hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দৈনন্দিন সহীহ দু‘আ ও কুরআন-সুন্নার চিকিৎসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১ম অধ্যায় দু‘আ দু‘আর গুরুত্ব ও ফযীলত
১. আল্লাহ তা‘আলা দু‘আ কবুল করেন :

﴿وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُوْنِيْۤ أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِيْنَ يَسْتَكْبِرُوْنَ عَنْ عِبَادَتِيْ سَيَدْخُلُوْنَ جَهَنَّمَ دَاخِرِيْنَ﴾

তোমাদের রব বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা অহংকারের কারণে আমার ইবাদাত থেকে নাফরমানী করে, অচিরেই তারা অপমানিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সূরা মুমিন- ৬০)

﴿وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِيْ عَنِّيْ فَإِنِّيْ قَرِيْبٌ أُجِيْبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيْبُوْا لِيْ وَلْيُؤْمِنُوْا بِيْ لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُوْنَ﴾

আর যখন আমার বান্দারা আমার সম্বন্ধে তোমাকে জিজ্ঞেস করে তখন তাদেরকে বলে দাও, নিশ্চয় আমি (তার) নিকটেই রয়েছি। কোন আহবানকারী যখনই আমাকে ডাকে তখনই আমি তার আহবানে সাড়া দিয়ে থাকি। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমাকে বিশ্বাস করে, এতে করে তারা সঠিক পথে চলতে পারবে। (সূরা বাক্বারা- ১৮৬)

এ আয়াতগুলোতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে বলেছেন যে, তোমরা আমার কাছে চাও, আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।

২. প্রতি রাতে আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন :

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ قَالَ يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالٰى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِيْنَ يَبْقٰى ثُلُثُ اللَّيْلِ الْاٰخِرِ فَيَقُوْلُ مَنْ يَدْعُوْنِىْ فَأَسْتَجِيْبَ لَهٗ وَمَنْ يَسْأَلُنِىْ فَأُعْطِيَهٗ وَمَنْ يَسْتَغْفِرُنِىْ فَأَغْفِرَ لَهٗ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমাদের মহান রব প্রতি রাতে দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন, যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকি থাকে। অতঃপর তিনি তাঁর বান্দাদেরকে ডেকে বলেন, কে আমাকে ডাকবে- আমি তার ডাকে সাড়া দেব, কে আমার কাছে চাইবে- আমি তাকে দান করব। কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে- আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। [সহীহ বুখারী, হা/১১৪৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৮; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৮; তিরমিযী, হা/৩৪৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৬৬; মিশকাত, হা/১২২৩।]

১ সহীহ বুখারী, হা/১১৪৫; সহীহ মুসলিম, হা/১৮০৮; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৯৮; তিরমিযী, হা/৩৪৯৮; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৬৬; মিশকাত, হা/১২২৩।

৩. আল্লাহকে ডাকলে বান্দারই কল্যাণ হয় :

﴿قُلْ مَا يَعْبَأُ بِكُمْ رَبِّيْ لَوْلَا دُعَآؤُكُمْ فَقَدْ كَذَّبْتُمْ فَسَوْفَ يَكُوْنُ لِزَامًا﴾

আপনি বলুন, তোমাদের ব্যাপারে আমার রব কোন পরোয়া করেন না, যদি তোমরা তাঁকে না ডাক। তোমরা তো তাঁকে অস্বীকার করেছ। কাজেই শীঘ্রই তোমাদের উপর এসে পড়বে আযাব। (সূরা ফুরকান- ৭৭)

এ আয়াতের মধ্যে বলা হয়েছে যে, আল্লাহকে না ডাকলে আল্লাহর কিছু আসে-যায় না। তাই আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে আল্লাহকে ডাকতে হবে এবং তাঁর কাছেই চাইতে হবে।

৪. দু‘আ ইবাদাতের একটি মৌলিক অংশ :

عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ عَنِ النَّبِىِّ - - قَالَ : اَلدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ

নু‘মান ইবনে বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী ﷺ বলেছেন, দু‘আ হচ্ছে ইবাদাত। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮১; তিরমিযী, হা/২৯৬৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮২৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৩৭৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮০২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৯০; মিশকাত, হা/২২৩০।]

২ আবু দাঊদ, হা/১৪৮১; তিরমিযী, হা/২৯৬৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮২৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৩৭৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮০২; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৯০; মিশকাত, হা/২২৩০।

৫. দু‘আ আল্লাহর কাছে অতি সম্মানিত জিনিস :

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ  : لَيْسَ شَيْءٌ اَكْرَمَ عَلَى اللهِ مِنَ الدُّعَاءِ

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আল্লাহর কাছে দু‘আর চাইতে অধিক সম্মানজনক আর কোন জিনিস নেই। [তিরমিযী, হা/৩৩৭০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮২৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৭৩৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৭১২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮০১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭০; মিশকাত, হা/২২৩২।]

৩ তিরমিযী, হা/৩৩৭০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮২৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৭৩৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৭১২; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮০১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭০; মিশকাত, হা/২২৩২।

৬. দু‘আর ফলে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় :

عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ ، عَنِ النَّبِيِّ قَالَ لَا يَرُدُّ الْقَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ وَلَا يَزِيْدُ فِيْ الْعُمُرِاِلَّا الْبِرُّ

সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, দু‘আ ছাড়া অন্য কিছু তাকদীর পরিবর্তন করতে পারে না, আর নেকী ছাড়া অন্য কিছু বয়স বাড়াতে পারে না। [তিরমিযী, হা/২১৩৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৯; জামেউস সগীর, হা/১৩৬৪৫; মিশকাত, হা/২২৩৩।]

৪ তিরমিযী, হা/২১৩৯; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৪; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭২; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৯; জামেউস সগীর, হা/১৩৬৪৫; মিশকাত, হা/২২৩৩।

৭. আল্লাহর কাছে চাইলে তিনি খুশি হন :

দুনিয়াতে কোন মানুষের কাছে কিছু চাইলে সে নারাজ হয়, অথচ আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ তা‘আলা খুশি হন।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ مَنْ لَّمْ يَسْأَلِ اللهَ يَغْضَبْ عَلَيْهِ

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে আল্লাহর কাছে চায় না, আল্লাহ তার প্রতি রাগ করেন। [তিরমিযী, হা/৩৩৭৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৫৮; জামেউস সগীর, হা/৪১৮৩; মিশকাত, হা/২২৩৮।]

৫ তিরমিযী, হা/৩৩৭৩; আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৫৮; জামেউস সগীর, হা/৪১৮৩; মিশকাত, হা/২২৩৮।

৮. আল্লাহ বান্দার হাতকে খালি ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন :

সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّ رَبَّكُمْ حَيٌّ كَرِيْمٌ يَسْتَحْيِيْ مِنْ عَبْدِه إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَيْهِ أَنْ يَّرُدَّهُمَا صِفْرًا

তোমাদের রব লজ্জাশীল ও দাতা। বান্দা যখন তাঁর কাছে দু’হাত তুলে কিছু চায়, তখন তিনি তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। [তিরমিযী, হা/৩৫৫৬; আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭৬; জামেউস সগীর, হা/২৬৩৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৫; মিশকাত, হা/২২৪৪।]

৬ তিরমিযী, হা/৩৫৫৬; আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৭৬; জামেউস সগীর, হা/২৬৩৮; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৫; মিশকাত, হা/২২৪৪।

৯. কোন দু‘আই বিফলে যায় না :

وَعَنْ أَبِيْ سَعِيْدِنِ الْخُدْرِيِّ أَنَّ النَّبِيَّ قَالَ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَدْعُوْا بِدَعْوَةٍ لَيْسَ فِيْهَا ِإثْمٌ وَلَا قَطِيْعَةُ رِحْمٍ إِلَّا أَعْطَاهُ اللهُ بِهَا إِحْدٰى ثَلَاثٍ : إِمَّا أنْ يَّعْجَلَ لَهٗ دَعْوَتَه وَإمَّا اَنْ يَّدَّخِرَهَا لَه فِي الْاٰخِرَةِ وَإمَّا أَنْ يَّصْرِفَ عَنْهُ مِنَ السُّوْءِ مِثْلَهَا قَالُوْا إذَنْ نُكَثِّرَ قَالَ : اَللهُ أَكْثَرُ

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কোন মুসলিমের দু‘আ যদি পাপ কাজ ও রক্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য না হয়, তবে তার দু‘আর কারণে নিম্নের এ তিনটির একটি ফল অবশ্যই আল্লাহ তাকে দান করবেন। সেগুলো হলো :

ক. হয় দুনিয়াতেই তার চাওয়া বসত্মু তাকে দিয়ে দেবেন,

খ. অথবা পরকালে তাকে এর প্রতিদান দেবেন,

গ. অথবা তার থেকে অনুরূপ কোন অমঙ্গল দূর করে দেবেন।

রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বক্তব্য শুনে সাহাবীগণ বললেন, তাহলে আমরা বেশি বেশি দু‘আ করব। নবী ﷺ বললেন, আল্লাহ আরো অধিক দান করবেন। [মুসনাদে আহমাদ, হা/১১১৪৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৯৭৮০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৩; মিশকাত, হা/২২৫৯।]

৭ মুসনাদে আহমাদ, হা/১১১৪৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৯৭৮০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬৩৩; মিশকাত, হা/২২৫৯।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন