hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হাদীস সংকলনের ইতিহাস

লেখকঃ মওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম (রহ)

১৮৮
শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভীর যুগ
শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভীর যুগে উপমহাদেশে হাদীস শাস্ত্রের চরম বিকাশের অধ্যায় সূচিত হয়। এই সময়ই ইহা একটি উন্নত বিজ্ঞান হিসাবে মর্যাদা লাভ করে। ইহার পশ্চাতে যুগ-ইমাম শাহ ওয়ালীউল্লাহর দান অপরিসীম ও অতুলনীয়। তিনি ১১১৪ হিজরী সনের ১৪ই শাওয়াল জন্মগ্রহণ করেন। তাঁহার ইন্তেকাল হয় ১১৭৬ হিজরীতে। তিনি হাদীসে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য মক্কা ও মদীনায় গমন করেন। হাদীস সম্পর্কে তাঁহার নিম্নলিখিত গ্রন্হাবলী উল্লেখযোগ্যঃ

ক) হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা

খ) আরবায়ীন

গ) অসীকাতুল আখইয়ার

ঘ) আদদুররুস সামীন ফী মুবাশশরাতিন্নবীয়িল আমীন

ঙ) আল ফযলুল মুবীন ফিল মুসালসাল মিন হাদীসিন্নবীয়িল আমীন

চ) আল ইরশাদ ইলা মুহিম্মাতিল ইসনাদ

ছ) তারাজিমুল বুখারী

জ) শরহে তারাজীমে আবওয়াবিল বুখারী

ঝ) মুসাফফা শরহে মুয়াত্তা

ঞ) মুসাওয়া শরহে মুয়াত্তা

ট) আসারূল মুহাদ্দিসীন।

শাহ ওয়ালীউল্লাহর প্রভাবাধীন যেসব মুহাদ্দিসের আবির্ভাব হয়, তাঁহাদের নাম নিম্নে দেওয়া গেলঃ

১) কাযী সানাউল্লাহ পানিপতি (মৃঃ১২২৫ হিঃ)। তিনি ‘আল-লুবাব’ নামে একখানি হাদীস গ্রন্হ প্রণয়ন করেন।

২) শাহ আবদুল আযীয ইবনে ওয়ালীউল্লাহ দেহলভী (মৃঃ ১২৩৬ হিঃ)। তিনি প্রায় ষাট বৎসর পর্যন্ত হাদীস শিক্ষাদানে ব্যাপৃত থাকেন। ফলে তাঁহার অসংখ্য ছাত্র ভারতের বিভিন্ন স্থানে হাদীস শিক্ষা ও প্রচারে নিযুক্ত হন। তাঁহাদের কয়েকজনের নাম এখানে উল্লেখ করা যাইতেছেঃ

১) শাহ রফী উদ্দীন দেহলভী (মৃঃ ১২৪৯ হিঃ)

(২), শাহ মুহাম্মদ ইসমাঈল শহীদ (শাহাদাতঃ ১২৪৬ হিঃ)

(৩) শাহ মুহাম্মদ মকসুদুল্লাহ (মৃঃ ১২৭৩ হিঃ)

(৪) মুন্সী সদরুদ্দীন দেহলভী (মৃঃ ১২৫৮ হিঃ)

(৫) হাসান আলী মুহাদ্দিস লখনভী,

(৬) হুসাইন আহমদ (মৃঃ ১২৭৫ হিঃ)

(৭) শাহ রউফ আহমদ মুজাদ্দেদী (মৃঃ ১২৪৯ হিঃ)

(৮) শাহ ফজলূর রহমান গঞ্জ মুরাদাবাদী (মৃঃ ১৩১৫ হিঃ),

(৯) খুররম আলী বলহারী (মৃঃ ১২৭১ হিঃ) তিনি আসসাগীনার ‘মুশারিকুল আনওয়ার’ ও শাহ ওয়ালীউল্লাহর ‘আরবায়ীন’ গ্রন্হের উর্দূ অনুবাদ করেন।

(১০) শাহ আবূ সায়ীদ (মৃঃ ১২৫০ হিঃ)

(১১) মুহাম্মাদ শকুর (মৃঃ ১৩০০ হিঃ)

(১২) শাহ যহুরুল হক ফুলওয়ারী,

(১৩) আওলাদ হুসাইন,

(১৪) করম উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী (মৃঃ ১২৫৮ হিঃ)

(১৫) আলামাতুল্লাহ বদায়ীনী।

শাহ আবদুল আযীযের হাদীস সম্পর্কীত গ্রন্হাবলী মাত্র দুইখানি। তাহা এইঃ

ক) বুস্তানুল মুহাদ্দিসীন (ফার্সী),

খ) উজালায়ে নাফেয়া।

৩) শাহ ইসহাক ইবনে আফযাল ফারূকী দেহলভী (মৃঃ ১২৬২)- তিনি ২০ বৎসর পর্যন্ত হাদীস শিক্ষাদানে নিযুক্ত থাকেন। সমগ্র ভারতে তাঁহার ছাত্রগণ ছড়াইয়া পড়েন।

(৪) মাযহাব নানুতুবী (মৃঃ ১৩২০ )।

(৫) আহমাদ আলী সাহারানপুরী (মৃঃ ১২৯৭)- তিনি মক্কা ও মদীনায় উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। তিনি তা’লীকাতে বুখারী, মুকাদ্দামায়ে বুখারী ও তিরমিযী শরীফের হাশিয়া (Marginal notes) ইত্যাদি রচনা্ করেন।

(৬) মওলানা কাসেম নানুতুবী (মৃঃ ১২৯৭)

(৭) মিয়া সাহেব সাইয়েদ নযীর হুসাইন (মৃঃ১৩২০)।

(৮) মওলাবী নওয়াব মুহাম্মদ কুতুবুদ্দীন মুহাদ্দিস-ই দেহলভী- শাহ ইসাহক দেহলভীর নিকট তিনি ইলমে হাদীস শিক্ষা করেন। অতঃপর মক্কা ও মদীনায় গমন করিয়া হাদীসের উচ্চতর সনদ লাভ করেন। হাদীস সম্পর্কে তাঁহার নিম্নলিখিত গ্রন্হদ্বয় উল্লেখযোগ্যঃ

ক) মাজাহিরে হক- মিশকাত শরীফের উর্দূ অনুবাদ ও ভাষ্য

খ) তরজমা হিসনে হাসীন।

শাহ ইসহাক সাহেবের পর হাদীস শিক্ষাদানের বিভিন্ন কেন্দ্র গড়িয়া উঠে। পূর্বোক্ত মনীষীগণেরই ছাত্রগণ পাক-ভারতের বিভিন্ন স্থানে নিজস্বভাবে ইলমে হাদীসের শিক্ষাদান ও প্রচারাকর্য শুরু করেন। শাহ আবূ সায়ীদ মুজাদ্দিসীর উত্তরাধিকারী শাহ আবদুল গনীর নিকট বহু লোক হাদীস শিক্ষা লাভ করেন। অতঃপর নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণ হাদীস বিজ্ঞানের পারদর্শী মনীষীরূপে খ্যাতিলাভ করেন।

১) মওলানা আবদুল হাই লখনভী (মৃঃ ১৩০৪), মওলানা রশীদ আহমদ গংগুহী, মওলানা কাসেম, মওলানা ইয়াকুব, মওলানা আবদুল হক ইলাহাবাদী, শায়খ হাবিবুর রহমান রুদোলভী, মওলানা মুহাম্মদ হুসাইন ইলাহাবাদী, শায়খ মুহাম্মদ মা’সুম মুজাদ্দিদি, মওলানা জাফরী, মওলানা আলীমুদ্দীন বলখী, শায়খ মঞ্জুর আহমদ হিন্দী।

মওলানা আবদুল হাই মরহুম ফিরিঙ্গী মহলে হাদীস শিক্ষাদান কেন্দ্র স্থাপন করেন। তাঁহার নিকট শিক্ষাপ্রাপ্ত লোকেরা হাদীসশাস্ত্রে যথেষ্ট পারদর্শিতা লাভ করেন। এই পর্যায়ের কয়েকজন মুহাদ্দিসের নাম এখানে উল্লেখ করা যাইতেছেঃ

(১) মওলানা জহীর আহমদ ‘শওক’। তিনি আ-সা-রিস-সুনান () নামে একখানি হাদীসগ্রন্হ প্রণয়ন করেন।

(২) মওলানা আবদুল হাদী আজীমাবাদী

(৩) মওলানিা মুহাম্মদ হুসাইন ইলাহাবাদী,

(৪) হাফেজে হাদীস মাওলানা ইদরীস সাসরামী

(৫) মওলানা আবদুল গফুর রমযানপুরী

(৬) মওলানা আবদুল করীম পাঞ্জাবী

(৭) শাহ সুলায়মান ফুলওয়ারী – তিনি এককালে কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসার হেড মাওলানা ছিলেন।

(৮) মওলানা আবদুল হাই

(৯) মওলানা আবদুল ওয়াহাব বিহারী

(১০) মওলানা আবদুল বারী – তিনি ‘আ-সা-রিস-সুনান গ্রন্হের’ ব্যাখ্যা রচনা করেন।

মওলানা সাইয়েদ নজীর হুসাইন দেহলভীর (মৃঃ ১৩২০ হিঃ) মারফতে এই উপমহাদেশে ইলমে হাদীস ব্যাপক প্রচার লাভ করে। তিনি আহলে হাদীস জামায়াতের নেতা ছিলেন। শত সহস্র ছাত্র তাঁহার নিকট ইলমে হাদীস শিক্ষা লাভ করিয়া উপমহাদেশের বিভিন্ন দিকে ছড়াইয়া পড়েন। এই পর্যায়ে মুহাদ্দিসগণের মধ্য হইতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা যাইতেছেঃ

(১) মওলানা শামসুল হক দাহানূভূ। তিনি ‘গায়াতুর মকসুদ’ নামে একখানি গ্রন্হ রচনা করেন।

(২) মওলানা আশরাফ আলী। তিনি ‘আইনুল মা’বুদ নামে গ্রন্হ রচনা করেন।

(৩) মওলানা আবদুর রহমান মুবারকাপুরী- তিনি ‘তুহফাতুল আহওয়াযী’ নামে তিরমিযী শরীফের একখানি বিরাট শরাহ কিতাব লিখেন।

(৪) মওলানা সায়াদাত হুসাইন- তিনি কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসার ইলমে হাদীসের অধ্যাপক ছিলেন।

(৫) মওলানা আমীর আলী মলীহাবাদী- তিনি হিদায়া (ফিকাহ গ্রন্হের) টিকা রচনা করিয়াছেন।

(৬) মওলানা জমীল আনাসারী- তিনি কলিকাতা আলীয়া মাদ্রাসায় হাদীসের দারস দিতেন।

(৭) মওলানা আহমদুল্লাহ (মৃঃ ১৩৬২)- তিনি দিল্লীর রহমানিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস ছিলেন।

(৮) মওলানা আলম আলী নগীনুভী, রামপুরে হাদীস শিক্ষাদানে সাইয়েদ আবূ মুহাম্মদ বরকত আলী শাহ, মওলানা হাসান শাহ, মওলানা মুনাওয়ার আলী এবং তাঁহার ছাত্র মাওলানা বেলায়েত হুসাইন প্রমুখ বড় বড় মুহাদ্দিস আবির্ভূত হন।

মওলানা শাহ আবদুল গনীর ছাত্র মওলানা মুহাম্মদ কাসেক ও মওলানা রশীদ আহমদ দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। বিগত কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠান হইতে কয়েক সহস্র মুহাদ্দিস পাক-ভারতের দিকে দিকে ছড়াইয়া পড়িয়াছেন। মওলানা খলীল আহমদ সাহেব এই পর্যায়ের বড় মুহাদ্দিস। তিনি ‘বযলুল মজহুদ’ নামে আবূ দাঊদ শরীফের এক উচ্চমানের জ্ঞানগর্ভ ব্যাখ্যা-গ্রন্হ রচনা করেন।

মওলানা মাহমুদুল হাসান (শায়খুল হিন্দ) দীর্ঘকাল পর্যন্ত দেওবন্দ মাদ্রাসার শীর্ষস্থানীয় মুহাদ্দিস ছিলেন ও বহুশত লোক তাঁহার নিকট হলমে হাদীসের শিক্ষালাভ করেন। মওলানা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী এ যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস। তিনি বুখারী ও তিরমিযী শরীফ পড়াইবার সময় যে ভাষণ দিয়াছেন তাহা তাঁহার ছাত্রদের কর্তৃক লিপিবদ্ধ হইয়াছে এবং যথাক্রমে ‘ফয়যুলবারী’ শরহে বুখারী ও ‘আল-আরফুশ-শাযী শরহে তিরমিযী ‘ নাম প্রকাশিত হইয়াছে।

মওলানা আহমদ আলী সাহারানপুরীর নিকট হইতে হাদীস শিক্ষা করিয়া বহু লোক বাংলা-আসামে হাদীসের দারস দানে ব্যাপৃত হন। তাঁহার ছাত্রদের মধ্যে মুফতী আবদুল্লাহ টুংকী ও মওলানা নাজের হাসান দেওবন্দী সর্বাধিক খ্যাতিলাভ করেন। পূর্ব বাংলা ও আসাম এলাকায় তাঁহাদের ছাত্র এবং এই গ্রন্হকারের খাস উস্তাদ মওলানা মুহাম্মদ হুসাইন সিলহটী ও মওলানা মুমতাযদ্দীন সাহেবান বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেন।

[এই পর্যায়ের আলোচনা সুসংবদ্ধভাবে খুব বেশমী সংখ্যক গ্রন্হে পাওয়া যায় না। এই আলোচনারঞ্জ যাবতীয় গ্রন্হ নিম্নলিখিত গ্রন্হাবলী হইতে গৃহীত। (1) জনাব ডাঃ ইসহাক সাহেবের গবেষণামূলক গ্রন্হ Indian’s Contribution to the Study of Hadith Literature, (২) মওলানা মুফতী আমীমুল ইহসান লিখিত (৩) (৪) মওলানা আবদুল গফফার হাসান সংকলিত এর ভূমিকা ইত্যাদি। ‘মানের-এর বিখ্যাত হাদীসবিদ শায়খ মাখদুমুল মূলক তাঁহার নিকট সুদীর্ঘ ২২ বৎসর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ইলমে হাদীস ও অন্যান্য জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা লাভ করিয়াছিলেন। (মানাকিবুল আসফিয়া) (Islamic Culture, vol-xxvll- No-1]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন