৭।]
এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, দু‘আ যেকোন সময় আল্লাহ কবুল করতে পারেন। কখনো দ্রুত আবার কখনো বিলম্বে দু‘আ কবুল হয়। তাই দু‘আ কবুল হতে বিলম্ব হলে আফসোস করা যাবে না এবং বলা যাবে না যে, আমি দু‘আ করলাম কিমত্মু কবুল হলো না।
২৯ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৭; সহীহ বুখারী, হা/৬৩৪০; সহীহ মুসলিম, হা/৭১১০; আবু দাঊদ, হা/১৪৮৬; তিরমিযী, হা/৩৩৮৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯১৩৭।
৪. দু‘আয় অন্যায় কিছু না চাওয়া :
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ - - أَنَّه قَالَ لَا يَزَالُ يُسْتَجَابُ لِلْعَبْدِ مَا لَمْ يَدْعُ بِإِثْمٍ أَوْ قَطِيْعَةِ رَحِمٍ مَا لَمْ يَسْتَعْجِلْ قِيْلَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا الْإِسْتِعْجَالُ قَالَ يَقُوْلُ قَدْ دَعَوْتُ وَقَدْ دَعَوْتُ فَلَمْ أَرَ يُسْتَجَابُ لِىْ فَيَسْتَحْسِرُ عِنْدَ ذٰلِكَ وَيَدَعُ الدُّعَاءَ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, বান্দার দু‘আ কবুল হয়- যদি তার দু‘আ কোন গোনাহের কাজের উদ্দেশ্যে না হয় অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য না হয়, আর যদি সে তাড়াহুড়া না করে। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! তাড়াহুড়া কীভাবে হয়? তিনি বললেন, সে বলে, আমি দু‘আ করলাম কিমত্মু কবুল হলো না- এভাবে আফসোস করতে থাকে এবং দু‘আ করা ছেড়ে দেয়। [সহীহ মুসলিম, হা/৭১১২; বায়হাকী, হা/৬২২২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৯৭৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৪৯; জামেউস সগীর, হা/১৩৬৬৩।]
এ হাদীস দ্বারা জানা যাচ্ছে যে, কোন পাপ কাজের জন্য দু‘আ করা যাবে না। দুনিয়া ও আখিরাতের যেসব বিষয়ে কল্যাণ রয়েছে, কেবল সেসব বিষয়ে দু‘আ করতে হবে।
৩০ সহীহ মুসলিম, হা/৭১১২; বায়হাকী, হা/৬২২২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৯৭৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৪৯; জামেউস সগীর, হা/১৩৬৬৩।
৫. সর্বক্ষেত্রে ইসলামের বিধান পালন করা :
عَنْ أَبِيْ مُوْسٰى عَنِ النَّبِيِّ ثَلَاثَةٌ يَدْعُوْنَ فَلَا يُسْتَجَابُ لَهُمْ : رَجُلٌ كَانَتْ تَحْتَه اِمْرَأَةٌ سَيِّئَةُ الْخُلُقِ فَلَمْ يُطَلِّقْهَا وَرَجُلٌ كَانَ لَه عَلٰى رَجُلٍ ماَلٌ فَلَمْ يُشْهِدْ عَلَيْهِ وَرَجُلٌ اٰتٰى سَفِيْهًا مَالَه وَقَدْ قَالَ الله ُعَزَّ وَجَلَّ ﴿وَلَا تُؤْتُوْا السُّفَهَآءَ أَمْوَالَكُمْ﴾
আবু মূসা (রাঃ) নবী (সাঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তিন ব্যক্তির দু‘আ কবুল হয় না- ১. যার অধীনে অসৎ স্ত্রী আছে, অথচ সে তাকে ত্যাগ করে না। ২. ঐ ব্যক্তি যে কারো কাছে সম্পদ রাখল, অথচ তার উপর সে কোন সাক্ষী রাখল না। ৩. যে ব্যক্তি তার সম্পদকে নির্বোধদের হাতে তুলে দেয়, অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘তোমরা নির্বোধদের হাতে তোমাদের মাল তুলে দিও না’। [সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/২১০২২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩১৮১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/১৭১৪৪; সিলসিলা সহীহাহ হা/১৮০৫।]
এ হাদীসটিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা রয়েছে। আমরা অনেকেই নিজেদের আমল ভালো করার চেষ্টা করি, অথচ নিজ পরিবার সম্পর্কে উদাসীন থাকি। নিজের স্ত্রী ও সন্তানরা দ্বীনের পথে আছে কিনা সে দিকে খেয়ালই দেই না। তাই আল্লাহর দরবারে আমাদের দু‘আ কবুল হওয়ার জন্য পরিবারকেও দ্বীনের উপর চালানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। তারপর বলা হচ্ছে লেনদেনের ব্যাপারটি। লেনদেনের ব্যাপারে অবশ্যই আমাদেরকে স্বচ্ছ এবং সচেতন থাকতে হবে। দেনা-পাওনার বিষয়ে যাতে কারো হক নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আল্লাহ আমাদেরকে যে ধনসম্পদ দান করেছেন তা হচ্ছে আমানত। যেখানে সেখানে মাল খরচ করা যাবে না এবং অন্যায়ের কাজে সম্পদ ব্যয় করা যাবে না। সমাজের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, এ তিনটি বিষয়েই আমরা উদাসীনতার মধ্যে আছি। অথচ এ বিষয়গুলো দু‘আ কবুলের অন্তরায়। তাই আমাদেরকে পরিবারের ব্যাপারে, লেনদেনের ব্যাপারে এবং সম্পদ জমা-খরচ করার ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন!
৩১ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/২১০২২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩১৮১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/১৭১৪৪; সিলসিলা সহীহাহ হা/১৮০৫।
৬. সৎ কাজের আদেশ ও অসৎকাজ হতে নিষেধ করা :
عَنْ حُذَيْفَةَ عَنِ النَّبِيِّ قَالَ : وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِه لَتَأْمُرُنَّ بِالْمَعْرُوْفِ وَلَتَنْهَوُنَّ عَنِ الْمُنْكَرِ، أَوْ لَيُوْشِكَنَّ اللهُ أَنْ يَّبْعَثَ عَلَيْكُمْ عِقَابًا مِنْهُ ثُمَّ تَدْعُوْنَهٗ فَلَا يُسْتَجَابُ لَكُمْ
হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! তোমরা অবশ্যই সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ হতে নিষেধ করবে। নতুবা অচিরেই তোমাদের নিকট আল্লাহ শাস্তি পাঠাবেন। অতঃপর তোমরা তাঁর কাছে দু‘আ করবে কিমত্মু দু‘আ কবুল হবে না। [তিরমিযী, হা/২১৬৯; ইবনে মাজাহ, হা/৪০০৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৩৭৫; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪১৫৪।]
এ মর্মে আয়েশা (রাঃ) হতে মারফু‘ সূত্রে বর্ণিত আছে, হে লোক সকল! আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে বলেছেন, তোমরা সৎ কাজের আদেশ করো এবং অসৎকাজ হতে নিষেধ করো। নতুবা তোমরা আমার কাছে দু‘আ করবে, কিমত্মু আমি তা কবুল করব না; আমার কাছে চাইবে কিমত্মু আমি তা দেব না এবং আমার কাছে সাহায্য চাইবে, কিমত্মু আমি সাহায্য করব না। [মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫২৯৪; ইবনে মাজাহ, হা/৪০০৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৯০; বায়হাকী, হা/১৯৯৮৭; মুসনাদে ইসহাক ইবনে রাহওয়াই, হা/৮৬৪।]
৩২ তিরমিযী, হা/২১৬৯; ইবনে মাজাহ, হা/৪০০৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৩৭৫; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪১৫৪।
৩৩ মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫২৯৪; ইবনে মাজাহ, হা/৪০০৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৯০; বায়হাকী, হা/১৯৯৮৭; মুসনাদে ইসহাক ইবনে রাহওয়াই, হা/৮৬৪।
১. আরাফার মাঠ :
عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ : كُنْتُ رَدِيْفَ النَّبِيِّ بِعَرَفَاتٍ ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ يَدْعُو ، فَمَالَتْ بِه نَاقَتُهٗ ، فَسَقَطَ خِطَامُهَا فَتَنَاوَلَ الْخِطَامَ بِإِحْدٰى يَدَيْهِ ، وَهُوَ رَافِعٌ يَدَهُ الْأُخْرٰى
উসামা বিন যায়েদ (রাঃ) বলেন, আমি আরাফার মাঠে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সওয়ারীর পেছনে ছিলাম, তিনি সেখানে দু’হাত তুলে দু‘আ করলেন। অতঃপর তার উটনী তাকে নিয়ে ঝুঁকে পড়ল। ফলে তার লাগাম পড়ে গেল। তারপর তিনি এক হাত দিয়ে তার লাগাম উত্তোলন করলেন; কিমত্মু তার অপর হাত উঠানোই ছিল। [নাসাঈ, হা/৩০১১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৮৭০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৮২৪।]
৩৪ নাসাঈ, হা/৩০১১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৮৭০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৮২৪।
২. সাফা-মারওয়া পাহাড়ের উপর :
জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সাফা পাহাড়ের উপর উঠে আল্লাহর প্রশংসা করলেন অতঃপর তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী দু‘আ করলেন। অনুরূপভাবে মারওয়া পাহাড়ে উঠে আল্লাহর প্রশংসা করলেন, অতঃপর ইচ্ছানুযায়ী দু‘আ করলেন। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৮৩০; নাসাঈ, হা/২৯৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫২১০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৮৪২।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ মক্কায় প্রবেশ করে হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) এর পাশে এসে পাথরটিকে চুম্বন করলেন। অতঃপর বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলেন এবং সাফা পাহাড়ে উঠে বায়তুল্লাহর দিকে মুখ করে হাত তুলে দু‘আ, যিকির ও প্রার্থনা করলেন। [আবু দাঊদ, হা/১৮৭৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০৯৬১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৭৫৮; মিশকাত, হা/২৫৭৫।]
৩৫ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৮৩০; নাসাঈ, হা/২৯৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫২১০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৮৪২।
৩৬ আবু দাঊদ, হা/১৮৭৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০৯৬১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৭৫৮; মিশকাত, হা/২৫৭৫।
عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ : كُنْتُ رَدِيْفَ النَّبِيِّ بِعَرَفَاتٍ ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ يَدْعُو ، فَمَالَتْ بِه نَاقَتُهٗ ، فَسَقَطَ خِطَامُهَا فَتَنَاوَلَ الْخِطَامَ بِإِحْدٰى يَدَيْهِ ، وَهُوَ رَافِعٌ يَدَهُ الْأُخْرٰى
উসামা বিন যায়েদ (রাঃ) বলেন, আমি আরাফার মাঠে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সওয়ারীর পেছনে ছিলাম, তিনি সেখানে দু’হাত তুলে দু‘আ করলেন। অতঃপর তার উটনী তাকে নিয়ে ঝুঁকে পড়ল। ফলে তার লাগাম পড়ে গেল। তারপর তিনি এক হাত দিয়ে তার লাগাম উত্তোলন করলেন; কিমত্মু তার অপর হাত উঠানোই ছিল। [নাসাঈ, হা/৩০১১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৮৭০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৮২৪।]
৩৪ নাসাঈ, হা/৩০১১; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৮৭০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৮২৪।
২. সাফা-মারওয়া পাহাড়ের উপর :
জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সাফা পাহাড়ের উপর উঠে আল্লাহর প্রশংসা করলেন অতঃপর তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী দু‘আ করলেন। অনুরূপভাবে মারওয়া পাহাড়ে উঠে আল্লাহর প্রশংসা করলেন, অতঃপর ইচ্ছানুযায়ী দু‘আ করলেন। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৮৩০; নাসাঈ, হা/২৯৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫২১০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৮৪২।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ মক্কায় প্রবেশ করে হাজরে আসওয়াদ (কালো পাথর) এর পাশে এসে পাথরটিকে চুম্বন করলেন। অতঃপর বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করলেন এবং সাফা পাহাড়ে উঠে বায়তুল্লাহর দিকে মুখ করে হাত তুলে দু‘আ, যিকির ও প্রার্থনা করলেন। [আবু দাঊদ, হা/১৮৭৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০৯৬১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৭৫৮; মিশকাত, হা/২৫৭৫।]
৩৫ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৮৩০; নাসাঈ, হা/২৯৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫২১০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩৮৪২।
৩৬ আবু দাঊদ, হা/১৮৭৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০৯৬১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৭৫৮; মিশকাত, হা/২৫৭৫।
১. সিয়ামরত অবস্থায় দু‘আ কবুল হয় :
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তিন শ্রেণির লোকের দু‘আ ফেরত দেয়া হয় না। তন্মধ্যে একজন হচ্ছে সিয়াম পালনকারী, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ইফতার করে। [তিরমিযী, হা/৩৫৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৮৩২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৯০১; বায়হাকী, হা/৬১৮৬; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৯৫।]
৩৭ তিরমিযী, হা/৩৫৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৮৩২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৯০১; বায়হাকী, হা/৬১৮৬; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৯৫।
২. জুমু‘আর দিনে দু‘আ কবুল হয় :
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ ذَكَرَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَالَ فِيهِ سَاعَةٌ لَا يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهْوَ قَائِمٌ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ تَعَالَى شَيْئًا إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ وَأَشَارَ بِيَدِهِ يُقَلِّلُهَا .
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ জুমু‘আর দিন সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, সেদিন এমন একটি সময় রয়েছে, ঐ সময় যদি কোন মুসলিম বান্দা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে কোন কিছু প্রার্থনা করে তবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে তা দান করেন। আর তিনি হাতে ইশারা করে বুঝালেন যে, এ সময়টি অতি অল্প। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৬৪০; সহীহ বুখারী, হা/৯৩৫; সহীহ মুসলিম, হা/২০০৬; নাসাঈ, হা/১৪৩১; তিরমিযী, হা/৪৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭১৫১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৭০০; জামেউস সগীর, হা/৩৮৮৩; মিশকাত, হা/১৩৫৭।]
৩৮ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৬৪০; সহীহ বুখারী, হা/৯৩৫; সহীহ মুসলিম, হা/২০০৬; নাসাঈ, হা/১৪৩১; তিরমিযী, হা/৪৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭১৫১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৭০০; জামেউস সগীর, হা/৩৮৮৩; মিশকাত, হা/১৩৫৭।
৩. লাইলাতুল ক্বদর দু‘আ কবুলের অন্যতম সময় :
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, লাইলাতুল ক্বদর এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। [সূরা ক্বদর- ৩।] রাসূলুল্লাহ ﷺ এ রাতে আয়েশা (রাঃ) কে বিশেষ দু‘আ শিক্ষা দিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ লাইলাতুল ক্বদরকে খোঁজার নির্দেশ দিতেন। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৬৯৩; সহীহ বুখারী, হা/২০১৮; সহীহ মুসলিম, হা/২৮৩৩; আবু দাঊদ, হা/১৩৮৭; তিরমিযী, হা/৭৯২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৬১৬; জামেউস সগীর, হা/৫২৩৩; মিশকাত, হা/২০৮৩।]
৩৯ সূরা ক্বদর- ৩।
৪০ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৬৯৩; সহীহ বুখারী, হা/২০১৮; সহীহ মুসলিম, হা/২৮৩৩; আবু দাঊদ, হা/১৩৮৭; তিরমিযী, হা/৭৯২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৬১৬; জামেউস সগীর, হা/৫২৩৩; মিশকাত, হা/২০৮৩।
৪. আরাফার দিনে দু‘আ কবুল হয় :
عَنْ عَائِشَةَ اَِنَّ رَسُوْلَ اللهِ - - قَالَ : مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللهُ فِيْهِ عَبْدًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ وَإِنَّهٗ لَيَدْنُو ثُمَّ يُبَاهِىَ بِهِمُ الْمَلَائِكَةَ فَيَقُوْلُ مَا أَرَادَ هٰؤُلَاءِ
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা আরাফার দিন মানুষকে সবচেয়ে বেশি জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন এবং ফেরেশতাগণের সামনে গর্ব করে বলেন, (আরাফার মাঠের) এ সকল মানুষ কী চায়? অর্থাৎ যা চায় তাই দান করা হবে। [সহীহ মুসলিম, হা/৩৩৫৪; নাসাঈ, হা/৩০০৩; ইবনে মাজাহ, হা/৩০১৪; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৮২৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৭০৫; মিশকাত, হা/২৫৯৪।]
৫. হজ্জ পালনকালে পাথর নিক্ষেপের পর :
রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রথম দু’বার পাথর নিক্ষেপের পর দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন এবং অনুনয়-বিনয়ের সাথে দু‘আ করতেন। [আবু দাঊদ, হা/১৯৭৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬৩৬; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৪৬৪৪; দার কুতনী, হা/২৬৮০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৭৫৬; বায়হাকী, হা/৯৪৪৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৯৫৬; মিশকাত, হা/২৬৭৬।]
৬. দু‘আ কবুলের উপযুক্ত সময় রাতের শেষ ভাগ :
আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতী ব্যক্তিদের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন,
﴿اَلصَّابِرِيْنَ وَالصَّادِقِيْنَ وَالْقَانِتِيْنَ وَالْمُنْفِقِيْنَ وَالْمُسْتَغْفِرِيْنَ بِالْاَسْحَارِ﴾
তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, আনুগত্যশীল, (আল্লাহর পথে) দানকারী এবং শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী। (সূরা আলে ইমরান- ১৭)
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক রাতের দুই তৃতীয়াংশের পর প্রথম আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব, কে আমার নিকট চাইবে আমি তাকে দান করব, কে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৮; সহীহ বুখারী, হা/১১৪৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৮; আবু দাঊদ, হা/১৩১৭, ৪৭৩৫; তিরমিযী, হা/৩৪৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৬৬; মিশকাত, হা/১২২৩।]
জাবির (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয় রাতে এমন একটি সময় রয়েছে, যে সময় কোন মুসলিম ইহকাল ও পরকালের কিছু চাইলে আল্লাহ তাকে তা দিয়ে থাকেন এবং এটা প্রত্যেক রাত্রে হয়ে থাকে। [সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৩৯৪; মিশকাত, হা/১২২৪।]
৭. সালাতের শেষে দু‘আ কবুল হয় :
আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- কোন সময় সবচেয়ে বেশি দু‘আ কবুল হয়? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, শেষ রাতে এবং ফরয সালাতের পর। [তিরমিযী, হা/৩৪৯৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৪৮; মিশকাত, হা/৯৬৮।]
প্রকাশ থাকে যে, সালাতের শেষ বলতে সালামের আগের সময়কে বুঝানো হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তাশাহ্হুদের পর যা ইচ্ছা দু‘আ করবে। [সহীহ বুখারী, হা/৬২৩০; সহীহ মুসলিম, হা/৯২৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৬২২; সুনানুস সগীর লিল বায়হাকী, হা/৩৩৯; শারহুল মা‘আনী, হা/১৪১৭।]
৮. আযান ও ইকামাতের মধ্যখানে :
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আযান এবং ইকামাতের মধ্যখানের দু‘আ ফেরত দেয়া হয় না। [আবু দাঊদ, হা/৫২১; তিরমিযী, হা/২১২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৪২৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬৯৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৬৫; মিশকাত, হা/৬৭১।]
৯. যুদ্ধের মাঠে শত্রুর সাথে মোকাবেলার সময় :
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, হে লোক সকল! শত্রুর সাথে যখন তোমাদের সাক্ষাৎ হয়, তখন আল্লাহর নিকট নিরাপত্তা চাও, ধৈর্যধারণ করো এবং জেনে রেখো! নিশ্চয় জান্নাত তরবারির ছায়ার নিচে। [সহীহ বুখারী, হা/২৯৬৫; সহীহ মুসলিম, হা/৪৬৪০; আবু দাঊদ, হা/২৬৩৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯১৩৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৪৬১৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৪১৩; মিশকাত, হা/৩৯৩০।]
১০. সিজদার সময় দু‘আ কবুল হয় :
ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা সিজদায় বেশি বেশি দু‘আ করো, কেননা সিজদা হচ্ছে দু‘আ কবুলের উপযুক্ত সময়। [সহীহ মুসলিম, হা/১১০২; আবু দাঊদ, হা/৮৭৬; নাসাঈ, হা/১০৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯০০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৫৪৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৮৯৬; মিশকাত, হা/৮৭৩।]
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
أَقْرَبُ مَا يَكُوْنُ الْعَبْدُ مِنْ رَّبِّه وَهُوَ سَاجِدٌ ، فَأَكْثِرُوْا الدُّعَاءَ
বান্দা সিজদা অবস্থায় তার প্রতিপালকের সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয়। অতএব তোমরা সিজদায় বেশি বেশি দু‘আ করো। [সহীহ মুসলিম, হা/১১১১; আবু দাঊদ, হা/৮৭৫; নাসাঈ, হা/১১৩৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৪৪২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৯২৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৮৭; মিশকাত, হা/৮৯৪।]
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তিন শ্রেণির লোকের দু‘আ ফেরত দেয়া হয় না। তন্মধ্যে একজন হচ্ছে সিয়াম পালনকারী, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ইফতার করে। [তিরমিযী, হা/৩৫৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৮৩২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৯০১; বায়হাকী, হা/৬১৮৬; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৯৫।]
৩৭ তিরমিযী, হা/৩৫৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৮৩২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৯০১; বায়হাকী, হা/৬১৮৬; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৯৫।
২. জুমু‘আর দিনে দু‘আ কবুল হয় :
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ ذَكَرَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَالَ فِيهِ سَاعَةٌ لَا يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهْوَ قَائِمٌ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ تَعَالَى شَيْئًا إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ وَأَشَارَ بِيَدِهِ يُقَلِّلُهَا .
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ জুমু‘আর দিন সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, সেদিন এমন একটি সময় রয়েছে, ঐ সময় যদি কোন মুসলিম বান্দা দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে কোন কিছু প্রার্থনা করে তবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে তা দান করেন। আর তিনি হাতে ইশারা করে বুঝালেন যে, এ সময়টি অতি অল্প। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৬৪০; সহীহ বুখারী, হা/৯৩৫; সহীহ মুসলিম, হা/২০০৬; নাসাঈ, হা/১৪৩১; তিরমিযী, হা/৪৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭১৫১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৭০০; জামেউস সগীর, হা/৩৮৮৩; মিশকাত, হা/১৩৫৭।]
৩৮ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৬৪০; সহীহ বুখারী, হা/৯৩৫; সহীহ মুসলিম, হা/২০০৬; নাসাঈ, হা/১৪৩১; তিরমিযী, হা/৪৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭১৫১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৭০০; জামেউস সগীর, হা/৩৮৮৩; মিশকাত, হা/১৩৫৭।
৩. লাইলাতুল ক্বদর দু‘আ কবুলের অন্যতম সময় :
আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, লাইলাতুল ক্বদর এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। [সূরা ক্বদর- ৩।] রাসূলুল্লাহ ﷺ এ রাতে আয়েশা (রাঃ) কে বিশেষ দু‘আ শিক্ষা দিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ লাইলাতুল ক্বদরকে খোঁজার নির্দেশ দিতেন। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৬৯৩; সহীহ বুখারী, হা/২০১৮; সহীহ মুসলিম, হা/২৮৩৩; আবু দাঊদ, হা/১৩৮৭; তিরমিযী, হা/৭৯২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৬১৬; জামেউস সগীর, হা/৫২৩৩; মিশকাত, হা/২০৮৩।]
৩৯ সূরা ক্বদর- ৩।
৪০ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৬৯৩; সহীহ বুখারী, হা/২০১৮; সহীহ মুসলিম, হা/২৮৩৩; আবু দাঊদ, হা/১৩৮৭; তিরমিযী, হা/৭৯২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৬১৬; জামেউস সগীর, হা/৫২৩৩; মিশকাত, হা/২০৮৩।
৪. আরাফার দিনে দু‘আ কবুল হয় :
عَنْ عَائِشَةَ اَِنَّ رَسُوْلَ اللهِ - - قَالَ : مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللهُ فِيْهِ عَبْدًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ وَإِنَّهٗ لَيَدْنُو ثُمَّ يُبَاهِىَ بِهِمُ الْمَلَائِكَةَ فَيَقُوْلُ مَا أَرَادَ هٰؤُلَاءِ
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা আরাফার দিন মানুষকে সবচেয়ে বেশি জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন এবং ফেরেশতাগণের সামনে গর্ব করে বলেন, (আরাফার মাঠের) এ সকল মানুষ কী চায়? অর্থাৎ যা চায় তাই দান করা হবে। [সহীহ মুসলিম, হা/৩৩৫৪; নাসাঈ, হা/৩০০৩; ইবনে মাজাহ, হা/৩০১৪; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৮২৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৭০৫; মিশকাত, হা/২৫৯৪।]
৫. হজ্জ পালনকালে পাথর নিক্ষেপের পর :
রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রথম দু’বার পাথর নিক্ষেপের পর দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতেন এবং অনুনয়-বিনয়ের সাথে দু‘আ করতেন। [আবু দাঊদ, হা/১৯৭৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬৩৬; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৪৬৪৪; দার কুতনী, হা/২৬৮০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৭৫৬; বায়হাকী, হা/৯৪৪৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৯৫৬; মিশকাত, হা/২৬৭৬।]
৬. দু‘আ কবুলের উপযুক্ত সময় রাতের শেষ ভাগ :
আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতী ব্যক্তিদের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন,
﴿اَلصَّابِرِيْنَ وَالصَّادِقِيْنَ وَالْقَانِتِيْنَ وَالْمُنْفِقِيْنَ وَالْمُسْتَغْفِرِيْنَ بِالْاَسْحَارِ﴾
তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, আনুগত্যশীল, (আল্লাহর পথে) দানকারী এবং শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী। (সূরা আলে ইমরান- ১৭)
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক রাতের দুই তৃতীয়াংশের পর প্রথম আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, কে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব, কে আমার নিকট চাইবে আমি তাকে দান করব, কে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৮; সহীহ বুখারী, হা/১১৪৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৮; আবু দাঊদ, হা/১৩১৭, ৪৭৩৫; তিরমিযী, হা/৩৪৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৬৬; মিশকাত, হা/১২২৩।]
জাবির (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয় রাতে এমন একটি সময় রয়েছে, যে সময় কোন মুসলিম ইহকাল ও পরকালের কিছু চাইলে আল্লাহ তাকে তা দিয়ে থাকেন এবং এটা প্রত্যেক রাত্রে হয়ে থাকে। [সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৩৯৪; মিশকাত, হা/১২২৪।]
৭. সালাতের শেষে দু‘আ কবুল হয় :
আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল- কোন সময় সবচেয়ে বেশি দু‘আ কবুল হয়? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, শেষ রাতে এবং ফরয সালাতের পর। [তিরমিযী, হা/৩৪৯৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৪৮; মিশকাত, হা/৯৬৮।]
প্রকাশ থাকে যে, সালাতের শেষ বলতে সালামের আগের সময়কে বুঝানো হয়। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, তাশাহ্হুদের পর যা ইচ্ছা দু‘আ করবে। [সহীহ বুখারী, হা/৬২৩০; সহীহ মুসলিম, হা/৯২৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৬২২; সুনানুস সগীর লিল বায়হাকী, হা/৩৩৯; শারহুল মা‘আনী, হা/১৪১৭।]
৮. আযান ও ইকামাতের মধ্যখানে :
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আযান এবং ইকামাতের মধ্যখানের দু‘আ ফেরত দেয়া হয় না। [আবু দাঊদ, হা/৫২১; তিরমিযী, হা/২১২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৪২৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬৯৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৬৫; মিশকাত, হা/৬৭১।]
৯. যুদ্ধের মাঠে শত্রুর সাথে মোকাবেলার সময় :
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, হে লোক সকল! শত্রুর সাথে যখন তোমাদের সাক্ষাৎ হয়, তখন আল্লাহর নিকট নিরাপত্তা চাও, ধৈর্যধারণ করো এবং জেনে রেখো! নিশ্চয় জান্নাত তরবারির ছায়ার নিচে। [সহীহ বুখারী, হা/২৯৬৫; সহীহ মুসলিম, হা/৪৬৪০; আবু দাঊদ, হা/২৬৩৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯১৩৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৪৬১৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৪১৩; মিশকাত, হা/৩৯৩০।]
১০. সিজদার সময় দু‘আ কবুল হয় :
ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা সিজদায় বেশি বেশি দু‘আ করো, কেননা সিজদা হচ্ছে দু‘আ কবুলের উপযুক্ত সময়। [সহীহ মুসলিম, হা/১১০২; আবু দাঊদ, হা/৮৭৬; নাসাঈ, হা/১০৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯০০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৫৪৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৮৯৬; মিশকাত, হা/৮৭৩।]
অন্য বর্ণনায় রয়েছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
أَقْرَبُ مَا يَكُوْنُ الْعَبْدُ مِنْ رَّبِّه وَهُوَ سَاجِدٌ ، فَأَكْثِرُوْا الدُّعَاءَ
বান্দা সিজদা অবস্থায় তার প্রতিপালকের সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হয়। অতএব তোমরা সিজদায় বেশি বেশি দু‘আ করো। [সহীহ মুসলিম, হা/১১১১; আবু দাঊদ, হা/৮৭৫; নাসাঈ, হা/১১৩৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৪৪২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৯২৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৮৭; মিশকাত, হা/৮৯৪।]
১. আয়াতুল কুরসী :
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ আমাকে বলেছেন, তুমি শয়নকালে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করবে, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার সাথে একজন হেফাযতকারী (ফেরেশতা) থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার নিকটবর্তী হবে না। [(সহীহ বুখারী, হা/৩২৭৫; মিশকাত, হা/২১২৩)]
﴿اَللهُ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ، لَا تَأْخُذُه سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ، لَه مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ إِلَّا بِإِذْنِه يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ، وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهۤ إِلَّا بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضَ وَلَا يَئُوْدُه حِفْظُهُمَا، وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ﴾
উচ্চারণ : আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যূম, লা তা’খুযুহূ সিনাতুওঁ ওয়ালা নাঊম লাহূ মা ফিস্সামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিলআর্যি, মানযাল্লাযী ইয়াশ্ফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইয্নিহ্, ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খাল্ফাহুম ওয়ালা ইউহীতূনা বিশায়ইম মিন ‘ইলমিহী ইল্লা বিমা শা-আ, ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল্ আর্যা ওয়ালা ইয়াঊদুহূ হিফযুহুমা ওয়াহুয়াল ‘আলিয়্যুল ‘আযীম।
অর্থ : আল্লাহ, তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও সবার রক্ষণা-বেক্ষণকারী, তন্দ্রা ও নিদ্রা তাঁকে স্পর্শ করে না, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সব তাঁরই; এমন কে আছে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে? তাদের সামনের ও পেছনের সবই তিনি জানেন; তিনি যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত তাঁর অনন্ত জ্ঞানের কোন বিষয়ই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না; তাঁর কুরছী (সিংহাসন) আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে এবং এতদুভয়ের সংরক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না এবং তিনি সমুন্নত ও সুমহান। (সূরা বাক্বারা- ২৫৫)
২. সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত :
আবু মাসঊদ আনসারী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে কেউ রাতে সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য তা যথেষ্ট হবে। অর্থাৎ উক্ত ব্যক্তি সারা রাত বিপদমুক্ত থাকবে। [সহীহ বুখারী, হা/৪০০৮; সহীহ মুসলিম, হা/১৯১৪; আবু দাঊদ, হা/১৩৯৯; তিরমিযী, হা/২৮৮১; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৬৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১০৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৭৮১; মিশকাত, হা/২১২৫।]
﴿اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَّبِّه وَالْمُؤْمِنُوْنَ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللهِ وَمَلَآئِكَتِه وَكُتُبِه وَرُسُلِه لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِه وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ ‐ - لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ- وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ إِنْ نَّسِيْنَاۤ أَوْ أَخْطَأْنَا، رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَاۤ إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَه عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِنَا، رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِه وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَاۤ أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ﴾
উচ্চারণ : আ-মানার রাসূলু বিমা উনযিলা ইলাইহি মির্রাবিবহী ওয়ালমু’মিনূন, কুল্লুন আ-মানা বিল্লা-হি ওয়া মালা-ইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুসুলিহ্, লা নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মিররুসুলিহ্, ওয়াক্বা-লূ সামি‘না ওয়াআত্বা‘না গুফ্রা-নাকা রাববানা ওয়া ইলাইকাল মাসীর। লা ইউকাল্লিফুল্লা-হু নাফসান ইল্লা উস‘আহা, লাহা মা কাসাবাত ওয়া‘আলাইহা মাকতাসাবাত, রাববানা লা তুআ-খিযনা ইননাসীনা আও আখত্বা’না, রাববানা ওয়ালা তাহ্মিল ‘আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহূ ‘আলাল্লাযীনা মিন ক্বাবলিনা, রাববানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা-লা ত্বা-ক্বাতালানা বিহ্, ওয়া‘ফু ‘আন্না ওয়াগ্ফির লানা ওয়ার্হামনা আনতা মাওলা-না ফানসুরনা ‘আলাল ক্বাওমিল কা-ফিরীন।
অর্থ : রাসূল তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তার উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান এনেছে এবং মু’মিনগণও। তারা সবাই আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর কিতাবসমূহ এবং রাসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে, (তারা বলে), ‘আমরা রাসূলগণের মধ্যে কারো ব্যাপারে তারতম্য করি না’ এবং তারা এ কথাও বলে যে, ‘আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর প্রত্যাবর্তন আপনারই দিকে’। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাহলে আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর যেমন গুরু-দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন, আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! যে ভার বহনের ক্ষমতা আমাদের নেই, এমন ভার আমাদের উপর চাপিয়ে দেবেন না, (ভুল-ত্রুটি উপেক্ষা করে) আমাদেরকে রেহাই দিন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনিই আমাদের অভিভাবক, কাজেই আমাদেরকে কাফিরদের উপর বিজয় দান করুন।
৩. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব, সূরা নাস :
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ঘুমানোর জন্য নিজের বিছানায় যেতেন, তখন দু’হাত মিলিয়ে তাতে ফুঁক দিতেন এবং মাথা থেকে আরম্ভ করে যতটুকু সম্ভব নিজের শরীরে হাত বুলাতেন এবং সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব, ও সূরা নাস পাঠ করতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৫০১৭; আবু দাঊদ, হা/৫০৫৮; তিরমিযী, হা/৩৪০২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৮৯৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫৪৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩১০৪; মিশকাত, হা/২১৩২।]
সূরা ইখলাস :
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ ‐ اَللهُ الصَّمَدُ ‐ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ ‐ وَلَمْ يَكُنْ لَّه كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহ্মা-নির রাহীম। কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লা-হুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউ-লাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লা-হূ কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। বলো, আল্লাহ এক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি। আর তার সমকক্ষ কেউ নেই।
সূরা ফালাক্ব :
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ‐ قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ -‐ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ‐ - وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ‐ - وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ -‐ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহ্মা-নির রাহীম। কুল আ‘ঊযু বিরাবিবল ফালাক্ব। মিন শার্রি মা খালাক্ব। ওয়ামিন শার্রি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শার্রিন্নাফ্ফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়ামিন শার্রি হা-সিদিন ইযা হাসাদ।
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। বলো, আমি আশ্রয় চাচ্ছি সকাল বেলার রবের নিকট। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। অন্ধকার রাতের অনিষ্ট হতে, যখন তা আচ্ছন্ন হয়ে যায়। গিরায় ফুঁৎকারকারিণীদের অনিষ্ট হতে। আর হিংসুকের অনিষ্ট হতে, যখন সে হিংসা করে।
সূরা নাস :
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ‐ قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ‐ مَلِكِ النَّاسِ ‐ إِلٰهِ النَّاسِ ‐ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ‐ اَلَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ ‐ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহ্মা-নির রাহীম। কুল আ‘ঊযু বিরাবিবন্না-স। মালিকিন্না-স। ইলা-হিন্না-স। মিন শার্©র্রল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স। আল্লাযী ইউওয়াসবিসু ফী সুদূরিন্না-স। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। বলো, আমি আশ্রয় চাচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের কাছে। মানুষের অধিপতির কাছে। মানুষের প্রকৃত ইলাহের কাছে। তার অনিষ্ট হতে যে কুমন্ত্রণা দিয়েই গা ঢাকা দেয়। যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। জিনদের মধ্য থেকে হোক অথবা মানুষদের মধ্য থেকে।
ঘুমানোর সময় অন্যান্য দু‘আ :
(১) اَللّٰهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوْتُ وَ أَحْيَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নামে মৃত্যুবরণ করি ও আপনার নামে জাগ্রত হই। [হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন এ দু‘আ পড়তেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩১২; তিরমিযী, হা/৩৪১৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৩১৯; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৫; মিশকাত, হা/২৩৮২)]
(২) اَللّٰهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ক্বিনী ‘আযা-বাকা ইয়াওমা তাব্‘আসু ‘ইবা-দাক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে আপনার শাস্তি থেকে রক্ষা করুন, যেদিন আপনার বান্দাদেরকে পুনরায় জীবিত করবেন। [হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন গালের নিচে নিজের ডান হাত রাখতেন এবং এই দু‘আ বলতেন। (আবু দাঊদ, হা/৫০৪৭; তিরমিযী, হা/৩৩৯৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৫৭৫; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২১৫; মিশকাত, হা/২৪০০)]
(৩) بِاسْمِكَ رَبِّيْ وَضَعْتُ جَنْبِيْ وَبِكَ أَرْفَعُه ، اِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِيْ فَارْحَمْهَا،وَاِنْ أَرْسَلْتَهَا، فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِه عِبَادَكَ الصَّالِحِيْنَ
উচ্চারণ : বিসমিকা রাববী ওয়াযা‘তু জাম্বী, ওয়াবিকা আরফা‘উহূ। ইন আমসাক্তা নাফ্সী ফারহামহা, ওয়াইন আরসাল্তাহা ফাহ্ফায্হা বিমা তাহ্ফাযু বিহী ‘ইবা-দাকাস সা-লিহীন।
অর্থ : হে আমার রব! আপনার নামে আমি পিঠ রাখলাম এবং আপনার সাহায্যে তা উঠাব। যদি আপনি আমার জীবন নিয়ে নেন, তাহলে তার প্রতি রহম করুন। আর যদি ছেড়ে দেন, তাহলে তাকে হেফাযত করুন সেই বসত্মু থেকে, যা থেকে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদেরকে আপনি হেফাযত করে থাকেন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নিজের বিছানায় আসে, তখন সে যেন নিজের বিছানা ঝেড়ে নেয়। কারণ সে জানে না তার অনুপস্থিতিতে তার বিছানার উপর কি এসে পড়েছে। তারপর (শুয়ে পড়ার সময়) যেন এ দু‘আ পড়ে। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩২০; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৬৭; আবু দাঊদ, হা/৫০৫২; তিরমিযী, হা/৩৪০১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৭৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩৫৪; জামেউস সগীর, হা/৪০৮)]
(৪) اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ اَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَكَفَانَا وَاٰوَانَا فَكَمْ مِمَّنْ لَا كَافِىَ لَهٗ وَلَا مُئْوِىَ
উচ্চারণ : আল্হামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানা ওয়া সাক্বা-না ওয়া কাফা-না ওয়া আ-ওয়া-না, ফাকাম মিম্মান লা-কা-ফিয়া লাহূ ওয়ালা মু’বিয়া।
অর্থ : সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাদেরকে আহার করিয়েছেন, পান করিয়েছেন, আমাদের প্রয়োজন পূর্ণ করেছেন এবং আমাদের আশ্রয় প্রদান করেছেন। অথচ এমন বহুলোক রয়েছে, যাদেরকে পরিতৃপ্ত করার কেউ নেই এবং যাদেরকে আশ্রয়দানকারী কেউ নেই। [আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন বিছানায় যেতেন তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৬৯; আবু দাঊদ, হা/৫০৫৫; তিরমিযী, হা/৩৩৯৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৫৭৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫৪০; মিশকাত, হা/২৩৮৬)]
(৫) اَللّٰهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِيْ إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِيْ إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِيْ إِلَيْكَ ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِيْ إلَيْكَ ، رَغْبَةً وَّرَهْبَةً إِلَيْكَ ، لَا مَلْجَأَ وَلَا مَنْجَا مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ ، اٰمَنْتُ بِكِتابِكَ الَّذِيْ أَنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِيْ أَرْسَلْتَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আসলামতু নাফ্সী ইলাইক, ওয়াওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজ্হী ইলাইক, ওয়াফাওওয়ায্তু আমরী ইলাইক, ওয়া আলজা’তু যাহ্রী ইলাইক, রাগ্বাতাও ওয়ারাহ্বাতান ইলাইক, লা মালজাআ ওয়ালা মানজা মিন্কা ইল্লা ইলাইক, আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা, ওয়া বিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমার জীবন সমর্পণ করলাম, আপনার দিকে আমার চেহারা নিবদ্ধ করলাম, আপনার উদ্দেশ্যে আমার কাজ-কর্ম নিবেদন করলাম এবং আপনার দিকে আমার পিঠ লাগালাম অর্থাৎ আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি)। আপনার প্রতি আগ্রহে ও শাস্তির ভয়ে এসব কাজ করছি। আপনার নিকট ছাড়া আর আশ্রয় পাওয়ার ও (নিজেকে) রক্ষা করার স্থান নেই। আপনি যে কিতাব নাযিল করেছেন তার উপর এবং যে নবী পাঠিয়েছেন তার উপর আমি ঈমান এনেছি। [বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে বললেন, তুমি যখন বিছানায় শয়ন করার ইচ্ছা কর, তখন সালাতের অযুর মতো অযু করবে, তারপর ডান কাতে শয়ন করে এ দু‘আ পড়বে, এতে তুমি যদি ঘুমের মধ্যে মারা যাও তাহলে স্বভাব ধর্মের (ইসলামের) উপর মারা যাবে। আর এ দু‘আটি তোমার শেষ বাক্যে পরিণত করো। (সহীহ বুখারী, হা/২৪৭, ৭৪৮৮; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৫৮; আবু দাঊদ, হা/৫০৪৮; তিরমিযী, হা/৩৩৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৭০২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫৩৬; মিশকাত, হা/২৩৮৫)]
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ আমাকে বলেছেন, তুমি শয়নকালে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করবে, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার সাথে একজন হেফাযতকারী (ফেরেশতা) থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তোমার নিকটবর্তী হবে না। [(সহীহ বুখারী, হা/৩২৭৫; মিশকাত, হা/২১২৩)]
﴿اَللهُ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ، لَا تَأْخُذُه سِنَةٌ وَّلَا نَوْمٌ، لَه مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْاَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِيْ يَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ إِلَّا بِإِذْنِه يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ، وَلَا يُحِيْطُوْنَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهۤ إِلَّا بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضَ وَلَا يَئُوْدُه حِفْظُهُمَا، وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ﴾
উচ্চারণ : আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যূম, লা তা’খুযুহূ সিনাতুওঁ ওয়ালা নাঊম লাহূ মা ফিস্সামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিলআর্যি, মানযাল্লাযী ইয়াশ্ফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইয্নিহ্, ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খাল্ফাহুম ওয়ালা ইউহীতূনা বিশায়ইম মিন ‘ইলমিহী ইল্লা বিমা শা-আ, ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল্ আর্যা ওয়ালা ইয়াঊদুহূ হিফযুহুমা ওয়াহুয়াল ‘আলিয়্যুল ‘আযীম।
অর্থ : আল্লাহ, তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও সবার রক্ষণা-বেক্ষণকারী, তন্দ্রা ও নিদ্রা তাঁকে স্পর্শ করে না, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সব তাঁরই; এমন কে আছে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে? তাদের সামনের ও পেছনের সবই তিনি জানেন; তিনি যা ইচ্ছা করেন তা ব্যতীত তাঁর অনন্ত জ্ঞানের কোন বিষয়ই কেউ আয়ত্ব করতে পারে না; তাঁর কুরছী (সিংহাসন) আকাশ ও পৃথিবীকে পরিবেষ্টিত করে আছে এবং এতদুভয়ের সংরক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না এবং তিনি সমুন্নত ও সুমহান। (সূরা বাক্বারা- ২৫৫)
২. সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত :
আবু মাসঊদ আনসারী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে কেউ রাতে সূরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে, তার জন্য তা যথেষ্ট হবে। অর্থাৎ উক্ত ব্যক্তি সারা রাত বিপদমুক্ত থাকবে। [সহীহ বুখারী, হা/৪০০৮; সহীহ মুসলিম, হা/১৯১৪; আবু দাঊদ, হা/১৩৯৯; তিরমিযী, হা/২৮৮১; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৬৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১০৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৭৮১; মিশকাত, হা/২১২৫।]
﴿اٰمَنَ الرَّسُوْلُ بِمَاۤ أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَّبِّه وَالْمُؤْمِنُوْنَ كُلٌّ اٰمَنَ بِاللهِ وَمَلَآئِكَتِه وَكُتُبِه وَرُسُلِه لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّنْ رُّسُلِه وَقَالُوْا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيْرُ ‐ - لَا يُكَلِّفُ اللهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ- وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ إِنْ نَّسِيْنَاۤ أَوْ أَخْطَأْنَا، رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَاۤ إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَه عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِنَا، رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِه وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَاۤ أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِيْنَ﴾
উচ্চারণ : আ-মানার রাসূলু বিমা উনযিলা ইলাইহি মির্রাবিবহী ওয়ালমু’মিনূন, কুল্লুন আ-মানা বিল্লা-হি ওয়া মালা-ইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুসুলিহ্, লা নুফাররিকু বাইনা আহাদিম মিররুসুলিহ্, ওয়াক্বা-লূ সামি‘না ওয়াআত্বা‘না গুফ্রা-নাকা রাববানা ওয়া ইলাইকাল মাসীর। লা ইউকাল্লিফুল্লা-হু নাফসান ইল্লা উস‘আহা, লাহা মা কাসাবাত ওয়া‘আলাইহা মাকতাসাবাত, রাববানা লা তুআ-খিযনা ইননাসীনা আও আখত্বা’না, রাববানা ওয়ালা তাহ্মিল ‘আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহূ ‘আলাল্লাযীনা মিন ক্বাবলিনা, রাববানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা-লা ত্বা-ক্বাতালানা বিহ্, ওয়া‘ফু ‘আন্না ওয়াগ্ফির লানা ওয়ার্হামনা আনতা মাওলা-না ফানসুরনা ‘আলাল ক্বাওমিল কা-ফিরীন।
অর্থ : রাসূল তার প্রতিপালকের পক্ষ হতে তার উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে ঈমান এনেছে এবং মু’মিনগণও। তারা সবাই আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর কিতাবসমূহ এবং রাসূলগণের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে, (তারা বলে), ‘আমরা রাসূলগণের মধ্যে কারো ব্যাপারে তারতম্য করি না’ এবং তারা এ কথাও বলে যে, ‘আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর প্রত্যাবর্তন আপনারই দিকে’। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যদি ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাহলে আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর যেমন গুরু-দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন, আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না। হে আমাদের প্রতিপালক! যে ভার বহনের ক্ষমতা আমাদের নেই, এমন ভার আমাদের উপর চাপিয়ে দেবেন না, (ভুল-ত্রুটি উপেক্ষা করে) আমাদেরকে রেহাই দিন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনিই আমাদের অভিভাবক, কাজেই আমাদেরকে কাফিরদের উপর বিজয় দান করুন।
৩. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব, সূরা নাস :
আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ঘুমানোর জন্য নিজের বিছানায় যেতেন, তখন দু’হাত মিলিয়ে তাতে ফুঁক দিতেন এবং মাথা থেকে আরম্ভ করে যতটুকু সম্ভব নিজের শরীরে হাত বুলাতেন এবং সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব, ও সূরা নাস পাঠ করতেন। [সহীহ বুখারী, হা/৫০১৭; আবু দাঊদ, হা/৫০৫৮; তিরমিযী, হা/৩৪০২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৮৯৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫৪৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩১০৪; মিশকাত, হা/২১৩২।]
সূরা ইখলাস :
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ ‐ اَللهُ الصَّمَدُ ‐ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ ‐ وَلَمْ يَكُنْ لَّه كُفُوًا أَحَدٌ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহ্মা-নির রাহীম। কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লা-হুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউ-লাদ। ওয়ালাম ইয়াকুল্লা-হূ কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। বলো, আল্লাহ এক। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি। আর তার সমকক্ষ কেউ নেই।
সূরা ফালাক্ব :
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ‐ قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ -‐ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ ‐ - وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ ‐ - وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ -‐ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহ্মা-নির রাহীম। কুল আ‘ঊযু বিরাবিবল ফালাক্ব। মিন শার্রি মা খালাক্ব। ওয়ামিন শার্রি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শার্রিন্নাফ্ফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়ামিন শার্রি হা-সিদিন ইযা হাসাদ।
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। বলো, আমি আশ্রয় চাচ্ছি সকাল বেলার রবের নিকট। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। অন্ধকার রাতের অনিষ্ট হতে, যখন তা আচ্ছন্ন হয়ে যায়। গিরায় ফুঁৎকারকারিণীদের অনিষ্ট হতে। আর হিংসুকের অনিষ্ট হতে, যখন সে হিংসা করে।
সূরা নাস :
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ ‐ قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ ‐ مَلِكِ النَّاسِ ‐ إِلٰهِ النَّاسِ ‐ مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ ‐ اَلَّذِيْ يُوَسْوِسُ فِيْ صُدُوْرِ النَّاسِ ‐ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহ্মা-নির রাহীম। কুল আ‘ঊযু বিরাবিবন্না-স। মালিকিন্না-স। ইলা-হিন্না-স। মিন শার্©র্রল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স। আল্লাযী ইউওয়াসবিসু ফী সুদূরিন্না-স। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। বলো, আমি আশ্রয় চাচ্ছি মানুষের প্রতিপালকের কাছে। মানুষের অধিপতির কাছে। মানুষের প্রকৃত ইলাহের কাছে। তার অনিষ্ট হতে যে কুমন্ত্রণা দিয়েই গা ঢাকা দেয়। যে মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয়। জিনদের মধ্য থেকে হোক অথবা মানুষদের মধ্য থেকে।
ঘুমানোর সময় অন্যান্য দু‘আ :
(১) اَللّٰهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوْتُ وَ أَحْيَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নামে মৃত্যুবরণ করি ও আপনার নামে জাগ্রত হই। [হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন এ দু‘আ পড়তেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩১২; তিরমিযী, হা/৩৪১৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৩১৯; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৫; মিশকাত, হা/২৩৮২)]
(২) اَللّٰهُمَّ قِنِيْ عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ক্বিনী ‘আযা-বাকা ইয়াওমা তাব্‘আসু ‘ইবা-দাক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে আপনার শাস্তি থেকে রক্ষা করুন, যেদিন আপনার বান্দাদেরকে পুনরায় জীবিত করবেন। [হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন গালের নিচে নিজের ডান হাত রাখতেন এবং এই দু‘আ বলতেন। (আবু দাঊদ, হা/৫০৪৭; তিরমিযী, হা/৩৩৯৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৫৭৫; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২১৫; মিশকাত, হা/২৪০০)]
(৩) بِاسْمِكَ رَبِّيْ وَضَعْتُ جَنْبِيْ وَبِكَ أَرْفَعُه ، اِنْ أَمْسَكْتَ نَفْسِيْ فَارْحَمْهَا،وَاِنْ أَرْسَلْتَهَا، فَاحْفَظْهَا بِمَا تَحْفَظُ بِه عِبَادَكَ الصَّالِحِيْنَ
উচ্চারণ : বিসমিকা রাববী ওয়াযা‘তু জাম্বী, ওয়াবিকা আরফা‘উহূ। ইন আমসাক্তা নাফ্সী ফারহামহা, ওয়াইন আরসাল্তাহা ফাহ্ফায্হা বিমা তাহ্ফাযু বিহী ‘ইবা-দাকাস সা-লিহীন।
অর্থ : হে আমার রব! আপনার নামে আমি পিঠ রাখলাম এবং আপনার সাহায্যে তা উঠাব। যদি আপনি আমার জীবন নিয়ে নেন, তাহলে তার প্রতি রহম করুন। আর যদি ছেড়ে দেন, তাহলে তাকে হেফাযত করুন সেই বসত্মু থেকে, যা থেকে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদেরকে আপনি হেফাযত করে থাকেন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নিজের বিছানায় আসে, তখন সে যেন নিজের বিছানা ঝেড়ে নেয়। কারণ সে জানে না তার অনুপস্থিতিতে তার বিছানার উপর কি এসে পড়েছে। তারপর (শুয়ে পড়ার সময়) যেন এ দু‘আ পড়ে। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩২০; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৬৭; আবু দাঊদ, হা/৫০৫২; তিরমিযী, হা/৩৪০১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৭৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩৫৪; জামেউস সগীর, হা/৪০৮)]
(৪) اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِىْ اَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَكَفَانَا وَاٰوَانَا فَكَمْ مِمَّنْ لَا كَافِىَ لَهٗ وَلَا مُئْوِىَ
উচ্চারণ : আল্হামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানা ওয়া সাক্বা-না ওয়া কাফা-না ওয়া আ-ওয়া-না, ফাকাম মিম্মান লা-কা-ফিয়া লাহূ ওয়ালা মু’বিয়া।
অর্থ : সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাদেরকে আহার করিয়েছেন, পান করিয়েছেন, আমাদের প্রয়োজন পূর্ণ করেছেন এবং আমাদের আশ্রয় প্রদান করেছেন। অথচ এমন বহুলোক রয়েছে, যাদেরকে পরিতৃপ্ত করার কেউ নেই এবং যাদেরকে আশ্রয়দানকারী কেউ নেই। [আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন বিছানায় যেতেন তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৬৯; আবু দাঊদ, হা/৫০৫৫; তিরমিযী, হা/৩৩৯৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৫৭৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫৪০; মিশকাত, হা/২৩৮৬)]
(৫) اَللّٰهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِيْ إِلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِيْ إِلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِيْ إِلَيْكَ ، وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِيْ إلَيْكَ ، رَغْبَةً وَّرَهْبَةً إِلَيْكَ ، لَا مَلْجَأَ وَلَا مَنْجَا مِنْكَ إِلَّا إِلَيْكَ ، اٰمَنْتُ بِكِتابِكَ الَّذِيْ أَنْزَلْتَ، وَبِنَبِيِّكَ الَّذِيْ أَرْسَلْتَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আসলামতু নাফ্সী ইলাইক, ওয়াওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজ্হী ইলাইক, ওয়াফাওওয়ায্তু আমরী ইলাইক, ওয়া আলজা’তু যাহ্রী ইলাইক, রাগ্বাতাও ওয়ারাহ্বাতান ইলাইক, লা মালজাআ ওয়ালা মানজা মিন্কা ইল্লা ইলাইক, আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা, ওয়া বিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমার জীবন সমর্পণ করলাম, আপনার দিকে আমার চেহারা নিবদ্ধ করলাম, আপনার উদ্দেশ্যে আমার কাজ-কর্ম নিবেদন করলাম এবং আপনার দিকে আমার পিঠ লাগালাম অর্থাৎ আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি)। আপনার প্রতি আগ্রহে ও শাস্তির ভয়ে এসব কাজ করছি। আপনার নিকট ছাড়া আর আশ্রয় পাওয়ার ও (নিজেকে) রক্ষা করার স্থান নেই। আপনি যে কিতাব নাযিল করেছেন তার উপর এবং যে নবী পাঠিয়েছেন তার উপর আমি ঈমান এনেছি। [বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে বললেন, তুমি যখন বিছানায় শয়ন করার ইচ্ছা কর, তখন সালাতের অযুর মতো অযু করবে, তারপর ডান কাতে শয়ন করে এ দু‘আ পড়বে, এতে তুমি যদি ঘুমের মধ্যে মারা যাও তাহলে স্বভাব ধর্মের (ইসলামের) উপর মারা যাবে। আর এ দু‘আটি তোমার শেষ বাক্যে পরিণত করো। (সহীহ বুখারী, হা/২৪৭, ৭৪৮৮; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৫৮; আবু দাঊদ, হা/৫০৪৮; তিরমিযী, হা/৩৩৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৭০২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫৩৬; মিশকাত, হা/২৩৮৫)]
لَا إلٰهَ إِلَّا اللهُ الْوَاحِدُ الْقَهَّارُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَمَا بَيْنَهُمَا الْعَزِيْزُ الْغَفَّارُ
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ওয়া-হিদুল ক্বাহ্হা-র, রাববুস্সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়ামা বাইনাহুমাল ‘আযীযুল গাফ্ফা-র।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক ও শক্তিশালী। আসমান-জমিন এবং এতদুভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে, সবকিছুর প্রতিপালক তিনি। তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন পার্শ্ব পরিবর্তন করতেন, তখন এই দু‘আ বলতেন। (মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৮০; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৭৬৪১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫৩০; জামেউস সগীর, হা/৮৮২২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২০৬৬)]
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ওয়া-হিদুল ক্বাহ্হা-র, রাববুস্সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়ামা বাইনাহুমাল ‘আযীযুল গাফ্ফা-র।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক ও শক্তিশালী। আসমান-জমিন এবং এতদুভয়ের মাঝে যা কিছু রয়েছে, সবকিছুর প্রতিপালক তিনি। তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন পার্শ্ব পরিবর্তন করতেন, তখন এই দু‘আ বলতেন। (মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৮০; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৭৬৪১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৫৩০; জামেউস সগীর, হা/৮৮২২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২০৬৬)]
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ غَضَبِه وَعِقَابِه وَشَرِّ عِبَادِه وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَأَنْ يَّحْضُرُوْنِ
উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিন গাযাবিহী ওয়া‘ইক্বা-বিহী ওয়া শার্রি ‘ইবা-দিহী ওয়া মিন হামাযা-তিশ শায়া-তবী-নি ওয়াআই ইয়াহ্যুরূন।
অর্থ : আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় চাচ্ছি তার ক্রোধ ও শাস্তি হতে, তার বান্দার অনিষ্ট হতে এবং শয়তানের খটকা হতে, আর সে যেন আমার নিকট উপস্থিত হতে না পারে। [আমর ইবনে শু‘আইব (রাঃ) তার পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ ঘুমের মধ্যে ভয় পায়, তখন সে যেন এই দু‘আ পড়ে। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭০৪; আবু দাঊদ, হা/৩৮৯৫; তিরমিযী, হা/৩৫২৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৬৯৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২০১০; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৪; মিশকাত, হা/২৪৭৭)]
উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিন গাযাবিহী ওয়া‘ইক্বা-বিহী ওয়া শার্রি ‘ইবা-দিহী ওয়া মিন হামাযা-তিশ শায়া-তবী-নি ওয়াআই ইয়াহ্যুরূন।
অর্থ : আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের মাধ্যমে আশ্রয় চাচ্ছি তার ক্রোধ ও শাস্তি হতে, তার বান্দার অনিষ্ট হতে এবং শয়তানের খটকা হতে, আর সে যেন আমার নিকট উপস্থিত হতে না পারে। [আমর ইবনে শু‘আইব (রাঃ) তার পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ ঘুমের মধ্যে ভয় পায়, তখন সে যেন এই দু‘আ পড়ে। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭০৪; আবু দাঊদ, হা/৩৮৯৫; তিরমিযী, হা/৩৫২৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৬৯৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২০১০; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৪; মিশকাত, হা/২৪৭৭)]
ঘুমের মধ্যে মন্দ স্বপ্ন দেখলে তিন বার বাম দিকে থুথু ফেলতে হবে, তারপর তিন বার নিচের দু‘আটি পাঠ করে পার্শ্ব পরিবর্তন করতে হবে,
أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ্শাইত্বা-নির রাজীম।
অর্থ : বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য যে, স্বপ্ন দেখলে কাউকে না বলাই ভালো। তবে একান্ত অন্তরঙ্গ বন্ধু অথবা জ্ঞানীদের সামনে বলা যেতে পারে।
আবু ক্বাতাদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, উত্তম স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। কাজেই তোমাদের যে কেউ ভালো স্বপ্ন দেখে, সে যেন এমন ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করে যাকে সে ভালোবাসে। আর যদি কেউ মন্দ স্বপ্ন দেখে, তাহলে সে যেন এর ক্ষতি থেকে এবং শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায় এবং তিন বার বাম দিকে থুথু ফেলে। আর স্বপ্নটি যেন কারো কাছে না বলে, তাহলে তা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭১৬; সহীহ বুখারী, হা/৩২৯২; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৬১৭; দারেমী, হা/২১৪১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫৯৯; মিশকাত, হা/৪৬১২।]
أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ্শাইত্বা-নির রাজীম।
অর্থ : বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য যে, স্বপ্ন দেখলে কাউকে না বলাই ভালো। তবে একান্ত অন্তরঙ্গ বন্ধু অথবা জ্ঞানীদের সামনে বলা যেতে পারে।
আবু ক্বাতাদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, উত্তম স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়। আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। কাজেই তোমাদের যে কেউ ভালো স্বপ্ন দেখে, সে যেন এমন ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করে যাকে সে ভালোবাসে। আর যদি কেউ মন্দ স্বপ্ন দেখে, তাহলে সে যেন এর ক্ষতি থেকে এবং শয়তানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায় এবং তিন বার বাম দিকে থুথু ফেলে। আর স্বপ্নটি যেন কারো কাছে না বলে, তাহলে তা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭১৬; সহীহ বুখারী, হা/৩২৯২; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৬১৭; দারেমী, হা/২১৪১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫৯৯; মিশকাত, হা/৪৬১২।]
(১) اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وإِلَيْهِ النُّشُوْرُ
উচ্চারণ : আল্ হাম্দুলিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না বা‘দা মা আমা-তানা ওয়া ইলাইহিন নুশূর।
অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি আমাদেরকে মরণের পর জীবিত করেছেন এবং তাঁর দিকেই আবার প্রত্যাবর্তন করতে হবে। [সহীহ বুখারী, হা/৬৩১২; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৬২; আবু দাঊদ, হা/৫০৫১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৬২৬; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৫; জামেউস সগীর, হা/৮৭৭৯।]
(২) لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‐ وَسُبْحَانَ اللهِ وَ الْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ- اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুলমুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর, ওয়া সুবহা-নাল্লা-হি ওয়ালহামদু লিল্লা-হি ওয়ালা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ, আল্লা-হুম্মাগ ফিরলী।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাশীল। আমরা আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি। প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। তাঁর সাহায্য ব্যতীত কোন শক্তি বা উপায় নেই। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। [উবাদা ইবনে সামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কেউ যদি শেষ রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই দু‘আটি পড়ে, তবে সে যে কোন দু‘আ করলে তার দু‘আ কবুল করা হবে। আর যদি সে অযু করে সালাত আদায় করে তবে তার সালাত কবুল করা হবে। (সহীহ বুখারী, হা/১১৫৪; আবু দাঊদ, হা/৫০৬২; তিরমিযী, হা/৩৪১৪; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৭৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৭২৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৬১২; মিশকাত, হা/১২১৩)]
(৩) সূরা আলে ইমরানের শেষ রুকূ পড়া :
﴿إِنَّ فِيْ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَاٰيَاتٍ لِاُولِي الْاَلْبَابِ ‐ اَلَّذِيْنَ يَذْكُرُوْنَ اللهَ قِيَامًا وَّ قُعُوْدًا وَّعَلٰى جُنُوْبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُوْنَ فِيْ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ‐ رَبَّنَاۤ إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَه وَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ أَنْصَارٍ ‐ رَبَّنَاۤ إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِيْ لِلْاِيْمَانِ أَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْاَبْرَارِ ‐ رَبَّنَا وَاٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰى رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ ‐ فَاسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّيْ لَاۤ أُضِيْعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِّنْكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثٰى بَعْضُكُمْ مِّنْ ۢبَعْضٍ فَالَّذِيْنَ هَاجَرُوْا وَأُخْرِجُوْا مِنْ دِيَارِهِمْ وَأُوْذُوْا فِيْ سَبِيْلِيْ وَقَاتَلُوْا وَقُتِلُوْا لَاُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَلَاُدْخِلَنَّهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ ثَوَابًا مِّنْ عِنْدِ اللهِ وَاللهُ عِنْدَهٗ حُسْنُ الثَّوَابِ ‐ لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فِيْ الْبِلَادِ ‐ مَتَاعٌ قَلِيْلٌ ثُمَّ مَأٰوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمِهَادُ ‐ لٰكِنِ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَا نُزُلًا مِّنْ عِنْدِ اللهِ وَمَا عِنْدَ اللهِ خَيْرٌ لِّلْاَبْرَارِ ‐ وَإِنَّ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَمَنْ يُّؤْمِنُ بِاللهِ وَمَاۤ أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ وَمَاۤ أُنْزِلَ إِلَيْهِمْ خَاشِعِيْنَ لِلّٰهِ لَا يَشْتَرُوْنَ بِاٰيَاتِ اللهِ ثَمَنًا قَلِيْلًا أُولٰٓئِكَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ إِنَّ اللهَ سَرِيْعُ الْحِسَابِ ‐ يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ﴾
উচ্চারণ : ইন্না ফী খালক্বিসসামা-ওয়া-তি ওয়ালআরযি ওয়াখতিলা-ফিল লাইলি ওয়াননাহা-রি লাআ-য়া-তিল লিউলিল আলবা-ব। আল্লাযীনা ইয়াযকুরূনাল্লা-হা ক্বিয়া-মাওঁ ওয়াকু‘ঊদাওঁ ওয়া‘আলা জুনূবিহিম ওয়া ইয়াতাফাক্কারূনা ফী খালকিসসামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি, রাববানা মা-খালাক্বতা হা-যা বা-ত্বিলান, সুবহা-নাকা ফাক্বিনা ‘আযা-বাননা-র। রাববানা ইন্নাকা মান তুদ্খিলিন না-রা ফাক্বাদ আখযাইতাহ্, ওয়ামা লিযযা-লিমীনা মিন আনসা-র। রাববানা ইন্নানা সামি‘না মুনা-দিয়াই ইউনা-দী লিলঈমা-নি আনআ-মিনূ বিরাব্বিকুম ফাআ-মান্না। রাববানা ফাগফিরলানা যুনূবানা ওয়াকাফ্ফির ‘আন্না সায়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মা‘আল আবরা-র। রাববানা ওয়াআ-তিনা মা ওয়া‘আত্তানা ‘আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াউমাল ক্বিয়ামাহ, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আ-দ। ফাস্তাজা-বা লাহুম রাববুহুম আন্নী লা-উযী‘উ ‘আমালা ‘আ-মিলিম মিনকুম মিন যাকারিন আও উনসা, বা‘যুকুম মিম বা‘য, ফাল্লাযীনা হা-জারু ওয়া উখরিজু মিন দিয়া-রিহিম ওয়াঊযূ ফী সাবীলী ওয়াক্বা-তালূ ওয়াকুতিলূ লাউকাফ্ফিরান্না ‘আনহুম সায়্যিআ-তিহিম ওয়ালা উদ্খীলান্নাহুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-র, সাওয়া-বাম মিন ‘ইনদিল্লা-হ, ওয়াল্লা-হু ‘ইনদাহূ হুসনুস সাওয়া-ব। লা-ইয়াগুর্রান্নাকা তাক্বাল্লুবুল্লাযীনা কাফারু ফিল বিলা-দ। মাতা‘উন ক্বালীল। সুম্মা মা’ওয়া-হুম জাহান্নাম, ওয়াবি’সাল মিহা-দ। লা-কিনিল্লাযীনাত্তাক্বাও রাববাহুম লাহুম জান্না-তুন তাজরী মিন তাহ্তিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহা নুযুলাম মিন ‘ইনদিল্লা-হ, ওয়ামা ‘ইনদাল্লা-হি খাইরুল লিল আবরা-র। ওয়া ইন্না মিন আহলিল কিতা-বি লামাই ইউ’মিনু বিল্লা-হি ওয়ামা উনযিলা ইলাইকুম ওয়ামা উনযিলা ইলাইহিম খা-শি‘ঈনা লিল্লা-হি লা-ইয়াশ্তারূনা বিআ-য়া-তিল্লা-হি সামানান ক্বালীলা, উলা-ইকা লাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রাবিবহিম, ইন্নাল্লা-হা সারী‘উল হিসা-ব। ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানুসবিরূ ওয়াসা-বিরূ ওয়ারা-বিতূ ওয়াত্তাকুল্লা-হা লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।
অর্থ : নিশ্চয় আসমান ও জমিনের সৃষ্টির মধ্যে এবং দিবস ও রাত্রির পরিবর্তনে জ্ঞানবানদের জন্য স্পষ্ট নিদর্শনাবলী রয়েছে। যারা দন্ডায়মান, উপবেশন ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমান ও জমিনের সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা করে (বলে), হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তা বৃথা সৃষ্টি করেননি। আপনিই পবিত্রতম; অতএব আমাদেরকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! অবশ্যই আপনি যাকে জাহান্নামে দেবেন, নিশ্চয় তাকে লাঞ্চিত করবেন এবং অত্যাচারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের রব! নিশ্চয় আমরা এক আহবানকারীকে আহবান করতে শুনেছিলাম যে, তোমরা স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো, তাতেই আমরা ঈমান এনেছি; হে আমাদের রব! অতএব আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করুন, আর আমাদের গোনাহগুলো মুছে দিন এবং পুণ্যবানদের সাথে আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন। হে আমাদের রব! আপনি স্বীয় রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদের সাথে যে অঙ্গীকার করেছিলেন তা দান করুন এবং কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্চিত করবেন না; নিশ্চয় আপনি ওয়াদা খিলাফ করেন না। অতঃপর তাদের প্রতিপালক তাদের আহবানে সাড়া দিলেন এ মর্মে যে, আমি তোমাদের পুরুষ অথবা নারীর মধ্য হতে কোন আমলকারীর আমল নষ্ট করব না, তোমরা পরস্পর এক। অতএব যারা হিজরত করেছে, তাদের ঘরবাড়ি হতে বিতাড়িত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং সংগ্রাম করেছে ও নিহত হয়েছে, নিশ্চয় আমি তাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করব এবং তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাব, যার নিচ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত; এটা আল্লাহর নিকট হতে প্রতিদান, আর আল্লাহর নিকটই রয়েছে উত্তম প্রতিদান। শহরসমূহে কাফিরদের চালচলন যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে। এসব কয়েকদিনের ভোগের সামগ্রী মাত্র; অতঃপর তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম এবং তা কতইনা নিকৃষ্ট স্থান! কিমত্মু যারা স্বীয় প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত, তন্মধ্যে তারা সদা অবস্থান করবে, এটা আল্লাহর নিকট থেকে মেহমানদারী। আর যেসব বসত্মু আল্লাহর নিকট রয়েছে তা পুণ্যবানদের জন্য বহুগুণে উত্তম। আর নিশ্চয় আহলে কিতাবের মধ্যে এরূপ লোকও রয়েছে, যারা আল্লাহর প্রতি এবং তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে, সে বিষয়ে আল্লাহর ভয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে; যারা অল্প মূল্যে আল্লাহর নিদর্শনাবলি বিক্রি করে না, তাদের জন্যই তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রতিদান রয়েছে; নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ করো ও ধৈর্যধারণে প্রতিযোগিতা করো এবং লড়াইয়ের জন্য সর্বদা প্রসত্মুত থাকো, আর আল্লাহকে ভয় করো যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। [আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক রাতে আমার খালা মাইমুনার ঘরে থাকলাম। রাসূলুল্লাহ ﷺও এ রাতে তার সাথে ছিলেন। নবী ﷺ পরিবারের সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বললেন। তারপর ঘুমিয়ে গেলেন। যখন রাতের দুই-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলো, তখন তিনি উঠলেন এবং আকাশের দিকে তাকালেন। অতঃপর সূরা আলে ইমরানের শেষ রুকূ তিলাওয়াত করলেন। তারপর অযু করে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলেন। অন্য বর্ণনায় সূরার শেষ রুকূর প্রথম ৫ আয়াত পড়ার কথা বর্ণিত আছে। (সহীহ বুখারী, হা/৪৫৬৯; সহীহ মুসলিম, হা/১৮৩৫; আবু দাঊদ, হা/৫৮; নাসাঈ, হা/১৭০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৮৮; মিশকাত, হা/১১৯৫, ১২০৯)]
উচ্চারণ : আল্ হাম্দুলিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না বা‘দা মা আমা-তানা ওয়া ইলাইহিন নুশূর।
অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি আমাদেরকে মরণের পর জীবিত করেছেন এবং তাঁর দিকেই আবার প্রত্যাবর্তন করতে হবে। [সহীহ বুখারী, হা/৬৩১২; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৬২; আবু দাঊদ, হা/৫০৫১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৬২৬; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৫; জামেউস সগীর, হা/৮৭৭৯।]
(২) لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‐ وَسُبْحَانَ اللهِ وَ الْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ- اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুলমুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর, ওয়া সুবহা-নাল্লা-হি ওয়ালহামদু লিল্লা-হি ওয়ালা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ, আল্লা-হুম্মাগ ফিরলী।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাশীল। আমরা আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি। প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। তাঁর সাহায্য ব্যতীত কোন শক্তি বা উপায় নেই। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। [উবাদা ইবনে সামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কেউ যদি শেষ রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই দু‘আটি পড়ে, তবে সে যে কোন দু‘আ করলে তার দু‘আ কবুল করা হবে। আর যদি সে অযু করে সালাত আদায় করে তবে তার সালাত কবুল করা হবে। (সহীহ বুখারী, হা/১১৫৪; আবু দাঊদ, হা/৫০৬২; তিরমিযী, হা/৩৪১৪; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৭৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৭২৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৬১২; মিশকাত, হা/১২১৩)]
(৩) সূরা আলে ইমরানের শেষ রুকূ পড়া :
﴿إِنَّ فِيْ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَاٰيَاتٍ لِاُولِي الْاَلْبَابِ ‐ اَلَّذِيْنَ يَذْكُرُوْنَ اللهَ قِيَامًا وَّ قُعُوْدًا وَّعَلٰى جُنُوْبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُوْنَ فِيْ خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ‐ رَبَّنَاۤ إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَه وَمَا لِلظَّالِمِيْنَ مِنْ أَنْصَارٍ ‐ رَبَّنَاۤ إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِيْ لِلْاِيْمَانِ أَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْاَبْرَارِ ‐ رَبَّنَا وَاٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰى رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ ‐ فَاسْتَجَابَ لَهُمْ رَبُّهُمْ أَنِّيْ لَاۤ أُضِيْعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِّنْكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثٰى بَعْضُكُمْ مِّنْ ۢبَعْضٍ فَالَّذِيْنَ هَاجَرُوْا وَأُخْرِجُوْا مِنْ دِيَارِهِمْ وَأُوْذُوْا فِيْ سَبِيْلِيْ وَقَاتَلُوْا وَقُتِلُوْا لَاُكَفِّرَنَّ عَنْهُمْ سَيِّئَاتِهِمْ وَلَاُدْخِلَنَّهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ ثَوَابًا مِّنْ عِنْدِ اللهِ وَاللهُ عِنْدَهٗ حُسْنُ الثَّوَابِ ‐ لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فِيْ الْبِلَادِ ‐ مَتَاعٌ قَلِيْلٌ ثُمَّ مَأٰوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمِهَادُ ‐ لٰكِنِ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَا نُزُلًا مِّنْ عِنْدِ اللهِ وَمَا عِنْدَ اللهِ خَيْرٌ لِّلْاَبْرَارِ ‐ وَإِنَّ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَمَنْ يُّؤْمِنُ بِاللهِ وَمَاۤ أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ وَمَاۤ أُنْزِلَ إِلَيْهِمْ خَاشِعِيْنَ لِلّٰهِ لَا يَشْتَرُوْنَ بِاٰيَاتِ اللهِ ثَمَنًا قَلِيْلًا أُولٰٓئِكَ لَهُمْ أَجْرُهُمْ عِنْدَ رَبِّهِمْ إِنَّ اللهَ سَرِيْعُ الْحِسَابِ ‐ يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ﴾
উচ্চারণ : ইন্না ফী খালক্বিসসামা-ওয়া-তি ওয়ালআরযি ওয়াখতিলা-ফিল লাইলি ওয়াননাহা-রি লাআ-য়া-তিল লিউলিল আলবা-ব। আল্লাযীনা ইয়াযকুরূনাল্লা-হা ক্বিয়া-মাওঁ ওয়াকু‘ঊদাওঁ ওয়া‘আলা জুনূবিহিম ওয়া ইয়াতাফাক্কারূনা ফী খালকিসসামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি, রাববানা মা-খালাক্বতা হা-যা বা-ত্বিলান, সুবহা-নাকা ফাক্বিনা ‘আযা-বাননা-র। রাববানা ইন্নাকা মান তুদ্খিলিন না-রা ফাক্বাদ আখযাইতাহ্, ওয়ামা লিযযা-লিমীনা মিন আনসা-র। রাববানা ইন্নানা সামি‘না মুনা-দিয়াই ইউনা-দী লিলঈমা-নি আনআ-মিনূ বিরাব্বিকুম ফাআ-মান্না। রাববানা ফাগফিরলানা যুনূবানা ওয়াকাফ্ফির ‘আন্না সায়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মা‘আল আবরা-র। রাববানা ওয়াআ-তিনা মা ওয়া‘আত্তানা ‘আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াউমাল ক্বিয়ামাহ, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আ-দ। ফাস্তাজা-বা লাহুম রাববুহুম আন্নী লা-উযী‘উ ‘আমালা ‘আ-মিলিম মিনকুম মিন যাকারিন আও উনসা, বা‘যুকুম মিম বা‘য, ফাল্লাযীনা হা-জারু ওয়া উখরিজু মিন দিয়া-রিহিম ওয়াঊযূ ফী সাবীলী ওয়াক্বা-তালূ ওয়াকুতিলূ লাউকাফ্ফিরান্না ‘আনহুম সায়্যিআ-তিহিম ওয়ালা উদ্খীলান্নাহুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহা-র, সাওয়া-বাম মিন ‘ইনদিল্লা-হ, ওয়াল্লা-হু ‘ইনদাহূ হুসনুস সাওয়া-ব। লা-ইয়াগুর্রান্নাকা তাক্বাল্লুবুল্লাযীনা কাফারু ফিল বিলা-দ। মাতা‘উন ক্বালীল। সুম্মা মা’ওয়া-হুম জাহান্নাম, ওয়াবি’সাল মিহা-দ। লা-কিনিল্লাযীনাত্তাক্বাও রাববাহুম লাহুম জান্না-তুন তাজরী মিন তাহ্তিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহা নুযুলাম মিন ‘ইনদিল্লা-হ, ওয়ামা ‘ইনদাল্লা-হি খাইরুল লিল আবরা-র। ওয়া ইন্না মিন আহলিল কিতা-বি লামাই ইউ’মিনু বিল্লা-হি ওয়ামা উনযিলা ইলাইকুম ওয়ামা উনযিলা ইলাইহিম খা-শি‘ঈনা লিল্লা-হি লা-ইয়াশ্তারূনা বিআ-য়া-তিল্লা-হি সামানান ক্বালীলা, উলা-ইকা লাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রাবিবহিম, ইন্নাল্লা-হা সারী‘উল হিসা-ব। ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানুসবিরূ ওয়াসা-বিরূ ওয়ারা-বিতূ ওয়াত্তাকুল্লা-হা লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।
অর্থ : নিশ্চয় আসমান ও জমিনের সৃষ্টির মধ্যে এবং দিবস ও রাত্রির পরিবর্তনে জ্ঞানবানদের জন্য স্পষ্ট নিদর্শনাবলী রয়েছে। যারা দন্ডায়মান, উপবেশন ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমান ও জমিনের সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা করে (বলে), হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি তা বৃথা সৃষ্টি করেননি। আপনিই পবিত্রতম; অতএব আমাদেরকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! অবশ্যই আপনি যাকে জাহান্নামে দেবেন, নিশ্চয় তাকে লাঞ্চিত করবেন এবং অত্যাচারীদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের রব! নিশ্চয় আমরা এক আহবানকারীকে আহবান করতে শুনেছিলাম যে, তোমরা স্বীয় প্রতিপালকের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করো, তাতেই আমরা ঈমান এনেছি; হে আমাদের রব! অতএব আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করুন, আর আমাদের গোনাহগুলো মুছে দিন এবং পুণ্যবানদের সাথে আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন। হে আমাদের রব! আপনি স্বীয় রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদের সাথে যে অঙ্গীকার করেছিলেন তা দান করুন এবং কিয়ামতের দিন আমাদেরকে লাঞ্চিত করবেন না; নিশ্চয় আপনি ওয়াদা খিলাফ করেন না। অতঃপর তাদের প্রতিপালক তাদের আহবানে সাড়া দিলেন এ মর্মে যে, আমি তোমাদের পুরুষ অথবা নারীর মধ্য হতে কোন আমলকারীর আমল নষ্ট করব না, তোমরা পরস্পর এক। অতএব যারা হিজরত করেছে, তাদের ঘরবাড়ি হতে বিতাড়িত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং সংগ্রাম করেছে ও নিহত হয়েছে, নিশ্চয় আমি তাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করব এবং তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাব, যার নিচ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত; এটা আল্লাহর নিকট হতে প্রতিদান, আর আল্লাহর নিকটই রয়েছে উত্তম প্রতিদান। শহরসমূহে কাফিরদের চালচলন যেন তোমাদেরকে প্রতারিত না করে। এসব কয়েকদিনের ভোগের সামগ্রী মাত্র; অতঃপর তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম এবং তা কতইনা নিকৃষ্ট স্থান! কিমত্মু যারা স্বীয় প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত, তন্মধ্যে তারা সদা অবস্থান করবে, এটা আল্লাহর নিকট থেকে মেহমানদারী। আর যেসব বসত্মু আল্লাহর নিকট রয়েছে তা পুণ্যবানদের জন্য বহুগুণে উত্তম। আর নিশ্চয় আহলে কিতাবের মধ্যে এরূপ লোকও রয়েছে, যারা আল্লাহর প্রতি এবং তোমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে, সে বিষয়ে আল্লাহর ভয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে; যারা অল্প মূল্যে আল্লাহর নিদর্শনাবলি বিক্রি করে না, তাদের জন্যই তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রতিদান রয়েছে; নিশ্চয় আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ করো ও ধৈর্যধারণে প্রতিযোগিতা করো এবং লড়াইয়ের জন্য সর্বদা প্রসত্মুত থাকো, আর আল্লাহকে ভয় করো যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। [আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক রাতে আমার খালা মাইমুনার ঘরে থাকলাম। রাসূলুল্লাহ ﷺও এ রাতে তার সাথে ছিলেন। নবী ﷺ পরিবারের সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বললেন। তারপর ঘুমিয়ে গেলেন। যখন রাতের দুই-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলো, তখন তিনি উঠলেন এবং আকাশের দিকে তাকালেন। অতঃপর সূরা আলে ইমরানের শেষ রুকূ তিলাওয়াত করলেন। তারপর অযু করে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলেন। অন্য বর্ণনায় সূরার শেষ রুকূর প্রথম ৫ আয়াত পড়ার কথা বর্ণিত আছে। (সহীহ বুখারী, হা/৪৫৬৯; সহীহ মুসলিম, হা/১৮৩৫; আবু দাঊদ, হা/৫৮; নাসাঈ, হা/১৭০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৮৮; মিশকাত, হা/১১৯৫, ১২০৯)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّى أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়ালখাবা-ইস।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট অপবিত্র মহিলা ও পুরুষ জিন হতে আশ্রয় চাচ্ছি। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন টয়লেটে যেতেন তখন এই দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/১৪২; সহীহ মুসলিম, হা/৮৫৭; আবু দাঊদ, হা/৬; তিরমিযী, হা/৬; নাসাঈ, হা/১৯; ইবনে মাজাহ, হা/২৯৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৯৬৫; মিশকাত, হা/৩৩৭)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল খুবুসি ওয়ালখাবা-ইস।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট অপবিত্র মহিলা ও পুরুষ জিন হতে আশ্রয় চাচ্ছি। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন টয়লেটে যেতেন তখন এই দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/১৪২; সহীহ মুসলিম, হা/৮৫৭; আবু দাঊদ, হা/৬; তিরমিযী, হা/৬; নাসাঈ, হা/১৯; ইবনে মাজাহ, হা/২৯৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৯৬৫; মিশকাত, হা/৩৩৭)]
غُفْرَانَكَ
উচ্চারণ : গুফরা-নাকা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি ক্ষমা চাচ্ছি। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন টয়লেট থেকে বের হতেন তখন এই দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৩০; তিরমিযী, হা/৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩০০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫২৬১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৯০; জামেউস সগীর, হা/৮৮৩৬; মিশকাত, হা/৩৫৯। উল্লেখ্য যে, এ দু‘আর সাথে কিছু অতিরিক্ত দু‘আ সমাজে প্রচলিত আছে। তবে এর সনদ সহীহ নয়)]
উচ্চারণ : গুফরা-নাকা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি ক্ষমা চাচ্ছি। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন টয়লেট থেকে বের হতেন তখন এই দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৩০; তিরমিযী, হা/৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩০০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫২৬১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৯০; জামেউস সগীর, হা/৮৮৩৬; মিশকাত, হা/৩৫৯। উল্লেখ্য যে, এ দু‘আর সাথে কিছু অতিরিক্ত দু‘আ সমাজে প্রচলিত আছে। তবে এর সনদ সহীহ নয়)]
(১) أَشْهَدُ اَنْ لَّا إلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه ، وَأَشْهَدُ أنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه وَرَسُوْلُه
উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা-শারীকালাহূ ওয়াআশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়ারাসূলুহ্।
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল। [উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি উত্তমরূপে পূর্ণ নিয়মের সাথে অযু করবে এবং এ দু‘আ পড়বে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। ফলে সে তাতে যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ মুসলিম, হা/৫৭৬; ইবনে মাজাহ, হা/৪৭০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪৩১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২২২; বায়হাকী, হা/৩৩৩৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২২৪; মিশকাত, হা/২৮৯)]
(২) اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ ، وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাজ‘আল্নী মিনাত্তাওয়া-বীন, ওয়াজ্‘আল্নী মিনাল্ মুতাত্বাহ্হিরীন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন। [তিরমিযী, হা/৫৫; বায়হাকী, হা/৩৭৫; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২০; জামেউস সগীর, হা/১১১১২; মিশকাত, হা/২৮৯।]
উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা-শারীকালাহূ ওয়াআশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়ারাসূলুহ্।
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল। [উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি উত্তমরূপে পূর্ণ নিয়মের সাথে অযু করবে এবং এ দু‘আ পড়বে, তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। ফলে সে তাতে যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ মুসলিম, হা/৫৭৬; ইবনে মাজাহ, হা/৪৭০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৪৩১; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২২২; বায়হাকী, হা/৩৩৩৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২২৪; মিশকাত, হা/২৮৯)]
(২) اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ مِنَ التَّوَّابِيْنَ ، وَاجْعَلْنِيْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাজ‘আল্নী মিনাত্তাওয়া-বীন, ওয়াজ্‘আল্নী মিনাল্ মুতাত্বাহ্হিরীন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তওবাকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন। [তিরমিযী, হা/৫৫; বায়হাকী, হা/৩৭৫; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২০; জামেউস সগীর, হা/১১১১২; মিশকাত, হা/২৮৯।]
আযান শুনলে মুয়াজ্জিন যা বলেন তাই উচ্চারণ করে আযানের জবাব দিতে হয়। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৪৮; সহীহ বুখারী, হা/৬১১; সহীহ মুসলিম, হা/৮৭৪; আবু দাউদ, হা/৫২২; তিরমিযী, হা/২০৮; নাসাঈ, হা/৬৭৩; ইবনে মাজাহ, হা/৭২০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১০৩৩; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/১১৮৯; জামেউস সগীর, হা/৬১৪।] তবে ‘‘হাইয়্যা ‘আলাস সালাহ’’ ও ‘‘হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ’’ বলার সময় বলতে হয় ‘‘লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ’’। [সহীহ মুসলিম, হা/৩৮৫; আবু দাউদ, হা/৫২৮; নাসাঈ, হা/৬৭৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৪১৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬৮৫; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৫৮; মিশকাত, হা/৬৫৮।]
আযান শেষ হলে প্রথমে দরূদ পড়বে। [সহীহ মুসলিম, হা/৮৭৫; আবু দাঊদ, হা/৫২৩; তিরমিযী, হা/৩৬১৪; নাসাঈ, হা/৬৭৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৪১৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬৯০; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩২৬৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৫০; মিশকাত, হা/৬৫৭।] তারপর দু‘আ পড়বে,
(১) اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ اٰتِ مُحَمَّدَنِ الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَنِ الَّذِيْ وَعَدْتَّه
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা রাববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্তা-ম্মাহ, ওয়াসসালা-তিল ক্বা-ইমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়ালফাযীলাহ, ওয়াব‘আসহু মাক্বা-মাম্ মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আত্তাহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের আপনিই রব। মুহাম্মাদ ﷺ কে দান করুন অসীলা নামক স্থান ও মর্যাদা। আর তাকে অধিষ্ঠিত করুন সেই প্রশংসিত স্থানে, যার ওয়াদা আপনি তাকে দিয়েছেন। [জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আযান শুনে এই দু‘আ বলবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য শাফা‘আত করা আমার উপর জরুরি হয়ে যাবে। (সহীহ বুখারী, হা/৬১৪; আবু দাঊদ, হা/৫২৯; তিরমিযী, হা/২১১; নাসাঈ, হা/৬৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৮৫৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬৮৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৪২০; মিশকাত, হা/৬৫৯)]
(২) أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه وَرَسُوْلُه رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّبِمُحَمَّدٍ رَسُوْلًا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا
উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহ, রাযীতু বিল্লা-হি রাববাও ওয়া বিমুহাম্মাদির রাসূলাও ওয়া বিল ইসলা-মি দ্বীনা।
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল। আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, মুহাম্মাদ ﷺ কে রাসূল হিসেবে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে সমত্মুষ্ট হয়েছি। [সা‘দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আযান শুনে এই দু‘আ পড়বে, তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (সহীহ মুসলিম, হা/৮৭৭; আবু দাঊদ, হা/৫২৫; তিরমিযী, হা/২১০; নাসাঈ, হা/৬৭৯; ইবনে মাজাহ, হা/৭২১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৬৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬৯৩; মিশকাত, হা/৬৬১)]
(১) اَللّٰهُمَّ رَبَّ هٰذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ اٰتِ مُحَمَّدَنِ الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَنِ الَّذِيْ وَعَدْتَّه
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা রাববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্তা-ম্মাহ, ওয়াসসালা-তিল ক্বা-ইমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়ালফাযীলাহ, ওয়াব‘আসহু মাক্বা-মাম্ মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আত্তাহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠিত সালাতের আপনিই রব। মুহাম্মাদ ﷺ কে দান করুন অসীলা নামক স্থান ও মর্যাদা। আর তাকে অধিষ্ঠিত করুন সেই প্রশংসিত স্থানে, যার ওয়াদা আপনি তাকে দিয়েছেন। [জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি আযান শুনে এই দু‘আ বলবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য শাফা‘আত করা আমার উপর জরুরি হয়ে যাবে। (সহীহ বুখারী, হা/৬১৪; আবু দাঊদ, হা/৫২৯; তিরমিযী, হা/২১১; নাসাঈ, হা/৬৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৮৫৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬৮৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৪২০; মিশকাত, হা/৬৫৯)]
(২) أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُه وَرَسُوْلُه رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَّبِمُحَمَّدٍ رَسُوْلًا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا
উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহ, রাযীতু বিল্লা-হি রাববাও ওয়া বিমুহাম্মাদির রাসূলাও ওয়া বিল ইসলা-মি দ্বীনা।
অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল। আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, মুহাম্মাদ ﷺ কে রাসূল হিসেবে এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পেয়ে সমত্মুষ্ট হয়েছি। [সা‘দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আযান শুনে এই দু‘আ পড়বে, তার পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (সহীহ মুসলিম, হা/৮৭৭; আবু দাঊদ, হা/৫২৫; তিরমিযী, হা/২১০; নাসাঈ, হা/৬৭৯; ইবনে মাজাহ, হা/৭২১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৬৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৬৯৩; মিশকাত, হা/৬৬১)]
(১) بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লা-হি লা-হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ।
অর্থ : আল্লাহর নামে বের হলাম, তাঁর উপর ভরসা করলাম। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপায় ও ক্ষমতা নেই। [আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এ দু‘আ পড়বে, তাকে বলা হয় তোমাকে পথ দেখানো হলো এবং সংরক্ষণ করা হল। ফলে শয়তান তার নিকট হতে দূর হয়ে যায় এবং অপর শয়তান এ শয়তানকে বলে, তুমি ঐ ব্যক্তির কী করবে যাকে পথ দেখানো হয়েছে, উপায় বলে দেয়া হয়েছে এবং রক্ষা করা হয়েছে? (আবু দাঊদ, হা/৫০৯৭; তিরমিযী, হা/৩৪২৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬০৫; জামেউস সগীর, হা/৫০০; মিশকাত, হা/২৪৪২)]
(২) اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ اَنْ اَضِلَّ اَوْ اُضَلَّ اَوْ اَزِلَّ اَوْ اُزَلَّ اَوْ اَظْلِمَ اَوْ اُظْلَمَ اَوْ اَجْهَلَ اَوْ يُجْهَلَ عَلَىَّ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা আন্ আযিল্লা আও উযাল্লা আও আযিল্লা আও উযাল্লা আও আযলিমা আও উযলামা আও আজহালা আও ইউজ্হালা ‘আলাইয়া।
অর্থ : হে আললাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই- আমি কাউকে বিভ্রামত্ম করি বা আমাকে কেউ বিভ্রামত্ম করুক বা আমি কাউকে পদচ্যুত করি বা আমাকে কেউ পদচ্যুত করুক বা আমি কারো প্রতি অত্যাচার করি বা কেউ আমাকে অত্যাচার করুক বা আমি মূর্খতা সুলভ কোন কাজ করি বা কেউ আমার উপর অশোভনীয় কিছু করুক এর থেকে। [উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখনই ঘর থেকে বের হতেন, আসমানের দিকে তাকিয়ে এই দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৫০৯৬; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৯১৯৯; মিশকাত, হা/২৪৪২)]
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লা-হি লা-হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ।
অর্থ : আল্লাহর নামে বের হলাম, তাঁর উপর ভরসা করলাম। আল্লাহ ব্যতীত কোন উপায় ও ক্ষমতা নেই। [আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এ দু‘আ পড়বে, তাকে বলা হয় তোমাকে পথ দেখানো হলো এবং সংরক্ষণ করা হল। ফলে শয়তান তার নিকট হতে দূর হয়ে যায় এবং অপর শয়তান এ শয়তানকে বলে, তুমি ঐ ব্যক্তির কী করবে যাকে পথ দেখানো হয়েছে, উপায় বলে দেয়া হয়েছে এবং রক্ষা করা হয়েছে? (আবু দাঊদ, হা/৫০৯৭; তিরমিযী, হা/৩৪২৬; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬০৫; জামেউস সগীর, হা/৫০০; মিশকাত, হা/২৪৪২)]
(২) اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ اَنْ اَضِلَّ اَوْ اُضَلَّ اَوْ اَزِلَّ اَوْ اُزَلَّ اَوْ اَظْلِمَ اَوْ اُظْلَمَ اَوْ اَجْهَلَ اَوْ يُجْهَلَ عَلَىَّ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা আন্ আযিল্লা আও উযাল্লা আও আযিল্লা আও উযাল্লা আও আযলিমা আও উযলামা আও আজহালা আও ইউজ্হালা ‘আলাইয়া।
অর্থ : হে আললাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই- আমি কাউকে বিভ্রামত্ম করি বা আমাকে কেউ বিভ্রামত্ম করুক বা আমি কাউকে পদচ্যুত করি বা আমাকে কেউ পদচ্যুত করুক বা আমি কারো প্রতি অত্যাচার করি বা কেউ আমাকে অত্যাচার করুক বা আমি মূর্খতা সুলভ কোন কাজ করি বা কেউ আমার উপর অশোভনীয় কিছু করুক এর থেকে। [উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখনই ঘর থেকে বের হতেন, আসমানের দিকে তাকিয়ে এই দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৫০৯৬; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৯১৯৯; মিশকাত, হা/২৪৪২)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلَجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللهِ وَلَجْنَا وَعَلَى اللهِ رَبَّنَا تَوَكَّلْنَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাল মাওলাজি ওয়া খাইরাল মাখরাজি বিসমিল্লা-হি ওয়ালাজনা ওয়া ‘আলাল্লা-হি রাববানা তাওয়াক্কালনা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি প্রবেশ করার এবং বের হওয়ার কল্যাণ চাই। আল্লাহর নামেই আমরা পৌঁছি এবং আল্লাহর উপর আমরা ভরসা করি। [আবু মালিক আল আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন কোন ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশ করে, তখন সে যেন এই দু‘আটি পাঠ করে। তারপর সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করবে। (আবু দাঊদ, হা/৫০৯৮; জামেউস সগীর, হা/৮৪১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২২৫; মিশকাত, হা/২৪৪৪)]
ঘরে প্রবেশ করেই ঘরবাসীকে সালাম দিবে। কুরআনে আল্লাহ বলেন, যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ কর, তখন নিজেদের উপর সালাম দাও। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অতি বরকতময় এবং পবিত্র সম্ভাষণ। (সূরা নূর- ৬১)
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাল মাওলাজি ওয়া খাইরাল মাখরাজি বিসমিল্লা-হি ওয়ালাজনা ওয়া ‘আলাল্লা-হি রাববানা তাওয়াক্কালনা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি প্রবেশ করার এবং বের হওয়ার কল্যাণ চাই। আল্লাহর নামেই আমরা পৌঁছি এবং আল্লাহর উপর আমরা ভরসা করি। [আবু মালিক আল আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন কোন ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশ করে, তখন সে যেন এই দু‘আটি পাঠ করে। তারপর সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করবে। (আবু দাঊদ, হা/৫০৯৮; জামেউস সগীর, হা/৮৪১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২২৫; মিশকাত, হা/২৪৪৪)]
ঘরে প্রবেশ করেই ঘরবাসীকে সালাম দিবে। কুরআনে আল্লাহ বলেন, যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ কর, তখন নিজেদের উপর সালাম দাও। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অতি বরকতময় এবং পবিত্র সম্ভাষণ। (সূরা নূর- ৬১)
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ فِىْ قَلْبِىْ نُوْرًا وَّ فِىْ بَصَرِىْ نُوْرًا وَّ فِىْ سَمْعِىْ نُوْرًا وَّ عَنْ يَّمِيْنِىْ نُورًا وَّ عَنْ يَّسَارِىْ نُوْرًا وَّ فَوْقِىْ نُوْرًا وَّ تَحْتِىْ نُوْرًا وَّ أَمَامِىْ نُوْرًا وَّ خَلْفِىْ نُوْرًا وَّ عَظِّمْ لِىْ نُوْرًا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরাও ওয়াফী বাসারী নূরাও ওয়াফী সাম‘য়ী নূরাও ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরাও ওয়া ‘আন ইয়াসা-রী নূরাও ওয়া ফাউক্বী নূরাও ওয়া তাহ্তী নূরাও ওয়াআমা-মী নূরাও ওয়াখালফী নূরাও ওয়া ‘আয্যিম লী নূরা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার অন্তরে, চোখে, কানে এবং আমার ডানে-বামে, উপরে-নিচে, সামনে-পেছনে নূর দান করো এবং আমাকে অধিক নূর দান করো। [ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতের উদ্দেশ্যে বের হলেন। তিনি তখন এ দু‘আটি পাঠ করছিলেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩১৬; সহীহ মুসলিম, হা/১৮২৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩১৯৪; মিশকাত, হা/১১৯৫)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরাও ওয়াফী বাসারী নূরাও ওয়াফী সাম‘য়ী নূরাও ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরাও ওয়া ‘আন ইয়াসা-রী নূরাও ওয়া ফাউক্বী নূরাও ওয়া তাহ্তী নূরাও ওয়াআমা-মী নূরাও ওয়াখালফী নূরাও ওয়া ‘আয্যিম লী নূরা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার অন্তরে, চোখে, কানে এবং আমার ডানে-বামে, উপরে-নিচে, সামনে-পেছনে নূর দান করো এবং আমাকে অধিক নূর দান করো। [ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এরপর রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতের উদ্দেশ্যে বের হলেন। তিনি তখন এ দু‘আটি পাঠ করছিলেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩১৬; সহীহ মুসলিম, হা/১৮২৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩১৯৪; মিশকাত, হা/১১৯৫)]
(১) اَللّٰهُمَّ افْتَحْ لِىْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাফ্তাহ্লী আবওয়া-বা রাহ্মাতিক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন। [আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে তখন সে যেন এই দু‘আ পাঠ করে। (সহীহ মুসলিম, হা/১৬৮৫; আবু দাঊদ, হা/৪৬৫; নাসাঈ, হা/৭২৯; ইবনে মাজাহ, হা/৭৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৬৫৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০৪৭; মিশকাত, হা/৭০৩)]
(২) اَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَ سُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ ‐ بِسْمِ اللهِ وَ الصَّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ ‐ اَللّٰهُمَّ افْتَحْ لِىْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
উচ্চারণ : আ‘ঊযুবিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজ্হিহিল কারীম, ওয়া সুলত্বা-নিহিল ক্বাদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম, বিসমিল্লা-হি ওয়াসসালা-তু ওয়াসসালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লা-হ্। আল্লা-হুম্মাফ্তাহ্লী আব্ওয়া-বা রাহমাতিক।
অর্থ : আমি মহান আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে তাঁর সম্মানিত চেহারার মাধ্যমে এবং তাঁর চিরন্তন প্রতাপের মাধ্যমে আশ্রয় চাচ্ছি। আল্লাহর নামে প্রবেশ করছি। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের প্রতি। হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন। [আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, যখন কোন ব্যক্তি ‘‘আ‘ঊযুবিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজ্হিহিল কারীম, ওয়া সুলত্বা-নিহিল ক্বাদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম’’ এ দু‘আ পাঠ করে তখন শয়তান বলে, সারাদিনের জন্য সে আমার থেকে নিরাপত্তা লাভ করল। (আবু দাঊদ, হা/৪৬৬; বায়হাকী, হা/৬৭)]
উল্লেখ্য যে, হাদীসের আলোকে মসজিদে প্রবেশের সময় নিম্নের পাঁচটি আমল পাওয়া যায় :
১. ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা।
২. ইতেকাফের নিয়ত করা।
৩. বিসমিল্লাহ বলা।
৪. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করা।
৫. মসজিদে প্রবেশের দু‘আ পড়া।
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাফ্তাহ্লী আবওয়া-বা রাহ্মাতিক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন। [আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে তখন সে যেন এই দু‘আ পাঠ করে। (সহীহ মুসলিম, হা/১৬৮৫; আবু দাঊদ, হা/৪৬৫; নাসাঈ, হা/৭২৯; ইবনে মাজাহ, হা/৭৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৬৫৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০৪৭; মিশকাত, হা/৭০৩)]
(২) اَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيْمِ وَ سُلْطَانِهِ الْقَدِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ ‐ بِسْمِ اللهِ وَ الصَّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ ‐ اَللّٰهُمَّ افْتَحْ لِىْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
উচ্চারণ : আ‘ঊযুবিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজ্হিহিল কারীম, ওয়া সুলত্বা-নিহিল ক্বাদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম, বিসমিল্লা-হি ওয়াসসালা-তু ওয়াসসালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লা-হ্। আল্লা-হুম্মাফ্তাহ্লী আব্ওয়া-বা রাহমাতিক।
অর্থ : আমি মহান আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে তাঁর সম্মানিত চেহারার মাধ্যমে এবং তাঁর চিরন্তন প্রতাপের মাধ্যমে আশ্রয় চাচ্ছি। আল্লাহর নামে প্রবেশ করছি। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের প্রতি। হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন। [আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে, যখন কোন ব্যক্তি ‘‘আ‘ঊযুবিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজ্হিহিল কারীম, ওয়া সুলত্বা-নিহিল ক্বাদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম’’ এ দু‘আ পাঠ করে তখন শয়তান বলে, সারাদিনের জন্য সে আমার থেকে নিরাপত্তা লাভ করল। (আবু দাঊদ, হা/৪৬৬; বায়হাকী, হা/৬৭)]
উল্লেখ্য যে, হাদীসের আলোকে মসজিদে প্রবেশের সময় নিম্নের পাঁচটি আমল পাওয়া যায় :
১. ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা।
২. ইতেকাফের নিয়ত করা।
৩. বিসমিল্লাহ বলা।
৪. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করা।
৫. মসজিদে প্রবেশের দু‘আ পড়া।
اَللّٰهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা মিন ফাযলিক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। [আবু উসাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদ হতে বের হবে, তখন সে যেন এ দু‘আটি পাঠ করে। (সহীহ মুসলিম, হা/১৬৮৫; আবু দাঊদ, হা/৪৬৫; নাসাঈ, হা/৭২৯; ইবনে মাজাহ, হা/৭৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৬৫৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০৪৭; মিশকাত, হা/৭০৩)]
(২) بِسْمِ اللهِ وَ الصَّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ ‐ اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ ‐ اَللّٰهُمَّ اَعْصِمْنِىْ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি ওয়াস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লা-হ্, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা মিন ফাযলিক, আল্লা-হুম্মা আ‘সিম্নী মিনাশ্ শাইত্বা-নির রাজীম।
অর্থ : আল্লাহর নামে বের হচ্ছি। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের প্রতি। হে আল্লাহ! আমি আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হেফাযত করুন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদ থেকে বের হবে, তখন নবী ﷺ এর প্রতি সালাম জানাবে এবং বলবে- ‘‘আল্লা-হুম্মা আ‘সিম্নী মিনাশ্ শাইত্বা-নির রাজীম।’’ (ইবনে মাজাহ, হা/৭৭১, ৭৭৩)]
হাদীসের মধ্যে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় পাঁচটি আমলের কথা জানা যায়। সেগুলো হলো :
১. বাম পা দিয়ে বের হওয়া।
২. হালাল রুজি উপার্জনের নিয়তে বের হওয়া।
৩. বিসমিল্লাহ বলা।
৪. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ করা।
৫. মসজিদ থেকে বের হওয়ার দু‘আ পাঠ করা।
শেষের তিনটি আদব উপরোক্ত দু‘আটি পাঠ করলেই আদায় হয়ে যাবে।
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা মিন ফাযলিক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। [আবু উসাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদ হতে বের হবে, তখন সে যেন এ দু‘আটি পাঠ করে। (সহীহ মুসলিম, হা/১৬৮৫; আবু দাঊদ, হা/৪৬৫; নাসাঈ, হা/৭২৯; ইবনে মাজাহ, হা/৭৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৬৫৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০৪৭; মিশকাত, হা/৭০৩)]
(২) بِسْمِ اللهِ وَ الصَّلَاةُ وَ السَّلَامُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ ‐ اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ ‐ اَللّٰهُمَّ اَعْصِمْنِىْ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি ওয়াস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লা-হ্, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা মিন ফাযলিক, আল্লা-হুম্মা আ‘সিম্নী মিনাশ্ শাইত্বা-নির রাজীম।
অর্থ : আল্লাহর নামে বের হচ্ছি। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসূলের প্রতি। হে আল্লাহ! আমি আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হেফাযত করুন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদ থেকে বের হবে, তখন নবী ﷺ এর প্রতি সালাম জানাবে এবং বলবে- ‘‘আল্লা-হুম্মা আ‘সিম্নী মিনাশ্ শাইত্বা-নির রাজীম।’’ (ইবনে মাজাহ, হা/৭৭১, ৭৭৩)]
হাদীসের মধ্যে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় পাঁচটি আমলের কথা জানা যায়। সেগুলো হলো :
১. বাম পা দিয়ে বের হওয়া।
২. হালাল রুজি উপার্জনের নিয়তে বের হওয়া।
৩. বিসমিল্লাহ বলা।
৪. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর প্রতি দরূদ ও সালাম পাঠ করা।
৫. মসজিদ থেকে বের হওয়ার দু‘আ পাঠ করা।
শেষের তিনটি আদব উপরোক্ত দু‘আটি পাঠ করলেই আদায় হয়ে যাবে।
اَللهُ اَكْبَرُ
উচ্চারণ : আল্লা-হু আকবার।
অর্থ : আল্লাহ সবচেয়ে বড়। [আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সালাতের চাবি হলো পবিত্রতা, এর তাকবীর পার্থিব যাবতীয় কাজকে হারাম করে এবং সালাম যাবতীয় কর্মকে হালাল করে দেয়। (আবু দাঊদ, হা/৬১; তিরমিযী, হা/৩; ইবনে মাজাহ, হা/২৭৫; মিশকাত, হা/৩১২)]
সানা :
(১) اَللّٰهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِيْ وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَّ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ ‐ اَللّٰهُمَّ نَقِّنِيْ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْاَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ ‐ اَللّٰهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা বা-‘আত্তা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লা-হুম্মা নাক্বক্বিনী মিনাল খাত্বা-ইয়া কামা ইয়ুনাক্বক্বাছ ছাওবুল আব্ইয়াযু মিনাদ দানাস। আল্লা-হুম্মাগ্সিল খাত্বা-ইয়া-ইয়া বিলমা-ই ওয়াছ্ছালজি ওয়াল বারাদ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার এবং আমার গোনাহগুলোর মধ্যে এমন ব্যবধান সৃষ্টি করে দিন, যেরূপ ব্যবধান সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে এমনভাবে পাপমুক্ত করুন, যেভাবে সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! আপনি আমার পাপসমূহ পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা ধৌত করে দিন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে তাকবীরে তাহ্রীমা এবং কুরআন তিলাওয়াতের মধ্যখানে অল্প কিছুক্ষণ নীরব থাকতেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার প্রতি আমার মা-বাবা কুরবান হোক! তাকবীরে তাহ্রীমা এবং কুরআন তিলাওয়াতের মধ্যখানে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থাকার সময় আপনি কী পড়েন? জবাবে তিনি বলেন, তখন আমি এ দু‘আটি পড়ে থাকি। (সহীহ বুখারী, হা/৭৪৪; সহীহ মুসলিম, হা/ ১৩৮২)]
(২) سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَلَا اِلٰهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়াবিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা, ওয়াতা‘আ-লা জাদ্দুকা ওয়ালা ইলা-হা গাইরুক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা আপনার প্রশংসার সাথে আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার মর্যাদা সকলের উপর। আপনি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। [আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত শুরুর পর এই দু‘আটি পাঠ করতেন। (তিরমিযী, হা/২৪২-৪৩; আবু দাঊদ, হা/৭৭৫-৭৬; নাসাঈ, হা/৯০০; দার কুতনী, হা/১১৪০; মিশকাত, হা/৮১৫, ১২১৭)]
উচ্চারণ : আল্লা-হু আকবার।
অর্থ : আল্লাহ সবচেয়ে বড়। [আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সালাতের চাবি হলো পবিত্রতা, এর তাকবীর পার্থিব যাবতীয় কাজকে হারাম করে এবং সালাম যাবতীয় কর্মকে হালাল করে দেয়। (আবু দাঊদ, হা/৬১; তিরমিযী, হা/৩; ইবনে মাজাহ, হা/২৭৫; মিশকাত, হা/৩১২)]
সানা :
(১) اَللّٰهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِيْ وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَّ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ ‐ اَللّٰهُمَّ نَقِّنِيْ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْاَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ ‐ اَللّٰهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা বা-‘আত্তা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লা-হুম্মা নাক্বক্বিনী মিনাল খাত্বা-ইয়া কামা ইয়ুনাক্বক্বাছ ছাওবুল আব্ইয়াযু মিনাদ দানাস। আল্লা-হুম্মাগ্সিল খাত্বা-ইয়া-ইয়া বিলমা-ই ওয়াছ্ছালজি ওয়াল বারাদ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার এবং আমার গোনাহগুলোর মধ্যে এমন ব্যবধান সৃষ্টি করে দিন, যেরূপ ব্যবধান সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে এমনভাবে পাপমুক্ত করুন, যেভাবে সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! আপনি আমার পাপসমূহ পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা ধৌত করে দিন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে তাকবীরে তাহ্রীমা এবং কুরআন তিলাওয়াতের মধ্যখানে অল্প কিছুক্ষণ নীরব থাকতেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার প্রতি আমার মা-বাবা কুরবান হোক! তাকবীরে তাহ্রীমা এবং কুরআন তিলাওয়াতের মধ্যখানে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ থাকার সময় আপনি কী পড়েন? জবাবে তিনি বলেন, তখন আমি এ দু‘আটি পড়ে থাকি। (সহীহ বুখারী, হা/৭৪৪; সহীহ মুসলিম, হা/ ১৩৮২)]
(২) سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالٰى جَدُّكَ وَلَا اِلٰهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়াবিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা, ওয়াতা‘আ-লা জাদ্দুকা ওয়ালা ইলা-হা গাইরুক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা আপনার প্রশংসার সাথে আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার মর্যাদা সকলের উপর। আপনি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। [আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত শুরুর পর এই দু‘আটি পাঠ করতেন। (তিরমিযী, হা/২৪২-৪৩; আবু দাঊদ, হা/৭৭৫-৭৬; নাসাঈ, হা/৯০০; দার কুতনী, হা/১১৪০; মিশকাত, হা/৮১৫, ১২১৭)]
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ (১)
উচ্চারণ : সুব্হা-না রাবিবয়াল ‘আযীম।
অর্থ : আমি আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। [হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সালাত আদায় করেন। আর তখন তিনি রুকূতে এ দু‘আ পাঠ করেন। (আবু দাঊদ, হা/৮৭১; সহীহ মুসলিম, হা/১৮৫০; তিরমিযী, হা/২৬১; নাসাঈ, হা/১০০৮; ইবনে মাজাহ, হা/৮৮৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩২৮৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৫৪২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৮৯৭; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৯২৩)] (তিন বার) [হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে শুনেছেন যে, যখন তিনি সিজদায় যেতেন তখন তিনি এ দু‘আটি তিন বার পাঠ করতেন। (ইবনে মাজাহ, হা/৮৮৮)]
(২) سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ وَ بِحَمْدِه
উচ্চারণ : সুব্হা-না রাবিবয়াল ‘আযীম, ওয়াবি হামদিহী।
অর্থ : আমি আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং তার প্রশংসা জ্ঞাপন করছি। [উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন রুকূতে যেতেন, তখন তিনি এ দু‘আটি তিন বার পাঠ করতেন। (জামেউস সগীর, হা/৮৮৬৫)]
سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ (৩)
উচ্চারণ : সুব্হা-নাকা আল্লা-হুম্মা রাববানা ওয়াবিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলী।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার প্রশংসার সাথে আমরা তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ রুকূ ও সিজদার মধ্যে এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৭৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/১১১৩; আবু দাঊদ, হা/৮৭৭; নাসাঈ, হা/১১২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২০৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৬০৫)]
(৪) سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَ الْرُّوْحِ
উচ্চারণ : সুববূহুন কুদ্দূসুন, রাববুল মালা-ইকাতি ওয়ার রূহ।
অর্থ : আল্লাহ পবিত্র ও ত্রুটিমুক্ত; তিনি জিবরাঈল (আঃ) সহ সকল ফেরেশতার রব। [আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ রুকূ ও সিজদার মধ্যে এ দু‘আ পড়তেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১১১৯; আবু দাঊদ, হা/৮৭২; নাসাঈ, হা/১০৪৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪১০৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৬০৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৮৯৯; দার কুতনী, হা/১৩০০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪০৬৩)]
(৫) سُبْحَانَ ذِى الْجَبَرُوْتِ وَ الْمَلَكُوْتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَ الْعَظْمَةِ
উচ্চারণ : সুব্হা-না যিল্ জাবারূতি ওয়াল্ মালাকূতি ওয়াল্ কিব্রিয়া-ই ওয়াল্ ‘আয্মাতি।
অর্থ : আমি পবিত্রতা বর্ণনা করছি সেই মহান সত্তার, যিনি প্রতাপশালী, রাজত্ব, বড়ত্ব ও মহত্বের মালিক। [আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী ﷺ এর সাথে সালাতে দাঁড়ালাম। সে সালাতে তিনি সূরা বাক্বারা পড়ার সমপরিমাণ সময় রুকূর মধ্যে ছিলেন। এ সময় তিনি এ তাসবীহ পাঠ করেন। (আবু দাঊদ, হা/৮৭৩; নাসাঈ, হা/১১৩২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪০২৬; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৭৫০; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৫৪৫০)]
উচ্চারণ : সুব্হা-না রাবিবয়াল ‘আযীম।
অর্থ : আমি আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। [হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সালাত আদায় করেন। আর তখন তিনি রুকূতে এ দু‘আ পাঠ করেন। (আবু দাঊদ, হা/৮৭১; সহীহ মুসলিম, হা/১৮৫০; তিরমিযী, হা/২৬১; নাসাঈ, হা/১০০৮; ইবনে মাজাহ, হা/৮৮৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩২৮৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৫৪২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৮৯৭; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৯২৩)] (তিন বার) [হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে শুনেছেন যে, যখন তিনি সিজদায় যেতেন তখন তিনি এ দু‘আটি তিন বার পাঠ করতেন। (ইবনে মাজাহ, হা/৮৮৮)]
(২) سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ وَ بِحَمْدِه
উচ্চারণ : সুব্হা-না রাবিবয়াল ‘আযীম, ওয়াবি হামদিহী।
অর্থ : আমি আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং তার প্রশংসা জ্ঞাপন করছি। [উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন রুকূতে যেতেন, তখন তিনি এ দু‘আটি তিন বার পাঠ করতেন। (জামেউস সগীর, হা/৮৮৬৫)]
سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ (৩)
উচ্চারণ : সুব্হা-নাকা আল্লা-হুম্মা রাববানা ওয়াবিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলী।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার প্রশংসার সাথে আমরা তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ রুকূ ও সিজদার মধ্যে এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৭৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/১১১৩; আবু দাঊদ, হা/৮৭৭; নাসাঈ, হা/১১২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২০৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৬০৫)]
(৪) سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّ الْمَلَائِكَةِ وَ الْرُّوْحِ
উচ্চারণ : সুববূহুন কুদ্দূসুন, রাববুল মালা-ইকাতি ওয়ার রূহ।
অর্থ : আল্লাহ পবিত্র ও ত্রুটিমুক্ত; তিনি জিবরাঈল (আঃ) সহ সকল ফেরেশতার রব। [আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ রুকূ ও সিজদার মধ্যে এ দু‘আ পড়তেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১১১৯; আবু দাঊদ, হা/৮৭২; নাসাঈ, হা/১০৪৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪১০৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৬০৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৮৯৯; দার কুতনী, হা/১৩০০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪০৬৩)]
(৫) سُبْحَانَ ذِى الْجَبَرُوْتِ وَ الْمَلَكُوْتِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَ الْعَظْمَةِ
উচ্চারণ : সুব্হা-না যিল্ জাবারূতি ওয়াল্ মালাকূতি ওয়াল্ কিব্রিয়া-ই ওয়াল্ ‘আয্মাতি।
অর্থ : আমি পবিত্রতা বর্ণনা করছি সেই মহান সত্তার, যিনি প্রতাপশালী, রাজত্ব, বড়ত্ব ও মহত্বের মালিক। [আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী ﷺ এর সাথে সালাতে দাঁড়ালাম। সে সালাতে তিনি সূরা বাক্বারা পড়ার সমপরিমাণ সময় রুকূর মধ্যে ছিলেন। এ সময় তিনি এ তাসবীহ পাঠ করেন। (আবু দাঊদ, হা/৮৭৩; নাসাঈ, হা/১১৩২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪০২৬; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৭৫০; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৫৪৫০)]
سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهٗ
উচ্চারণ : সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ্।
অর্থ : আল্লাহ সে ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তাঁর প্রশংসা করে। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সালাতে দাঁড়াতেন তখন প্রথমে তাকবীর দিতেন। তারপর যখন রুকূতে যেতেন তখনও তাকবীর দিতেন। তারপর যখন রুকূ হতে পিঠ সোজা করে দাঁড়াতেন তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৭৮৯; সহীহ মুসলিম, হা/৮৯১; আবু দাঊদ, হা/৭২২)]
উচ্চারণ : সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ্।
অর্থ : আল্লাহ সে ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তাঁর প্রশংসা করে। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সালাতে দাঁড়াতেন তখন প্রথমে তাকবীর দিতেন। তারপর যখন রুকূতে যেতেন তখনও তাকবীর দিতেন। তারপর যখন রুকূ হতে পিঠ সোজা করে দাঁড়াতেন তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৭৮৯; সহীহ মুসলিম, হা/৮৯১; আবু দাঊদ, হা/৭২২)]
(১) رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ
উচ্চারণ : রাববানা লাকাল হামদ।
অর্থ : হে আমাদের রব! আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। [আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন রুকূ হতে মাথা উত্তোলন করতেন, তখন দুই হাত কাধ বরাবর উত্তোলন করতেন এবং এ দু‘আ পাঠ করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৬৩; সহীহ বুখারী, হা/৬৮৯; সহীহ মুসলিম, হা/৯৪৮)]
رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُّبَارَكًا فِيْهِ (২)
উচ্চারণ : রাববানা ওয়ালাকাল হামদু হামদান কাসীরান ত্বায়্যিবাম মুবা-রাকান ফীহ্।
অর্থ : হে আমাদের রব! তোমার জন্যই সমস্ত প্রশংসা। আর তা এত অধিক প্রশংসা, যা পবিত্র ও বরকতপূর্ণ। [রিফাআ ইবনে রাফে (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত পড়ানো অবস্থায় এক ব্যক্তি রুকূ থেকে উঠে এ দু‘আটি পাঠ করলো। অতঃপর সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমাদের মধ্যে কে এই দু‘আটি পাঠ করেছ? লোকটি বললো, আমি! রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আমি দেখলাম প্রায় ৩৩ জন ফেরেশতা এই দু‘আটি আগে লেখার জন্য প্রতিযোগিতা করছে। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৩; সহীহ বুখারী, হা/৭৯৯; আবু দাঊদ, হা/৭৭০)]
উচ্চারণ : রাববানা লাকাল হামদ।
অর্থ : হে আমাদের রব! আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। [আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন রুকূ হতে মাথা উত্তোলন করতেন, তখন দুই হাত কাধ বরাবর উত্তোলন করতেন এবং এ দু‘আ পাঠ করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৬৩; সহীহ বুখারী, হা/৬৮৯; সহীহ মুসলিম, হা/৯৪৮)]
رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُّبَارَكًا فِيْهِ (২)
উচ্চারণ : রাববানা ওয়ালাকাল হামদু হামদান কাসীরান ত্বায়্যিবাম মুবা-রাকান ফীহ্।
অর্থ : হে আমাদের রব! তোমার জন্যই সমস্ত প্রশংসা। আর তা এত অধিক প্রশংসা, যা পবিত্র ও বরকতপূর্ণ। [রিফাআ ইবনে রাফে (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত পড়ানো অবস্থায় এক ব্যক্তি রুকূ থেকে উঠে এ দু‘আটি পাঠ করলো। অতঃপর সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমাদের মধ্যে কে এই দু‘আটি পাঠ করেছ? লোকটি বললো, আমি! রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আমি দেখলাম প্রায় ৩৩ জন ফেরেশতা এই দু‘আটি আগে লেখার জন্য প্রতিযোগিতা করছে। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৩; সহীহ বুখারী, হা/৭৯৯; আবু দাঊদ, হা/৭৭০)]
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْاَعْلٰى (১)
উচ্চারণ : সুবহা-না রাবিবয়াল আ‘লা ।
অর্থ : আমি আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। [হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সিজদায় যেতেন তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১৮৫০; আবু দাঊদ, হা/৮৭১, ৮৮৩; তিরমিযী, হা/২৬২; নাসাঈ, হা/১০০৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩২৮৮; মিশকাত, হা/৮৮১; আবু দাঊদ, হা/৮৭৪; তিরমিযী, হা/২৬১; ইবনে মাজাহ, হা/৮৯০)] (তিন বার) [হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে শুনেছেন যে, যখন তিনি সিজদায় যেতেন, তখন তিনি এ দু‘আটি তিন বার পাঠ করতেন। (ইবনে মাজাহ, হা/৮৮৮)]
(২) سُبْحَانَ رَبِّيَ الْاَعْلٰى وَ بِحَمْدِه
উচ্চারণ : সুব্হা-না রাবিবয়াল আ‘লা ওয়াবি হামদিহী।
অর্থ : আমি আমার রবের সর্বোচ্চ পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং তার প্রশংসা জ্ঞাপন করছি। [উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সিজদাতে যেতেন তখন তিনি এ দু‘আটি তিন বার পাঠ করতেন। (জামেউস সগীর, হা/৮৮৬৫)] (তিন বার)
سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ (৩)
উচ্চারণ : সুব্হা-নাকা আল্লা-হুম্মা রাববানা ওয়াবিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলী।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার প্রশংসার সাথে আমরা তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ রুকূ ও সিজদার মধ্যে এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৭৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/১১১৩; আবু দাঊদ, হা/৮৭৭; নাসাঈ, হা/১১২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২০৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৬০৫)]
(৪) اَللّٰهُمَّ لَكَ سَجَدْتُّ وَبِكَ اٰمَنْتُ وَلَكَ اَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ خَلَقَهٗ وَشَقَّ سَمْعَهٗ وَبَصَرَهٗ تَبَارَكَ اللهُ اَحْسَنُ الْخَالِقِيْنَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লাকা সাজাত্তু, ওয়াবিকা আ-মানতু, ওয়া লাকা আসলামতু, সাজাদা ওয়াজ্হীয়া লিল্লাযী খালাকাহূ ওয়া শাক্কা সাম‘আহূ ওয়া বাসারাহূ, তাবা-রাকাল্লা-হু আহসানুল খা-লিক্বীন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার জন্য আমি সিজদা করছি। আপনার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আপনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। আমার চেহারা সিজদা করছে ঐ সত্তাকে- যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুন্দর আকৃতি দান করেছেন এবং তাতে কান ও চক্ষু স্থাপন করেছেন। বরকতময় সেই মহান সত্তা, যিনি অনেক উত্তম সৃষ্টিকর্তা। [আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ যখন সিজদা দিতেন তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১৮৪৮; আবু দাঊদ, হা/৭৬০; তিরমিযী, হা/৩৪২১; নাসাঈ, হা/১১২৬; ইবনে মাজাহ, হা/১০৫৪)]
(৫) اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ ذَۢنْبِىْ كُلَّهٗ دِقَّهٗ وَجِلَّهٗ وَاَوَّلَهٗ وَاٰخِرَهٗ وَعَلَانِيَّتَهٗ وَسِرَّهٗ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগ্ফির্লী যাম্বী কুল্লাহূ দিক্কাহূ ওয়া জিল্লাহূ ওয়া আওয়ালাহূ ওয়া আ-খিরাহূ ওয়া ‘আলা-নিয়্যাতাহূ ওয়া সিররাহূ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার ছোট-বড়, আগের-পরের, প্রকাশ্য ও গোপন সকল প্রকার গোনাহ ক্ষমা করে দিন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ সিজদার মধ্যে এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১১১২; আবু দাঊদ, হা/৮৭৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৬৭২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৯৩১)]
উচ্চারণ : সুবহা-না রাবিবয়াল আ‘লা ।
অর্থ : আমি আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। [হুযায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সিজদায় যেতেন তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১৮৫০; আবু দাঊদ, হা/৮৭১, ৮৮৩; তিরমিযী, হা/২৬২; নাসাঈ, হা/১০০৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩২৮৮; মিশকাত, হা/৮৮১; আবু দাঊদ, হা/৮৭৪; তিরমিযী, হা/২৬১; ইবনে মাজাহ, হা/৮৯০)] (তিন বার) [হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে শুনেছেন যে, যখন তিনি সিজদায় যেতেন, তখন তিনি এ দু‘আটি তিন বার পাঠ করতেন। (ইবনে মাজাহ, হা/৮৮৮)]
(২) سُبْحَانَ رَبِّيَ الْاَعْلٰى وَ بِحَمْدِه
উচ্চারণ : সুব্হা-না রাবিবয়াল আ‘লা ওয়াবি হামদিহী।
অর্থ : আমি আমার রবের সর্বোচ্চ পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং তার প্রশংসা জ্ঞাপন করছি। [উকবা ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সিজদাতে যেতেন তখন তিনি এ দু‘আটি তিন বার পাঠ করতেন। (জামেউস সগীর, হা/৮৮৬৫)] (তিন বার)
سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ (৩)
উচ্চারণ : সুব্হা-নাকা আল্লা-হুম্মা রাববানা ওয়াবিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগ্ফিরলী।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার প্রশংসার সাথে আমরা তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দাও। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ রুকূ ও সিজদার মধ্যে এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৭৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/১১১৩; আবু দাঊদ, হা/৮৭৭; নাসাঈ, হা/১১২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২০৯; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৬০৫)]
(৪) اَللّٰهُمَّ لَكَ سَجَدْتُّ وَبِكَ اٰمَنْتُ وَلَكَ اَسْلَمْتُ سَجَدَ وَجْهِىَ لِلَّذِىْ خَلَقَهٗ وَشَقَّ سَمْعَهٗ وَبَصَرَهٗ تَبَارَكَ اللهُ اَحْسَنُ الْخَالِقِيْنَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লাকা সাজাত্তু, ওয়াবিকা আ-মানতু, ওয়া লাকা আসলামতু, সাজাদা ওয়াজ্হীয়া লিল্লাযী খালাকাহূ ওয়া শাক্কা সাম‘আহূ ওয়া বাসারাহূ, তাবা-রাকাল্লা-হু আহসানুল খা-লিক্বীন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার জন্য আমি সিজদা করছি। আপনার প্রতি ঈমান এনেছি এবং আপনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। আমার চেহারা সিজদা করছে ঐ সত্তাকে- যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুন্দর আকৃতি দান করেছেন এবং তাতে কান ও চক্ষু স্থাপন করেছেন। বরকতময় সেই মহান সত্তা, যিনি অনেক উত্তম সৃষ্টিকর্তা। [আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ যখন সিজদা দিতেন তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১৮৪৮; আবু দাঊদ, হা/৭৬০; তিরমিযী, হা/৩৪২১; নাসাঈ, হা/১১২৬; ইবনে মাজাহ, হা/১০৫৪)]
(৫) اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِىْ ذَۢنْبِىْ كُلَّهٗ دِقَّهٗ وَجِلَّهٗ وَاَوَّلَهٗ وَاٰخِرَهٗ وَعَلَانِيَّتَهٗ وَسِرَّهٗ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগ্ফির্লী যাম্বী কুল্লাহূ দিক্কাহূ ওয়া জিল্লাহূ ওয়া আওয়ালাহূ ওয়া আ-খিরাহূ ওয়া ‘আলা-নিয়্যাতাহূ ওয়া সিররাহূ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার ছোট-বড়, আগের-পরের, প্রকাশ্য ও গোপন সকল প্রকার গোনাহ ক্ষমা করে দিন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ সিজদার মধ্যে এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১১১২; আবু দাঊদ, হা/৮৭৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৬৭২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৯৩১)]
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَاجْبُرْنِيْ وَارْزُقْنِيْ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াহদিনী ওয়া ‘আ-ফিনী ওয়াজবুরনী ওয়ার যুক্বনী।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপর রহম করুন, আমাকে হেদায়াত দান করুন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন এবং আমাকে রিযিক দান করুন। [ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ দুই সিজদার মাঝখানে এ দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৮৫০; তিরমিযী, হা/২৮৪; নাসাঈ, হা/৮৯৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৮৯৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৯৬৪, ১০০৪; বায়হাকী, হা/২৫৮৪; মিশকাত, হা/৯০০)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াহদিনী ওয়া ‘আ-ফিনী ওয়াজবুরনী ওয়ার যুক্বনী।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপর রহম করুন, আমাকে হেদায়াত দান করুন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন এবং আমাকে রিযিক দান করুন। [ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ দুই সিজদার মাঝখানে এ দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৮৫০; তিরমিযী, হা/২৮৪; নাসাঈ, হা/৮৯৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৮৯৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৯৬৪, ১০০৪; বায়হাকী, হা/২৫৮৪; মিশকাত, হা/৯০০)]
اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ اَيُّهَا النَّبِىُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهٗ، اَلسَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلٰى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِيْنَ اَشْهَدُ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ
উচ্চারণ : আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্সালাওয়া-তু ওয়াত্ব ত্বায়্যিবা-ত, আসসালামু ‘আলাইকা আয়্যুহান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়াবারাকা-তুহ। আসসালা-মু ‘আলাইনা ওয়া‘আলা ‘ইবাদিল্লা-হিস সা-লিহীন। আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহ।
অর্থ : (আমার মৌখিক ও দৈহিক) সকল প্রশংসা, সালাত ও পবিত্র বাক্যসমূহ আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক। আমাদের উপর এবং নেক বান্দাদের উপরও শান্তি অবতীর্ণ হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। [আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পেছনে সালাত পড়তাম, তখন আমরা বলতাম, ‘‘আস্সালামু ‘আলা জিবরাঈলা ও মীকাঈলা, আস্সালামু ‘আলা ফুলান ওয়া ফুলান’’। এ কথা শুনে নবী ﷺ আমাদের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহর নামই তো ‘সালাম’। অতএব যখন তোমাদের কেউ দরূদ পাঠ করবে সে যেন এ দু‘আটি পাঠ করে। (সহীহ বুখারী, হা/৮৩১, ১২০২, ৭৩৮১; সহীহ মুসলিম, হা/৯২৪; আবু দাঊদ, হা/৯৬৯; তিরমিযী, হা/২৮৯; নাসাঈ, হা/১১৬৮-৬৯, ১২৭৭; ইবনে মাজাহ, হা/৮৯৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪০০৬; মিশকাত, হা/৯০৯)]
উচ্চারণ : আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্সালাওয়া-তু ওয়াত্ব ত্বায়্যিবা-ত, আসসালামু ‘আলাইকা আয়্যুহান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়াবারাকা-তুহ। আসসালা-মু ‘আলাইনা ওয়া‘আলা ‘ইবাদিল্লা-হিস সা-লিহীন। আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহ।
অর্থ : (আমার মৌখিক ও দৈহিক) সকল প্রশংসা, সালাত ও পবিত্র বাক্যসমূহ আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার উপর আল্লাহর শান্তি, রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক। আমাদের উপর এবং নেক বান্দাদের উপরও শান্তি অবতীর্ণ হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন প্রকৃত মাবুদ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ ﷺ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। [আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পেছনে সালাত পড়তাম, তখন আমরা বলতাম, ‘‘আস্সালামু ‘আলা জিবরাঈলা ও মীকাঈলা, আস্সালামু ‘আলা ফুলান ওয়া ফুলান’’। এ কথা শুনে নবী ﷺ আমাদের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহর নামই তো ‘সালাম’। অতএব যখন তোমাদের কেউ দরূদ পাঠ করবে সে যেন এ দু‘আটি পাঠ করে। (সহীহ বুখারী, হা/৮৩১, ১২০২, ৭৩৮১; সহীহ মুসলিম, হা/৯২৪; আবু দাঊদ, হা/৯৬৯; তিরমিযী, হা/২৮৯; নাসাঈ, হা/১১৬৮-৬৯, ১২৭৭; ইবনে মাজাহ, হা/৮৯৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪০০৬; মিশকাত, হা/৯০৯)]
اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ ‐ -اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদ, ওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরা-হীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইবরা-হীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক ‘আলা মুহাম্মাদ, ওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইবরা-হীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইবরা-হীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
অর্থ : হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবারের প্রতি রহমত নাযিল করুন, যেভাবে রহমত নাযিল করেছেন ইবরাহীম এবং তাঁর পরিবারের প্রতি। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ ও তাঁর বংশধরদের প্রতি বরকত নাযিল করুন, যেভাবে বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম ও তাঁর বংশধরদের প্রতি, নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। [আবদুর রহমান ইবনে আবু লাইলা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা কাব ইবনে উজরা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অতঃপর বলেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি হাদীয়া দেব না, যা আমি নবী ﷺ থেকে শুনেছি? আমি বললাম, হ্যাঁ! সে হাদীয়া আমাকে দিন। তখন তিনি বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাদের অর্থাৎ আহলে বাইতের উপর আমরা কীভাবে দরূদ পাঠ করব? কেননা আপনার উপর কীভাবে সালাম করব, তা আল্লাহ আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, তোমরা এ দু‘আটি পাঠ করবে। (সহীহ বুখারী, হা/৩৩৭০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮১৫৮)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদ, ওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরা-হীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইবরা-হীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক ‘আলা মুহাম্মাদ, ওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদ, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইবরা-হীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইবরা-হীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
অর্থ : হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবারের প্রতি রহমত নাযিল করুন, যেভাবে রহমত নাযিল করেছেন ইবরাহীম এবং তাঁর পরিবারের প্রতি। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। হে আল্লাহ! মুহাম্মাদ ও তাঁর বংশধরদের প্রতি বরকত নাযিল করুন, যেভাবে বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম ও তাঁর বংশধরদের প্রতি, নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত ও সম্মানিত। [আবদুর রহমান ইবনে আবু লাইলা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা কাব ইবনে উজরা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অতঃপর বলেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি হাদীয়া দেব না, যা আমি নবী ﷺ থেকে শুনেছি? আমি বললাম, হ্যাঁ! সে হাদীয়া আমাকে দিন। তখন তিনি বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনাদের অর্থাৎ আহলে বাইতের উপর আমরা কীভাবে দরূদ পাঠ করব? কেননা আপনার উপর কীভাবে সালাম করব, তা আল্লাহ আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বললেন, তোমরা এ দু‘আটি পাঠ করবে। (সহীহ বুখারী, হা/৩৩৭০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮১৫৮)]
(১) اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ‐ اَللّٰهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বি জাহান্নাম, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাব্র, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-ত। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল মা’সামি ওয়াল মাগরাম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, মাসীহে দাজ্জালের ফিতনা হতে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি পাপ ও ঋণ হতে। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ (তাশাহ্হুদের পর) এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৮৩২; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৫৩; আবু দাঊদ, হা/৮৮০; নাসাঈ, হা/১৩০৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬২২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৮৫২; বায়হাকী, হা/২৭০১; মিশকাত, হা/৯৩৯)]
(২) اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَّ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اَنْتَ فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ اِنَّكَ اَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাসীরাও ওয়ালা ইয়াগ্ফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগ্ফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রাহীম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক যুলুম করেছি, আর আপনি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারে না। সুতরাং আপনি নিজ ক্ষমা দ্বারা আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার প্রতি রহম করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও অতি দয়ালু। [আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বললেন, আপনি আমাকে এমন একটি দু‘আ শিক্ষা দিন, যা আমি সালাতের মধ্যে পাঠ করতে পারব। তখন তিনি বললেন, তুমি এ দু‘আ পাঠ করবে। (সহীহ বুখারী, হা/৮৩৪; তিরমিযী, হা/৩৫৩১; নাসাঈ, হা/১৩০২; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৩৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৮৪৬)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বি জাহান্নাম, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাব্র, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-ত। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল মা’সামি ওয়াল মাগরাম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, মাসীহে দাজ্জালের ফিতনা হতে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি পাপ ও ঋণ হতে। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ (তাশাহ্হুদের পর) এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৮৩২; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৫৩; আবু দাঊদ, হা/৮৮০; নাসাঈ, হা/১৩০৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬২২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৮৫২; বায়হাকী, হা/২৭০১; মিশকাত, হা/৯৩৯)]
(২) اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كَثِيْرًا وَّ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ اِلَّا اَنْتَ فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِيْ اِنَّكَ اَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাসীরাও ওয়ালা ইয়াগ্ফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগ্ফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রাহীম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক যুলুম করেছি, আর আপনি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারে না। সুতরাং আপনি নিজ ক্ষমা দ্বারা আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার প্রতি রহম করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও অতি দয়ালু। [আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বললেন, আপনি আমাকে এমন একটি দু‘আ শিক্ষা দিন, যা আমি সালাতের মধ্যে পাঠ করতে পারব। তখন তিনি বললেন, তুমি এ দু‘আ পাঠ করবে। (সহীহ বুখারী, হা/৮৩৪; তিরমিযী, হা/৩৫৩১; নাসাঈ, হা/১৩০২; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৩৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৮৪৬)]
(১) اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ ‐ وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ ‐ وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ ‐ وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أعْطَيْتَ ‐ وَقِنِيْ شَرَّ مَا قَضَيْتَ ‐ إنَّكَ تَقْضِيْ وَلَا يُقْضٰى عَلَيْكَ ‐ وَإنَّه لَا يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ ‐ وَلَا يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ ‐ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ ‐ نَسْتَغْفِرُكَ وَ نَتُوْبُ اِلَيْكَ ‐ وَ صَلَّى اللهُ عَلَى النَّبِىِّ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাহ্দিনী ফীমান হাদাইত, ওয়া ‘আফিনী ফীমান্ ‘আ-ফাইত, ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইত, ওয়া বা-রিক্লী ফীমা আ‘ত্বাইত, ওয়াক্বিনী শার্রা মা ক্বাযাইত, ইন্নাকা তাক্যী ওয়ালা ইয়ুক্যা ‘আলাইক, ওয়া ইন্নাহূ লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লাইত, ওয়ালা ইয়া‘ইয্যু মান ‘আ-দাইত, তাবা-রাকতা রাববানা ওয়া তা‘আ-লাইত, নাসতাগফিরুকা ওয়ানাতূবু ইলাইক, ওয়া সাল্লাল্লা-হু ‘আলান নাবিয়্যি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়াত দান করুন, যাদেরকে হেদায়াত দান করেছেন তাদের সাথে মিলিয়ে। আমাকে নিরাপত্তা দিন, যাদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করে। আর আমাকে সাহায্য করুন, যাদেরকে সাহায্য করেছেন তাদের সাথে মিলিয়ে। আমাকে যা কিছু দান করেছেন তার মধ্যে বরকত দিন। আর আমাকে রক্ষা করুন আপনার ফায়সালাকৃত অমঙ্গল থেকে। নিশ্চয় আপনার আইনই চূড়ান্ত, আপনার উপর কারো নির্দেশ কর্যকর হয় না। আপনি যার সহায় সে কখনো অপমানিত হয় না। আর আপনি যাকে ত্যাগ করেন সে কখনো সম্মান পায় না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি বরকতময়, আপনি মহান, আমরা আপনার কাছেই ক্ষমা চাই। আর আমরা আপনার দিকেই ফিরে আসি, আল্লাহ নবীর প্রতি রহমত নাযিল করুন। [হাসান ইবনে আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে এ কয়েকটি বাক্য শিখিয়েছেন- যা আমি বিতরের কুনূতে পাঠ করি। (আবু দাঊদ, হা/১৪২৭; নাসাঈ, হা/১৭৪৫; ইবনে মাজাহ, হা/১১৭৮)]
(২) اَللّٰهُمَّ إنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَ نَسْتَغْفِرُكَ وَ نُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلَانَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ- اَللّٰهُمَّ إيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَإلَيْكَ نَسْعٰى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْا رَحْمَتَكَ وَنَخْشٰى عَذَابَكَ إنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্না নাস্তা‘ইনুকা, ওয়া নাস্তাগ্ফিরুকা, ওয়া নু’মিনু বিকা, ওয়া নাতা ওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়া নুছ্নী ‘আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশকুরুকা, ওয়ালা নাক্ফুরুকা, ওয়া নাখলাউ ওয়া নাত্রুকু মাইয়াফজুরুকা, আল্লা-হুম্মা ইয়্যাকা না‘বুদু ওয়ালাকা নুসাল্লী, ওয়ানাস্জুদু ওয়া ইলাইকা নাস্‘আ, ওয়া নাহ্ফিদু ওয়া নার্জূ রাহমাতাকা ওয়া নাখ্শা ‘আযা-বাকা, ইন্না ‘আযা-বাকা বিল্কুফ্ফা-রি মুলহিক্ব।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা আপনার সাহায্য চাই, আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার প্রতি ঈমান রাখি, আপনার উপর ভরসা করি, আর আপনার উত্তম গুণগান বর্ণনা করি, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এবং আপনার অকৃজ্ঞতা প্রকাশ করি না। যে আপনার নাফরমানী করে (গোনাহের কাজ করে) আমরা তাকে ত্যাগ করি ও বর্জন করে চলি। হে আল্লাহ! আমরা কেবল আপনারই ইবাদাত করি, আপনার জন্যই সালাত পড়ি, আপনাকেই সিজদা করি এবং আপনার সন্তুষ্টি তালাশের জন্য দ্রুত অগ্রসর হই। আর আমরা আপনার রহমতের আশা রাখি এবং আপনার আযাবকে ভয় করি, নিশ্চয় আপনার আযাব কাফিরদের জন্য অবধারিত। [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/৪৯৭০; তাহযীবুল আছার, হা/২৬৪৯; বায়হাকী, হা/২৯৬১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৭১০০; শারহু মা‘আনিল আছার, হা/১৪৭৫; ।]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাহ্দিনী ফীমান হাদাইত, ওয়া ‘আফিনী ফীমান্ ‘আ-ফাইত, ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইত, ওয়া বা-রিক্লী ফীমা আ‘ত্বাইত, ওয়াক্বিনী শার্রা মা ক্বাযাইত, ইন্নাকা তাক্যী ওয়ালা ইয়ুক্যা ‘আলাইক, ওয়া ইন্নাহূ লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লাইত, ওয়ালা ইয়া‘ইয্যু মান ‘আ-দাইত, তাবা-রাকতা রাববানা ওয়া তা‘আ-লাইত, নাসতাগফিরুকা ওয়ানাতূবু ইলাইক, ওয়া সাল্লাল্লা-হু ‘আলান নাবিয়্যি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে হেদায়াত দান করুন, যাদেরকে হেদায়াত দান করেছেন তাদের সাথে মিলিয়ে। আমাকে নিরাপত্তা দিন, যাদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছেন তাদের অন্তর্ভুক্ত করে। আর আমাকে সাহায্য করুন, যাদেরকে সাহায্য করেছেন তাদের সাথে মিলিয়ে। আমাকে যা কিছু দান করেছেন তার মধ্যে বরকত দিন। আর আমাকে রক্ষা করুন আপনার ফায়সালাকৃত অমঙ্গল থেকে। নিশ্চয় আপনার আইনই চূড়ান্ত, আপনার উপর কারো নির্দেশ কর্যকর হয় না। আপনি যার সহায় সে কখনো অপমানিত হয় না। আর আপনি যাকে ত্যাগ করেন সে কখনো সম্মান পায় না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি বরকতময়, আপনি মহান, আমরা আপনার কাছেই ক্ষমা চাই। আর আমরা আপনার দিকেই ফিরে আসি, আল্লাহ নবীর প্রতি রহমত নাযিল করুন। [হাসান ইবনে আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে এ কয়েকটি বাক্য শিখিয়েছেন- যা আমি বিতরের কুনূতে পাঠ করি। (আবু দাঊদ, হা/১৪২৭; নাসাঈ, হা/১৭৪৫; ইবনে মাজাহ, হা/১১৭৮)]
(২) اَللّٰهُمَّ إنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَ نَسْتَغْفِرُكَ وَ نُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلَانَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ- اَللّٰهُمَّ إيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَإلَيْكَ نَسْعٰى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْا رَحْمَتَكَ وَنَخْشٰى عَذَابَكَ إنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্না নাস্তা‘ইনুকা, ওয়া নাস্তাগ্ফিরুকা, ওয়া নু’মিনু বিকা, ওয়া নাতা ওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়া নুছ্নী ‘আলাইকাল খাইর, ওয়া নাশকুরুকা, ওয়ালা নাক্ফুরুকা, ওয়া নাখলাউ ওয়া নাত্রুকু মাইয়াফজুরুকা, আল্লা-হুম্মা ইয়্যাকা না‘বুদু ওয়ালাকা নুসাল্লী, ওয়ানাস্জুদু ওয়া ইলাইকা নাস্‘আ, ওয়া নাহ্ফিদু ওয়া নার্জূ রাহমাতাকা ওয়া নাখ্শা ‘আযা-বাকা, ইন্না ‘আযা-বাকা বিল্কুফ্ফা-রি মুলহিক্ব।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা আপনার সাহায্য চাই, আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার প্রতি ঈমান রাখি, আপনার উপর ভরসা করি, আর আপনার উত্তম গুণগান বর্ণনা করি, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এবং আপনার অকৃজ্ঞতা প্রকাশ করি না। যে আপনার নাফরমানী করে (গোনাহের কাজ করে) আমরা তাকে ত্যাগ করি ও বর্জন করে চলি। হে আল্লাহ! আমরা কেবল আপনারই ইবাদাত করি, আপনার জন্যই সালাত পড়ি, আপনাকেই সিজদা করি এবং আপনার সন্তুষ্টি তালাশের জন্য দ্রুত অগ্রসর হই। আর আমরা আপনার রহমতের আশা রাখি এবং আপনার আযাবকে ভয় করি, নিশ্চয় আপনার আযাব কাফিরদের জন্য অবধারিত। [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/৪৯৭০; তাহযীবুল আছার, হা/২৬৪৯; বায়হাকী, হা/২৯৬১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৭১০০; শারহু মা‘আনিল আছার, হা/১৪৭৫; ।]
জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে যেভাবে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন সেভাবে সকল কাজে ইস্তিখারা করার নিয়ম ও দু‘আ শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন, যখন তোমাদের কেউ কোন কাজ করবে তখন সে যেন দু’রাক‘আত সালাত আদায় করে এবং এ দু‘আ পড়ে।
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَاَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَاَسْاَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ فَاِنَّكَ تَقْدِرُ وَلَا اَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلَا اَعْلَمُ وَاَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ - اَللّٰهُمَّ اِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ اَنَّ هٰذَا الْاَمْرَ خَيْرٌ لِّيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ اَمْرِيْ فَاقْدُرْهُ لِيْ وَيَسِّرْهُ لِىْ ثُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْهِ اَللّٰهُمَّ وَاِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ اَنَّ هٰذَا الْاَمْرَ شَرٌّ لِّيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ اَمْرِيْ فَاصْرِفْنِيْ عَنْهُ وَاصْرِفْهُ عَنِّيْ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ اَرْضِنِيْ بِه
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসতাখীরুকা বি‘ইলমিকা ওয়াআসতাক্বদিরুকা বিকুদ্রাতিকা ওয়াআস্আলুকা মিন ফাযলিকাল ‘আযীম। ফাইন্নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা আক্বদিরু, ওয়া তা‘লামু ওয়ালা আ‘লামু ওয়াআনতা ‘আল্লা-মুল্ গুয়ূব। আল্লা-হুম্মা ইনকুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা খাইরুল্লী ফীদ্বীনী ওয়া মা‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী ফাক্বদুরহু লী ওয়া ইয়াসসিরহু লী সুম্মা বা-রিক লী ফীহ। আল্লা-হুম্মা ওয়া ইনকুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা শাররুল্লী ফীদ্বীনী ওয়ামা‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী ফাস্রিফ্নী ‘আনহু ওয়াস্রিফ্হু ‘আন্নী ওয়াক্বদুরলিয়াল খাইরা হাইছু কা-না, ছুম্মা আরযিনী বিহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আপনারই জ্ঞান ও কুদরতের সাহায্যে এ বিষয়ের (যে বিষয়ের ব্যাপারে ইস্তিখারা করবে উহার) ভালো দিক জ্ঞাত হওয়ার জন্য প্রার্থনা করছি এবং আমি আপনার নিকট অনুগ্রহ কামনা করছি। আপনি সক্ষম, আমি সক্ষম নই। আপনি জানেন, আমি জানি না। আর আপনি অদৃশ্যের খবর জানেন। হে আল্লাহ! আপনি যদি মনে করেন এ বিষয়টি আমার দ্বীন, আমার জীবনধারণ ও পরিণামের ব্যাপারে আমার জন্য ভালো হবে, তাহলে আপনি আমার জন্য তা নির্ধারণ করুন। অতঃপর তা আমার জন্য সহজ করে দিন এবং তাতে বরকত দান করুন। আর যদি মনে করেন যে, বিষয়টি আমার জন্য আমার দ্বীন, আমার জীবনধারণ ও আমার পরিণামের ব্যাপারে অকল্যাণকর, তাহলে আপনি আমার হতে তা ফিরিয়ে রাখুন এবং আমাকেও তা হতে ফিরিয়ে রাখুন। আর আমার জন্য নির্ধারণ করুন কল্যাণ তা যেখানেই হোক এবং আমাকে তাতে সন্তুষ্ট রাখুন। [সহীহ বুখারী, হা/৬৩৮২, ৭৩৯০; আবু দাঊদ, হা/১৫৪০; তিরমিযী, হা/৪৮০; নাসাঈ, হা/৩২৫৩; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৮৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৭৪৮; মিশকাত, হা/১৩২৩।]
ইসিত্মখারা করার নিয়ম :
কোন বিষয়ে স্থির সিদ্ধামত্ম না করে এবং কোন দিকে ঝুঁক না রেখে নিরপেক্ষ ও খোলা মনে ইসিত্মখারার নিয়তে সাধারণ সালাতের ন্যায় দু’রাক‘আত সালাত আদায় করবে। অতঃপর যেদিকে মন টানবে সেভাবেই কাজ করবে। এ সালাত দিনে বা রাতে যে কোন সময় পড়া যায়।
ইসিত্মখারার সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ কর্তৃক শেখানো বিশেষ দু‘আটি পাঠ করতে হবে। দু‘আটি কখন পড়বে, সে বিষয়ে দুটি নিয়ম পাওয়া যায়। একটি হলো, সালাম ফিরানোর পর দু‘আ করবে। আর দ্বিতীয়টি হলো, সালাতের মধ্যেই দু‘আ করবে। আর এক্ষেত্রে সিজদায় অথবা শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদের পর সালামের পূর্বে পাঠ করবে।
সুতরাং ইসিত্মখারার দু‘আটিও শেষ বৈঠকে বসে পাঠ করা বাঞ্ছনীয়। আর যদি কেউ সালাম ফিরানোর পর উক্ত দু‘আ পাঠ করতে চায়, তাহলে বেশি দেরি না করে এবং অন্য কোন কথা না বলে তাড়াতাড়ি দু‘আ করবে এবং শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা ও নবী ﷺ এর প্রতি দরূদ পাঠ করবে। যেমন- ‘‘আল হামদুলিল্লাহি রাবিবল ‘আ-লামীন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিহিল কারীম’’- এ অংশটি পাঠ করার পর দু‘আটি পাঠ করবে। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৯৮২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৯৬০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৮৪০।] উল্লেখ্য যে, ইসিত্মখারার পর যেদিকে মন ঝুঁকে, সেটাই করা উচিত।
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْتَخِيْرُكَ بِعِلْمِكَ وَاَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ وَاَسْاَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيْمِ فَاِنَّكَ تَقْدِرُ وَلَا اَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلَا اَعْلَمُ وَاَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوْبِ - اَللّٰهُمَّ اِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ اَنَّ هٰذَا الْاَمْرَ خَيْرٌ لِّيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ اَمْرِيْ فَاقْدُرْهُ لِيْ وَيَسِّرْهُ لِىْ ثُمَّ بَارِكْ لِيْ فِيْهِ اَللّٰهُمَّ وَاِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ اَنَّ هٰذَا الْاَمْرَ شَرٌّ لِّيْ فِيْ دِيْنِيْ وَمَعَاشِيْ وَعَاقِبَةِ اَمْرِيْ فَاصْرِفْنِيْ عَنْهُ وَاصْرِفْهُ عَنِّيْ وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ اَرْضِنِيْ بِه
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসতাখীরুকা বি‘ইলমিকা ওয়াআসতাক্বদিরুকা বিকুদ্রাতিকা ওয়াআস্আলুকা মিন ফাযলিকাল ‘আযীম। ফাইন্নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা আক্বদিরু, ওয়া তা‘লামু ওয়ালা আ‘লামু ওয়াআনতা ‘আল্লা-মুল্ গুয়ূব। আল্লা-হুম্মা ইনকুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা খাইরুল্লী ফীদ্বীনী ওয়া মা‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী ফাক্বদুরহু লী ওয়া ইয়াসসিরহু লী সুম্মা বা-রিক লী ফীহ। আল্লা-হুম্মা ওয়া ইনকুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা শাররুল্লী ফীদ্বীনী ওয়ামা‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী ফাস্রিফ্নী ‘আনহু ওয়াস্রিফ্হু ‘আন্নী ওয়াক্বদুরলিয়াল খাইরা হাইছু কা-না, ছুম্মা আরযিনী বিহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আপনারই জ্ঞান ও কুদরতের সাহায্যে এ বিষয়ের (যে বিষয়ের ব্যাপারে ইস্তিখারা করবে উহার) ভালো দিক জ্ঞাত হওয়ার জন্য প্রার্থনা করছি এবং আমি আপনার নিকট অনুগ্রহ কামনা করছি। আপনি সক্ষম, আমি সক্ষম নই। আপনি জানেন, আমি জানি না। আর আপনি অদৃশ্যের খবর জানেন। হে আল্লাহ! আপনি যদি মনে করেন এ বিষয়টি আমার দ্বীন, আমার জীবনধারণ ও পরিণামের ব্যাপারে আমার জন্য ভালো হবে, তাহলে আপনি আমার জন্য তা নির্ধারণ করুন। অতঃপর তা আমার জন্য সহজ করে দিন এবং তাতে বরকত দান করুন। আর যদি মনে করেন যে, বিষয়টি আমার জন্য আমার দ্বীন, আমার জীবনধারণ ও আমার পরিণামের ব্যাপারে অকল্যাণকর, তাহলে আপনি আমার হতে তা ফিরিয়ে রাখুন এবং আমাকেও তা হতে ফিরিয়ে রাখুন। আর আমার জন্য নির্ধারণ করুন কল্যাণ তা যেখানেই হোক এবং আমাকে তাতে সন্তুষ্ট রাখুন। [সহীহ বুখারী, হা/৬৩৮২, ৭৩৯০; আবু দাঊদ, হা/১৫৪০; তিরমিযী, হা/৪৮০; নাসাঈ, হা/৩২৫৩; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৮৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৭৪৮; মিশকাত, হা/১৩২৩।]
ইসিত্মখারা করার নিয়ম :
কোন বিষয়ে স্থির সিদ্ধামত্ম না করে এবং কোন দিকে ঝুঁক না রেখে নিরপেক্ষ ও খোলা মনে ইসিত্মখারার নিয়তে সাধারণ সালাতের ন্যায় দু’রাক‘আত সালাত আদায় করবে। অতঃপর যেদিকে মন টানবে সেভাবেই কাজ করবে। এ সালাত দিনে বা রাতে যে কোন সময় পড়া যায়।
ইসিত্মখারার সালাতে রাসূলুল্লাহ ﷺ কর্তৃক শেখানো বিশেষ দু‘আটি পাঠ করতে হবে। দু‘আটি কখন পড়বে, সে বিষয়ে দুটি নিয়ম পাওয়া যায়। একটি হলো, সালাম ফিরানোর পর দু‘আ করবে। আর দ্বিতীয়টি হলো, সালাতের মধ্যেই দু‘আ করবে। আর এক্ষেত্রে সিজদায় অথবা শেষ বৈঠকে তাশাহ্হুদের পর সালামের পূর্বে পাঠ করবে।
সুতরাং ইসিত্মখারার দু‘আটিও শেষ বৈঠকে বসে পাঠ করা বাঞ্ছনীয়। আর যদি কেউ সালাম ফিরানোর পর উক্ত দু‘আ পাঠ করতে চায়, তাহলে বেশি দেরি না করে এবং অন্য কোন কথা না বলে তাড়াতাড়ি দু‘আ করবে এবং শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা ও নবী ﷺ এর প্রতি দরূদ পাঠ করবে। যেমন- ‘‘আল হামদুলিল্লাহি রাবিবল ‘আ-লামীন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিহিল কারীম’’- এ অংশটি পাঠ করার পর দু‘আটি পাঠ করবে। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৯৮২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১৯৬০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৮৪০।] উল্লেখ্য যে, ইসিত্মখারার পর যেদিকে মন ঝুঁকে, সেটাই করা উচিত।
اَللهُ اَكْبَرُ (১)
উচ্চারণ : আল্লা-হু আকবার।
অর্থ : আল্লাহ সবচেয়ে বড়। [ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তাকবীর শুনে বুঝতাম যে, নবী ﷺ এর সালাত শেষ হয়েছে। (সহীহ বুখারী, হা/৮৪২; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৪৪; আবু দাঊদ, হা/১০০৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৩৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৭০৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২২৩২)]
(২) اَسْتَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণ : আসতাগ্ফিরুল্লা-হ।
অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। [সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত শেষ করে ৩ বার ইসতিগ্ফার করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১৩৬২; নাসাঈ, হা/১৩৩৭; তিরমিযী, হা/৩০০)] (তিন বার)
(৩) اَللّٰهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ - وَمِنْكَ السَّلَامُ - تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-ম, ওয়ামিনকাস্ সালা-ম, তাবা-রাকতা ইয়া-যাল্জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি শান্তি, আপনার থেকেই শান্তি আসে। হে সম্মান ও মহত্ত্বের অধিকারী! আপনি বরকতময়। [সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত শেষ করে এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১৩৬২; নাসাঈ, হা/১৩৩৭; তিরমিযী, হা/৩০০)]
(৪) لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‐ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ ، لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ ، وَ لَا نَعْبُدُ اِلَّا اِيَّاهُ ، لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ ، لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা-শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা- কুল্লি শায়ইন্ ক্বাদীর। লা-হাওলা ওয়াল কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ্, ওয়ালা না‘বুদু ইল্লা ইয়্যা-হ, লাহুন্নি‘মাতু ওয়ালাহুল ফায্লু ওয়ালাহুছ্ ছানা-উলহাসান, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিসীনা লাহুদ্দীন, ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর জন্য, প্রশংসাও তাঁর জন্য। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি ব্যতীত কোন শক্তি নেই। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন প্রকৃত মাবুদ নেই। আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদাত করি না। সকল নিয়ামত ও অনুগ্রহ তাঁরই। সকল সুন্দর প্রশংসা তাঁর জন্যই। তিনি ব্যতীত আর কোন প্রকৃত মাবুদ নেই। আমরা একমাত্র তাঁরই জন্য দ্বীনকে নির্ধারিত করেছি, যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে। [আবু যুবায়ের (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাঃ) প্রত্যেক ওয়াক্তে সালাম ফিরানোর পর এ দু‘আটি পাঠ করতেন। তিনি (ইবনে যুবায়ের) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রত্যেক ওয়াক্তের সালাতের পর এ কথাগুলো বলে আল্লাহর প্রশংসা করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১৩৭১; আবু দাঊদ, হা/১৫০৮; নাসাঈ, হা/১৩৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬১৫০)]
(৫) لَا اِلٰهَ اِلَا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‐ اَللّٰهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا اَعْطَيْتَ ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা-শারীকা লাহূ, লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। আল্লা-হুম্মা লা-মা-নি‘আ লিমা- আ‘ত্বাইতা, ওয়ালা মু‘ত্বিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা-ইয়ানফা‘উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত আর কোন প্রকৃত উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, সার্বভৌমত্ব একমাত্র তাঁরই। সমস্ত প্রশংসা তাঁর জন্য নির্দিষ্ট, তিনি সবকিছুর ব্যাপারেই ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! আপনি যা দিতে চান তা বাধা দেয়ার কেউ নেই এবং আপনি যা বাধা দেন তা দেয়ার কেউ নেই। আর আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রচেষ্টাকারীর প্রচেষ্টারও কোন মূল্য নেই। [মুগীরা ইবনে শু‘বা (রাঃ) এর কাতিব (সেক্রেটারী) ওয়ার্রাদ (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মুগীরা ইবনে শু‘বা (রাঃ) আমাকে দিয়ে মু‘আবিয়াকে এ ব্যাপারে একটি চিঠি লেখালেন যে, নবী ﷺ প্রত্যেক ফরয সালাতের পর এই দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৮৪৪; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৬৬; আবু দাঊদ, হা/১৫০৭; নাসাঈ, হা/১৩৪১)]
(৬) اَللّٰهُمَّ اَعِنِّيْ عَلٰى ذِكْرِكَ ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলা-যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়াহুসনি ‘ইবা-দাতিক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার যিকির করা, শুকরিয়া আদায় করা এবং উত্তম ইবাদাত করার ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করুন। [মু‘আয (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ আমার হাত ধরে বললেন, হে মু‘আয! আমি তোমাকে খুবই ভালোবাসি। তখন মু‘আয (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমিও আপনাকে ভালোবাসি। এরপর নবী ﷺ বললেন, তুমি প্রত্যেক সালাতের পর এ দু‘আটি পাঠ করা ছেড়ে দিও না। (আবু দাঊদ, হা/১৫২৪; নাসাঈ, হা/১৩০৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২১৭২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৭৫১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০২০; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১০১০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫৯৬)]
(৭) আয়াতুল কুরসী পাঠ করা :
আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, মৃত্যু ছাড়া তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বাধা প্রদান করার মতো কোন কিছু থাকবে না। [সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৯৮৪৮; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৭৪০৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫৯৫।] (আয়াতুল কুরসী এ বইয়ের ৩৫ পৃষ্ঠায় রয়েছে)
(৮) سُبْحَانَ اللهِ (সুবহানাল্লাহ) ৩৩ বার, اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ (আলহামদু লিল্লাহ) ৩৩ বার, اَللهُ اَكْبَرُ (আল্লা-হু আকবার) ৩৩ বার এবং এক বার-
لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা-শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা- কুল্লি শায়ইন্ ক্বাদীর।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন প্রকৃত উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তার জন্য এবং সমস্ত প্রশংসাও তার জন্য। আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। [আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর এ আমল করবে তার সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে- যদিও তা সমুদ্রের ফেনার মতো হয়। (সহীহ মুসলিম, হা/১৩৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮২০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০১৬; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১০১)]
উচ্চারণ : আল্লা-হু আকবার।
অর্থ : আল্লাহ সবচেয়ে বড়। [ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তাকবীর শুনে বুঝতাম যে, নবী ﷺ এর সালাত শেষ হয়েছে। (সহীহ বুখারী, হা/৮৪২; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৪৪; আবু দাঊদ, হা/১০০৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৩৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৭০৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২২৩২)]
(২) اَسْتَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণ : আসতাগ্ফিরুল্লা-হ।
অর্থ : আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। [সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত শেষ করে ৩ বার ইসতিগ্ফার করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১৩৬২; নাসাঈ, হা/১৩৩৭; তিরমিযী, হা/৩০০)] (তিন বার)
(৩) اَللّٰهُمَّ اَنْتَ السَّلَامُ - وَمِنْكَ السَّلَامُ - تَبَارَكْتَ يَاذَا الْجَلَالِ وَالْاِكْرَامِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-ম, ওয়ামিনকাস্ সালা-ম, তাবা-রাকতা ইয়া-যাল্জালা-লি ওয়াল ইকরা-ম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি শান্তি, আপনার থেকেই শান্তি আসে। হে সম্মান ও মহত্ত্বের অধিকারী! আপনি বরকতময়। [সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাত শেষ করে এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১৩৬২; নাসাঈ, হা/১৩৩৭; তিরমিযী, হা/৩০০)]
(৪) لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‐ لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ ، لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ ، وَ لَا نَعْبُدُ اِلَّا اِيَّاهُ ، لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الْحَسَنُ ، لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُوْنَ
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা-শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা- কুল্লি শায়ইন্ ক্বাদীর। লা-হাওলা ওয়াল কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ্, ওয়ালা না‘বুদু ইল্লা ইয়্যা-হ, লাহুন্নি‘মাতু ওয়ালাহুল ফায্লু ওয়ালাহুছ্ ছানা-উলহাসান, লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিসীনা লাহুদ্দীন, ওয়ালাও কারিহাল কা-ফিরূন।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মাবুদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর জন্য, প্রশংসাও তাঁর জন্য। তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি ব্যতীত কোন শক্তি নেই। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন প্রকৃত মাবুদ নেই। আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদাত করি না। সকল নিয়ামত ও অনুগ্রহ তাঁরই। সকল সুন্দর প্রশংসা তাঁর জন্যই। তিনি ব্যতীত আর কোন প্রকৃত মাবুদ নেই। আমরা একমাত্র তাঁরই জন্য দ্বীনকে নির্ধারিত করেছি, যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে। [আবু যুবায়ের (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাঃ) প্রত্যেক ওয়াক্তে সালাম ফিরানোর পর এ দু‘আটি পাঠ করতেন। তিনি (ইবনে যুবায়ের) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রত্যেক ওয়াক্তের সালাতের পর এ কথাগুলো বলে আল্লাহর প্রশংসা করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/১৩৭১; আবু দাঊদ, হা/১৫০৮; নাসাঈ, হা/১৩৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬১৫০)]
(৫) لَا اِلٰهَ اِلَا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ ‐ اَللّٰهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا اَعْطَيْتَ ، وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ ، وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা-শারীকা লাহূ, লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। আল্লা-হুম্মা লা-মা-নি‘আ লিমা- আ‘ত্বাইতা, ওয়ালা মু‘ত্বিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা-ইয়ানফা‘উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত আর কোন প্রকৃত উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, সার্বভৌমত্ব একমাত্র তাঁরই। সমস্ত প্রশংসা তাঁর জন্য নির্দিষ্ট, তিনি সবকিছুর ব্যাপারেই ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! আপনি যা দিতে চান তা বাধা দেয়ার কেউ নেই এবং আপনি যা বাধা দেন তা দেয়ার কেউ নেই। আর আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রচেষ্টাকারীর প্রচেষ্টারও কোন মূল্য নেই। [মুগীরা ইবনে শু‘বা (রাঃ) এর কাতিব (সেক্রেটারী) ওয়ার্রাদ (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মুগীরা ইবনে শু‘বা (রাঃ) আমাকে দিয়ে মু‘আবিয়াকে এ ব্যাপারে একটি চিঠি লেখালেন যে, নবী ﷺ প্রত্যেক ফরয সালাতের পর এই দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৮৪৪; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৬৬; আবু দাঊদ, হা/১৫০৭; নাসাঈ, হা/১৩৪১)]
(৬) اَللّٰهُمَّ اَعِنِّيْ عَلٰى ذِكْرِكَ ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলা-যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়াহুসনি ‘ইবা-দাতিক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার যিকির করা, শুকরিয়া আদায় করা এবং উত্তম ইবাদাত করার ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করুন। [মু‘আয (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ আমার হাত ধরে বললেন, হে মু‘আয! আমি তোমাকে খুবই ভালোবাসি। তখন মু‘আয (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমিও আপনাকে ভালোবাসি। এরপর নবী ﷺ বললেন, তুমি প্রত্যেক সালাতের পর এ দু‘আটি পাঠ করা ছেড়ে দিও না। (আবু দাঊদ, হা/১৫২৪; নাসাঈ, হা/১৩০৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২১৭২; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৭৫১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০২০; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১০১০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫৯৬)]
(৭) আয়াতুল কুরসী পাঠ করা :
আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, মৃত্যু ছাড়া তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করা থেকে বাধা প্রদান করার মতো কোন কিছু থাকবে না। [সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৯৮৪৮; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৭৪০৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫৯৫।] (আয়াতুল কুরসী এ বইয়ের ৩৫ পৃষ্ঠায় রয়েছে)
(৮) سُبْحَانَ اللهِ (সুবহানাল্লাহ) ৩৩ বার, اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ (আলহামদু লিল্লাহ) ৩৩ বার, اَللهُ اَكْبَرُ (আল্লা-হু আকবার) ৩৩ বার এবং এক বার-
لَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ ، وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা-শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা- কুল্লি শায়ইন্ ক্বাদীর।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন প্রকৃত উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তার জন্য এবং সমস্ত প্রশংসাও তার জন্য। আর তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। [আবু হুরায়রা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর এ আমল করবে তার সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে- যদিও তা সমুদ্রের ফেনার মতো হয়। (সহীহ মুসলিম, হা/১৩৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৮২০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০১৬; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১০১)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ফিত্নাতিল মাহ্ইয়া ওয়ালমামা-ত।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে। [আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে কুরআনের সূরা যেভাবে শিক্ষা দিতেন, ঠিক সেভাবে এ দু‘আটিও শিক্ষা দিতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫০১; সহীহ বুখারী, হা/১৩৭৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৫৩; আবু দাঊদ, হা/৮৮০; তিরমিযী, হা/৩৪৯৪; নাসাঈ, হা/২০৬০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৪০; মিশকাত, হা/৯৪১)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ফিত্নাতিল মাহ্ইয়া ওয়ালমামা-ত।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে। [আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে কুরআনের সূরা যেভাবে শিক্ষা দিতেন, ঠিক সেভাবে এ দু‘আটিও শিক্ষা দিতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫০১; সহীহ বুখারী, হা/১৩৭৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৫৩; আবু দাঊদ, হা/৮৮০; তিরমিযী, হা/৩৪৯৪; নাসাঈ, হা/২০৬০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৪০; মিশকাত, হা/৯৪১)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনইয়া।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুনিয়ার ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই। [সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩৭০; তিরমিযী, হা/৩৫৬৭; নাসাঈ, হা/৫৪৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬২১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০২৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৯৩৭; মিশকাত, হা/৯৬৪)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনইয়া।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুনিয়ার ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই। [সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩৭০; তিরমিযী, হা/৩৫৬৭; নাসাঈ, হা/৫৪৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬২১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০২৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৯৩৭; মিশকাত, হা/৯৬৪)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে কুরআনের সূরা যেভাবে শিক্ষা দিতেন ঠিক সেভাবে এ দু‘আটিও শিক্ষা দিতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫০১; সহীহ বুখারী, হা/১৩৭৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৫৩; আবু দাঊদ, হা/৮৮০; তিরমিযী, হা/৩৪৯৪; নাসাঈ, হা/২০৬০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৪০; মিশকাত, হা/৯৪১)]
আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত স্মরণ রাখবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১৯১৯; আবু দাঊদ, হা/৪৩২৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৭৬০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩৩৯১; বায়হাকী, হা/৫৭৯৩; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৮২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৪৭২; জামেউস সগীর, হা/১১১৪৬; মিশকাত, হা/২১২৬।]
সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত :
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْۤ أَنْزَلَ عَلٰى عَبْدِهِ الْكِتَابَ وَلَمْ يَجْعَلْ لَّه عِوَجًا ‐ قَيِّمًا لِّيُنْذِرَ بَأْسًا شَدِيْدًا مِّنْ لَّدُنْهُ وَيُبَشِّرَ الْمُؤْمِنِيْنَ الَّذِيْنَ يَعْمَلُوْنَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا حَسَنًا ‐ مَاكِثِيْنَ فِيْهِ أَبَدًا ‐ وَيُنْذِرَ الَّذِيْنَ قَالُوا اتَّخَذَ اللّٰهُ وَلَدًا ‐ مَا لَهُمْ بِه مِنْ عِلْمٍ وَّلَا لِاٰبَآئِهِمْ كَبُرَتْ كَلِمَةً تَخْرُجُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ إِنْ يَّقُوْلُوْنَ إِلَّا كَذِبًا ‐ فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ عَلٰۤى اٰثَارِهِمْ إِنْ لَّمْ يُؤْمِنُوْا بِهٰذَا الْحَدِيْثِ أَسَفًا ‐ إِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْأَرْضِ زِيْنَةً لَّهَا لِنَبْلُوَهُمْ أَيُّهُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا ‐ وَإِنَّا لَجَاعِلُوْنَ مَا عَلَيْهَا صَعِيْدًا جُرُزًا ‐ أَمْ حَسِبْتَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيْمِ كَانُوْا مِنْ اٰيَاتِنَا عَجَبًا ‐ إِذْ أَوَى الْفِتْيَةُ إِلَى الْكَهْفِ فَقَالُوْا رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً وَّهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
অর্থ : সমসত্ম প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দার প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং তাতে কোন বক্রতা রাখেননি। তিনি একে করেছেন সুপ্রতিষ্ঠিত- তাঁর কঠিন শাসিত্ম সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য। আর ঐ সকল মুমিন যারা সৎকর্ম করে, তাদেরকে এ সুসংবাদ দেয়ার জন্য যে, তাদের জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার, তাতে তারা চিরস্থায়ী হবে। আর সতর্ক করার জন্য তাদেরকে যারা বলে যে, আল্লাহ সমত্মান গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও ছিল না। তাদের মুখের কথা কী সাংঘাতিক! তারা তো কেবল মিথ্যাই বলে। (হে নবী) তারা এ বাণী বিশ্বাস না করলে সম্ভবত তুমি দুঃখে নিজেকে ধ্বংস করে ফেলবে। পৃথিবীর উপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোকে তার শোভা করেছি- মানুষকে এ পরীক্ষা করার জন্য যে, তাদের মধ্যে কর্মে কে শ্রেষ্ঠ। তার উপর যা কিছু আছে তা অবশ্যই আমি উদ্ভিদশূন্য ময়দানে পরিণত করব। তুমি কি মনে করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলির মধ্যে বিস্ময়কর? যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় নিল তখন তারা বলেছিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি নিজ হতে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করো এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করো।
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে কুরআনের সূরা যেভাবে শিক্ষা দিতেন ঠিক সেভাবে এ দু‘আটিও শিক্ষা দিতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫০১; সহীহ বুখারী, হা/১৩৭৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৫৩; আবু দাঊদ, হা/৮৮০; তিরমিযী, হা/৩৪৯৪; নাসাঈ, হা/২০৬০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৪০; মিশকাত, হা/৯৪১)]
আবু দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত স্মরণ রাখবে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন। [সহীহ মুসলিম, হা/১৯১৯; আবু দাঊদ, হা/৪৩২৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৭৬০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩৩৯১; বায়হাকী, হা/৫৭৯৩; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৮২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৪৭২; জামেউস সগীর, হা/১১১৪৬; মিশকাত, হা/২১২৬।]
সূরা কাহফের প্রথম ১০ আয়াত :
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْۤ أَنْزَلَ عَلٰى عَبْدِهِ الْكِتَابَ وَلَمْ يَجْعَلْ لَّه عِوَجًا ‐ قَيِّمًا لِّيُنْذِرَ بَأْسًا شَدِيْدًا مِّنْ لَّدُنْهُ وَيُبَشِّرَ الْمُؤْمِنِيْنَ الَّذِيْنَ يَعْمَلُوْنَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا حَسَنًا ‐ مَاكِثِيْنَ فِيْهِ أَبَدًا ‐ وَيُنْذِرَ الَّذِيْنَ قَالُوا اتَّخَذَ اللّٰهُ وَلَدًا ‐ مَا لَهُمْ بِه مِنْ عِلْمٍ وَّلَا لِاٰبَآئِهِمْ كَبُرَتْ كَلِمَةً تَخْرُجُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ إِنْ يَّقُوْلُوْنَ إِلَّا كَذِبًا ‐ فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ عَلٰۤى اٰثَارِهِمْ إِنْ لَّمْ يُؤْمِنُوْا بِهٰذَا الْحَدِيْثِ أَسَفًا ‐ إِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْأَرْضِ زِيْنَةً لَّهَا لِنَبْلُوَهُمْ أَيُّهُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا ‐ وَإِنَّا لَجَاعِلُوْنَ مَا عَلَيْهَا صَعِيْدًا جُرُزًا ‐ أَمْ حَسِبْتَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيْمِ كَانُوْا مِنْ اٰيَاتِنَا عَجَبًا ‐ إِذْ أَوَى الْفِتْيَةُ إِلَى الْكَهْفِ فَقَالُوْا رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً وَّهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
অর্থ : সমসত্ম প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দার প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং তাতে কোন বক্রতা রাখেননি। তিনি একে করেছেন সুপ্রতিষ্ঠিত- তাঁর কঠিন শাসিত্ম সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য। আর ঐ সকল মুমিন যারা সৎকর্ম করে, তাদেরকে এ সুসংবাদ দেয়ার জন্য যে, তাদের জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার, তাতে তারা চিরস্থায়ী হবে। আর সতর্ক করার জন্য তাদেরকে যারা বলে যে, আল্লাহ সমত্মান গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও ছিল না। তাদের মুখের কথা কী সাংঘাতিক! তারা তো কেবল মিথ্যাই বলে। (হে নবী) তারা এ বাণী বিশ্বাস না করলে সম্ভবত তুমি দুঃখে নিজেকে ধ্বংস করে ফেলবে। পৃথিবীর উপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোকে তার শোভা করেছি- মানুষকে এ পরীক্ষা করার জন্য যে, তাদের মধ্যে কর্মে কে শ্রেষ্ঠ। তার উপর যা কিছু আছে তা অবশ্যই আমি উদ্ভিদশূন্য ময়দানে পরিণত করব। তুমি কি মনে করো যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলির মধ্যে বিস্ময়কর? যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় নিল তখন তারা বলেছিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি নিজ হতে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করো এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করো।
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়াআনা আ‘লামু ওয়াআসতাগ্ফিরুকা লিমা লা- আ‘লাম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় আপনার সাথে শিরক করা হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আর অজানা অবস্থায় শিরক হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। [যায়েদ ইবনে আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে যা বলেছেন আমি তোমাদেরকে তাই বলব। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৮১; আদাবুল মুফরাদ, হা/৭১৬; জামেউস সগীর, হা/৬০৪৪)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়াআনা আ‘লামু ওয়াআসতাগ্ফিরুকা লিমা লা- আ‘লাম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় আপনার সাথে শিরক করা হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আর অজানা অবস্থায় শিরক হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। [যায়েদ ইবনে আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে যা বলেছেন আমি তোমাদেরকে তাই বলব। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৮১; আদাবুল মুফরাদ, হা/৭১৬; জামেউস সগীর, হা/৬০৪৪)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি মা ‘আমিলতু ওয়ামিন শাররি মা লাম আ‘মাল।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি যা করেছি এবং আমি যা করি নাই, তার অনিষ্ট হতে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [ফারওয়া ইবনে নাওফাল আশজা‘ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ) কে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহর নিকট কী কী দু‘আ করতেন? আয়েশা (রাঃ) জবাব দিলেন, তিনি এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৭০-৭৩; আবু দাঊদ, হা/১৫৫২; নাসাঈ, হা/১৩০৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৭২৮; জামেউস সগীর, হা/২১৭৩; মিশকাত, হা/২৪৬২)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি মা ‘আমিলতু ওয়ামিন শাররি মা লাম আ‘মাল।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি যা করেছি এবং আমি যা করি নাই, তার অনিষ্ট হতে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [ফারওয়া ইবনে নাওফাল আশজা‘ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাঃ) কে প্রশ্ন করলাম, রাসূলুল্লাহ ﷺ আল্লাহর নিকট কী কী দু‘আ করতেন? আয়েশা (রাঃ) জবাব দিলেন, তিনি এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৭০-৭৩; আবু দাঊদ, হা/১৫৫২; নাসাঈ, হা/১৩০৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৭২৮; জামেউস সগীর, হা/২১৭৩; মিশকাত, হা/২৪৬২)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لَا يَنْفَعُ وَمِنْ قَلْبٍ لَا يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لَا تَشْبَعُ وَمِنْ دَعْوَةٍ لَا يُسْتَجَابُ لَهَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘ইলমিন্ লা-ইয়ান্ফা‘উ ওয়ামিন ক্বালবিন্ লা-ইয়াখ্শা‘উ ওয়ামিন নাফ্সিন লা-তাশ্বা‘উ ওয়ামিন দা‘ওয়াতিন লা-ইউসতাজা-বু লাহা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই এমন ইলম হতে, যা কোন উপকারে আসবে না ও এমন অন্তঃকরণ থেকে, যা আল্লাহর ভয়ে ভীত হয় না; এমন আত্মা থেকে, যা কখনো তৃপ্ত হয় না। আর এমন দু‘আ থেকে, যা কবুল হয় না। [যায়েদ ইবনে আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৮১; আবু দাঊদ, হা/১৫৫০; তিরমিযী, হা/৩৪৮২; নাসাঈ, হা/৫৪৫৮; ইবনে মাজাহ, হা/২৫০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৪৬৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৬২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৪০০৫; জামেউস সগীর, হা/২১৬৬; মিশকাত, হা/২৪৬০)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘ইলমিন্ লা-ইয়ান্ফা‘উ ওয়ামিন ক্বালবিন্ লা-ইয়াখ্শা‘উ ওয়ামিন নাফ্সিন লা-তাশ্বা‘উ ওয়ামিন দা‘ওয়াতিন লা-ইউসতাজা-বু লাহা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই এমন ইলম হতে, যা কোন উপকারে আসবে না ও এমন অন্তঃকরণ থেকে, যা আল্লাহর ভয়ে ভীত হয় না; এমন আত্মা থেকে, যা কখনো তৃপ্ত হয় না। আর এমন দু‘আ থেকে, যা কবুল হয় না। [যায়েদ ইবনে আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৮১; আবু দাঊদ, হা/১৫৫০; তিরমিযী, হা/৩৪৮২; নাসাঈ, হা/৫৪৫৮; ইবনে মাজাহ, হা/২৫০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৪৬৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৮৬২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৪০০৫; জামেউস সগীর, হা/২১৬৬; মিশকাত, হা/২৪৬০)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِيْ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি সাম‘য়ী।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আমার কানের ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই। [আবু আহমাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে একটি দু‘আ শিক্ষা দিন। তখন তিনি আমাকে এ দু‘আ শিক্ষা দিলেন। (আবু দাঊদ, হা/১৫৫৩; তিরমিযী, হা/৩৪৯২; নাসাঈ, হা/৫৪৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৫৮০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৫৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৬৩; মিশকাত, হা/২৪৭২)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি সাম‘য়ী।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আমার কানের ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই। [আবু আহমাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে একটি দু‘আ শিক্ষা দিন। তখন তিনি আমাকে এ দু‘আ শিক্ষা দিলেন। (আবু দাঊদ, হা/১৫৫৩; তিরমিযী, হা/৩৪৯২; নাসাঈ, হা/৫৪৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৫৮০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৫৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৬৩; মিশকাত, হা/২৪৭২)]
اَللّٰهُمَّ فَأَيَّمَا مُؤْمِنٍ سَبَبْتُه فَاجْعَلْ ذٰلِكَ لَه قُرْبَةً إِلَيْكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ফাআইয়ামা- মু’মিনিন সাবাবতুহূ ফাজ‘আল যা-লিকা লাহূ কুরবাতান ইলাইকা ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ্।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি কোন ঈমানদার বান্দাকে মন্দ কথা বললে আপনি তা তার জন্য কিয়ামত দিবসে আপনার সান্নিধ্য লাভের অসীলা বানিয়ে দিন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কে এ দু‘আ পাঠ করতে শুনেছি। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩৬১; সহীহ মুসলিম, হা/৬৭৮৮; মুসনাদুল বাযযার, হা/৭৭৫৬; বায়হাকী, হা/১৩১৫৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৫১৫)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ফাআইয়ামা- মু’মিনিন সাবাবতুহূ ফাজ‘আল যা-লিকা লাহূ কুরবাতান ইলাইকা ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ্।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি কোন ঈমানদার বান্দাকে মন্দ কথা বললে আপনি তা তার জন্য কিয়ামত দিবসে আপনার সান্নিধ্য লাভের অসীলা বানিয়ে দিন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কে এ দু‘আ পাঠ করতে শুনেছি। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩৬১; সহীহ মুসলিম, হা/৬৭৮৮; মুসনাদুল বাযযার, হা/৭৭৫৬; বায়হাকী, হা/১৩১৫৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৫১৫)]
اَللّٰهُمَّ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ فَأَيَّمَا رَجُلٍ مِّنَ الْمُسْلِمِيْنَ سَبَبْتُه أَوْ لَعَنْتُه أَوْ جَلَدْتُّه فَاجْعَلْهَا لَه زَكَاةً وَّرَحْمَةً
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নামা আনা বাশারুন, ফাআইয়্যুমা রজুলিম মিনাল মুসলিমীনা সাবাব্তুহূ আও লা‘আনতুহূ আও জালাত্তুহূ, ফাজ‘আলহা লাহূ যাকা-তাও ওয়া রাহ্মাহ্।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি একজন মানুষ। আমি যদি কোন মুসলিম ব্যক্তিকে গালি দেই অথবা অভিশাপ দেই অথবা শাসিত্ম দেই, তাহলে আপনি তা তার জন্য (তার গোনাহের) পবিত্রতা ও আপনার রহমত হিসেবে ধার্য করুন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৬৭৮১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০৩৪১; দারেমী, হা/২৮০৭; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০১৬৭)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নামা আনা বাশারুন, ফাআইয়্যুমা রজুলিম মিনাল মুসলিমীনা সাবাব্তুহূ আও লা‘আনতুহূ আও জালাত্তুহূ, ফাজ‘আলহা লাহূ যাকা-তাও ওয়া রাহ্মাহ্।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি একজন মানুষ। আমি যদি কোন মুসলিম ব্যক্তিকে গালি দেই অথবা অভিশাপ দেই অথবা শাসিত্ম দেই, তাহলে আপনি তা তার জন্য (তার গোনাহের) পবিত্রতা ও আপনার রহমত হিসেবে ধার্য করুন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৬৭৮১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১০৩৪১; দারেমী, হা/২৮০৭; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০১৬৭)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الْاَخْلَاقِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন মুনকারা-তিল আখলা-ক্ব।
অর্থ : হে আল্লাহ! মন্দ চরিত্র থেকে আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই। [যিয়াদ ইবনে আলাকাহ (রহ.) তার চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নবী ﷺ এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (তিরমিযী, হা/৩৫৯১; জামেউস সগীর, হা/২১৭৮; মিশকাত, হা/২৪৭১)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন মুনকারা-তিল আখলা-ক্ব।
অর্থ : হে আল্লাহ! মন্দ চরিত্র থেকে আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই। [যিয়াদ ইবনে আলাকাহ (রহ.) তার চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নবী ﷺ এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (তিরমিযী, হা/৩৫৯১; জামেউস সগীর, হা/২১৭৮; মিশকাত, হা/২৪৭১)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْجُوْعِ فَاِنَّهٗ بِئْسَ الضَّجِيْعُ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল জূ‘য়ি ফাইন্নাহূ বি’সায যাজী‘।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ক্ষুধা থেকে আশ্রয় চাই, কেননা তা মারাত্মক ক্ষতিকর ধরাশয়কারী। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/১৫৪৯; নাসাঈ, হা/৫৪৬৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩৩৫৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০২৯; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/১৯৬৩৬; জামেউস সগীর, হা/২১৬৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩০০২; মিশকাত, হা/২৪৬৯)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল জূ‘য়ি ফাইন্নাহূ বি’সায যাজী‘।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ক্ষুধা থেকে আশ্রয় চাই, কেননা তা মারাত্মক ক্ষতিকর ধরাশয়কারী। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/১৫৪৯; নাসাঈ, হা/৫৪৬৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩৩৫৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০২৯; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/১৯৬৩৬; জামেউস সগীর, হা/২১৬৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩০০২; মিশকাত, হা/২৪৬৯)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْخِيَانَةِ فَاِنَّهَا بِئْسَتِ الْبِطَانَةُ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল খিয়ানাতি ফাইন্নাহা বি’সাতিল বিত্বা-নাহ্।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে খিয়ানত থেকে আশ্রয় চাই, কেননা তা মারাত্মক গোপন রোগ। [আবু দাঊদ, হা/১৫৪৯; ঐ।]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল খিয়ানাতি ফাইন্নাহা বি’সাতিল বিত্বা-নাহ্।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে খিয়ানত থেকে আশ্রয় চাই, কেননা তা মারাত্মক গোপন রোগ। [আবু দাঊদ, হা/১৫৪৯; ঐ।]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল জুব্ন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই। [আমর ইবনে মাইমূন আল-আওদী (রহ.) বলেন, শিক্ষক যেমন তাঁর ছাত্রদেরকে লেখা শিক্ষা দেন, তেমনি সা‘দ তাঁর সন্তানদেরকে এ কথাগুলো শিক্ষা দিতেন এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতের পর এগুলো থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/২৮২২, ৬৩৭৪; তিরমিযী, হা/৩৫৬৭; মিশকাত, হা/৯৬৪)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল জুব্ন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই। [আমর ইবনে মাইমূন আল-আওদী (রহ.) বলেন, শিক্ষক যেমন তাঁর ছাত্রদেরকে লেখা শিক্ষা দেন, তেমনি সা‘দ তাঁর সন্তানদেরকে এ কথাগুলো শিক্ষা দিতেন এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতের পর এগুলো থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/২৮২২, ৬৩৭৪; তিরমিযী, হা/৩৫৬৭; মিশকাত, হা/৯৬৪)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল ফাক্বর।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অভাব থেকে আশ্রয় চাই। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/১৫৪৬; নাসাঈ, হা/৫৪৬২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০৩৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/৮২১৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৮৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৭৮; মিশকাত, হা/২৪৬৭। জামেউস সগীর, হা/২১৬৫)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল ফাক্বর।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অভাব থেকে আশ্রয় চাই। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/১৫৪৬; নাসাঈ, হা/৫৪৬২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০৩৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/৮২১৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৮৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৭৮; মিশকাত, হা/২৪৬৭। জামেউস সগীর, হা/২১৬৫)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ دَرَكِ الشَّقَاءِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন দারাকিশ শাক্বা-ই।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুর্ভাগ্য থেকে আশ্রয় চাই। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৬১৬; নাসাঈ, হা/৫৪৯১; মুসনাদুল বাযযার, হা/৮৯৭১)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন দারাকিশ শাক্বা-ই।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুর্ভাগ্য থেকে আশ্রয় চাই। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৬১৬; নাসাঈ, হা/৫৪৯১; মুসনাদুল বাযযার, হা/৮৯৭১)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ سُوْءِ الْقَضَاءِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন সূইল ক্বাযা-ই।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তাক্বদীরের মন্দ থেকে আশ্রয় চাই। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৫২; নাসাঈ, হা/৫৪৯২; আদাবুল মুফরাদ, হা/৪৪১)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন সূইল ক্বাযা-ই।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তাক্বদীরের মন্দ থেকে আশ্রয় চাই। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৫২; নাসাঈ, হা/৫৪৯২; আদাবুল মুফরাদ, হা/৪৪১)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَمَاتَةِ الْاَعْدَاءِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শামা-তাতিল আ‘দা-ই।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুশমনের হাসি-ঠাট্টা থেকে আশ্রয় চাই। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩৪৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩৪৯; নাসাঈ, হা/৫৪৮৮; আদাবুল মুফরাদ, হা/৪৪১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৪৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০১৬; মিশকাত, হা/২৪৫৭)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শামা-তাতিল আ‘দা-ই।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুশমনের হাসি-ঠাট্টা থেকে আশ্রয় চাই। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ এ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩৪৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩৪৯; নাসাঈ, হা/৫৪৮৮; আদাবুল মুফরাদ, হা/৪৪১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৪৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০১৬; মিশকাত, হা/২৪৫৭)]
اَللّٰهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ سَرِيْعَ الْحِسَابِ اَللّٰهُمَّ اهْزِمِ الْأَحْزَابَ اَللّٰهُمَّ اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা মুন্যিলাল্ কিতা-ব, সারী‘আল হিসা-ব, আল্লা-হুম্মাহযিমিল্ আহযা-ব, আল্লা-হুম্মাহযিম্হুম্ ওয়া যাল্যিল্হুম।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী, তুমি সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে পরাজিত করে দাও এবং তাদেরকে কম্পমান করে দাও। [আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সম্মিলিত বাহিনীর বিরুদ্ধে (খন্দকের যুদ্ধে) এভাবে দু‘আ করেছিলেন। (সহীহ বুখারী, হা/২৯৩৩, ৪১১৫, ৬৩৯২, ৭৩৭৯; সহীহ মুসলিম, হা/৪৬৪১; তিরমিযী, হা/১৬৭৮; ইবনে মাজাহ, হা/২৭৯৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯১৩০; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/৯৫১৬; মিশকাত, হা/২৪২৬)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা মুন্যিলাল্ কিতা-ব, সারী‘আল হিসা-ব, আল্লা-হুম্মাহযিমিল্ আহযা-ব, আল্লা-হুম্মাহযিম্হুম্ ওয়া যাল্যিল্হুম।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী, তুমি সম্মিলিত বাহিনীকে পরাজিত করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে পরাজিত করে দাও এবং তাদেরকে কম্পমান করে দাও। [আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সম্মিলিত বাহিনীর বিরুদ্ধে (খন্দকের যুদ্ধে) এভাবে দু‘আ করেছিলেন। (সহীহ বুখারী, হা/২৯৩৩, ৪১১৫, ৬৩৯২, ৭৩৭৯; সহীহ মুসলিম, হা/৪৬৪১; তিরমিযী, হা/১৬৭৮; ইবনে মাজাহ, হা/২৭৯৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯১৩০; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/৯৫১৬; মিশকাত, হা/২৪২৬)]
(১) اَللّٰهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِيْ نُحُوْرِهِمْ وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شُرُوْرِهِمْ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্না নাজ‘আলুকা ফী নুহূরিহিম ওয়া না‘ঊযুবিকা মিন শুরুরিহিম।
অর্থ : হে আল্লাহ! শত্রুদের মোকাবেলা করার জন্য আমরা আপনাকে তাদের সম্মুখে রাখলাম (আপনিই তাদের দমন করুন)। আর আমরা তাদের অনিষ্ট হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই। [আবু বুরদা ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, তার পিতা বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন গোত্রের ব্যাপারে ভীতিজনক কোন তৎপরতার সংবাদ জানতে পারতেন, তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/১৫৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৭৩৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৬২৯; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/৫২৭৫; জামেউস সগীর, হা/৮৮৩৫; মিশকাত, হা/২৪৪১)]
(২) اَللّٰهُمَّ اَنْتَ عَضُدِىْ وَنَصِيْرِىْ بِكَ اَحُوْلُ وَبِكَ اَصُوْلُ وَبِكَ اُقَاتِلُ
উচ্চারণ : আললা-হুম্মা আন্তা ‘আযুদী ওয়া নাসীরী, বিকা আহূলু, ওয়াবিকা আসূলু, ওয়াবিকা উক্বা-তিলু।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার শক্তি, আপনি আমার সাহায্যকারী, আপনার সাহায্যে আমি যুদ্ধ করি। [আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যুদ্ধের পূর্ব মুহূর্তে এই দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/২৬৩৪; মুসনাদুল বাযযার, হা/৭২২৭; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৮৫৭৬; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/৫২৭২; সুনানে সাদ ইবনে মানসূর, হা/২৫২২; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩৪১০৮; মিশকাত, হা/২৪৪০)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্না নাজ‘আলুকা ফী নুহূরিহিম ওয়া না‘ঊযুবিকা মিন শুরুরিহিম।
অর্থ : হে আল্লাহ! শত্রুদের মোকাবেলা করার জন্য আমরা আপনাকে তাদের সম্মুখে রাখলাম (আপনিই তাদের দমন করুন)। আর আমরা তাদের অনিষ্ট হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই। [আবু বুরদা ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, তার পিতা বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন গোত্রের ব্যাপারে ভীতিজনক কোন তৎপরতার সংবাদ জানতে পারতেন, তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/১৫৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৭৩৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৬২৯; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/৫২৭৫; জামেউস সগীর, হা/৮৮৩৫; মিশকাত, হা/২৪৪১)]
(২) اَللّٰهُمَّ اَنْتَ عَضُدِىْ وَنَصِيْرِىْ بِكَ اَحُوْلُ وَبِكَ اَصُوْلُ وَبِكَ اُقَاتِلُ
উচ্চারণ : আললা-হুম্মা আন্তা ‘আযুদী ওয়া নাসীরী, বিকা আহূলু, ওয়াবিকা আসূলু, ওয়াবিকা উক্বা-তিলু।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার শক্তি, আপনি আমার সাহায্যকারী, আপনার সাহায্যে আমি যুদ্ধ করি। [আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যুদ্ধের পূর্ব মুহূর্তে এই দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/২৬৩৪; মুসনাদুল বাযযার, হা/৭২২৭; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৮৫৭৬; মুসত্মাখরাজে আবু আওয়ানা, হা/৫২৭২; সুনানে সাদ ইবনে মানসূর, হা/২৫২২; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩৪১০৮; মিশকাত, হা/২৪৪০)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল ‘আজ্য।
অর্থ : হে আল্লাহ! অক্ষমতা থেকে আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/২৮২৩; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৪৮; আবু দাঊদ, হা/১৫৪২; নাসাঈ, হা/৫৪৪৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২১৩৪; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৭১; জামেউস সগীর, হা/২১৬৪; মিশকাত, হা/২৪৬০)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল ‘আজ্য।
অর্থ : হে আল্লাহ! অক্ষমতা থেকে আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/২৮২৩; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৪৮; আবু দাঊদ, হা/১৫৪২; নাসাঈ, হা/৫৪৪৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২১৩৪; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৭১; জামেউস সগীর, হা/২১৬৪; মিশকাত, হা/২৪৬০)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল কাসাল।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অলসতা থেকে আশ্রয় চাই। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩৬৮; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৮৪; আবু দাঊদ, হা/৫০৭৩; তিরমিযী, হা/৩৩৯০; নাসাঈ, হা/৫৪৫১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৭৩৪; মিশকাত, হা/২৪৭৯)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল কাসাল।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অলসতা থেকে আশ্রয় চাই। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩৬৮; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৮৪; আবু দাঊদ, হা/৫০৭৩; তিরমিযী, হা/৩৩৯০; নাসাঈ, হা/৫৪৫১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৭৩৪; মিশকাত, হা/২৪৭৯)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল বুখ্ল।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কৃপণতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৪৭০৭; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৫১; আবু দাঊদ, হা/৩৯৭৪)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল বুখ্ল।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কৃপণতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৪৭০৭; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৫১; আবু দাঊদ, হা/৩৯৭৪)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন যাওয়া-লি নি‘মাতিক।
অর্থ : হে আল্লাহ! নিয়ামত কমে যাওয়া থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। [আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পঠিতব্য দু‘আসমূহের মধ্যে এটি হচ্ছে একটি দু‘আ। (সহীহ মুসলিম, হা/৭১২০; আবু দাঊদ, হা/১৫৪৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৪৬; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৮৫; জামেউস সগীর, হা/২১৭১; মিশকাত, হা/২৪৬১)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন যাওয়া-লি নি‘মাতিক।
অর্থ : হে আল্লাহ! নিয়ামত কমে যাওয়া থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। [আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর পঠিতব্য দু‘আসমূহের মধ্যে এটি হচ্ছে একটি দু‘আ। (সহীহ মুসলিম, হা/৭১২০; আবু দাঊদ, হা/১৫৪৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৪৬; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৮৫; জামেউস সগীর, হা/২১৭১; মিশকাত, হা/২৪৬১)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْغَرَقِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল গারাক্ব।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। [আবু ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/১৫৫৪; নাসাঈ, হা/৫৫৩৩)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল গারাক্ব।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। [আবু ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/১৫৫৪; নাসাঈ, হা/৫৫৩৩)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ أَرْذَلِ الْعُمُرِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন আরযালিল ‘উমুর।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে বার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাই। [সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩৬৫; নাসাঈ, হা/৫৪৪৫; তিরমিযী, হা/৩৫৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৮৫; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৭৪৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০২৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৪৩৫; জামেউস সগীর, হা/৩১২৬; মিশকাত, হা/৯৬৪)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন আরযালিল ‘উমুর।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে বার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাই। [সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩৬৫; নাসাঈ, হা/৫৪৪৫; তিরমিযী, হা/৩৫৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৮৫; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৭৪৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২০২৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৪৩৫; জামেউস সগীর, হা/৩১২৬; মিশকাত, হা/৯৬৪)]
رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَمِنْ سُوْءِ الْكِبْرِ
উচ্চারণ : রাববি আ‘ঊযুবিকা মিনাল কাসালি ওয়া মিন সূইল কিবরি।
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার কাছে অলসতা থেকে এবং অহংকারের অনিষ্টতা থেকে পরিত্রাণ চাই। [আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ সন্ধ্যার সময় এ দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৫০৭৩; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৭৮৭৮; মিশকাত, হা/২৩৯২)]
উচ্চারণ : রাববি আ‘ঊযুবিকা মিনাল কাসালি ওয়া মিন সূইল কিবরি।
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার কাছে অলসতা থেকে এবং অহংকারের অনিষ্টতা থেকে পরিত্রাণ চাই। [আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ সন্ধ্যার সময় এ দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৫০৭৩; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৭৮৭৮; মিশকাত, হা/২৩৯২)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল মা’ছাম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি পাপ থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৮৩২; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৫৩; আবু দাঊদ, হা/৮৮০; মিশকাত, হা/৯৩৯)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল মা’ছাম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি পাপ থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সালাতে এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৮৩২; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৫৩; আবু দাঊদ, হা/৮৮০; মিশকাত, হা/৯৩৯)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ النَّفْسِ وَ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِه
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শাররিন-নাফসি ও শাররিশ শায়ত্বা-নি ওয়া শিরকিহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি নফস এবং শয়তানের অনিষ্ট ও তার শিরক থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা আবু বকর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে কিছু বাক্য শিক্ষা দিন, যা আমি সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করব। তখন তিনি তাকে এ দু‘আটি শিক্ষা দেন। (আবু দাঊদ, হা/৫০৬৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫১; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৭৫৩)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শাররিন-নাফসি ও শাররিশ শায়ত্বা-নি ওয়া শিরকিহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি নফস এবং শয়তানের অনিষ্ট ও তার শিরক থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা আবু বকর (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে কিছু বাক্য শিক্ষা দিন, যা আমি সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করব। তখন তিনি তাকে এ দু‘আটি শিক্ষা দেন। (আবু দাঊদ, হা/৫০৬৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫১; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২০৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৭৫৩)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْغِنٰى وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْفَقْرِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি ফিতনাতিল গিনা ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল ফাক্বর।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রাচুর্যের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি এবং আমি আপনার কাছে অভাবের ফিতনা থেকেও আশ্রয় চাচ্ছি। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩৬৮; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৪৬; তিরমিযী, হা/৩৪৯৫; নাসাঈ, হা/৫৪৭৭; মুসনাদে আবদুর রাযযাক, হা/১৯৬৩১; জামেউস সগীর, হা/২১৬৮; মিশকাত, হা/২৪৫৯)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি ফিতনাতিল গিনা ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল ফাক্বর।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রাচুর্যের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি এবং আমি আপনার কাছে অভাবের ফিতনা থেকেও আশ্রয় চাচ্ছি। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩৬৮; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৪৬; তিরমিযী, হা/৩৪৯৫; নাসাঈ, হা/৫৪৭৭; মুসনাদে আবদুর রাযযাক, হা/১৯৬৩১; জামেউস সগীর, হা/২১৬৮; মিশকাত, হা/২৪৫৯)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাব্র।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে কুরআনের সূরা যেভাবে শিক্ষা দিতেন, ঠিক সেভাবে এ দু‘আটিও শিক্ষা দিতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫০১; সহীহ বুখারী, হা/১৩৭৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৫৩; আবু দাঊদ, হা/৮৮০; তিরমিযী, হা/৩৪৯৪; নাসাঈ, হা/২০৬০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৪০; মিশকাত, হা/৯৪১)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাব্র।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে কুরআনের সূরা যেভাবে শিক্ষা দিতেন, ঠিক সেভাবে এ দু‘আটিও শিক্ষা দিতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫০১; সহীহ বুখারী, হা/১৩৭৭; সহীহ মুসলিম, হা/১৩৫৩; আবু দাঊদ, হা/৮৮০; তিরমিযী, হা/৩৪৯৪; নাসাঈ, হা/২০৬০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৪০; মিশকাত, হা/৯৪১)]
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিনশাররি মা খালাক্ব।
অর্থ : আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের মাধ্যমে যাবতীয় সৃষ্ট বসত্মুর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাচ্ছি । [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ এর নিকট জনৈক লোক এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! গত রাত্রে একটি বিচ্ছু আমাকে কামড় দিয়েছে, তাতে আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি। তিনি বললেন, তুমি সন্ধ্যার সময় যদি এ দু‘আ বলতে, তাহলে বিচ্ছু তোমাকে কোন কষ্ট দিত না। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৫৩; আবু দাঊদ, হা/৩৯০০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৫১৮)]
উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিনশাররি মা খালাক্ব।
অর্থ : আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের মাধ্যমে যাবতীয় সৃষ্ট বসত্মুর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাচ্ছি । [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ এর নিকট জনৈক লোক এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! গত রাত্রে একটি বিচ্ছু আমাকে কামড় দিয়েছে, তাতে আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি। তিনি বললেন, তুমি সন্ধ্যার সময় যদি এ দু‘আ বলতে, তাহলে বিচ্ছু তোমাকে কোন কষ্ট দিত না। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৫৩; আবু দাঊদ, হা/৩৯০০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৫১৮)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيْهَا وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِه وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِه
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাহা ওয়াখাইরামা-ফীহা ওয়াখাইরামা উরসিলাত বিহী, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শাররিহা ওয়াশাররি মা-ফীহা ওয়াশাররি মা-উরসিলাতবিহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট বাতাসের কল্যাণ চাই, যে কল্যাণ তার মধ্যে রয়েছে এবং যে কল্যাণ তার সাথে প্রেরিত হয়েছে। আর আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি তার অনিষ্ট হতে, যে অনিষ্ট তার মধ্যে নিহিত এবং যা তার সাথে প্রেরিত হয়েছে । [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন বাতাস প্রবলবেগে প্রবাহিত হতো তখন নবী ﷺ এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/২১২২; তিরমিযী, হা/৩৪৪৯; বায়হাকী, হা/৬২৫৫; মিশকাত, হা/১৫১৩)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাহা ওয়াখাইরামা-ফীহা ওয়াখাইরামা উরসিলাত বিহী, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শাররিহা ওয়াশাররি মা-ফীহা ওয়াশাররি মা-উরসিলাতবিহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট বাতাসের কল্যাণ চাই, যে কল্যাণ তার মধ্যে রয়েছে এবং যে কল্যাণ তার সাথে প্রেরিত হয়েছে। আর আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি তার অনিষ্ট হতে, যে অনিষ্ট তার মধ্যে নিহিত এবং যা তার সাথে প্রেরিত হয়েছে । [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন বাতাস প্রবলবেগে প্রবাহিত হতো তখন নবী ﷺ এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/২১২২; তিরমিযী, হা/৩৪৪৯; বায়হাকী, হা/৬২৫৫; মিশকাত, হা/১৫১৩)]
سُبْحَانَ الَّذِيْ يُسَبِّحُ الرَّعْدُ بِحَمْدِه وَالْمَلَائِكَةُ مِنْ خِيْفَتِه
উচ্চারণ : সুবহা-নাল্লাযী ইউসাবিবহুর রা‘দু বিহামদিহী ওয়াল মালা-ইকাতু মিন খীফাতিহ।
অর্থ : পাক-পবিত্র সেই মহান সত্তা, যার ভয়ে ভীত হয়ে প্রশংসা সহকারে পবিত্রতা বর্ণনা করে মেঘের গর্জন এবং ফেরেশতাগণও। [আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাঃ) যখন মেঘের গর্জন শুনতেন তখন কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং এই দু‘আটি পাঠ করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৮০১; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৭০৩; সুনানে সা‘দ ইবনে মানসূর, হা/১১৬৫; আদাবুল মুফরাদ, হা/৭২৩; মিশকাত, হা/১৫২২)]
উচ্চারণ : সুবহা-নাল্লাযী ইউসাবিবহুর রা‘দু বিহামদিহী ওয়াল মালা-ইকাতু মিন খীফাতিহ।
অর্থ : পাক-পবিত্র সেই মহান সত্তা, যার ভয়ে ভীত হয়ে প্রশংসা সহকারে পবিত্রতা বর্ণনা করে মেঘের গর্জন এবং ফেরেশতাগণও। [আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাঃ) যখন মেঘের গর্জন শুনতেন তখন কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং এই দু‘আটি পাঠ করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৮০১; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৭০৩; সুনানে সা‘দ ইবনে মানসূর, হা/১১৬৫; আদাবুল মুফরাদ, হা/৭২৩; মিশকাত, হা/১৫২২)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَّافِعًا وَعَمَلًا مُّتَقَبَّلًا وَ رِزْقًا طَيِّبًا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ‘ইলমান না-ফি‘আও ওয়া ‘আমালাম মুতাক্বাববালাও ওয়া রিযক্বান ত্বায়্যিবা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, গ্রহণযোগ্য আমল এবং পবিত্র রিযিক চাই। [উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, যখন সকালের সালাত আদায় করে সালাম ফিরাবে তখন এ দু‘আ পাঠ করবে। (ইবনে মাজাহ, হা/৯২৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৭৩৯; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৫১১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৯৮৭৫; মিশকাত, হা/২৪৯৮)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ‘ইলমান না-ফি‘আও ওয়া ‘আমালাম মুতাক্বাববালাও ওয়া রিযক্বান ত্বায়্যিবা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, গ্রহণযোগ্য আমল এবং পবিত্র রিযিক চাই। [উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, যখন সকালের সালাত আদায় করে সালাম ফিরাবে তখন এ দু‘আ পাঠ করবে। (ইবনে মাজাহ, হা/৯২৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৭৩৯; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৫১১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৯৮৭৫; মিশকাত, হা/২৪৯৮)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ ، وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ ، وَحُبَّ الْمَسَاكِينِ وَإِذَا أَرَدْتَّ فِي النَّاسِ فِتْنَةً فَاقْبِضْنِيْ إِلَيْكَ غَيْرَ مَفْتُوْنٍ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ফি‘লাল খাইরা-ত, ওয়া তারকাল মুনকারা-ত, ওয়া হুববাল মাসা-কীন। ওয়া ইযা-আরাত্তা ফিন্না-সি ফিতনাতান ফাক্ববিযনী ইলাইকা গাইরা মাফতূনিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ভালো কাজ করার, মন্দ কাজ বর্জন করার এবং দরিদ্রদেরকে ভালোবাসার তাওফীক কামনা করছি। আর (এটাও কামনা করছি যে) যখন আপনি মানুষকে পরীক্ষায় ফেলতে চান, তখন নিরাপদে আমাকে আপনার কাছে উঠিয়ে নিন। [ইমাম মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তার নিকট পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫০৮; তিরমিযী, হা/৩২৩৩; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৩২; মিশকাত, হা/৭৪৮)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ফি‘লাল খাইরা-ত, ওয়া তারকাল মুনকারা-ত, ওয়া হুববাল মাসা-কীন। ওয়া ইযা-আরাত্তা ফিন্না-সি ফিতনাতান ফাক্ববিযনী ইলাইকা গাইরা মাফতূনিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ভালো কাজ করার, মন্দ কাজ বর্জন করার এবং দরিদ্রদেরকে ভালোবাসার তাওফীক কামনা করছি। আর (এটাও কামনা করছি যে) যখন আপনি মানুষকে পরীক্ষায় ফেলতে চান, তখন নিরাপদে আমাকে আপনার কাছে উঠিয়ে নিন। [ইমাম মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তার নিকট পৌঁছেছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আ পাঠ করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫০৮; তিরমিযী, হা/৩২৩৩; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৩২; মিশকাত, হা/৭৪৮)]
(১) اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْهُدٰى وَالتُّقٰى وَالْعَفَافَ وَالْغِنٰى
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা, ওয়াত্তুক্বা, ওয়াল ‘আফা-ফা ওয়ালগিনা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট হেদায়াত, তাক্বওয়া, সচ্চরিত্রতা এবং স্বনির্ভরতার প্রার্থনা করছি। [আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৭৯; তিরমিযী, হা/৩৪৮৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৩২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৯০৪, ৩৯৫০; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৭৪; মিশকাত, হা/২৪৮৪)]
(২) اَللّٰهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا يَحُوْلُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيْكَ وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِه جَنَّتَكَ وَمِنَ الْيَقِينِ مَا تُهَوِّنُ بِه عَلَيْنَا مُصِيبَاتِ الدُّنْيَا وَمَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنَّا وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلٰى مَنْ ظَلَمَنَا وَانْصُرْنَا عَلٰى مَنْ عَادَانَا وَلَا تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِى دِينِنَا وَلَا تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا وَلَا مَبْلَغَ عِلْمِنَا وَلَا تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لَا يَرْحَمُنَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আক্বসিম লানা মিন খাশইয়াতিকা মা ইয়াহূলু বাইনানা ওয়া বাইনা মা‘আ-সীকা ওয়া ত্বা-‘আতিকা মা-তুবাল্লিগুনা বিহী জান্নাতাকা ওয়া মিনাল ইয়াক্বীনি মা তুহাওভিনু বিহী ‘আলাইনা মুসীবা-তিদ দুনইয়া ওয়া মাত্তি‘না বি আসমা-‘ইনা ওয়া আবসা-রিনা ওয়া কুওওয়াতিনা মা আহ্ইয়াইতানা ওয়াজ‘আলহুল ওয়া-রিসা মিন্না ওয়াজ‘আল ছা’রানা ‘আলা মান যালামানা ওয়ানসুরনা ‘আলা মান ‘আ-দা-না ওয়ালা তাজ‘আল মুসীবাতানা ফী দ্বীনিনা ওয়ালা তাজ‘আলিদ দুনইয়া আকবারা হাম্মিনা ওয়ালা মাবলাগা ‘ইলমিনা ওয়ালা তুসাল্লিত্ব ‘আলাইনা মান লা ইয়ারহামুনা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার মধ্যে আপনার এমন ভয় দিয়ে দিন, যা আমার এবং আপনার অবাধ্যতার মধ্যে অমত্মরায় হয়। আমাদেরকে এমনভাবে আপনার আনুগত্য করার তাওফীক দান করুন, যা জান্নাতে পৌঁছায়। যতদিন আপনি আমাদেরেকে জীবিত রাখেন, ততদিন আমাদেরকে এমন ঈমান দান করুন, যার ফলে দুনিয়ার বিপদ আমাদের কাছে তুচ্ছ মনে হয়। আমাদেরকে আমাদের কান, চক্ষু ও শক্তি দ্বারা উপকৃত করুন এবং আমাদেরকে এর উত্তরাধিকারী বানান। যারা আমাদের উপর অত্যাচার করে তাদের উপর আমাদেরকে বিজয় দান করুন। যারা আমাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে তাদের উপর আমাদেরকে সাহায্য দান করুন। দ্বীনের ব্যাপারে আমাদেরকে বিপদে ফেলা থেকে রক্ষা করুন। দুনিয়া অর্জন করা আমাদের চিমত্মা এবং জ্ঞানের বড় বিষয় যেন না হয়। আর যারা আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করে না তাদেরকে আমাদের উপর চাপিয়ে দেবেন না। [আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ কোন মজলিস থেকে উঠার পর খুব কম সময়ই এ দু‘আটি পাঠ করা ছেড়ে দিতেন। (তিরমিযী, হা/৩৫০২; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫৯৮৯; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১০১৬১; মিশকাত, হা/২৪৯২)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা, ওয়াত্তুক্বা, ওয়াল ‘আফা-ফা ওয়ালগিনা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট হেদায়াত, তাক্বওয়া, সচ্চরিত্রতা এবং স্বনির্ভরতার প্রার্থনা করছি। [আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৭৯; তিরমিযী, হা/৩৪৮৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৩২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৯০৪, ৩৯৫০; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৭৪; মিশকাত, হা/২৪৮৪)]
(২) اَللّٰهُمَّ اقْسِمْ لَنَا مِنْ خَشْيَتِكَ مَا يَحُوْلُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ مَعَاصِيْكَ وَمِنْ طَاعَتِكَ مَا تُبَلِّغُنَا بِه جَنَّتَكَ وَمِنَ الْيَقِينِ مَا تُهَوِّنُ بِه عَلَيْنَا مُصِيبَاتِ الدُّنْيَا وَمَتِّعْنَا بِأَسْمَاعِنَا وَأَبْصَارِنَا وَقُوَّتِنَا مَا أَحْيَيْتَنَا وَاجْعَلْهُ الْوَارِثَ مِنَّا وَاجْعَلْ ثَأْرَنَا عَلٰى مَنْ ظَلَمَنَا وَانْصُرْنَا عَلٰى مَنْ عَادَانَا وَلَا تَجْعَلْ مُصِيبَتَنَا فِى دِينِنَا وَلَا تَجْعَلِ الدُّنْيَا أَكْبَرَ هَمِّنَا وَلَا مَبْلَغَ عِلْمِنَا وَلَا تُسَلِّطْ عَلَيْنَا مَنْ لَا يَرْحَمُنَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আক্বসিম লানা মিন খাশইয়াতিকা মা ইয়াহূলু বাইনানা ওয়া বাইনা মা‘আ-সীকা ওয়া ত্বা-‘আতিকা মা-তুবাল্লিগুনা বিহী জান্নাতাকা ওয়া মিনাল ইয়াক্বীনি মা তুহাওভিনু বিহী ‘আলাইনা মুসীবা-তিদ দুনইয়া ওয়া মাত্তি‘না বি আসমা-‘ইনা ওয়া আবসা-রিনা ওয়া কুওওয়াতিনা মা আহ্ইয়াইতানা ওয়াজ‘আলহুল ওয়া-রিসা মিন্না ওয়াজ‘আল ছা’রানা ‘আলা মান যালামানা ওয়ানসুরনা ‘আলা মান ‘আ-দা-না ওয়ালা তাজ‘আল মুসীবাতানা ফী দ্বীনিনা ওয়ালা তাজ‘আলিদ দুনইয়া আকবারা হাম্মিনা ওয়ালা মাবলাগা ‘ইলমিনা ওয়ালা তুসাল্লিত্ব ‘আলাইনা মান লা ইয়ারহামুনা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার মধ্যে আপনার এমন ভয় দিয়ে দিন, যা আমার এবং আপনার অবাধ্যতার মধ্যে অমত্মরায় হয়। আমাদেরকে এমনভাবে আপনার আনুগত্য করার তাওফীক দান করুন, যা জান্নাতে পৌঁছায়। যতদিন আপনি আমাদেরেকে জীবিত রাখেন, ততদিন আমাদেরকে এমন ঈমান দান করুন, যার ফলে দুনিয়ার বিপদ আমাদের কাছে তুচ্ছ মনে হয়। আমাদেরকে আমাদের কান, চক্ষু ও শক্তি দ্বারা উপকৃত করুন এবং আমাদেরকে এর উত্তরাধিকারী বানান। যারা আমাদের উপর অত্যাচার করে তাদের উপর আমাদেরকে বিজয় দান করুন। যারা আমাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে তাদের উপর আমাদেরকে সাহায্য দান করুন। দ্বীনের ব্যাপারে আমাদেরকে বিপদে ফেলা থেকে রক্ষা করুন। দুনিয়া অর্জন করা আমাদের চিমত্মা এবং জ্ঞানের বড় বিষয় যেন না হয়। আর যারা আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করে না তাদেরকে আমাদের উপর চাপিয়ে দেবেন না। [আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ কোন মজলিস থেকে উঠার পর খুব কম সময়ই এ দু‘আটি পাঠ করা ছেড়ে দিতেন। (তিরমিযী, হা/৩৫০২; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫৯৮৯; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১০১৬১; মিশকাত, হা/২৪৯২)]
اَللّٰهُمَّ أَحْيِنِىْ مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِّىْ وَتَوَفَّنِىْ إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِّىْ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আহ্য়িনী মা-কা-নাতিল হায়া-তু খায়রাল্লী ওয়া তাওয়াফ্ফানী ইযা কা-নাতিল ওফা-তু খাইরাল্লী।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমাকে বাঁচিয়ে রাখো, যতদিন বেঁচে থাকাটা আমার জন্য মঙ্গলজনক হয় এবং আমাকে মৃত্যু দান কর, যখন মৃত্যু আমার জন্য মঙ্গলজনক হয়। [আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, কোন মুসীবতে পড়ে দুঃখ-কষ্টের কারণে তোমাদের কেউ যেন কখনো (সরাসরি) মৃত্যু কামনা না করে। আর যদি সেরকম কিছু করতেই হয়, তবে যেন এ দু‘আ করে। (সহীহ বুখারী, হা/৫৬৭১; সহীহ মুসলিম, হা/৬৯৯০; আবু দাঊদ, হা/৩১১০; তিরমিযী, হা/৯৭০; নাসাঈ, হা/১৮২০; ইবনে মাজাহ, হা/৪২৬৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৯৯৮; মিশকাত, হা/১৬০০)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আহ্য়িনী মা-কা-নাতিল হায়া-তু খায়রাল্লী ওয়া তাওয়াফ্ফানী ইযা কা-নাতিল ওফা-তু খাইরাল্লী।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমাকে বাঁচিয়ে রাখো, যতদিন বেঁচে থাকাটা আমার জন্য মঙ্গলজনক হয় এবং আমাকে মৃত্যু দান কর, যখন মৃত্যু আমার জন্য মঙ্গলজনক হয়। [আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, কোন মুসীবতে পড়ে দুঃখ-কষ্টের কারণে তোমাদের কেউ যেন কখনো (সরাসরি) মৃত্যু কামনা না করে। আর যদি সেরকম কিছু করতেই হয়, তবে যেন এ দু‘আ করে। (সহীহ বুখারী, হা/৫৬৭১; সহীহ মুসলিম, হা/৬৯৯০; আবু দাঊদ, হা/৩১১০; তিরমিযী, হা/৯৭০; নাসাঈ, হা/১৮২০; ইবনে মাজাহ, হা/৪২৬৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৯৯৮; মিশকাত, হা/১৬০০)]
اَللّٰهُمَّ اٰتِ نَفْسِيْ تَقْوَاهَا وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلَاهَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আ-তি নাফসী তাক্বওয়া-হা, ওয়া যাক্কিহা, আনতা খাইরু মান যাককা-হা আনতা ওয়ালীয়্যুহা ওয়া মাওলা-হা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার আত্মাকে সংযমতা দান করুন এবং তাকে পাক-পবিত্র করুন। আত্মা পবিত্রকারীদের মধ্যে আপনিই উত্তম, আপনিই তার মালিক। [যায়েদ ইবনে আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তোমাদের নিকট তেমনই বলব যেমনটি রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন। তিনি এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৮১; নাসাঈ, হা/৫৪৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৩২৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৪০০৫; মিশকাত, হা/২৪৬০)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আ-তি নাফসী তাক্বওয়া-হা, ওয়া যাক্কিহা, আনতা খাইরু মান যাককা-হা আনতা ওয়ালীয়্যুহা ওয়া মাওলা-হা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার আত্মাকে সংযমতা দান করুন এবং তাকে পাক-পবিত্র করুন। আত্মা পবিত্রকারীদের মধ্যে আপনিই উত্তম, আপনিই তার মালিক। [যায়েদ ইবনে আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তোমাদের নিকট তেমনই বলব যেমনটি রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন। তিনি এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৮১; নাসাঈ, হা/৫৪৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৩২৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৪০০৫; মিশকাত, হা/২৪৬০)]
اَللّٰهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ، صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلٰى طَاعَتِكَ (১)
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা মুসার্রিফাল কুলূব! সাররিফ কুলূবানা ‘আলা ত্বা‘আতিক।
অর্থ : হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী আল্লাহ! আমাদের অন্তরসমূহকে আপনার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দিন। [আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ হেদায়াতের উপর অটল থাকার জন্য এই দু‘আ শিক্ষা দিয়েছেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৬৯২১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৫৬৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৪৬০; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৬৮৯; মিশকাত, হা/৮৯)]
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلٰى دِيْنِكَ (২)
উচ্চারণ : ইয়া মুক্বাল্লিবাল কুলূব, সাবিবত ক্বালবী ‘আলা দীনিক।
অর্থ : হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আপনার দ্বীনের উপর আমার অন্তরকে প্রতিষ্ঠিত রাখুন। [শাহ্র ইবনে হাওশাব (রাঃ) উম্মে সালামা (রাঃ) কে প্রশ্ন করলেন, হে উম্মুল মু’মিনীন! রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন আপনার নিকট থাকতেন তখন অধিকাংশ সময় তিনি কী দু‘আ করতেন? তিনি বললেন, অধিকাংশ সময় তিনি এ দু‘আ করতেন। (তিরমিযী, হা/২১৪০, ৩৫২২; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২১২৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯২৭; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৮৩; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২০৯১; মিশকাত, হা/১০২)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা মুসার্রিফাল কুলূব! সাররিফ কুলূবানা ‘আলা ত্বা‘আতিক।
অর্থ : হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী আল্লাহ! আমাদের অন্তরসমূহকে আপনার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দিন। [আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ হেদায়াতের উপর অটল থাকার জন্য এই দু‘আ শিক্ষা দিয়েছেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৬৯২১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৬৫৬৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৪৬০; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৬৮৯; মিশকাত, হা/৮৯)]
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلٰى دِيْنِكَ (২)
উচ্চারণ : ইয়া মুক্বাল্লিবাল কুলূব, সাবিবত ক্বালবী ‘আলা দীনিক।
অর্থ : হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আপনার দ্বীনের উপর আমার অন্তরকে প্রতিষ্ঠিত রাখুন। [শাহ্র ইবনে হাওশাব (রাঃ) উম্মে সালামা (রাঃ) কে প্রশ্ন করলেন, হে উম্মুল মু’মিনীন! রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন আপনার নিকট থাকতেন তখন অধিকাংশ সময় তিনি কী দু‘আ করতেন? তিনি বললেন, অধিকাংশ সময় তিনি এ দু‘আ করতেন। (তিরমিযী, হা/২১৪০, ৩৫২২; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২১২৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯২৭; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৮৩; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২০৯১; মিশকাত, হা/১০২)]
اَللّٰهُمَّ أَصْلِحْ لِيْ دِيْنِيَ الَّذِيْ هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِيْ ، وَأَصْلِحْ لِيْ دُنْيَايَ الَّتِيْ فِيْهَا مَعَاشِيْ ، وأَصْلِحْ لِيْ اٰخِرَتِيَ الَّتِيْ فِيْهَا مَعَادِيْ ، وَاجْعَلِ الْحَيَاةَ زِيَادَةً لِّيْ فِيْ كُلِّ خَيْرٍ ، وَاجْعَلِ الْمَوْتَ رَاحَةً لِّيْ مِنْ كُلِّ شَرٍّ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আসলিহ্লী দ্বীনিয়াল্লাযী হুয়া ‘ইসমাতু আমরী, ওয়া আসলিহ্লী দুন্ইয়া-ইয়াল্লাতী ফীহা মা‘আ-শী, ওয়া আসলিহ্লী আ-খিরাতিয়াল্লাতী ফীহা মা‘আ-দী, ওয়াজ‘আলিল হায়া-তা যিয়া-দাতাল্লী ফী কুল্লি খাই-র, ওয়াজ‘আলিল মাওতা রা-হাতাল্লী মিনকুল্লি শারর্।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার দ্বীনকে সংশোধন করে দাও, যা আমার সকল কাজের সংরক্ষক। পৃথিবীকে আমার জন্য কল্যাণময় করে দাও, যার মধ্যে আমার জীবন-জীবিকা রয়েছে। আমার পরকালকে আমার জন্য কল্যাণময় করে দাও, যেখানে আমাকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। প্রত্যেক নেক আমলের জন্য আমার হায়াত বৃদ্ধি করে দাও, আর আমার মৃত্যুকে প্রত্যেক মন্দ কাজ থেকে মুক্ত করে প্রশান্তির বিষয়ে পরিণত করো। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৭৮; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৭০৮; মিশকাত, হা/২৪৮৩)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আসলিহ্লী দ্বীনিয়াল্লাযী হুয়া ‘ইসমাতু আমরী, ওয়া আসলিহ্লী দুন্ইয়া-ইয়াল্লাতী ফীহা মা‘আ-শী, ওয়া আসলিহ্লী আ-খিরাতিয়াল্লাতী ফীহা মা‘আ-দী, ওয়াজ‘আলিল হায়া-তা যিয়া-দাতাল্লী ফী কুল্লি খাই-র, ওয়াজ‘আলিল মাওতা রা-হাতাল্লী মিনকুল্লি শারর্।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার দ্বীনকে সংশোধন করে দাও, যা আমার সকল কাজের সংরক্ষক। পৃথিবীকে আমার জন্য কল্যাণময় করে দাও, যার মধ্যে আমার জীবন-জীবিকা রয়েছে। আমার পরকালকে আমার জন্য কল্যাণময় করে দাও, যেখানে আমাকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। প্রত্যেক নেক আমলের জন্য আমার হায়াত বৃদ্ধি করে দাও, আর আমার মৃত্যুকে প্রত্যেক মন্দ কাজ থেকে মুক্ত করে প্রশান্তির বিষয়ে পরিণত করো। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৭৮; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৭০৮; মিশকাত, হা/২৪৮৩)]
اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيْ بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ ، وَأَغْنِنِيْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিক, ওয়াআগনিনী বিফায্লিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক।
অর্থ : হে আল্লাহ! হারাম থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আপনার হালালকে আমার জন্য যথেষ্ট করে দিন, আর আপনার অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে ধনী করে দিন- যাতে আপনি ছাড়া অন্য কারো মুখাপেক্ষী না হতে হয়। [আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি জনৈক মুকাতাব গোলামকে বললেন, আমাকে যে কথাগুলো রাসূলুল্লাহ ﷺ শিখিয়েছেন আমি কি তোমাকে সেগুলো বলে দেব? তোমার উপর পাহাড় সমান ঋণের বোঝা থাকলেও আল্লাহ তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেবেন। (তিরমিযী, হা/৩৫৬৩; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৭৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮২০; মিশকাত, হা/২৪৪৯)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিক, ওয়াআগনিনী বিফায্লিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক।
অর্থ : হে আল্লাহ! হারাম থেকে বাঁচার লক্ষ্যে আপনার হালালকে আমার জন্য যথেষ্ট করে দিন, আর আপনার অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে ধনী করে দিন- যাতে আপনি ছাড়া অন্য কারো মুখাপেক্ষী না হতে হয়। [আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি জনৈক মুকাতাব গোলামকে বললেন, আমাকে যে কথাগুলো রাসূলুল্লাহ ﷺ শিখিয়েছেন আমি কি তোমাকে সেগুলো বলে দেব? তোমার উপর পাহাড় সমান ঋণের বোঝা থাকলেও আল্লাহ তা পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেবেন। (তিরমিযী, হা/৩৫৬৩; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৭৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৮২০; মিশকাত, হা/২৪৪৯)]
(১) اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الْعَدُوِّ وَشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া গালাবাতিল ‘আদুওভি ওয়া শামা-তাতিল আ‘দা-ই।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি ঋণের বোঝা থেকে, শত্রুর আধিক্য ও শত্রুর গালি হতে আপনার কাছে মুক্তি চাই। [আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ বাক্যগুলো দ্বারা দু‘আ করতেন। (নাসাঈ, হা/৫৪৮৭; আবু দাঊদ, হা/১৫৫৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৪৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০২৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৫৪১; মিশকাত, হা/২৪৪৮)]
(২) اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি ওয়াল ‘আজযি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখ্লি ওয়া যালা‘ইদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুশ্চিমত্মা ও দুর্ভাবনা থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও কাপুরুষতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষের অত্যাচার থেকে। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ঋণগ্রসত্ম ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধ সহজ করার জন্য এ দু‘আ শিক্ষা দিয়েছেন। (সহীহ বুখারী, হা/২৮৯৩, ৬৩৬৯; আবু দাউদ, হা/১৫৪৩; তিরমিযী, হা/৭৪৮৪; নাসাঈ, হা/৫৪৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৩২৮; মিশকাত, হা/২৪৫৮)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া গালাবাতিল ‘আদুওভি ওয়া শামা-তাতিল আ‘দা-ই।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি ঋণের বোঝা থেকে, শত্রুর আধিক্য ও শত্রুর গালি হতে আপনার কাছে মুক্তি চাই। [আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এ বাক্যগুলো দ্বারা দু‘আ করতেন। (নাসাঈ, হা/৫৪৮৭; আবু দাঊদ, হা/১৫৫৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৪৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/১০২৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৫৪১; মিশকাত, হা/২৪৪৮)]
(২) اَللّٰهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি ওয়াল ‘আজযি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখ্লি ওয়া যালা‘ইদ দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুশ্চিমত্মা ও দুর্ভাবনা থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও কাপুরুষতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষের অত্যাচার থেকে। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ঋণগ্রসত্ম ব্যক্তিকে ঋণ পরিশোধ সহজ করার জন্য এ দু‘আ শিক্ষা দিয়েছেন। (সহীহ বুখারী, হা/২৮৯৩, ৬৩৬৯; আবু দাউদ, হা/১৫৪৩; তিরমিযী, হা/৭৪৮৪; নাসাঈ, হা/৫৪৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৩২৮; মিশকাত, হা/২৪৫৮)]
بَارَكَ اللهُ لَكَ فِيْ اَهْلِكَ وَمَالِكَ
উচ্চারণ : বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফী আহ্লিকা ওয়া মা-লিক।
অর্থ : আল্লাহ তা‘আলা আপনার সম্পদ ও পরিবারবর্গে বরকত দান করুন। [ইসমাঈল ইবনে ইবরাহীম (রহ.) তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার থেকে ৪০,০০০ দিরহাম ঋণ নিয়েছিলেন। যখন তার নিকট মাল আসলো, তখন আমার পাওনা আমাকে দিয়ে দিলেন এবং আমার জন্য এ দু‘আ করলেন। (নাসাঈ, হা/৪৬৮৩; মিশকাত, হা/২৯২৬)]
উচ্চারণ : বা-রাকাল্লা-হু লাকা ফী আহ্লিকা ওয়া মা-লিক।
অর্থ : আল্লাহ তা‘আলা আপনার সম্পদ ও পরিবারবর্গে বরকত দান করুন। [ইসমাঈল ইবনে ইবরাহীম (রহ.) তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার থেকে ৪০,০০০ দিরহাম ঋণ নিয়েছিলেন। যখন তার নিকট মাল আসলো, তখন আমার পাওনা আমাকে দিয়ে দিলেন এবং আমার জন্য এ দু‘আ করলেন। (নাসাঈ, হা/৪৬৮৩; মিশকাত, হা/২৯২৬)]
(১) اَللّٰهُمَّ اسْقِنَا غَيْثًا مُّغِيْثًا مَّرِيْئًا مَّرِيْعًا نَّافِعًا غَيْرَ ضَارٍّ عَاجِلًا غَيْرَ اٰجِلٍ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাসক্বিনা গাইছাম মুগীছাম মারীআম মারী’আন্ না-ফি‘আন, গাইরা যা-র্রিন ‘আ-জিলান গাইরা আ-জিল।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে এমন বৃষ্টি দাও, যা ফসল উৎপাদনের উপযোগী, কল্যাণকর, ক্ষতিকর নয়, দ্রুত আগমনকারী, বিলম্বকারী নয়। [জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট কিছু লোক বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ক্রন্দনরত অবস্থায় আগমন করে (বৃষ্টির জন্য দু‘আ করতে বলল)। তখন তিনি এ দু‘আটি করলেন। ফলে সাথে সাথে আসমান মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেল। (আবু দাঊদ, হা/১১৭১; মিশকাত, হা/১৫০৭)]
(২) اَللّٰهُمَّ أَغِثْنَا اَللّٰهُمَّ أَغِثْنَا اَللّٰهُمَّ أَغِثْنَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আগিছনা, আল্লা-হুম্মা আগিছনা, আল্লা-হুম্মা আগিছনা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দান করো, হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দান করো, হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দান করো। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ খুৎবায় দাঁড়িয়ে এ দু‘আটি পাঠ করে দু‘আ করলেন। (সহীহ বুখারী, হা/১০১৪; সহীহ মুসলিম, হা/২১১৫; নাসাঈ, হা/১৫১৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৭৮৮; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১৮৩৭; শারহুস সুন্নাহ, হা/১১৬৬)]
(৩) اَللّٰهُمَّ اسْقِ عِبَادَكَ وَبَهَائِمَكَ وَانْشُرْ رَحْمَتَكَ وَأَحْىِ بَلَدَكَ الْمَيِّتَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাসক্বি ‘ইবা-দাকা ওয়া বাহা-ইমাকা, ওয়ানশুর্ রাহ্মাতাকা, ওয়া আহ্য়ী বালাদাকাল্ মাইয়িত।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আপনার বান্দাদেরকে এবং চতুষ্পদ জমত্মুগুলোকে পানি পান করান, আপনার রহমত পরিচালনা করুন, আর আপনার মৃত শহরকে সজীব করুন। [আমর ইবনে শু‘আইব (রহ.) তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতেন, তখন এই দু‘আটি পাঠ করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৪৯; আবু দাঊদ, হা/১১৭৮; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৬৭১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/৪৯১২; জামেউস সগীর, হা/৮৭৯৫; মিশকাত, হা/১৫০৬)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাসক্বিনা গাইছাম মুগীছাম মারীআম মারী’আন্ না-ফি‘আন, গাইরা যা-র্রিন ‘আ-জিলান গাইরা আ-জিল।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে এমন বৃষ্টি দাও, যা ফসল উৎপাদনের উপযোগী, কল্যাণকর, ক্ষতিকর নয়, দ্রুত আগমনকারী, বিলম্বকারী নয়। [জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট কিছু লোক বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ক্রন্দনরত অবস্থায় আগমন করে (বৃষ্টির জন্য দু‘আ করতে বলল)। তখন তিনি এ দু‘আটি করলেন। ফলে সাথে সাথে আসমান মেঘাচ্ছন্ন হয়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গেল। (আবু দাঊদ, হা/১১৭১; মিশকাত, হা/১৫০৭)]
(২) اَللّٰهُمَّ أَغِثْنَا اَللّٰهُمَّ أَغِثْنَا اَللّٰهُمَّ أَغِثْنَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আগিছনা, আল্লা-হুম্মা আগিছনা, আল্লা-হুম্মা আগিছনা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দান করো, হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দান করো, হে আল্লাহ! আমাদেরকে বৃষ্টি দান করো। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ খুৎবায় দাঁড়িয়ে এ দু‘আটি পাঠ করে দু‘আ করলেন। (সহীহ বুখারী, হা/১০১৪; সহীহ মুসলিম, হা/২১১৫; নাসাঈ, হা/১৫১৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৭৮৮; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১৮৩৭; শারহুস সুন্নাহ, হা/১১৬৬)]
(৩) اَللّٰهُمَّ اسْقِ عِبَادَكَ وَبَهَائِمَكَ وَانْشُرْ رَحْمَتَكَ وَأَحْىِ بَلَدَكَ الْمَيِّتَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাসক্বি ‘ইবা-দাকা ওয়া বাহা-ইমাকা, ওয়ানশুর্ রাহ্মাতাকা, ওয়া আহ্য়ী বালাদাকাল্ মাইয়িত।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আপনার বান্দাদেরকে এবং চতুষ্পদ জমত্মুগুলোকে পানি পান করান, আপনার রহমত পরিচালনা করুন, আর আপনার মৃত শহরকে সজীব করুন। [আমর ইবনে শু‘আইব (রহ.) তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতেন, তখন এই দু‘আটি পাঠ করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৪৯; আবু দাঊদ, হা/১১৭৮; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৬৬৭১; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হা/৪৯১২; জামেউস সগীর, হা/৮৭৯৫; মিশকাত, হা/১৫০৬)]
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهُ صَيِّبًا هَنِيْئًا نَافِعًا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাজ‘আলহু সাইয়িবান হানীআন না-ফি‘আ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি মুষলধারায় উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন বৃষ্টি দেখতে পেতেন, তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/১০৩২; আবু দাঊদ, হা/৫১০১; নাসাঈ, হা/১৫২৩; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৯০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪১৯০; জামেউস সগীর, হা/৮৮৫৬; বায়হাকী, হা/৬২৮৫; মিশকাত, হা/১৫০০)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাজ‘আলহু সাইয়িবান হানীআন না-ফি‘আ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি মুষলধারায় উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন বৃষ্টি দেখতে পেতেন, তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/১০৩২; আবু দাঊদ, হা/৫১০১; নাসাঈ, হা/১৫২৩; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৯০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪১৯০; জামেউস সগীর, হা/৮৮৫৬; বায়হাকী, হা/৬২৮৫; মিশকাত, হা/১৫০০)]
اَللّٰهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا اَللّٰهُمَّ عَلَى الْاٰكَامِ وَ الظِّرَابِ وَ بُطُوْنِ الْاَوْدِيَةِ وَ مَنَابَةِ الشَّجَرَةِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা হাওয়া-লাইনা ওয়ালা ‘আলাইনা, আল্লা-হুম্মা ‘আলাল আ-কা-মি ওয়ায্যিরা-বি ওয়াবুতূনিল আওদিয়াতি ওয়ামানা-বাতিশ শাজারাহ্।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের পাশর্ববর্তী এলাকায় বর্ষণ করুন, আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ! উঁচু ভূমিতে ও পাহাড়-পর্বতে, উপত্যকা অঞ্চলে এবং বনাঞ্চলে বর্ষণ করুন। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ ব্যাপী বৃষ্টি হতে থাকলে জনৈক ব্যক্তি এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! বৃষ্টি বন্ধের জন্য দু‘আ করুন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বৃষ্টি বন্ধের জন্য এই দু‘আ করলেন। (সহীহ বুখারী, হা/১০১৩; নাসাঈ, হা/১৫১৫; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৭৮৮; মিশকাত, হা/৫৯০২)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা হাওয়া-লাইনা ওয়ালা ‘আলাইনা, আল্লা-হুম্মা ‘আলাল আ-কা-মি ওয়ায্যিরা-বি ওয়াবুতূনিল আওদিয়াতি ওয়ামানা-বাতিশ শাজারাহ্।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের পাশর্ববর্তী এলাকায় বর্ষণ করুন, আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ! উঁচু ভূমিতে ও পাহাড়-পর্বতে, উপত্যকা অঞ্চলে এবং বনাঞ্চলে বর্ষণ করুন। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ ব্যাপী বৃষ্টি হতে থাকলে জনৈক ব্যক্তি এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! বৃষ্টি বন্ধের জন্য দু‘আ করুন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বৃষ্টি বন্ধের জন্য এই দু‘আ করলেন। (সহীহ বুখারী, হা/১০১৩; নাসাঈ, হা/১৫১৫; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/১৭৮৮; মিশকাত, হা/৫৯০২)]
সালাম অর্থ শান্তি। কাউকে সালাম দেয়া মানে হচ্ছে, তার জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা। সালাম প্রদানের অপরিসীম গুরুত্ব হাদীসে বর্ণনা করা হয়েছে।
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ : رَدُّ السَّلَامِ ، وَعِيَادَةُ الْمَرِيْضِ ، وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ ، وتَشْمِيْتُ الْعَاطِسِ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের পাঁচটি হক আছে। ১. সালামের উত্তর দেয়া, ২. রোগীর সেবা করা, ৩. জানাযায় অংশগ্রহণ করা, ৪. দাওয়াত কবুল করা, ৫. হাঁচিদাতার উত্তর দেয়া। [সহীহ বুখারী, হা/১২৪০; সহীহ মুসলিম, হা/৫৭৭৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৪৩৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৪৬৭; জামেউস সগীর, হা/৫৪৬১; মিশকাত, হা/১৫২৪।]
তাই একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ হলেই আমরা সালাম বিনিময় করব। যে আগে সালাম দেয় সে উত্তম। সালামের উত্তরদানের সময় শব্দ বাড়িয়ে বলা সুন্নাত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَاِذَا حُيِّيْتُمْ بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوْا بِاَحْسَنَ مِنْهَاۤ اَوْ رُدُّوْهَا﴾
তোমাদেরকে যখন সালাম দেয়া হয়, তখন তোমরা তার চেয়ে আরো উত্তমভাবে উত্তর প্রদান করবে অথবা তারই অনুরূপ করবে। (সূরা নিসা- ৮৬)
সালাম দেয়ার সময় বলবে,
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَ رَحْمَةُ اللهِ
উচ্চারণ : আস্সালা-মু ‘আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লা-হ।
অর্থ : আপনার উপর শান্তি এবং আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।
আর সালামের উত্তর দেয়ার সময় বলবে,
وَ عَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَ رَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه
উচ্চারণ : ওয়া ‘আলাইকুমুস সালা-মু ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহ।
অর্থ : আর আপনার উপরও শান্তি ও আল্লাহর রহমত এবং বরকত বর্ষিত হোক। [আত্বা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) এর নিকট ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি তার নিকট এসে সালাম দিল। তখন আমি উত্তরে এ শব্দগুলো বললাম। তা শুনে ইবনে আববাস (রাঃ) বললেন, ফেরেশতারা যে পর্যমত্ম বলে থাকে তুমি সে পর্যমত্ম গিয়ে থামলে। অর্থাৎ ফেরেশতারাও এ শব্দগুলো দিয়ে সালামের উত্তর দিয়ে থাকে। (মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩৩১৬; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৪৪৯)]
পরস্পর সাক্ষাৎ হলে মুসাফাহা করা উত্তম। বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, যখন কোন দু’জন মুসলিম মিলিত হয় অতঃপর মুসাফাহা করে এবং আল্লাহর প্রশংসা করে, তখন তাদের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। [জামেউস সগীর, হা/৪৫০৭।]
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ حَقُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ خَمْسٌ : رَدُّ السَّلَامِ ، وَعِيَادَةُ الْمَرِيْضِ ، وَاتِّبَاعُ الْجَنَائِزِ ، وَإِجَابَةُ الدَّعْوَةِ ، وتَشْمِيْتُ الْعَاطِسِ
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, এক মুসলিমের উপর অপর মুসলিমের পাঁচটি হক আছে। ১. সালামের উত্তর দেয়া, ২. রোগীর সেবা করা, ৩. জানাযায় অংশগ্রহণ করা, ৪. দাওয়াত কবুল করা, ৫. হাঁচিদাতার উত্তর দেয়া। [সহীহ বুখারী, হা/১২৪০; সহীহ মুসলিম, হা/৫৭৭৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৪৩৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৪৬৭; জামেউস সগীর, হা/৫৪৬১; মিশকাত, হা/১৫২৪।]
তাই একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ হলেই আমরা সালাম বিনিময় করব। যে আগে সালাম দেয় সে উত্তম। সালামের উত্তরদানের সময় শব্দ বাড়িয়ে বলা সুন্নাত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَاِذَا حُيِّيْتُمْ بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّوْا بِاَحْسَنَ مِنْهَاۤ اَوْ رُدُّوْهَا﴾
তোমাদেরকে যখন সালাম দেয়া হয়, তখন তোমরা তার চেয়ে আরো উত্তমভাবে উত্তর প্রদান করবে অথবা তারই অনুরূপ করবে। (সূরা নিসা- ৮৬)
সালাম দেয়ার সময় বলবে,
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَ رَحْمَةُ اللهِ
উচ্চারণ : আস্সালা-মু ‘আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লা-হ।
অর্থ : আপনার উপর শান্তি এবং আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।
আর সালামের উত্তর দেয়ার সময় বলবে,
وَ عَلَيْكُمُ السَّلَامُ وَ رَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه
উচ্চারণ : ওয়া ‘আলাইকুমুস সালা-মু ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহ।
অর্থ : আর আপনার উপরও শান্তি ও আল্লাহর রহমত এবং বরকত বর্ষিত হোক। [আত্বা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) এর নিকট ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি তার নিকট এসে সালাম দিল। তখন আমি উত্তরে এ শব্দগুলো বললাম। তা শুনে ইবনে আববাস (রাঃ) বললেন, ফেরেশতারা যে পর্যমত্ম বলে থাকে তুমি সে পর্যমত্ম গিয়ে থামলে। অর্থাৎ ফেরেশতারাও এ শব্দগুলো দিয়ে সালামের উত্তর দিয়ে থাকে। (মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩৩১৬; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৪৪৯)]
পরস্পর সাক্ষাৎ হলে মুসাফাহা করা উত্তম। বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, যখন কোন দু’জন মুসলিম মিলিত হয় অতঃপর মুসাফাহা করে এবং আল্লাহর প্রশংসা করে, তখন তাদের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। [জামেউস সগীর, হা/৪৫০৭।]
অন্যের মাধ্যমে কেউ সালাম পাঠালে তার উত্তরে বলতে হয়,
عَلَيْكَ وَ عَلَيْهِ السَّلَامُ
উচ্চারণ : ‘আলাইকা ওয়া ‘আলাইহিস্ সালা-ম।
অর্থ : আপনার উপর এবং তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। [গালিব (রহ.) হতে বর্ণিত। একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট সালাম পাঠালেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এভাবে উত্তর দিলেন। (আবু দাঊদ, হা/৫২৩৩; মুসনাদে ইবনে জা‘দ, হা/১৪৭৭; মিশকাত, হা/৪৬৫৫)]
عَلَيْكَ وَ عَلَيْهِ السَّلَامُ
উচ্চারণ : ‘আলাইকা ওয়া ‘আলাইহিস্ সালা-ম।
অর্থ : আপনার উপর এবং তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। [গালিব (রহ.) হতে বর্ণিত। একদা এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট সালাম পাঠালেন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এভাবে উত্তর দিলেন। (আবু দাঊদ, হা/৫২৩৩; মুসনাদে ইবনে জা‘দ, হা/১৪৭৭; মিশকাত, হা/৪৬৫৫)]
অমুসলিম ব্যক্তি সালাম দিলে তার উত্তরে বলতে হয়, وَعَلَيْكُمْ ওয়া ‘আলাইকুম। অর্থাৎ তোমার উপরও বর্ষিত হোক। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন কোন আহলে কিতাব তোমাদেরকে সালাম দেয়, তখন তোমরা এটা বলবে। (সহীহ বুখারী, হা/৬২৫৮; সহীহ মুসলিম, হা/৫৭৮০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৬৯৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৯৬৬; জামেউস সগীর, হা/৬০৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৭৯৬; মিশকাত, হা/৩৬৩৭)]
اَللّٰهُمَّ لَا تُؤَاخِذْنِيْ بِمَا يَقُوْلُوْنَ ، وَاغْفِرْ لِيْ مَا لَا يَعْلَمُوَنَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লা তুআ-খিযনী বিমা ইয়াকূলূন, ওয়াগ ফির্লী মা লা ইয়া‘লামূন।
অর্থ : হে আল্লাহ! যা বলা হচ্ছে তার জন্য আমাকে পাকড়াও করো না, আমাকে ক্ষমা করো, যা তারা জানে না তা থেকে। [আদী ইবনে আরত্বাত (রহ.) বলেন, একদা একজন সাহাবীর প্রশংসা করা হলে তিনি এই দু‘আ পাঠ করলেন। (আদাবুল মুফরাদ, হা/৭৬১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩৬৮৫৩)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লা তুআ-খিযনী বিমা ইয়াকূলূন, ওয়াগ ফির্লী মা লা ইয়া‘লামূন।
অর্থ : হে আল্লাহ! যা বলা হচ্ছে তার জন্য আমাকে পাকড়াও করো না, আমাকে ক্ষমা করো, যা তারা জানে না তা থেকে। [আদী ইবনে আরত্বাত (রহ.) বলেন, একদা একজন সাহাবীর প্রশংসা করা হলে তিনি এই দু‘আ পাঠ করলেন। (আদাবুল মুফরাদ, হা/৭৬১; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩৬৮৫৩)]
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ হাঁচি দিবে তখন বলবে,
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ
উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লা-হ।
অর্থ : সমসত্ম প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
অন্য বর্ণনায় রয়েছে,
اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ عَلٰى كُلِّ حَالٍ
উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লা-হি ‘আলা কুল্লি হা-ল।
অর্থ : সর্বাবস্থায় সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
তারপর তার ভাই অথবা তার সাথি তথা যে এ বাক্য বলতে শুনবে সে বলবে,
يَرْحَمُكَ اللهُ
উচ্চারণ : ইয়ারহামুকাল্লা-হ।
অর্থ : আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন।
অতঃপর হাঁচিদাতা ব্যক্তি পুনরায় বলবে,
يَهْدِيْكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ
উচ্চারণ : ইয়াহ্দীকুমুল্লা-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম।
অর্থ : আল্লাহ তোমাদেরকে হেদায়াত দান করুন এবং তোমাদের অবস্থা সংশোধন করুন। [সহীহ বুখারী, হা/৬২২৪; আবু দাঊদ, হা/৫০৩৫; তিরমিযী, হা/২৭৩১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৭১৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৭২; আদাবুল মুফরাদ, হা/৯২৭; দারেমী, হা/২৭০১; মিশকাত, হা/৪৭৩৯।]
উল্লেখ্য যে, কোন অমুসলিম যদি হাঁচি দেয় তবে তার ক্ষেত্রে কেবল يَهْدِيْكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ (ইয়াহ্দীকুমুল্লা-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম) বলতে হবে। [আবু বুরদা (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, এক ইয়াহুদী রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকটে হাঁচি দিল এই আশায় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তার জন্য রহমতের দু‘আ করবেন। কিমত্মু রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে এ উত্তর দিলেন। (আবু দাঊদ, হা/৫০৪০)]
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ
উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লা-হ।
অর্থ : সমসত্ম প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
অন্য বর্ণনায় রয়েছে,
اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ عَلٰى كُلِّ حَالٍ
উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লা-হি ‘আলা কুল্লি হা-ল।
অর্থ : সর্বাবস্থায় সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
তারপর তার ভাই অথবা তার সাথি তথা যে এ বাক্য বলতে শুনবে সে বলবে,
يَرْحَمُكَ اللهُ
উচ্চারণ : ইয়ারহামুকাল্লা-হ।
অর্থ : আল্লাহ তোমার উপর রহম করুন।
অতঃপর হাঁচিদাতা ব্যক্তি পুনরায় বলবে,
يَهْدِيْكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ
উচ্চারণ : ইয়াহ্দীকুমুল্লা-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম।
অর্থ : আল্লাহ তোমাদেরকে হেদায়াত দান করুন এবং তোমাদের অবস্থা সংশোধন করুন। [সহীহ বুখারী, হা/৬২২৪; আবু দাঊদ, হা/৫০৩৫; তিরমিযী, হা/২৭৩১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৭১৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৭২; আদাবুল মুফরাদ, হা/৯২৭; দারেমী, হা/২৭০১; মিশকাত, হা/৪৭৩৯।]
উল্লেখ্য যে, কোন অমুসলিম যদি হাঁচি দেয় তবে তার ক্ষেত্রে কেবল يَهْدِيْكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ (ইয়াহ্দীকুমুল্লা-হু ওয়া ইউসলিহু বা-লাকুম) বলতে হবে। [আবু বুরদা (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, এক ইয়াহুদী রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকটে হাঁচি দিল এই আশায় যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তার জন্য রহমতের দু‘আ করবেন। কিমত্মু রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে এ উত্তর দিলেন। (আবু দাঊদ, হা/৫০৪০)]
اَللّٰهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِىْ وَاسْقِ مَنْ سَقَانِىْ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আত্ব‘ঈম মান আত্ব‘আমানী ওয়াস্ক্বি মান সাক্বা-নী।
অর্থ : হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করালো তুমি তাকে আহার করাও, যে আমাকে পান করালো তুমি তাকে পান করাও। [মিকদাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক মজলিসে খাবার শেষ করে এ দু‘আটি পাঠ করলেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৫৪৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৮৬০)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আত্ব‘ঈম মান আত্ব‘আমানী ওয়াস্ক্বি মান সাক্বা-নী।
অর্থ : হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করালো তুমি তাকে আহার করাও, যে আমাকে পান করালো তুমি তাকে পান করাও। [মিকদাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক মজলিসে খাবার শেষ করে এ দু‘আটি পাঠ করলেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৫৪৮২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৮৬০)]
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَهُمْ فِىْ مَا رَزَقْتَهُمْ وَاغْفِرْ لَهُمْ وَارْحَمْهُمْ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম ফীমা রাযাক্বতাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছ তাতে বরকত দান করো। তাদের পাপসমূহ ক্ষমা করো এবং তাদের প্রতি রহমত নাযিল করো। [বনু সুলাইম গোত্রের আবদুল্লাহ বিন বুসর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার পিতার নিকট আসলেন। অতঃপর খাবার পরিবেশন করা হলো, তারপর পানি আনা হলো। তিনি পানি পান করে তার আশপাশের লোকজনদেরকে দিলেন এবং এই দু‘আটি পাঠ করলেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৫৪৪৯; আবু দাঊদ, হা/৩৭৩১; তিরমিযী, হা/৩৫৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৭১১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫২৯৭; দারেমী, হা/২০৬৫; মিশকাত, হা/২৪২৭)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহুম ফীমা রাযাক্বতাহুম ওয়াগফির লাহুম ওয়ারহামহুম।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে যে রিযিক দান করেছ তাতে বরকত দান করো। তাদের পাপসমূহ ক্ষমা করো এবং তাদের প্রতি রহমত নাযিল করো। [বনু সুলাইম গোত্রের আবদুল্লাহ বিন বুসর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার পিতার নিকট আসলেন। অতঃপর খাবার পরিবেশন করা হলো, তারপর পানি আনা হলো। তিনি পানি পান করে তার আশপাশের লোকজনদেরকে দিলেন এবং এই দু‘আটি পাঠ করলেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৫৪৪৯; আবু দাঊদ, হা/৩৭৩১; তিরমিযী, হা/৩৫৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭৭১১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫২৯৭; দারেমী, হা/২০৬৫; মিশকাত, হা/২৪২৭)]
بِسْمِ اللهِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হ।
অর্থ : আমি আললাহর নামে শুরু করছি। [উমর ইবনে আবু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একজন বালক হিসেবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। খাবার পাত্রে এক জায়গায় আমার হাত স্থির থাকত না। রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে বললেন, হে বালক! আল্লাহর নাম নিয়ে (বিসমিল্লাহ বলে) ডান হাতে নিজের সামনে থেকে খাও। সুতরাং এরপর থেকে আমি সেভাবেই খেয়ে থাকি। (সহীহ বুখারী, হা/৫৩৭৬; সহীহ মুসলিম, হা/৫৩৮৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৩৭৩; জামেউস সগীর, হা/১৩৯১৮)]
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হ।
অর্থ : আমি আললাহর নামে শুরু করছি। [উমর ইবনে আবু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একজন বালক হিসেবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর তত্ত্বাবধানে ছিলাম। খাবার পাত্রে এক জায়গায় আমার হাত স্থির থাকত না। রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে বললেন, হে বালক! আল্লাহর নাম নিয়ে (বিসমিল্লাহ বলে) ডান হাতে নিজের সামনে থেকে খাও। সুতরাং এরপর থেকে আমি সেভাবেই খেয়ে থাকি। (সহীহ বুখারী, হা/৫৩৭৬; সহীহ মুসলিম, হা/৫৩৮৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৩৭৩; জামেউস সগীর, হা/১৩৯১৮)]
بِسْمِ اللهِ أَوَّلَه وَاٰخِرَه
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি আওওয়ালাহু ওয়া আ-খিরাহ।
অর্থ : খাওয়ার শুরু ও শেষ আল্লাহর নামে। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ খাওয়া শুরু করবে তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করবে। আর যদি আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যাও, তবে এ দু‘আ পাঠ করবে। (আবু দাঊদ, হা/৩৭৬৯; তিরমিযী, হা/১৮৫৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৯৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫২১৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭০৮৭; মিশকাত, হা/৪২০২)]
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি আওওয়ালাহু ওয়া আ-খিরাহ।
অর্থ : খাওয়ার শুরু ও শেষ আল্লাহর নামে। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ খাওয়া শুরু করবে তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করবে। আর যদি আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যাও, তবে এ দু‘আ পাঠ করবে। (আবু দাঊদ, হা/৩৭৬৯; তিরমিযী, হা/১৮৫৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৯৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫২১৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭০৮৭; মিশকাত, হা/৪২০২)]
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হ।
অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তির উপর সমত্মুষ্ট হন, যে খাওয়া ও পান করার মাঝে মাঝে ‘আল-হামদু লিল্লা-হ’ বলে। (সহীহ মুসলিম, হা/৭১০৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৪৯৮৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৬৫১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২১৬৫; মিশকাত, হা/৪২০০)]
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হ।
অর্থ : সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা ঐ ব্যক্তির উপর সমত্মুষ্ট হন, যে খাওয়া ও পান করার মাঝে মাঝে ‘আল-হামদু লিল্লা-হ’ বলে। (সহীহ মুসলিম, হা/৭১০৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৪৯৮৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৬৫১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২১৬৫; মিশকাত, হা/৪২০০)]
(১) اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ أَطْعَمَنِيْ هٰذَا وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّيْ وَلَا قُوَّةٍ
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানী হা-যা ওয়া রাযাকানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওওয়াহ।
অর্থ : সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ পানাহার করালেন এবং আমার সামর্থ্য ও উপায় না থাকা সত্ত্বেও আমাকে তা দান করেছেন। [সাহল ইবনে মু‘আয (রাঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ খাওয়া শেষ করে এই দু‘আটি পাঠ করলে তার আগের ও পরের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (আবু দাঊদ, হা/৪০২৫; তিরমিযী, হা/৩৪৫৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৮৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৬৭০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭৪০৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২১৬৪; জামেউস সগীর, হা/১১০৩১; মিশকাত, হা/৪৩৪৩)]
(২) اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ غَيْرَ مَكْفِيٍّ ، وَلَا مُوَدَّعٍ ، وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبَّنَا
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হি কাছীরান্ ত্বায়্যিবান, মুবারাকান ফীহ, গাইরা মাকফিয়্ইয়িন ওয়ালা মুওয়াদ্দা‘ইন্ ওয়ালা মুস্তাগনান ‘আনহু রাববানা।
অর্থ : পবিত্র ও বরকতময় অনেক প্রশংসা আল্লাহর জন্য। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা এ খাদ্য হতে নির্লিপ্ত হতে পারব না, তা কখনো বিদায় দিতে পারব না, আর তা হতে অমুখাপেক্ষীও হতে পারব না। [আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন দসত্মরখানা উঠাতেন, তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৫৪৫৮; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৬৮৭০; বায়হাকী, হা/১৪৪৮; মিশকাত, হা/৪১৯৯)]
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানী হা-যা ওয়া রাযাকানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওওয়াহ।
অর্থ : সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এ পানাহার করালেন এবং আমার সামর্থ্য ও উপায় না থাকা সত্ত্বেও আমাকে তা দান করেছেন। [সাহল ইবনে মু‘আয (রাঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ খাওয়া শেষ করে এই দু‘আটি পাঠ করলে তার আগের ও পরের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (আবু দাঊদ, হা/৪০২৫; তিরমিযী, হা/৩৪৫৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৮৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫৬৭০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭৪০৯; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২১৬৪; জামেউস সগীর, হা/১১০৩১; মিশকাত, হা/৪৩৪৩)]
(২) اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ غَيْرَ مَكْفِيٍّ ، وَلَا مُوَدَّعٍ ، وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبَّنَا
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হি কাছীরান্ ত্বায়্যিবান, মুবারাকান ফীহ, গাইরা মাকফিয়্ইয়িন ওয়ালা মুওয়াদ্দা‘ইন্ ওয়ালা মুস্তাগনান ‘আনহু রাববানা।
অর্থ : পবিত্র ও বরকতময় অনেক প্রশংসা আল্লাহর জন্য। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা এ খাদ্য হতে নির্লিপ্ত হতে পারব না, তা কখনো বিদায় দিতে পারব না, আর তা হতে অমুখাপেক্ষীও হতে পারব না। [আবু উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন দসত্মরখানা উঠাতেন, তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা/৫৪৫৮; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৬৮৭০; বায়হাকী, হা/১৪৪৮; মিশকাত, হা/৪১৯৯)]
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা ফীহি ওয়া যিদ্না মিনহু।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জন্য দুধে বরকত দান করুন এবং তা বাড়িয়ে দিন। [ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা দুধ পান করলে এ দু‘আটি পাঠ করবে। (আবু দাঊদ, হা/৩৭৩২; তিরমিযী, হা/৩৪৫৫; ইবনে মাজাহ, হা/৩৩২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৭৮)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা ফীহি ওয়া যিদ্না মিনহু।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জন্য দুধে বরকত দান করুন এবং তা বাড়িয়ে দিন। [ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা দুধ পান করলে এ দু‘আটি পাঠ করবে। (আবু দাঊদ, হা/৩৭৩২; তিরমিযী, হা/৩৪৫৫; ইবনে মাজাহ, হা/৩৩২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৭৮)]
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ ثَمَرِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِىْ مَدِيْنَتِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِىْ صَاعِنَا وَبَارِكْ لَنَا فِىْ مُدِّنَا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা ফী সামারিনা ওয়াবা-রিক লানা ফী মাদীনাতিনা ওয়াবা-রিক লানা ফী সা-‘ইনা ওয়াবা-রিক লানা ফী মুদ্দিনা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের ফলসমূহে বরকত দাও, আমাদের শহরে বরকত দাও, আমাদের সা‘ ও মুদ্দে (মাপে) বরকত দাও। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা যখন নতুন ফল হতে দেখত, তখন তা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট নিয়ে আসতো। আর রাসূলুল্লাহ ﷺ তা হাতে নিয়ে এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৫৬৭; সহীহ মুসলিম, হা/৩৪০০; তিরমিযী, হা/৩৪৫৪; মিশকাত, হা/২৭৩১)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বা-রিক লানা ফী সামারিনা ওয়াবা-রিক লানা ফী মাদীনাতিনা ওয়াবা-রিক লানা ফী সা-‘ইনা ওয়াবা-রিক লানা ফী মুদ্দিনা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের ফলসমূহে বরকত দাও, আমাদের শহরে বরকত দাও, আমাদের সা‘ ও মুদ্দে (মাপে) বরকত দাও। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা যখন নতুন ফল হতে দেখত, তখন তা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট নিয়ে আসতো। আর রাসূলুল্লাহ ﷺ তা হাতে নিয়ে এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৫৬৭; সহীহ মুসলিম, হা/৩৪০০; তিরমিযী, হা/৩৪৫৪; মিশকাত, হা/২৭৩১)]
بَارَكَ اللهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ
উচ্চারণ : বা-রাকাল্লা-হু লাকা ওয়াবা-রাকা ‘আলাইকা ওয়া জামা‘আ বাইনাকুমা ফী খাই-র।
অর্থ : আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন, তোমার প্রতি বরকত নাযিল করুন এবং কল্যাণের সাথে তোমাদেরকে একত্রে রাখুন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন বিবাহের পর কাউকে অভিনন্দন জানাতেন, তখন তার জন্য এই দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/ ২১৩২; তিরমিযী, হা/১০৯১; ইবনে মাজাহ, হা/১৯০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৯৪৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৭৪৫; মিশকাত, হা/২৪৪৫)]
উচ্চারণ : বা-রাকাল্লা-হু লাকা ওয়াবা-রাকা ‘আলাইকা ওয়া জামা‘আ বাইনাকুমা ফী খাই-র।
অর্থ : আল্লাহ তোমাকে বরকত দান করুন, তোমার প্রতি বরকত নাযিল করুন এবং কল্যাণের সাথে তোমাদেরকে একত্রে রাখুন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন বিবাহের পর কাউকে অভিনন্দন জানাতেন, তখন তার জন্য এই দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/ ২১৩২; তিরমিযী, হা/১০৯১; ইবনে মাজাহ, হা/১৯০৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৯৪৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৭৪৫; মিশকাত, হা/২৪৪৫)]
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جَبَلْتَهَا عَلَيْهِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরামা জাবালতাহা ‘আলাইহি, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রিহা ওয়া শার্রি মা জাবালতাহা ‘আলাইহি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট তার মঙ্গল চাই এবং যার উপর আপনি তাকে সৃষ্টি করেছেন, তারও মঙ্গল চাই। আর আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই তার অনিষ্ট হতে এবং যে অনিষ্ট দিয়ে তাকে সৃষ্টি করেছেন তা হতে। [আমর ইবনে শু‘আইব (রহ.) তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ বিবাহ করে, তখন তার কপালে হাত রেখে এ দু‘আটি পাঠ করবে। (আবু দাঊদ, হা/২১৬২; ইবনে মাজাহ, হা/২২৫২; আদাবুয যুফাফ, ১/২০; জামেউস সগীর, হা/৩৪২; মিশকাত, হা/২৪৪৬)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরামা জাবালতাহা ‘আলাইহি, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রিহা ওয়া শার্রি মা জাবালতাহা ‘আলাইহি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট তার মঙ্গল চাই এবং যার উপর আপনি তাকে সৃষ্টি করেছেন, তারও মঙ্গল চাই। আর আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই তার অনিষ্ট হতে এবং যে অনিষ্ট দিয়ে তাকে সৃষ্টি করেছেন তা হতে। [আমর ইবনে শু‘আইব (রহ.) তার পিতা হতে, তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ বিবাহ করে, তখন তার কপালে হাত রেখে এ দু‘আটি পাঠ করবে। (আবু দাঊদ, হা/২১৬২; ইবনে মাজাহ, হা/২২৫২; আদাবুয যুফাফ, ১/২০; জামেউস সগীর, হা/৩৪২; মিশকাত, হা/২৪৪৬)]
بِسْمِ اللهِ اَللّٰهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা জান্নিব্নাশ শাইত্বা-না ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বা-না মা রাযাক্বতানা।
অর্থ : আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। হে আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন, আর আমাদেরকে যা দান করবেন তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন। [আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন তার স্ত্রীর নিকট যায় এবং এ দু‘আটি পাঠ করে, তবে এ সহবাসের ফলে তাদের কোন সন্তান হলে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। (সহীহ বুখারী, হা/১৪১; সহীহ মুসলিম, হা/৩৬০৬; আবু দাঊদ, হা/২১৬৩; তিরমিযী, হা/১০৯২; দারেমী, হা/২২৫৮; মিশকাত, হা/২৪১৬)]
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি আল্লা-হুম্মা জান্নিব্নাশ শাইত্বা-না ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বা-না মা রাযাক্বতানা।
অর্থ : আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। হে আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন, আর আমাদেরকে যা দান করবেন তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন। [আবদুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন তার স্ত্রীর নিকট যায় এবং এ দু‘আটি পাঠ করে, তবে এ সহবাসের ফলে তাদের কোন সন্তান হলে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। (সহীহ বুখারী, হা/১৪১; সহীহ মুসলিম, হা/৩৬০৬; আবু দাঊদ, হা/২১৬৩; তিরমিযী, হা/১০৯২; দারেমী, হা/২২৫৮; মিশকাত, হা/২৪১৬)]
প্রথম ব্যক্তি বলবে,
إِنِّىْ أُحِبُّكَ فِى اللهِ
উচ্চারণ : ইন্নী উহিববুকা ফিল্লা-হ।
অর্থ : আমি আল্লাহর জন্য আপনাকে ভালোবাসি।
উত্তরে দ্বিতীয় ব্যক্তি বলবে :
أَحَبَّكَ الَّذِىْ أَحْبَبْتَنِىْ لَه
উচ্চারণ : আহাববা কাল্লাযী আহবাবতানী লাহূ।
অর্থ : যার জন্য আপনি আমাকে ভালোবাসেন, তিনিও যেন আপনাকে ভালোবাসেন। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট উপস্থিত ছিল। এমন সময় তাদের নিকট দিয়ে একজন লোক হেঁটে গেল। তখন সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এই লোকটিকে ভালোবাসি। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, তুমি তাকে এ কথা জানিয়েছ? সে বলল, না। তিনি বললেন, তাকে জানিয়ে দাও। লোকটি তার পেছনে পেছনে গিয়ে তাকে বলল, আমি আল্লাহর জন্য আপনাকে ভালোবাসি। জবাবে সে বলল, যার জন্য আপনি আমাকে ভালোবাসেন, তিনিও যেন আপনাকে ভালোবাসেন। (আবু দাঊদ, হা/৫১২৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৬১২; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৯৯৪০; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৩৪৪২)]
إِنِّىْ أُحِبُّكَ فِى اللهِ
উচ্চারণ : ইন্নী উহিববুকা ফিল্লা-হ।
অর্থ : আমি আল্লাহর জন্য আপনাকে ভালোবাসি।
উত্তরে দ্বিতীয় ব্যক্তি বলবে :
أَحَبَّكَ الَّذِىْ أَحْبَبْتَنِىْ لَه
উচ্চারণ : আহাববা কাল্লাযী আহবাবতানী লাহূ।
অর্থ : যার জন্য আপনি আমাকে ভালোবাসেন, তিনিও যেন আপনাকে ভালোবাসেন। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট উপস্থিত ছিল। এমন সময় তাদের নিকট দিয়ে একজন লোক হেঁটে গেল। তখন সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এই লোকটিকে ভালোবাসি। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন, তুমি তাকে এ কথা জানিয়েছ? সে বলল, না। তিনি বললেন, তাকে জানিয়ে দাও। লোকটি তার পেছনে পেছনে গিয়ে তাকে বলল, আমি আল্লাহর জন্য আপনাকে ভালোবাসি। জবাবে সে বলল, যার জন্য আপনি আমাকে ভালোবাসেন, তিনিও যেন আপনাকে ভালোবাসেন। (আবু দাঊদ, হা/৫১২৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৬১২; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৯৯৪০; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৩৪৪২)]
(১) اَللّٰهُمَّ عَلِّمْهُ الحِكْمَةَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ‘আল্লিমহুল হিকমাহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি তাকে জ্ঞান দান করো। [ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে তাঁর বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে এ দু‘আটি পাঠ করলেন। (সহীহ বুখারী, হা/৩৭৫৬; তিরমিযী, হা/৩৮২৪; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৬; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১০৪৩৬; মিশকাত, হা/৬১৩৮)]
(২) اَللّٰهُمَّ فَقِّهْهُ فِي الدِّيْنِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ফাক্কিহহু ফিদ্দীন।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি তাকে দ্বীনের বুঝ দান করো। [ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ পায়খানায় প্রবেশ করলেন। আর আমি তাঁর জন্য পায়খানার কাছে অযুর পানি রাখলাম। অতঃপর তিনি পায়খানা থেকে বের হয়ে তা দেখে বললেন, কে এ পানি রেখেছে? তখন তাকে এ বিষয়ে জানানো হলো। ফলে তিনি (খুশি হয়ে আমার জন্য) এ দু‘আটি পাঠ করলেন। (সহীহ বুখারী, হা/১৪৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৯৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৭০৫৫; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৬২৮০; মুসনাদে ইসহাক ইবনে রাহওয়াইহি, হা/২০৩৮; মিশকাত, হা/৬১৩৯)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ‘আল্লিমহুল হিকমাহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি তাকে জ্ঞান দান করো। [ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে তাঁর বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে এ দু‘আটি পাঠ করলেন। (সহীহ বুখারী, হা/৩৭৫৬; তিরমিযী, হা/৩৮২৪; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৬; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১০৪৩৬; মিশকাত, হা/৬১৩৮)]
(২) اَللّٰهُمَّ فَقِّهْهُ فِي الدِّيْنِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ফাক্কিহহু ফিদ্দীন।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি তাকে দ্বীনের বুঝ দান করো। [ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ পায়খানায় প্রবেশ করলেন। আর আমি তাঁর জন্য পায়খানার কাছে অযুর পানি রাখলাম। অতঃপর তিনি পায়খানা থেকে বের হয়ে তা দেখে বললেন, কে এ পানি রেখেছে? তখন তাকে এ বিষয়ে জানানো হলো। ফলে তিনি (খুশি হয়ে আমার জন্য) এ দু‘আটি পাঠ করলেন। (সহীহ বুখারী, হা/১৪৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৯৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৭০৫৫; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৬২৮০; মুসনাদে ইসহাক ইবনে রাহওয়াইহি, হা/২০৩৮; মিশকাত, হা/৬১৩৯)]
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণ : আ‘ঊযুবিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম।
অর্থ : আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। [সুলাইমান ইবনে সুরাদ (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ এর সামনে দু’জন লোক পরস্পরকে গালি দিল। কিমত্মু তাদের একজন অতিমাত্রায় রাগান্বিত হয়ে গেলো, এমনকি তার চেহারা ফুলে বিকৃত হয়ে গেল। তখন নবী ﷺ বললেন, আমি এমন একটি কথা জানি, যা সে বললে তার ক্রোধ দূর হয়ে যাবে। এ কথা শুনে এক ব্যক্তি লোকটির কাছে গিয়ে নবী ﷺ এর এ উক্তিটি তাকে অবহিত করলো এবং বললো, তুমি শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাও। (সহীহ বুখারী, হা/৬০৪৮, ৬১১৫; সহীহ মুসলিম, হা/৬৮১২-১৩; আবু দাঊদ, হা/৪৭৮২; তিরমিযী, হা/২৪৫২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৭৫৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৩০৩; মিশকাত, হা/২৪১৮)]
উচ্চারণ : আ‘ঊযুবিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম।
অর্থ : আমি অভিশপ্ত শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। [সুলাইমান ইবনে সুরাদ (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ এর সামনে দু’জন লোক পরস্পরকে গালি দিল। কিমত্মু তাদের একজন অতিমাত্রায় রাগান্বিত হয়ে গেলো, এমনকি তার চেহারা ফুলে বিকৃত হয়ে গেল। তখন নবী ﷺ বললেন, আমি এমন একটি কথা জানি, যা সে বললে তার ক্রোধ দূর হয়ে যাবে। এ কথা শুনে এক ব্যক্তি লোকটির কাছে গিয়ে নবী ﷺ এর এ উক্তিটি তাকে অবহিত করলো এবং বললো, তুমি শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাও। (সহীহ বুখারী, হা/৬০৪৮, ৬১১৫; সহীহ মুসলিম, হা/৬৮১২-১৩; আবু দাঊদ, হা/৪৭৮২; তিরমিযী, হা/২৪৫২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২৭৫৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৩০৩; মিশকাত, হা/২৪১৮)]
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ عَافَانِيْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِه وَ فَضَّلَنِيْ عَلٰى كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيْلًا
উচ্চারণ : আল-হামদু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী মিম্মাব্তালা-কা বিহ, ওয়া ফায্যালানী ‘আলা কাছীরিম মিম্মান খালাক্বা তাফযীলা।
অর্থ : সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য যিনি তোমাকে যে বিপদ দ্বারা পরীক্ষা করছেন, তা হতে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তাঁর সৃষ্টির অনেকের উপর অনুগ্রহ করেছেন। [উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কেউ বিপদগ্রস্ত লোক দেখে এ দু‘আ পড়লে সে ঐ বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে। (তিরমিযী, হা/৩৪৩১-৩২; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৯২; মুসনাদুল বাযযার, হা/১২৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৩৯২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৬০২; জামেউস সগীর, হা/১১১৯৩; মিশকাত, হা/২৩২৯)]
উচ্চারণ : আল-হামদু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী মিম্মাব্তালা-কা বিহ, ওয়া ফায্যালানী ‘আলা কাছীরিম মিম্মান খালাক্বা তাফযীলা।
অর্থ : সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য যিনি তোমাকে যে বিপদ দ্বারা পরীক্ষা করছেন, তা হতে আমাকে নিরাপদ রেখেছেন এবং আমাকে তাঁর সৃষ্টির অনেকের উপর অনুগ্রহ করেছেন। [উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কেউ বিপদগ্রস্ত লোক দেখে এ দু‘আ পড়লে সে ঐ বিপদ থেকে মুক্ত থাকবে। (তিরমিযী, হা/৩৪৩১-৩২; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৯২; মুসনাদুল বাযযার, হা/১২৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৩৯২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৬০২; জামেউস সগীর, হা/১১১৯৩; মিশকাত, হা/২৩২৯)]
سُبْحَانَكَ اَللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَّا إلٰهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়াবিহামদিকা আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসার সাথে আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাই এবং আপনার দিকেই ফিরে আসি। [আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কোন বৈঠক থেকে উঠার সময় এই দু‘আ পড়লে ঐ বৈঠকের বেহুদা কথা-বার্তার কাফ্ফারা হয়ে যায়। (তিরমিযী, হা/৩৪৩৩; আবু দাঊদ, হা/৪৮৬১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৭৮৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫১৭; দারেমী, হা/২৭০০; মিশকাত, হা/২৪৩৩)]
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা আল্লা-হুম্মা ওয়াবিহামদিকা আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসার সাথে আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া কোন মাবুদ নেই। আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাই এবং আপনার দিকেই ফিরে আসি। [আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কোন বৈঠক থেকে উঠার সময় এই দু‘আ পড়লে ঐ বৈঠকের বেহুদা কথা-বার্তার কাফ্ফারা হয়ে যায়। (তিরমিযী, হা/৩৪৩৩; আবু দাঊদ, হা/৪৮৬১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৭৮৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫১৭; দারেমী, হা/২৭০০; মিশকাত, হা/২৪৩৩)]
সওয়ারীতে আরোহণ করার সময় প্রথমে এক বার বিসমিল্লাহ বলবে। এরপর তিন বার আল্লাহু আকবার বলবে এবং নিচের দু‘আটি পাঠ করবে-
سُبْحَانَ الَّذِىْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَه مُقْرِنِيْنَ وَإِنَّا إِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ ‐ اَللّٰهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِىْ سَفَرِنَا هٰذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوٰى وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضٰى ‐ اَللّٰهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هٰذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَه ‐ اَللّٰهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِى السَّفَرِ وَالْخَلِيْفَةُ فِى الْاَهْلِ ‐ اَللّٰهُمَّ إِنِّى أَعُوْذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَاٰبَةِ الْمَنْظَرِ وَسُوْءِ الْمُنْقَلَبِ فِى الْمَالِ وَالْاَهْلِ
উচ্চারণ : সুবহা-নাল্লাযী সাখ্খারা লানা হা-যা ওয়ামা কুন্না লাহূ মুক্বরিনীনা ওয়াইন্না ইলা রাবিবনা লামুনক্বালিবূন, আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল বির্রা ওয়াত্তাক্বওয়া, ওয়া মিনাল ‘আমালি মা তারযা, আল্লা-হুম্মা হাওভিন ‘আলাইনা সাফারানা হা-যা ওয়াত্বভি ‘আন্না বু‘দাহ। আল্লা-হুম্মা আনতাস সা-হিবু ফিস সাফারি ওয়াল খালীফাতু ফিল আহলি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ওয়া‘সা-ইস সাফারি ওয়া কাআ-বাতিল মানযারি ওয়া সূইল মুনক্বালাবি ফিল মা-লি ওয়াল আহল।
অর্থ : ঐ আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি, যিনি এ বাহনকে আমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন; অথচ তাকে আমরা অনুগত করতে সক্ষম নই। অবশ্যই আমরা আমাদের রবের নিকট প্রত্যাবর্তন করব। হে আল্লাহ! আমরা এই সফরে আপনার নিকট নেকী ও তাক্বওয়া চাই। আর আপনার পছন্দমতো আমল চাই। হে আল্লাহ! এ সফরকে আমাদের জন্য সহজ করে দিন এবং তার দূরত্বকে কমিয়ে দিন। হে আল্লাহ! আপনিই আমাদের এ সফরের সাথি, আর পরিবারের রক্ষক। হে আল্লাহ! আপনার নিকট আশ্রয় চাই সফরের কষ্ট হতে, আর সফরের কষ্টদায়ক দৃশ্য হতে এবং সফর হতে প্রত্যাবর্তনকালে সম্পদ ও পরিবারের ক্ষয়-ক্ষতি ও কষ্টদায়ক দর্শন হতে। [আলী (রাঃ) সওয়ারীর উপর উঠার সময় এ রকম করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৩৩৩৯; আবু দাঊদ, হা/২৬০৪; তিরমিযী, হা/৩৪৪৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫৩; মিশকাত, হা/২৪৩৪)]
سُبْحَانَ الَّذِىْ سَخَّرَ لَنَا هٰذَا وَمَا كُنَّا لَه مُقْرِنِيْنَ وَإِنَّا إِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ ‐ اَللّٰهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِىْ سَفَرِنَا هٰذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوٰى وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضٰى ‐ اَللّٰهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هٰذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَه ‐ اَللّٰهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِى السَّفَرِ وَالْخَلِيْفَةُ فِى الْاَهْلِ ‐ اَللّٰهُمَّ إِنِّى أَعُوْذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَاٰبَةِ الْمَنْظَرِ وَسُوْءِ الْمُنْقَلَبِ فِى الْمَالِ وَالْاَهْلِ
উচ্চারণ : সুবহা-নাল্লাযী সাখ্খারা লানা হা-যা ওয়ামা কুন্না লাহূ মুক্বরিনীনা ওয়াইন্না ইলা রাবিবনা লামুনক্বালিবূন, আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল বির্রা ওয়াত্তাক্বওয়া, ওয়া মিনাল ‘আমালি মা তারযা, আল্লা-হুম্মা হাওভিন ‘আলাইনা সাফারানা হা-যা ওয়াত্বভি ‘আন্না বু‘দাহ। আল্লা-হুম্মা আনতাস সা-হিবু ফিস সাফারি ওয়াল খালীফাতু ফিল আহলি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ওয়া‘সা-ইস সাফারি ওয়া কাআ-বাতিল মানযারি ওয়া সূইল মুনক্বালাবি ফিল মা-লি ওয়াল আহল।
অর্থ : ঐ আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি, যিনি এ বাহনকে আমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন; অথচ তাকে আমরা অনুগত করতে সক্ষম নই। অবশ্যই আমরা আমাদের রবের নিকট প্রত্যাবর্তন করব। হে আল্লাহ! আমরা এই সফরে আপনার নিকট নেকী ও তাক্বওয়া চাই। আর আপনার পছন্দমতো আমল চাই। হে আল্লাহ! এ সফরকে আমাদের জন্য সহজ করে দিন এবং তার দূরত্বকে কমিয়ে দিন। হে আল্লাহ! আপনিই আমাদের এ সফরের সাথি, আর পরিবারের রক্ষক। হে আল্লাহ! আপনার নিকট আশ্রয় চাই সফরের কষ্ট হতে, আর সফরের কষ্টদায়ক দৃশ্য হতে এবং সফর হতে প্রত্যাবর্তনকালে সম্পদ ও পরিবারের ক্ষয়-ক্ষতি ও কষ্টদায়ক দর্শন হতে। [আলী (রাঃ) সওয়ারীর উপর উঠার সময় এ রকম করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৩৩৩৯; আবু দাঊদ, হা/২৬০৪; তিরমিযী, হা/৩৪৪৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫৩; মিশকাত, হা/২৪৩৪)]
রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সফর হতে ফিরে আসতেন তখন আবারও উপরের দু‘আটি পাঠ করতেন এবং সেই সাথে নিম্নের অংশটুকুও পাঠ করতেন,
اٰيِبُوْنَ تَائِبُوْنَ عَابِدُوْنَ لِرَبِّنَا حَامِدُوْنَ
উচ্চারণ : আ-য়িবূনা তা-ইবূনা ‘আবিদূনা লিরাবিবনা হা-মিদূন।
অর্থ : তওবা করতে করতে, ইবাদাতরত অবস্থায় এবং আমাদের রবের প্রশংসা করতে করতে আমরা প্রত্যাবর্তন করছি। [সহীহ মুসলিম, হা/৩৩৩৯; আবু দাঊদ, হা/২৬০১; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৪৪; মিশকাত, হা/২৪২০।]
اٰيِبُوْنَ تَائِبُوْنَ عَابِدُوْنَ لِرَبِّنَا حَامِدُوْنَ
উচ্চারণ : আ-য়িবূনা তা-ইবূনা ‘আবিদূনা লিরাবিবনা হা-মিদূন।
অর্থ : তওবা করতে করতে, ইবাদাতরত অবস্থায় এবং আমাদের রবের প্রশংসা করতে করতে আমরা প্রত্যাবর্তন করছি। [সহীহ মুসলিম, হা/৩৩৩৯; আবু দাঊদ, হা/২৬০১; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৪৪; মিশকাত, হা/২৪২০।]
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিনশাররি মা খালাক্ব।
অর্থ : আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের মাধ্যমে যাবতীয় সৃষ্ট বসত্মুর অনিষ্ট থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। [খাওলা বিনতে হাকিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি নতুন কোন স্থানে এসে এই দু‘আ পাঠ করবে, সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার পূর্ব পর্যমত্ম কোন কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭৬৩; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৫৩; তিরমিযী, হা/৩৪৩৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩৫৩৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৭১৬৯)]
উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিনশাররি মা খালাক্ব।
অর্থ : আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের মাধ্যমে যাবতীয় সৃষ্ট বসত্মুর অনিষ্ট থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। [খাওলা বিনতে হাকিম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি নতুন কোন স্থানে এসে এই দু‘আ পাঠ করবে, সেখান থেকে ফিরে যাওয়ার পূর্ব পর্যমত্ম কোন কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭৬৩; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৫৩; তিরমিযী, হা/৩৪৩৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩৫৩৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৭১৬৯)]
(১) أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِيْنَكَ وَأَمَانَتَكَ وَخَوَاتِيْمَ عَمَلِكَ زَوَّدَكَ اللهُ التَّقْوٰى وَغَفَرَ ذَنْۢبَكَ وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كُنْتَ
উচ্চারণ : আসতাউদি‘উল্লা-হা দীনাকা ওয়া আমা-নাতাকা ওয়া খাওয়া-তীমা ‘আমালিক, যাউওয়াদাকাল্লা-হুত তাক্বওয়া ওয়া গাফারা যামবাকা ওয়া ইয়াস্সারা লাকাল খাইরা হায়ছুমা কুনতা।
অর্থ : আমি তোমার দ্বীন, তোমার আমানত এবং শেষ আমল আল্লাহর উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আল্লাহ তোমাকে তাক্বওয়া দান করুন, তোমার পাপ ক্ষমা করুন, আল্লাহ তোমার জন্য কল্যাণকে সহজসাধ্য করুন, তুমি যেখানেই থাক । [ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কোন লোককে বিদায় দিলে তার হাত ধরতেন। অতঃপর বিদায় হওয়া ব্যক্তি হাত না ছাড়লে রাসূলুল্লাহ ﷺ তার হাত ছাড়তেন না। বিদায়ের সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ এই দু‘আ পড়তেন। (আবু দাঊদ, হা/২৬০২; তিরমিযী, হা/৩৪৪২-৪৪; ইবনে মাজাহ, হা/২৮২৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৪৭৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৫৩২; মিশকাত, হা/২৪৩৫-৩৭)]
(২) أَسْتَوْدِعُكَ اللهَ الَّذِىْ لَا تَضِيْعُ وَدَائِعُه
উচ্চারণ : আসতাওদি‘উ কাল্লা হাল্লাযী লা-তাযী‘উ ওয়াদা-’ই‘উহূ।
অর্থ : আমি তোমাকে সেই আল্লাহর হেফাযতে রেখে যাচ্ছি, যার হেফাযতে অবস্থানকারী কেউই ক্ষতিগ্রসত্ম হয় না। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার নিকট থেকে বিদায় নিলেন এবং এই দু‘আটি পাঠ করলেন। (ইবনে মাজাহ, হা/২৮২৫; জামেউস সগীর, হা/৯৬০)]
উচ্চারণ : আসতাউদি‘উল্লা-হা দীনাকা ওয়া আমা-নাতাকা ওয়া খাওয়া-তীমা ‘আমালিক, যাউওয়াদাকাল্লা-হুত তাক্বওয়া ওয়া গাফারা যামবাকা ওয়া ইয়াস্সারা লাকাল খাইরা হায়ছুমা কুনতা।
অর্থ : আমি তোমার দ্বীন, তোমার আমানত এবং শেষ আমল আল্লাহর উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আল্লাহ তোমাকে তাক্বওয়া দান করুন, তোমার পাপ ক্ষমা করুন, আল্লাহ তোমার জন্য কল্যাণকে সহজসাধ্য করুন, তুমি যেখানেই থাক । [ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ কোন লোককে বিদায় দিলে তার হাত ধরতেন। অতঃপর বিদায় হওয়া ব্যক্তি হাত না ছাড়লে রাসূলুল্লাহ ﷺ তার হাত ছাড়তেন না। বিদায়ের সময় রাসূলুল্লাহ ﷺ এই দু‘আ পড়তেন। (আবু দাঊদ, হা/২৬০২; তিরমিযী, হা/৩৪৪২-৪৪; ইবনে মাজাহ, হা/২৮২৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৪৭৭; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৫৩২; মিশকাত, হা/২৪৩৫-৩৭)]
(২) أَسْتَوْدِعُكَ اللهَ الَّذِىْ لَا تَضِيْعُ وَدَائِعُه
উচ্চারণ : আসতাওদি‘উ কাল্লা হাল্লাযী লা-তাযী‘উ ওয়াদা-’ই‘উহূ।
অর্থ : আমি তোমাকে সেই আল্লাহর হেফাযতে রেখে যাচ্ছি, যার হেফাযতে অবস্থানকারী কেউই ক্ষতিগ্রসত্ম হয় না। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার নিকট থেকে বিদায় নিলেন এবং এই দু‘আটি পাঠ করলেন। (ইবনে মাজাহ, হা/২৮২৫; জামেউস সগীর, হা/৯৬০)]
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ يُحْيِيْ وَ يُمِيْتُ وَهُوَ حَيٌّ لَا يَمُوْتُ بِيَدِهِ الْخَيْرُ وَ هُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইউহ্য়ী ওয়া ইউমীতু ওয়াহুয়া হাইয়ুন লা-ইয়ামূতু বিয়াদিহিল খাই-র, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব ও প্রশংসা একমাত্র তাঁর জন্য। তিনি জীবিত করেন এবং মৃত্যু ঘটান। তিনি চিরঞ্জীব, মৃত্যু তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না। তাঁর হাতেই সমস্ত কল্যাণ। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। [উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করে এ দু‘আ পড়বে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে হাজার হাজার নেকী দান করবেন, তার হাজার হাজার গোনাহ মাফ করে দেবেন এবং হাজার হাজার গুণে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন। আর জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করবেন। (তিরমিযী, হা/৩৪২৮; ইবনে মাজাহ, হা/২২৩৫; মুসনাদুল বাযযার, হা/৬১৪০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৭৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৯৪; জামেউস সগীর, হা/১১১৭৬; মিশকাত, হা/২৪৩১।]
উচ্চারণ : লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইউহ্য়ী ওয়া ইউমীতু ওয়াহুয়া হাইয়ুন লা-ইয়ামূতু বিয়াদিহিল খাই-র, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব ও প্রশংসা একমাত্র তাঁর জন্য। তিনি জীবিত করেন এবং মৃত্যু ঘটান। তিনি চিরঞ্জীব, মৃত্যু তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না। তাঁর হাতেই সমস্ত কল্যাণ। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। [উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করে এ দু‘আ পড়বে, আল্লাহ তা‘আলা তাকে হাজার হাজার নেকী দান করবেন, তার হাজার হাজার গোনাহ মাফ করে দেবেন এবং হাজার হাজার গুণে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন। আর জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করবেন। (তিরমিযী, হা/৩৪২৮; ইবনে মাজাহ, হা/২২৩৫; মুসনাদুল বাযযার, হা/৬১৪০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৭৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৯৪; জামেউস সগীর, হা/১১১৭৬; মিশকাত, হা/২৪৩১।]
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যখন উপরের দিকে আরোহণ করতাম, তখন اَللهُ اَكْبَرُ ‘আল্লা-হু আকবার’ বলতাম। আর যখন নিচের দিকে অবতরণ করতাম, তখন سُبْحَانَ اللهِ ‘সুবহা-নাল্লা-হ’ বলতাম। [জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যখন উপরে উঠতাম, তখন ‘‘আল্লাহু আকবার’’ বলতাম এবং যখন নিচে নামতাম তখন ‘‘সুবহানাল্লাহ’’ পড়তাম। (সহীহ বুখারী, হা/২৯৯৩-৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৬০৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৫৬২; দার কুতনী, হা/২৪৮৫; মু‘জামুল আওসাত, হা/৫০৪২; বায়হাকী, হা/১০১৪৬; দারেমী, হা/২৬৭৪; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৫০; মিশকাত, হা/২৪৫৩)]
سُبْحَانَ اللهِ
উচ্চারণ : ‘সুবহা-নাল্লা-হ’।
অর্থ : আল্লাহ পবিত্র। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন এক মহিলা নবী ﷺ কে হায়েয থেকে পবিত্রতার গোসল প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, প্রথমে সুগন্ধি (মিশক) মিশ্রিত তুলা অথবা পশমী কাপড়ের একটি টুকরা লও। তারপর তা দ্বারা পবিত্রতা লাভ করো। মহিলা বলল, আমি কীভাবে এর দ্বারা পবিত্রতা লাভ করব? তিনি পুনরায় বললেন, তুমি তা দিয়ে পবিত্রতা লাভ করো। তারপরও মহিলা বলল, কীভাবে আমি এর দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করব? উত্তরে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সুব্হানাল্লাহ! তুমি পবিত্রতা অর্জন করো। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তখন আমি ঐ মহিলাকে টেনে নিয়ে বললাম, তোমার হায়েযের রক্ত যে যে স্থানে লেগেছে তা খুঁজ করে মিশ্কযুক্ত কাপড়ের টুকরা দিয়ে সে স্থানে মালিশ করবে। (সহীহ বুখারী, হা/৩১৪; তিরমিযী, হা/২৯৭২; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১২৩৪)]
উচ্চারণ : ‘সুবহা-নাল্লা-হ’।
অর্থ : আল্লাহ পবিত্র। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন এক মহিলা নবী ﷺ কে হায়েয থেকে পবিত্রতার গোসল প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, প্রথমে সুগন্ধি (মিশক) মিশ্রিত তুলা অথবা পশমী কাপড়ের একটি টুকরা লও। তারপর তা দ্বারা পবিত্রতা লাভ করো। মহিলা বলল, আমি কীভাবে এর দ্বারা পবিত্রতা লাভ করব? তিনি পুনরায় বললেন, তুমি তা দিয়ে পবিত্রতা লাভ করো। তারপরও মহিলা বলল, কীভাবে আমি এর দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করব? উত্তরে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, সুব্হানাল্লাহ! তুমি পবিত্রতা অর্জন করো। আয়েশা (রাঃ) বলেন, তখন আমি ঐ মহিলাকে টেনে নিয়ে বললাম, তোমার হায়েযের রক্ত যে যে স্থানে লেগেছে তা খুঁজ করে মিশ্কযুক্ত কাপড়ের টুকরা দিয়ে সে স্থানে মালিশ করবে। (সহীহ বুখারী, হা/৩১৪; তিরমিযী, হা/২৯৭২; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১২৩৪)]
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ بِنِعْمَتِه تَتِمُّ الصَّالِحَاتُ
উচ্চারণ : আল্হামদুলিল্লা-হিল্লাযী বিনি‘মাতিহী তাতিম্মুস্ সা-লিহা-ত।
অর্থ : প্রশংসা সেই আল্লাহর, যার অনুগ্রহে সকল কাজ সম্পন্ন হয়। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন পছন্দনীয় বিষয় দেখতেন, তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (ইবনে মাজাহ, হা/৩৮০৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫৩৩; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮৪০; মু‘জামুল আওসাত, হা/৬৬৬৩; জামেউস সগীর, হা/৮৭৬৯; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৫)]
উচ্চারণ : আল্হামদুলিল্লা-হিল্লাযী বিনি‘মাতিহী তাতিম্মুস্ সা-লিহা-ত।
অর্থ : প্রশংসা সেই আল্লাহর, যার অনুগ্রহে সকল কাজ সম্পন্ন হয়। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন পছন্দনীয় বিষয় দেখতেন, তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (ইবনে মাজাহ, হা/৩৮০৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫৩৩; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮৪০; মু‘জামুল আওসাত, হা/৬৬৬৩; জামেউস সগীর, হা/৮৭৬৯; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৫)]
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ عَلٰى كُلِّ حَالٍ
উচ্চারণ : আল্হামদুলিল্লা-হি ‘আলা কুল্লি হা-ল।
অর্থ : সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন অপছন্দনীয় বিষয় দেখতেন তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (ইবনে মাজাহ, হা/৩৮০৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫৩৩; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮৪০; মু‘জামুল আওসাত, হা/৬৬৬৩; জামেউস সগীর, হা/৮৭৬৯; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৫)]
উচ্চারণ : আল্হামদুলিল্লা-হি ‘আলা কুল্লি হা-ল।
অর্থ : সর্বাবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন অপছন্দনীয় বিষয় দেখতেন তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (ইবনে মাজাহ, হা/৩৮০৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫৩৩; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮৪০; মু‘জামুল আওসাত, হা/৬৬৬৩; জামেউস সগীর, হা/৮৭৬৯; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৫)]
جَزَاكَ اللهُ خَيْرًا
উচ্চারণ : জাযা-কাল্লা-হু খাইর।
অর্থ : আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। [উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কোন ব্যক্তি কারো ভালো কিছু করলে সে যদি এই দু‘আ বলে, তাহলে সে তার উপযুক্ত প্রশংসা করল। (তিরমিযী, হা/২০৩৫; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৬০১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৯৬৯; জামেউস সগীর, হা/১১৩১৪; মিশকাত, হা/৩০২৪)]
উচ্চারণ : জাযা-কাল্লা-হু খাইর।
অর্থ : আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। [উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কোন ব্যক্তি কারো ভালো কিছু করলে সে যদি এই দু‘আ বলে, তাহলে সে তার উপযুক্ত প্রশংসা করল। (তিরমিযী, হা/২০৩৫; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৬০১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৯৬৯; জামেউস সগীর, হা/১১৩১৪; মিশকাত, হা/৩০২৪)]
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ كَسَانِيْ هٰذَا وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِّنِّيْ وَلَا قُوَّةَ
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী কাসা-নী হা-যা ওয়া রাযাক্বানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওওয়াহ্।
অর্থ : যাবতীয় প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এই পোশাক পরিধান করিয়েছেন এবং আমার শক্তি-সামর্থ্য ব্যতীতই তিনি তা আমাকে দান করেছেন। [সাহল ইবনে মু‘আয (রাঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি কাপড় পরিধান করে এ দু‘আটি পাঠ করল, আল্লাহ তার আগের পরের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (আবু দাঊদ, হা/৪০২৫; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/১৪৯৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮৭০; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৪৮০১; দারেমী, হা/২৬৯০; জামেউস সগীর, হা/১১০৩১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২০৪২; মিশকাত, হা/৪৩৪৩)]
اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ كَسَوْتَنِيْهِ أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِه وَخَيْرِ مَا صُنِعَ لَه وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّه وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَه
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লাকাল্ হামদু, আমত্মা কাসাওতানীহি, আস্ আলুকা মিন খাইরিহী ওয়া খাইরি মা সুনি‘আ লাহূ, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রিহী ওয়া শার্রি মা- সুনি‘আ লাহূ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আপনিই এ কাপড় আমাকে পরিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর মধ্যে নিহিত কল্যাণ এবং এটি যে জন্য তৈরি করা হয়েছে, সেসব কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আর আমি এর অনিষ্ট থেকে এবং যে অনিষ্টের জন্য এটি তৈরি হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন নতুন কাপড় পরিধান করতেন, তখন এই দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৪০২২; তিরমিযী, হা/১৭৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৪৮৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৪২০; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/১০৭৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭৪০৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩১১১; জামেউস সগীর, হা/৮৭৯৩; মিশকাত, হা/৪৩৪২)]
উচ্চারণ : আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী কাসা-নী হা-যা ওয়া রাযাক্বানীহি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওওয়াহ্।
অর্থ : যাবতীয় প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য, যিনি আমাকে এই পোশাক পরিধান করিয়েছেন এবং আমার শক্তি-সামর্থ্য ব্যতীতই তিনি তা আমাকে দান করেছেন। [সাহল ইবনে মু‘আয (রাঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি কাপড় পরিধান করে এ দু‘আটি পাঠ করল, আল্লাহ তার আগের পরের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (আবু দাঊদ, হা/৪০২৫; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/১৪৯৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮৭০; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৪৮০১; দারেমী, হা/২৬৯০; জামেউস সগীর, হা/১১০৩১; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২০৪২; মিশকাত, হা/৪৩৪৩)]
اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ كَسَوْتَنِيْهِ أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِه وَخَيْرِ مَا صُنِعَ لَه وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّه وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَه
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লাকাল্ হামদু, আমত্মা কাসাওতানীহি, আস্ আলুকা মিন খাইরিহী ওয়া খাইরি মা সুনি‘আ লাহূ, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রিহী ওয়া শার্রি মা- সুনি‘আ লাহূ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার জন্যই সকল প্রশংসা। আপনিই এ কাপড় আমাকে পরিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর মধ্যে নিহিত কল্যাণ এবং এটি যে জন্য তৈরি করা হয়েছে, সেসব কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আর আমি এর অনিষ্ট থেকে এবং যে অনিষ্টের জন্য এটি তৈরি হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। [আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন নতুন কাপড় পরিধান করতেন, তখন এই দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৪০২২; তিরমিযী, হা/১৭৬৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৪৮৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫৪২০; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/১০৭৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭৪০৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩১১১; জামেউস সগীর, হা/৮৭৯৩; মিশকাত, হা/৪৩৪২)]
تُبْلِىْ وَيُخْلِفُ اللّٰهُ تَعَالٰى
উচ্চারণ : তুব্লী ওয়া ইউখলিফুল্লা-হু তা‘আলা।
অর্থ : যথা সময়ে পুরাতন হয়ে বিনষ্ট হবে এবং আল্লাহ এর স্থলাভিষিক্ত করুক। [আবু নাযরা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহাবীরা যখনই কাউকে নতুন কাপড় পরিধান করা অবস্থায় দেখতেন, তখনই তাকে উদ্দেশ্য করে এই দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৪০২২; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৫৫৯৯)]
উচ্চারণ : তুব্লী ওয়া ইউখলিফুল্লা-হু তা‘আলা।
অর্থ : যথা সময়ে পুরাতন হয়ে বিনষ্ট হবে এবং আল্লাহ এর স্থলাভিষিক্ত করুক। [আবু নাযরা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহাবীরা যখনই কাউকে নতুন কাপড় পরিধান করা অবস্থায় দেখতেন, তখনই তাকে উদ্দেশ্য করে এই দু‘আ পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৪০২২; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৫৫৯৯)]
اِلْبَسْ جَدِيْدًا وَعِشْ حَمِيْدًا وَمُتْ شَهِيْدًا
উচ্চারণ : ইলবাস জাদীদান ওয়া ‘ইশ হামীদান ওয়া মুত শাহীদান।
অর্থ : তুমি নতুন পোশাক পরিধান করো এবং প্রশংসীত জীবন যাপন করো আর শহীদ হয়ে মৃত্যুবরণ করো। [ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উমর (রাঃ) কে একটি সাদা কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখে বললেন, তোমার কাপড়টি কি ধোয়া নাকি নতুন কাপড়? উমর (রাঃ) বললেন, এটি ধোয়া কাপড়। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উক্ত দু‘আটি পাঠ করলেন। (ইবনে মাজাহ, হা/৩৫৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫৬২০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৮৯৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৫২)]
উচ্চারণ : ইলবাস জাদীদান ওয়া ‘ইশ হামীদান ওয়া মুত শাহীদান।
অর্থ : তুমি নতুন পোশাক পরিধান করো এবং প্রশংসীত জীবন যাপন করো আর শহীদ হয়ে মৃত্যুবরণ করো। [ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উমর (রাঃ) কে একটি সাদা কাপড় পরিহিত অবস্থায় দেখে বললেন, তোমার কাপড়টি কি ধোয়া নাকি নতুন কাপড়? উমর (রাঃ) বললেন, এটি ধোয়া কাপড়। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উক্ত দু‘আটি পাঠ করলেন। (ইবনে মাজাহ, হা/৩৫৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৫৬২০; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৮৯৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৫২)]
بِسْمِ اللهِ
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হ।
অর্থ : আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি। [জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, যখন সন্ধ্যার আঁধার নেমে আসে তখন তোমরা তোমাদের বাচ্চাদেরকে (ঘরে) আটকে রাখো। কারণ, এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। যখন রাতের কিছু সময় অতিবাহিত হবে, তখন তাদেরকে ছেড়ে দিতে পার। অতঃপর (শয়ন করার সময়) তুমি আল্লাহর নাম স্মরণ করে তোমার ঘরের দরজা বন্ধ করবে, আল্লাহর নামে বাতি নিভাবে এবং আল্লাহর নাম নিয়েই পানির পাত্র বেঁধে রাখবে। আর আল্লাহর নাম স্মরণ করেই আপন বাসনপত্র ঢেকে রাখবে। (সহীহ বুখারী, হা/৫৬২৩; সহীহ মুসলিম, হা/৫৩৬৮; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১০৫১৪; মিশকাত, হা/৪২৯৪)]
উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হ।
অর্থ : আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি। [জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেন, যখন সন্ধ্যার আঁধার নেমে আসে তখন তোমরা তোমাদের বাচ্চাদেরকে (ঘরে) আটকে রাখো। কারণ, এ সময় শয়তানরা ছড়িয়ে পড়ে। যখন রাতের কিছু সময় অতিবাহিত হবে, তখন তাদেরকে ছেড়ে দিতে পার। অতঃপর (শয়ন করার সময়) তুমি আল্লাহর নাম স্মরণ করে তোমার ঘরের দরজা বন্ধ করবে, আল্লাহর নামে বাতি নিভাবে এবং আল্লাহর নাম নিয়েই পানির পাত্র বেঁধে রাখবে। আর আল্লাহর নাম স্মরণ করেই আপন বাসনপত্র ঢেকে রাখবে। (সহীহ বুখারী, হা/৫৬২৩; সহীহ মুসলিম, হা/৫৩৬৮; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১০৫১৪; মিশকাত, হা/৪২৯৪)]
রাতে বা দিনে মোরগের ডাক শুনলে আল্লাহর অনুগ্রহ চাইতে হবে। আর গাধা ও কুকুরের ডাক শুনলে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইতে হবে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে, তখন আল্লাহর অনুগ্রহ প্রার্থনা করবে। কেননা মোরগ ফেরেশতা দেখতে পায়। আর যখন গাধার ডাক শুনবে, তখন শয়তান হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে। কারণ গাধা শয়তান দেখতে পায়। [সহীহ বুখারী, হা/৩৩০৩; সহীহ মুসলিম, হা/৭০৯৬; আবু দাঊদ, হা/৫১০৪; তিরমিযী, হা/৩৪৫৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮০৫০; আদাবুল মুফরাদ, হা/১২৩৬; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৩৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩১৮৩; মিশকাত, হা/২৪১৯।]
আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ চাওয়ার সময় বলবে,
اَللّٰهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাযলিক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি।
আর আশ্রয় চাওয়ার সময় বলবে,
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ্ শাইত্বা-নির রাজীম।
অর্থ : (হে আল্লাহ!) আমি আপনার নিকট বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
আল্লাহর কাছে অনুগ্রহ চাওয়ার সময় বলবে,
اَللّٰهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাযলিক।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি।
আর আশ্রয় চাওয়ার সময় বলবে,
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ্ শাইত্বা-নির রাজীম।
অর্থ : (হে আল্লাহ!) আমি আপনার নিকট বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
اَللّٰهُمَّ أَهِلَّه عَلَيْنَا بِالْاَمْنِ وَالْاِيْمَانِ وَالْسَّلَامَةِ وَالْاِسْلَامِ رَبِّىْ وَرَبُّكَ اللهُ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহূ ‘আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমা-ন, ওয়াস্সালা-মাতি ওয়াল ইসলা-ম, রাববী ওয়া রাববুকাল্লা-হু।
অর্থ : হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে উদয় করো। (হে চাঁদ) তোমার এবং আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। [তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন নতুন চাঁদ দেখতেন, তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (তিরমিযী, হা/৩৪৫১; মুসনাদুল বাযযার, হা/৯৪৭; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৬১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭৭৬৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৮১৬; জামেউস সগীর, হা/৮৮৫৭; মিশকাত, হা/২৩২৮)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহূ ‘আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমা-ন, ওয়াস্সালা-মাতি ওয়াল ইসলা-ম, রাববী ওয়া রাববুকাল্লা-হু।
অর্থ : হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে উদয় করো। (হে চাঁদ) তোমার এবং আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। [তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন নতুন চাঁদ দেখতেন, তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (তিরমিযী, হা/৩৪৫১; মুসনাদুল বাযযার, হা/৯৪৭; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৬১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৭৭৬৭; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৮১৬; জামেউস সগীর, হা/৮৮৫৭; মিশকাত, হা/২৩২৮)]
اَللّٰهُمّ إِنِّيْ أَسْاَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِيْ وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِيْ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতী ওয়াসি‘আত কুল্লা শায়ইন আন তাগফিরালী।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার যে রহমত সকল কিছু পরিবেষ্টন করে রেখেছে, তার দ্বারা প্রার্থনা করছি- আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। [আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয় সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির জন্য উচিত হচ্ছে, ইফতারের সময় এ দু‘আ পাঠ করা। (মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৫৩৫; ইবনে মাজাহ, হা/১৭৫৩; শু‘আবুল ঈমান, হা/৩৬২১)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতী ওয়াসি‘আত কুল্লা শায়ইন আন তাগফিরালী।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার যে রহমত সকল কিছু পরিবেষ্টন করে রেখেছে, তার দ্বারা প্রার্থনা করছি- আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। [আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, নিশ্চয় সিয়াম পালনকারী ব্যক্তির জন্য উচিত হচ্ছে, ইফতারের সময় এ দু‘আ পাঠ করা। (মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৫৩৫; ইবনে মাজাহ, হা/১৭৫৩; শু‘আবুল ঈমান, হা/৩৬২১)]
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ وَثَبَتَ الْاَجْرُ إِنْ شَاءَ اللهُ
উচ্চারণ : যাহাবায্ যামাউ, ওয়াবতাল্লাতিল ‘উরূকু, ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লা-হু।
অর্থ : পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপশিরা সিক্ত হলো এবং নেকী নির্ধারিত হলো যদি আল্লাহ চান। [ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ইফতার করতেন তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/২৩৫৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫৩৯৫; দার কুতনী, হা/২২৭৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৫৩৬; বায়হাকী, হা/৭৯২২; জামেউস সগীর, হা/৮৮০৭; মিশকাত, হা/১৯৯৩)]
উচ্চারণ : যাহাবায্ যামাউ, ওয়াবতাল্লাতিল ‘উরূকু, ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লা-হু।
অর্থ : পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপশিরা সিক্ত হলো এবং নেকী নির্ধারিত হলো যদি আল্লাহ চান। [ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন ইফতার করতেন তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/২৩৫৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫৩৯৫; দার কুতনী, হা/২২৭৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৫৩৬; বায়হাকী, হা/৭৯২২; জামেউস সগীর, হা/৮৮০৭; মিশকাত, হা/১৯৯৩)]
اَفْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُوْنَ وَأَكَلَ طَعَامَكُمُ الْأَبْرَارُ وَصَلَّتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ
উচ্চারণ : আফ্ত্বারা ‘ইন্দাকুমুস সা-’ইমূনা, ওয়া আকালা ত্বা‘আমাকুমুল আবরা-র, ওয়া সাল্লাত ‘আলাইকুমুল মালা-ইকাহ।
অর্থ : সিয়াম পালনকারীগণ তোমাদের নিকট ইফতার করুক, সৎ লোকগণ তোমাদের আহার গ্রহণ করুক এবং ফেরেশতাগণ তোমাদের জন্য দু‘আ করুক। [আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ (সিয়াম অবস্থায়) সা‘দ ইবনে উবাদা (রাঃ) এর নিকট গেলেন। তখন সা‘দ (রাঃ) রুটি এবং যায়তুনের তেল নিয়ে আসলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ খাবার পর এই দু‘আ করলেন। (আবু দাঊদ, হা/৩৮৫৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৭৪৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫২৯৬; জামেউস সগীর, হা/৮৮০৬)]
উচ্চারণ : আফ্ত্বারা ‘ইন্দাকুমুস সা-’ইমূনা, ওয়া আকালা ত্বা‘আমাকুমুল আবরা-র, ওয়া সাল্লাত ‘আলাইকুমুল মালা-ইকাহ।
অর্থ : সিয়াম পালনকারীগণ তোমাদের নিকট ইফতার করুক, সৎ লোকগণ তোমাদের আহার গ্রহণ করুক এবং ফেরেশতাগণ তোমাদের জন্য দু‘আ করুক। [আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ (সিয়াম অবস্থায়) সা‘দ ইবনে উবাদা (রাঃ) এর নিকট গেলেন। তখন সা‘দ (রাঃ) রুটি এবং যায়তুনের তেল নিয়ে আসলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ খাবার পর এই দু‘আ করলেন। (আবু দাঊদ, হা/৩৮৫৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৭৪৭; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৫২৯৬; জামেউস সগীর, হা/৮৮০৬)]
اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা ‘আফুববুন তুহিববুল ‘আফওয়া ফা‘ফু ‘আন্নী।
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমাকে ভালোবাসেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করুন। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যখন লাইলাতুল ক্বদরে উপনীত হব তখন কী বলে দু‘আ পাঠ করব? তিনি বললেন, তুমি এ দু‘আ পাঠ করবে। (ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৫০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৫৩৪; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৭৬৬৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৩৯১; জামেউস সগীর, হা/৭৮৭৩; মিশকাত, হা/২০৯১)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা ‘আফুববুন তুহিববুল ‘আফওয়া ফা‘ফু ‘আন্নী।
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমাকে ভালোবাসেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করুন। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি যখন লাইলাতুল ক্বদরে উপনীত হব তখন কী বলে দু‘আ পাঠ করব? তিনি বললেন, তুমি এ দু‘আ পাঠ করবে। (ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৫০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৫৩৪; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৭৬৬৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৩৯১; জামেউস সগীর, হা/৭৮৭৩; মিশকাত, হা/২০৯১)]
لَبَّيْكَ اَللّٰهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ
উচ্চারণ : লাববাইক, আল্লা-হুম্মা লাববাইক, লাববাইকা লা-শারীকালাকা লাববাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুলকা লা-শারীকালাক।
অর্থ : (আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়ে) উপস্থিত হয়েছি, হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত হয়েছি, আমি উপস্থিত হয়েছি (এবং ঘোষণা করছি যে), তোমার কোন শরীক নেই, আমি উপস্থিত হয়েছি, নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই এবং রাজত্বও তোমার, তোমার কোন শরীক নেই। [আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর তালবিয়া ছিল এটি। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৭৩০; সহীহ বুখারী, হা/১৫৪৯; সহীহ মুসলিম, হা/২৮৬৮; আবু দাঊদ, হা/১৮১৩; তিরমিযী, হা/৮২৫; নাসাঈ, হা/২৭৪৮; ইবনে মাজাহ, হা/২৯১৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৪৫৭; জামেউস সগীর, হা/৯১৯০; মিশকাত, হা/২৫৪১)]
উচ্চারণ : লাববাইক, আল্লা-হুম্মা লাববাইক, লাববাইকা লা-শারীকালাকা লাববাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি‘মাতা লাকা ওয়াল মুলকা লা-শারীকালাক।
অর্থ : (আমি তোমার ডাকে সাড়া দিয়ে) উপস্থিত হয়েছি, হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত হয়েছি, আমি উপস্থিত হয়েছি (এবং ঘোষণা করছি যে), তোমার কোন শরীক নেই, আমি উপস্থিত হয়েছি, নিশ্চয় সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই এবং রাজত্বও তোমার, তোমার কোন শরীক নেই। [আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর তালবিয়া ছিল এটি। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৭৩০; সহীহ বুখারী, হা/১৫৪৯; সহীহ মুসলিম, হা/২৮৬৮; আবু দাঊদ, হা/১৮১৩; তিরমিযী, হা/৮২৫; নাসাঈ, হা/২৭৪৮; ইবনে মাজাহ, হা/২৯১৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৪৫৭; জামেউস সগীর, হা/৯১৯০; মিশকাত, হা/২৫৪১)]
ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ উটের উপর আরোহণ করে তাওয়াফ করলেন। যখনই তিনি রুকনে ইয়ামানীতে আসতেন, তখনই তিনি তার হাতে যা থাকতো তা দ্বারা সেদিকে ইশারা করতেন এবং তাকবীর (আল্লা-হু আকবার) বলতেন। [সহীহ বুখারী, হা/১৬১৩; তিরমিযী, হা/৮৬৫; নাসাঈ, হা/২৯৫৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৭৮; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৭২২; মিশকাত, হা/২৫৭০।]
رَبَّنَا ۤاٰتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَّ فِي الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ : রাববানা আ-তিনা ফিদ্দুন্ইয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আ-খিরাতি হাসানাতাও ওয়াক্বিনা ‘আযা-বান্না-র।
অর্থ : হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন এবং আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন, আর আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব হতে রক্ষা করুন। [আবদুল্লাহ ইবনে সায়েব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে উক্ত স্থানে এই দু‘আ পাঠ করতে শুনেছি। (আবু দাঊদ, হা/১৮৯৪; মিশকাত, হা/২৫৮১)] (সূরা বাক্বারা- ২০১)
উচ্চারণ : রাববানা আ-তিনা ফিদ্দুন্ইয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আ-খিরাতি হাসানাতাও ওয়াক্বিনা ‘আযা-বান্না-র।
অর্থ : হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন এবং আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন, আর আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব হতে রক্ষা করুন। [আবদুল্লাহ ইবনে সায়েব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে উক্ত স্থানে এই দু‘আ পাঠ করতে শুনেছি। (আবু দাঊদ, হা/১৮৯৪; মিশকাত, হা/২৫৮১)] (সূরা বাক্বারা- ২০১)
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে- অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ হাজরে আসওয়াদের কাছে প্রত্যাবর্তন করলেন এবং তাতে চুমু খেলেন। তারপর তিনি সাফা পাহাড়ের দিকে বের হলেন এবং সাফার নিকটবর্তী হয়ে এ আয়াত পাঠ করলেন,
إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَآئِرِ اللهِ
উচ্চারণ : ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শা‘আ-ইরিল্লা-হ।
অর্থ : নিশ্চয়ই ‘সাফা’ ও ‘মারওয়া’ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত।
(সূরা বাক্বারা- ১৫৮)
তারপর তিনি সাফা পাহাড়ের উপর আরোহণ করলেন এবং বায়তুল্লাহ দেখতে পেলেন। অতঃপর তিনি ক্বিবলামুখী হয়ে নিচের দু‘আটি পাঠ কলেন :
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ ‐ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه أَنْجَزَ وَعْدَه وَنَصَرَ عَبْدَه وَهَزَمَ الْاَحْزَابَ وَحْدَه
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ, লা-শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ আনজাযা ওয়া‘দাহূ ওয়ানাসারা ‘আবদাহূ ওয়া হাযামাল আহ্যা-বা ওয়াহ্দাহূ।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই; তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসাও তাঁর। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মাবুদ নেই, তিনি এক, তিনি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন এবং তিনি তাঁর শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করেছেন।
উপরোক্ত দু‘আটি নবী ﷺ তিন বার পাঠ করলেন। অতঃপর তিনি মারওয়া পাহাড়ে উঠলেন এবং অনুরূপভাবে উক্ত দু‘আ পাঠ করলেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৩০০৯; আবু দাঊদ, হা/১৯০৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩০৭৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৪৮০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৭৫৭; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/২১২৬; মিশকাত, হা/২৫৫৫।]
إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَآئِرِ اللهِ
উচ্চারণ : ইন্নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শা‘আ-ইরিল্লা-হ।
অর্থ : নিশ্চয়ই ‘সাফা’ ও ‘মারওয়া’ আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত।
(সূরা বাক্বারা- ১৫৮)
তারপর তিনি সাফা পাহাড়ের উপর আরোহণ করলেন এবং বায়তুল্লাহ দেখতে পেলেন। অতঃপর তিনি ক্বিবলামুখী হয়ে নিচের দু‘আটি পাঠ কলেন :
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ ‐ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه أَنْجَزَ وَعْدَه وَنَصَرَ عَبْدَه وَهَزَمَ الْاَحْزَابَ وَحْدَه
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ, লা-শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ আনজাযা ওয়া‘দাহূ ওয়ানাসারা ‘আবদাহূ ওয়া হাযামাল আহ্যা-বা ওয়াহ্দাহূ।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই; তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসাও তাঁর। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মাবুদ নেই, তিনি এক, তিনি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন এবং তিনি তাঁর শত্রুবাহিনীকে পরাভূত করেছেন।
উপরোক্ত দু‘আটি নবী ﷺ তিন বার পাঠ করলেন। অতঃপর তিনি মারওয়া পাহাড়ে উঠলেন এবং অনুরূপভাবে উক্ত দু‘আ পাঠ করলেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৩০০৯; আবু দাঊদ, হা/১৯০৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩০৭৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৪৮০; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৭৫৭; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/২১২৬; মিশকাত, হা/২৫৫৫।]
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোন শরীক নেই। সকল ক্ষমতার মালিক কেবল তিনিই। সকল প্রশংসার মালিক তিনিই। তিনি সব কিছুর উপর শক্তিশালী। [আমর ইবনে শু‘আইব (রহ.) তার পিতা হতে দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, সবচেয়ে উত্তম দু‘আ আরাফাতের ময়দানের দু‘আ এবং সবচেয়ে উত্তম কথা হচ্ছে, আমি যা বলেছি এবং আমার পূর্বের সকল নবীগণ যা বলেছেন- তা হচ্ছে এই দু‘আ। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫০০; তিরমিযী, হা/৩৫৮৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫৩৬; মিশকাত, হা/২৫৯৮)]
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর।
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তার কোন শরীক নেই। সকল ক্ষমতার মালিক কেবল তিনিই। সকল প্রশংসার মালিক তিনিই। তিনি সব কিছুর উপর শক্তিশালী। [আমর ইবনে শু‘আইব (রহ.) তার পিতা হতে দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, সবচেয়ে উত্তম দু‘আ আরাফাতের ময়দানের দু‘আ এবং সবচেয়ে উত্তম কথা হচ্ছে, আমি যা বলেছি এবং আমার পূর্বের সকল নবীগণ যা বলেছেন- তা হচ্ছে এই দু‘আ। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫০০; তিরমিযী, হা/৩৫৮৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৫৩৬; মিশকাত, হা/২৫৯৮)]
اَللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ لَا اِلٰهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ اَللهُ أَكْبَرُ وَ لِلّٰهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ : আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার ওয়া লিল্লা-হিল হামদ।
অর্থ : আল্লাহ বড়, আল্লাহ বড়, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। [আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) আরাফার দিন ফজর হতে কুরবানীর দিন আসর পর্যন্ত এ তাকবীর পড়তেন। (দার কুতনী, হা/১৭৩৭)]
উচ্চারণ : আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আকবার ওয়া লিল্লা-হিল হামদ।
অর্থ : আল্লাহ বড়, আল্লাহ বড়, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য। [আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) আরাফার দিন ফজর হতে কুরবানীর দিন আসর পর্যন্ত এ তাকবীর পড়তেন। (দার কুতনী, হা/১৭৩৭)]
إِنِّيْ وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِيْ فَطَرَ السَّمٰوَاتِ وَالْاَرْضَ حَنِيْفًا وَمَا أَنَا مِنْ الْمُشْرِكِيْنَ إِنَّ صَلَاتِيْ وَ نُسُكِيْ وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِيْ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ لَا شَرِيْكَ لَه وَبِذٰ لِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِيْنَ بِسْمِ اللهِ اَللهُ أَكْبَرُ اَللّٰهُمَّ مِنْكَ وَلَكَ
উচ্চারণ : ইন্নী ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্সামা-ওয়া-তি ওয়ালআরযা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালা-তী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহ্ইয়া-ইয়া ও মামা-তী লিল্লা-হি রাবিবল ‘আলামীন। লা শারীকা লাহূ ওয়াবিযা-লিকা উমিরতু ওয়াআনা আওওয়ালুল মুসলিমীন। বিসমিল্লা-হি আল্লা-হু আকবার আল্লা-হুম্মা মিনকা ওয়ালাক।
অর্থ : আমি মুসলিম অবস্থায় একনিষ্ঠ হয়ে ঐ সত্তার দিকে আমার মুখ ফিরালাম, যিনি আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয় আমার সালাত, আমার যাবতীয় কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ (সবকিছুই) বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই (নিবেদিত)। তাঁর কোন শরীক নেই, আমাকে এরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর আমিই সর্বপ্রথম আত্মসমর্পণকারী। আল্লাহর নামে শুরু করলাম, আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! আপনার পক্ষ থেকে (এ পশু) এবং আপনার জন্য (তা কুরবানী করলাম)। [জাবির ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদের দিন দুটি বকরী জবেহ করলেন। যখন তিনি সেগুলোকে জবেহ করার জন্য সামনে গেলেন, তখন এ দু‘আটি পাঠ করলেন। (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫০৬৪; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৮৯৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৭১৬)]
তওবা ও ইসিত্মগফার
তওবা করার জন্য কিছু শর্ত অনুসরণ করতে হবে। সেগুলো হলো :
১. বর্তমানে যে গোনাহে লিপ্ত রয়েছে, তা অবিলম্বে বর্জন করতে হবে।
২. অতীতে কৃত গোনাহের জন্য আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করে অনুতপ্ত হতে হবে।
৩. ভবিষ্যতে আর কখনো উক্ত পাপকাজ না করার সুদৃঢ় অঙ্গীকার করতে হবে।
৪. যেসব ফরজ ও ওয়াজিবের কাযা আদায় করা ওয়াজিব সেগুলোর কাযা আদায় করতে হবে।
৫. তওবাকারীর গোনাহের সাথে যদি বান্দার হক সম্পৃক্ত থাকে, তবে তার মীমাংসা করতে হবে। প্রাপক জীবিত থাকলে তাকে তার হক ফেরত দিতে হবে অথবা মাফ চেয়ে নিতে হবে। প্রাপক জীবিত না থাকলে তার ওয়ারিসদেরকে তা ফেরত দিতে হবে।
৬. কাউকে হাত বা মুখ দিয়ে কষ্ট দিয়ে থাকলে বা গালি দিয়ে থাকলে বা কারো গীবত করে থাকলে যেভাবে সম্ভব তাকে সন্তুষ্ট করে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
৭. এসব শর্ত ছাড়াও আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে। আর তা হলো, শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য পাপকাজ ছেড়ে দিতে হবে এবং তাঁর জন্যই তওবা করতে হবে, অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়।
উচ্চারণ : ইন্নী ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্সামা-ওয়া-তি ওয়ালআরযা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালা-তী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহ্ইয়া-ইয়া ও মামা-তী লিল্লা-হি রাবিবল ‘আলামীন। লা শারীকা লাহূ ওয়াবিযা-লিকা উমিরতু ওয়াআনা আওওয়ালুল মুসলিমীন। বিসমিল্লা-হি আল্লা-হু আকবার আল্লা-হুম্মা মিনকা ওয়ালাক।
অর্থ : আমি মুসলিম অবস্থায় একনিষ্ঠ হয়ে ঐ সত্তার দিকে আমার মুখ ফিরালাম, যিনি আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয় আমার সালাত, আমার যাবতীয় কুরবানী, আমার জীবন, আমার মরণ (সবকিছুই) বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই (নিবেদিত)। তাঁর কোন শরীক নেই, আমাকে এরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর আমিই সর্বপ্রথম আত্মসমর্পণকারী। আল্লাহর নামে শুরু করলাম, আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! আপনার পক্ষ থেকে (এ পশু) এবং আপনার জন্য (তা কুরবানী করলাম)। [জাবির ইবনে আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ ঈদের দিন দুটি বকরী জবেহ করলেন। যখন তিনি সেগুলোকে জবেহ করার জন্য সামনে গেলেন, তখন এ দু‘আটি পাঠ করলেন। (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৫০৬৪; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/২৮৯৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৭১৬)]
তওবা ও ইসিত্মগফার
তওবা করার জন্য কিছু শর্ত অনুসরণ করতে হবে। সেগুলো হলো :
১. বর্তমানে যে গোনাহে লিপ্ত রয়েছে, তা অবিলম্বে বর্জন করতে হবে।
২. অতীতে কৃত গোনাহের জন্য আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করে অনুতপ্ত হতে হবে।
৩. ভবিষ্যতে আর কখনো উক্ত পাপকাজ না করার সুদৃঢ় অঙ্গীকার করতে হবে।
৪. যেসব ফরজ ও ওয়াজিবের কাযা আদায় করা ওয়াজিব সেগুলোর কাযা আদায় করতে হবে।
৫. তওবাকারীর গোনাহের সাথে যদি বান্দার হক সম্পৃক্ত থাকে, তবে তার মীমাংসা করতে হবে। প্রাপক জীবিত থাকলে তাকে তার হক ফেরত দিতে হবে অথবা মাফ চেয়ে নিতে হবে। প্রাপক জীবিত না থাকলে তার ওয়ারিসদেরকে তা ফেরত দিতে হবে।
৬. কাউকে হাত বা মুখ দিয়ে কষ্ট দিয়ে থাকলে বা গালি দিয়ে থাকলে বা কারো গীবত করে থাকলে যেভাবে সম্ভব তাকে সন্তুষ্ট করে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
৭. এসব শর্ত ছাড়াও আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে। আর তা হলো, শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য পাপকাজ ছেড়ে দিতে হবে এবং তাঁর জন্যই তওবা করতে হবে, অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়।
رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَاَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِيْنَ (১)
উচ্চারণ : রাববিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা মু’মিনূন- ১১৮)
رَبَّنَا ظَلَمْنَاۤ اَنْفُسَنَا وَاِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ (২)
উচ্চারণ : রাববানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা লানাকূনান্না মিনাল খা-সিরীন।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি, যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং দয়া না করেন, তবে তো আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। (সূরা আ‘রাফ- ২৩)
(৩) رَبِّ اغْفِرْ لِى وَتُبْ عَلَىَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ : রাবিবগফিরলী ওয়াতুব আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রাহীম।
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি তওবা কবুলকারী এবং দয়াময়। [ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা এক বৈঠকে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে ১০০ বার এ দু‘আটি পাঠ করতে দেখলাম। (আবু দাউদ, হা/১৫১৮; তিরমিযী, হা/৩৪৩৪; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫৯০৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৯২৭)]
(৪) أَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাই্য়্যুল কাইয়্যূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি।
অর্থ : আমি ঐ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যিনি ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আর আমি তার নিকট তওবা করছি। [যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি এ দু‘আটি পাঠ করবে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়। (আবু দাউদ, হা/১৫১৯; তিরমিযী, হা/৩৫৭৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৫৫০; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৩৫৩৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬২২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৭২৭; মিশকাত, হা/২৩৫৩)]
উচ্চারণ : রাববিগফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, আপনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু। (সূরা মু’মিনূন- ১১৮)
رَبَّنَا ظَلَمْنَاۤ اَنْفُسَنَا وَاِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخَاسِرِيْنَ (২)
উচ্চারণ : রাববানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা লানাকূনান্না মিনাল খা-সিরীন।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি, যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং দয়া না করেন, তবে তো আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হব। (সূরা আ‘রাফ- ২৩)
(৩) رَبِّ اغْفِرْ لِى وَتُبْ عَلَىَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ : রাবিবগফিরলী ওয়াতুব আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত তাওয়া-বুর রাহীম।
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি তওবা কবুলকারী এবং দয়াময়। [ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা এক বৈঠকে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে ১০০ বার এ দু‘আটি পাঠ করতে দেখলাম। (আবু দাউদ, হা/১৫১৮; তিরমিযী, হা/৩৪৩৪; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫৯০৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৯২৭)]
(৪) أَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাই্য়্যুল কাইয়্যূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি।
অর্থ : আমি ঐ আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যিনি ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আর আমি তার নিকট তওবা করছি। [যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি এ দু‘আটি পাঠ করবে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়। (আবু দাউদ, হা/১৫১৯; তিরমিযী, হা/৩৫৭৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৫৫০; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৩৫৩৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬২২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৭২৭; মিশকাত, হা/২৩৫৩)]
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَ ارْحَمْنِيْ وَأَلْحِقْنِيْ بِالرَّفِيْقِ الْاَعْلٰى
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াআলহিক্বনী বির্রাফীক্বিল আ‘লা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করো, আমার প্রতি দয়া করো এবং আমাকে মহান বন্ধুর সাথে মিলিয়ে দাও। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার গায়ে হেলান দিয়ে বসে ছিলেন। আমি মনোযোগ দিয়ে শুনলাম, তিনি এই দু‘আ পাঠ করছেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫৬৪; সহীহ বুখারী, হা/৪৪৪০; সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৪৬; তিরমিযী, হা/৩৪৯৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৬১৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৯৮৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৬১৮; জামেউস সগীর, হা/২১৪৭)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াআলহিক্বনী বির্রাফীক্বিল আ‘লা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করো, আমার প্রতি দয়া করো এবং আমাকে মহান বন্ধুর সাথে মিলিয়ে দাও। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে রাসূলুল্লাহ ﷺ আমার গায়ে হেলান দিয়ে বসে ছিলেন। আমি মনোযোগ দিয়ে শুনলাম, তিনি এই দু‘আ পাঠ করছেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫৬৪; সহীহ বুখারী, হা/৪৪৪০; সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৪৬; তিরমিযী, হা/৩৪৯৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৬১৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৯৮৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৬১৮; জামেউস সগীর, হা/২১৪৭)]
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللهُ
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ ।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। [আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) যৌথভাবে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তিকে এ কালিমার তালক্বীন দাও। (সহীহ মুসলিম, হা/২১৬২-৬৩; আবু দাঊদ, হা/৩১১৯; তিরমিযী, হা/৯৭৬; নাসাঈ, হা/১৮২৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৪৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১০০৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩০০৩; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/১২৩৯; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২১৫১; জামেউস সগীর, হা/৯২৭৯; মিশকাত, হা/১৬১৬)অপর হাদীসে রয়েছে, মু‘আয ইবনে জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যার শেষ বাক্য হবে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ সে জান্নাতে যাবে। (আবু দাঊদ, হা/৩১১৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২০৮৭; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৬২৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১২৯৯; জামেউস সগীর, হা/১১৪২৫; মিশকাত, হা/১৬২১)]
উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ ।
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। [আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) এবং আবু হুরায়রা (রাঃ) যৌথভাবে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমরা তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তিকে এ কালিমার তালক্বীন দাও। (সহীহ মুসলিম, হা/২১৬২-৬৩; আবু দাঊদ, হা/৩১১৯; তিরমিযী, হা/৯৭৬; নাসাঈ, হা/১৮২৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৪৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১০০৬; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩০০৩; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/১২৩৯; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২১৫১; জামেউস সগীর, হা/৯২৭৯; মিশকাত, হা/১৬১৬)অপর হাদীসে রয়েছে, মু‘আয ইবনে জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যার শেষ বাক্য হবে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ সে জান্নাতে যাবে। (আবু দাঊদ, হা/৩১১৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২০৮৭; মুসনাদুল বাযযার, হা/২৬২৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১২৯৯; জামেউস সগীর, হা/১১৪২৫; মিশকাত, হা/১৬২১)]
إِنَّا لِلّٰهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُوْنَ اَللّٰهُمَّ أْجُرْنِىْ فِىْ مُصِيْبَتِىْ وَاخْلُفْ لِىْ خَيْرًا مِّنْهَا
উচ্চারণ : ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রা-জি‘ঊন, আল্লা-হুম্মা’জুরনী ফী মুসীবাতী ওয়াখ্লুফ লী খায়রাম মিনহা।
অর্থ : আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর নিকটই আমাদের প্রত্যাবর্তন। হে আল্লাহ! আমার বিপদে আমাকে প্রতিদান দাও এবং আমাকে এর চেয়ে উত্তম বিনিময় দান করো। [উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যদি কোন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে এবং সে এ দু‘আ পড়ে, তাহলে আল্লাহ তাকে এর চেয়ে উত্তম বিনিময় দান করবেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫৬০; সহীহ মুসলিম, হা/২২১৬৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৬৭৭; বায়হাকী, হা/৬৯১৭; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৪৬৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৪৯০; জামেউস সগীর, হা/১০৭০৩; মিশকাত, হা/১৬১৮)]
উচ্চারণ : ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রা-জি‘ঊন, আল্লা-হুম্মা’জুরনী ফী মুসীবাতী ওয়াখ্লুফ লী খায়রাম মিনহা।
অর্থ : আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর নিকটই আমাদের প্রত্যাবর্তন। হে আল্লাহ! আমার বিপদে আমাকে প্রতিদান দাও এবং আমাকে এর চেয়ে উত্তম বিনিময় দান করো। [উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যদি কোন মুসলমানের উপর কোন বিপদ আসে এবং সে এ দু‘আ পড়ে, তাহলে আল্লাহ তাকে এর চেয়ে উত্তম বিনিময় দান করবেন। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫৬০; সহীহ মুসলিম, হা/২২১৬৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৬৭৭; বায়হাকী, হা/৬৯১৭; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৪৬৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৪৯০; জামেউস সগীর, হা/১০৭০৩; মিশকাত, হা/১৬১৮)]
(১) اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا وَ ذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا ‐ اَللّٰهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهٗ مِنَّا فَأَحْيِهٖ عَلَى الْاِسْلَامِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهٗ مِنَّا فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَانِ -‐ اَللّٰهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهٗ وَلَا تُضِلَّنَا بَعْدَهٗ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলি হায়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়াশা-হিদিনা ওয়াগা-’ইবিনা ওয়াসাগীরিনা ওয়াকাবীরিনা ওয়াযাকারিনা ওয়াউনসা-না। আল্লা-হুম্মা মান আহ্ইয়াইতাহূ মিন্না ফাআহ্য়িহী ‘আলাল ইসলা-ম। ওয়ামান তাওয়াফ্ফাইতাহূ মিন্না ফাতাওয়াফ্ফাহূ ‘আলাল ঈমা-ন। আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহূ ওয়ালা তুযিল্লানা বা‘দাহূ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত-অনুপস্থিত, ছোট-বড়, নর-নারী সকলকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ! আমাদের মাঝে যাদেরকে জীবিত রাখ, তাদেরকে ইসলামের উপর জীবিত রাখো, আর যাদেরকে মৃত্যু দান কর, তাদেরকে ঈমানের সাথে মৃত্যু দান করো। হে আল্লাহ! আমাদেরকে তার নেকী হতে বঞ্চিত করো না এবং তার মৃত্যুর পর আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করো না। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন জানাযার সালাত পড়াতেন, তখন এই দু‘আটি পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৩২০৩; ইবনে মাজাহ, হা/১৪৯৮; তিরমিযী, হা/১০২৪; মিশকাত, হা/১৬৭৫)]
(২) اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَهٗ وَارْحَمْهُ وَعَافِهٖ وَاعْفُ عَنْهُ وَأَكْرِمْ نُزُلَهٗ وَوَسِّعْ مَدْخَلَهٗ وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ ‐ وَنَقِّهٖ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْاَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ ‐ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِّنْ دَارِهٖ وَأَهْلًا خَيْرًا مِّنْ أَهْلِهٖ وَزَوْجًا خَيْرًا مِّنْ زَوْجِهٖ وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলাহূ ওয়ারহামহু ওয়া‘আ-ফিহী ওয়া‘ফু ‘আনহু ওয়া আকরিম নুযুলাহূ ওয়াওয়াস্সি‘ মাদখালাহূ ওয়াগসিলহু বিলমা-ই ওয়াছ্ছালজি ওয়াল বারাদ। ওয়া নাক্কিহী মিনাল খাত্বা-ইয়া কামা ইউনাক্কাছ ছাউবুল আবইয়াযু মিনাদ্দানাস। ওয়া আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহী ওয়া আহলান খাইরাম মিন আহলিহী ওয়া যাওজান খাইরাম্ মিন যাওজিহী, ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা ওয়া আ‘ইযহু মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি ওয়া মিন ‘আযা-বিন্না-র।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন, তার উপর রহম করুন, তাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দান করুন, তাকে ক্ষমা করুন, মর্যাদার সাথে তার আপ্যায়ন করুন, তার বাসস্থান প্রশস্ত করুন। আপনি তাকে ধৌত করে দিন পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা। আপনি তাকে পাপ হতে এমনভাবে পরিষ্কার করুন, যেমনভাবে সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। তাকে দুনিয়ার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর দান করুন। তাকে দুনিয়ার পরিবারের চেয়ে উত্তম পরিবার দান করুন এবং আপনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর তাকে কবরের আযাব এবং জাহান্নামের আযাব হতে বাঁচান। [আউফ ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক বার জানাযার সালাত পড়ালেন। আমি তাঁর দু‘আর কিছু অংশ মনে রেখেছি। আমি আফসোস করলাম যে, এই মৃত ব্যক্তি যদি আমি হতাম! তখন তিনি এ দু‘আ পড়েছিলেন। (সহীহ মুসলিম, হা/২২৭৬; নাসাঈ, হা/১৯৮৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬০২১; মিশকাত, হা/১৬৫৫)]
(৩) اَللّٰهُمَّ إِنَّه عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ كَانَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُوْلُكَ وَأَنْتَ أَعْلَمُ بِه ‐ اَللّٰهُمَّ إِنْ كَانَ مُحْسِنًا فَزِدْهُ فِى إِحْسَانِه وَإِنْ كَانَ مُسِيْئًا فَتَجَاوَزْ عَنْ سَيِّئَاتِه ‐ اَللّٰهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَه وَلَا تَفْتِنَّا بَعْدَه
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নাহূ ‘আবদুকা ওয়াবনু ‘আবদিকা ওয়াবনু আমাতিকা, কা-না ইয়াশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আনতা ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুকা ওয়া রাসূলুকা ওয়া আনতা আ‘লামু বিহী। আল্লা-হুম্মা ইন কা-না মুহসিনান ফাযিদহু ফী ইহসা-নিহী ওয়া ইন কা-না মুসীআন ফাতাজা-ওয়ায ‘আন সাইয়িআ-তিহী, আল্লা-হুম্মা লা-তাহরিমনা আজরাহূ ওয়ালা তাফতিন্না বা‘দাহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! এ তো আপনার বান্দা, আপনার এক বান্দার সমত্মান এবং আপনার এক বান্দীর সমত্মান। সে সাক্ষ্য দিত যে, আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ ﷺ আপনার বান্দা ও রাসূল। আর আপনি তার সম্পর্কে আমার চেয়ে ভালো জানেন। হে আল্লাহ! সে যদি সৎকর্মশীল হয়ে থাকে, তাহলে আপনি তার সৎকর্মে আরো সমৃদ্ধি দান করুন। আর যদি সে পাপী হয়ে থাকে তবে তার পাপকে ক্ষমা করে দিন। [সা‘দ ইবনে আবু সাঈদ (রাঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি একদা আবু হুরায়রা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, আমরা জানাযার সালাত কীভাবে আদায় করব? আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন, আমি অবশ্যই সে ব্যাপারে সংবাদ দেব। যখন তুমি লাশের সামনে দাঁড়াবে তখন প্রথমে ‘আল্লা-হু আকবার’ বলবে। তারপর আল্লাহর প্রশংসা করবে। তারপর নবী ﷺ এর প্রতি দরূদ পাঠ করবে। তারপর এ দু‘আটি পাঠ করবে। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫৩৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩০৭৩; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১০৮৫২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৫৯৮)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলি হায়্যিনা ওয়া মাইয়্যিতিনা ওয়াশা-হিদিনা ওয়াগা-’ইবিনা ওয়াসাগীরিনা ওয়াকাবীরিনা ওয়াযাকারিনা ওয়াউনসা-না। আল্লা-হুম্মা মান আহ্ইয়াইতাহূ মিন্না ফাআহ্য়িহী ‘আলাল ইসলা-ম। ওয়ামান তাওয়াফ্ফাইতাহূ মিন্না ফাতাওয়াফ্ফাহূ ‘আলাল ঈমা-ন। আল্লা-হুম্মা লা তাহরিমনা আজরাহূ ওয়ালা তুযিল্লানা বা‘দাহূ।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত-অনুপস্থিত, ছোট-বড়, নর-নারী সকলকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ! আমাদের মাঝে যাদেরকে জীবিত রাখ, তাদেরকে ইসলামের উপর জীবিত রাখো, আর যাদেরকে মৃত্যু দান কর, তাদেরকে ঈমানের সাথে মৃত্যু দান করো। হে আল্লাহ! আমাদেরকে তার নেকী হতে বঞ্চিত করো না এবং তার মৃত্যুর পর আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করো না। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন জানাযার সালাত পড়াতেন, তখন এই দু‘আটি পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৩২০৩; ইবনে মাজাহ, হা/১৪৯৮; তিরমিযী, হা/১০২৪; মিশকাত, হা/১৬৭৫)]
(২) اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَهٗ وَارْحَمْهُ وَعَافِهٖ وَاعْفُ عَنْهُ وَأَكْرِمْ نُزُلَهٗ وَوَسِّعْ مَدْخَلَهٗ وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ ‐ وَنَقِّهٖ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْاَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ ‐ وَأَبْدِلْهُ دَارًا خَيْرًا مِّنْ دَارِهٖ وَأَهْلًا خَيْرًا مِّنْ أَهْلِهٖ وَزَوْجًا خَيْرًا مِّنْ زَوْجِهٖ وَأَدْخِلْهُ الْجَنَّةَ وَأَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَ مِنْ عَذَابِ النَّارِ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফিরলাহূ ওয়ারহামহু ওয়া‘আ-ফিহী ওয়া‘ফু ‘আনহু ওয়া আকরিম নুযুলাহূ ওয়াওয়াস্সি‘ মাদখালাহূ ওয়াগসিলহু বিলমা-ই ওয়াছ্ছালজি ওয়াল বারাদ। ওয়া নাক্কিহী মিনাল খাত্বা-ইয়া কামা ইউনাক্কাছ ছাউবুল আবইয়াযু মিনাদ্দানাস। ওয়া আবদিলহু দা-রান খাইরাম মিন দা-রিহী ওয়া আহলান খাইরাম মিন আহলিহী ওয়া যাওজান খাইরাম্ মিন যাওজিহী, ওয়া আদখিলহুল জান্নাতা ওয়া আ‘ইযহু মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি ওয়া মিন ‘আযা-বিন্না-র।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন, তার উপর রহম করুন, তাকে পূর্ণ নিরাপত্তা দান করুন, তাকে ক্ষমা করুন, মর্যাদার সাথে তার আপ্যায়ন করুন, তার বাসস্থান প্রশস্ত করুন। আপনি তাকে ধৌত করে দিন পানি, বরফ ও শিশির দ্বারা। আপনি তাকে পাপ হতে এমনভাবে পরিষ্কার করুন, যেমনভাবে সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। তাকে দুনিয়ার ঘরের পরিবর্তে উত্তম ঘর দান করুন। তাকে দুনিয়ার পরিবারের চেয়ে উত্তম পরিবার দান করুন এবং আপনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করান। আর তাকে কবরের আযাব এবং জাহান্নামের আযাব হতে বাঁচান। [আউফ ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক বার জানাযার সালাত পড়ালেন। আমি তাঁর দু‘আর কিছু অংশ মনে রেখেছি। আমি আফসোস করলাম যে, এই মৃত ব্যক্তি যদি আমি হতাম! তখন তিনি এ দু‘আ পড়েছিলেন। (সহীহ মুসলিম, হা/২২৭৬; নাসাঈ, হা/১৯৮৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬০২১; মিশকাত, হা/১৬৫৫)]
(৩) اَللّٰهُمَّ إِنَّه عَبْدُكَ وَابْنُ عَبْدِكَ وَابْنُ أَمَتِكَ كَانَ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُكَ وَرَسُوْلُكَ وَأَنْتَ أَعْلَمُ بِه ‐ اَللّٰهُمَّ إِنْ كَانَ مُحْسِنًا فَزِدْهُ فِى إِحْسَانِه وَإِنْ كَانَ مُسِيْئًا فَتَجَاوَزْ عَنْ سَيِّئَاتِه ‐ اَللّٰهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَه وَلَا تَفْتِنَّا بَعْدَه
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নাহূ ‘আবদুকা ওয়াবনু ‘আবদিকা ওয়াবনু আমাতিকা, কা-না ইয়াশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আনতা ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুকা ওয়া রাসূলুকা ওয়া আনতা আ‘লামু বিহী। আল্লা-হুম্মা ইন কা-না মুহসিনান ফাযিদহু ফী ইহসা-নিহী ওয়া ইন কা-না মুসীআন ফাতাজা-ওয়ায ‘আন সাইয়িআ-তিহী, আল্লা-হুম্মা লা-তাহরিমনা আজরাহূ ওয়ালা তাফতিন্না বা‘দাহ।
অর্থ : হে আল্লাহ! এ তো আপনার বান্দা, আপনার এক বান্দার সমত্মান এবং আপনার এক বান্দীর সমত্মান। সে সাক্ষ্য দিত যে, আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ ﷺ আপনার বান্দা ও রাসূল। আর আপনি তার সম্পর্কে আমার চেয়ে ভালো জানেন। হে আল্লাহ! সে যদি সৎকর্মশীল হয়ে থাকে, তাহলে আপনি তার সৎকর্মে আরো সমৃদ্ধি দান করুন। আর যদি সে পাপী হয়ে থাকে তবে তার পাপকে ক্ষমা করে দিন। [সা‘দ ইবনে আবু সাঈদ (রাঃ) তার পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি একদা আবু হুরায়রা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, আমরা জানাযার সালাত কীভাবে আদায় করব? আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন, আমি অবশ্যই সে ব্যাপারে সংবাদ দেব। যখন তুমি লাশের সামনে দাঁড়াবে তখন প্রথমে ‘আল্লা-হু আকবার’ বলবে। তারপর আল্লাহর প্রশংসা করবে। তারপর নবী ﷺ এর প্রতি দরূদ পাঠ করবে। তারপর এ দু‘আটি পাঠ করবে। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৫৩৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩০৭৩; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১০৮৫২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৫৯৮)]
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْهُ لَنَا فَرَطًا وَسَلَفًا وَأَجْرًا
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাজ ‘আলহু লানা ফারাত্বাও ওয়া সালাফাও ওয়া আজরা-।
অর্থ : হে আল্লাহ! তাকে আমাদের জন্য অগ্রবর্তী নেকী ও সওয়াবের অসীলা বানাও। [হাসান (রাঃ) বাচ্চাদের জানাযায় সূরা ফাতিহা ও এই দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ প্রসঙ্গের অধ্যায়ে মু‘আল্লাক সূত্রে; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৪৯১)]
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাজ ‘আলহু লানা ফারাত্বাও ওয়া সালাফাও ওয়া আজরা-।
অর্থ : হে আল্লাহ! তাকে আমাদের জন্য অগ্রবর্তী নেকী ও সওয়াবের অসীলা বানাও। [হাসান (রাঃ) বাচ্চাদের জানাযায় সূরা ফাতিহা ও এই দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ প্রসঙ্গের অধ্যায়ে মু‘আল্লাক সূত্রে; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৪৯১)]
بِسْمِ اللهِ وَعَلٰى مِلَّةِ رَسُوْلِ اللهِ
উচ্চারণ : বিস্মিল্লা-হি ওয়া‘আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লা-হ।
অর্থ : আল্লাহর নামে এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মিল্লাতের উপর (লাশকে কবরে রাখছি)। [ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন লাশ কবরে রাখতেন, তখন এই দু‘আ পাঠ করতেন। (তিরমিযী, হা/১০৪৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৫৫০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৮১২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩১০৯)]
উচ্চারণ : বিস্মিল্লা-হি ওয়া‘আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লা-হ।
অর্থ : আল্লাহর নামে এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মিল্লাতের উপর (লাশকে কবরে রাখছি)। [ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন কোন লাশ কবরে রাখতেন, তখন এই দু‘আ পাঠ করতেন। (তিরমিযী, হা/১০৪৬; ইবনে মাজাহ, হা/১৫৫০; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৮১২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩১০৯)]
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لَه وَ ثَبِّتْهُ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফির লাহূ ওয়া সাববিতহু।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন এবং তাকে অবিচল রাখুন। [উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন লাশকে দাফন করে অবসর গ্রহণ করতেন তখন বলতেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো, তোমরা তার জন্য কবরে প্রতিষ্ঠিত থাকার দু‘আ করো। অর্থাৎ সে যেন ফেরেশতাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। কেননা এখন তাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। (আবু দাঊদ, হা/৩২২৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/৪৪৫; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৩৭২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৫১১; জামেউস সগীর, হা/৯৪৭; মিশকাত, হা/১৩৩)]
উল্লেখ্য যে, দাফনের পর এই দু‘আর সাথে জানাযার দু‘আগুলিও ব্যক্তিগতভাবে পড়া যায়।
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মাগফির লাহূ ওয়া সাববিতহু।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি তাকে ক্ষমা করে দিন এবং তাকে অবিচল রাখুন। [উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন লাশকে দাফন করে অবসর গ্রহণ করতেন তখন বলতেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো, তোমরা তার জন্য কবরে প্রতিষ্ঠিত থাকার দু‘আ করো। অর্থাৎ সে যেন ফেরেশতাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। কেননা এখন তাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। (আবু দাঊদ, হা/৩২২৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/৪৪৫; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৩৭২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৫১১; জামেউস সগীর, হা/৯৪৭; মিশকাত, হা/১৩৩)]
উল্লেখ্য যে, দাফনের পর এই দু‘আর সাথে জানাযার দু‘আগুলিও ব্যক্তিগতভাবে পড়া যায়।
إِنَّ لِلّٰهِ مَا أَخَذَ وَلَه مَا أَعْطٰى وَكُلُّ شَىْءٍ عِنْدَه بِأَجَلٍ مُّسَمًّى فَلْتَصْبِرْ وَلْتَحْتَسِبْ .
উচ্চারণ : ইন্নালিল্লা-হি মা-আখাযা ওয়ালাহূ মা-আ‘ত্বা, ওয়াকুল্লু শায়ইন ‘ইনদাহূ বিআজালিম মুসাম্মা, ফালতাসবির ওয়াল তাহতাসিব।
অর্থ : নিশ্চয় আল্লাহ যা নিয়ে গেছেন তা তাঁর এবং তিনি যা দান করেন তাও তাঁর। আল্লাহর কাছে প্রত্যেকটি জিনিসেরই একটি নির্ধারিত সময় থাকে। সুতরাং তুমি ধৈর্যধারণ করো এবং সওয়াবের আশা রাখো। [উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একটি ছেলে মারা গেলে নবী ﷺ এ দু‘আ পাঠ করে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিলেন। (সহীহ বুখারী, হা/১২৭৪; সহীহ মুসলিম, হা/২১৭৪; নাসাঈ, হা/১৮৬৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৫৭৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৮২৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৪৬১; আদাবুল মুফরাদ, হা/৫১২; মিশকাত, হা/১৭২৩)]
উচ্চারণ : ইন্নালিল্লা-হি মা-আখাযা ওয়ালাহূ মা-আ‘ত্বা, ওয়াকুল্লু শায়ইন ‘ইনদাহূ বিআজালিম মুসাম্মা, ফালতাসবির ওয়াল তাহতাসিব।
অর্থ : নিশ্চয় আল্লাহ যা নিয়ে গেছেন তা তাঁর এবং তিনি যা দান করেন তাও তাঁর। আল্লাহর কাছে প্রত্যেকটি জিনিসেরই একটি নির্ধারিত সময় থাকে। সুতরাং তুমি ধৈর্যধারণ করো এবং সওয়াবের আশা রাখো। [উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একটি ছেলে মারা গেলে নবী ﷺ এ দু‘আ পাঠ করে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিলেন। (সহীহ বুখারী, হা/১২৭৪; সহীহ মুসলিম, হা/২১৭৪; নাসাঈ, হা/১৮৬৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৫৭৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৮২৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৪৬১; আদাবুল মুফরাদ, হা/৫১২; মিশকাত, হা/১৭২৩)]
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَلَاحِقُوْنَ أَسْأَلُ اللهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ .
উচ্চারণ : আসসালা-মু ‘আলাইকুম আহলাদ দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীন, ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লালা-হিকূন, আসআলুল্লা-হা লানা ওয়ালাকুমুল ‘আ-ফিয়াহ্।
অর্থ : হে কবরবাসী মুমিন ও মুসলমান! তোমাদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক, আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব আল্লাহ যদি চান। আমরা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য এবং তোমাদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে জান্নাতুল বাকিতে গিয়ে মৃত ব্যক্তিদের জন্য ইসিত্মগফার করার আদেশ দিলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি সেখানে গিয়ে কী পাঠ করব? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তুমি সেখানে গিয়ে এই দু‘আটি পাঠ করবে। (সহীহ মুসলিম, হা/২৩০১; নাসাঈ, হা/২০৩৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩০৮৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩১৭৩; মিশকাত, হা/১৭৬৪)]
উচ্চারণ : আসসালা-মু ‘আলাইকুম আহলাদ দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীন, ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লালা-হিকূন, আসআলুল্লা-হা লানা ওয়ালাকুমুল ‘আ-ফিয়াহ্।
অর্থ : হে কবরবাসী মুমিন ও মুসলমান! তোমাদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক, আমরাও তোমাদের সাথে মিলিত হব আল্লাহ যদি চান। আমরা আল্লাহর নিকট আমাদের জন্য এবং তোমাদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে জান্নাতুল বাকিতে গিয়ে মৃত ব্যক্তিদের জন্য ইসিত্মগফার করার আদেশ দিলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি সেখানে গিয়ে কী পাঠ করব? রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তুমি সেখানে গিয়ে এই দু‘আটি পাঠ করবে। (সহীহ মুসলিম, হা/২৩০১; নাসাঈ, হা/২০৩৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩০৮৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৩১৭৩; মিশকাত, হা/১৭৬৪)]
(১) ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ যখন এ আয়াত পাঠ করতেন - ﴿سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْاَعْلٰى﴾ সাবিবহিসমা রাবিবকাল আ‘লা। ‘‘তোমার মহান রবের নামে তাসবীহ পাঠ করো।’’ তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন-
سُبْحَانَ رَبِّىَ الْاَعْلٰى
উচ্চারণ : সুবহা-না রাবিবইয়াল আ‘লা।
অর্থ : আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। [আবু দাঊদ, হা/৮৮৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০৬৬; মিশকাত, হা/৮৫৯।]
(২) মূসা ইবনে আবু আয়েশা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি তার ঘরের ছাদের উপর সালাত আদায় করছিলেন। সে যখন এ আয়াত পাঠ করছিলেন, ﴿أَلَيْسَ ذٰلِكَ بِقَادِرٍ عَلٰۤى أَنْ يُّحْيِيَ الْمَوْتٰى﴾ (আলাইসা যা-লিকা বিক্বা-দিরিন ‘আলা আই ইউহ্য়িয়াল মাওতা) অর্থাৎ আল্লাহ কি মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম নন? তখন এ দু‘আ পাঠ করছিলেন-
سُبْحَانَكَ فَبَلٰى
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা ফাবালা।
অর্থ : আমি তোমার পবিত্রতা সহকারে বলছি, হ্যাঁ।
পরে লোকেরা তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এটা আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে শুনেছি। [আবু দাঊদ, হা/৮৮৪; শারহুস সুন্নাহ, হা/৬২৪।]
(৩) জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ (সালাত পড়ানোর জন্য) সাহাবীদের নিকট গেলেন। অতঃপর সূরা আর-রাহমান শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন। তখন সাহাবীগণ নীরব ছিলেন। (সালাত শেষে) তিনি বললেন, যে রাত্রে আমার নিকট জিনের দল আসে, সে রাত্রে আমি উক্ত সূরা পাঠ করলে ওরা সুন্দর জবাব দিচ্ছিল। যখনই আমি পাঠ করছিলাম, ﴿فَبِأَيِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ﴾ ‘‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে’’? তখন তারাও এর জবাবে বলছিল,
لَا بِشَئٍ مِّنْ نِّعْمَةٍ رَبَّنَا نُكَذِّبُ، فَلَكَ الْحَمْدُ
উচ্চারণ : লা বিশায়ইম মিন নি‘মাতিন রাববানা নুকাযযিবু, ফালাকাল হামদ।
অর্থ : তোমার নিয়ামতসমূহের কোন কিছুকেই আমরা অস্বীকার করি না, হে আমাদের প্রতিপালক! অতএব সমসত্ম প্রশংসা আপনারই জন্য। [তিরমিযী, হা/৩২৯১; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫৮৫৩; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২১৫০; মিশকাত, হা/৮৬১।]
سُبْحَانَ رَبِّىَ الْاَعْلٰى
উচ্চারণ : সুবহা-না রাবিবইয়াল আ‘লা।
অর্থ : আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। [আবু দাঊদ, হা/৮৮৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০৬৬; মিশকাত, হা/৮৫৯।]
(২) মূসা ইবনে আবু আয়েশা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি তার ঘরের ছাদের উপর সালাত আদায় করছিলেন। সে যখন এ আয়াত পাঠ করছিলেন, ﴿أَلَيْسَ ذٰلِكَ بِقَادِرٍ عَلٰۤى أَنْ يُّحْيِيَ الْمَوْتٰى﴾ (আলাইসা যা-লিকা বিক্বা-দিরিন ‘আলা আই ইউহ্য়িয়াল মাওতা) অর্থাৎ আল্লাহ কি মৃতকে জীবিত করতে সক্ষম নন? তখন এ দু‘আ পাঠ করছিলেন-
سُبْحَانَكَ فَبَلٰى
উচ্চারণ : সুবহা-নাকা ফাবালা।
অর্থ : আমি তোমার পবিত্রতা সহকারে বলছি, হ্যাঁ।
পরে লোকেরা তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এটা আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে শুনেছি। [আবু দাঊদ, হা/৮৮৪; শারহুস সুন্নাহ, হা/৬২৪।]
(৩) জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ (সালাত পড়ানোর জন্য) সাহাবীদের নিকট গেলেন। অতঃপর সূরা আর-রাহমান শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন। তখন সাহাবীগণ নীরব ছিলেন। (সালাত শেষে) তিনি বললেন, যে রাত্রে আমার নিকট জিনের দল আসে, সে রাত্রে আমি উক্ত সূরা পাঠ করলে ওরা সুন্দর জবাব দিচ্ছিল। যখনই আমি পাঠ করছিলাম, ﴿فَبِأَيِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ﴾ ‘‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে’’? তখন তারাও এর জবাবে বলছিল,
لَا بِشَئٍ مِّنْ نِّعْمَةٍ رَبَّنَا نُكَذِّبُ، فَلَكَ الْحَمْدُ
উচ্চারণ : লা বিশায়ইম মিন নি‘মাতিন রাববানা নুকাযযিবু, ফালাকাল হামদ।
অর্থ : তোমার নিয়ামতসমূহের কোন কিছুকেই আমরা অস্বীকার করি না, হে আমাদের প্রতিপালক! অতএব সমসত্ম প্রশংসা আপনারই জন্য। [তিরমিযী, হা/৩২৯১; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫৮৫৩; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২১৫০; মিশকাত, হা/৮৬১।]
سَجَدَ وَجْهِيْ لِلَّذِيْ خَلَقَه وَشَقَّ سَمْعَه وَبَصَرَه بِحَوْلِه وَقُوَّتِه فَتَبَارَكَ اللهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِيْنَ .
উচ্চারণ : সাজাদা ওয়াজহী লিল্লাযী খালাক্বাহূ ওয়াশাক্বক্বা সাম‘আহূ ওয়াবাসারাহূ, বিহাওলিহী ওয়া কুওওয়াতিহী ফাতাবা-রাকাল্লা-হু আহসানুল খা-লিক্বীন।
অর্থ : আমার মুখমন্ডল (সহ আমার সমস্ত দেহ) সিজদায় অবনত সেই মহান সত্তার জন্য, যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে চক্ষু ও কান তৈরি করেছেন স্বীয় ইচ্ছা ও শক্তির মাধ্যমে, মহিমান্বিত আল্লাহ সর্বোত্তম স্রষ্টা। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ রাতের বেলায় তিলাওয়াতে সিজদায় এই দু‘আটি বার বার পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/১৪১৬; তিরমিযী, হা/৫৮০, ৩৪২৫; নাসাঈ, হা/১১২৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৮৬৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৫৬৩; দার কুতনী, হা/১৫১৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৮০২; শারহুস সুন্নাহ, হা/৭৭০; মিশকাত, হা/১০৩৫)]
উচ্চারণ : সাজাদা ওয়াজহী লিল্লাযী খালাক্বাহূ ওয়াশাক্বক্বা সাম‘আহূ ওয়াবাসারাহূ, বিহাওলিহী ওয়া কুওওয়াতিহী ফাতাবা-রাকাল্লা-হু আহসানুল খা-লিক্বীন।
অর্থ : আমার মুখমন্ডল (সহ আমার সমস্ত দেহ) সিজদায় অবনত সেই মহান সত্তার জন্য, যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে চক্ষু ও কান তৈরি করেছেন স্বীয় ইচ্ছা ও শক্তির মাধ্যমে, মহিমান্বিত আল্লাহ সর্বোত্তম স্রষ্টা। [আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ রাতের বেলায় তিলাওয়াতে সিজদায় এই দু‘আটি বার বার পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/১৪১৬; তিরমিযী, হা/৫৮০, ৩৪২৫; নাসাঈ, হা/১১২৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৮৬৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৫৬৩; দার কুতনী, হা/১৫১৪; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৮০২; শারহুস সুন্নাহ, হা/৭৭০; মিশকাত, হা/১০৩৫)]