hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাদীস সংকলনের ইতিহাস

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (রহ)

১১৪
মুসনাদ প্রণয়ন
তৃতীয় হিজরী শতকের প্রথম ভাগেই মুসনাদ নামে হাদীস গ্রন্হ প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। ‘মুসনাদ’ বলা হয় কোন ধরনের গ্রন্হকে?

মুহাদ্দিস এক একজন সাহাবীর প্রসঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে সমস্ত হাদীসকে এক সঙ্গে উল্লেখ করেন, তাহা সহীহ কি সহীহ নয় তাহার কোন পার্থক্য করেন না এবং হাদীসসমূহের বিষয়বস্তুও হয় সম্পূর্ণ বিভিন্ন। এই ধরনের গ্রন্হেই মুসনাদ বলা হয়।

দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায়, মুহাদ্দিস হযরত আবূ বকর (রা)-এর নাম উল্লেখ করেন। অতঃপর তাঁহার নিকট হইতে বিভিন্ন বিষয়ে যে সব হাদীস বর্ণিত হইয়াছে ও বিভিন্ন সনদের সূত্রে এই মুহাদ্দিস পর্যন্ত পৌঁছিয়াছে, তাহার সমস্ত হাদীসই এক স্থানে লিপিবদ্ধ করা হয়। ইহার পর হযরত উমর (রা)-এর নাম আসিল এবং তাঁহার নিকট হইতে বর্ণিত যাবতীয় হাদীসকে এক স্থানে ও স্বতন্ত্রভাবে উল্লেক করা হইল। এইভাবে সকল সাহাবীর নামের পরে তাঁহার বর্ণিত ও বিভিন্ন সনদের সূত্রে গ্রন্হাকারে প্রাপ্ত সমস্ত হাদীসই একস্থানে সংকলিত করা হইল।

তৃতীয় শতকের শুরুতে এই ধরনের হাদীস-গ্রন্হ প্রণয়নের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। এই পর্যায়ে নিম্নলিখিত মুসনাদ গ্রন্হসমূহের উল্লেখ পাওয়া যায়ঃ (১) মুসনাদে উবাইদুল্লাহ ইবনে মুসা (মৃঃ ২১৩ হিঃ), (২)মুসনাদুল হুমাইদী (মৃঃ ২১৯ হিঃ), (৩) মুসনাদে মুসাদ্দাদ ইবনে মাসারহাদ (মৃঃ ২২৮ হিঃ), (৪) মুসনাদ ইসহাক ইবনে রাওয়াই (মৃঃ ২৩৮ হিঃ), (৫) মুসনাদ উসমান ইবনে আবূ শায়বাহ (মৃঃ ২৩৯ হিঃ), (৬) মুসনাদ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (মৃঃ ২৩১ হিঃ), (৭) মুসনাদ ইবনে হুমাইদ (মৃঃ ২৪৯ হিঃ), (৮) আল-মুসনাদুল কবীর- ইয়াকুব ইবনে শায়বাহ (মৃঃ ২৬২ হিঃ), (৯) মুসনাদ মুহাম্মদ ইবনে মাহদী (মৃঃ ২৭৬ হিঃ), (১০) আল-মুসনাদুল কবীর- বাকী ইবনে মাখলাদুল কুরতাবী (মৃঃ ২৭২ হিঃ), (১১) মুসনাদ আবূ দায়ূদ তায়ালিসী (মৃঃ ২০৪ হিঃ)।

কিন্তু হাদীস গ্রন্হ প্রণয়নের এই পদ্ধতি দোষমুক্ত নয়। ইহাতে হাদীসের সত্যতা, সনদের বিশ্বস্ততা ও উহার মর্যাদা সস্পষ্ট ধারণা করা কঠিন হইয়া পড়ে। কিন্তু তাহা সত্ত্বেও এইরূপ হাদীস হাদীস গ্রন্হ প্রণয়নে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু মঙ্গল নিহিত আছে তাহা অস্বীকার করা যায় না। ইহার ফলে প্রথমতঃ রাসূলে করীম (ﷺ)- এর হাদীসসমূহ অন্যান্য বর্ণনা হইতে আলাদাভাবে পাঠ করার সুযোগ হয়। দ্বিতীয়ত একজন সাহাবীর নিকট হইতে কতজন লোক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন, তাহা স্পষ্টভাবে জানা যায়। এমনও হইতে পারে যে, একটি হাদীসের বিশেষ কোন সনদ সূত্র হয়তো দুর্বল; কিন্তু উহারই অপর এক বর্ণনা সূত্র হয়তো নির্দোষ ও গ্রহণযোগ্য। পরিণামে এই দূর্বল সূত্রে বর্ণিত হাদীসটিও নির্ভরযোগ্য সূত্রে সমর্থনে সহীহরূপে বিবেচিত ও গ্রহণযোগ্য হইতে পারে।

তবে একথাও মনে করা যায় না যে, মুসনাদ-প্রণেতা মুহাদ্দিসগণ হাদীস নামে যাহাই পাইয়াছেন, নিতান্ত অন্ধের ন্যায় কিংবা ‘অন্ধকারে কাষ্ঠ সংগ্রহকারীর’ মত তাহাই সাহাবীর নামের সঙ্গে যুক্ত করিয়া দিয়াছেন। বস্তুত এইরূপ ধারণা করাই ভিত্তিহীন এবং অনুচিত। কেননা তারা প্রত্যেকটি হাদীসের যথার্থতা প্রাণপণে যাচাই ও পরীক্ষা করিয়াছেন। সেইজন্য গভীর সমীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রয়োগ করিয়াছেন। এই উদ্দেশ্যে তারা দেশের পর দেশ সফর করিয়াছেন এবং তাঁহাদের সমগ্র জীবন উহার সংগ্রহ যাঁচাই-পরীক্ষা ও ছাটাই-বাছাই করার কঠিন ও কঠোরতম কাজের মধ্যে দিয়াই অতিবাহিত করিয়াছেন। মুসনাদ গ্রন্হের এমন অনেক প্রণেতাই আছেন, যাঁহারা মূল হাদীসের ও উহার সনদের যথাযথ যাচাই না করিয়া একটি হাদীসও গ্রহণ করেন নাই। অনেক মুসনাদ গ্রন্হে আবার ফিকাহ প্রণয়ন রীতি অনুযায়ী প্রত্যেক সাহাবীর হাদীসসমূহকে সন্নিবেশিত করা হইয়াছে। এই পর্যায়ে বাকী ইবনে মাখলাদ প্রণীত আল মুসনাদুল কবীর-এর নাম উল্লেখ্য। আবার কেহ কেহ প্রত্যেকটি হাদীসকে বিভিন্ন বর্ণনা সূত্র ও বিভিন্ন বর্ণনাকারীর উল্লেখসহ সজ্জিত করিয়াছেন।

এই পর্যায়ে বিভিন্ন গ্রন্হ প্রণয়ন সম্পর্কে আল্লামা ইবনে হাজর আল-আসকালানী লিখিয়াছেনঃ

শেষ পর্যন্ত হাদীসের কোন কোন ইমামের ইচ্ছা হইল কেবলমাত্র নবী করীম (ﷺ) সম্পর্কিত হাদীসসমূহ স্বতন্ত্র করিয়া গ্রন্হবদ্ধ করার । এই সময় উবাইদুল্লাহই বনে মুসা আবসী কূফী, মুসাদ্দাদ ইবনে মাসারহাদ বরসীফ, আসাদ ইবনে মুসা উমাভী ও মিসরে অবস্থানকারী নয়ীম ইবনে হাম্মাদ খাজায় এক-একখানি করিয়া মুসনাদ প্রণয়ন করেন। তাঁহাদের পরবর্তীকালীন হাদীসের ইমামগণও তাঁহাদেরই পদাংক অনুসরণ করিয়া চলিলেন। হাদীসের হাফেজগণের একজন ইমামও এমন পাওয়া যাইবে না যিনি তাঁহার সংগৃহীত হাদীসসমূহকে ‘মুসনাদ’ গ্রন্হ প্রণয়ন রীতিতে গ্রন্হাবদ্ধ করেন নাই। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, ইসহাক ইবনে রাহওয়াই, উসমান ইবনে আবূ শায়াবাহ এবং তাঁহাদের ন্যায় অন্যান্য বড় মুহাদ্দিসগণও এই রীতি অবলম্বন করিয়াছেন। এবং কোন কোন হাদীস সংকলক অধ্যায়-সংযোজন এব‌ং মুসনাদ-নীতি উভয়কেই অনুসরণ করিয়া হাদীসের গ্রন্হ প্রণয়ন করিয়াছেন- যেমন আবূ বকর ইবনে আবূ শায়বাহ।

পূর্বে যেমন বলা হইয়াছে, অধ্যায় হিসাবে গ্রন্হ প্রণয়ন এবং মুসনাদ রীতি অনুযায়ী হাদীস গ্রন্হ প্রণয়নের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রহিয়াছে। অধ্যায় হিসাবে গ্রন্হ প্রণয়ন হয় বিষয়বস্তুর দৃষ্টিতে হাদীস সজ্জায়ন, এক এক বিষয়ের হাদীস এক একটি অধ্যায়ে সজ্জিত করা। যেমন নামায সম্পর্কিত হাদীস এক অধ্যায়ে, রোযা সম্পর্কিত হাদীস রোযার অ্ধ্যায়ে, তাকওয়া পরহিযগারী সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসসূমহ স্বতন্ত্র এক অধ্যায়ে সংযোজিত করা। পক্ষান্তরে মুসনাদ প্রণয়ন রীতি এই হয় যে, প্রত্যেক সাহাবীর বর্ণিত সমস্ত হাদীস বিষয়বস্তু নির্বিশেষে একত্রিত করা- তাহা নামায সম্পর্কে হউক, রোযা সম্পর্কে হউক, কি তাকওয়া পরহেযগারী সম্পর্কিত হাদীসই হউক না কেন। যেমন হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা) হইতে যত হাদীসই বর্ণিত হইয়াছে, তাহা যে কোন বিষয় সম্পর্কেই হউক না কেন একত্রিক করিয়া ‘মুসনাদে আবূ বকর সিদ্দীকি’ শিরোনামের অধীন লিপিবদ্ধ করা মুসনাদ গ্রন্হ প্রণয়নের রীতি। এই উভয় রীতির মধ্যে পার্থক্য কিন্তু বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রামাণ্যতার দৃষ্টিতে বিচার করিলেও এই উভয় রীতির মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য পরিলক্ষিত হইবে। অধ্যায় রীতিতে সংকলিত হাদীস-গ্রন্হের প্রথমে থাকে সেইসব বর্ণনা যাহা আকীদা বা আমলের দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ। এইজন্য তারা সাধারণ প্রমাণ ও দলীল হিসাবে উল্লেখযোগ্য হাদীসসমূহই সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে একত্রিত করেন, ইহার বর্ণনাকারী যে সাহাবীই হউন না কেন। কিন্তু মুসনাদ প্রণেতাদের একমাত্র কাজ হইতেছে সকল প্রকার হাদীসসমূহ সংগ্রহ, সন্নিবিষ্ট ও একত্রিত করিয়া দেওয়া। এই কারণে মূল হাদীস সহীহ কি অসহীহ তাহার বিচার না করিয়াই তারা হাদীসসমূহ একত্র করিয়া দেন।

অধ্যায় ও মুসনাদ রীতির মধ্যে পার্থক্য প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে প্রখ্যাত মুহাদ্দিস হাকেম নিশাপুরী উভয় রীতিতে হাদীস সংযোজিত করা ও উহার শিরোনাম নির্ধারণের কায়দা দেখাইয়াছেন। তিনি লিখিয়াছেনঃ ‘মুসনাদ’ রীতিতে হাদীস সংগ্রহ করা হইলে শিরোনাম এইরূপ হইবেঃ

হযরত আবূ বকর সিদ্দীক কর্তৃক নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণিত সমস্ত হাদীস বর্ণনা বা উল্লেখ।

এবং ইহার অধীন হযরত আবূ বকর কর্তৃক বর্ণিত সমস্ত হাদীসই উদ্ধৃত হইবে।

ইহার পর দ্বিতীয় শিরোনাম হইবেঃ

কায়স ইবনে আবূ হাযেম হযরত আবূ বকর (রা) হইতে যেসব হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন তাহার উল্লেখ।

এইখানে গ্রন্হকারকে এমন সমস্ত হাদীসই উল্লেখ করিতে হয়, যাহা কায়সের সূত্রে হযরত আবূ বকর (রা) হইতে বর্ণিত হইয়াছে। তাহা সহীহ কি অসহীহ সে বিচার করার প্রয়োজন হয় না।

কিন্তু অধ্যায় হিসাবে হাদীসগ্রন্হ সংকলন করা হইলে প্রত্যেকটি অধ্যায়ের শিরোনাম বিষয়বস্তুর দৃষ্টিতে নির্দিষ্ট করা হয়। যেমন তখন শিরোনাম হইবেঃ

রাসূলে করীম (ﷺ) হইবে তাহারাত নামায কিংবা ইবাদতের অপর কোন বিষয়ে যাহা সহীহরূপে প্রমাণিত ও বর্ণিত হইয়াছে, তাহার উল্লেখ।

এই পার্থক্য প্রদর্শন প্রসঙ্গে ইবনে হাজার আসকালানী অন্যত্র লিখিয়াছেনঃ

অধ্যায় হিসাবে, হাদীস- গ্রন্হ প্রণয়নের রীতি এই যে, তাহাতে কেবল সেই সব বর্ণনার উল্লেখ করা হইবে, যাহা প্রমাণ বা দলীল হইবার যোগ্য। পক্ষান্তরে যাঁহারা মুসনাদ প্রণয়ন করেন, তাঁহাদের পদ্ধতি আলাদা হয়। কেননা তাঁহাদের আসল উদ্দেশ্যই হয় কেবলমাত্র হাদীসের বর্ণনাসমূহ সন্নিবেশিত করিয়া দেওয়া।

মুসনাদ গ্রন্হসমূহ মূলতঃ বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হাদীসসমূহের এক বিরাট স্তুপ। তাহা হইতে হাদসের শুদ্ধতা ও অশুদ্ধতা সম্পর্কে ধারণা করা খুব সহজ হয়। এইরূপ গ্রন্হ প্রণয়নের উদ্দেশ্যই হয় এক এক সূত্রে বর্ণিত সমস্ত হাদীস একত্রিত করা, যেন বর্ণিত কোন হাদীসই অসংকলিত থাকিয়া না যায়। সহীহ গায়ের-সহীহ নির্বিশেষে সমস্ত বর্ণিত হাদীস যখন একত্রিত ও এক স্থানে সংকলিত পাওয়া যায় তখন প্রত্যেকটি হাদীস বিজ্ঞানে পারদর্শী ও সূক্ষ্ম বিচারক সমালোচক সমালোচনার কষ্টিপাথরে প্রত্যেকটি বর্ণনাকে যাঁচাই ও পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারেন এবং কোন হাদীসটি সহীহস কোনটি নয়, কোন সূত্রটি নির্দোষ, কোনটি দোষমুক্ত, তাহা বিচার করিতে পারেন। এমনকি এক একটি হাদীস কতবার এবং কোন কোন সূত্রে বর্ণিত হইয়াছে তাহার মধ্যে কোন কোন সূত্রে কি কি শব্দে হাদীসটি বর্ণিত হইয়াছে, আর কোন সূত্রের কি অবস্থা, এই সব কিছু নির্ধারণ করা এই ‘মুসনাদ’ গ্রন্হের ভিত্তিতেই সম্ভব এবং সহজ।

মুহাদ্দিস হাকেম নিশাপুরী লিখিয়াছেনঃ

ইসলামে এই মুসনাদ গ্রন্হসমূহে যাহা গ্রন্হাবন্ধ হইয়াছে, তাহাতে সাহাবাদের বর্ণিত হাদীসসমূহই সংযোজিত হইয়াছে। ইহার মধ্যে বর্ণনা সূত্রসমূহ নির্ভরযোগ্য আছে, আর দোষমুক্তও রহিয়াছে। যেমন, উবাইদুল্লাহ ইবনে মুসার মুসনাদ এবং আবু দাউদ সুলাইমান ইবনে দাউদ তায়ালিসীর মুসনাদ। বস্তুত ইসলামে এই দুইজন মুহাদ্দিসই সর্বপ্রথম বর্ণনাকারী ব্যক্তির ভিত্তিতে মুসনাদ প্রণয়ন শুরু করেন।

[কাহারো মতে সর্বপ্রথম মুসনাদ রচনা করেন দাউদ তায়ালিসী

এই দুইজনের পরে আহমদ ইবনে হাম্বল, ইসহাক ইবনে ইবরাহীম হানযালী, আবূ খায়সামা, জুহাইর ইবনে হারব ও উবায়দুল্লাহ ইবনে উমর কাওয়ারীরী মুসনাদ গ্রন্হ প্রণয়ন করিয়াছেন। অতঃপর ব্যক্তির ভিত্তিতে মুসনাদ প্রণয়নের কাজ বহু হইয়াছে। আর এইভাবে হাদীস সংযোজনে দোষযুক্ত ও নির্দোষ হাদীস-সূত্রের মধ্যে কোন পার্থক্য করা হয় নাই।

হাকেম মুসনাদ গ্রন্হ সম্পর্কে অত্যন্ত কঠোর ভাষা প্রয়োগা করিয়াছেন। সব কয়খানি মুসনাদ গ্রন্হ সম্পর্কে তিনি এইরূপ ধারণা প্রকাশ করিয়াছেন, অবশ্য অধিকংশ গ্রন্হই যে এই পর্যায়ের, তাহাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু সব কয়টি মুসনাদ গ্রন্হ এই দোষে দোষী নহে। কোন কোন মুসনাদ-প্রণেতা হাদীস চয়নে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করিয়া স্বীয় গ্রন্হে সংযোজিত করিয়াছেন, তাহা কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। যেমন আল্লামা সুয়ুতী ইসহাক ইবনে রাহওয়াই সম্পর্কে লিখিয়াছেনঃ

আবূ জুরয়া আর-রাযী যেমন উল্লেখ করিয়াছেন, ইসহাক যে সাহাবীর বর্ণিত যে হাদীস উত্তম ও গ্রহনযোগ্য কেবল তাহাই সেই সাহাবীর নামে উল্লেখ করিয়াছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন