মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তার কিছু খেজুরের সত্মুপ ছিল। সেখান থেকে প্রায়ই কিছু কমে যেত। এক রাতে তিনি পাহারা দিলেন। অতঃপর তিনি বালক সাদৃশ একটি প্রাণী দেখতে পেলেন। তিনি তাকে সালাম দিলে সে তার উত্তর প্রদান করে। অতঃপর তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জিন নাকি মানুষ? সে বলল, আমি জিন। অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি এখানে কেন এসেছ? সে বলল, তোমার খাদ্য থেকে কিছু নিতে এসেছি। তারপর তিনি বললেন, তোমার অনিষ্ট থেকে মুক্তির উপায় কী? সে বলল, যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় পাঠ করবে, সে সকাল পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে। অতঃপর যখন সকাল হলো, তখন আমি নবী ﷺ এর কাছে আসলাম এবং ঘটনাটি বর্ণনা করলাম। তখন নবী ﷺ বললেন, খবীস সত্য কথা বলেছে। [মু‘জামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৫৪২; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/১০৭৩১।]
আয়াতুল কুরসী এ বইয়ের ৩৫ পৃষ্ঠায় রয়েছে।
২. সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস ৩ বার করে :
মু‘আয ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন, সকাল ও সন্ধ্যায় সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস তিন বার করে পাঠ করো, তাহলে সবকিছু থেকে তোমাকে হেফাযত করার জন্য এগুলো যথেষ্ট হবে। [তিরমিযী, হা/৩৫৭৫; আবু দাঊদ, হা/৫০৮৩।]
সূরা ইখলাস ও সূরা ফালাক্ব এ বইয়ের ৩৭ পৃষ্ঠায় এবং সূরা নাস ৩৮ পৃষ্ঠায় দেয়া আছে।
অর্থ : আমরা এবং সমগ্র জগৎ আল্লাহর জন্য সকালে উপনীত হলাম। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব এবং সমস্ত প্রশংসা তাঁর। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট এ দিনের মঙ্গল কামনা করছি, আর আমি আশ্রয় চাই এ রাতের অমঙ্গল এবং এ রাতের পরবর্তী অংশে যে অমঙ্গল রয়েছে তা হতে। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই অলসতা ও বার্ধক্যের অপকারিতা হতে। হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাই জাহান্নামের আযাব ও কবরের শাস্তি হতে। [আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন সকাল হত তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৮২-৮৩; আবু দাঊদ, হা/৫০৭৩; মিশকাত, হা/২৩৭১; তিরমিযী, হা/৩৩৯০)]
অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার কুদরতে আমরা সকাল করি এবং তোমার কুদরতে আমরা সন্ধ্যা করি, তোমার নামে আমরা জীবনধারণ করি, আর তোমার নামে আমরা মৃত্যুবরণ করি এবং তোমার দিকেই আমাদের প্রত্যাবর্তন। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন সকালে উপনীত হয়, তখন সে যেন এ দু‘আ পাঠ করে। (তিরমিযী, হা/৩৩৯১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬৮; আবু দাঊদ, হা/৫০৬৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৬৪৯; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৯৬৫; মিশকাত, হা/২৩৮৯)]
অর্থ : আমরা এবং সমগ্র জগৎ রাববুল আলামীন আল্লাহর জন্য সকালে উপনীত হয়েছি। হে আল্লাহ! আমি এই দিনের কল্যাণ, সফলতা, সাহায্য, নূর, বরকত এবং হেদায়াত কামনা করছি এবং আমি আশ্রয় চাচ্ছি এই দিনের মধ্যে এবং তার পরে যে অকল্যাণ রয়েছে তার অনিষ্ট থেকে। [আবু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, যখন তোমাদের কেউ সকালে উপনীত হয়, তখন সে যেন এ দু‘আ পাঠ করে। (আবু দাঊদ, হা/৫০৮৬; মিশকাত, হা/২৪১২)]
অর্থ : আমরা এবং সমগ্র জগৎ রাববুল ‘আলামীন আল্লাহর জন্য সকালে উপনীত হয়েছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, বড়ত্ব আল্লাহর, মহত্ব আল্লাহর, সৃষ্টি ও আদেশও আল্লাহর। আর দিন ও রাত্রি এবং এ দুইয়ের মধ্যে যা কিছু অবস্থান করে সবকিছু আল্লাহর। হে আল্লাহ! আপনি এ দিনের প্রথমাংশকে শান্তি, মধ্যমাংশকে মুক্তি ও শেষাংশকে সফলতা দান করুন- হে সর্বোচ্চ দয়াময়। [আবদুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সকালে উপনীত হতেন তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (মিশকাত, হা/২৪১৪)]
অর্থ : আমরা সকাল করলাম ইসলামের ফিতরাতের উপর, একনিষ্ঠ কালিমার উপর, আমাদের নবী মুহাম্মাদ ﷺ এর সুন্নাতের উপর এবং আমাদের একনিষ্ঠ মুসলিম পিতা ইবরাহীম (আঃ) এর আদর্শের উপর। আর তিনি মুশরিকদের অমত্মর্ভুক্ত ছিলেন না। [উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের সকাল ও সন্ধ্যায় এ দু’আটি পড়ার জন্য শিক্ষা দিতেন। (মুসনাদে আহমাদ, হা/২১১৪৪; দারেমী, হা/২৭৪৪)]
অর্থ : আমরা এবং বিশ্ব জগতের সবাই সকালে উপনীত হলাম। সকল প্রশংসা আল্লাহর, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং তার কোন শরীক নেই। হে আল্লাহ! আমি কাপুরুষতা, কৃপণতা, বার্ধক্যের অনিষ্টতা, দুনিয়ার ফিতনা এবং কবরের আযাব থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। [আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন সকালে উপনীত হতেন তখন এ দু‘আটি পাঠ করতেন। (সুনানে নাসাঈ আল কুবরা, হা/৯৮৫১)]
অর্থ : হে আল্লাহ! এই সকালে আমার উপর যত নিয়ামত এসেছে অথবা তোমার কোন সৃষ্টির উপর এসেছে সেটা তোমার পক্ষ থেকেই এসেছে। তুমি একক, তোমার কোন শরীক নেই। সুতরাং সকল প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা তোমারই। [ইবনে আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে এ দু‘আ পাঠ করবে সে যেন সারাদিনের শুকরিয়া আদায় করল। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে যেন সারা রাত্রির শুকরিয়া আদায় করল। (সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৬১; আবু দাঊদ, হা/৫০৭৩)]
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রতিপালক, আপনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি আপনার বান্দা। আমি আমার সাধ্যমতো আপনার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হতে আপনার নিকট আশ্রয় চাই। আমার উপর আপনার অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমার পাপও স্বীকার করছি। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। কেননা আপনি ছাড়া গোনাহ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। [শাদ্দাদ ইবনে আউস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, এটা হলো (সায়্যিদুল ইস্তিগফার) শ্রেষ্ঠ ক্ষমাপ্রার্থনা, যে ব্যক্তি বিশ্বাস সহকারে সকালে এটা পড়বে, সে দিনে মারা গেলে জান্নাতবাসী হয়ে মারা যাবে। আর যদি সন্ধ্যায় পড়ে, অতঃপর রাতে মারা যায় তাহলেও সে জান্নাতবাসী হবে। (সহীহ বুখারী, হা/৬৩০৬; তিরমিযী, হা/৩৩৯৩; আবু দাঊদ, হা/৫০৭২; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৭২; সুনানে নাসাঈ, হা/৫৫২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭১১১; মিশকাত, হা/২৩৩৫)]
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাই এবং আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার এবং সম্পদের নিরাপত্তা চাই। হে আল্লাহ! আপনি আমার দোষ-ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন এবং আমাকে ভয়ের সময় নিরাপত্তা দিন। হে আল্লাহ! আমার সামনের দিক থেকে, পেছন দিক থেকে, ডান দিক থেকে, বাম দিক থেকে এবং উপর দিক থেকে আমাকে নিরাপত্তা দিন। হে আল্লাহ! আপনার বড়ত্বের মাধ্যমে আমি নিচ দিক থেকে ধ্বংস হওয়া থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাই। [ইবনে উমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ সকাল ও সন্ধ্যায় এই বাক্যগুলো পড়া ছেড়ে দিতেন না। (আবু দাঊদ, হা/৫০৭৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৭১; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৯৬১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১৯০২; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৭৮৫; মিশকাত, হা/২৩৯৭)]
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন অংশীদার নেই, সমস্ত রাজত্ব তাঁর, সকল প্রশংসাও তাঁর। তিনি সকল বিষয়ের উপর শক্তিশালী। [আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে এ দু‘আটি পাঠ করবে, সে ১০টি দাস মুক্ত করার সমান সওয়াব অর্জন করবে। আর তার জন্য ১০০টি নেকী লেখা হবে এবং তার আমলনামা থেকে ১০০টি গোনাহ মুছে ফেলা হবে। আর সেদিন সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত সে শয়তানের (ওয়াস্ওয়াসা) থেকে মুক্ত থাকবে এবং কিয়ামতের দিন আর কেউ তার চেয়ে উত্তম আমলসহ উপস্থিত হবে না, একমাত্র সে ব্যক্তি ব্যতীত যে এ দু‘আ তার চেয়ে অধিক আমল করেছে। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০১৮)]
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানী। আপনি সবকিছুর প্রতিপালক এবং সবকিছুর মালিক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার নফসের অনিষ্ট হতে, শয়তানের অনিষ্ট হতে এবং তার কাজে অংশীদার হওয়া থেকে। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা আবু বকর (রাঃ) নবী ﷺ কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে কিছু দু‘আ শিক্ষা দিন, যা আমি সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করব। তখন তিনি বললেন, তুমি সকাল-বিকাল এবং যখন বিছানায় যাবে তখন এ দু‘আ পাঠ করবে। (আবু দাঊদ, হা/৫০৬৯; দারেমী, হা/২৭৪৫)]
অর্থ : আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। সকল প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ছাড়া কোন শক্তি নেই। আল্লাহ যা চান তা হয় এবং যা চান না তা হয় না। আমি জানি যে, আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর সর্বশক্তিমান এবং তিনি জ্ঞানের দিক থেকে সকল কিছুকে পরিবেষ্টন করে আছেন। [আবদুল হামিদ (রহ.) তার মাতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নবী ﷺ এর কন্যা আমাকে বলেছেন যে, নবী ﷺ বলেছেন, তুমি যখন সকালে উপনীত হবে, তখন এ দু‘আ পাঠ করবে। তাহলে তুমি সন্ধ্যা পর্যন্ত হেফাযতে থাকবে এবং সন্ধ্যায় পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত হেফাযতে থাকবে। (সুনানে নাসাঈ আল কুবরা, হা/৯৮৪০)]
অর্থ : হে চিরস্থায়ী ও চিরঞ্জীব! আপনার করুণার মাধ্যমে আমি সাহায্য প্রার্থনা করছি। আপনি আমার সকল বিষয় সমাধা করে দিন এবং আমাকে আমার নিজের উপর এক মুহূর্তের জন্যও ছেড়ে দিয়েন না। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ ফাতেমা (রাঃ) কে বললেন, আমার উপদেশ মানতে তোমাকে কীসে বাধা দেয়? তুমি যখন সকালে উপনীত হবে, তখন এ দু‘আটি পাঠ করবে এবং যখন বিকালে উপনীত হবে তখনও এ দু‘আটি পাঠ করবে। (সুনানে নাসাঈ আল কুবরা, হা/১০৪০৫; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/২০০০)]
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি। [উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী ﷺ যখন ফজরের সালাত শেষ করতেন তখন এ দু‘আ পাঠ করতেন। (ইবনে মাজাহ, হা/৭২৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৭৩১)]
অর্থ : আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর সৃষ্টির সংখ্যা, তাঁর সমত্মুষ্টি, তাঁর আরশের ওজন এবং তাঁর বাক্যাবলির সমান সংখ্যক। [উম্মুল মু’মিনীন জুওয়াইরিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ফজরের সালাত পড়ার পর নবী ﷺ সকালবেলা তার নিকট থেকে বেরিয়ে গেলেন, তখন তিনি মসজিদে নিজের সালাতের স্থানে বসে ছিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ ﷺ পুনরায় চাশ্তের সময় ফিরে এলেন। তখনও তিনি (নিজের স্থানে) বসে ছিলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রশ্ন করলেন, তোমাকে আমি যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলাম তুমি কি সেই একই অবস্থায় বসে আছ? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। নবী ﷺ বললেন, তোমার এখান থেকে যাওয়ার পর আমি এমন চারটি কালিমা তিন বার করে পাঠ করেছি, তুমি আজ যা কিছু পড়েছ তার সাথে ওজন করা হলে তা ওজনে সমান হবে। অতঃপর তিনি এ বাক্যগুলো উচ্চারণ করেন। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০৮৮-৮৯; তিরমিযী, হা/৩৫৫৫; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৯৯৮৯; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮০৮; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৩২)]
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কুফর ও দারিদ্র্যতা থেকে আশ্রয় চাই। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাই। আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। [ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, তিনি সকাল ও সন্ধ্যায় এই দু‘আটি তিন বার পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৫০৯২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০৪৪৬; সহীহ আদাবুল মুফরাদ, হা/৬২৬)]
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমার শরীরকে সুস্থ রাখুন, হে আল্লাহ! আপনি আমার শ্রবণশক্তিকে অটুট রাখুন, হে আল্লাহ! আপনি আমার দৃষ্টিশক্তি অটুট রাখুন। আপনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। [আবদুর রহমান ইবনে আবু বাকরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, তিনি সকাল ও সন্ধ্যায় এই দু‘আটি তিন বার পাঠ করতেন। (আবু দাঊদ, হা/৫০৯২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০৪৪৬; আদাবুল মুফরাদ, হা/৭০১; জামেউস সগীর, হা/৩১৩৫; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৯৮৬৬; মিশকাত, হা/২৪১৩)]
অর্থ : আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ ﷺ কে নবী হিসেবে পেয়ে সমত্মুষ্ট হয়েছি। [সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় তিন বার করে এ দু‘আ পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন তার উপর খুশি হয়ে যাবেন। (মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৯৬২; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৭০; তিরমিযী, হা/৩৩৮৯)]
অর্থ : ঐ আল্লাহর নামে আমি শুরু করছি, যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোন বসত্মু ক্ষতি করতে পারে না এবং তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। [উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যদি কোন ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এ দু‘আটি তিন বার পাঠ করে, তাহলে কোন কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। (সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৬২; আবু দাঊদ, হা/৫০৮৮; তিরমিযী, হা/৩৩৮৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৬৯। মুসনাদে আহমাদ, হা/৪৭৪; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/১৮৯৫)]
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনাকে, আপনার আরশ বহনকারী ফেরেশতাকে, আপনার সমস্ত ফেরেশতাদেরকে এবং আপনার সকল সৃষ্টিকে সাক্ষ্য রেখে বলছি যে, আপনি ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই। আপনি একক, আপনার কোন শরীক নেই। আর মুহাম্মাদ ﷺ আপনার বান্দা ও রাসূল। [আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে এ দু‘আটি পাঠ করবে, আল্লাহ তা‘আলা ঐ দিন তাকে এক চতুর্থাংশ মুক্তি দেবেন। আর যে ব্যক্তি এ দু‘আটি চার বার পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ঐ দিনের সম্পূর্ণ অংশেই মুক্তি দেবেন। (সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৯৮৩৭)]
২৩. নিচের দু‘আটি ১০০ বার :
سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ وَبِحَمْدِهٖ
উচ্চারণ : সুবহানাল্লা-হিল ‘আযীমি ওয়াবি হামদিহী।
অর্থ : আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র ও মহান। আর সমস্ত প্রশংসা তারই জন্য। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যায় এ দু’আটি ১০০ বার পাঠ করবে, সে ঐ পরিমাণ নেকী লাভ করবে, যা আর কেউ লাভ করবে না- একমাত্র সে ব্যক্তি ব্যতীত, যে এ দু‘আ তার চেয়ে বেশি আমল করেছে। (আবু দাঊদ, হা/৫০৯৩)]
২৪. নিচের দু‘আটি ১০০ বার :
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهٖ
উচ্চারণ : সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবি-হামদিহী।
অর্থ : আমি আপনার প্রশংসার সাথে পবিত্রতা বর্ণনা করছি। [আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার এ দু‘আটি পাঠ করবে তার সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয়। (সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৫৯)অন্য বর্ণনায় রয়েছে, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় ১০০ বার এ দু‘আটি পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশি ফযীলত আর কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। তবে যে ব্যক্তি এ কালিমা তার মতো অথবা তার চেয়ে বেশি পাঠ করবে সে ব্যতীত। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০১৯)]
অর্থ : আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাশীল। [আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে লোক এ দু‘আ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে, সে ১০ জন গোলাম মুক্ত করার সমান সওয়াব লাভ করবে, তার (আমলনামায়) ১০০ নেকী লেখা হবে এবং তার হতে ১০০ পাপ মিটিয়ে দেয়া হবে। আর তা ঐ দিন বিকাল পর্যন্ত শয়তান (তার কুমন্ত্রণা) হতে তার জন্য রক্ষাকারী হয়ে যাবে। সেদিন সে যা পুণ্য অর্জন করেছে তার চেয়ে বেশি পুণ্যবান আর কেউ হবে না, তবে কেউ তার চেয়ে বেশি আমল করলে তার কথা আলাদা। আর যে ব্যক্তি দিনে ১০০ বার ‘‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াবি হাম্দিহী’’ অর্থাৎ- ‘আমি আল্লাহর সপ্রশংসাসহ তার পবিত্রতা বর্ণনা করছি’ পাঠ করবে, তার সমস্ত পাপ মিটিয়ে দেয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমপরিমাণ হয়। (সহীহ মুসলিম, হা/৭০১৮; মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/৪৮৮; সহীহ বুখারী, হা/৩২৯৩, ৯৬০৩; তিরমিযী, হা/৩৪৬৮; ইবনে মাজাহ, হা/৩৭৯৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৯৯৫; সহীহ ইবনে হিববান, হা/৮৪৯; জামেউস সগীর, হা/১১৩৮৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৬৫৪; মিশকাত, হা/২৩০২)]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/185/197
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।