hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দৈনন্দিন সহীহ দু‘আ ও কুরআন-সুন্নার চিকিৎসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

দু‘আর আদব ও নিয়মাবলি
১. একমাত্র আল্লাহর কাছেই দু‘আ করতে হবে :

﴿لَه دَعْوَةُ الْحَقِّ وَالَّذِيْنَ يَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِه لَا يَسْتَجِيْبُوْنَ لَهُمْ بِشَيْءٍ إِلَّا كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ إِلَى الْمَآءِ لِيَبْلُغَ فَاهُ وَمَا هُوَ بِبَالِغِه وَمَا دُعَآءُ الْكَافِرِيْنَ إِلَّا فِيْ ضَلَالٍ﴾

সত্যের আহবান কেবল আল্লাহর জন্য। যারা তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যদের ডাকে, তারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। যেমন একজন মানুষ যে পিপাসায় কাতর হয়ে নিজের উভয় হাত পানির দিকে প্রসারিত করে এ আশায় যে, পানি নিজে নিজেই তার মুখে এসে পৌঁছবে, অথচ তা কোন অবস্থায়ই তার কাছে পৌঁছবে না। কাফিরদের দু‘আ ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নয়। (সূরা রা‘দ- ১৪)

আল্লাহই একমাত্র দু‘আ কবুলকারী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَمَّنْ يُّجِيْبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوْٓءَ وَيَجْعَلُكُمْ خُلَفَآءَ الْاَرْضِ أَإِلٰهٌ مَّعَ اللهِ قَلِيْلًا مَّا تَذَكَّرُوْنَ﴾

তিনি কে, যিনি কোন অসহায় ব্যক্তির ডাকে সাড়া দেন- যখন নিরুপায় হয়ে সে তাঁকেই ডাকতে থাকে। অতঃপর তিনি তার বিপদাপদ দূর করে দেন এবং তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি বানান। আল্লাহর সাথে আর কোন উপাস্য আছে কি? আসলে তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ করে থাক। (সূরা নামল- ৬২)

আল্লাহ ছাড়া অপরের কাছে দু‘আ করা গুমরাহী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَمَنْ أَضَلُّ مِمَّنْ يَّدْعُوْ مِنْ دُوْنِ اللهِ مَنْ لَّا يَسْتَجِيْبُ لَهٗۤ إِلٰى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَهُمْ عَنْ دُعَآئِهِمْ غَافِلُوْنَ﴾

তার চাইতে বেশি বিভ্রান্ত ব্যক্তি আর কে হতে পারে, যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকে, যাকে কিয়ামত পর্যন্ত ডাকলেও তার ডাকে সাড়া দিতে পারবে না? কারণ তারা তাদের অনুসারীদের ডাক সম্পর্কে সম্পূর্ণ বেখবর।

(সূরা আহকাফ- ৫)

উপরের আয়াতগুলোতে আল্লাহ তা‘আলা বলে দিয়েছেন যে, আমি ছাড়া তোমাদের দু‘আ কবুল করার কে আছে? অর্থাৎ কেউ নেই। তাই আমাদেরকে সবসময় আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। জীবিত বা মৃত কোন মাখলুকের কাছে চাওয়া যাবে না।

২. ইখলাস ও একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহকে ডাকতে হবে :

﴿قُلْ أَمَرَ رَبِّيْ بِالْقِسْطِ وَأَقِيْمُوْا وُجُوْهَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَّادْعُوْهُ مُخْلِصِيْنَ لَهُ الدِّيْنَ كَمَا بَدَأَكُمْ تَعُوْدُوْنَ﴾

বলুন, আমার প্রতিপালক ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব প্রত্যেক সালাতে তোমাদের লক্ষ্য ও মনোযোগকে আল্লাহমুখী করো এবং তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁকে ডাকো। যেভাবে তিনি তোমাদেরকে প্রথমে সৃষ্টি করেছেন (মৃত্যুর পর আবার) সেভাবেই তোমরা ফিরে আসবে। (সূরা আ‘রাফ- ২৯)

৩. কবুলের আশা নিয়ে দু‘আ করতে হবে :

﴿إِنَّهُمْ كَانُوْا يُسَارِعُوْنَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُوْنَنَا رَغَبًا وَّرَهَبًا وَّكَانُوْا لَنَا خَاشِعِيْنَ﴾

তারা (নবীরা) সৎ কাজে ছিল দ্রুতগামী, তারা আমাকে ডাকতো আশা নিয়ে ও ভীত হয়ে, আর তারা ছিল আমার প্রতি বিনয়ী। (সূরা আম্বিয়া- ৯০)

এ আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা নবীদের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, তারা ভয় ও আশা নিয়ে আল্লাহ তা‘আলাকে ডাকতেন। হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ -- : اُدْعُوا اللهَ وَأَنْتُمْ مُوْقِنُوْنَ بِالْإِجَابَةِ وَاعْلَمُوْا أَنَّ اللهَ لَا يَسْتَجِيْبُ دُعَاءً مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لَاهٍ

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কবুল হওয়ার আশা ও বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করো। জেনে রেখো, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা অমনোযোগী অমত্মরের দু‘আ কবুল করেন না। [তিরমিযী, হা/৩৪৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/১০০৬১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৯২; মিশকাত, হা/২২৪১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৪।]

১১ তিরমিযী, হা/৩৪৭৯; মুসনাদুল বাযযার, হা/১০০৬১; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৮১৭; মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৯২; মিশকাত, হা/২২৪১; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৪।

৪. নীরবে বিনয়ের সাথে দু‘আ করতে হবে :

﴿اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَّخُفْيَةً إِنَّهٗ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ﴾

তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ডাকো বিনয়ের সাথে এবং গোপনে। নিশ্চয় তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা আ‘রাফ- ৫৫)

যাকারিয়া (আঃ) নীরবে দু‘আ করেছিলেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿ذِكْرُ رَحْمَتِ رَبِّكَ عَبْدَه زَكَرِيَّا إِذْ نَادٰى رَبَّه نِدَآءً خَفِيًّا﴾

এটা তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ তাঁর বান্দা যাকারিয়ার প্রতি। যখন তিনি তাঁর প্রতিপালককে গোপনে ডেকেছিলেন। (সূরা মারইয়াম- ২, ৩)

আল্লাহ তা‘আলা বান্দার সব ডাকই শুনতে পান। তিনি বলেন,

﴿إِنَّ رَبِّيْ لَسَمِيْعُ الدُّعَآءِ﴾

অবশ্যই আমার রব দু‘আ শ্রবণকারী। (সূরা ইবরাহীম- ৩৯)

বান্দা যেখানেই থাকুক, সে আল্লাহকে কাছে পাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَهُوَ مَعَكُمْ أَيْنَ مَا كُنْتُمْ وَاللهُ بِمَا تَعْمَلُوْنَ بَصِيْرٌ﴾

আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন এবং তোমরা যা কিছু করে থাক, আল্লাহ তা দেখেন। (সূরা হাদীদ- ৪)

উপরের আয়াতগুলোর মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম যে, আল্লাহ বান্দার সকল ডাক শুনতে পান। কারণ তিনি বান্দার অন্তরের খবর জানেন। তাই নীরবে বিনয়ের সাথে আল্লাহর কাছে দু‘আ করা উচিত।

৫. হাতের পেট সামনের দিকে রাখা :

মালিক ইবনে ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِذَا سَأَلْتُمُ اللهَ فَاسْأَلُوْهُ بِبُطُوْنِ أَكُفِّكُمْ وَلَا تَسْأَلُوْهُ بِظُهُوْرِهَا

যখন তোমরা আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইবে, তখন তোমরা তোমাদের হাতের পেট দিয়ে চাইবে এবং পিঠ দিয়ে চাইবে না। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৬৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০০১৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৫; মিশকাত, হা/২২৪২।]

১২ আবু দাঊদ, হা/১৪৮৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৬৮; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/৩০০১৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৫; মিশকাত, হা/২২৪২।

৬. দু‘আর মাঝে আল্লাহর প্রশংসা ও নবীi cÖwZ দরূদ পাঠ করা :##

ফাযালা ইবনে উবাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ ﷺ এক ব্যক্তিকে সালাতরত অবস্থায় দু‘আ করতে শুনলেন। কিমত্মু সে উক্ত দু‘আয় আল্লাহর গুণগান এবং নবী ﷺ এর উপর দরূদ পাঠ করল না। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, এ লোকটি তাড়াহুড়া করছে। তারপর তিনি তাকে ডাকলেন এবং বললেন, তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি সালাত পড়লে সে যেন তার রবের হামদ ও সানা দিয়ে আরম্ভ করে, তারপর নবীর উপর দরূদ পাঠ করে, অতঃপর নিজের পছন্দমতো দু‘আ করে। [আবু দাঊদ, হা/১৪৮৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৭; নাসাঈ, হা/১২৮৪।]

১৩ আবু দাঊদ, হা/১৪৮৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৭; নাসাঈ, হা/১২৮৪।

উল্লেখ্য যে, সূরা ফাতিহা হচ্ছে উত্তম প্রশংসা ও দু‘আ।

সূরা ফাতিহা :

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ اَلرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ مَالِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ صِرَاطَ الَّذِيْنَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّآلِّيْنَ

উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হির রাহ্মা-নির রাহীম। আলহামদুলিল্লা-হি রাবিবল ‘আ-লামীন। আর রাহমা-নির রাহীম। মা-লিকিইয়াউ মিদ্দীন। ইয়্যা-কা না‘বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতা‘য়ীন। ইহদিনাস সিরা-ত্বাল মুসতাক্বীম। সিরা-ত্বাল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলাইহিম। গাইরিল মাগযূবি ‘আলাইহিম ওয়ালায যা-ল্লীন।

অর্থ : আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরম করুণাময় ও অতি দয়ালু। সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক। যিনি পরম করুণাময় ও অতিশয় দয়ালু। যিনি প্রতিফল দিবসের মালিক। আমরা শুধুমাত্র আপনারই ইবাদাত করি এবং আপনার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি। আমাদেরকে সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ করেছেন; তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আপনার গযব নাযিল হয়েছে এবং তাদের পথও নয়, যারা পথভ্রষ্ট।

৭. আল্লাহর সিফাতী নাম দ্বারা দু‘আ করা :

﴿وَلِلّٰهِ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰى فَادْعُوْهُ بِهَا﴾

সুন্দর নামসমূহ আল্লাহর জন্যই। অতএব তোমরা সেসকল নামেই তাঁকে ডাকো। (সূরা আ‘রাফ- ১৮০)

﴿قُلِ ادْعُوا اللهَ أَوِ ادْعُوا الرَّحْمٰنَ أَيًّا مَّا تَدْعُوْا فَلَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰى﴾

বলো, তোমরা ‘আল্লাহ’ নামে ডাক বা ‘রহমান’ নামে ডাক, যে নামেই ডাক না কেন সকল সুন্দর নামই তাঁর। (সূরা বনী ইসরাঈল- ১১০)

এছাড়াও সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতে আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম উল্লেখ রয়েছে।

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত :

﴿هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمٰنُ الرَّحِيْمُ - هُوَ اللهُ الَّذِيْ لَاۤ إِلٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوْسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيْزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ ، سُبْحَانَ اللهِ عَمَّا يُشْرِكُوْنَ هُوَ اللهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْاَسْمَآءُ الْحُسْنٰى يُسَبِّحُ لَه مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْاَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ﴾

উচ্চারণ : হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি হুওয়ার রাহমা-নুর রাহীম। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা-হু, আল মালিকুল কুদ্দূসুস সালা-মুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল ‘আযীযুল জাববা-রুল মুতাকাবিবর। সুবহা-নাল্লাহি ‘আম্মা ইউশরিকূন। হুওয়াল্লা-হুল খা-লিকুল বা-রিউল মুছাউভিরু লাহুল আসমা-উল হুসনা। ইউসাবিবহু লাহূ মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল্আরযি ওয়াহুয়াল ‘আযীযুল হাকীম।

অর্থ : তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবুদ নেই, তিনি অদৃশ্য এবং দৃশ্যের সব কিছুই জানেন; তিনি দয়াময় ও পরম দয়ালু। তিনিই আল্লাহ, তিনি ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবুদ নেই। তিনি অধিপতি, অতীব পবিত্র, পরিপূর্ণ শান্তিদাতা, নিরাপত্তা দানকারী, রক্ষক, পরাক্রমশালী, প্রবল, অতীব মহিমান্বিত, তার সাথে যা শরীক করা হয় তিনি তা হতে পবিত্র ও মহান। তিনিই আল্লাহ যিনি সৃষ্টিকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, সকল উত্তম নাম তাঁরই। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই তাঁর মহিমা ঘোষণা করে, তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাবান।

সূরা আলে ইমরানের ২৬ ও ২৭ নং আয়াতেও আল্লাহর সুন্দর নাম উল্লেখ রয়েছে।

﴿قُلِ اللّٰهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَآءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَآءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَآءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَآءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ تُوْلِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُوْلِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَآءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ﴾

উচ্চারণ : কুলিল্লা-হুম্মা মা-লিকাল্ মুলকি তু’তিল মুলকা মান তাশা-উ ওয়া তানযিউল মুলকা মিম্মানতাশা-উ ওয়াতু‘য়িযযু মান তাশা-উ ওয়াতুযিল্লু মান তাশা-উ বিইয়াদিকাল খাইর। ইন্নাকা ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। তূ-লিজুল লাইলা ফিন্নাহা-রি ওয়া তূ-লিজুন্নাহা-রা ফিল্লাইলি, ওয়া তুখরিজুল হাইয়া মিনাল মাইয়িতি ওয়া তুখরিজুল মাইয়িতা মিনাল হাইয়ি ওয়া তারযুকু মান তাশা-উ বিগাইরি হিসা-ব।

অর্থ : বলো, হে আল্লাহ! আপনি সমুদয় রাজ্যের মালিক, যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান করেন আর যার থেকে ইচ্ছা রাজ্য কেড়ে নেন এবং যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন আর যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন, আপনার হাতে সব কল্যাণ, নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। আপনিই রাতকে দিনের ভেতর আর দিনকে রাতের ভেতর প্রবেশ করান, আপনি জীবিতকে মৃত হতে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত হতে বের করেন আর যাকে ইচ্ছা অগণিত রিযিক দান করেন।

৮. ইসমে আ‘যম পড়ে দু‘আ করা :

আবদুল্লাহ ইবনে বুরাইদা (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে মসজিদে প্রবেশ করলেন। তখন দেখলেন যে, এক ব্যক্তি সালাত আদায় করছে এবং এভাবে দু‘আ করছে-

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ بِأَنِّيْ أُشْهِدُكَ أَنَّكَ لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ الْاَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِيْ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُوْلَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا أَحَدٌ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নী উশহিদুকা আন্নাকা লা-ইলা-হা ইল্লা আনতাল আহাদুস সামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি এবং সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। আপনি একক ও অমুখাপেক্ষী। যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কারো কাছ থেকে জন্মলাভ করেননি, আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।

এ দু‘আ শুনে রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আল্লাহর কসম! সে ইসমে আ‘যম নিয়ে দু‘আ করছে- যার মাধ্যমে চাইলে চাওয়া পূর্ণ করা হয় এবং দু‘আ করলে দু‘আ কবুল করা হয়। [আবু দাঊদ, হা/১৪৯৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৫; মিশকাত, হা/২২৮৩।]

১৪ আবু দাঊদ, হা/১৪৯৩; তিরমিযী, হা/৩৪৭৫; মিশকাত, হা/২২৮৩।

৯. নেক আমলের অসীলা নিয়ে দু‘আ করা :

﴿مَنْ كَانَ يُرِيْدُ الْعِزَّةَ فَلِلّٰهِ الْعِزَّةُ جَمِيْعًا إِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُه ﴾

যে ব্যক্তি সম্মান লাভ করতে চায় সে জেনে রাখুক যে, সকল সম্মান আল্লাহর জন্য। উত্তম বাক্যসমূহ তাঁর কাছে পৌঁছে থাকে। আর নেক কাজ তাকে উপরে তুলে দেয়। (সূরা ফাতির- ১০)

হাদীসে এসেছে, তিন ব্যক্তি একটি গর্তে আশ্রয় নিয়ে বিপদে পড়েছিল। পরে তারা পরস্পরকে বলাবলি করতে লাগল,

اُدْعُوا اللهَ بِأَفْضَلِ عَمَلٍ عَمِلْتُمُوْهُ

তোমরা জীবনে সবচেয়ে ভালো যে আমল করেছ, তার অসীলা নিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করো। তারা তাই করল, ফলে আল্লাহ তা‘আলা তাদের দু‘আ কবুল করে তাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন। [সহীহ বুখারী, হা/২২১৫; সুনানুল কাবীর লিন নাসাঈ, হা/১১৮২৬।]

১৫ সহীহ বুখারী, হা/২২১৫; সুনানুল কাবীর লিন নাসাঈ, হা/১১৮২৬।

১০. দু‘আয় সীমালঙ্ঘন না করা :

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, এ উম্মতের মধ্যে এমন একদল লোক বের হবে, যারা দু‘আ এবং পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করবে। [আবু দাঊদ, হা/৯৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৭৬৩; জামেউস সগীর, হা/৪১৬১; মিশকাত, হা/৪১৮।]

১৬ আবু দাঊদ, হা/৯৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৮৩; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৭৬৩; জামেউস সগীর, হা/৪১৬১; মিশকাত, হা/৪১৮।

১১. সর্বাবস্থায় আল্লাহকে ডাকা :

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যে ব্যক্তি চায় যে, বিপদের সময় আল্লাহ তার দু‘আ কবুল করুক, সে যেন সুখের সময়ও আল্লাহকে ডাকে। [তিরমিযী, হা/৩৩৮২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৩৯৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৯৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬২৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৩; মিশকাত, হা/২২৪০।]

১৭ তিরমিযী, হা/৩৩৮২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৩৯৭; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১৯৯৭; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৬২৮; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৫৯৩; মিশকাত, হা/২২৪০।

মানুষ বিপদে পড়লে আল্লাহকে ডাকে, পরে ভুলে যায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿وَإِذَا مَسَّ الْاِنْسَانَ الضُّرُّ دَعَانَا لِجَنْۢبِه ۤ أَوْ قَاعِدًا أَوْ قَآئِمًا فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُ ضُرَّهٗ مَرَّ كَأَنْ لَّمْ يَدْعُنَاۤ إِلٰى ضُرٍّ مَّسَّه ﴾

মহান আল্লাহ বলেন, মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন তারা শুয়ে, বসে ও দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকতে থাকে। অতঃপর যখন আমি তার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেই, তখন সে এমনভাবে চলাফেরা করে, মনে হয় যেন কোন বিপদে পড়ে সে আমাকে ডাকেনি। (সূরা ইউনুস- ১২)

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন,

﴿وَإِذَا مَسَّ النَّاسَ ضُرٌّ دَعَوْا رَبَّهُمْ مُّنِيْبِيْنَ إِلَيْهِ ثُمَّ إِذَاۤ أَذَاقَهُمْ مِّنْهُ رَحْمَةً إِذَا فَرِيْقٌ مِّنْهُمْ بِرَبِّهِمْ يُشْرِكُوْنَ﴾

মানুষকে যখন বিপদাপদ স্পর্শ করে তখন তারা তাদের প্রতিপালককে ডাকে তাঁর অভিমুখী হয়ে। অতঃপর তিনি যখন তাদেরকে তাঁর রহমতের স্বাদ আস্বাদন করান তখন তাদের একদল তাদের প্রতিপালকের সাথে শিরক করে বসে। (সূরা রূম- ৩৩)

﴿وَإِذَاۤ أَنْعَمْنَا عَلَى الْاِنْسَانِ أَعْرَضَ وَنَاٰى بِجَانِبِه وَإِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ فَذُوْ دُعَآءٍ عَرِيْضٍ﴾

আর যখন আমি মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি, তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং উল্টো দিকে ফিরে যায়, আবার যখন তাকে কোন অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে দীর্ঘ দু‘আ নিয়ে আমার সামনে হাজির হয়। (সূরা হা-মীম সাজদা- ৫১)

১২. আল্লাহর ভয়ে ক্রন্দন করা :

দু‘আ কবুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে, আল্লাহর কাছে বিনয় সহকারে কাকুতি-মিনতি করে দু‘আ করতে হবে। যদি চোখের পানি ফেলে দিয়ে বান্দা আল্লাহর কাছে কিছু চায়, তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তার দিকে মনোযোগ দেবেন। আমরা দেখি কোন সন্তান যখন কান্না করে, তখন মা দৌড়ে এসে তাকে কোলে নেয় এবং আদর করে। অথচ আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে মায়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। তাই বান্দা যখন তার কোন প্রয়োজন পূরণের জন্য অথবা বিপদ থেকে মুক্তি লাভের জন্য কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে, তখন আল্লাহর রহমত তার দিকে অগ্রসর হয়। নবী ﷺ এবং সাহাবীরা বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কান্না করতেন। যেমন নিচের আয়াত ও হাদীসগুলোতে আমরা তার প্রমাণ পাই।

১. আল্লাহ তা‘আলা আহলে কিতাবের কিছু লোকের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন,

﴿وَيَخِرُّوْنَ لِلْاَذْقَانِ يَبْكُوْنَ وَيَزِيْدُهُمْ خُشُوْعًا﴾

আর তারা কাঁদতে কাঁদতে ভূমিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তাদের বিনয় বৃদ্ধি করে। (সূরা বনী ইসরাঈল- ১০৯)

২. কুরআন শোনার পর কান্না করার জন্য উৎসাহ দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿أَفَمِنْ هٰذَا الْحَدِيْثِ تَعْجَبُوْنَ - وَتَضْحَكُوْنَ وَلَا تَبْكُوْنَ﴾

তোমরা কি এ বাণী সম্পর্কে আশ্চর্যবোধ করছ? হাসছ অথচ কাঁদছ না।

(সূরা নাজম- ৫৯, ৬০)

৩. ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, দুটি চোখ জাহান্নামে প্রবেশ করবে না : ১. যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কাঁদে এবং ২. যে চোখ জিহাদের ময়দানে পাহাড়া দেয়। [তিরমিযী, হা/১৬৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২৫২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৪৩৪৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৪৩০; শারহুস সুন্নাহ, হা/২৬২০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৩২২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৭৩; জামেউস সগীর, হা/৬৩৩৮; মিশকাত, হা/৩৭২৯।]

১৮ তিরমিযী, হা/১৬৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২৫২; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৪৩৪৬; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/২৪৩০; শারহুস সুন্নাহ, হা/২৬২০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৩২২; সিলসিলা সহীহাহ, হা/২৬৭৩; জামেউস সগীর, হা/৬৩৩৮; মিশকাত, হা/৩৭২৯

৪. রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, সাত ব্যক্তিকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর ছায়ায় স্থান দেবেন যেদিন তার ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া থাকবে না। তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি হচ্ছে, যে নির্জনে আল্লাহ তা‘আলাকে স্মরণ করে এবং তার দু’চোখ দিয়ে অশ্রু প্রবাহিত করে। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭০৯; সহীহ বুখারী, হা/৬৬০; সহীহ মুসলিম, হা/২৪২৭; তিরমিযী, হা/২৩৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৬৬৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৩৫৮; মিশকাত, হা/৭০১।]

১৯ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭০৯; সহীহ বুখারী, হা/৬৬০; সহীহ মুসলিম, হা/২৪২৭; তিরমিযী, হা/২৩৯১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৬৬৩; সহীহ ইবনে খুযায়মা, হা/৩৫৮; মিশকাত, হা/৭০১।

৫. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী ﷺ বললেন, আমাকে কুরআন পড়ে শোনাও। আমি বললাম, আপনাকে কুরআন শোনাব? অথচ আপনার উপর কুরআন নাযিল হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, অন্যের কাছ থেকে কুরআন শুনতে আমি পছন্দ করি। অতঃপর আমি সূরা নিসা পাঠ করে তাঁকে শোনাতে থাকলাম। যখন এ আয়াতে পৌঁছলাম-

﴿فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ ۢبِشَهِيْدٍ وَّجِئْنَا بِكَ عَلٰى هٰۤؤُلَآءِ شَهِيْدًا﴾

তখন কী অবস্থা হবে যখন আমি প্রত্যেক উম্মত থেকে একজন সাক্ষী নিয়ে আসব। আর আপনাকে তাদের সকলের উপর সাক্ষী হিসেবে দাঁড় করাব। [সূরা নিসা- ৪১।]

তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, যথেষ্ট হয়েছে। আর আমি তাকিয়ে দেখলাম যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ এর চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। [সহীহ বুখারী, হা/৫০৫০; সহীহ মুসলিম, হা/১৯০৩; তিরমিযী, হা/৩০২৫; ইবনে মাজাহ, হা/৪১৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৩০; মিশকাত, হা/২৭৬০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭১৭;।]

২০ সূরা নিসা- ৪১।

২১ সহীহ বুখারী, হা/৫০৫০; সহীহ মুসলিম, হা/১৯০৩; তিরমিযী, হা/৩০২৫; ইবনে মাজাহ, হা/৪১৯৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৩৩০; মিশকাত, হা/২৭৬০; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/১৭১৭;।

৬. ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মৃত্যু যন্ত্রণা বেড়ে গেল, তখন তিনি বললেন, আবু বকরকে বলো- মানুষকে নিয়ে সালাত আদায় করতে। এ কথা শুনে আয়েশা (রাঃ) বললেন, আবু বকর আপনার স্থানে দাঁড়ালে কান্না করার কারণে মানুষকে কিছুই শোনাতে পারবেন না। [মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪১২; সহীহ বুখারী, হা/৬৭৯; তিরমিযী, হা/৩৬৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬৯১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৮৭৪; বায়হাকী, হা/১৬৩৫৯।]

২২ মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪১২; সহীহ বুখারী, হা/৬৭৯; তিরমিযী, হা/৩৬৭২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬৯১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৬৮৭৪; বায়হাকী, হা/১৬৩৫৯।

৭. একদা আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাঃ) এর নিকট খানা নিয়ে আসা হলো। তখন তিনি সিয়ামরত ছিলেন। অতঃপর বললেন, মাস‘আব ইবনে উমাইর শাহাদাত বরণ করেছিলেন, তিনি আমার চেয়ে উত্তম ছিলেন। তাকে কাফন পরানোর জন্য তার চাদরটি ব্যতীত অন্য কিছু পাওয়া যায়নি। মাথা ঢাকা হলে পা বেরিয়ে যেত আর পা ঢাকা হলে মাথা বেরিয়ে যেত। তারপর আমাদের জন্য দুনিয়া প্রশস্ত করে দেয়া হলো। আমি ভয় করছি আমাদের নেক আমলের সওয়াব দুনিয়াতেই পেয়ে যাচ্ছি কি না। এ কথা বলার পর খাবার রেখে তিনি কান্না শুরু করে দিলেন। [সহীহ বুখারী, হা/১২৭৫; বায়হাকী, হা/৬৪৭৫।]

২৩ সহীহ বুখারী, হা/১২৭৫; বায়হাকী, হা/৬৪৭৫।

৮. রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ইন্তেকালের পর আবু বকর (রাঃ) উমর (রাঃ) কে বললেন, চলুন আমরা উম্মে আইমানের কাছে যাই, যেভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে দেখতে যেতেন। যখন তারা তার কাছে গেলেন তখন ঐ মহিলা কান্না করছিলেন। তারা তাকে বললেন তুমি কাঁদছ কেন? রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য আল্লাহর কাছে যা আছে তা অনেক উত্তম। তিনি বললেন, আমি এজন্য কান্না করছি না, আমি জানি আল্লাহর কাছে যা আছে তা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জন্য উত্তম; বরং আমি কান্না করছি এজন্য যে, আসমান থেকে ওহী আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ কথা শুনে তারা দু’জনও কাঁদতে লাগলেন। [সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৭২; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৩৫; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৯; বায়হাকী, হা/১৩৩১৪; মিশকাত, হা/৫৯৬৭।]

২৪ সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৭২; ইবনে মাজাহ, হা/১৬৩৫; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/৬৯; বায়হাকী, হা/১৩৩১৪; মিশকাত, হা/৫৯৬৭।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন