hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাদীস সংকলনের ইতিহাস

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (রহ)

৪৬
তৃতীয় ভাগ
তৃতীয় পর্যায়ে মোট ২৬ জন সাহাবী গণ্য হইয়া থাকেন। তাঁহাদের নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিম্নে প্রদত্ত হইতেছেঃ

১. উম্মুল মু’মিনীন হযরত উম্মে সালমা (রা):তাঁহার বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা ১৫৭টি । তন্মধ্যে দুইটি বুখারী ও মুসলিম উভয় গ্রন্হেই উল্লিখত আছে। মিশকাত গ্রন্হকার তাঁহার সম্পর্কে লিখিয়াছেনঃ

তাহার নিকট হইতে হযরত ইবন আব্বাস (রা), আয়েশা (রা) এবং তাঁহার নিজের কন্যা যয়নব, তাহার পুত্র উমর ও ইবনুল মুসাইয়্যিব হাদীস রিওয়ায়েত করিয়াছেন।

এতদ্ব্যতীত বহু সংখ্যক সাহাবী এবং তাবেয়ীও তাঁহার নিকট হইতে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

২। হযরত আবূ মূসা আশ’আরী (রা): আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী তাঁহার সম্পর্কে লিখিয়াছেনঃ

তাঁহার বর্ণিত হাদীস তিনশ ষাটটি। তন্মধ্যে বুখারী ও মুসলিম উভয় গ্রন্হেই পঞ্চশটি হাদীস উদ্ধৃত হইয়াছে। এতেদ্ব্যতীত বুখারী শরীফে স্বতন্ত্রভাবে চারটি হাদীস ও মুসলিম শরীফে অপর পনরটি হাদীস উল্লেখ করা হইয়াছে। তাঁহার নিকট হইতে আনাস ইবন মালিক (র) ও তারেক ইবন শিহাব এবং আরো বহু সংখ্যক তাবেয়ী হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি সাহাবাদরে মধ্যে একজন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরূপে গণ্য হইতেন।

৩। হযরত বরা’ ইবন আজেব (রা): বদরদ্দীন আইনী লিখিয়াছেনঃ

রাসূলের নিকট হইতে তাঁহার সনদে তিনশত ও আরো পাঁচটি হাদীস বর্ণিত হইয়াছে। তান্মধ্যে বুখারী ও মুসলিম- উভয় কিতাবে ২২টি হাদীস, কেবল বুখারী শরীফে পনেরোটিএবং কেবল মুসলিম শরীফে ছয়টি হাদীস উদ্ধৃত হইয়াছে।

৪। হযরত আবূ যর গিফারী (রা): তিনি নিজেই বলিয়াছেনঃ

প্রথম চারজন ইসলাম গ্রহণকারীর মধ্যে আমি চতুর্থ।

[ঐ]

আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী উল্লেখ করিয়াছেনঃ

তাঁহার সনদে রাসূলের নিকট হইতে ২৮১ টি হাদীস বর্ণিত হইয়াছে। তন্মধ্যে বারোটি হাদীস বুখারী ও মুসলিম উভয় গ্রন্হে এবং এককভাবে বুখারী শরীফে ২টি ও মুসলিম শরীফে ১৭টি হাদীস উদ্ধৃত হইয়াছে। বহু সংখ্যক সাহাবীও তাঁহার নিকট হইতে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

তাবেয়ী ও তাঁহার নিকট হইতে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

হযরত সায়াদ বিন ইবনে আবূ ওয়াক্কাস (রা):দুনিয়ায় জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন সাহাবীর মধ্যে তিনি একজন। ১৪ কি ১৭ বৎসর বয়সে তিনি ইসলাম কবুল করেন। তিনিই সর্বপ্রথম আল্লাহর দ্বীনের জন্য জিহাদে তীর নিক্ষেপ করেন। তাঁহার সম্পর্কে আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী লিখিয়াছেনঃ

রাসূলের নিকট হইতে তাঁহার বর্ণিত মোট হাদীস হইতেছে দু্ইশত সত্তরটি। তন্মধ্যে বুখারী ও মুসলিম উভয়ই পনেরোটি হাদীস উ্ল্লেখ করিয়াছেন। আর আলাদাভাবে বুখারীতে পাঁচটি ও মুসলিম-এ আঠারোটি হাদীস উল্লেখিত হইয়াছে।

৬। হযরত সহল ইবনে সায়াদ আনসারী (রা): তাঁহার পনেরো বৎসর বয়সের সময় রাসূলে করীম (ﷺ) ইন্তেকাল করেন এবং সাহাবীদের মধ্যে তিনিই সকলের শেষে মদীনায় ইন্তেকাল করেন।

সকল সাহাবীর ইন্তেকালের পর একমাত্র তিনিই জীবিত ছিলেন বলিয়া ইলমে হাদীসের জন্য সকলে তাঁহার দিকেই প্রত্যাবর্তন করিত। তাঁহার বর্ণিত হাদীসের মোট সংখ্যা হইতেছে ১৮৮ টি। তন্মধ্যে ২৮ টি হাদীস বুখারী ও মুসলিম-উভয় গ্রন্হেই উল্লিখিত হইয়াছে।

৭। হযরত উবাদা ইবনে সাবিত (রা):মক্কা হইতে ইসলামের আওয়াজ মদীনারর যেসব লোকের কর্ণে প্রবেশ করে ও পরপর তিন বারের হজ্জের সময় অনুষ্ঠিত আকাবার বায়’আতে শরীক হন, তিনি তাঁহাদের একজন।

আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী লিখিয়াছেনঃ

রাসূলের নিকট হইতে তাঁহার বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা ১৮১। তন্মধ্যে বুখারী ও মুসলিম-উভয় গ্রন্হে ছয়টি হাদীস উল্লেক করা হইয়াছে। এতদ্ব্যতীত বুখারী অপর দুইটি হাদীস এবং মুসলিম অপর দুইটি হাদীস উল্লেখ করিয়াছেন।

৮। হযরত আবূদ্দরদা (রা):তিনি একজন বড় সম্মানিত সাহাবী। তাঁহার জ্ঞান, বুদ্ধি, মনীষা ও ইলমে হাদীসের উপর পূর্ণ পারদর্শিতা সুপ্রসিদ্ধ। হযরত আবূযর গিফারী (রা) তাঁহাকে সম্বোধন করিয়া একদিন বলিলেনঃ

জমিনের উপর ও আসমানের নীচে তোমার অপেক্ষা বড় আলিম এখন আর কেহ নাই হে আবূদ্দরদা।

৯। হযরত আবূ কাতাদাহ আনসারী (রা):তিনি হাদীসবর্ণনার ব্যাপারে অত্যাধিক মাত্রায় সতর্কতা অবলম্বন করিতেন। রাসূলের প্রতি মিথ্যা কথা আরোপ করা সম্পর্কিত তীব্র বাণী শ্রবণের পরই তিনি এই নীতি অবলম্বন করিতে শুরু করেন।

[ঐ, ৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৯২।] এতদসত্ত্বেও তাঁহার বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা ১০০।

১০। হযরত উবাই ইবন কায়াব (রা):তাঁহার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ইলমে হাদীসের খিদমতে অতিবাহিত হইয়াছে। খতীবুল উমরী লিখিয়াছেনঃ

তিনি নবী করীম (ﷺ)-এর জন্য ওহী লেখক ছিলেন। রাসূলের যুগে যাঁহারা সম্পূর্ণ কুরআন মজীদ মুখস্থ করেন তিনি তাঁহাদের একজন্য। তাঁহার সূত্রে বহু সংখ্যক লোক হাদীস বর্ণনাকরিয়াছেন।

১১। হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রা):দ্বিতীয়বারে অনুষ্ঠিত আকাবার বায়’আতে উপস্থিত সাতজনের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। বদর ও অন্যান্য সকল যুদ্ধেই তিনি শরীক ছিলেন। নবী করীম (ﷺ) তাঁহাকে বিচারপতি ও ইসলামের শিক্ষাদাতা হিসাবে ইয়েমেন প্রদেশে প্রেরণ করিয়াছিলেন।

 

হযরত ইবন মাসউদ বলিয়াছেনঃ

মুয়ায সব কল্যাণের শিক্ষাগুরু এবং আল্লাহ ও রাসূলের অনুগত ছিলেন।

[ঐ ৩৪১ পৃষ্ঠা।]

তাঁহার সম্পর্কে স্বয়ং নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ

হালাল হারাম সম্পর্কে মুয়ায সকলের অপেক্ষা বেশী জানে।

তিনি আরো বলিয়াছেনঃ

কিয়ামতের দিন মুয়ায আলিম সমাজের ইমাম হিসাবে উপস্থিত হইবেন।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর, ইবনে আব্বাস, ইবনে আবূ আওফা, আনাস ইবনে মালিক, আবূ ইমামাতা, আবূ কাতাদাহ, আবূ সালাবাতা, আবদুর রহমান ইবনে সামুরাতা, জাবির ইবনে সামুরাতা প্রমুখ সাহাবী তাঁহার নিকট হইতে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

১২। হযরত নুমান ইবনে বশীর (রা): তিনি হিজরতের পরে আনসার বংশের প্রথম সন্তান। আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী লিখিয়াছেনঃ

তাঁহার সনদে একশত চৌদ্দটি হাদীস বর্ণিত হইয়াছে।

১৩। হযরত আবূ বাকরাতা (রা):তিনি তায়েফ বিজয়ের পর রাসূলের সহিত আসিয়া যোগদান করেন। তাঁহার সম্পর্কে বদরুদ্দীন আইনী লিখিয়াছেনঃ

তিনি সাহাবাদের মধ্যে ইলমের দিক দিয়া অধিক পারদর্শী ছিলেন। ছিলেন সর্বাধিক নেক লোকদের অন্যতম। তিনি সব সময় ইবাদতের কাজে প্রাণপণ চেষ্টা করিতে থাকিতেন।

আইনী ইহাও লিখিয়াছেনঃ

তাঁহার সনদে নবী করীম (ﷺ) হইতে মোট ১৩৩ টি হাদীস বর্ণিত হইয়াছে। তন্মধ্যে ৮টি হাদীস বুখারী ও মুসলিম- উভয় গ্রন্হে এবং অপর পাঁচটি বুখারী শরীফে ও অপর একটি মুসলিম শরীফে উল্লিখিত হইয়াছে।

১৪। হযরত জরীর ইবনে আবদুল্লাহ (রা):তিনি রাসূলে করীম (ﷺ)-এর ইন্তেকালের বৎসরই ইসলাম কবুল করেন। তিনি নিজেই বলিয়াছেনঃ

আমি রাসূলের ইন্তেকালের চল্লিশ দিন পূর্বে ইসলাম কবুল করিয়াছি।

আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী লিখিয়াছেনঃ

তাঁহার বর্ণিত হাদীস একশতটি। তন্মধ্যে বুখারী ও মুসলিম উভয়ই আটটি হাদীস উল্লেখ করিয়াছেন এবং বুখারী ও মুসলিম ছয়টি আলাদা হাদীস উল্লেখ করিয়াছেন। মুসলিম শরীফের শরাহ নববী কিতাবে উল্লেখ করা হইয়াছে, তাঁহার বর্ণিত হাদীস দুইশত। তন্মধ্যে বুখারী এককভাবে উল্লেখ করিয়াছেন মাত্র একটি। কেহ বলিয়াছেন, ছয়টি।

১৫। হযরত আবূ আইয়ুব আনসারী (রা):তিনি একজন অতি সম্মানিত সাহাবী। দ্বিতীয়বারের আকাবার বায়’আতে এবং বদর যুদ্ধে তিনি শরীক হইয়াছিলেন। মদীনায় উপস্থিত হইয়া রাসূলে করীম (ﷺ) প্রথমে তাঁহারই ঘরে অবস্থান করিয়াছিলেন। আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী লিখিয়াছেনঃ

তাঁহার বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা একশত পঞ্চাশটি। তন্মধ্যে সাতটি হাদীস বুখারী ও মুসলিম উভয় গ্রন্হেই উল্লিখিত হইয়াছে। বুখারীতে ইহা ব্যতীত অন্য একটি হাদীসও রহিয়াছে।

১৬। হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা):তিনি খুলাফায়ে রাশেদীনের তৃতীয় খলীফা, আমীরুল মু’মিনীন। রাসূলের দুই কন্যারই পরপর তাঁহার সঙ্গে বিবাহ হইয়াছিল। বদরুদ্দীন আইনী তাঁহার সম্পর্কে লিখিয়াছেনঃ

তিনি রাসূলের নিকট হইতে ১৪৬টি হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। বুখারী তন্মধ্যে এগারটি নিজ কিতাবে উল্লেখ করিয়াছেন।

১৭। হযরত মুগীরা ইবনে শু’বা (রা):সাহাবীদের মধ্যে ইলম-এর দিক দিয়া বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী। হাদীসের কিতাবসমূহে তাঁহার বর্ণিত ১৩৩টি হাদীসের উল্লেখ রহিয়াছে। এতদ্ব্যতীত আরো একটি হাদীস বুখারী শরীফে এবং অপর দুইিট মুসলিম শরীফে উল্লেখ করা হইয়াছে।

১৮। হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা):খতীবুল উমরী লিখিয়াছেনঃ

তিনি সাহাবীদের মধ্যে বিশিষ্ট মনীষী এবং ফিকাহবিদদের অন্যতম।

১৯। হযরত উসামা ইবনে যায়দ (রা):তিনি নবী করীম(ﷺ)- এর পালিত পুত্র। ইসলামী জ্ঞানে তিনি বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী। রাসূলের ইন্তেকালের সময় তাঁহার বয়স ছিল আঠার কিংবা বিশ বৎসর মাত্র। তবুও রাসূলে করীম (ﷺ)-এর বিপুল সংখ্যক বানী তাঁহার স্মৃতিশক্তিতে সুরক্ষিত ছিল। তাঁহার আমল ও চরিত্রও ছিল সকলের জন্য আদর্শ এবং অনুসরণীয়।

তাঁহার দ্বারা বিপুল সংখ্যক হাদীস বর্ণিত ও প্রচারিত হইয়াছে। তাঁহার বর্ণিত হাদীসের মোট সংখ্যা হইতেছে ১২৮টি । তন্মধ্যে ১৫টি বুখারী ও মুসলিম শরীফে উদ্ধৃত হইয়াছে। এতদ্ব্যতীত অপর দুইট হাদীস বুখারী শরীফে এবং অপর দুইটি মুসলিম শরীফে উল্লিখিত হইয়াছে।

 

২০। হযরত সওবান (রা):তিনি রাসূলে করীম (ﷺ)-এর ক্রীদাস ও তাঁহার পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি সব সময়ই রাসুলে করীম (ﷺ)-এর সঙ্গে থাকিতেন। তিনি একদিকে যেমন হাদীস মুখস্থ করিতেন, স্মরণ রাখিতেন, তেমনি হাদীস প্রচারের দায়িত্বও তিনি পূর্ণ মাত্রায় পালন করিতেন।

২১। হযরত বুরায়দা ইবনে হাসীব (রা):সাহাবীদের মধ্যে তিনি বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন ছিলেন। রাসূলের বিপূল সংখ্যক হাদীস তাঁহার কণ্ঠস্থ ছিল। তাঁহার বর্ণিত হাদীসের মোট সংখ্যা ১৬৪। তন্মধ্যে একটি মাত্র হাদীস বুখারী ও মুসলিম-উভয় গ্রন্হে উল্লিখিত হইয়াছে। এতদ্ব্যতীত আরো ২টি হাদীস কেবলমাত্র বুখারী শরীফে ও ১১ টি কেবলমাত্র মুসলিম শরীফে উদ্ধৃত হইয়াছে।

তাঁহার বর্ণিত সব কয়টি হাদীসই সরাসরি রাসূলের নিকট হইতে শ্রুত।

২২। হযরত আবূ মাসউদ আকাবা ইবনে উমর (রা):আকাবার দ্বিতীয় বায়’আতের সময় তিনি ইসলাম কবুল করেন।দ্বীন-ইসলামের একজন উদ্যমশীল প্রচারক ছিলেন তিনি। সব কয়টি যুদ্ধেই তিনি শরীক ইয়াছিলেন। হাদীস প্রচারেও তিনি যথেষ্ট মনোযোগী ছিলেন। হাদীসের কিতাবসমূহে তাঁহার বর্ণিত ১০২টি হাদীসের উল্লেখ পাওয়া যায়।

২৩। হযরত জরীর ইবনে আবদুল্লাহ (রা):তিনি রাসূলের ইন্তেকালের প্রায় চল্লিশ দিন পূর্বে ইসলাম কবুল করেন। তাঁহার বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা একশত। তন্মধ্যে আটটি হাদীস বুখারী ও মুসলিম-উভয় গ্রন্হেই উল্লিখিত হইয়াচে। এতদ্ব্যতীত বুখারী শরীফে একটি হাদীস স্বতন্ত্রভাবে উল্লিখিত হইয়াছে, আর মুসলিম শরীফে উল্লিখিত হইয়াছে ছয়টি হাদীস। অবশ্য নববীর শরহে মুসলিম গ্রন্হে বলা হইয়াছে যে, হযরত জরীর হইতে দুইশত হাদীস বর্ণিত হইয়াছে। তন্মধ্যে বুখারী শরীফে একটি এবং মসলিম শরীফে নয়টি হাদীস উল্লিখিত হইয়াছে।

২৪। হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব ফরাজী (রা):তাঁহার সম্পর্কে মিশকাত সংকলক বলিয়াছেনঃ

তিনি হাফেজে হাদীস ছিলেন এবং রাসূলে নিকট হইতে অধিক সংখ্যক হাদীস বর্ণনাকারীদের মদ্যে তিনি অন্যতম। তাঁহার নিকট হইতেও বহু সংখ্যক লোক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী লিখিয়াছেনঃ

তাঁহার নিকট হইতে মোট একশত তেইশটি হাদীস বর্ণিত হইয়াছে। তাহার মধ্য হইতে মাত্র চারিটি হাদীস বুখারী শরীফে উদ্ধৃত হইয়াছে।

২৫। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা):তিনি হযরত সায়াদ ইবনে আবূ অক্কাসের ভাগ্নেয়। কুফা নগরে তিনি অবস্থান করিতেন এবং সেখানেই ৭৪ হিজরীতে তাঁহার ইন্তেকাল হয়। তাঁহার নিকট হইতেও বিপুল সংখ্যক লোক হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

২৬। হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রা):তিনি খুলাফায়ে রাশেদীনের প্রথম খলীফা। নবী করীম (ﷺ)-এর আজীবনের বন্ধু ও সহচর। জাহিলিয়াতের যুগ হইতে ইসলামী সমাজ কায়েম হওয়া পর্যন্ত কোথাও কোন অবস্থায়ই তিন বেশিী সময়ের জন্য রাসূলে করীম (ﷺ) হইতে বিচ্ছিন্ন হন নাই। তাঁহার সম্পর্কে তাঁহার সম্পর্কে মিশকাত সংকলক লিখিয়াছেনঃ

বহু সংখ্যক সাহাবী ও তাবেয়ীন তাঁহার নিকট হইতে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে রাসূলের ইন্তেকালের পর অল্পকাল মাত্র জীবিত থাকার কারণে তাঁহার নিকট হইতে খুব কম সংখ্যক হাদীসই বর্ণিত হইয়াছে।

[

হযরত আবূ বকরের হাদীস বর্ণনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার জন্য এই গ্রন্হের ‘খুলাফায়ে রাশেদীন ও হাদীস গ্রন্হ সংকলন’ আালোচনা দ্রষ্টব্য।]

উপরিউল্লিখিত সাহাবীদের প্রত্যেকের বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা একশত কিংবা ততোধিক এবং ইহাদের সকলের বর্ণিত সর্বমোট হাদীস হইতেছে ৪৫৫৬টি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন