মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সত্যের আহবান কেবল আল্লাহর জন্য। যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদের ডাকে, তারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। যেমন একজন মানুষ যে পিপাসায় কাতর হয়ে নিজের উভয় হাত পানির দিকে প্রসারিত করে এ আশায় যে, পানি নিজে নিজেই তার মুখে এসে পৌঁছবে, অথচ তা কোন অবস্থায়ই তার কাছে পৌঁছবে না। কাফিরদের দু‘আ ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নয়। (সূরা রা‘দ- ১৪)
আল্লাহই একমাত্র দু‘আ কবুলকারী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তিনি কে, যিনি কোন অসহায় ব্যক্তির ডাকে সাড়া দেন- যখন নিরুপায় হয়ে সে তাঁকেই ডাকতে থাকে। অতঃপর তিনি তার বিপদাপদ দূর করে দেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি বানান। আল্লাহর সাথে আর কোন উপাস্য আছে কি? আসলে তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ করে থাক। (সূরা নামল- ৬২)
আল্লাহ ছাড়া অপরের কাছে দু‘আ করা গুমরাহী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
তার চাইতে বেশি বিভ্রান্ত ব্যক্তি আর কে হতে পারে, যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকে, যাকে কিয়ামত পর্যন্ত ডাকলেও তার ডাকে সাড়া দিতে পারবে না? কারণ তারা তাদের অনুসারীদের ডাক সম্পর্কে সম্পূর্ণ বেখবর।
(সূরা আহকাফ- ৫)
উপরের আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা বলে দিয়েছেন যে, আমি ছাড়া তোমাদের দু‘আ কবুল করার কে আছে? অর্থাৎ কেউ নেই। তাই আমাদেরকে সবসময় আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। জীবিত বা মৃত কোন মাখলুকের কাছে চাওয়া যাবে না।
বলুন, আমার প্রতিপালক ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব প্রত্যেক সালাতে তোমাদের লক্ষ্য ও মনোযোগকে আল্লাহমুখী করো এবং তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁকে ডাকো। যেভাবে তিনি তোমাদেরকে প্রথমে সৃষ্টি করেছেন (মৃত্যুর পর আবার) সেভাবেই তোমরা ফিরে আসবে। (সূরা আ‘রাফ- ২৯)
আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন এবং তোমরা যা কিছু করে থাক, আল্লাহ তা দেখেন। (সূরা হাদীদ- ৪)
উপরের আয়াতগুলোর মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, আল্লাহ বান্দার সকল ডাক শুনতে পান। কারণ তিনি বান্দার অন্তরের খবর জানেন। তাই নীরবে বিনয়ের সাথে আল্লাহর কাছে দু‘আ করা উচিত।
৫. হাতের পেট সামনের দিকে রাখা :
মালিক ইবনে ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
যখন তোমরা আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইবে, তখন তোমরা তোমাদের হাতের পেট দিয়ে চাইবে এবং পিঠ দিয়ে চাইবে না। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৬৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০০১৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৫; মিশকাত, হা/২২৪২।]
১২ আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৬৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০০১৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৫; মিশকাত, হা/২২৪২।
৬. দু‘আর মাঝে আল্লাহর প্রশংসা ও নবীi cÖwZ দরূদ পাঠ করা :##
ফাযালা ইবনে উবাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ এক ব্যক্তিকে সালাতরত অবস্থায় দু‘আ করতে শুনলেন। কিমত্মু সে উক্ত দু‘আয় আল্লাহর গুণগান এবং নবী ﷺ এর উপর দরূদ পাঠ করল না। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, এ লোকটি তাড়াহুড়া করছে। তারপর তিনি তাকে ডাকলেন এবং বললেন, তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি সালাত পড়লে সে যেন তার রবের হামদ ও সানা দিয়ে আরম্ভ করে, তারপর নবীর উপর দরূদ পাঠ করে, অতঃপর নিজের পছন্দমতো দু‘আ করে। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৭; নাসাঈ, হা/১২৮৪।]
১৩ আবু দাঊদ, হা/১৪৮৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৭; নাসাঈ, হা/১২৮৪।
উল্লেখ্য যে, সূরা ফাতিহা হচ্ছে উত্তম প্রশংসা ও দু‘আ।
অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। যিনি পরম করুণাময় ও অতিশয় দয়ালু। যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক। আমরা শুধুমাত্র আপনারই ইবাদাত করি এবং আপনার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন; তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আপনার গযব নাযিল হয়েছে এবং তাদের পথও নয়, যারা পথভ্রষ্ট।
অর্থ : তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবুদ নেই, তিনি অদৃশ্য এবং দৃশ্যের সব কিছুই জানেন; তিনি দয়াময় ও পরম দয়ালু। তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবুদ নেই। তিনি অধিপতি, অতীব পবিত্র, পরিপূর্ণ শান্তিদাতা, নিরাপত্তা দানকারী, রক্ষক, পরাক্রমশালী, প্রবল, অতীব মহিমান্বিত, তার সাথে যা শরীক করা হয় তিনি তা হতে পবিত্র ও মহান। তিনিই আল্লাহ যিনি সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, সকল উত্তম নাম তাঁরই। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই তাঁর মহিমা ঘোষণা করে, তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাবান।
সূরা আলে ইমরানের ২৬ ও ২৭ নং আয়াতেও আল্লাহর সুন্দর নাম উল্লেখ রয়েছে।
অর্থ : বলো, হে আল্লাহ! আপনি সমুদয় রাজ্যের মালিক, যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করেন আর যার থেকে ইচ্ছা রাজ্য কেড়ে নেন এবং যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন, আপনার হাতে সব কল্যাণ, নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। আপনিই রাতকে দিনের ভেতর আর দিনকে রাতের ভেতর প্রবেশ করান, আপনি জীবিতকে মৃত হতে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত হতে বের করেন আর যাকে ইচ্ছা অগণিত রিযিক দান করেন।
৮. ইসমে আ‘যম পড়ে দু‘আ করা :
আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদা (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন দেখলেন যে, এক ব্যক্তি সালাত আদায় করছে এবং এভাবে দু‘আ করছে-
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি এবং সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। আপনি একক ও অমুখাপেক্ষী। যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো কাছ থেকে জন্মলাভ করেননি, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।
এ দু‘আ শুনে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আল্লাহর কসম! সে ইসমে আ‘যম নিয়ে দু‘আ করছে- যার মাধ্যমে চাইলে চাওয়া পূর্ণ করা হয় এবং দু‘আ করলে দু‘আ কবুল করা হয়। [আবু দাঊদ, হা/১৪৯৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৫; মিশকাত, হা/২২৮৩।]
১৪ আবু দাঊদ, হা/১৪৯৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৫; মিশকাত, হা/২২৮৩।
যে ব্যক্তি সম্মান লাভ করতে চায় সে জেনে রাখুক যে, সকল সম্মান আল্লাহর জন্য। উত্তম বাক্যসমূহ তাঁর কাছে পৌঁছে থাকে। আর নেক কাজ তাকে উপরে তুলে দেয়। (সূরা ফাতির- ১০)
হাদীসে এসেছে, তিন ব্যক্তি একটি গর্তে আশ্রয় নিয়ে বিপদে পড়েছিল। পরে তারা পরস্পরকে বলাবলি করতে লাগল,
اُدْعُوا اللهَ بِأَفْضَلِ عَمَلٍ عَمِلْتُمُوْهُ
তোমরা জীবনে সবচেয়ে ভালো যে আমল করেছ, তার অসীলা নিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করো। তারা তাই করল, ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের দু‘আ কবুল করে তাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন। [সহীহ বুখারী, হা/২২১৫; সুনানুল কাবীর লিন নাসাঈ, হা/১১৮২৬।]
১৫ সহীহ বুখারী, হা/২২১৫; সুনানুল কাবীর লিন নাসাঈ, হা/১১৮২৬।
১০. দু‘আয় সীমালঙ্ঘন না করা :
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, এ উম্মতের মধ্যে এমন একদল লোক বের হবে, যারা দু‘আ এবং পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করবে। [আবু দাঊদ, হা/৯৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৭৬৩; জামেউস সগীর, হা/৪১৬১; মিশকাত, হা/৪১৮।]
১৬ আবু দাঊদ, হা/৯৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৭৬৩; জামেউস সগীর, হা/৪১৬১; মিশকাত, হা/৪১৮।
১১. সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ডাকা :
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি চায় যে, বিপদের সময় আল্লাহ তার দু‘আ কবুল করুক, সে যেন সুখের সময়ও আল্লাহকে ডাকে। [তিরমিযী, হা/৩৩৮২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৩৯৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৯৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬২৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৩; মিশকাত, হা/২২৪০।]
মহান আল্লাহ বলেন, মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন তারা শুয়ে, বসে ও দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকতে থাকে। অতঃপর যখন আমি তার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেই, তখন সে এমনভাবে চলাফেরা করে, মনে হয় যেন কোন বিপদে পড়ে সে আমাকে ডাকেনি। (সূরা ইউনুস- ১২)
মানুষকে যখন বিপদাপদ স্পর্শ করে তখন তারা তাদের প্রতিপালককে ডাকে তাঁর অভিমুখী হয়ে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে তাঁর রহমতের স্বাদ আস্বাদন করান তখন তাদের একদল তাদের প্রতিপালকের সাথে শিরক করে বসে। (সূরা রূম- ৩৩)
আর যখন আমি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি, তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং উল্টো দিকে ফিরে যায়, আবার যখন তাকে কোন অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে দীর্ঘ দু‘আ নিয়ে আমার সামনে হাজির হয়। (সূরা হা-মীম সাজদা- ৫১)
১২. আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা :
দু‘আ কবুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে, আল্লাহর কাছে বিনয় সহকারে কাকুতি-মিনতি করে দু‘আ করতে হবে। যদি চোখের পানি ফেলে দিয়ে বান্দা আল্লাহর কাছে কিছু চায়, তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তার দিকে মনোযোগ দেবেন। আমরা দেখি কোন সন্তান যখন কান্না করে, তখন মা দৌড়ে এসে তাকে কোলে নেয় এবং আদর করে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে মায়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। তাই বান্দা যখন তার কোন প্রয়োজন পূরণের জন্য অথবা বিপদ থেকে মুক্তি লাভের জন্য কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে, তখন আল্লাহর রহমত তার দিকে অগ্রসর হয়। নবী ﷺ এবং সাহাবীরা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কান্না করতেন। যেমন নিচের আয়াত ও হাদীসগুলোতে আমরা তার প্রমাণ পাই।
১. আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাবের কিছু লোকের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন,
তোমরা কি এ বাণী সম্পর্কে আশ্চর্যবোধ করছ? হাসছ অথচ কাঁদছ না।
(সূরা নাজম- ৫৯, ৬০)
৩. ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, দুটি চোখ জাহান্নামে প্রবেশ করবে না : ১. যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কাঁদে এবং ২. যে চোখ জিহাদের ময়দানে পাহাড়া দেয়। [তিরমিযী, হা/১৬৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২৫২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৪৩৪৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৪৩০; শারহুস সুন্নাহ, হা/২৬২০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৩২২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৭৩; জামেউস সগীর, হা/৬৩৩৮; মিশকাত, হা/৩৭২৯।]
৪. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ছায়ায় স্থান দেবেন যেদিন তার ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া থাকবে না। তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি হচ্ছে, যে নির্জনে আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ করে এবং তার দু’চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত করে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭০৯; সহীহ বুখারী, হা/৬৬০; সহীহ মুসলিম, হা/২৪২৭; তিরমিযী, হা/২৩৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৬৬৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৩৫৮; মিশকাত, হা/৭০১।]
৫. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী ﷺ বললেন, আমাকে কুরআন পড়ে শোনাও। আমি বললাম, আপনাকে কুরআন শোনাব? অথচ আপনার উপর কুরআন নাযিল হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, অন্যের কাছ থেকে কুরআন শুনতে আমি পছন্দ করি। অতঃপর আমি সূরা নিসা পাঠ করে তাঁকে শোনাতে থাকলাম। যখন এ আয়াতে পৌঁছলাম-
৬. ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মৃত্যু যন্ত্রণা বেড়ে গেল, তখন তিনি বললেন, আবু বকরকে বলো- মানুষকে নিয়ে সালাত আদায় করতে। এ কথা শুনে আয়েশা (রাঃ) বললেন, আবু বকর আপনার স্থানে দাঁড়ালে কান্না করার কারণে মানুষকে কিছুই শোনাতে পারবেন না। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪১২; সহীহ বুখারী, হা/৬৭৯; তিরমিযী, হা/৩৬৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬৯১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৮৭৪; বায়হাকী, হা/১৬৩৫৯।]
৭. একদা আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ) এর নিকট খানা নিয়ে আসা হলো। তখন তিনি সিয়ামরত ছিলেন। অতঃপর বললেন, মাস‘আব ইবনে উমাইর শাহাদাত বরণ করেছিলেন, তিনি আমার চেয়ে উত্তম ছিলেন। তাকে কাফন পরানোর জন্য তার চাদরটি ব্যতীত অন্য কিছু পাওয়া যায়নি। মাথা ঢাকা হলে পা বেরিয়ে যেত আর পা ঢাকা হলে মাথা বেরিয়ে যেত। তারপর আমাদের জন্য দুনিয়া প্রশস্ত করে দেয়া হলো। আমি ভয় করছি আমাদের নেক আমলের সওয়াব দুনিয়াতেই পেয়ে যাচ্ছি কি না। এ কথা বলার পর খাবার রেখে তিনি কান্না শুরু করে দিলেন। [সহীহ বুখারী, হা/১২৭৫; বায়হাকী, হা/৬৪৭৫।]
২৩ সহীহ বুখারী, হা/১২৭৫; বায়হাকী, হা/৬৪৭৫।
৮. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ইন্তেকালের পর আবু বকর (রাঃ) উমর (রাঃ) কে বললেন, চলুন আমরা উম্মে আইমানের কাছে যাই, যেভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে দেখতে যেতেন। যখন তারা তার কাছে গেলেন তখন ঐ মহিলা কান্না করছিলেন। তারা তাকে বললেন তুমি কাঁদছ কেন? রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য আল্লাহর কাছে যা আছে তা অনেক উত্তম। তিনি বললেন, আমি এজন্য কান্না করছি না, আমি জানি আল্লাহর কাছে যা আছে তা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য উত্তম; বরং আমি কান্না করছি এজন্য যে, আসমান থেকে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ কথা শুনে তারা দু’জনও কাঁদতে লাগলেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৭২; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৩৫; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৯; বায়হাকী, হা/১৩৩১৪; মিশকাত, হা/৫৯৬৭।]
২৪ সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৭২; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৩৫; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৯; বায়হাকী, হা/১৩৩১৪; মিশকাত, হা/৫৯৬৭।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/185/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।