hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাদীস সংকলনের ইতিহাস

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (রহ)

৯৪
মুয়াত্তা ইমাম মালিক
ইমাম আবূ হানীফা (র)- এর সংকলিত ‘কিতাবুল আ’সার’-এর পরে পরেই সংকলিত হাদীস গ্রন্হ হিসাবে আমরা দেখিতে পাই ইমাম মালিক (র)-এর সংকলিত ‘মুয়াত্তা’।

কিতাবুল আ’সার ও মুয়াত্তা ইমাম মালিক (র)-এর মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য এই যে, প্রথমোক্ত গ্রন্হে হিজায, ইরাক, সিরিয়াও মুসলিম জাহানের অন্যান্য হাদীস-বর্ণনাকারী লোকদের বর্ণিত হাদীসসমূহ সন্নিবেশিত হইয়াছে; কিন্তু ‘মুয়াত্তা ইমাম মালিক’-এ রহিয়াছে কেবলমাত্র মদীনায় অবস্থানকারী মুহাদ্দিসদের বর্ণিত হাদীস। কেননা ইমাম মালিক (র) সম্পর্কে পূর্ববর্তী আলোচনা হইতে আমরা দেখিয়াছি যে, তিনি হাদীস সংগ্রহের জন্য মদীনার বাহিরে কখনো সফরে গমন করেন নাই।

‘মুয়াত্তা’ গ্রন্হের ধারা এইভাবে সাজানো হইয়াছে যে, প্রথমে রাসূলে করীম (ﷺ)-এর হাদীস- কথা বা কাজের বিবরণ উল্লেখ করা হইয়াছে। তাহার পর উহাতে সাহাবায়ে কিরামের কথা এবং তাবেয়ীদের কুরআন-হাদীস ভিত্তিক ফতোয়াসমূহ সন্নিবেশিত হইয়াছে।

ইমাম মালিক (র) হাদীসের এই গ্রন্হখানি সংকলন করেন আব্বাসী খলীফা আল- মনসুর –এর আদেশক্রমে। মুহাম্মদ আবূ যাহু নামক এ যুগের একজন মিসরীয় গ্রন্হ-প্রণেতা লিখিয়াছেনঃ

আব্বাসী খলীফা আবূ জাফর আল-মনসূর ইমাম মালিক (র)- কে ডাকিয়া বলিলেনঃ তিনি যেন তাঁহার নিজের নিকট প্রমাণিত ও সহীহরূপে সাব্যস্ত হাদীসসমূহ সংকলন ও একখানি গ্রন্হাকারে তাহা প্রণয়ন করেন এবং উহাকে যেন তিনি লোকদের ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োগ করার জন্য নির্দিষ্ট করেন। অতঃপর তিনি তাঁহার এই গ্রন্হ প্রণয়ন করেন এবং উহার নাম নির্দিষ্ট করেন- ‘আল-মুয়াত্তা’।

ইমমা মালিক (র) এই গ্রন্হখানি প্রণয়নের অপরিসীম শ্রম-মেহনত ও অমলিন ধৈর্য ও অধ্যবসায় নিয়োগ করিয়াছিলেন। ইমাম সুয়ূতী ইবনুল হুবাব-এর সূত্রে উল্লেখ করিয়াছেনঃ

ইমাম মালিক (র) প্রথমে একলক্ষ বর্ণনা করেন। তাহা হইতে দশ হাজার হাদীসের সমন্বয়ে ‘মুয়াত্তা’ গ্রন্হ সংকলন করেন। অতঃপর তিনি উহাকে কুরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিতে যাঁচাই করিতে থাকেন। সাহাবীদের আ’সার ও অন্যান্য খবর-এর ভিত্তিতেও উহার পরীক্ষা করেন। শেষ পর্যন্ত উহাতে মাত্র পাঁচশত হাদীস সন্নিবেশিত করেন।

ইমাম সুয়ূতী আতীক ইবনে ইয়াকুবের সুত্রে নিম্নোক্ত বর্ণনাও উদ্ধৃত করিয়াছেনঃ

ইমাম মালিক প্রায় দশ সহস্র হাদীসের সমন্বয়ে ‘মুয়াত্তা’ রচনা করেন। অতঃপর তিনি উহার প্রত্যেক বৎসর দৃষ্টি দিতে ও যাঁচাই করিতে এবং উহা হইতে হাদীস প্রত্যাহার করিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত বর্তমান আকারে উহা পূর্ণ পরিণীত লাভ করে।

এই গ্রন্হ প্রণয়ন চূড়ান্তভাবে সম্পূর্ণ করিতে ইমাম মালিকের পূর্ণ চল্লিশটি বৎসর সময় লাগিয়াছে। এ সম্পর্কে বলা হইয়াছেঃ

মুহাদ্দিসগণ বলিয়াছেন, ইমাম মালিক এই গ্রন্হখানি প্রণয়নে পূর্ণ চল্লিশটি বৎসর অতিবাহিত করিয়াছেন। এই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তিনি উহাকে যাঁচাই ও ছাঁটাই করিতেছিলেন এবং উহাকে সুসংবদ্ধরূপে সজ্জিত, নির্ভূল ও শৃংখলিত করিতে ব্যস্ত ছিলেন।

এই গ্রন্হের নামকরণ সম্পর্কে ইমাম মালিক নিজেই বলিয়াছেনঃ

আমার এই কিতাবখানা আমি মদীনায় বসবাসকারী সত্তর জন ফিকাহবিদ-এর সম্মুখে পেশ করিয়াছি। তারা প্রত্যেকেই উহার জন্য আমাকে উপদেশ দিয়াছেন। এই কারণে আমি উহার নাম রাখিয়াছি ‘মুয়াত্তা’।

উপরে ইবনুল হুবাবের সূত্রে উল্লেখিত ইমাম সুয়ূতীর উদ্ধতি হইতে জানা গিয়াছে যে, ইমাম মালিক দশ হাজার হাদীস হইতে ছাঁটাই-বাছাই করিয়া মাত্র পাঁচশত হাদীস তাঁহার গ্রন্হে রাখিয়াছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ‘মুয়াত্তা’ গ্রন্হে মোট কতটি হাদীস সন্নিবেশিত হইয়াছে, তাহা এই উদ্ধৃতি হইতে জানা যায় না। এই সম্পর্কে ইমাম সয়ূতীর নিম্নোক্ত উদ্ধৃতি হইয়াছে, তাহা এই উদ্ধৃতি হইতে জানা নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যায়। তিনি আবূ বকর আল- আবরাহীর সূত্রে উল্লেখ করিয়াছেনঃ

মুয়াত্তা গ্রন্হে রাসূলে করীম (ﷺ), সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেয়ীন হইতে বর্ণিত হাদীসের মোট সংখ্যা হইতেছে এক হাজার সাতশত বিশটি।

ইহার মধ্যে সঠিকরূপে সনদযুক্ত হাদীস হইতেছে মাত্র তিনশত, ‘মুরসাল’ হাদীস হইতেছে ২২২টি, ‘মওকুফ’ হইতেছে ৬১৬টি এবং তাবেয়ীদের উক্তি হইতেছে ২৮৫টি।

ইমাম হাযম (র) বলেনঃ

আমি ‘মুয়াত্তা’ গ্রন্হের হাদীসসমূহ গণনা করিয়াছি। ফলে উহাতে আমি পাইয়াছি ‘মুসনাদ’ হাদীস পাঁচশতের কিছু বেশী প্রায় তিনশত হাদীস ‘মরসাল’। এতদ্ব্যতীত উহাতে প্রায় সত্তরটি হাদীস এমনও আছে, যাহার অনুসরণ করা ইমাম মালিক (র) পরিহার করিয়াছিলেন।

‘মুয়াত্তা’ গ্রন্হের নোসখা অসংখ্য। তন্মধ্যে তিনশত ‘নোসখা’ অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। এই নোসখাসমূহে সন্নিবেশিত হাদীসের সংখ্যায় যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান- কোনটিতে অপেক্ষাকৃত বেশী, আর কোনটিতে কম হাদীস রহিয়াছে। ইমাম সুয়ুতী ইহার তিনটি নোসখার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করিয়াছেন। নোসখা তিনটি এইঃ

১. ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া লাইসী আন্দালুসীকৃত নোসখাঃ তিনি ইমাম মালিক (র)-এর নিকট হইতে সরাসরিভাবে শেষ তিনটি অধ্যায় বাদে সম্পূর্ণ ‘মুয়াত্তা’ গ্রন্হ শবণ করিয়াছিলেন।

২. আবূ মুসয়িব আহমদ ইবনে আবূ বকর আল কাসিম কৃতঃ তিনি মদীনার বিচারপতি ছিলেন এবং তাঁহার তৈরী করা নোসখাই ইমাম মালিক (র)-কে সর্বশেষে শুনানো হয়। ইহাতে অপর নোসখার তুলনায় প্রায় একশতটি হাদীস বেশী রহিয়াছে।

৩. ইমাম মুহাম্মদ ইবনুল হাসান শায়বানী কৃতঃ তিনি যেমন ইমাম আবু হানীফা (র)-এর নিকট ইলমে ফিকাহ শিক্ষা করিয়াছেন, অনুরুপভাবে ইমাম মালিক (র)-এর নিকট হাইতে তিনি হাদীস শিক্ষা ও গ্রহণ করিয়াছেন।

ইমাম মালিক (র)-এর নিকট হইতে ‘মুয়াত্তা’ গ্রন্হ শ্রবণ করিয়া প্রায় এক হাজার ব্যক্তি উহার বর্ণনা করিয়াছেন।

ইহা হইতে প্রমাণিত হয় যে, তদানীন্তন ইসলামী সমাজে ‘মুয়াত্তা’ গ্রন্হ যথাযথ মর্যাদা লাভ করিয়াছিল। জনগণ উহাকে সাদরে গ্রহন করিয়াছিল এবং মদীনার অধিবাসী ইমাম মালিক (র)-এর নিকট সরাসরিভাবে উহা আদ্যোপান্ত শ্রবণ করার উদ্দেশ্যে গোটা মুসলিম জাহানের জনতা ভীড় জমাইয়াছিল। বহু সংখ্যক মুহাদ্দিস এই কারণেই মনে করেন যে, তিরমিযী শরীফে উদ্ধৃত নবী করীম (ﷺ)-এর নিম্নোক্ত ভবিষ্যদ্বাণী ইমাম মালিক (র) সম্পর্কেই সত্য প্রমাণিত হইয়াছে। হাদীসটি এই- নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ

সেই সময় খুব দূরে নয়, যখন জনগণ ইলম হাসিল করার উদ্দেশ্যে উষ্ট্রপৃষ্ঠে সাওয়ার হইয়া দূর দূর দেশ সফর করিবে; কিন্তু তাহারা মদীনায় অবস্থানকারী ‘আলেম’ অপেক্ষা অধিক বিজ্ঞ অন্য কাহাকেও কোথাও পাইবে না।

ইবনে উয়াইনা ও আবদুর রাযযাক প্রমুখ বিখ্যাত মুহাদ্দিসগণ একবাক্যে বলিয়াছেন যে, এই হাদীসে উক্ত ‘আলেম’ হইতেছেন ইমাম মালিক (র)।

[তিরমিযী, হযরত আবূ হুরায়রা বর্ণিত।]

‘মুয়াত্তা’ ইমাম মালিক (র) সম্পর্কে ইমাম শাফেয়ী (র) অত্যন্ত উচ্চ ধারণা পোষণ করিতেন ও ইহাকে এক অনন্য সাধারণ গ্রন্হ মনে করিতেন। তাঁহার এই সম্পর্কিত নিম্নোদ্ধৃত উক্তি সর্বজনবিদিত। তিনি বলিয়াছেনঃ

আল্লাহর কিতাবের পর ইমাম মালিক (র) সংকলিত হাদীসের কিতাব অপেক্ষা অধিক বিশুদ্ধ গ্রন্হ দুনিয়ার বুকে আর একখানিও নাই।

তাঁহার এই কথাটি নিম্নোক্ত ভাষায়ও বর্ণিত হইয়াছেঃ

কুরআনের অধিকতর নিকটবর্তী কিতাব ইমাম মালিক (র)-এর কিতাব অপেক্ষা আর একখানিও পৃথিবীর বুকে রচিত হয় নাই।

পরবর্তীকালের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আবূ জারয়া মুয়াত্তা মালিক (র) সম্পর্কে বলিয়াছেনঃ

এতখানি আস্থা ও নির্ভরতা অপর কোন কিতাবের উপর স্থাপিত হয় নাই।

ইমাম মালিক সংকলিত এই হাদীস গ্রন্হ এতই জনপ্রিয়তা লাভ করিয়াছিল যে, তদানীন্তন আব্বাসীয় বাদশাহ আল-মনসুর হ্জ্জ উপলক্ষে মদীনায় গমন করিলে তিনি ইমাম মালিক (র)-কে লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ

আমি সংকল্প করিয়াছি যে, আপনার সংকলিত হাদীস গ্রন্হখনির অসংখ্য অনুলিপি তৈয়ার করাইয়া প্রত্যেক মুসলিম শহরেও নগরে এক-একখানি করিয়া পাঠাইয়া দিব ও সেই অনুযায়ী আমল করার জন্য সকলকে আদেশ করিব। এবং উহাকে ছাড়িয়া অপর কোন গ্রন্হের দিকে মনোযোগ না দিতে বলিব।

এই কথা শ্রবণের পর ইমাম মালিক (র)-এর মনে আনন্দ ও স্ফূর্তির বন্যা প্রবাহিত হওয়াই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু ইমাম মালিক (র)-ইহা মোটেই পছন্দ করিতে ও মানিয়া লইতে পারিলেন না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলিলেনঃ

আপনি এইরূপ কাজ করিবেন না। কেননা লোকরেদ নিকট পূর্বেই শরীয়াতের বহু কথা পৌঁছিয়া গিয়াছে। তাহারা বহু হাদীস শ্রবণ করিয়াছে, বহু হাদীস তাহারা বর্ণনা ও করিয়াছে এবং লোকেরা প্রথমেই যাহা কিছু পাইয়াছে, তাহাই তাহারা গ্রহণ করিয়া লইয়াছে, তদানুযায়ী তাহারা আমল শুরু করিয়া দিয়াছে। অতএব প্রত্যেক শহর ও অঞ্চলের লোকেরা নিজেদের জন্য যাহাই গ্রহণ করিয়াছে তদানুযায়ীই তাহাদিগকে আমল করিতে দিন।

অতঃপর বাদশাহ হারুন-অর-রশীদও ‘মুয়াত্তা’ মালিক (র) সম্পর্কে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে চাহিয়াছিলেন। তিনি উহাকে কা’বা ঘরের সঙ্গে ঝুলাইয়া রাখার ও তদানুযায়ী আমল করার জন্য জনগণকে নির্দেশ দেওয়ার সংকল্প করিয়াছিলেন। কিন্তু ইমাম মালিক (র)-এর নিকট ইহার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে তিনি বলিলেনঃ

না, আপনি এইরূপ করিবেন না। কেননা রাসূলের সাহাবীদের মধ্যে খুঁটিনাটি ব্যাপারে মত-পার্থক্য রহিয়াছে, তারা বিভিন্ন শহরে ও অঞ্চলে ছড়াইয়া পড়িয়াছেন। আর তাহারা সকলেই সঠিক পথে পরিচালিত।

ইসলামের বিরাট ও ব্যাপক জীবন-ব্যবস্থার খুঁটিনাটি ব্যাপারে মতভেদ হওয়া অতি স্বাভাবিক। ইহার পথ বন্ধ করিয়া দিয়া সকল মানুষকে বিশেষ ও নির্দিষ্ট একটি মতের অনুসারী করিতে চেষ্টা করা ও সেজন্য রাজ-ক্ষমতার ব্যবহার করা কিছুতেই সমীচীন হইতে পারে না। বরং ইসলামী বিধানভিত্তিক সকল (খুঁটিনাটি) মতকেই- তাহা বাহ্যত যতই পরস্পর-বিরোধী মনে হউক না কেন, সত্য ও সঠিক বলিয়া স্বীকার করাই হইতেছে ইসলামের নীতি। ইমাম মালিক (র)-এর উপরোক্ত উক্তি হইতেও এই কথা প্রমাণিত হয়। ইমাম মালিক (র)-এর এই নীতি যে অত্যন্ত যুক্তিসংগত ও ইনসাফপূর্ণ ছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। ইমাম ইবনে আবদুল বার (র) এই নীতির প্রতি লক্ষ্য করিয়া বলিয়াছেনঃ

সমঝদার লোকদের জন্য ইহা এক অতি ইনসাফপূর্ণ নীতি, সন্দেহ নাই।

ফিকাহর খুঁটিনাটি মাসলা লইয়া যাঁহারা সীমালংঘনকারী গোঁড়ামীতে লিপ্ত রহিয়াছেন ও খুঁটিনাটি ব্যাপারে নিজস্ব একটি বিশেষ মতকে জোরপূর্বক অন্যান্য মানুষের মাথায় চাপাইয়া দিবার জন্য অনমনীয়, ইমাম মালিক (র)- এর উপরোক্ত ভূমিকায় তাঁহাদের জন্য বিশেষ শিক্ষা নিহিত রহিয়াছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন