hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাদীস সংকলনের ইতিহাস

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (রহ)

১২৯
সুনানে আবূ দাউদ
ইমাম আবূ দাউদ পাঁচ লক্ষ হাদীস হইতে ছাঁটাই-বাছাই ও চয়ন করিয়া তাঁহার এই গ্রন্হ সংকলন করেন। ইহাতে মোট চার হাজার আটশত হাদীস স্থান পাইয়াছে। এই হাদীসসমূহ সবই আহকাম সম্পর্কিত এবং উহার অধিকাংশই ‘মশহূর’ পর্যায়ের হাদীস।

এই সম্পর্কে তাঁহার নিজের উক্তি এইঃ

আমি রাসূলে করীম (ﷺ)-এর পাঁচ লক্ষ হাদীস লিপিবদ্দ করিয়াছিলাম। তন্মধ্য হইতে ছাঁটাই-বাছাই কারিয়া মনোনীত হাদীস এই গ্রন্হে সন্নিবেশিত করিয়াছি।

মনে রাখা আবশ্যক যে, ইমাম আবূ দাউদ ফিকাহর দৃষ্টিভঙ্গিতে হাদীসসমূহ চয়ন করিয়াছেন। তিনি ইমা বুখারীর পরে অন্যান্য সিহাহ-সিত্তা প্রণেতাদের তুলনায় ফিকাহ সম্পর্কে অধিক ব্যাপক ও উজ্জ্বল দৃষ্টিসম্পন্ন ছিলেন। এই কারণে তাঁহার এই কিতাবখানি মূলত হাদীস সংকলন হইলেও কার্যত ফিকাহ শাস্ত্রের রীতিতে সজ্জিত হইয়াছে; ফিকাহর সমস্ত বিষয়ই ইহাতে আলোচিত হইয়াছে এবং সমসাময়িক ও পরবর্তি যুগের সকল ফিকাহবিদই তাঁহার সংকলিত হাদীস হইতে দলীল ও প্রমাণ সংগ্রহ করিয়াছেন। এই কারণেই ফিকাহবিগণ মনে করেনঃ

একজন মুজতাহিদের পক্ষে ফিকাহর মাসয়ালা বাহির করার জন্য আল্লাহর কিতাব কুরআন মজীদের পরে এই সুনানে আবূ দাউদ গ্রন্হই যথেষ্ট।

ফিকাহর দৃষ্টিতেই তিনি উহার অধ্যায় নির্ধারণ করিয়াছেন এবং তাহাতে এমন কথার উল্লেখ করিয়াছেন, যাহা উহার নিম্নে উদ্ধৃত হাদীস হইতে প্রমাণিত হয় এবং কোন না কোন ফকীহ সেই হাদীস হইতে উক্তরূপ মত গ্রহণ করিয়াছেন। ফলে ফিকাহবিদদের নিকট এই কিতাবখানি অত্যন্ত জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছে।

এই বৈশিষ্ট্যের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়াই ইমাম হাফেজ আবূ জাফর ইবনে যুবাইর গরনাতী (মৃঃ ৭০৮ হিঃ) সিহাহ-সিত্তার সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে সুনানে আবূ দাউদ সম্পর্কে বলিয়াছেনঃ

ফিকাহ সম্পর্কিত হাদীসসমূহ সামগ্রিক ও নিরংকুশভাবে সংকলিত হওয়ার কারণে সুনানে আবূ দাউদের যে বিশেষত্ব, তাহা সিহাহ-সিত্তার অপর কোন গ্রন্হেরই নাই।

সুনানে আবূ দাঊদের ব্যবহারিক গুরুত্ব ও মূল্য সম্পর্কে ইমাম গাযযালী ও স্পষ্ট ভাষায় বলিয়াছেন যে, ‘হাদীসের মধ্যে এই একখানি গ্রন্হই মুজতাহিদের জন্য যথেষ্ট’।

মুহাদ্দিস যাকারিয়া সাজী বলিয়াছেনঃ

ইসলামের মূল হইতেছে আল্লাহর কিতাব, আর ইসলামের ফরমান হইতেছে সুনানে আবূ দাউদ।

ইমাম আবূ দাউদ তাঁহার এই গ্রন্হখানির সংকলনকার্য যৌবন বয়সে সমাপ্ত করিয়া লইয়াছিলেন। এই সময় হাদীসের জ্ঞানে তাঁহার যে কি দক্ষতা অর্জিত হইয়াছিল, তাহা ইবরাহীম আল- হারবীর নিম্নোদ্ধৃত উক্তি হইতে স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায়। তিনি বলিয়াছেনঃ

ইমাম আবু দাউদ যখন তাঁহার এই গ্রন্হখানি সংকলন করেন তখন তাঁহার জন্য হাদীসকে নরম ও সহজ করিয়া দেওয়া হইয়াছিল, ঠিক যেমন নরম করিয়া দেওয়া হইয়াছিল হযরত দাউদ নবীর জন্য লৌহকে।

গ্রন্হ সংকলন সমাপ্ত করার পর তিনি উহাকে তাঁহার হাদীসের উস্তাদ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের সম্মুখে উপস্থাপিত করেন। ইমাম আহমদ উহাকে খুবই পছন্দ করেন ও উহা একখানি উত্তম হাদীস গ্রন্হ বলিয়া প্রশংসা করেন।

অতঃপর ইহা সর্বসাধারণের সমক্ষে উপস্থাপিত করা হয়। আর আল্লাহ তা’আলা উহাকে এত বেশি জনপ্রিয়তা ও জনগনের নিকট মর্যাদা দান করিয়াছেন, যাহা সিহাহ সিত্তার মধ্যে অপর কোন গ্রন্হই লাভ করিতে পারে নাই। এইদিকে ইঙ্গিত করিয়া ইমাম আবূ দাউদের ছাত্র হাফেজ মুহাম্মদ ইবনে মাখলাস দুয়ারী (মৃঃ ৩৩১ হিঃ বলিয়াছেনঃ

ইমাম আবূ দাউদ যখন সুনান গ্রন্হখানি প্রণয়ন সম্পন্ন করিলেন এবং উহা লোকদিগকে পাঠ করিয়া গুনাইলেন, তখনি উহা মুহাদ্দিসদের নিকট (কুরআ মজীদের মতই) অনুসরনীয় পবিত্র গ্রন্হ হইয়া গেল।

এই গ্রন্হে সন্নিবেশিত হাদীসসমূহ সম্পর্কে ইমাম আবূ দাউদ নিজেই দাবি করিয়াছেনঃ

জনগণ কতৃক সর্বসম্মতভাবে পরিত্যক্ত কোন হাদীসই আমি ইহাতে উদ্ধৃত করি নাই।

ইমাম আবূ দাউদের নিকট হইতে তাঁহার এই গ্রন্হখানি ধারাবাহিক সূত্র পরম্পরায় প্রায় নয়-দশজন বড় বড় মুহাদ্দিস কর্তৃক বর্ণিত হইয়াছেন।

ইমাম আবূ দাউদ ২৭৫ হিজরী সনে সর্বশেষ বারের তরে এই গ্রন্হখানি ছাত্রদের দ্বারা লিখাইয়াছিলেন এবং এই বৎসরই ১৬ই শাওয়াল শুক্রবার দিন তিনি অনন্ত ধামে যাত্র করেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন