hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

দৈনন্দিন সহীহ দু‘আ ও কুরআন-সুন্নার চিকিৎসা

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৩১
ঝাড়ফুঁকের দু‘আসমূহ
১. ইবনে আববাস (রাঃ) নবী ﷺ হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এমন কোন রোগীর কাছে নিচের দু‘আ ৭ বার পাঠ করবে, যার মৃত্যু উপস্থিত হয়নি, আল্লাহ তা‘আলা তাকে সুস্থতা দান করবেন।

أَسْأَلُ اللهَ الْعَظِيْمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ أَنْ يَشْفِيَكَ

উচ্চারণ : আসআলুললা-হাল ‘আযীম, রাববাল ‘আরশিল ‘আযীমি আই ইয়াশফিয়াকা।

অর্থ : সুবিশাল আরশের প্রভু সুমহান আল্লাহর কাছে আমি প্রার্থনা করছি, তিনি আপনাকে আরোগ্য দান করুন। [আবু দাঊদ, হা/৩১০৮; তিরমিযী, হা/২০৮৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১৩৭; মুসনাদুল বাযযার, হা/৫১৩০; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/১২৬৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৪১৯; জামেউস সগীর, হা/১১৩৩৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩৪৮০; মিশকাত, হা/১৫৫২।]

২. আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি যখন অসুস্থ ছিলাম তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে দেখার জন্য আসলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে এমন বিষয় দিয়ে ঝাড়ফুঁক করব, যা দিয়ে জিবরাঈল (আঃ) আমাকে ঝাড়ফুঁক করেছিলেন। আমি বললাম, আমার মাতাপিতা আপনার জন্য কুরবান হোক অর্থাৎ করুন, তখন নবী ﷺ এ দু‘আ ৩ বার পাঠ করে ঝাড়ফুঁক করলেন-

بِسْمِ اللهِ أَرْقِيْكَ وَاللهُ يَشْفِيْكَ مِنْ كُلِّ دَاءٍ يُؤْذِيْكَ وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি আরক্বীকা ওয়াল্লা-হু ইয়াশ্ফীকা মিনকুল্লি দা-ইন ইউ’যীকা। ওয়া মিন শাররিন্নাফ্ফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়ামিন শার্রি হা-সিদিন ইযা হাসাদ।

অর্থ : আমি আল্লাহর নামে আপনাকে ঝাড়ফুঁক করছি। আর আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুন ঐ সকল রোগ থেকে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়। (আর তিনি আপনাকে সুস্থতা দান করুন) গ্রন্থিতে ফুঁকদানকারীর অনিষ্ট থেকে এবং প্রত্যেক হিংসুকের হিংসা হতে, যখন সে হিংসা করে। [মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৭৫৬; সহীহ মুসলিম, হা/৫৮২৯; তিরমিযী, হা/৯৭২; ইবনে মাজাহ, হা/৩৫২৩-২৪; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১০৭৭৫; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৩৯৯০; মুসনাদে আবু ই‘আলা, হা/১০৬৬; মিশকাত, হা/১৫৩৪।]

৩. আবু সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা জিবরাঈল (আঃ) নবী (সাঃ) এর নিকট আগমন করে বললেন, আপনি কি অসুস্থ? নবী (সাঃ) বললেন, হ্যাঁ। এরপর জিবরাঈল (আঃ) এ দু‘আ পাঠ করে নবী (সাঃ) কে ঝাড়ফুঁক করলেন-

بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَىْءٍ يُؤْذِيْكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اَللهُ يَشْفِيْكَ بِاسْمِ اللهِ أَرْقِيْكَ

উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হি আরক্বীকা মিন কুল্লি শায়ইন ইউ’যীকা মিন কুল্লি নাফসিন আও ‘আইনিন হা-সিদিন আল্লা-হু ইয়াশফীকা বিসমিল্লা-হি আরক্বীকা।

অর্থ : আমি আল্লাহর নামে আপনার ঝাড়ফুঁক করছি প্রত্যেক ঐ জিনিস হতে, যা আপনাকে কষ্ট দেয়। প্রত্যেক আত্মার অনিষ্ট হতে অথবা হিংসুকের চক্ষু হতে আল্লাহ আপনাকে সুস্থতা দান করুন। আমি আল্লাহর নামে আপনার ঝাড়ফুঁক করছি। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৮২৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৫২৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১২৪১; মিশকাত, হা/১৫৩৪।]

৪. ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী করীম ﷺ যখন কোন রোগীকে দেখতে যেতেন তখন এ দু‘আ বলতেন-

لَابَأْسَ طَهُوْرٌ إِنْ شَاءَ اللهُ

উচ্চারণ : লা বা’সা ত্বাহূরুন ইনশা-আল্লা-হ।

অর্থ : ভয় নেই, আল্লাহর মেহেরবানীতে আরোগ্য লাভ করবে, আল্লাহ যদি চান। [সহীহ বুখারী, হা/৩৬১৬; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১০৮১১; আদাবুল মুফরাদ, হা/৫২৬; জামেউস সগীর, হা/৮৮৪৯; মিশকাত, হা/১৫২৯।]

৫. আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ যখন অসুস্থ হতো, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তার ডান হাত রোগীর শরীরে বুলাতেন এবং এ দু‘আ বলতেন,

أَذْهِبِ الْبَاْسَ رَبَّ النَّاسِ وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِىْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا

উচ্চারণ : আযহিবিল বা’সা রাববান্না-সি ওয়াশ্ফি আনতাশ্শা-ফী লা শিফা-আ ইল্লা শিফা-উকা শিফাআল্লা ইউগা-দিরু সাক্বামা।

অর্থ : হে মানুষের প্রতিপালক! এ রোগ দূর করুন এবং আরোগ্য দান করুন, আপনিই আরোগ্যদানকারী। আপনার আরোগ্য ব্যতীত কোন আরোগ্য নেই। আর এমন আরোগ্য (দান করুন), যা কোন রোগ বাকি রাখে না। [সহীহ বুখারী, হা/৫৬৭৫; সহীহ মুসলিম, হা/৫৮৩৮; তিরমিযী, হা/৩৫৬৫; ইবনে মাজাহ, হা/৩৫২০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২২১; জামেউস সগীর, হা/৮৭৬৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/২৯৭০; মিশকাত, হা/১৫৩০।]

৬. আবদুল আযীয (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি এবং সাবিত (রহ.) আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) এর নিকট গেলাম। এসময় সাবিত (রহ.) বললেন, হে আবু হামযা! আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তখন আনাস (রাঃ) বললেন, রাসূলূল্লাহ ﷺ যা পড়ে ঝাড়ফুঁক করতেন, তা পড়ে আমি তোমার উপর ফুঁক দেব কি? তিনি জবাব দিলেন, হ্যাঁ! তখন তিনি এ দু‘আ পড়লেন-

اَللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاْسَ اِشْفِ أَنْتَ الشَّافِيْ لَا شَافِيَ إِلَّا أَنْتَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা রাববান্নাস, মুযহিবাল বা’সা, ইশফি আন্তাশ শা-ফী লা শা-ফিয়া ইল্লা আন্তা শিফা-আল লা-ইউগা-দিরু সাক্বামা।

অর্থ : হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, রোগব্যাধি দূর করে দিন। আরোগ্য দান করুন। আপনিই আরোগ্য দানকারী। আপনার আরোগ্য ছাড়া আর কোন আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য দান করুন, যাতে কোন রোগ না থাকে। [সহীহ বুখারী, হা/৫৭৪২; আবু দাঊদ, হা/৩৮৯২; তিরমিযী, হা/৯৭৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/১২৫৫৪; জামেউস সগীর, হা/২১৮৩।]

৭. আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ নিয়ম করেছিলেন যে, মানুষ তার (শরীরের) কোথাও অসুস্থতা অনুভব করলে অথবা তাতে কোন ফোঁড়া বা আঘাতপ্রাপ্ত (হয়ে) থাকলে- তিনি তাঁর আঙ্গুল দ্বারা এরকম করতেন। এ সময় বর্ণনাকারী সুফইয়ান (রহ.) তার বুড়ো আঙ্গুলটি জমিনে রাখলেন- অতঃপর তা তুলে নিলেন এবং সে সময় এ দু‘আ পড়তেন-

بِاسْمِ اللهِ تُرْبَةُ أَرْضِنَا بِرِيْقَةِ بَعْضِنَا لِيُشْفٰى بِه سَقِيْمُنَا بِإِذْنِ رَبِّنَا

উচ্চারণ : বিসমিললা-হি তুরবাতু আরযিনা- বিরীক্বাতি বা‘যিনা লিইউশফা- বিহী সাক্বীমুনা- বিইযনি রাবিবনা।

অর্থ : আল্লাহর নামে আমাদের জমিনের ধূলামাটি আমাদের কারো (মুখের) লালার সঙ্গে (মিলিয়ে) আমাদের পালনকর্তার আদেশে তা দিয়ে আমাদের অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য লাভের উদ্দেশ্যে (মালিশ করছি)। [সহীহ মুসলিম, হা/৫৮৪৮; মুসত্মাদরাকে হাকেম, হা/৮২৬৬; মুসনাদে হুমাইদী, হা/২৬৮; মিশকাত, হা/১৫৩১।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন