HADITH.One
HADITH.One
Bangla
System
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
সাপোর্ট করুন
নারীদের যে বিষয়গুলো না জানলেই নয়
লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান
নারীদের যে বিষয়গুলো না জানলেই নয়
[নারী বিষয়ক ২৫০টি প্রশ্ন ও উত্তরসহ]
Family Development Package - Book 4
আমির জামান
নাজমা জামান
সম্পাদনা পরিষদ
ড. কায়সার মামুন
শিক্ষা বিষয়ক গবেষক
সিগাপুর।
মেরিনা সুলতানা
আরলি চাইল্ডহুড এডুকেটর
ক্যানাডা।
আলী আকবর
শিক্ষা বিষয়ক গবেষক
আমেরিকা।
Published by
Institute of Family Development, Canada
www.themessagecanada.com
[নারী বিষয়ক ২৫০টি প্রশ্ন ও উত্তরসহ]
Family Development Package - Book 4
আমির জামান
নাজমা জামান
সম্পাদনা পরিষদ
ড. কায়সার মামুন
শিক্ষা বিষয়ক গবেষক
সিগাপুর।
মেরিনা সুলতানা
আরলি চাইল্ডহুড এডুকেটর
ক্যানাডা।
আলী আকবর
শিক্ষা বিষয়ক গবেষক
আমেরিকা।
Published by
Institute of Family Development, Canada
www.themessagecanada.com
আসসালামু আলাইকুম। বাস্তবে আমরা দেখি যে, মহিলাদের মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন থাকে কিন্তু তা সবাইকে জিজ্ঞেস করতে পারেন না অথবা সব প্রশ্নের সঠিক উত্তরও পান না। আমরা নিজেরাও এর ভুক্তভোগী। তাই কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে মহিলা বিষয়ক বেশ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর আমরা এই বইয়ে সংকলন করেছি। এই প্রশ্নউত্তর পর্বে মক্কা-মদীনার বিখ্যাত স্কলারদের গবেষণা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। নারীদের আসল পরিচয় ও সঠিক মর্যাদা সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা'আলা কী বলেছেন। তা অধিকাংশ নারীই ভালভাবে জানেন না। আল্লাহ শেষ নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) -এর মাধ্যমে নারীদের যে মর্যাদা প্রদান করেছেন তা না জানার কারণে নতুন করে অধিকার আদায়ের আন্দোলন করতে হচ্ছে। নারীদের নিজেদের মর্যাদা সম্পর্কে জানতে হলে কুরআন হাদীস অধ্যয়নের বিকল্প নেই।
রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমার পর পুরুষদের জন্য নারীদের ফিতনার চেয়ে মারাত্মক ও ক্ষতিকর আর কোন ফিতনা (অরাজকতা) আমি রেখে যাইনি। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
আল্লাহর বিধান হলো যতক্ষণ না মানুষ নিজের মধ্যে পরিবর্তনের সূচনা করবে এবং পরিবর্তনকে কাজে পরিণত করার চেষ্টা চালাবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাতে কোন পরিবর্তন আসবে না। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন, যে পর্যন্ত না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।” (সূরা রাদ ১৩ ও ১১) আল্লাহ তা'আলা নারীদের জন্য যেসব বিধি-বিধান দিয়েছেন, তা সবই নারীদের নিরাপত্তা ও তাদের মান সম্মানের হিফাযত করার জন্যই দিয়েছেন। ইসলামের মধ্যেই নিহিত রয়েছে নারীদের প্রকৃত কল্যাণ। একমাত্র ইসলামই নিশ্চিত করছে নারীদের নিরাপত্তা এবং গ্যারান্টি দিয়েছে তাদের মান মর্যাদা রক্ষার। ইনশাআল্লাহ আমরা খুবই গুরুত্ব ও মনোযোগের সাথে এই বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় পড়বো এবং এক এক করে অনুধাবন করার চেষ্টা করবো। সম্মানিত পাঠকের মতামত, ভুল সংশোধন ও দৃষ্টি আকর্ষণ ইমেইল অথবা টেলিফোনে জানালে আগামী সংস্করণে তা প্রতিফলিত হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা'আলা আমাদের ভুল-ত্রুটি মার্জনা করে তার খাটি বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আমীন।
জাযাকআল্লাহু খাইরন,
আমির জামান ও নাজমা জামান
টরন্টো, কানাডা
রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমার পর পুরুষদের জন্য নারীদের ফিতনার চেয়ে মারাত্মক ও ক্ষতিকর আর কোন ফিতনা (অরাজকতা) আমি রেখে যাইনি। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
আল্লাহর বিধান হলো যতক্ষণ না মানুষ নিজের মধ্যে পরিবর্তনের সূচনা করবে এবং পরিবর্তনকে কাজে পরিণত করার চেষ্টা চালাবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাতে কোন পরিবর্তন আসবে না। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “আল্লাহ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন, যে পর্যন্ত না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে।” (সূরা রাদ ১৩ ও ১১) আল্লাহ তা'আলা নারীদের জন্য যেসব বিধি-বিধান দিয়েছেন, তা সবই নারীদের নিরাপত্তা ও তাদের মান সম্মানের হিফাযত করার জন্যই দিয়েছেন। ইসলামের মধ্যেই নিহিত রয়েছে নারীদের প্রকৃত কল্যাণ। একমাত্র ইসলামই নিশ্চিত করছে নারীদের নিরাপত্তা এবং গ্যারান্টি দিয়েছে তাদের মান মর্যাদা রক্ষার। ইনশাআল্লাহ আমরা খুবই গুরুত্ব ও মনোযোগের সাথে এই বইয়ের প্রতিটি অধ্যায় পড়বো এবং এক এক করে অনুধাবন করার চেষ্টা করবো। সম্মানিত পাঠকের মতামত, ভুল সংশোধন ও দৃষ্টি আকর্ষণ ইমেইল অথবা টেলিফোনে জানালে আগামী সংস্করণে তা প্রতিফলিত হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা'আলা আমাদের ভুল-ত্রুটি মার্জনা করে তার খাটি বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আমীন।
জাযাকআল্লাহু খাইরন,
আমির জামান ও নাজমা জামান
টরন্টো, কানাডা
আমরা সর্বপ্রথমে মহান আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করছি।
সূরা আত-তাহরীমের ৬নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং পরিবারের। লোকদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাচাও।”
আমরা আমাদের বইগুলো প্রকাশ করেছি মূলতঃ আমাদের পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবদের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে পারিবারিক উন্নয়নের লক্ষ্যে।
এই ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজের বইগুলো প্রকাশ এবং প্রচারে সহযোগীতার জন্য আমরা আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের নিকট কৃতজ্ঞ। আমরা তাদের সকলের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে দু’আ করি। মহান আল্লাহ তাআলা তাদের মেধা, শ্রম ও সকল প্রকার সহযোগীতা কবুল করুন এবং দ্বীন ইসলাম। বুঝে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।
সূরা আত-তাহরীমের ৬নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং পরিবারের। লোকদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাচাও।”
আমরা আমাদের বইগুলো প্রকাশ করেছি মূলতঃ আমাদের পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবদের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে পারিবারিক উন্নয়নের লক্ষ্যে।
এই ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজের বইগুলো প্রকাশ এবং প্রচারে সহযোগীতার জন্য আমরা আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের নিকট কৃতজ্ঞ। আমরা তাদের সকলের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে দু’আ করি। মহান আল্লাহ তাআলা তাদের মেধা, শ্রম ও সকল প্রকার সহযোগীতা কবুল করুন এবং দ্বীন ইসলাম। বুঝে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন।
আসসালামু আলাইকুম।
গত কয়েক দশকে সারা বিশ্বে ইসলামী পূর্ণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। মুসলিমরা এখন ধর্ম সম্পর্কে আগের চাইতে অনেক বেশী সচেতন হয়েছেন। পশ্চিমা সভ্যতার সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে মুসলিমদের ভিতরে দুটো দলের সৃষ্টি হয়েছে, এক দল আধুনিকতার নামে পাশ্চাত্যের সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরছেন। অন্যদল, যারা আধুনিকতায় প্রথম দল থেকে কোন অংশে কম নন, ইসলামী মূল্যবোধকে জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। ২০১৫ সালে ঢাকায় দেখেছি, তথাকথিত আধুনিক পোশাক পরা তরুণীদের সংখ্যা যেমন অনেক, তেমনি হিজাবধারী বোনদের সংখ্যাও কম নয়।
ইসলামী পূর্ণজাগরণের অন্যতম প্রতীক হলো হিজাব। এটা সলাত বা হাজ্জের মতো একটা প্রকাশ্য ইবাদত। মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে সব ধরণের কাজ (যেমন চিকিৎসক, প্রকৌশলী, পাইলট, পুলিশ) হিজাব পরিহীতা নারীরা সাফল্যের সাথে করছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী শেখ লুবনা এর ভালো উদাহরণ, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে সফল অর্থমন্ত্রী।
হিজাব যেহেতু একটি প্রকাশ্য ইবাদত, ফলে এটা পালন করতে গিয়ে বোনদের বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। একটি মুসলিম প্রধান দেশ তুরস্কের বোনদেরকে হিজাব পরার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয় না। ফলে অসংখ্য মুসলিম নারী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অথবা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য অন্য দেশে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
অমুসলিম দেশগুলোতে এই সমস্যা আরো প্রকট, যা সম্প্রতি চরম আকার ধারণ করেছে। নাইন-ইলেভেনের পর আমেরিকা সফরে গিয়ে আমার স্ত্রীকে নিউ ইয়র্কের কেনেডি এয়ারপোর্টে হিজাব পরার অপরাধে যথেষ্ট ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। তিনি জানতেন হিজাবের কারণে তাঁকে সমস্যায় পরতে হতে পারে। কিন্তু আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য দুনিয়াবি বাধা মানতে রাজী না হয়ে তিনি হিজাব পালনে অটল থেকেছেন। আমার চারপাশে মুসলিম নারীদের অপরিসীম। তাকওয়া বা আল্লাহভীতির প্রমাণ আমি সবসময় দেখতে পাই। আমেরিকা, ক্যানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মুসলিম বোনেরা হিজাব পরে আল্লাহর হুকুম পালন করতে গিয়ে ঈমানের যে পরীক্ষা প্রতিদিন দিচ্ছেন, তা আমার মতো অল্প জ্ঞান সম্পন্ন লোকের কাছে দৈহিক জিহাদের মতো মনে হয়। আল্লাহর রাস্তায় মুসলিম বোনদের এই প্রচেষ্টার জন্য তারা আমার কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকবেন।
আল্লাহ বিভিন্ন বিধিবিধান দিয়েছেন যাতে দুনিয়ায় মানুষের জীবন সহজ ও সুন্দর হয়। এটা যখন আমরা বুঝতে পারি তখন খুব ভোরে উঠে ফযরের সলাত আদায় করা বা গ্রীষ্মের দীর্ঘ গরমের দিনে সিয়াম পালন করা আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। হিজাবও এর ব্যতিক্রম নয়। যখন বোনেরা জানতে পারবেন। আল্লাহ কেন হিজাব করতে বলেছেন, এর উদ্দেশ্য কি, তখন তারা নিজেরাই উৎসাহী হয়ে হিজাব করবেন। এই বইয়ের মাধ্যমে আমার দ্বীনি বোন নাজমা জামান ও দ্বীনি ভাই আমির জামান এই কাজটি করার চেষ্টা করেছেন, আল্লাহ তাদের এই প্রচেষ্টা কবুল করুন। আমিন।
আমি কোন মাওলানা নই, উপরের কথাগুলো ইসলামের প্রথাগত শিক্ষাবিহীন একজন সাধারণ মুসলিমের ভাবনা, এতে যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তবে সেটা আমারই, আমি এজন্য পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আমীন।
ড. কায়সার মামুন
সিংগাপুর
গত কয়েক দশকে সারা বিশ্বে ইসলামী পূর্ণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। মুসলিমরা এখন ধর্ম সম্পর্কে আগের চাইতে অনেক বেশী সচেতন হয়েছেন। পশ্চিমা সভ্যতার সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে মুসলিমদের ভিতরে দুটো দলের সৃষ্টি হয়েছে, এক দল আধুনিকতার নামে পাশ্চাত্যের সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরছেন। অন্যদল, যারা আধুনিকতায় প্রথম দল থেকে কোন অংশে কম নন, ইসলামী মূল্যবোধকে জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। ২০১৫ সালে ঢাকায় দেখেছি, তথাকথিত আধুনিক পোশাক পরা তরুণীদের সংখ্যা যেমন অনেক, তেমনি হিজাবধারী বোনদের সংখ্যাও কম নয়।
ইসলামী পূর্ণজাগরণের অন্যতম প্রতীক হলো হিজাব। এটা সলাত বা হাজ্জের মতো একটা প্রকাশ্য ইবাদত। মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে সব ধরণের কাজ (যেমন চিকিৎসক, প্রকৌশলী, পাইলট, পুলিশ) হিজাব পরিহীতা নারীরা সাফল্যের সাথে করছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী শেখ লুবনা এর ভালো উদাহরণ, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে সফল অর্থমন্ত্রী।
হিজাব যেহেতু একটি প্রকাশ্য ইবাদত, ফলে এটা পালন করতে গিয়ে বোনদের বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। একটি মুসলিম প্রধান দেশ তুরস্কের বোনদেরকে হিজাব পরার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হয় না। ফলে অসংখ্য মুসলিম নারী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অথবা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য অন্য দেশে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
অমুসলিম দেশগুলোতে এই সমস্যা আরো প্রকট, যা সম্প্রতি চরম আকার ধারণ করেছে। নাইন-ইলেভেনের পর আমেরিকা সফরে গিয়ে আমার স্ত্রীকে নিউ ইয়র্কের কেনেডি এয়ারপোর্টে হিজাব পরার অপরাধে যথেষ্ট ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। তিনি জানতেন হিজাবের কারণে তাঁকে সমস্যায় পরতে হতে পারে। কিন্তু আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য দুনিয়াবি বাধা মানতে রাজী না হয়ে তিনি হিজাব পালনে অটল থেকেছেন। আমার চারপাশে মুসলিম নারীদের অপরিসীম। তাকওয়া বা আল্লাহভীতির প্রমাণ আমি সবসময় দেখতে পাই। আমেরিকা, ক্যানাডা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মুসলিম বোনেরা হিজাব পরে আল্লাহর হুকুম পালন করতে গিয়ে ঈমানের যে পরীক্ষা প্রতিদিন দিচ্ছেন, তা আমার মতো অল্প জ্ঞান সম্পন্ন লোকের কাছে দৈহিক জিহাদের মতো মনে হয়। আল্লাহর রাস্তায় মুসলিম বোনদের এই প্রচেষ্টার জন্য তারা আমার কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকবেন।
আল্লাহ বিভিন্ন বিধিবিধান দিয়েছেন যাতে দুনিয়ায় মানুষের জীবন সহজ ও সুন্দর হয়। এটা যখন আমরা বুঝতে পারি তখন খুব ভোরে উঠে ফযরের সলাত আদায় করা বা গ্রীষ্মের দীর্ঘ গরমের দিনে সিয়াম পালন করা আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়। হিজাবও এর ব্যতিক্রম নয়। যখন বোনেরা জানতে পারবেন। আল্লাহ কেন হিজাব করতে বলেছেন, এর উদ্দেশ্য কি, তখন তারা নিজেরাই উৎসাহী হয়ে হিজাব করবেন। এই বইয়ের মাধ্যমে আমার দ্বীনি বোন নাজমা জামান ও দ্বীনি ভাই আমির জামান এই কাজটি করার চেষ্টা করেছেন, আল্লাহ তাদের এই প্রচেষ্টা কবুল করুন। আমিন।
আমি কোন মাওলানা নই, উপরের কথাগুলো ইসলামের প্রথাগত শিক্ষাবিহীন একজন সাধারণ মুসলিমের ভাবনা, এতে যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তবে সেটা আমারই, আমি এজন্য পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আমীন।
ড. কায়সার মামুন
সিংগাপুর
মহিলাদের জান্নাতে যাওয়া খুবই সহজ তা নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) মহিলাদের গ্যারান্টি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন : জান্নাতে যাওয়ার জন্য মহিলাদের নীচে বর্ণিত শুধু চারটি কাজ করতে হবে। (আবু দাউদ)
ক) পাঁচ ওয়াক্ত সলাত (সময়মত) আদায় করতে হবে।
খ) রমাদান মাসে সিয়াম পালন করতে হবে।
গ) স্বামীর আনুগত্য করতে হবে।
ঘ) পর্দা করে চলতে হবে।
ক) পাঁচ ওয়াক্ত সলাত (সময়মত) আদায় করতে হবে।
খ) রমাদান মাসে সিয়াম পালন করতে হবে।
গ) স্বামীর আনুগত্য করতে হবে।
ঘ) পর্দা করে চলতে হবে।
বোনেরা পিতার সম্পদের যে অংশ পায় তা ভাইদের অর্ধেক, কারণ মেয়েদের বিয়ের পর কোন আর্থিক দায়িত্ব নেই, স্ত্রী এই সম্পদ স্বামীর সংসারে খরচ করতে বাধ্য নয়। ফলে, সাধারণভাবে মেয়েদের সম্পত্তির প্রয়োজন কম। তবে কেউ যদি কারো কন্যা সন্তানকে কিছু অতিরিক্ত দিতে চান তবে মোট সম্পত্তির ৩ ভাগের ১ ভাগ দান করতে পারেন। এছাড়া মহিলারা কাজ করে যে সম্পদ অর্জন করেন সেটা তাদের, অন্য কেউ (বাবা, স্বামী, ভাই) তাতে ভাগ বসাতে পারবেন না। কোন মহিলা তার নিজের সম্পদ সংসারের জন্য ব্যয় করতে বাধ্য নয়, কারণ সংসার চালানোর দায়িত্ব শুধুমাত্র স্বামীর উপর, তবে নিজের ইচ্ছায় করলে সেটা অন্য কথা। পুত্রের অর্ধেক কন্যা সন্তান পাবে এটা আল্লাহর সিদ্ধান্ত, সূরা নিসার ১১ এবং ১৭৬ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসলাম এমন একটা দ্বীন বা ধর্ম যা সাজসজ্জা সৌন্দর্য চর্চা শুধু পছন্দই করে না। বরং এর তাগিদ দেয়। তবে ভারসাম্যের সাথে সবকিছু করতে হবে। মানুষ অকারণে কদর্য, অসহায়, কুৎসিত-দর্শন আকৃতি ধারণ করবে, ইসলাম এসব পছন্দ করে না। সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য চর্চা যেন স্বামী ব্যতীত অপরকে দেখানোর উদ্দেশ্যে না হয়। নারীদের স্বভাবের কথা চিন্তা করে ইসলাম সৌন্দর্য চর্চার এমন সব জিনিস নারীদের জন্যে জায়িয করেছে, যেসব জিনিস পুরুষদের জন্যে হারাম। যেমন, স্বর্ণ, সিল্ক ইত্যাদি। তবে সেসব সৌন্দর্য চর্চার ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা হয় না অথবা আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন সাধন করে, সেসব বিকৃত সাজসজ্জা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যে একই রকম হারাম বা নিষিদ্ধ।
নারীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্যের সূচনা হল স্বামী হিসেবে উপযুক্ত পাত্র গ্রহণের ক্ষেত্রে বাছাইয়ের জটিল ধাপ বা স্তরটি। যে কেউ তাকে বিয়ে করতে ইচ্ছা পোষণ করে বিয়ের প্রস্তাব পেশ করলেই সে তা গ্রহণ করবে না; বরং রসূল ও গ্রহণযোগ্য স্বামী নির্বাচনের জন্য সুস্পষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তিনি (ﷺ) বলেছেন : “যখন তোমাদের নিকট এমন কোন ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে যার চরিত্র ও দ্বীনদারীতে তোমরা সন্তুষ্ট, তবে তোমরা তার বিয়ের ব্যবস্থা করে দাও। যদি তোমরা তা না কর, তবে তা পৃথিবীতে বিপর্যয় ডেকে আনবে এবং ব্যাপক বিশৃঙ্খলার কারণ হবে।” (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)।
স্বামী নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানদণ্ড হল তিনটি :
১) দ্বীন;
২) চরিত্র;
৩) জ্ঞান।
যখন এই তিনটি গুণ কোন ব্যক্তির মধ্যে পূর্ণতা লাভ করবে, তখন নারী তাকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করবে। বর্তমান যুগের অধিকাংশ মানুষ এর বিপরীত, তারা ধন-সম্পদের আধিক্য, অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অথবা তার বড় চাকরি, অথবা সামাজিক মর্যাদা, অথবা তার চেহারা, অথবা তার যশ-খ্যাতিসহ ইত্যাদি বিষয় আগে বিচার করে। ঐগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু প্রথমে কুরআন-সুন্নাহ বুঝে সঠিকভাবে দ্বীন ইসলাম পালন করাটাকে এক নম্বর যোগ্যতা বলে গ্রহণ করা জরুরী, অতঃপর আসবে জেনারেল একাডেমিক কোয়ালিফিকেশন।
ভুল ধারণার অপনোদন :
দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে ভালভাবে জানা এবং পালনকারী মানে বলা হচ্ছে না যে পাত্র মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। একজন ডাক্তারও সরাসরি কুরআন-হাদীস পড়াশোনা করে দ্বীন বুঝে তা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারেন।
অনেক ক্ষেত্রে স্বামীর নির্বুদ্ধিতার কারণে তার স্ত্রী অশান্তি ও দুর্বিষহ জীবনযাপন করে। আর তার সন্তানগণ হয় অস্থিরতার শিকার। সুতরাং ধার্মিক, চরিত্রবান ও বুদ্ধিমান পিতা হলেন এমন যিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদেরকে প্রতিপালন করবেন ও সুশিক্ষা দেবেন এবং তাদেরকে যথাযথভাবে লালনপালন ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে তাদেরকে সহযোগিতা করবেন; আর তাদেরকে উত্তম চরিত্র ও আচার-আচরণের ব্যাপারে উৎসাহিত করবেন।
স্বামী নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানদণ্ড হল তিনটি :
১) দ্বীন;
২) চরিত্র;
৩) জ্ঞান।
যখন এই তিনটি গুণ কোন ব্যক্তির মধ্যে পূর্ণতা লাভ করবে, তখন নারী তাকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করবে। বর্তমান যুগের অধিকাংশ মানুষ এর বিপরীত, তারা ধন-সম্পদের আধিক্য, অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, অথবা তার বড় চাকরি, অথবা সামাজিক মর্যাদা, অথবা তার চেহারা, অথবা তার যশ-খ্যাতিসহ ইত্যাদি বিষয় আগে বিচার করে। ঐগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু প্রথমে কুরআন-সুন্নাহ বুঝে সঠিকভাবে দ্বীন ইসলাম পালন করাটাকে এক নম্বর যোগ্যতা বলে গ্রহণ করা জরুরী, অতঃপর আসবে জেনারেল একাডেমিক কোয়ালিফিকেশন।
ভুল ধারণার অপনোদন :
দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে ভালভাবে জানা এবং পালনকারী মানে বলা হচ্ছে না যে পাত্র মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। একজন ডাক্তারও সরাসরি কুরআন-হাদীস পড়াশোনা করে দ্বীন বুঝে তা নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারেন।
অনেক ক্ষেত্রে স্বামীর নির্বুদ্ধিতার কারণে তার স্ত্রী অশান্তি ও দুর্বিষহ জীবনযাপন করে। আর তার সন্তানগণ হয় অস্থিরতার শিকার। সুতরাং ধার্মিক, চরিত্রবান ও বুদ্ধিমান পিতা হলেন এমন যিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদেরকে প্রতিপালন করবেন ও সুশিক্ষা দেবেন এবং তাদেরকে যথাযথভাবে লালনপালন ও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে তাদেরকে সহযোগিতা করবেন; আর তাদেরকে উত্তম চরিত্র ও আচার-আচরণের ব্যাপারে উৎসাহিত করবেন।
৯
প্রশ্ন : ৫) আমি চাকরি করি। আমার উর্পাজনের টাকা যদি স্বামীকে না জানিয়ে আমার বাবা-মাকে দিই, তাহলে আমার কি কোনো গুনাহ হবে?না, কোনো গুনাহ হবে না, তার কারণ এটা আপনার উপার্জন করা টাকা। এই উপার্জন আপনি যথেচ্ছ খরচ করতে পারেন। দান করতে পারেন বা জমা করে রাখতে পারেন। তবে সংসারের প্রয়োজনে স্বামীকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করাটা উত্তম এবং উচিত।
নবুওত একটা পুরুষোচিত সাহস ও শক্তির কাজ এবং কঠিন দায়িত্ব। এটাতে অনেক পরিশ্রম হয়, সংগ্রাম করতে হয়, যুদ্ধ করতে হয়, দেশ ভ্রমণ করতে হয়, অনেক অত্যাচার নির্যাতন ও সইতে হয়। মেয়েদের স্বাভাবিক ন সাথে এটা মেলে না। তাছাড়া প্রতিমাসে কয়েকটা দিন মেয়েদের ইবাদত থেকে দূরে থাকতে হয়, গর্ভবতী হলে, মা হওয়ার পর নারীরা নবুওতের দায়িত, নেতৃত্ব ইত্যাদিতে দিতে পারবে না ফলে নবুওতের কাজে বাধা পড়বে। এজন্য হয়তো আল্লাহ মহিলাদের নবী করে পাঠান নি। তবে আল্লাহ তা'আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরা অবশ্যই ফেইসবুকে তাদের ছবি আপলোড দিতে পারবে না। ফেইসবুকে সাধারণত অনেক মেয়েরাই তাদের নানারকম নানা ভঙ্গীর ছবি আপলোড করে দিয়ে থাকে। সবাই সবার ছবি দেখতে পায়। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি। আমি আমার ছবি অন্যকে দেখাবো কেন? আমার ছবি দেখে পরপুরুষরা তো খারাপ চিন্তাভাবনা করতে পারে। যেখানে ইসলাম মেয়েদেরকে কোমল স্বরে পরপুরুষের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছে সেখানে নিজের নানা ভঙ্গীর ছবি তো শেয়ার করার প্রশ্নই উঠে না। এটা গুনাহের কাজ।
গার্লফেন্ড ও বয়ফ্রেন্ড সম্পর্ক ইসলাম কোনভাবেই অনুমোদন করে না। তাই এই বিষয় থেকে দূরে থাকতেই হবে। ছেলে এবং মেয়েদের সবসময় একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে হবে। ক্লাসেও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। নোট আদান-প্রদানের বিষয়েও কোনভাবেই ঘনিষ্ঠ হওয়া যাবে না। আর.. ও.. তো.. আমার ভাইয়ের মতো... এরকম মনে করেও ঘনিষ্ঠ হওয়া যাবে না। অন্যের বয়ফ্রেন্ড আছে বলে আমারও থাকতে হবে। এমন কোন কথা নেই। এই কাজটা অবৈধ এবং গুনাহের কাজ, সেটা সবসময় মনে রাখতে হবে। যারাই বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড সম্পর্ক স্থাপন করেছে তারা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সলাতে রুকু, সিজদা, তাশাহহুদ ইত্যাদি অনেক কাজ রয়েছে, এই সময়ে মেয়েরা পুরুষদের সামনে বা পাশে থাকলে উভয়েরই সলাতের প্রতি মনোযোগ নষ্ট হতে পারে, তাই মসজিদে জামাতের সলাতে মহিলাদের পেছনে জায়গা দিয়ে কোন অসম্মান নয়, বরং ভদ্রতা ও রুচিশীলতার পরিচয় ইসলাম দিয়েছে।
ইসলামে মহিলা ও পুরুষে সলাতে কোন পার্থক্য নেই। কিয়াম (দাঁড়ানো), রুকু, সিজদা, জলসায় (বৈঠকে) মহিলা ও পুরুষের জন্য একই নিয়ম। বাংলাদেশে মহিলারা যে নিয়মে রুকু, সিজদা এবং বৈঠক করেন তা রসূল (ﷺ) -এর দেখানো নিয়ম নয়।
“আল্লাহ ও তাঁর রসূল যখন কোন কাজের নির্দেশ প্রদান করে তখন কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর ঐ নির্দেশের ব্যতিক্রম করার কোন অধিকার থাকে না; আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কথা অমান্য করল, সে স্পষ্টতই পথভ্রষ্ট হয়ে গেল।” (সূরা আহযাব : ৩৬) যদি আমরা উপরের এই আয়াতটি সঠিকভাবে বুঝে থাকি, তবে আমাদেরকে নিমের হাদীসটি অবশ্যই মানতে হবে। রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : তোমরা ঠিক সেভাবে সলাত আদায় কর যেভাবে আমাকে আদায় করতে দেখ। (সহীহ বুখারী)
উপরের এই হাদীসে রসূল বলেন নাই যে পুরুষরা আমার মতো করে সলাত আদায় করবে এবং নারীরা আয়িশা (রা.)-র মতো সলাত আদায় করবে। বরং তিনি পুরুষ ও মহিলা সকলকেই বলেছেন তাঁর মতো সলাত আদায় করতে। সহীহ বুখারীর বর্ণনা অনুসারে রসূল (ﷺ)-এর একজন স্ত্রী সাওদা (রা.) বলেছেন যে, “রসূল (ﷺ) যেভাবে সলাত আদায় করতেন আমরাও (অর্থাৎ নারীরাও) ঠিক সেভাবে সলাত আদায় করতাম।
পুরুষ ও মহিলাদের সলাতের মধ্যে পদ্ধতিগত কোন পার্থক্য নেই। সলাতে নারীরা পুরুষদের অনুগামী। (মির’আত ৩/৫৯, নায়ল ৩/১৯) মসজিদে নববীতে নারী ও পুরুষ সকলে রসূল (ﷺ) -এর পিছনে একই নিয়মে পাঁচ ওয়াক্ত সলাত ও জুমু'আ আদায় করেছেন। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
মহিলাদের রুকু :
যে ব্যক্তি রুকু ও সিজদায় স্বীয় মেরুদন্ড সোজা করে না, তিনি (রসূলুল্লাহ (ﷺ)) সেই সলাতকে বাতিল বলে ফায়সালা দিতেন কারণ সেই ব্যক্তি হচ্ছে একজন সলাত চোর। (আহমাদ)।
রসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেছেন : ঐ ব্যক্তির সলাত যথার্থ হবে না যতক্ষণ না সে রুকু ও সিজদাতে তার পিঠ সোজা রাখে। (আবু দাউদ, তিরমিযী)
মহিলাদের সিজদা:
অনেক মহিলা সিজদায় গিয়ে মাটিতে নিতম্ব রাখেন। এই মর্মে ‘মারাসীলে আবু দাউদে বর্ণিত হাদীসটি নিতান্তই যঈফ (দুর্বল)। এর ফলে সিজদার সুন্নাতী তরীকা বিনষ্ট হয়। সিজদা হল সলাতের অন্যতম প্রধান ‘রুকন’। সিজদা নষ্ট হলে সলাত বিনষ্ট হবে।
আর মহিলাদের জড়সড় হয়ে সিজদাহ করার ব্যাপারে কোন হাদীস সহীহ নয়। (সিলসিলাহ জয়ীফাহ) এ জন্যই ইবরাহীম নাখয়ী (রহ.) বলেছেন, সলাতে মহিলা ঐরূপই করবে, যেরূপ পুরুষ করে থাকে।' (সিফাহ স্বালাতিন নবী)
রসূল (ﷺ) সিজদার সময় দুই বাহু দূরে সরিয়ে রেখে বগল ফাঁকা করে রাখতেন। ইচ্ছে করলে দুই বাহুর এই ফাঁক দিয়ে ছোট ছাগল ছানা দৌড়ে যেতে পারতো। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
তাই সিজদার সময় বুক হাঁটুর সঙ্গে চেপে রাখা যাবে না। বরং সিজদা লম্বা করে দিতে হবে যাতে পিঠ সোজা হয়ে থাকে এবং পেটের নিচ দিয়ে ছোট ছাগল ছানা পার হয়ে যাওয়ার মতো জায়গা ফাঁকা থাকে।
রসূল (ﷺ) বলেছেন : তোমরা সিজদা অবস্থায় বাহু দু’টি কুকুরের মত বিছিয়ে। রাখবে না। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
মহিলাদের বৈঠক/জলসাঃ
উম্মে দারদা (রা.) তাঁর সলাতে পুরুষের মতই বসতেন। তিনি একজন ফীকাহবিদ ছিলেন। (আত-তারীখুস সগীর, সহীহ বুখারী ৯৫ পৃঃ, সহীহ বুখারী ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/৩৫৫)।
“আল্লাহ ও তাঁর রসূল যখন কোন কাজের নির্দেশ প্রদান করে তখন কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর ঐ নির্দেশের ব্যতিক্রম করার কোন অধিকার থাকে না; আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কথা অমান্য করল, সে স্পষ্টতই পথভ্রষ্ট হয়ে গেল।” (সূরা আহযাব : ৩৬) যদি আমরা উপরের এই আয়াতটি সঠিকভাবে বুঝে থাকি, তবে আমাদেরকে নিমের হাদীসটি অবশ্যই মানতে হবে। রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : তোমরা ঠিক সেভাবে সলাত আদায় কর যেভাবে আমাকে আদায় করতে দেখ। (সহীহ বুখারী)
উপরের এই হাদীসে রসূল বলেন নাই যে পুরুষরা আমার মতো করে সলাত আদায় করবে এবং নারীরা আয়িশা (রা.)-র মতো সলাত আদায় করবে। বরং তিনি পুরুষ ও মহিলা সকলকেই বলেছেন তাঁর মতো সলাত আদায় করতে। সহীহ বুখারীর বর্ণনা অনুসারে রসূল (ﷺ)-এর একজন স্ত্রী সাওদা (রা.) বলেছেন যে, “রসূল (ﷺ) যেভাবে সলাত আদায় করতেন আমরাও (অর্থাৎ নারীরাও) ঠিক সেভাবে সলাত আদায় করতাম।
পুরুষ ও মহিলাদের সলাতের মধ্যে পদ্ধতিগত কোন পার্থক্য নেই। সলাতে নারীরা পুরুষদের অনুগামী। (মির’আত ৩/৫৯, নায়ল ৩/১৯) মসজিদে নববীতে নারী ও পুরুষ সকলে রসূল (ﷺ) -এর পিছনে একই নিয়মে পাঁচ ওয়াক্ত সলাত ও জুমু'আ আদায় করেছেন। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
মহিলাদের রুকু :
যে ব্যক্তি রুকু ও সিজদায় স্বীয় মেরুদন্ড সোজা করে না, তিনি (রসূলুল্লাহ (ﷺ)) সেই সলাতকে বাতিল বলে ফায়সালা দিতেন কারণ সেই ব্যক্তি হচ্ছে একজন সলাত চোর। (আহমাদ)।
রসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেছেন : ঐ ব্যক্তির সলাত যথার্থ হবে না যতক্ষণ না সে রুকু ও সিজদাতে তার পিঠ সোজা রাখে। (আবু দাউদ, তিরমিযী)
মহিলাদের সিজদা:
অনেক মহিলা সিজদায় গিয়ে মাটিতে নিতম্ব রাখেন। এই মর্মে ‘মারাসীলে আবু দাউদে বর্ণিত হাদীসটি নিতান্তই যঈফ (দুর্বল)। এর ফলে সিজদার সুন্নাতী তরীকা বিনষ্ট হয়। সিজদা হল সলাতের অন্যতম প্রধান ‘রুকন’। সিজদা নষ্ট হলে সলাত বিনষ্ট হবে।
আর মহিলাদের জড়সড় হয়ে সিজদাহ করার ব্যাপারে কোন হাদীস সহীহ নয়। (সিলসিলাহ জয়ীফাহ) এ জন্যই ইবরাহীম নাখয়ী (রহ.) বলেছেন, সলাতে মহিলা ঐরূপই করবে, যেরূপ পুরুষ করে থাকে।' (সিফাহ স্বালাতিন নবী)
রসূল (ﷺ) সিজদার সময় দুই বাহু দূরে সরিয়ে রেখে বগল ফাঁকা করে রাখতেন। ইচ্ছে করলে দুই বাহুর এই ফাঁক দিয়ে ছোট ছাগল ছানা দৌড়ে যেতে পারতো। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
তাই সিজদার সময় বুক হাঁটুর সঙ্গে চেপে রাখা যাবে না। বরং সিজদা লম্বা করে দিতে হবে যাতে পিঠ সোজা হয়ে থাকে এবং পেটের নিচ দিয়ে ছোট ছাগল ছানা পার হয়ে যাওয়ার মতো জায়গা ফাঁকা থাকে।
রসূল (ﷺ) বলেছেন : তোমরা সিজদা অবস্থায় বাহু দু’টি কুকুরের মত বিছিয়ে। রাখবে না। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
মহিলাদের বৈঠক/জলসাঃ
উম্মে দারদা (রা.) তাঁর সলাতে পুরুষের মতই বসতেন। তিনি একজন ফীকাহবিদ ছিলেন। (আত-তারীখুস সগীর, সহীহ বুখারী ৯৫ পৃঃ, সহীহ বুখারী ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/৩৫৫)।
মহিলাদের সলাত আদায় করার সময় হাতের কজি থেকে আঙুল এবং মুখমণ্ডল ব্যতীত সবই ঢাকা থাকতে হবে। এমন পাতলা কাপড় পরিধান করা যাবে না যার ভেতর দিয়ে শরীর দেখা যায়। এমন আঁটসাঁট পোশাকও না পরা যাতে সতরযোগ্য অঙ্গসমূহ স্পষ্ট পরিলক্ষিত হয়। মনে রাখতে হবে যে পা অবশ্যই ঢাকা থাকতে হবে। সলাতে পা ঢাকার জন্য মোজা পড়া যেতে পারে অথবা একটা লং স্কার্ট বা ম্যাক্সি ব্যবহার করা যেতে পারে যেটা মাটি থেকে আরো এক বা আধা হাত লম্বা হবে। ইউরোপ এবং নর্থ-আমেরিকার অনেক মসজিদেই মহিলাদের সেকশনে এই ধরনের কাপড়ের ব্যবস্থা থাকে যা সলাতের সময় মহিলারা পরিধেয় কাপড়ের উপর দিয়ে পড়ে নিতে পারেন।
দলিল ১:
আল-কানাবী .... মুহাম্মাদ ইবনে কুনফুয হতে তাঁর মাতার সনদে বর্ণিত। তিনি উম্মে সালামা (রাদিআল্লাহু আনহা)-কে প্রশ্ন করেন যে, নারীরা কী কী কাপড় পরে সলাত আদায় করবে? তিনি বলেন, ওড়না এবং জামা পরে, যারা পায়ের পাতাও ঢেকে যায়। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক)।
দলিল ২ :
মুজাহিদ ইবনে মূসা ... উম্মে সালামা (রাদিআল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করেন যে, নারীরা পাজামা পরা ছাড়া শুধু ওড়না ও চাদর পরে সলাত আদায় করতে পারে কি? তিনি বলেন : যখন চাদর বা জামা এতটা লম্বা হবে, যাতে পায়ের পাতা ঢেকে যায় – এরূপ কাপড় পরে সলাত আদায় করতে পারবে। ইমাম আবু দাউদ (রহ.) বলেন, এ হাদীসটি ইমাম মালেক আনাস, বকর ইবনে মুদার, হাফস ইবনে গিয়াছ, ইসমাঈল ইবনে জাফর, ইবনে আবু যের ও ইবনে ইসহাক (রহ.) মুহাম্মাদ ইবনে যায়েদের সনদে, তিনি তাঁর মায়ের সনদে এবং তিনি উম্মে সালামা (রাদিআল্লাহু আনহা)-এর সনদে বর্ণনা করেছেন (আবু দাউদ)
দলিল ৩ :
রসূল (ﷺ) বলেন : কোন প্রাপ্তবয়স্কা নারীর সলাত চাদর ব্যতীত কবুল হয় না। (আবু দাউদ, ইরওয়াউল গালীল হাদীস # ১৯৬)
অতএব সলাত আদায়ের ক্ষেত্রে মহিলাদের পরিহিত সাধারণ পোশাকে যদি পায়ের পাতা পর্যন্ত ঢেকে যায়, তাহলে তার মাথা ঢাকার জন্য এমন একটি চাদর ব্যবহার করতে হবে যাতে তার মাথা এমনভাবে ঢেকে যায় যে কপালের সমস্ত চুল, কান ইত্যাদি আবৃত হয় ও শুধু মুখমন্ডল বের হয়ে থাকে।
দলিল ৪ :
আয়িশা (রা.) বলেছেন, রসূল sys ফযরের সলাত আদায় করতেন তখন আমি তাঁর সাথে অনেক মু'মিনা মহিলাকে চাদর দিয়ে গা ঢেকে সলাতের জামাআতে শরীক হতে দেখেছি। সলাত আদায় শেষে তারা নিজ নিজ বাড়ী ফিরে যেত। তাদেরকে কেউ চিনতে পারত না। (সহীহ বুখারী হাদীস # ৩৭২)।
দলিল ১:
আল-কানাবী .... মুহাম্মাদ ইবনে কুনফুয হতে তাঁর মাতার সনদে বর্ণিত। তিনি উম্মে সালামা (রাদিআল্লাহু আনহা)-কে প্রশ্ন করেন যে, নারীরা কী কী কাপড় পরে সলাত আদায় করবে? তিনি বলেন, ওড়না এবং জামা পরে, যারা পায়ের পাতাও ঢেকে যায়। (মুয়াত্তা ইমাম মালেক)।
দলিল ২ :
মুজাহিদ ইবনে মূসা ... উম্মে সালামা (রাদিআল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করেন যে, নারীরা পাজামা পরা ছাড়া শুধু ওড়না ও চাদর পরে সলাত আদায় করতে পারে কি? তিনি বলেন : যখন চাদর বা জামা এতটা লম্বা হবে, যাতে পায়ের পাতা ঢেকে যায় – এরূপ কাপড় পরে সলাত আদায় করতে পারবে। ইমাম আবু দাউদ (রহ.) বলেন, এ হাদীসটি ইমাম মালেক আনাস, বকর ইবনে মুদার, হাফস ইবনে গিয়াছ, ইসমাঈল ইবনে জাফর, ইবনে আবু যের ও ইবনে ইসহাক (রহ.) মুহাম্মাদ ইবনে যায়েদের সনদে, তিনি তাঁর মায়ের সনদে এবং তিনি উম্মে সালামা (রাদিআল্লাহু আনহা)-এর সনদে বর্ণনা করেছেন (আবু দাউদ)
দলিল ৩ :
রসূল (ﷺ) বলেন : কোন প্রাপ্তবয়স্কা নারীর সলাত চাদর ব্যতীত কবুল হয় না। (আবু দাউদ, ইরওয়াউল গালীল হাদীস # ১৯৬)
অতএব সলাত আদায়ের ক্ষেত্রে মহিলাদের পরিহিত সাধারণ পোশাকে যদি পায়ের পাতা পর্যন্ত ঢেকে যায়, তাহলে তার মাথা ঢাকার জন্য এমন একটি চাদর ব্যবহার করতে হবে যাতে তার মাথা এমনভাবে ঢেকে যায় যে কপালের সমস্ত চুল, কান ইত্যাদি আবৃত হয় ও শুধু মুখমন্ডল বের হয়ে থাকে।
দলিল ৪ :
আয়িশা (রা.) বলেছেন, রসূল sys ফযরের সলাত আদায় করতেন তখন আমি তাঁর সাথে অনেক মু'মিনা মহিলাকে চাদর দিয়ে গা ঢেকে সলাতের জামাআতে শরীক হতে দেখেছি। সলাত আদায় শেষে তারা নিজ নিজ বাড়ী ফিরে যেত। তাদেরকে কেউ চিনতে পারত না। (সহীহ বুখারী হাদীস # ৩৭২)।
নারীরা মাসিক সম্পর্কিত মাসলা না জানার কারণে সলাতের ক্ষেত্রে অনেক ভুল। করে থাকেন। কেউ যদি শেষ ওয়াক্তে পবিত্র হয়, তার উপর ঐ ওয়াক্ত আদায় করা ফরয হয়ে যায়। রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : কেউ যদি সূর্যাস্তের পূর্বে ১ রাকআত আসরের সলাত পায় সে পুরো আসর পেয়ে গেল।' (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)। অর্থাৎ তাকে বাকি রাক'আতগুলো পড়া অব্যহত রাখতে হবে। তখন সূর্যাস্ত হলেও অসুবিধে নেই। আর যদি সূর্যোদয়ের আগে ১ রাকআত সলাত পরিমাণ সময় আগে পবিত্র হয়, তাকে ফযর সলাত আদায় করতে হবে। সলাতের শেষ সময়ে পাক হওয়া সত্ত্বেও গোসল করতে গড়িমসি করায় সলাতের সময় চলে গেলে কবীরা গুনাহ হবে। মাতা-পিতা ও স্বামীর কর্তব্য হলো নারীদেরকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা ও তাকিদ দেয়া। নচেৎ তারাও সলাত জ্ঞানের কারণে গুনাহগার হবেন।
যেসব মেয়েদের এখনও পর্দার বয়স হয়নি তাদেরকেও পর্দা করে চলার অভ্যাস করার জন্য বা পর্দা করতে শিখানোর জন্য ছোট অবস্থা থেকেই পর্দার প্র্যাকটিস করানো উচিত। এতে সে যখন বড় হবে তখন আর পর্দা করতে অসুবিধা হবে।
ছোট মেয়েদেরকে স্কুলে পাঠানোর সময় সব সময় হিজাব পড়িয়ে স্কুলে পাঠানো উচিত, যখই বাসার বাইরে যাবে তখনই তারা হিজাব ব্যবহার করবে, বাসায় যখন কোন মেহমান আসবে তখনও যেন তারা হিজাব ব্যবহার করে। এভাবেই তারা ছোটবেলা থেকে আস্তে আস্তে হিজাবে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
ছোট মেয়েদেরকে স্কুলে পাঠানোর সময় সব সময় হিজাব পড়িয়ে স্কুলে পাঠানো উচিত, যখই বাসার বাইরে যাবে তখনই তারা হিজাব ব্যবহার করবে, বাসায় যখন কোন মেহমান আসবে তখনও যেন তারা হিজাব ব্যবহার করে। এভাবেই তারা ছোটবেলা থেকে আস্তে আস্তে হিজাবে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
বিশেষ প্রয়োজনে অর্থাৎ যেখানে জীবন যাওয়ার আশংকা রয়েছে সেখানে নারী ডাক্তার পাওয়া না গেলে পুরুষ ডাক্তারের কাছে যেতে কোন অসুবিধা নেই এবং তার নিকট থেকে চিকিৎসা নিতেও কোন অসুবিধা নেই। প্রয়োজনে পুরুষ ডাক্তার নারী রোগীর অপারেশন করতে পারে, তা যে কোনো অঙ্গেরই হোক না কেন। তবে বর্তমানে একটু খোজ করলেই নারীদের জন্য নারী ডাক্তার পাওয়া অসম্ভব নয়। যদি নারী ডাক্তার একান্তই না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে পুরুষ ডাক্তার নারী রোগীর দেহের যে কোনো অংশ দেখতে ও স্পর্শ করতে পারে।
আমরা জানি ২০০১ সনের সেপ্টেম্বর ১১ এর পর থেকে প্রতিটি দেশের এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট সিকিউরিটির ব্যাপারে খুবই উদ্বিগ্ন। তারা অটোস্ক্যানিং এর পাশাপাশি প্রতিটি প্যাসেঞ্জারকে গায়ে হাত দিয়ে অথবা পোর্টেবল স্ক্যানার দিয়ে শরীর চেকআপ করে থাকেন এবং যে সকল মুসলিম নারীরা নিকাব করে থাকেন তাদের নিকাব সরিয়ে পাসপোর্টের ছবির সাথে চেহারা মিলিয়ে দেখেন।
মুসলিম নারী হিসেবে আমাকে যে কোন ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় একটু সচেতন থাকতে হবে। অথাৎ যদি দেখি আমার লাইনে পুরুষ অফিসার বডি সার্চ করছেন তাহলে আমাকে ভদ্রভাবে অফিসারকে বলতে হবে যে নারী অফিসার যেন আমার বডি সার্চ করেন এবং নারী অফিসার না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। (এই ব্যাপারে আমি যেন কোন সংকোচবোধ না করি। কারণ এটা আমার রিলিজিয়াস রাইট)। যদি নেহায়াত-ই কোন নারী অফিসার না পাওয়া যায় এবং অপেক্ষা করতে করতে প্লেন ছেড়ে দেয়ার সময় হয়ে যায় তাহলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাস্তবতা মেনে নিতে হবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে কারণ আল্লাহ তাআলা আমাদের মনের অবস্থা জানেন।
এবার আসি নিকাবের ব্যাপারে। এই ক্ষেত্রেও তাই, যদি সম্ভব হয় তাহলে নারী অফিসারকে নিকাব খুলে আমার চেহারা দেখাবো আর নারী অফিসার যদি না থাকে তাহলে পুরুষ অফিসারকেও দেখাতে পারি। নিকাব না খোলার অযুহাতে ইমিগ্রেশনে কোন প্রকার বিশৃংখলা করা মোটেও উচিত হবে না। মনে রাখতে হবে এক্ষেত্রেও আল্লাহ তা'আলা আমাদের তাকওয়া দেখবেন, আমাদের নিয়্যত দেখবেন।
মুসলিম নারী হিসেবে আমাকে যে কোন ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় একটু সচেতন থাকতে হবে। অথাৎ যদি দেখি আমার লাইনে পুরুষ অফিসার বডি সার্চ করছেন তাহলে আমাকে ভদ্রভাবে অফিসারকে বলতে হবে যে নারী অফিসার যেন আমার বডি সার্চ করেন এবং নারী অফিসার না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। (এই ব্যাপারে আমি যেন কোন সংকোচবোধ না করি। কারণ এটা আমার রিলিজিয়াস রাইট)। যদি নেহায়াত-ই কোন নারী অফিসার না পাওয়া যায় এবং অপেক্ষা করতে করতে প্লেন ছেড়ে দেয়ার সময় হয়ে যায় তাহলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাস্তবতা মেনে নিতে হবে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে কারণ আল্লাহ তাআলা আমাদের মনের অবস্থা জানেন।
এবার আসি নিকাবের ব্যাপারে। এই ক্ষেত্রেও তাই, যদি সম্ভব হয় তাহলে নারী অফিসারকে নিকাব খুলে আমার চেহারা দেখাবো আর নারী অফিসার যদি না থাকে তাহলে পুরুষ অফিসারকেও দেখাতে পারি। নিকাব না খোলার অযুহাতে ইমিগ্রেশনে কোন প্রকার বিশৃংখলা করা মোটেও উচিত হবে না। মনে রাখতে হবে এক্ষেত্রেও আল্লাহ তা'আলা আমাদের তাকওয়া দেখবেন, আমাদের নিয়্যত দেখবেন।
মাথা ঢেকে পথ চলার সময় যদি বাতাসে হঠাৎ মাথার কাপড়টা একটু সরে যায় আর সঙ্গে সঙ্গে যদি কাপড়টা টেনে আবার মাথাটা ঢেকে দেয়া হয় তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে একটু কাপড় সরে যাওয়ার কোনো গুনাহ হবে না। তবে সতর্কতার জন্য বাইরে বের হওয়ার আগে “সেইফটি পিন” বা এজাতীয় কিছু দিয়ে নিজের কাপড় সেঁটে নেয়া উচিত যাতে বাতাসে খুব সহজে সরে না যায়।
নারীদের যেমন পর্দা করা ফরয তেমনি পুরুষদেরও পর্দা করা ফরয। তবে পুরুষদের পর্দার নিয়ম নারীদের থেকে আলাদা। পুরুষদের সতর হচ্ছে নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত। তাই বলে তার কাপড় থাকা সত্ত্বেও শুধু সতর ঢেকে শরীরের অন্যান্য অংশ খোলা রাখাও ঠিক না। যাদের সত্যিই কাপড় নেই তাদের কথা ভিন্ন। নিমে পুরুষদের পর্দার কিছু নমুনা দেয়া হলো :
ড্রেস এমন হওয়া যাবে না যা দিয়ে শরীরের ভিতরের অংশ দেখা যায়।
ড্রেস এমন হওয়া যাবে না যা শরীর দেখা যায় না ঠিকই কিন্তু শরীরের গঠন পরিষ্কার ফুটে উঠে।
ড্রেস এমন প্রসিদ্ধ বা আকর্ষণীয় হওয়া যাবে না যা দেখে অন্য মেয়েরা আর্কষণ বোধ করতে পারে।
দামী ব্র্যান্ডেড ড্রেস পরার ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে। আবার সামর্থ থাকলে গরিবী হালেও থাকা যাবে না।
একজন ছেলে অন্য একজন ছেলের সামনে সতর খুলতে বা উলঙ্গ হতে পারবে না।
একটি ছেলে অন্য একটি ছেলের দিকে কামুক দৃষ্টিতে তাকাতে পারবে না।
একজন ছেলে কামুক দৃষ্টিতে অন্য একজন ছেলের পায়ের রানের দিকে তাকাতে পারবে না।
দু’জন ছেলে এক বিছানাতে ঘুমানো নিষেধ।
নাভির নিচে প্যান্ট, পায়জামা বা লুঙ্গি পরা যাবে না যদি উপরে কোন জামা না থাকে।
নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য মেয়েদের সামনে খালি গায়ে যাওয়াটাও ঠিক নয়।
সতর্কতা অবলম্বন:
আজকাল অনেকে ফ্যাশনের অংশ হিসেবে খাটো শার্ট বা গেঞ্জি পরে থাকেন। যখন তারা সিজদা বা রুকুতে যান আর শার্ট খাটো হওয়ার কারণে তখন তাদের পিছন দিক থেকে সতর বের হয়ে পড়ে অর্থাৎ পাছার কিছুটা অংশ বের হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে সতর ঢাকা ফরয আর সলাতে তো অবশ্যই ফরয, সতর খুলে সলাত হবে না। তাই এই ব্যাপারে এক ভাই অপর ভাইকে সকলের সামনে লজ্জা না দিয়ে একাকী সতর্ক করে দেয়া উচিত।
ড্রেস এমন হওয়া যাবে না যা দিয়ে শরীরের ভিতরের অংশ দেখা যায়।
ড্রেস এমন হওয়া যাবে না যা শরীর দেখা যায় না ঠিকই কিন্তু শরীরের গঠন পরিষ্কার ফুটে উঠে।
ড্রেস এমন প্রসিদ্ধ বা আকর্ষণীয় হওয়া যাবে না যা দেখে অন্য মেয়েরা আর্কষণ বোধ করতে পারে।
দামী ব্র্যান্ডেড ড্রেস পরার ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে। আবার সামর্থ থাকলে গরিবী হালেও থাকা যাবে না।
একজন ছেলে অন্য একজন ছেলের সামনে সতর খুলতে বা উলঙ্গ হতে পারবে না।
একটি ছেলে অন্য একটি ছেলের দিকে কামুক দৃষ্টিতে তাকাতে পারবে না।
একজন ছেলে কামুক দৃষ্টিতে অন্য একজন ছেলের পায়ের রানের দিকে তাকাতে পারবে না।
দু’জন ছেলে এক বিছানাতে ঘুমানো নিষেধ।
নাভির নিচে প্যান্ট, পায়জামা বা লুঙ্গি পরা যাবে না যদি উপরে কোন জামা না থাকে।
নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য মেয়েদের সামনে খালি গায়ে যাওয়াটাও ঠিক নয়।
সতর্কতা অবলম্বন:
আজকাল অনেকে ফ্যাশনের অংশ হিসেবে খাটো শার্ট বা গেঞ্জি পরে থাকেন। যখন তারা সিজদা বা রুকুতে যান আর শার্ট খাটো হওয়ার কারণে তখন তাদের পিছন দিক থেকে সতর বের হয়ে পড়ে অর্থাৎ পাছার কিছুটা অংশ বের হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে সতর ঢাকা ফরয আর সলাতে তো অবশ্যই ফরয, সতর খুলে সলাত হবে না। তাই এই ব্যাপারে এক ভাই অপর ভাইকে সকলের সামনে লজ্জা না দিয়ে একাকী সতর্ক করে দেয়া উচিত।
আমাদের দেশের অনেক মায়েরাই জানেন না শিশুকে কত বছর পর্যন্ত বুকের দুধ পান করানো যাবে। এই বিষয়ে আল্লাহ তাআলা কুরআনের সূরা বাকারার ২৩৩ নং আয়াতে পরিষ্কারভাবে নির্দেশ দিয়েছেন দুই বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ একটি শিশুকে জন্মের পর থেকে দুই বছর বা ২৪ মাস পর্যন্ত বুকের দুধ পান করানো যাবে, এরচেয়ে বেশী দিন পান করালে গুনাহগার হতে হবে। আল্লাহ বলেন :
“যে স্তন্য পানকাল পূর্ণ করতে চায় তার জন্য মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দুই বছর বুকের দুধ পান করাবে।” (সূরা বাকারা ২ ও ২৩৩)
“যে স্তন্য পানকাল পূর্ণ করতে চায় তার জন্য মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দুই বছর বুকের দুধ পান করাবে।” (সূরা বাকারা ২ ও ২৩৩)
সতর্কতা ১ :
আজকাল হাইস্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির অনেক মেয়েরাই টাইট জিন্স প্যান্ট এবং শার্ট বা ফোতুয়া পরে এবং পর্দার অংশ হিসেবে মাথায়। একটি স্কার্ফ পরে। সর্বপ্রথমে বলতে হবে ইসলামের নিয়ম অনুসারে এই জাতীয় ড্রেসে কোনভাবেই পর্দা হয় না। টাইট প্যান্ট-শার্ট-গেঞ্জি পরে মাথায় শুধু একটি স্কার্ফ বাধলে অবশ্যই পর্দার শর্ত পূরণ হবে না। আরো দুঃখজনক যে এই জাতীয় ড্রেস পরে (শার্ট খাটো হওয়ার কারণে) মেয়েরা যখন রুকু এবং সিজদা দেয় তখন তাদের পিছনের দিকটা উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।
সতর্কতা ২ :
মহিলারা রফউল ইয়াদায়েন করার সময় অর্থাৎ তাকবীর দিয়ে কাঁধ পর্যন্ত দুই হাত উঠাতে গিয়ে যেন বুক বা অন্য অঙ্গ দেখা না যায় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
এবার আসি টাইট ড্রেসে সলাত হবে কিনা? রসূল (ﷺ) এর নির্দেশের অর্থ হচ্ছে। টাইট কাপড়-চোপড় পরে সলাত আদায় হবে না। কারণ সলাতে পর্দা করা ফরয। যদি কারো কাপড় না থাকে তা ভিন্ন কথা।
আজকাল হাইস্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটির অনেক মেয়েরাই টাইট জিন্স প্যান্ট এবং শার্ট বা ফোতুয়া পরে এবং পর্দার অংশ হিসেবে মাথায়। একটি স্কার্ফ পরে। সর্বপ্রথমে বলতে হবে ইসলামের নিয়ম অনুসারে এই জাতীয় ড্রেসে কোনভাবেই পর্দা হয় না। টাইট প্যান্ট-শার্ট-গেঞ্জি পরে মাথায় শুধু একটি স্কার্ফ বাধলে অবশ্যই পর্দার শর্ত পূরণ হবে না। আরো দুঃখজনক যে এই জাতীয় ড্রেস পরে (শার্ট খাটো হওয়ার কারণে) মেয়েরা যখন রুকু এবং সিজদা দেয় তখন তাদের পিছনের দিকটা উন্মুক্ত হয়ে পড়ে।
সতর্কতা ২ :
মহিলারা রফউল ইয়াদায়েন করার সময় অর্থাৎ তাকবীর দিয়ে কাঁধ পর্যন্ত দুই হাত উঠাতে গিয়ে যেন বুক বা অন্য অঙ্গ দেখা না যায় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
এবার আসি টাইট ড্রেসে সলাত হবে কিনা? রসূল (ﷺ) এর নির্দেশের অর্থ হচ্ছে। টাইট কাপড়-চোপড় পরে সলাত আদায় হবে না। কারণ সলাতে পর্দা করা ফরয। যদি কারো কাপড় না থাকে তা ভিন্ন কথা।
সালওয়ার-কামিজ পরে সলাত আদায় হতে পারে তবে ওড়না যথেষ্ট বড় হতে হবে যেন তা দিয়ে মাথা পুরোপুরি ঢাকা যায়, কোনভাবেই যেন চুল বের হয়ে না আসে। তারপর ঐ ওড়না এতোটাই পুরু এবং বড় হতে হবে যে বুকের উপর যথেষ্ট পরিমাণে থাকে যেন কামিজের উপর দিয়ে বুক বোঝা না যায়। মনে রাখতে হবে সালওয়ার পড়লেও পায়ের পাতা ও গোড়ালি যেন দেখা না যায়।
হ্যা, মহিলারা নিজেরা জামা’আত করে সলাত আদায় করতে পারেন এবং ইমামতিও করতে পারেন। তবে মহিলাদের জামাআতে মহিলারা নিম্নস্বরে আযান ও ইকামত দিবেন। মহিলা মহিলাদের ইমামতি করলে পুরুষদের মত সামনে না দাঁড়িয়ে কাতারের মাঝখানে দাঁড়াবেন। ফরয ও তারাবীহর জামাআতে নারীদের ইমামতি করার স্পষ্ট দলিল রয়েছে। (আবু দাউদ, দারাকুৎনী, ইরওয়া, নায়ল) মা আয়িশা (রা.) ও উম্মে সালামা (রা.) প্রমুখ মহিলাদের জামা'আতে ইমামতি করতেন। (বায়হাকী)।
হ্যা। অনেক মহিলা আছেন, যারা মসজিদে বা বাড়িতে পুরুষগণের সলাত আদায় না হলে নিজেরা সলাত আদায় করেন না। এটা ভুল। আযান হলে বা সলাতের সময় হলে বা আওয়াল ওয়াক্তে সলাত আদায় করা পুরুষদের মত মহিলাদেরও কর্তব্য। (মুখালাফাতু ত্বাহারাতি অসসলাহ, আব্দুল আযীয সাদহান ও ১৮৮১৮৯ পৃঃ)
রসূল ও মহিলাদেরকে ঈদের সলাতে নিয়ে যেতে জোড় তাগিদ দিয়েছেন। যদিও তারা ঐ সময়ে পিরিয়ড অবস্থায় থাকে তাও ঈদের মাঠে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। তবে অবশ্যই পর্দা রক্ষা করে যেতে হবে। বেপর্দা হয়ে ঈদের মাঠে গিয়ে ফিতনা সৃষ্টি করা যাবে না। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
প্রামান্য দলিলের ভিত্তিতেই সলাতের কিছু ব্যাপারে মহিলারা পুরুষদের থেকে ভিন্নরূপ আমল করে থাকে। যেমনঃ বেগানা পুরুষ আশেপাশে থাকলে (জেহরী সলাতে) মহিলা সশব্দে কুরআন পড়বে না। (আলমুমতে, শারহে ফিকহ, ইবনে উষাইমীন ৩/৩০৪)
সে পূর্ণাঙ্গ পর্দার সাথে সলাত আদায় করবে।
ইমামের ভুল ধরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে মহিলারা পুরুষদের মত 'সুবহানাল্লাহ’ না বলে তাদের হাতের উপর হাত দিয়ে শব্দ করবে।
মহিলারা মাথার চুল বেঁধে সলাত আদায় করতে পারে, কিন্তু (লম্বা চুল হলে) পুরুষ তা পারে না।
সলাতের মধ্যে মহিলাদের পায়ের গোড়ালী ঢেকে রাখতে হবে কিন্তু পুরুষদের কাপড় থাকবে টাখনুর উপর পর্যন্ত। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
সে পূর্ণাঙ্গ পর্দার সাথে সলাত আদায় করবে।
ইমামের ভুল ধরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে মহিলারা পুরুষদের মত 'সুবহানাল্লাহ’ না বলে তাদের হাতের উপর হাত দিয়ে শব্দ করবে।
মহিলারা মাথার চুল বেঁধে সলাত আদায় করতে পারে, কিন্তু (লম্বা চুল হলে) পুরুষ তা পারে না।
সলাতের মধ্যে মহিলাদের পায়ের গোড়ালী ঢেকে রাখতে হবে কিন্তু পুরুষদের কাপড় থাকবে টাখনুর উপর পর্যন্ত। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
৩২
প্রশ্ন : ২৮) ইসলামে নারী ও পুরুষ সমান। সুতরাং কেন ইসলামে নারীকে পুরুষের সমান অংশীদার করা হয়নি বিশেষত সম্পত্তির ক্ষেত্রে?যেহেতু পুরুষ পরিবারের আর্থিক সংস্থাপনের জন্য দায়বদ্ধ এবং যেহেতু আল্লাহ কারো প্রতি অবিচার করতে পারেন না, তাই তিনি নারীদের তুলনায় পুরুষদের অধিকাংশ ক্ষেত্রে উত্তরাধিকারী হিসেবে বেশি অংশ দিয়েছেন। একটি উদাহরণ দেয়া যাক- মনে করি একজন লোক মারা গেলো এবং সে মারা যাওয়ার পর তার সম্পত্তি তার এক ছেলে এবং এক মেয়ের মধ্যে বিতরণ করা হলো। যার। মূল্য দেড় লক্ষ টাকা। ইসলামী শরীয়ার মতে, তার ছেলে পাবে ১ লক্ষ টাকা। এবং মেয়ে পাবে পঞ্চাশ হাজার টাকা। কিন্তু ছেলের পাওয়া ১ লক্ষ টাকা থেকে এখন সংসারের জন্য ব্যয় করতে হবে উল্লেখযোগ্য একটি অংশ, তা হতে পারে ৭০ বা ৮০ বা ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু মেয়েটিকে তার পরিবারের দেখাশোনার জন্য ১ টাকাও খরচ করতে হবে না।
জ্ঞান অর্জন করা নরনারী উভয়ের জন্যেই ফরয, যার দ্বারা তার দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হবে। কারণ, এই জ্ঞান ব্যতীত দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না, আর সেই জ্ঞান হল আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রসূল (ﷺ)-এর ব্যাপারে জ্ঞান এবং তাঁর দ্বীন ও শরীয়ত সম্পর্কিত জ্ঞান। এই জ্ঞান দুইভাগে বিভক্ত।
ক. ফরযে আইন :
এই প্রকারের জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও নারীর উপর ফরযে আইন তথা আবশ্যকীয় কর্তব্য; আর তা এমন জ্ঞান, যার দ্বারা দ্বীনের জরুরী বিষয়গুলো জানা ও বুঝা যায়; অথবা অন্যভাবে বলা যায়: এটা এমন জ্ঞান, যা ব্যতীত দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয় না। যেমন : সামগ্রিকভাবে আল্লাহ তা'আলার প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপন সম্পর্কিত বিধানসমূহ, পবিত্রতা অর্জন সম্পর্কিত বিধানসমূহ, সলাত (নামায) সম্পর্কিত বিধানসমূহ; সুতরাং মুসলিম নারী শিক্ষা লাভ করবে সে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে? কিভাবে সে সলাত (নামায) আদায় করবে? কিভাবে সিয়াম পালন করবে? কিভাবে সে তার স্বামীর হক আদায় করবে? আর কিভাবে সে তার সন্তানদেরকে লালনপালন করবে? এবং এমন প্রত্যেক জ্ঞান, যা তার উপর বাধ্যতামূলক।
খ. ফরযে কিফায়া:
আরেক প্রকার জ্ঞান অর্জন করা যা কিছুসংখ্যক মুসলিম ব্যক্তি অর্জন করলে বাকিরা অপরাধমুক্ত হয়ে যায়; মুসলিম নারীর জন্য এই প্রকার জ্ঞান অর্জনের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং সেই জ্ঞান অর্জন করে পরিতৃপ্তি লাভ করাটা উত্তম বলে বিবেচিত হবে। কুরআন ও সুন্নাহ এই জ্ঞান অর্জনের প্রশংসায়, তার ফযিলত বা মর্যাদা বর্ণনায় এবং এ প্রকার জ্ঞান ও জ্ঞানীদের গুরুত্ব বর্ণনায় অনেক বক্তব্য নিয়ে এসেছে। আরও বক্তব্য নিয়ে এসেছে অন্যদের উপর তাদের উচ্চমর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনায়; কারণ, তাঁরা হলেন নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) -এর উত্তরসূরী।
মুসলিম নারীকে ইসলাম যে সম্মান দান করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল : ইসলাম নারীর জন্য শিক্ষাগ্রহণ করা ও শিক্ষা প্রদান করার মর্যাদা পুরুষের মর্যাদার মত করে সমানভাবে নির্ধারণ করেছে এবং নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের জন্য কোন বিশেষ মর্যাদা নির্দিষ্ট করেনি। শিক্ষা এবং শিক্ষাগ্রহণের ফযীলত বা মর্যাদা বর্ণনায় বর্ণিত সকল আয়াত ও হাদীস পুরুষ ও নারীকে সমানভাবে মর্যাদাবান বলে অবহিত করে; যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন :
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় উন্নত করবেন।” (সূরা আল-মুজাদালা : ১১)
বল, যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান?” (সূরা আয-যুমার : ৯)
বল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞানে সমৃদ্ধ কর।” (সূরা ত্বা-হা ও ১১৪)
অনুরূপ রসূল (ﷺ) -এর বাণী :
যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করার জন্য কোন পথ অবলম্বন করে, এর উসীলায় আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের পথসমূহ থেকে একটি পথে পরিচালিত করেন। নিশ্চয়ই ইলম (জ্ঞান) অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য ফিরিশতাগণ তাদের পাখাসমূহ বিছিয়ে দেন। আর আলেমের জন্য আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সকলেই ক্ষমা প্রার্থনা করে। সুতরাং একজন আবেদের (ইবাদতকারীর) উপর আলেমের মর্যাদা তেমনি, যেমন পূর্ণিমার রাতে সকল তারকার উপর চাঁদের মর্যাদা। আর নবীগণ কোন দিনার এবং দিরহামের উত্তরাধিকারী রেখে যাননি; বরং তাঁরা শুধুমাত্র ইলমকে উত্তরাধিকার হিসেবে। রেখে গেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল, সে পরিপূর্ণ অংশ (উত্তরাধিকার) গ্রহণ করল।” - (আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
ক. ফরযে আইন :
এই প্রকারের জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও নারীর উপর ফরযে আইন তথা আবশ্যকীয় কর্তব্য; আর তা এমন জ্ঞান, যার দ্বারা দ্বীনের জরুরী বিষয়গুলো জানা ও বুঝা যায়; অথবা অন্যভাবে বলা যায়: এটা এমন জ্ঞান, যা ব্যতীত দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয় না। যেমন : সামগ্রিকভাবে আল্লাহ তা'আলার প্রতি ঈমান বা বিশ্বাস স্থাপন সম্পর্কিত বিধানসমূহ, পবিত্রতা অর্জন সম্পর্কিত বিধানসমূহ, সলাত (নামায) সম্পর্কিত বিধানসমূহ; সুতরাং মুসলিম নারী শিক্ষা লাভ করবে সে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে? কিভাবে সে সলাত (নামায) আদায় করবে? কিভাবে সিয়াম পালন করবে? কিভাবে সে তার স্বামীর হক আদায় করবে? আর কিভাবে সে তার সন্তানদেরকে লালনপালন করবে? এবং এমন প্রত্যেক জ্ঞান, যা তার উপর বাধ্যতামূলক।
খ. ফরযে কিফায়া:
আরেক প্রকার জ্ঞান অর্জন করা যা কিছুসংখ্যক মুসলিম ব্যক্তি অর্জন করলে বাকিরা অপরাধমুক্ত হয়ে যায়; মুসলিম নারীর জন্য এই প্রকার জ্ঞান অর্জনের উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং সেই জ্ঞান অর্জন করে পরিতৃপ্তি লাভ করাটা উত্তম বলে বিবেচিত হবে। কুরআন ও সুন্নাহ এই জ্ঞান অর্জনের প্রশংসায়, তার ফযিলত বা মর্যাদা বর্ণনায় এবং এ প্রকার জ্ঞান ও জ্ঞানীদের গুরুত্ব বর্ণনায় অনেক বক্তব্য নিয়ে এসেছে। আরও বক্তব্য নিয়ে এসেছে অন্যদের উপর তাদের উচ্চমর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনায়; কারণ, তাঁরা হলেন নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) -এর উত্তরসূরী।
মুসলিম নারীকে ইসলাম যে সম্মান দান করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হল : ইসলাম নারীর জন্য শিক্ষাগ্রহণ করা ও শিক্ষা প্রদান করার মর্যাদা পুরুষের মর্যাদার মত করে সমানভাবে নির্ধারণ করেছে এবং নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের জন্য কোন বিশেষ মর্যাদা নির্দিষ্ট করেনি। শিক্ষা এবং শিক্ষাগ্রহণের ফযীলত বা মর্যাদা বর্ণনায় বর্ণিত সকল আয়াত ও হাদীস পুরুষ ও নারীকে সমানভাবে মর্যাদাবান বলে অবহিত করে; যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন :
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদেরকে জ্ঞান দান করা হয়েছে আল্লাহ তাদেরকে মর্যাদায় উন্নত করবেন।” (সূরা আল-মুজাদালা : ১১)
বল, যারা জানে এবং যারা জানে না, তারা কি সমান?” (সূরা আয-যুমার : ৯)
বল, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞানে সমৃদ্ধ কর।” (সূরা ত্বা-হা ও ১১৪)
অনুরূপ রসূল (ﷺ) -এর বাণী :
যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন করার জন্য কোন পথ অবলম্বন করে, এর উসীলায় আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের পথসমূহ থেকে একটি পথে পরিচালিত করেন। নিশ্চয়ই ইলম (জ্ঞান) অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য ফিরিশতাগণ তাদের পাখাসমূহ বিছিয়ে দেন। আর আলেমের জন্য আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সকলেই ক্ষমা প্রার্থনা করে। সুতরাং একজন আবেদের (ইবাদতকারীর) উপর আলেমের মর্যাদা তেমনি, যেমন পূর্ণিমার রাতে সকল তারকার উপর চাঁদের মর্যাদা। আর নবীগণ কোন দিনার এবং দিরহামের উত্তরাধিকারী রেখে যাননি; বরং তাঁরা শুধুমাত্র ইলমকে উত্তরাধিকার হিসেবে। রেখে গেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল, সে পরিপূর্ণ অংশ (উত্তরাধিকার) গ্রহণ করল।” - (আবু দাউদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
মানুষ যে সামাজিক পরিবেশে ছোট থেকে বড় হতে থাকে সে পরিবেশ অনুযায়ী তার রুচি ও অভ্যাস গড়ে উঠে। কিন্তু জ্ঞান, বুদ্ধি ও বিবেক দিয়ে যখন সে তার আচার-আচরণ, চাল-চলন ও কার্যকলাপকে বিচার করে তখন কোনটা ভাল, আর কোনটা মন্দ তা সহজেই বুঝতে পারে। কিন্তু যে রুচি ও অভ্যাস তার মধ্যে গড়ে উঠেছে তা ভাল নয় বলে বুঝলেও তা সংশোধন করা খুব সহজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন দৃঢ় ইচ্ছা ও অবিরাম চেষ্টা।
কোন মানুষই নিজের অমঙ্গল চায় না। সে যা কিছু করে তা তার মঙ্গলের উদ্দেশ্যেই করে। তবু কেন সে এত অশান্তি ভোগ করে? এর আসল কারণ হলো সাঠক ধারণার অভাব। সে যেটাকে ভাল মনে করছে। আসলেই সেটা হয়তো খারাপ। তাই যত ভাল মনে করেই করুক না কেন এর ফল খারাপ হতে বাধ্য। মানুষ কল্যাণ ও শান্তির যতই কাঙ্গাল হোক সঠিক ও নির্ভুল জ্ঞানের অভাব থাকলে সব চেষ্টা সাধনা সত্ত্বেও সে অশান্তিই পাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন :
“হয়তো তুমি যেটাকে অপছন্দ করছ সেটাই তোমার জন্য ভাল এবং যেটাকে পছন্দ করছ সেটাই তোমার জন্য খারাপ। আল্লাহ জানেন, আর তুমি জান না।” (সূরা আল বাকারা : ২১৬)
কোন মানুষই নিজের অমঙ্গল চায় না। সে যা কিছু করে তা তার মঙ্গলের উদ্দেশ্যেই করে। তবু কেন সে এত অশান্তি ভোগ করে? এর আসল কারণ হলো সাঠক ধারণার অভাব। সে যেটাকে ভাল মনে করছে। আসলেই সেটা হয়তো খারাপ। তাই যত ভাল মনে করেই করুক না কেন এর ফল খারাপ হতে বাধ্য। মানুষ কল্যাণ ও শান্তির যতই কাঙ্গাল হোক সঠিক ও নির্ভুল জ্ঞানের অভাব থাকলে সব চেষ্টা সাধনা সত্ত্বেও সে অশান্তিই পাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন :
“হয়তো তুমি যেটাকে অপছন্দ করছ সেটাই তোমার জন্য ভাল এবং যেটাকে পছন্দ করছ সেটাই তোমার জন্য খারাপ। আল্লাহ জানেন, আর তুমি জান না।” (সূরা আল বাকারা : ২১৬)
আমরা জানি যে, শিশুদের একটা বয়স এমন থাকে যখন সে নিজের মল-মূত্র বা ছাই-মাটি গায়ে মাখে। এমনকি হাতের কাছে পেলে আগুনেও হাত দেয়। এর কারণ আর কিছুই নয়, সে যে মানুষ সে চেতনা তখনও তার হয়নি। বাঘের বাচ্চা যদি শেয়ালের পরিবেশে থাকে তাহলে বাঘের স্বভাব গড়ে উঠে না। যদিও সে জন্মগতভাবে বাঘই বটে। মুসলিম ঘরে জন্ম হলেও এবং নিজেকে মুসলিম মনে করা সত্ত্বেও অনেকেই মুসলিম চেতনাবোধ থেকে বঞ্চিত থেকে যায়। সমাজ-পরিবেশ এমন যে নিজেকে চেনার সুযোগই হয়ত হয় না। আচরণ, অভ্যাস, রুচি হয়ত এমন পরিবেশে গড়ে উঠেছে যেখানে ঐ চেতনা জাগ্রত হতে পারেনি। আমি তো একজন মুসলিম। এবার নিজেকে নিজে কিছু প্রশ্ন করি?
ক) আমার পক্ষে কি এমনভাবে চলা উচিত?
খ) আমার স্বভাব কি এমন হওয়া সংগত?
গ) মুসলিম হিসেবে কি এটা করা আমার সাজে?
আমার বিবেকই আমাকে এ জাতীয় প্রশ্ন করবে এবং সংশোধন করতে সাহায্য করবে। এটা তখনই সম্ভব হবে যখন আমার বিবেক নিজেকে মুসলিম হিসেবে চিনতে পারবে। কুরআন ও হাদীসের জ্ঞানই আমাকে আমার প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে সাহায্য করবে।
ক) আমার পক্ষে কি এমনভাবে চলা উচিত?
খ) আমার স্বভাব কি এমন হওয়া সংগত?
গ) মুসলিম হিসেবে কি এটা করা আমার সাজে?
আমার বিবেকই আমাকে এ জাতীয় প্রশ্ন করবে এবং সংশোধন করতে সাহায্য করবে। এটা তখনই সম্ভব হবে যখন আমার বিবেক নিজেকে মুসলিম হিসেবে চিনতে পারবে। কুরআন ও হাদীসের জ্ঞানই আমাকে আমার প্রশ্নের সঠিক উত্তর পেতে সাহায্য করবে।
মানব শিশু মানুষই হয়, গরু বা ছাগল হয় না। কিন্তু একজন শিক্ষকের ছেলে কি। জন্মগতভাবেই শিক্ষক হতে পারে? শিক্ষকতার জন্য যেসব গুণ থাকা দরকার তা অর্জন না করলে শিক্ষক হওয়া যায় না। মুসলিম পরিচয়টাও একটা গুণ। এটা জন্মগত কোন গুণ নয় বরং এটা চেষ্টার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। প্রত্যেক গুণই অর্জন করতে হয়। নবীর ঘরে জন্ম নিয়েও নূহ (আলাইহিস সালাম)-এর ছেলে কাফির হয়েছে। কারণ মুসলিম হবার গুণ সে অর্জন করেনি। তাই বুঝতে হবে যে কী কী গুণ থাকলে মুসলিম হিসেবে গণ্য হওয়া যায়।
ইসলাম শব্দটি আরবী। আমাদের দেশে মুসলমান শব্দটাই বেশী চালু। এ শব্দটি ফার্সী ভাষা থেকে এসেছে। ইসলাম শব্দ থেকেই মুসলিম শব্দটি এসেছে। যে। ইসলাম গ্রহণ করেছে তাকেই মুসলিম বলে। ইসলাম অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ। নিজের খেয়াল খুশী ও প্রবৃত্তির ইচ্ছা মতো না চলে যে আল্লাহর ইচ্ছা ও পছন্দের নিকট আত্মসমর্পণ করে তারই পরিচয় হলো মুসলিম। এখন চিন্তা করি যে, আমরা যদি মুসলিম হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে চাই তাহলে। আমাদের কী কী গুণ অর্জন করতে হবে।
প্রথমত: আমাকে জানতে হবে যে, ইসলাম কী?
দ্বিতীয়ত: আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আমি ইসলামকে মেনে চলতে প্রস্তুত আছি কিনা।
তৃতীয়ত: ইসলামকে মেনে চলতে চাইলে সব ব্যাপারেই আল্লাহ ও রসূল (ﷺ) -এর আদেশ নিষেধ কী তা জানতে হবে এবং তা পালন করে চলতে হবে।
ইসলাম শব্দটি আরবী। আমাদের দেশে মুসলমান শব্দটাই বেশী চালু। এ শব্দটি ফার্সী ভাষা থেকে এসেছে। ইসলাম শব্দ থেকেই মুসলিম শব্দটি এসেছে। যে। ইসলাম গ্রহণ করেছে তাকেই মুসলিম বলে। ইসলাম অর্থ আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ। নিজের খেয়াল খুশী ও প্রবৃত্তির ইচ্ছা মতো না চলে যে আল্লাহর ইচ্ছা ও পছন্দের নিকট আত্মসমর্পণ করে তারই পরিচয় হলো মুসলিম। এখন চিন্তা করি যে, আমরা যদি মুসলিম হিসেবে নিজের পরিচয় দিতে চাই তাহলে। আমাদের কী কী গুণ অর্জন করতে হবে।
প্রথমত: আমাকে জানতে হবে যে, ইসলাম কী?
দ্বিতীয়ত: আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আমি ইসলামকে মেনে চলতে প্রস্তুত আছি কিনা।
তৃতীয়ত: ইসলামকে মেনে চলতে চাইলে সব ব্যাপারেই আল্লাহ ও রসূল (ﷺ) -এর আদেশ নিষেধ কী তা জানতে হবে এবং তা পালন করে চলতে হবে।
উপরে যে ৩টি গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা অর্জন করার জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষকে বাধ্য করেন না। স্বাধীনভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার মানুষকে দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন : “বস্তুতঃ আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি।” (সূরা আল-বালাদ : ১০)
যদি কেউ ইসলামকে কবুল করতে না চায় তাহলে বুঝা গেল যে, সে নিজেকে মুসলিম বলে গণ্য করতে চায় না এবং সে আল্লাহ ও রসূল (ﷺ) -এর আদেশনিষেধ পালন করতে রাযী নয়। মানুষের এ স্বাধীন ইচ্ছার কারণেই সে মুসলিম হিসেবে চলার সিদ্ধান্ত নিলে আল্লাহর কাছে পুরষ্কার পাবে, আর অন্য সিদ্ধান্ত নিলে শাস্তি পাবে। এটা তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আল্লাহ তাকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেননি।
যদি কেউ ইসলামকে কবুল করতে না চায় তাহলে বুঝা গেল যে, সে নিজেকে মুসলিম বলে গণ্য করতে চায় না এবং সে আল্লাহ ও রসূল (ﷺ) -এর আদেশনিষেধ পালন করতে রাযী নয়। মানুষের এ স্বাধীন ইচ্ছার কারণেই সে মুসলিম হিসেবে চলার সিদ্ধান্ত নিলে আল্লাহর কাছে পুরষ্কার পাবে, আর অন্য সিদ্ধান্ত নিলে শাস্তি পাবে। এটা তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আল্লাহ তাকে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেননি।
গতানুগতিকভাবে আমি নিজেকে যতই মুসলিম বলে মনে করি না কেন, ব্যাপারটা কিন্তু সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নেবার নিজের। যদি মুসলিম হিসেবেই জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নিতে চাই তাহলে ইসলাম সম্পর্কে জানতে হবে এবং মেনে চলার জন্য মনের দিক দিয়ে প্রস্তুত হতে হবে। এ মানসিক প্রস্তুতির নামই ঈমান। যখন নিজের মধ্যে ঈমান তৈরি হবে তখন আল্লাহ ও রসূল (ﷺ) -এর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা কঠিন মনে হবে না। সুতরাং নিজের বিবেককে। জিজ্ঞেস করি যে, এ বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবো? আমি কি কুরআনের কিছু অংশ মানবো আর কিছু অংশ মানবো না? দেখি এ ব্যাপারে আল্লাহ কী বলেছেনঃ
“তোমরা কি কুরআনের কিছু অংশ মানবে আর কিছু অংশ অস্বীকার করবে? জেনে রাখ, তোমাদের মধ্যে যাদেরই এরূপ আচরণ হবে তাদের এছাড়া আর কী শাস্তি হতে পারে যে তারা পার্থিব জীবনে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হতে থাকবে এবং পরকালে তাদেরকে কঠোরতম শাস্তির দিকে নিক্ষেপ করা হবে। তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ অবগত আছেন।” (সূরা আল বাকারা : ৮৫)
মানুষ কি মনে করে নিয়েছে যে, আমরা ঈমান এনেছি এতটুকু বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে - তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে না? (সূরা আনকাবুত : ২)
তোমরা কি মনে করে নিয়েছে যে, তোমরা অতি সহজেই জান্নাতে পৌছে যাবে? (সূরা বাকারা : ২১৪)
“তোমরা কি কুরআনের কিছু অংশ মানবে আর কিছু অংশ অস্বীকার করবে? জেনে রাখ, তোমাদের মধ্যে যাদেরই এরূপ আচরণ হবে তাদের এছাড়া আর কী শাস্তি হতে পারে যে তারা পার্থিব জীবনে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হতে থাকবে এবং পরকালে তাদেরকে কঠোরতম শাস্তির দিকে নিক্ষেপ করা হবে। তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ অবগত আছেন।” (সূরা আল বাকারা : ৮৫)
মানুষ কি মনে করে নিয়েছে যে, আমরা ঈমান এনেছি এতটুকু বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে - তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে না? (সূরা আনকাবুত : ২)
তোমরা কি মনে করে নিয়েছে যে, তোমরা অতি সহজেই জান্নাতে পৌছে যাবে? (সূরা বাকারা : ২১৪)
ইসলাম শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে থাকে। পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্যই শিক্ষা প্রয়োজন। দুনিয়ায় যতদিন ইসলামের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত ছিলো ততদিন পুরুষ এবং নারী উভয়ই শিক্ষার আলোকে আলোকিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
সকল বয়সের মানুষের জন্য একই সিলেবাসভিত্তিক শিক্ষা হতে পারে না। শিশুদের শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র সিলেবাস প্রয়োজন। স্বতন্ত্র সিলেবাস প্রয়োজন কিশোরীদের শিক্ষার জন্য। তেমনিভাবে যুবতীদের জন্য সিলেবাস হতে হবে ভিন্নতর। উচ্চ পর্যায়ে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের আলাদা সিলেবাস হয়ে থাকে। যিনি ইঞ্জিনিয়ার হবেন তার সিলেবাস আর যিনি গৃহিণী হবেন তার সিলেবাস হবে। ভিন্ন। যিনি আইনবিদ হবেন তার সিলেবাস আর যিনি ডাক্তার হবেন তার সিলেবাস থেকে ভিন্ন। অর্থাৎ যিনি কর্মজীবনে যেই প্রফেশন গ্রহণ করবেন তিনি। সেই প্রফেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সিলেবাস অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করবেন।
আল্লাহ রব্বল আলামীন নারীদেরকে যেই অংগনে কাজ করার উপযুক্ততা দান করেছেন সেই অংগনের প্রয়োজনকে সামনে রেখেই তাঁদের জন্য সিলেবাস তৈরী হতে হবে। আদর্শ মুসলিম নারী হিসেবে জীবনযাপন করতে হলে নারীদের অবশ্যই ইসলামের আদর্শিক জ্ঞান থাকতে হবে। ইসলামের জীবনদর্শন ও জীবনবিধান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকলে সেই আলোকে তারা কিভাবে তাদের জীবন গড়ে তুলবেন? মানবজাতির নতুন প্রজন্মকে আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তোলার সুমহান কর্তব্য অর্পিত রয়েছে নারীদের উপর। তারা যাতে এই কর্তব্য পালনের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন সেজন্য তাদেরকে পরিপূর্ণভাবে আদর্শিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা জরুরী।
নারীদের নিকট ইসলামকে উপস্থাপন করার কাজ নারীদের দ্বারাই ভালো হওয়ার কথা। নারীরাই পারেন অপরাপর নারীদের সাথে মিশতে, ঘনিষ্ঠ হতে এবং অন্ত রংগ সম্পর্ক গড়ে তুলতে। নারীগণ অবাধে অপরাপর নারীদের নিকট যেতে পারেন, বসতে পারেন এবং পারেন আলাপ করতে। নারী শ্রোতাগণ একজন নারী আলোচককে নিঃসংকোচে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন করে বিভিন্ন বিষয়ে স্বচ্ছতা অর্জন করতে পারেন।
নারী অংগনে ইসলামের জ্ঞান বিস্তারের ক্ষেত্রে নবী (ﷺ)-এর স্ত্রীগণ অনন্য ভূমিকা পালন করে গেছেন। সকল যুগেই এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন বিদূষী মুসলিম নারীগণ। এই যুগেও তাঁদেরকে সেই ভূমিকাই পালন করতে হবে। এইজন্য তাঁদেরকে ইসলামী জীবনদর্শন ও জীবনবিধানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সুশিক্ষিত করে তুলতে হবে।
সকল বয়সের মানুষের জন্য একই সিলেবাসভিত্তিক শিক্ষা হতে পারে না। শিশুদের শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র সিলেবাস প্রয়োজন। স্বতন্ত্র সিলেবাস প্রয়োজন কিশোরীদের শিক্ষার জন্য। তেমনিভাবে যুবতীদের জন্য সিলেবাস হতে হবে ভিন্নতর। উচ্চ পর্যায়ে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের আলাদা সিলেবাস হয়ে থাকে। যিনি ইঞ্জিনিয়ার হবেন তার সিলেবাস আর যিনি গৃহিণী হবেন তার সিলেবাস হবে। ভিন্ন। যিনি আইনবিদ হবেন তার সিলেবাস আর যিনি ডাক্তার হবেন তার সিলেবাস থেকে ভিন্ন। অর্থাৎ যিনি কর্মজীবনে যেই প্রফেশন গ্রহণ করবেন তিনি। সেই প্রফেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সিলেবাস অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করবেন।
আল্লাহ রব্বল আলামীন নারীদেরকে যেই অংগনে কাজ করার উপযুক্ততা দান করেছেন সেই অংগনের প্রয়োজনকে সামনে রেখেই তাঁদের জন্য সিলেবাস তৈরী হতে হবে। আদর্শ মুসলিম নারী হিসেবে জীবনযাপন করতে হলে নারীদের অবশ্যই ইসলামের আদর্শিক জ্ঞান থাকতে হবে। ইসলামের জীবনদর্শন ও জীবনবিধান সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা না থাকলে সেই আলোকে তারা কিভাবে তাদের জীবন গড়ে তুলবেন? মানবজাতির নতুন প্রজন্মকে আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তোলার সুমহান কর্তব্য অর্পিত রয়েছে নারীদের উপর। তারা যাতে এই কর্তব্য পালনের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন সেজন্য তাদেরকে পরিপূর্ণভাবে আদর্শিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা জরুরী।
নারীদের নিকট ইসলামকে উপস্থাপন করার কাজ নারীদের দ্বারাই ভালো হওয়ার কথা। নারীরাই পারেন অপরাপর নারীদের সাথে মিশতে, ঘনিষ্ঠ হতে এবং অন্ত রংগ সম্পর্ক গড়ে তুলতে। নারীগণ অবাধে অপরাপর নারীদের নিকট যেতে পারেন, বসতে পারেন এবং পারেন আলাপ করতে। নারী শ্রোতাগণ একজন নারী আলোচককে নিঃসংকোচে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন করে বিভিন্ন বিষয়ে স্বচ্ছতা অর্জন করতে পারেন।
নারী অংগনে ইসলামের জ্ঞান বিস্তারের ক্ষেত্রে নবী (ﷺ)-এর স্ত্রীগণ অনন্য ভূমিকা পালন করে গেছেন। সকল যুগেই এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন বিদূষী মুসলিম নারীগণ। এই যুগেও তাঁদেরকে সেই ভূমিকাই পালন করতে হবে। এইজন্য তাঁদেরকে ইসলামী জীবনদর্শন ও জীবনবিধানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সুশিক্ষিত করে তুলতে হবে।
আল্লাহ রব্বল আলামীন কর্তৃক নির্ধারিত কর্মক্ষেত্রে অবস্থান করে আপন কর্তব্য সঠিকভাবে প্রতিপালন করার যোগ্যতা সৃষ্টির জন্য নারীদের শিক্ষা সিলেবাসে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, প্রাথমিক চিকিৎসা বিজ্ঞান, শিশু পরিচর্যা বিজ্ঞান, প্রসূতি পরিচর্যা বিজ্ঞান, পুষ্টি বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা দান পদ্ধতি, গার্হস্থ্য অর্থনীতি প্রভৃতি। বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
তেমনিভাবে, মানব সমাজ ও সভ্যতায় অবদান রাখার বিষয়টির দিকে স্কুল দৃষ্টিতে তাকালে মনে হবে যে মহান স্রষ্টা নারীদেরকে অতি নগণ্য ধরনের কিছু কর্তব্য পালন করতে বলেছেন, আর পুরুষদেরকে বলেছেন বড়ো বড়ো কাজগুলো করতে। কিন্তু সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকালে উপলব্ধি হবে ভিন্নতর। গভীর বিশ্লেষণ আমাদেরকে এই কথাই স্বীকার করে নিতে বাধ্য করে যে নারীদের উপর আল্লাহ রবুল আলামীন যেসব কর্তব্য অর্পণ করেছেন সেগুলো নিঃসন্দেহে অতি বড়ো। এই কর্তব্য তাঁদের সৃষ্টি-কাঠামো, গুণ-গরিমা, আবেগ-অনুভূতি, মেধা-প্রতিভা এবং শক্তি-সামর্থের সাথে সম্পূর্ণরূপে সংগতিশীল।
তেমনিভাবে, মানব সমাজ ও সভ্যতায় অবদান রাখার বিষয়টির দিকে স্কুল দৃষ্টিতে তাকালে মনে হবে যে মহান স্রষ্টা নারীদেরকে অতি নগণ্য ধরনের কিছু কর্তব্য পালন করতে বলেছেন, আর পুরুষদেরকে বলেছেন বড়ো বড়ো কাজগুলো করতে। কিন্তু সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকালে উপলব্ধি হবে ভিন্নতর। গভীর বিশ্লেষণ আমাদেরকে এই কথাই স্বীকার করে নিতে বাধ্য করে যে নারীদের উপর আল্লাহ রবুল আলামীন যেসব কর্তব্য অর্পণ করেছেন সেগুলো নিঃসন্দেহে অতি বড়ো। এই কর্তব্য তাঁদের সৃষ্টি-কাঠামো, গুণ-গরিমা, আবেগ-অনুভূতি, মেধা-প্রতিভা এবং শক্তি-সামর্থের সাথে সম্পূর্ণরূপে সংগতিশীল।
ইসলাম যেহেতু আল্লাহর মনোনীত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান বলে মুসলিমদের বিশ্বাস তাই এই বিধানে মানবজাতির অর্ধেক নারী জাতির অধিকার ও মর্যাদা কতটুকু সে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। ইসলাম সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান থাকলে এ ব্যাপারে কোন সমস্যা থাকে না। কিন্তু বর্তমানে এ বিষয়ের জ্ঞানের পরিসর মুসলিমদের মধ্যেই এত সীমিত যে, অমুসলিমগণ ছাড়াও অনেক আধুনিক শিক্ষিত মুসলিমের মধ্যেও এ বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝি রয়েছে। তাই মাঝে মাঝে নারী অধিকারের নামে বিভিন্ন সভায় এবং লেখায় মুসলিম কর্তৃকও এমন সব মন্তব্য করা হয় যা কুরআন তথা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ অন্যায় এবং অজ্ঞতা। অমুসলিমরা ইসলাম সম্পর্কে খোঁজখবর না নিয়ে ভুল করতে পারে কিন্তু মুসলিমদের পক্ষে এরূপ করা গর্হিত। আজকাল পাশ্চাত্য দেশসমূহ ও সমাজতান্ত্রিক দেশসমূহ ইসলামে নারীর মর্যাদা ও অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করে থাকে। আর না জেনে অনেক মুসলিমও তাদের সঙ্গে সুর মিলায়।
যুগ যুগ তথা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নারীরা সমাজে তাদের ন্যায্য অধিকার। ও মর্যাদা পাননি। প্রাক ইসলামী সমস্ত ধর্ম পুস্তকে আমরা দেখতে পাই যে নারীর স্থান অতি নিকৃষ্ট ও অনেক সময় অবমাননাকর। কেউ বলেছে ‘নারীর আত্মা নেই, কেউ বলেছে ‘নারী নরকের দ্বার’, কেউ বলেছে ‘পথে নারী বিবর্জিতা’ ইত্যাদি। এ সমস্ত ধর্মে আজও নারীর স্থান পূর্বের মতই।
তমান পাশ্চাত্য দেশসমূহে ও ভারতে নারীর যেসব নতুন। অধিকার দেয়া হয়েছে তা অতি সাম্প্রতিক এবং সেগুলো তাদের ধর্মের গন্ডির বাইরে। ইসলাম চৌদ্দশত বৎসর আগে নারীর যে সঠিক মর্যাদা ও অধিকার দিয়েছে তা আজও সর্বোচ্চ এবং মহা সম্মানজনক।
যুগ যুগ তথা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে নারীরা সমাজে তাদের ন্যায্য অধিকার। ও মর্যাদা পাননি। প্রাক ইসলামী সমস্ত ধর্ম পুস্তকে আমরা দেখতে পাই যে নারীর স্থান অতি নিকৃষ্ট ও অনেক সময় অবমাননাকর। কেউ বলেছে ‘নারীর আত্মা নেই, কেউ বলেছে ‘নারী নরকের দ্বার’, কেউ বলেছে ‘পথে নারী বিবর্জিতা’ ইত্যাদি। এ সমস্ত ধর্মে আজও নারীর স্থান পূর্বের মতই।
তমান পাশ্চাত্য দেশসমূহে ও ভারতে নারীর যেসব নতুন। অধিকার দেয়া হয়েছে তা অতি সাম্প্রতিক এবং সেগুলো তাদের ধর্মের গন্ডির বাইরে। ইসলাম চৌদ্দশত বৎসর আগে নারীর যে সঠিক মর্যাদা ও অধিকার দিয়েছে তা আজও সর্বোচ্চ এবং মহা সম্মানজনক।
মায়ের জন্য রয়েছে বড় রকমের অধিকার; বরং আল্লাহ তা'আলার অধিকারের পরে সবচেয়ে বড় অধিকার হল মায়ের। আল্লাহ তাআলা বলেন :
“তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত না করতে এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে উহ্ ও বলবে না এবং তাদেরকে ধমক দেবে না; তাদের সাথে সম্মানসূচক কথা বল। মমতাবেশে তাদের প্রতি নমতার পাখা অবনমিত করবে এবং বলবে, হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া কর, যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।” (সূরা আল-ইসরা : ২৩-২৪)।
এক লোক রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল : হে আল্লাহর রসূল! আমার কাছে কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার বেশি হকদার? তিনি বললেন : তোমার মা। লোকটি বলল : তারপর কে? তিনি বললেন : তোমার মা। লোকটি বলল : তারপর কে? তিনি বললেন : তোমার মা। লোকটি বলল : তারপর কে? তিনি বললেন : তোমার পিতা। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
আর এই অধিকারটি বাস্তবায়িত হয় কথা, কাজ ও সম্পদের মাধ্যমে ইহসানকে অন্তর্ভুক্ত করে। আর এই অধিকারের বিনিময়ে তার উপর আবশ্যক হয়ে পড়ে গুরু দায়িত্ব পালন ও বড় রকমের আমানতের সংরক্ষণ করা। বরং তা এই জীবনে তার মহান দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহের অন্যতম। আর এই দায়িত্ব ও কর্তব্যের সূচনা হলো- আল্লাহ তা'আলা বলেন :
“হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরভাব ফিরিশতাগণ, যারা অমান্য করে না তা, যা আল্লাহ তাদেরকে আদেশ করেন। আর তারা যা করতে আদিষ্ট হয়, তাই করে।” (সূরা আত-তাহরীম ও ৬) তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল (রক্ষণাবেক্ষণকারী), আর তোমাদের প্রত্যেককেই তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ...। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
“তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত না করতে এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে উহ্ ও বলবে না এবং তাদেরকে ধমক দেবে না; তাদের সাথে সম্মানসূচক কথা বল। মমতাবেশে তাদের প্রতি নমতার পাখা অবনমিত করবে এবং বলবে, হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া কর, যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।” (সূরা আল-ইসরা : ২৩-২৪)।
এক লোক রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল : হে আল্লাহর রসূল! আমার কাছে কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার বেশি হকদার? তিনি বললেন : তোমার মা। লোকটি বলল : তারপর কে? তিনি বললেন : তোমার মা। লোকটি বলল : তারপর কে? তিনি বললেন : তোমার মা। লোকটি বলল : তারপর কে? তিনি বললেন : তোমার পিতা। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
আর এই অধিকারটি বাস্তবায়িত হয় কথা, কাজ ও সম্পদের মাধ্যমে ইহসানকে অন্তর্ভুক্ত করে। আর এই অধিকারের বিনিময়ে তার উপর আবশ্যক হয়ে পড়ে গুরু দায়িত্ব পালন ও বড় রকমের আমানতের সংরক্ষণ করা। বরং তা এই জীবনে তার মহান দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহের অন্যতম। আর এই দায়িত্ব ও কর্তব্যের সূচনা হলো- আল্লাহ তা'আলা বলেন :
“হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরভাব ফিরিশতাগণ, যারা অমান্য করে না তা, যা আল্লাহ তাদেরকে আদেশ করেন। আর তারা যা করতে আদিষ্ট হয়, তাই করে।” (সূরা আত-তাহরীম ও ৬) তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল (রক্ষণাবেক্ষণকারী), আর তোমাদের প্রত্যেককেই তার অধীনস্থদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ...। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
স্বামীকে সন্তুষ্ট রাখা এবং তাকে অসন্তুষ্ট না করা।
তার পোশাক-পরিচ্ছদ ও খাবার প্রস্তুতের মত বিশেষ কাজসমূহ সম্পাদন বা তদারকি করা।
তার মন-মানসিকতার প্রতি খেয়াল রাখা।
বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে তাকে বিব্রত না করা; বিশেষ করে সে যখন স্বল্প আয়ের লোক হয়।
ভাল কাজে তাকে উৎসাহিত করা।
তাকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করা, যখন সে ত্রুটিবিচ্যুতি করে অথবা ভাল কাজে অবহেলা করে; আর তাকে কোমল ভাষায় উপদেশ দেয়া।
তাকে তার কর্মকাণ্ডে ও মানসিক অবস্থার উন্নয়নে উৎসাহ প্রদান করা।
প্রত্যেক কল্যাণকর পথে তার সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।
তার নির্দেশসমূহ কাজে পরিণত করা; তবে সেই নির্দেশ অন্যায় কাজের হলে তা বাস্তবায়ন করা যাবে না।
অন্যায় ও অবাধ্যতার ক্ষেত্রে তার অনুগামী না হওয়া।
তার পোশাক-পরিচ্ছদ ও খাবার প্রস্তুতের মত বিশেষ কাজসমূহ সম্পাদন বা তদারকি করা।
তার মন-মানসিকতার প্রতি খেয়াল রাখা।
বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে তাকে বিব্রত না করা; বিশেষ করে সে যখন স্বল্প আয়ের লোক হয়।
ভাল কাজে তাকে উৎসাহিত করা।
তাকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করা, যখন সে ত্রুটিবিচ্যুতি করে অথবা ভাল কাজে অবহেলা করে; আর তাকে কোমল ভাষায় উপদেশ দেয়া।
তাকে তার কর্মকাণ্ডে ও মানসিক অবস্থার উন্নয়নে উৎসাহ প্রদান করা।
প্রত্যেক কল্যাণকর পথে তার সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।
তার নির্দেশসমূহ কাজে পরিণত করা; তবে সেই নির্দেশ অন্যায় কাজের হলে তা বাস্তবায়ন করা যাবে না।
অন্যায় ও অবাধ্যতার ক্ষেত্রে তার অনুগামী না হওয়া।
একজন মুসলিম নারীর নিজের ব্যাপারে দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহের অধীনে আরও যা অন্তর্ভূক্ত হয়, তা হল তার নিজেকে অন্যায় ও ধবংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা করা; শয়তানের পথসমূহ বন্ধ করা এবং কামনা-বাসনা ও লোভ-লালসাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা।
প্রত্যক্ষভাবে আল্লাহ তা'আলার সাথে সম্পর্কিত ইবাদতের নির্দেশের ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করা থেকে সতর্ক থাকা; যেমন সলাত ও সিয়ামের ক্ষেত্রে অবহেলা করা; বিশেষ করে সময় মত সলাত আদায় না করা।
আত্মার দুর্বলতা ও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার প্রতি আস্থাহীনতা থেকে সতর্ক থাকা; আরও সতর্ক থাকা মাজার, পীর, ভণ্ড হুজুর, জ্যোতিষী, ভবিষ্যতবাণী পাঠকারী, ফাসিক ও পথভ্রষ্টদের থেকে; আর দুঃখের বিষয় হল, ঐসব ব্যক্তিদের নিকট বারবার গমনকারীদের অধিকাংশই হল নারী।
সামগ্রিকভাবে ছোট-বড় সকল প্রকার অন্যায় ও অবাধ্যতা থেকে দূরে থাকা এবং তাতে জড়িয়ে পড়া থেকে সতর্ক থাকা; আর এই ব্যাপারে নির্দেশ সম্বলিত কুরআন ও সুন্নাহর অনেক বক্তব্য রয়েছে। সুতরাং যেই বক্তব্যই আনুগত্যের ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করে, ঠিক সেই বক্তব্যই আবার প্রত্যক্ষভাবে অথবা পরোক্ষভাবে অন্যায় ও অবাধ্যতা থেকে সতর্ক করে।
মুসলিম নারীদের মান-সম্মানের মধ্যে অযাচিত হস্তক্ষেপ করা থেকে সতর্ক থাকা, যা অধিকাংশ নারীর মধ্যে ছড়িয়ে আছে। কারণ, গীবত (পরচর্চা) করা, কুৎসা রটনা করা, মিথ্যা কথা বলা এবং অমুক পুরুষ ও অমুক নারীর সমালোচনা করাটা তাদের আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়।
পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাধারণ বাহ্যিক দিকের ক্ষেত্রে নমনীয়তা বা ছাড় দেয়ার প্রবণতা থেকে সতর্ক থাকা, যা অধিকাংশ নারীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে; ফলে তারা খাটো, হালকা-পাতলা, দৃষ্টি আকর্ষক পোশাক পরিধান করতে শুরু করেছে।
বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সর্বক্ষেত্রে অমুসলিম নারীদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা থেকে সতর্ক থাকা; আর সতর্ক থাকা তাদের (অমুসলিম নারীদের) কর্মকাণ্ডে বিমুখ হওয়া থেকে। কারণ, মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকাংশ নারী চুল, পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদির আকৃতি ও ধরন-প্রকৃতির ক্ষেত্রে প্রত্যেক (বহিরাগত ও শরীয়ত গহিত) হৈচৈ সৃষ্টিকারী নারী-পুরুষের অনুসরণ করতে শুরু করে দিয়েছে।
যেমনিভাবে শরীয়তের নিয়ম-কানুনের আনুগত্য করলে সওয়াব দেয়া হয়, ঠিক তেমনিভাবে অন্যায়-অপরাধ পরিত্যাগ করার কারণেও সওয়াব দেয়া হবে; সুতরাং আনুগত্যের কাজ সম্পাদনের ব্যাপারে তার যেমন দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে তেমনিভাবে অন্যায়-অপরাধ পরিত্যাগ করার ক্ষেত্রেও তার দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বড়।
প্রত্যক্ষভাবে আল্লাহ তা'আলার সাথে সম্পর্কিত ইবাদতের নির্দেশের ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করা থেকে সতর্ক থাকা; যেমন সলাত ও সিয়ামের ক্ষেত্রে অবহেলা করা; বিশেষ করে সময় মত সলাত আদায় না করা।
আত্মার দুর্বলতা ও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলার প্রতি আস্থাহীনতা থেকে সতর্ক থাকা; আরও সতর্ক থাকা মাজার, পীর, ভণ্ড হুজুর, জ্যোতিষী, ভবিষ্যতবাণী পাঠকারী, ফাসিক ও পথভ্রষ্টদের থেকে; আর দুঃখের বিষয় হল, ঐসব ব্যক্তিদের নিকট বারবার গমনকারীদের অধিকাংশই হল নারী।
সামগ্রিকভাবে ছোট-বড় সকল প্রকার অন্যায় ও অবাধ্যতা থেকে দূরে থাকা এবং তাতে জড়িয়ে পড়া থেকে সতর্ক থাকা; আর এই ব্যাপারে নির্দেশ সম্বলিত কুরআন ও সুন্নাহর অনেক বক্তব্য রয়েছে। সুতরাং যেই বক্তব্যই আনুগত্যের ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করে, ঠিক সেই বক্তব্যই আবার প্রত্যক্ষভাবে অথবা পরোক্ষভাবে অন্যায় ও অবাধ্যতা থেকে সতর্ক করে।
মুসলিম নারীদের মান-সম্মানের মধ্যে অযাচিত হস্তক্ষেপ করা থেকে সতর্ক থাকা, যা অধিকাংশ নারীর মধ্যে ছড়িয়ে আছে। কারণ, গীবত (পরচর্চা) করা, কুৎসা রটনা করা, মিথ্যা কথা বলা এবং অমুক পুরুষ ও অমুক নারীর সমালোচনা করাটা তাদের আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়।
পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাধারণ বাহ্যিক দিকের ক্ষেত্রে নমনীয়তা বা ছাড় দেয়ার প্রবণতা থেকে সতর্ক থাকা, যা অধিকাংশ নারীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে; ফলে তারা খাটো, হালকা-পাতলা, দৃষ্টি আকর্ষক পোশাক পরিধান করতে শুরু করেছে।
বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সর্বক্ষেত্রে অমুসলিম নারীদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা থেকে সতর্ক থাকা; আর সতর্ক থাকা তাদের (অমুসলিম নারীদের) কর্মকাণ্ডে বিমুখ হওয়া থেকে। কারণ, মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকাংশ নারী চুল, পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদির আকৃতি ও ধরন-প্রকৃতির ক্ষেত্রে প্রত্যেক (বহিরাগত ও শরীয়ত গহিত) হৈচৈ সৃষ্টিকারী নারী-পুরুষের অনুসরণ করতে শুরু করে দিয়েছে।
যেমনিভাবে শরীয়তের নিয়ম-কানুনের আনুগত্য করলে সওয়াব দেয়া হয়, ঠিক তেমনিভাবে অন্যায়-অপরাধ পরিত্যাগ করার কারণেও সওয়াব দেয়া হবে; সুতরাং আনুগত্যের কাজ সম্পাদনের ব্যাপারে তার যেমন দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে তেমনিভাবে অন্যায়-অপরাধ পরিত্যাগ করার ক্ষেত্রেও তার দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বড়।
ক) “তোমরা সদাকা কর। কারণ, তোমাদের অধিকাংশ হবে জাহান্নামের ইন্ধন। অতঃপর নারীদের মধ্য থেকে একজন নারী দাঁড়াল, যার উভয় গালে কাল দাগ ছিল; সে বলল: হে আল্লাহর রসূল! তা কেন? তিনি বললেন : তোমরা বেশি অভিযোগ করে থাক এবং উপকারকারীর উপকার অস্বীকার কর।” (সহীহ মুসলিম)।
খ) অপর এক হাদীসে আছে, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : তুমি যদি দীর্ঘকাল তাদের কারও প্রতি ইহসান করতে থাক, অতঃপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখলেই বলে, “আমি কখনও তোমার কাছ থেকে ভাল ব্যবহার পাইনি। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
আর রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কন্য ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) গম পেষার চাক্কি ঘুরানোর কারণে ফোস্কা পড়া হাত নিয়ে তার কষ্টের কথা ব্যক্ত করলেন এবং একজন খাদেম দাবি করলেন, যে এসব কাজে তাঁকে সহযোগিতা করবে; তখন নবী (ﷺ) স্বীয় কন্যাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
আমি তোমাদেরকে এমন একটি আমলের কথা বলে দেব না, যা তোমাদের জন্য একটি খাদেমের চেয়েও অনেক বেশি উত্তম? যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করতে যাবে, তখন তোমরা, “সুবহানাল্লাহ” ৩৩ বার, “আলহামদুলিল্লাহ” ৩৩ বার এবং “আল্লাহু আকবার” ৩৪ বার পড়বে। এটা তোমাদের জন্য একটি খাদেমের চেয়েও অনেক বেশি উত্তম।” (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
খ) অপর এক হাদীসে আছে, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : তুমি যদি দীর্ঘকাল তাদের কারও প্রতি ইহসান করতে থাক, অতঃপর সে তোমার সামান্য অবহেলা দেখলেই বলে, “আমি কখনও তোমার কাছ থেকে ভাল ব্যবহার পাইনি। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
আর রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কন্য ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) গম পেষার চাক্কি ঘুরানোর কারণে ফোস্কা পড়া হাত নিয়ে তার কষ্টের কথা ব্যক্ত করলেন এবং একজন খাদেম দাবি করলেন, যে এসব কাজে তাঁকে সহযোগিতা করবে; তখন নবী (ﷺ) স্বীয় কন্যাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
আমি তোমাদেরকে এমন একটি আমলের কথা বলে দেব না, যা তোমাদের জন্য একটি খাদেমের চেয়েও অনেক বেশি উত্তম? যখন তোমরা শয্যা গ্রহণ করতে যাবে, তখন তোমরা, “সুবহানাল্লাহ” ৩৩ বার, “আলহামদুলিল্লাহ” ৩৩ বার এবং “আল্লাহু আকবার” ৩৪ বার পড়বে। এটা তোমাদের জন্য একটি খাদেমের চেয়েও অনেক বেশি উত্তম।” (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
বোন হল তার ভাইয়ের নিকট সকল আত্মীয়ের মধ্যে সবচেয়ে নিকটতম ও ঘনিষ্ঠ; আর তাদের উভয়ের জন্য যৌথ অধিকার রয়েছে। বরং তার (বোনের) দায়-দায়িত্ব আরও ব্যাপক। তা পালন করতে হয় ঘরের মধ্যে, যেখানে সে জীবনযাপন করে। কন্যা হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্যের ব্যাপারে যা বলা হয়েছে, ছোট ও বড় ভাই-বোনদের সাথে বোনের দায়িত্ব ও কর্তব্যের ব্যাপারে পরিপূর্ণভাবে তাই বলা হয়। এসব দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলোর পাশাপাশি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বৃদ্ধি করা যায়?
তার চেয়ে বয়সে বড় ভাই ও বোনদের সম্মান ও মর্যাদা দেয়া। কারণ, বড় বোন হলেন মায়ের মর্যাদায় এবং বড় ভাই হলেন পিতার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। তাদের জন্য আত্মীয়তার সম্পর্কজনিত অধিকার রয়েছে আর তার উপর কর্তব্য হল সহযোগিতার মুখাপেক্ষী হলে তাদেরকে সহযোগিতা করা। যেমন : তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করা, বিপদ-মুসিবতের সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করা এবং তাদের পড়াশুনা ও জ্ঞানের ব্যাপারে তাদেরকে সহযোগিতা করা। বাড়ির মধ্যে সকল প্রকার কল্যাণ ছড়িয়ে দেয়া পাঠের মাধ্যমে, শুনানোর মাধ্যমে, দাওয়াতের মাধ্যমে, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকর্মে নিষেধ করার মাধ্যমে ইত্যাদি।
তার চেয়ে বয়সে বড় ভাই ও বোনদের সম্মান ও মর্যাদা দেয়া। কারণ, বড় বোন হলেন মায়ের মর্যাদায় এবং বড় ভাই হলেন পিতার মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। তাদের জন্য আত্মীয়তার সম্পর্কজনিত অধিকার রয়েছে আর তার উপর কর্তব্য হল সহযোগিতার মুখাপেক্ষী হলে তাদেরকে সহযোগিতা করা। যেমন : তাদেরকে আর্থিক সহযোগিতা করা, বিপদ-মুসিবতের সময় তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করা এবং তাদের পড়াশুনা ও জ্ঞানের ব্যাপারে তাদেরকে সহযোগিতা করা। বাড়ির মধ্যে সকল প্রকার কল্যাণ ছড়িয়ে দেয়া পাঠের মাধ্যমে, শুনানোর মাধ্যমে, দাওয়াতের মাধ্যমে, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকর্মে নিষেধ করার মাধ্যমে ইত্যাদি।
মহিলারা প্রয়োজনে অবশ্যই ঘরের বাইরে যাবে। রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সময়ে মহিলারা বৈধ প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গিয়েছেন, তারা সকল ওয়াক্তের সলাত (সময় ও সুযোগ থাকলে) মসজিদে আদায় করেছেন। তারা জিহাদের ময়দানে পর্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তবে হিজাবের হুকুম হবার পর তারা সকল প্রয়োজনে বাইরে গিয়েছেন হিজাব করে। তারা ব্যবসা বাণিজ্যে অংশগ্রহণ করেছেন, রসূল (ﷺ) -এর মজলিশে অংশগ্রহণ করেছেন, প্রয়োজনে খলীফাদের সাথে আলোচনা বিতর্ক করেছেন।
এই যুগে নারীরা পুরুষের সাথে অনেক বিষয়ে অংশগ্রহণ করে থাকে, এখানে। রয়েছে নারীদের অনেক কর্মক্ষেত্র। নারীরা এর এক বিরাট অংশ দখল করে আছে; সুতরাং তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে। একজন আদর্শ মুসলিম নারী একজন সফল নারী দা'ঈ’ (যিনি ইসলামের দাওয়াতী কাজ করেন)। সে তার কর্মক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশাবলী গুরুত্বসহকারে প্রচার করতে পারে। সেজন্য তার কিছু গুণ থাকা প্রয়োজন। যেমন :
প্রথম : আল্লাহ তা'আলার জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করা; সুতরাং এই একনিষ্ঠতা ব্যতীত তার আমল বিক্ষিপ্ত ধূলায় পরিণত হবে; আর তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, একজন নারী দাঈ’র জন্য আবশ্যক হল, সে নিজেকে তার মধ্যে আলোচনা, পর্যালোচনা ও প্রতিকার করবে।
দ্বিতীয় : কুরআন ও সহীহ হাদীসের উপর জ্ঞান অর্জন করা।
তৃতীয় : কষ্টসহিষ্ণু হওয়া; কারণ, দাওয়াতী কাজ একটি ভারী দায়িত্বপূর্ণ কাজ এবং তার প্রতিবন্ধকতাও অনেক; সুতরাং তা উত্তরণের জন্য প্রয়োজন কষ্টসহিষ হওয়া;
চতুর্থ : ভাল কাজ, উত্তম চরিত্র এবং চরিত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা; কারণ, দাওয়াতকে ব্যর্থতায় পর্যবেশনকারী এবং দাওয়াত দাতা ইতিবাচক ফলাফল লাভ করতে না পারার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল কথার সাথে কাজের গরমিল; আল্লাহ তা'আলা বলেন :
“হে মুমিনগণ! তোমরা যা কর না, তা তোমরা কেন বল? তোমরা যা কর না, তোমাদের তা বলাটা আল্লাহর দৃষ্টিতে মারাত্মক অসন্তোষজনক।” (সূরা আসসাফ : ২-৩); আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন:
“তোমরা কি মানুষকে সৎকাজের আদেশ দাও, আর তোমাদের নিজেদেরকে ভুলে যাও? অথচ তোমরা কিতাব অধ্যয়ন কর। তবে কি তোমরা বুঝ না?” (সূরা আল-বাকারা : ৪৪)
পঞ্চম : ধৈর্য ও সহনশীলতা; কোনো ব্যক্তির জীবনে সবচেয়ে মহৎ যে জিনিস দেয়া হয়ে থাকে, তা হল ধৈর্য, সহনশীলতা ও তাড়াহুড়া না করা; কেননা, পথ অনেক লম্বা; আর এমন হয় যে গৃহ নির্মাণকারীই সে গৃহে বসবাস করতে পারে না; হয়ত তেমনি সে ঘর বানাবে, আর বসবাস করবে ভিন্ন অন্য কেউ; সে জ্ঞান। অর্জন করবে এবং অন্যের নিকট তা পৌঁছে দেবে। সুতরাং দাঈ নারী তার উদ্দেশ্য ও ইচ্ছাকৃত লক্ষ্যে পৌঁছতে এবং তার (দাওয়াতের পথে অবিচল থাকতে এই মহৎ গুণটি দ্বারা উপকৃত হতে পারে; রসূল & বলেনঃ “নিশ্চয়ই তোমার মধ্যে এমন দু'টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে, যেগুলোকে আল্লাহ পছন্দ করেন : ধৈর্য ও সহনশীলতা।” (সহীহ মুসলিম)
সুতরাং যার মধ্যে সহিষ্ণুতা নেই, তার উপর কর্তব্য হল, সহনশীলতার গুণ অর্জন করা; কারণ, জ্ঞান হয় জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমে; আর সহিষ্ণু হয় সহনশীলতার গুণ অর্জন করার মাধ্যমে।
ষষ্ঠ : প্রত্যেক ব্যাপারে সততার পরিচয় দেয়া ও আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে তাঁর সাথে সত্য অবলম্বন করা; মানুষের সাথে সত্য আচরণ করা; নিজের নফসের সাথে সততার পথ অবলম্বন করা এবং কিতাব, কথা ও কাজের ক্ষেত্রে সত্য অবলম্বন করা। সুতরাং সে যেন আল্লাহ অথবা আল্লাহর রসূল (ﷺ)-এর ব্যাপারে মিথ্যা না বলে; কারণ, এটা জঘন্য ও ভয়াবহ মিথ্যাচার; আর সাধারণ মানুষের সাথেও মিথ্যা বলো না, এমনকি ছোট বাচ্চা ও জীবজন্তুদের সাথেও নয়; সুতরাং। তার জন্য আবশ্যক হল, সে হবে সত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
সপ্তম : বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জানা, যে অবস্থার মধ্যে মুসলিম নারী জীবনযাপন করে; সুতরাং সে ততটুকুই আলোচনা করবে, যতটুকু কোনো মুসলিম নারী বুঝে ও ধারণ করে। অতএব যখন সে মানুষের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবে, বিশেষ করে নারীর অবস্থা সম্পর্কে, তখন সে তাদের হৃদয়ে পৌঁছাতে সক্ষম হবে এবং তাদের সমস্যাসমূহ প্রতিকার করতে পারবে; আর তাদের সাথে তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে পারবে।
অষ্টম : শরীয়তের আদব-কায়দার মাধ্যমে সে নিজে আদব-কায়দা ও শিষ্টাচার সম্পন্ন হবে বিশেষ করে আবশ্যকীয় বিষয়গুলো অনুসরণের মাধ্যমে; যেমন : শরয়ী পদা, পুরুষদের সাথে মেলামেশা না করা, তাদের সাথে লেনদেনের ক্ষেত্রে নরম হয়ে কথা না বলা এবং তার আকার-আকৃতি ও বেশভূষা হবে শরীয়তের বিধান মোতাবেক।
নবম : নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদির উপর শরীয়তের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দিককে প্রাধান্য দেবে; সুতরাং তার সার্বক্ষণিক চিন্তা থাকবে অন্যদেরকে হিদায়াত করা, তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করা এবং তাদের মধ্যে যারা শত্রুদের পাতা ফাঁদে জড়িয়ে গেছে তাদেরকে উদ্ধার করা। আর তার অভিপ্রায় এমন হবে না যে, সে খ্যাতিমান অথবা গণমানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে এবং দুনিয়ার কোন বস্তু পাওয়ার প্রত্যাশা করবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
দশম : দাওয়াতের সফল পদ্ধতিসমূহের প্রতি মনোযোগ দেয়া। আর এক কথায়, শরীয়ত যেসব বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে, সেসব বিষয় দ্বারা নিজেকে গুণান্বিত করা এবং শরীয়ত যেসব বিষয় থেকে সতর্ক করেছে, সেসব বিষয় থেকে দূরে থাকা।
প্রথম : আল্লাহ তা'আলার জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করা; সুতরাং এই একনিষ্ঠতা ব্যতীত তার আমল বিক্ষিপ্ত ধূলায় পরিণত হবে; আর তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, একজন নারী দাঈ’র জন্য আবশ্যক হল, সে নিজেকে তার মধ্যে আলোচনা, পর্যালোচনা ও প্রতিকার করবে।
দ্বিতীয় : কুরআন ও সহীহ হাদীসের উপর জ্ঞান অর্জন করা।
তৃতীয় : কষ্টসহিষ্ণু হওয়া; কারণ, দাওয়াতী কাজ একটি ভারী দায়িত্বপূর্ণ কাজ এবং তার প্রতিবন্ধকতাও অনেক; সুতরাং তা উত্তরণের জন্য প্রয়োজন কষ্টসহিষ হওয়া;
চতুর্থ : ভাল কাজ, উত্তম চরিত্র এবং চরিত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা; কারণ, দাওয়াতকে ব্যর্থতায় পর্যবেশনকারী এবং দাওয়াত দাতা ইতিবাচক ফলাফল লাভ করতে না পারার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল কথার সাথে কাজের গরমিল; আল্লাহ তা'আলা বলেন :
“হে মুমিনগণ! তোমরা যা কর না, তা তোমরা কেন বল? তোমরা যা কর না, তোমাদের তা বলাটা আল্লাহর দৃষ্টিতে মারাত্মক অসন্তোষজনক।” (সূরা আসসাফ : ২-৩); আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন:
“তোমরা কি মানুষকে সৎকাজের আদেশ দাও, আর তোমাদের নিজেদেরকে ভুলে যাও? অথচ তোমরা কিতাব অধ্যয়ন কর। তবে কি তোমরা বুঝ না?” (সূরা আল-বাকারা : ৪৪)
পঞ্চম : ধৈর্য ও সহনশীলতা; কোনো ব্যক্তির জীবনে সবচেয়ে মহৎ যে জিনিস দেয়া হয়ে থাকে, তা হল ধৈর্য, সহনশীলতা ও তাড়াহুড়া না করা; কেননা, পথ অনেক লম্বা; আর এমন হয় যে গৃহ নির্মাণকারীই সে গৃহে বসবাস করতে পারে না; হয়ত তেমনি সে ঘর বানাবে, আর বসবাস করবে ভিন্ন অন্য কেউ; সে জ্ঞান। অর্জন করবে এবং অন্যের নিকট তা পৌঁছে দেবে। সুতরাং দাঈ নারী তার উদ্দেশ্য ও ইচ্ছাকৃত লক্ষ্যে পৌঁছতে এবং তার (দাওয়াতের পথে অবিচল থাকতে এই মহৎ গুণটি দ্বারা উপকৃত হতে পারে; রসূল & বলেনঃ “নিশ্চয়ই তোমার মধ্যে এমন দু'টি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে, যেগুলোকে আল্লাহ পছন্দ করেন : ধৈর্য ও সহনশীলতা।” (সহীহ মুসলিম)
সুতরাং যার মধ্যে সহিষ্ণুতা নেই, তার উপর কর্তব্য হল, সহনশীলতার গুণ অর্জন করা; কারণ, জ্ঞান হয় জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমে; আর সহিষ্ণু হয় সহনশীলতার গুণ অর্জন করার মাধ্যমে।
ষষ্ঠ : প্রত্যেক ব্যাপারে সততার পরিচয় দেয়া ও আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে তাঁর সাথে সত্য অবলম্বন করা; মানুষের সাথে সত্য আচরণ করা; নিজের নফসের সাথে সততার পথ অবলম্বন করা এবং কিতাব, কথা ও কাজের ক্ষেত্রে সত্য অবলম্বন করা। সুতরাং সে যেন আল্লাহ অথবা আল্লাহর রসূল (ﷺ)-এর ব্যাপারে মিথ্যা না বলে; কারণ, এটা জঘন্য ও ভয়াবহ মিথ্যাচার; আর সাধারণ মানুষের সাথেও মিথ্যা বলো না, এমনকি ছোট বাচ্চা ও জীবজন্তুদের সাথেও নয়; সুতরাং। তার জন্য আবশ্যক হল, সে হবে সত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
সপ্তম : বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জানা, যে অবস্থার মধ্যে মুসলিম নারী জীবনযাপন করে; সুতরাং সে ততটুকুই আলোচনা করবে, যতটুকু কোনো মুসলিম নারী বুঝে ও ধারণ করে। অতএব যখন সে মানুষের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবে, বিশেষ করে নারীর অবস্থা সম্পর্কে, তখন সে তাদের হৃদয়ে পৌঁছাতে সক্ষম হবে এবং তাদের সমস্যাসমূহ প্রতিকার করতে পারবে; আর তাদের সাথে তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে পারবে।
অষ্টম : শরীয়তের আদব-কায়দার মাধ্যমে সে নিজে আদব-কায়দা ও শিষ্টাচার সম্পন্ন হবে বিশেষ করে আবশ্যকীয় বিষয়গুলো অনুসরণের মাধ্যমে; যেমন : শরয়ী পদা, পুরুষদের সাথে মেলামেশা না করা, তাদের সাথে লেনদেনের ক্ষেত্রে নরম হয়ে কথা না বলা এবং তার আকার-আকৃতি ও বেশভূষা হবে শরীয়তের বিধান মোতাবেক।
নবম : নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদির উপর শরীয়তের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দিককে প্রাধান্য দেবে; সুতরাং তার সার্বক্ষণিক চিন্তা থাকবে অন্যদেরকে হিদায়াত করা, তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করা এবং তাদের মধ্যে যারা শত্রুদের পাতা ফাঁদে জড়িয়ে গেছে তাদেরকে উদ্ধার করা। আর তার অভিপ্রায় এমন হবে না যে, সে খ্যাতিমান অথবা গণমানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হবে এবং দুনিয়ার কোন বস্তু পাওয়ার প্রত্যাশা করবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
দশম : দাওয়াতের সফল পদ্ধতিসমূহের প্রতি মনোযোগ দেয়া। আর এক কথায়, শরীয়ত যেসব বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে, সেসব বিষয় দ্বারা নিজেকে গুণান্বিত করা এবং শরীয়ত যেসব বিষয় থেকে সতর্ক করেছে, সেসব বিষয় থেকে দূরে থাকা।
এমন কাজে সময় অতিবাহিত না করা, যাতে কোন উপকার নেই। যেমন : বিভিন্ন প্রকার মিডিয়া অনুসরণ করা এবং অপরাপর এমন সব যোগাযোগের মাধ্যমের পেছনে আত্মনিয়োগ করা, যার কোনো প্রয়োজন নেই। এতে বহু সময় অন্যায়অপরাধে, খেল-তামাশায় ও অনর্থক কাজে নষ্ট হয়। অথচ মানুষকে তার সময়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হবে। সময়ই তার বয়স ও জীবন, আর তা জগতের সবচেয়ে দামী জিনিস। যখন তা এসব মিডিয়া ও যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যয় করবে, তখন তা হবে তার দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য খারাপ পরিণতি ও ক্ষতির কারণ। অথচ অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের ব্যাপার হল, অনেক মেয়েদেরই অবসর সময়গুলো নষ্ট হয় টিভিতে আজেবাজে নাচ-গানসিনেমা-নাটক ইত্যাদি দেখে, বান্ধবীদের সাথে বেহুদা আড্ডা দিয়ে।
অপ্রয়োজনে শপিং মল দিয়ে ঘুরাঘুরি করা : এটি একটি ভয়ানক সমস্যা, যা এই শেষ যামানায় শুষ্ক লতাপাতায় আগুন ছড়ানোর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক মুসলিম কন্যারাই বিভিন্ন শপিং মলে অপ্রয়োজনে ঘুরে বেড়ায় যার ফলে তাদেরকে অনেক সময় বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। এসব বিপদসমূহের অন্যতম হল শয়তানের শিকার হওয়া; কারণ, বাজার শয়তানেরই অবস্থান কেন্দ্র। এবং সবচেয়ে নিকৃষ্টতম জায়গা হল বাজারসমূহ। যখন মেয়েরা কোন প্রয়োজনের কারণে বাধ্য হবে বাজারে যেতে, তখনই শুধু তার অভিভাবককে সাথে নিয়ে তার প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে বাজারে বের হবে, অতঃপর প্রয়োজন শেষে তারা ঘরে ফিরে আসবে। আর এই বের হওয়াটা অনুপ্রেরণা দেয় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বারবার ঘর থেকে বের হতে। সুতরাং প্রত্যেক মেয়ের উচিত সে যেন তার প্রয়োজনকে হিসাব করে নেয় এবং এই বের হওয়াটা যাতে বেশি না হয়। নারী যখন তার ঘর থেকে বের হয়, তখন শয়তান। তার দিকে উঁকি দেয়। এটি হাদীস থেকে প্রমাণিত।
নবী কারীম (ﷺ) বলেন : নারী হল গোপন বস্তু, সে যখন বের হয়, তখন শয়তান তার দিকে উঁকি দেয়। (তিরমিযী)
অপ্রয়োজনে মোবাইলে কথা বলা ও ফোনের ভাল-মন্দ দুটোই রয়েছে। মূলতঃ এটি প্রয়োজনেই ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় হল, টেলিফোনের ক্ষেত্রে মেয়েদের অবস্থা অত্যন্ত দুঃখজনক। সে যখন ফোন তার কানে নেয়, তখন অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে তা ছাড়ে না।
অপ্রয়োজনে শপিং মল দিয়ে ঘুরাঘুরি করা : এটি একটি ভয়ানক সমস্যা, যা এই শেষ যামানায় শুষ্ক লতাপাতায় আগুন ছড়ানোর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক মুসলিম কন্যারাই বিভিন্ন শপিং মলে অপ্রয়োজনে ঘুরে বেড়ায় যার ফলে তাদেরকে অনেক সময় বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। এসব বিপদসমূহের অন্যতম হল শয়তানের শিকার হওয়া; কারণ, বাজার শয়তানেরই অবস্থান কেন্দ্র। এবং সবচেয়ে নিকৃষ্টতম জায়গা হল বাজারসমূহ। যখন মেয়েরা কোন প্রয়োজনের কারণে বাধ্য হবে বাজারে যেতে, তখনই শুধু তার অভিভাবককে সাথে নিয়ে তার প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যে বাজারে বের হবে, অতঃপর প্রয়োজন শেষে তারা ঘরে ফিরে আসবে। আর এই বের হওয়াটা অনুপ্রেরণা দেয় প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বারবার ঘর থেকে বের হতে। সুতরাং প্রত্যেক মেয়ের উচিত সে যেন তার প্রয়োজনকে হিসাব করে নেয় এবং এই বের হওয়াটা যাতে বেশি না হয়। নারী যখন তার ঘর থেকে বের হয়, তখন শয়তান। তার দিকে উঁকি দেয়। এটি হাদীস থেকে প্রমাণিত।
নবী কারীম (ﷺ) বলেন : নারী হল গোপন বস্তু, সে যখন বের হয়, তখন শয়তান তার দিকে উঁকি দেয়। (তিরমিযী)
অপ্রয়োজনে মোবাইলে কথা বলা ও ফোনের ভাল-মন্দ দুটোই রয়েছে। মূলতঃ এটি প্রয়োজনেই ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় হল, টেলিফোনের ক্ষেত্রে মেয়েদের অবস্থা অত্যন্ত দুঃখজনক। সে যখন ফোন তার কানে নেয়, তখন অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে তা ছাড়ে না।
প্রথমত:
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাকে পুরুষের স্বভাব-প্রকৃতি থেকে ভিন্ন বিশেষ সৃভাব ও বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন; আর সে থেকেই তিনি তাকে এমন কতগুলো বিধিবিধানের সাথে বিশেষিত করেছেন, যেগুলো ঐ বিশেষ স্বভাব-প্রকৃতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ হায়েয (ঋতুস্রাব), ৯/১০ মাস সন্তান ধারণ, নিফাস (সন্তান জন্মের পরবর্তী সময়), উভয় অবস্থা থেকে পবিত্রতা অর্জন, সন্তানকে দুধ পান করানো এবং সলাত, সিয়াম, হাজ্জ প্রভৃতি ধরনের ইবাদতের কিছু কিছু বিধানের সাথে যা সংশ্লিষ্ট।
দ্বিতীয়ত:
একজন নারীর উপর কিছু আবশ্যকীয় দায়িত্ব ও মহান আমানত রয়েছে, যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তার উপর ন্যস্ত করেছেন। সে সাধারণভাবে আকীদা-বিশ্বাস, পবিত্রতা অর্জন, সলাত (নামায), সিয়াম (রোযা) প্রভৃতির মত শরীয়তের সকল বিধিবিধানের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত। আর তার জন্য আরও কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে, একাধারে সে লালনপালনকারিণী, মাতা ও স্ত্রী হওয়ার কারণে তাকে সেগুলোর সাথে বিশেষভাবে সম্পর্কিত করা হয়েছে; সুতরাং প্রত্যেক অবস্থায় তার উপর আবশ্যক হল সে ঐ নিয়ম-কানুনসমূহ যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাকে পুরুষের স্বভাব-প্রকৃতি থেকে ভিন্ন বিশেষ সৃভাব ও বৈশিষ্ট্য দিয়ে সৃষ্টি করেছেন; আর সে থেকেই তিনি তাকে এমন কতগুলো বিধিবিধানের সাথে বিশেষিত করেছেন, যেগুলো ঐ বিশেষ স্বভাব-প্রকৃতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ হায়েয (ঋতুস্রাব), ৯/১০ মাস সন্তান ধারণ, নিফাস (সন্তান জন্মের পরবর্তী সময়), উভয় অবস্থা থেকে পবিত্রতা অর্জন, সন্তানকে দুধ পান করানো এবং সলাত, সিয়াম, হাজ্জ প্রভৃতি ধরনের ইবাদতের কিছু কিছু বিধানের সাথে যা সংশ্লিষ্ট।
দ্বিতীয়ত:
একজন নারীর উপর কিছু আবশ্যকীয় দায়িত্ব ও মহান আমানত রয়েছে, যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তার উপর ন্যস্ত করেছেন। সে সাধারণভাবে আকীদা-বিশ্বাস, পবিত্রতা অর্জন, সলাত (নামায), সিয়াম (রোযা) প্রভৃতির মত শরীয়তের সকল বিধিবিধানের ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত। আর তার জন্য আরও কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে, একাধারে সে লালনপালনকারিণী, মাতা ও স্ত্রী হওয়ার কারণে তাকে সেগুলোর সাথে বিশেষভাবে সম্পর্কিত করা হয়েছে; সুতরাং প্রত্যেক অবস্থায় তার উপর আবশ্যক হল সে ঐ নিয়ম-কানুনসমূহ যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে।
বিজাতীয় সভ্যতার পক্ষ থেকে বিগত যুগে মুসলিম নারীরা ঐ নগ্নতা কালচারের শিকার হয়েছে এবং মুসলিম সন্তানদের কেউ কেউ সেই কালচারকে স্বাদরে গ্রহণ করেছে; ফলে মিডিয়া যা বলছে, তারা তা-ই আওড়াতে থাকে এবং ঐ আওয়াজসমূহের প্রতিধ্বনি-ই করতে থাকে, যাতে নারী তার আপন গৃহ থেকে বেরিয়ে যায়, সে পুরুষের সাথে অবাধে মেলামেশা করতে পারে এবং তাকে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে সরিয়ে দিতে পারে।
উপরোল্লেখিত নগ্ন হামলার সাথে সাথে নারী বিষয় নিয়ে অনেক ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলার উদ্ভব সাধন করা হয়েছে। যেগুলো ইসলামী শরীয়তের ব্যাপারে সচেতন মুসলিম নারীদের কারও কারও মধ্যেও দেখা যায়। বস্তুত এ ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ে এমন কিছু লোক হাঁকডাক দিচ্ছে, যারা চায় নিজেকে প্রকাশ করতে; আরও চায় তার জন্য এমন একটি রায় বা মত হবে, যা তার সাথে। সম্বন্ধযুক্ত হবে। অবশেষে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, নারীর অনেক ব্যাপার নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে দু’ভাগে মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
উপরোল্লেখিত নগ্ন হামলার সাথে সাথে নারী বিষয় নিয়ে অনেক ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলার উদ্ভব সাধন করা হয়েছে। যেগুলো ইসলামী শরীয়তের ব্যাপারে সচেতন মুসলিম নারীদের কারও কারও মধ্যেও দেখা যায়। বস্তুত এ ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ে এমন কিছু লোক হাঁকডাক দিচ্ছে, যারা চায় নিজেকে প্রকাশ করতে; আরও চায় তার জন্য এমন একটি রায় বা মত হবে, যা তার সাথে। সম্বন্ধযুক্ত হবে। অবশেষে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, নারীর অনেক ব্যাপার নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে দু’ভাগে মানুষ বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ১ :
রক্ষণশীল বুদ্ধিমতি নারী, যিনি তার প্রতিপালকের শিক্ষা ও দর্শনসমূহ সংরক্ষণ করেন এবং ঈমান ও তুষ্টতা সহকারে সেই শিক্ষা। অনুযায়ী কাজ করেন। তিনি এই দ্বীনকে শক্তভাবে বহন ও আঁকড়ে ধরেছেন এবং বিজাতীয় বিনষ্ট বিষয়কে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর তিনি তার প্রতিপালকের দিকে অন্যদেরকে মাথা উঁচু করে দৃঢ়তার সাথে আহ্বান করেন এবং তার ব্যক্তিত্ব, পর্দা ও পবিত্রতা রক্ষা করে চলেন। তার স্বামীর অধিকার বাস্তবায়নকারিণী হিসেবে এবং তার সন্তানদের লালনপালনকারিণী হিসেবে এই জীবনে তিনি তার প্রকৃত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করেন। এই প্রতিটি অবস্থাই আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে অন্ধকার দূর করার জন্য, যা মুসলিম নারীর বিষয়ে এই যুগ বা সময়কে প্রভাবিত করেছে; যাতে করে প্রত্যেক সত্যানুসন্ধানী মুক্তিকামী পুরুষ অথবা নারীর জন্য পথ স্পষ্ট হয় এবং তার মাইলফলকগুলো পরিস্কারভাবে প্রকাশিত হয়ে উঠে।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ২:
মুসলিম সমাজ তথা মুসলিম জাতির পরিপূর্ণতার জন্য এমন রক্ষণশীল আদর্শ নারীর প্রয়োজন, যে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জানে এবং তার উপর অর্পিত আমানতকে অনুধাবন করে; যে নিজের পথ দেখতে পায় এবং তার নিজের অধিকার ও অন্যের অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে।
মু'মিন নারীর বৈশিষ্ট্য ৩ :
মুসলিম মু'মিন নারী যার রয়েছে তার প্রতিপালক আল্লাহ তা'আলার প্রতি অগাধ বিশ্বাস; সুতরাং তিনি তাঁকে প্রতিপালক, সষ্টা ও মাবুদ বা উপাস্য বলে বিশ্বাস করেন; আরও বিশ্বাস করেন তাঁর ফিরিশতাগণের প্রতি, তাঁর কিতাবসমষ্টি ও রসূলগণের প্রতি; আর পরকালের প্রতি এবং তাকদীরের ভাল ও মন্দের প্রতি। অতঃপর এই ঈমান অনুযায়ী তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন তার এই জীবনের চিন্তাভাবনাগুলোকে; জগত, জীবন ও মানুষ সম্পর্কে।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ৪ :
মুসলিম মুমিন নারী যিনি তার প্রতিপালকের শরীয়ত তথা বিধিবিধানকে সংরক্ষণ করেন, অনুধাবন করেন তাঁর আদেশসমূহকে; অতঃপর সে অনুযায়ী কাজ করেন। আর অনুধাবন করেন তাঁর নিষেধসমূহকে, অতঃপর সেগুলো থেকে দূরে থাকেন। তার নিজের অধিকার এবং তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন, অতঃপর এর মাধ্যমে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ৫:
মুসলিম মু'মিন নারী যিনি তার প্রকৃত দায়িত্বের বিষয়গুলো এবং তার গৃহরাজ্যের বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করেন; অতঃপর এই ছোট্ট রাজ্যের অধিকার সংরক্ষণ করেন, যে রাজ্য পুরুষদের প্রস্তুত করে এবং শিশু-কিশোরদেরকে আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রসূল (ﷺ) -এর ভালবাসায় ও তাঁর দ্বীনের সেবায় গঠন করে তোলে।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ৬ :
মুসলিম মুমিন নারী যার বাহ্যিক দিক তার অভ্যন্তর সম্পর্কে বলে দেয়। কারণ, তিনি প্রাচ্য বা পার্শ্ববর্তী দেশ দ্বারা প্রভাবিত নন, প্রভাবিত নন কোনো প্রবণতা বা ফ্যাশন দ্বারা; যিনি প্রত্যেক ধনি বা চীৎকারের অনুসরণ করেন না। তিনি তার বাহ্যিক ক্ষেত্রে মডেল বা আদর্শ, যেমনিভাবে অভ্যন্তরীণ দিকেও আদর্শ। তার শরীর সংরক্ষিত; আর তার হৃদয় ঈমান দ্বারা পরিপূর্ণ এবং তার পবিত্রতা ও সচ্চরিত্রতার দিকটি সুস্পষ্ট; আর তার পোশাকপরিচ্ছদ ও অন্তরের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় অবস্থাই পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র। তিনি ঈমান এনেছেন, শিক্ষাগ্রহণ করেছেন এবং আমল করেছেন।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ৭:
মুসলিম মু'মিন নারী যিনি আল্লাহর পথে আহ্বানকারী নারী, যিনি তার কথার পূর্বে কাজের দ্বারা আল্লাহ তা'আলার দিকে আহ্বান করেন; তিনি মানুষের জন্য ভাল ও কল্যাণকে পছন্দ করেন, যেমনিভাবে তা তিনি নিজের জন্য পছন্দ করেন; তিনি একে উপদেশ দেন, ওকে নির্দেশনা প্রদান করেন আর আরেকজনের অন্যায় কাজের সমালোচনা করেন; তিনি লালনপালন করেন, গঠন করেন, ভুলত্রুটি সংশোধন করেন, সমস্যা সমাধান। করেন, তার সম্পদ দ্বারা দান-সদাকা করেন, তার সাধ্যানুসারে কর্মতৎপরতা পরিচালনা করেন, দাওয়াতী কাজ নিয়েই তিনি জীবনযাপন করেন, কি দাঁড়ানো অবস্থায়, কি তার কাজের মধ্যে এক কথায় যে কোন স্থানে, যে অবস্থায়ই থাকেন।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ৮ :
মুসলিম মুমিন নারী যিনি তার শত্রুদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সচেতন থাকেন, অতঃপর তাদের ফাঁদে পা দিয়ে তাদের আনুগত্য হওয়া থেকে, তাদের আহ্বানসমূহে সাড়া দেয়া থেকে এবং তাদের জীবন-পদ্ধতি অনুসরণ থেকে সতর্ক থাকেন। তিনি সদা-সতর্কতা অবলম্বন করেন এবং ঐসব প্রচার-প্রপাগান্ডা থেকে সতর্ক করেন, যেগুলো নারীকে তাদের প্রপাগান্ডার বাহন। হিসেবে গ্রহণ করেছে যার বিবরণ পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে।
রক্ষণশীল বুদ্ধিমতি নারী, যিনি তার প্রতিপালকের শিক্ষা ও দর্শনসমূহ সংরক্ষণ করেন এবং ঈমান ও তুষ্টতা সহকারে সেই শিক্ষা। অনুযায়ী কাজ করেন। তিনি এই দ্বীনকে শক্তভাবে বহন ও আঁকড়ে ধরেছেন এবং বিজাতীয় বিনষ্ট বিষয়কে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর তিনি তার প্রতিপালকের দিকে অন্যদেরকে মাথা উঁচু করে দৃঢ়তার সাথে আহ্বান করেন এবং তার ব্যক্তিত্ব, পর্দা ও পবিত্রতা রক্ষা করে চলেন। তার স্বামীর অধিকার বাস্তবায়নকারিণী হিসেবে এবং তার সন্তানদের লালনপালনকারিণী হিসেবে এই জীবনে তিনি তার প্রকৃত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করেন। এই প্রতিটি অবস্থাই আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে অন্ধকার দূর করার জন্য, যা মুসলিম নারীর বিষয়ে এই যুগ বা সময়কে প্রভাবিত করেছে; যাতে করে প্রত্যেক সত্যানুসন্ধানী মুক্তিকামী পুরুষ অথবা নারীর জন্য পথ স্পষ্ট হয় এবং তার মাইলফলকগুলো পরিস্কারভাবে প্রকাশিত হয়ে উঠে।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ২:
মুসলিম সমাজ তথা মুসলিম জাতির পরিপূর্ণতার জন্য এমন রক্ষণশীল আদর্শ নারীর প্রয়োজন, যে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে জানে এবং তার উপর অর্পিত আমানতকে অনুধাবন করে; যে নিজের পথ দেখতে পায় এবং তার নিজের অধিকার ও অন্যের অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে।
মু'মিন নারীর বৈশিষ্ট্য ৩ :
মুসলিম মু'মিন নারী যার রয়েছে তার প্রতিপালক আল্লাহ তা'আলার প্রতি অগাধ বিশ্বাস; সুতরাং তিনি তাঁকে প্রতিপালক, সষ্টা ও মাবুদ বা উপাস্য বলে বিশ্বাস করেন; আরও বিশ্বাস করেন তাঁর ফিরিশতাগণের প্রতি, তাঁর কিতাবসমষ্টি ও রসূলগণের প্রতি; আর পরকালের প্রতি এবং তাকদীরের ভাল ও মন্দের প্রতি। অতঃপর এই ঈমান অনুযায়ী তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন তার এই জীবনের চিন্তাভাবনাগুলোকে; জগত, জীবন ও মানুষ সম্পর্কে।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ৪ :
মুসলিম মুমিন নারী যিনি তার প্রতিপালকের শরীয়ত তথা বিধিবিধানকে সংরক্ষণ করেন, অনুধাবন করেন তাঁর আদেশসমূহকে; অতঃপর সে অনুযায়ী কাজ করেন। আর অনুধাবন করেন তাঁর নিষেধসমূহকে, অতঃপর সেগুলো থেকে দূরে থাকেন। তার নিজের অধিকার এবং তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন, অতঃপর এর মাধ্যমে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ৫:
মুসলিম মু'মিন নারী যিনি তার প্রকৃত দায়িত্বের বিষয়গুলো এবং তার গৃহরাজ্যের বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করেন; অতঃপর এই ছোট্ট রাজ্যের অধিকার সংরক্ষণ করেন, যে রাজ্য পুরুষদের প্রস্তুত করে এবং শিশু-কিশোরদেরকে আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রসূল (ﷺ) -এর ভালবাসায় ও তাঁর দ্বীনের সেবায় গঠন করে তোলে।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ৬ :
মুসলিম মুমিন নারী যার বাহ্যিক দিক তার অভ্যন্তর সম্পর্কে বলে দেয়। কারণ, তিনি প্রাচ্য বা পার্শ্ববর্তী দেশ দ্বারা প্রভাবিত নন, প্রভাবিত নন কোনো প্রবণতা বা ফ্যাশন দ্বারা; যিনি প্রত্যেক ধনি বা চীৎকারের অনুসরণ করেন না। তিনি তার বাহ্যিক ক্ষেত্রে মডেল বা আদর্শ, যেমনিভাবে অভ্যন্তরীণ দিকেও আদর্শ। তার শরীর সংরক্ষিত; আর তার হৃদয় ঈমান দ্বারা পরিপূর্ণ এবং তার পবিত্রতা ও সচ্চরিত্রতার দিকটি সুস্পষ্ট; আর তার পোশাকপরিচ্ছদ ও অন্তরের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় অবস্থাই পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র। তিনি ঈমান এনেছেন, শিক্ষাগ্রহণ করেছেন এবং আমল করেছেন।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ৭:
মুসলিম মু'মিন নারী যিনি আল্লাহর পথে আহ্বানকারী নারী, যিনি তার কথার পূর্বে কাজের দ্বারা আল্লাহ তা'আলার দিকে আহ্বান করেন; তিনি মানুষের জন্য ভাল ও কল্যাণকে পছন্দ করেন, যেমনিভাবে তা তিনি নিজের জন্য পছন্দ করেন; তিনি একে উপদেশ দেন, ওকে নির্দেশনা প্রদান করেন আর আরেকজনের অন্যায় কাজের সমালোচনা করেন; তিনি লালনপালন করেন, গঠন করেন, ভুলত্রুটি সংশোধন করেন, সমস্যা সমাধান। করেন, তার সম্পদ দ্বারা দান-সদাকা করেন, তার সাধ্যানুসারে কর্মতৎপরতা পরিচালনা করেন, দাওয়াতী কাজ নিয়েই তিনি জীবনযাপন করেন, কি দাঁড়ানো অবস্থায়, কি তার কাজের মধ্যে এক কথায় যে কোন স্থানে, যে অবস্থায়ই থাকেন।
মুমিন নারীর বৈশিষ্ট্য ৮ :
মুসলিম মুমিন নারী যিনি তার শত্রুদের ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সচেতন থাকেন, অতঃপর তাদের ফাঁদে পা দিয়ে তাদের আনুগত্য হওয়া থেকে, তাদের আহ্বানসমূহে সাড়া দেয়া থেকে এবং তাদের জীবন-পদ্ধতি অনুসরণ থেকে সতর্ক থাকেন। তিনি সদা-সতর্কতা অবলম্বন করেন এবং ঐসব প্রচার-প্রপাগান্ডা থেকে সতর্ক করেন, যেগুলো নারীকে তাদের প্রপাগান্ডার বাহন। হিসেবে গ্রহণ করেছে যার বিবরণ পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে।
পুরুষ ও নারী উভয়ই মানুষ। মানুষ হিসেবে তাঁরা অভিন্ন। কিন্তু যেহেতু তাঁদের একজন পুরুষ মানুষ এবং অপরজন মেয়ে মানুষ সেহেতু তাদের মাঝে ভিন্নতাও আছে। জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষগণ সবল, নারীগণ দুর্বল। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে নারীগণ সবল, পুরুষগণ দুর্বল। সমাজ ও সভ্যতার বিকাশ ও সংরক্ষণের জন্য ক্ষেত্র বিশেষে কঠোরতা-নির্মমতার প্রয়োজন দেখা দেয়। এইসব ক্ষেত্রে পুরুষগণই যোগ্য বলে প্রমাণিত। আবার যেসব ক্ষেত্রে নম্রতাকোমলতা প্রয়োজন, সেসব ক্ষেত্রে নারীদের উপযুক্ততা অনস্বীকার্য।
আল্লাহ রব্বল আলামীন পুরুষদের দেহকে পেশীবহুল ও শক্তিশালীরূপে সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের দেহ কঠোর পরিশ্রমের উপযোগী। তাঁদের মাঝে কষ্ট সহিষ্ণুতার মাত্রা বেশি। দুর্ধর্ষতা, সাহসিকতা, ক্ষিপ্রতা, দৃঢ়তা এবং কঠোরতা তাঁদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তাদের মাঝে প্রভাব বিস্তারের প্রবণতা প্রবল। এইসব গুণ পুরুষদেরকে বাইরের কাজের উপযুক্ততা দান করেছে।
আল্লাহ রব্বল আলামীন নারীদের দেহকে কোমলরূপে সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের দেহ কঠোর পরিশ্রম করার এবং ভারী বোঝা বহনের উপযোগী নয়। নম্রতা, বিনয়, মায়া-মমতার আধিক্য এবং প্রখর সৌন্দর্যানুভূতি তাঁদের চরিত্রের ভূষণ। তাঁদের মাঝে প্রভাব গ্রহণের প্রবণতা বেশি। ঘরকে সৌন্দর্যমন্ডিত করা এবং পরিবার-পরিসরকে মায়াময় করে তোলার ক্ষেত্রে তাঁদের জুড়ি নেই। মানব বংশকে গর্ভে ধারণ, প্রসব, স্তন্য দান এবং লালন-পালনের ক্ষেত্রে তাদের কোন বিকল্প নেই। দৈহিক ও মানসিক এইসব বিশিষ্টতার কারণে মহান আল্লাহ গৃহকেন্দ্রিক কাজগুলো সম্পাদন করার দায়িত্ব দিয়েছেন নারীদেরকে। অর্থাৎ সৃষ্টিগত ভিন্নতার ভিত্তিতেই জ্ঞানময় প্রজ্ঞাময় আল্লাহ পুরুষ মানুষ এবং মেয়ে। মানুষের কর্মক্ষেত্র আলাদা করে দিয়েছেন।
আল্লাহ রব্বল আলামীন পুরুষদের দেহকে পেশীবহুল ও শক্তিশালীরূপে সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের দেহ কঠোর পরিশ্রমের উপযোগী। তাঁদের মাঝে কষ্ট সহিষ্ণুতার মাত্রা বেশি। দুর্ধর্ষতা, সাহসিকতা, ক্ষিপ্রতা, দৃঢ়তা এবং কঠোরতা তাঁদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তাদের মাঝে প্রভাব বিস্তারের প্রবণতা প্রবল। এইসব গুণ পুরুষদেরকে বাইরের কাজের উপযুক্ততা দান করেছে।
আল্লাহ রব্বল আলামীন নারীদের দেহকে কোমলরূপে সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের দেহ কঠোর পরিশ্রম করার এবং ভারী বোঝা বহনের উপযোগী নয়। নম্রতা, বিনয়, মায়া-মমতার আধিক্য এবং প্রখর সৌন্দর্যানুভূতি তাঁদের চরিত্রের ভূষণ। তাঁদের মাঝে প্রভাব গ্রহণের প্রবণতা বেশি। ঘরকে সৌন্দর্যমন্ডিত করা এবং পরিবার-পরিসরকে মায়াময় করে তোলার ক্ষেত্রে তাঁদের জুড়ি নেই। মানব বংশকে গর্ভে ধারণ, প্রসব, স্তন্য দান এবং লালন-পালনের ক্ষেত্রে তাদের কোন বিকল্প নেই। দৈহিক ও মানসিক এইসব বিশিষ্টতার কারণে মহান আল্লাহ গৃহকেন্দ্রিক কাজগুলো সম্পাদন করার দায়িত্ব দিয়েছেন নারীদেরকে। অর্থাৎ সৃষ্টিগত ভিন্নতার ভিত্তিতেই জ্ঞানময় প্রজ্ঞাময় আল্লাহ পুরুষ মানুষ এবং মেয়ে। মানুষের কর্মক্ষেত্র আলাদা করে দিয়েছেন।
পরিবারও একটি প্রতিষ্ঠান। পরিবার প্রতিষ্ঠান মানব সভ্যতার প্রথম বুনিয়াদ। পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম আলাইহিস সালাম এবং তাঁর স্ত্রী হাওয়ার সমন্বয়ে গড়ে উঠেছিলো প্রথম পরিবার। পরিবার হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক প্রতিষ্ঠান। মানব সন্তানকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে সুস্থরূপে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন মাতৃস্নেহ। আবার তাকে দৈহিকভাবে সবলরূপে গড়ে তোলার প্রয়োজন মাতৃদুগ্ধ। একটি সুখী ও দায়িত্বশীল পরিবারের সন্তানেরাই কেবল সুস্থমনা ও সবলদেহী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। মাতৃদুগ্ধ পান করে যারা বেড়ে উঠে তাদের মাঝে রোগ-প্রতিরোধী ক্ষমতা কম থাকে। আবার মাতৃস্নেহের উষ্ণতা বঞ্চিত হয়ে যারা গড়ে ওঠে তাদের থাকে অসুস্থ মন। আর এই অসুস্থ মনই হচ্ছে অপরাধ প্রবণতার প্রধান উৎস। একজন সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা ছাড়া যেমন একটি অফিস, স্কুল কিংবা কলেজ সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারে না, তেমনি একজন সার্বক্ষণিক পরিচালিকা ছাড়া একটি পরিবার সুন্দরভাবে পরিচালিত হতে পারে না। বুদ্ধিমতী স্ত্রীর সুনিপুণ হাতের ছোঁয়া পরিবার নামের ক্ষুদ্র রাষ্ট্রটিকে সুখ, শান্তি ও কল্যাণের কেন্দ্রে পরিণত করে। স্বামী বাইরে কাজ করে ঘরে ফেরেন। আবার, সারাদিন। পরিবারের বহুবিধ ঝামেলা পোহাতে গিয়ে স্ত্রীও ক্লান্ত হয়ে উঠেন। কিন্তু পরিবার পরিসরে স্বামী এবং স্ত্রী যখন একে অপরের মুখোমুখি হন তখন উভয়ের ক্লান্তি কোথায় যেন হারিয়ে যায়। প্রশান্তির আমেজ ছড়িয়ে পড়ে তাঁদের মনে। একটা সুখানুভূতি খেলে যায় তাঁদের অস্তিত্বের পরতে পরতে। এমন অনাবিল সুখ লাভের আর কোন বিকল্প স্থান নেই।
পুরুষের মতো নারীগণও যদি বাইরের কাজে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন তাহলে পরিবার প্রতিষ্ঠানে শান্তি টিকিয়ে রাখা কষ্টকর। আর পরিবার প্রতিষ্ঠানের ভাংগন একটি জাতির জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনে। বাস্তবে দেখা গেছে যে স্বামী এবং কয়েকটি সন্তান রেখে স্ত্রী মারা গেছেন। সেই পরিবারের দুঃখ কষ্টের আর শেষ থাকে না। পরিবারটির এক করুণ চিত্র ফুটে উঠে। আর এই সমস্যা যে সকল পরিবার ভুক্তভুগি তারাই আরো ভাল উপলব্ধি করতে পারেন। মনে হয় মা-ই যেন এই সংসারটিকে বুকে আগলে রেখেছিলেন।
পুরুষের মতো নারীগণও যদি বাইরের কাজে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন তাহলে পরিবার প্রতিষ্ঠানে শান্তি টিকিয়ে রাখা কষ্টকর। আর পরিবার প্রতিষ্ঠানের ভাংগন একটি জাতির জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনে। বাস্তবে দেখা গেছে যে স্বামী এবং কয়েকটি সন্তান রেখে স্ত্রী মারা গেছেন। সেই পরিবারের দুঃখ কষ্টের আর শেষ থাকে না। পরিবারটির এক করুণ চিত্র ফুটে উঠে। আর এই সমস্যা যে সকল পরিবার ভুক্তভুগি তারাই আরো ভাল উপলব্ধি করতে পারেন। মনে হয় মা-ই যেন এই সংসারটিকে বুকে আগলে রেখেছিলেন।
সমাজ ও সভ্যতার ধারাবাহিকতা তখনই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব যখন নারীগণ তাদের মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করেন। গর্ভে সন্তান ধারণ, ভূমিষ্ঠ সন্তানকে স্তন্যদান, শিশুর লালনপালন, তাদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য সাহচর্য দান এবং সন্তানদেরকে সমাজ ও সভ্যতার কর্ণধাররূপে সমাজ অংগনে প্রেরণ করে নারীগণ সমাজ ও সভ্যতার ধারাবাহিকতা সংরক্ষণের পূর্বশর্ত পূরণ করে। থাকেন।
জ্ঞানময় প্রজ্ঞাময় আল্লাহ নারীদের জন্য এই মহান কর্তব্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নারীদের উপর অর্পিত কর্তব্যকে ছোট মনে করে যাঁরা তাঁদেরকে বাইরের কর্মক্ষেত্রে টেনে আনতে চান তারা নারীদের উপর মহামহিম আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক অর্পিত কর্তব্যের বড়ত্ব ও গুরুত্ব উপলদ্ধি করতে দারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। সূক্ষদৃষ্টি, দূরদৃষ্টি এবং আবেগ বিবর্জিত গভীর চিন্তা নিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করলেই কেবল এর কল্যাণময়তা উপলব্ধি করা সম্ভব।
জ্ঞানময় প্রজ্ঞাময় আল্লাহ নারীদের জন্য এই মহান কর্তব্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নারীদের উপর অর্পিত কর্তব্যকে ছোট মনে করে যাঁরা তাঁদেরকে বাইরের কর্মক্ষেত্রে টেনে আনতে চান তারা নারীদের উপর মহামহিম আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক অর্পিত কর্তব্যের বড়ত্ব ও গুরুত্ব উপলদ্ধি করতে দারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। সূক্ষদৃষ্টি, দূরদৃষ্টি এবং আবেগ বিবর্জিত গভীর চিন্তা নিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করলেই কেবল এর কল্যাণময়তা উপলব্ধি করা সম্ভব।
মানব সন্তান স্নেহ-মমতার কাঙাল। যেসব সন্তান স্নেহ-মমতার উষ্ণতায় বেড়ে উঠে তারা মানসিক ভারসাম্য অর্জন করে। সন্তানকে এই স্নেহ-মমতা দেয়ার জন্য প্রয়োজন মায়ের নিরবচ্ছিন্ন সাহচর্য। মাতৃত্বের দাবি পূরণ করা সহজ কোন ব্যাপার নয়। এটি নারীদের নিকট অনেক সময়, চিন্তা-ভাবনা ও পরিশ্রম দাবি করে। মাতৃত্বের দাবি পূরণ এবং পরিবার পরিসরের বহুবিধ কাজের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য সময়, শ্রম এবং মেধা নিয়োজিত করার পরও নারীদের উপর বাইরের কাজের বোঝা চাপানো ইনসাফ নয়, বরং যুলুম। বিশ্বজাহানের স্রষ্টা এই যুলুম থেকে নারীদেরকে বাঁচাবার জন্যই গৃহকেন্দ্রিক কাজকে প্রাধান্য দিয়ে আপন প্রতিভা বিকাশের দিকে আগ্রহী হতে তাঁদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এটা আরো যুলুম যে, যে সকল নারীরা চাকুরী করেন তারা আসলে দ্বিগুণ দায়িত্ব পালন করেন। তারা সারাদিন বাইরে চাকরি করেন আবার বাসায় ফিরে নিজ সংসার দেখাশোনা ঠিকই করেন। কোন কোন পরিবারে স্বামী হয়ত ঘরের কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করেন তারপরও সংসারের মূল কাজ কিন্তু দেখা যায় স্ত্রীই করেন।
রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নারী অন্তঃপুরবাসিনী হয়ে থাকার যোগ্য। যখন সে ঘরের বাইরে যায় শয়তান তার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। সে আল্লাহর রহমতের নিকটবর্তী তখনই হতে পারে যখন সে আপন গৃহে অবস্থান করতে থাকে। (জামে আত তিরমিযী)।
আল্লাহর রসূল (ﷺ) আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা)-কে বললেন, তোমাদের কর্তব্য হচ্ছে গহে অবস্থান করা। এটাই তোমাদের জিহাদ। (মুসনাদে আহমাদ)
আল্লাহর রসূল (ﷺ) আরো বলেছেন, নারী তার স্বামীর গৃহের লোকদের এবং তার সন্তানদের ব্যাপারে দায়িত্বশীলা। তাদের ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিতা হবে। (সহীহ বুখারী)
গৃহকেন্দ্রিক কাজের জন্য সৃষ্টিগত বৈশিষ্টতা ও উপযুক্ততার কারণেই মহান। আল্লাহ ও তাঁর রসূল নারীদেরকে গৃহে অবস্থান করে তাঁদের উপর অর্পিত কর্তব্যসমূহ পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। নারীগণ যাতে গৃহকেন্দ্রিক কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেন এবং এই কাজগুলোতে বেশি বেশি সময় দিতে পারেন সেইজন্য ইসলাম তাঁদেরকে বাইরের অনেক কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। যেমনঃ
নিজেদের রুজি রোযগারের পেরেশানি থেকে তাদেরকে মুক্ত করা হয়েছে। স্বামীর উপর স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ওয়াজিব করে দেয়া হয়েছে।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সলাত মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সাথে আদায় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে পুরুষদের উপর। নারীদের উপর এই বাধ্যবাধকতা নেই।
জুম্মাবারে সলাতুল জুমু’আ পুরুষদের জন্য ফরয। কিন্তু নারীদের জন্য তা ফরয করা হয়নি।
সলাতুল জানাযাতে শরীক হওয়া, মৃতব্যক্তির কবর খনন, কাফন-দাফন ইত্যাদি কাজের দায়িত্ব নেই নারীদের। কিন্তু দায়িত্ব রয়েছে পুরুষদের উপর।
পরিবার সদস্যদের জন্য অর্থোপার্জনের গুরু দায়িত্ব পুরুষদের উপর অর্পিত। এই কঠিন বোঝা চাপানো হয়নি নারীদের কাঁধে।
রাষ্ট্রপরিচালনার জটিল কাজ পুরুষদের উপর চাপানো হয়েছে। নারীদেরকে দেয়া হয়েছে অব্যাহতি।
দেশরক্ষার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন হয়। আর যুদ্ধ খুবই কঠিন এক কাজ। এটি একদিকে দাবি করে কঠিন পরিশ্রম, অন্যদিকে দাবি করে রক্ত। মহান। আল্লাহ এই কঠিন কাজ পুরুষদের উপর ন্যস্ত করেছেন। অব্যাহতি দিয়েছেন নারীদেরকে।
আল্লাহর রসূল (ﷺ) আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা)-কে বললেন, তোমাদের কর্তব্য হচ্ছে গহে অবস্থান করা। এটাই তোমাদের জিহাদ। (মুসনাদে আহমাদ)
আল্লাহর রসূল (ﷺ) আরো বলেছেন, নারী তার স্বামীর গৃহের লোকদের এবং তার সন্তানদের ব্যাপারে দায়িত্বশীলা। তাদের ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিতা হবে। (সহীহ বুখারী)
গৃহকেন্দ্রিক কাজের জন্য সৃষ্টিগত বৈশিষ্টতা ও উপযুক্ততার কারণেই মহান। আল্লাহ ও তাঁর রসূল নারীদেরকে গৃহে অবস্থান করে তাঁদের উপর অর্পিত কর্তব্যসমূহ পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। নারীগণ যাতে গৃহকেন্দ্রিক কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেন এবং এই কাজগুলোতে বেশি বেশি সময় দিতে পারেন সেইজন্য ইসলাম তাঁদেরকে বাইরের অনেক কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। যেমনঃ
নিজেদের রুজি রোযগারের পেরেশানি থেকে তাদেরকে মুক্ত করা হয়েছে। স্বামীর উপর স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ওয়াজিব করে দেয়া হয়েছে।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সলাত মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সাথে আদায় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে পুরুষদের উপর। নারীদের উপর এই বাধ্যবাধকতা নেই।
জুম্মাবারে সলাতুল জুমু’আ পুরুষদের জন্য ফরয। কিন্তু নারীদের জন্য তা ফরয করা হয়নি।
সলাতুল জানাযাতে শরীক হওয়া, মৃতব্যক্তির কবর খনন, কাফন-দাফন ইত্যাদি কাজের দায়িত্ব নেই নারীদের। কিন্তু দায়িত্ব রয়েছে পুরুষদের উপর।
পরিবার সদস্যদের জন্য অর্থোপার্জনের গুরু দায়িত্ব পুরুষদের উপর অর্পিত। এই কঠিন বোঝা চাপানো হয়নি নারীদের কাঁধে।
রাষ্ট্রপরিচালনার জটিল কাজ পুরুষদের উপর চাপানো হয়েছে। নারীদেরকে দেয়া হয়েছে অব্যাহতি।
দেশরক্ষার জন্য যুদ্ধের প্রয়োজন হয়। আর যুদ্ধ খুবই কঠিন এক কাজ। এটি একদিকে দাবি করে কঠিন পরিশ্রম, অন্যদিকে দাবি করে রক্ত। মহান। আল্লাহ এই কঠিন কাজ পুরুষদের উপর ন্যস্ত করেছেন। অব্যাহতি দিয়েছেন নারীদেরকে।
আল্লাহর রসূল বলেছেন, তোমরা (পর) নারীদের নিকট গমন করা থেকে দূরে থাক। (সহীহ বুখারী) আমর ইবনুল আস (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, নবী (ﷺ) স্বামীদের অনুমতি ব্যতিরেকে নারীদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। (তাবারানী)। আল্লাহর রসূল (ﷺ) আরো বলেছেন, যেই পুরুষ স্বামীর অনুপস্থিতিতে কোন নারীর বিছানায় বসবে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার জন্য একটি বিষধর অজগর সাপ নিযুক্ত করে দেবেন। (মুসনাদে আহমাদ) রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, কোন মুহাররাম সংগী ছাড়া কোন নারী সফর করবে না। এবং কোন মুহাররামকে সংগে না নিয়ে কোন পুরুষ কোন নারীর কাছে যাবে না। (সহীহ বুখারী) রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী সে ব্যক্তি কখনো একাকীত্বে কোন নারীর নিকট বসবে না যদি সেই নারীর কোন মুহাররাম পুরুষ উপস্থিত না থাকে। কেন না তা করা হলে তৃতীয় পুরুষ হিসেবে উপস্থিত থাকে শয়তান। (আহমাদ)।
আমর ইবনুল আস (রাদিআল্লাহু আনহু) কোন প্রয়োজনে আলী ইবনু আবী তালিবের (রাদিআল্লাহু আনহু)-র বাড়িতে যান। তিনি আলী (রাদিআল্লাহু আনহু)-কে পেলেন না। তিনি ফিরে গিয়ে আবার এলেন। এবারও আলী (রাদিআল্লাহু আনহু)-কে পেলেন না। ফিরে গিয়ে তৃতীয়বার এসে তিনি আলী (রাদিআল্লাহু আনহু)-কে পেলেন। আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, “আপনার প্রয়োজন যখন ফাতিমার সাথে সম্পর্কিত ছিলো আপনি ফিরে না গিয়ে তার কাছে গেলেন না কেন?” জবাবে তিনি বললেন, “নারীদের স্বামীদের অনুপস্থিতিতে তাদের কাছে যেতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে।” (সহীহ বুখারী)
আমর ইবনুল আস (রাদিআল্লাহু আনহু) কোন প্রয়োজনে আলী ইবনু আবী তালিবের (রাদিআল্লাহু আনহু)-র বাড়িতে যান। তিনি আলী (রাদিআল্লাহু আনহু)-কে পেলেন না। তিনি ফিরে গিয়ে আবার এলেন। এবারও আলী (রাদিআল্লাহু আনহু)-কে পেলেন না। ফিরে গিয়ে তৃতীয়বার এসে তিনি আলী (রাদিআল্লাহু আনহু)-কে পেলেন। আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, “আপনার প্রয়োজন যখন ফাতিমার সাথে সম্পর্কিত ছিলো আপনি ফিরে না গিয়ে তার কাছে গেলেন না কেন?” জবাবে তিনি বললেন, “নারীদের স্বামীদের অনুপস্থিতিতে তাদের কাছে যেতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে।” (সহীহ বুখারী)
আল কুরআনে আল্লাহ রব্বল আলামীন বলেন, “পুরুষগণ নারীদের পরিচালক এই কারণে যে আল্লাহ তাদের এক পক্ষকে অপর পক্ষের উপর বিশিষ্টতা দান করেছেন এবং এই জন্যও যে পুরুষ তাদের জন্য তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করে থাকে।” (সূরা নিসা : ৩৪) ‘পরিচালক’ তাঁকেই বলা হয় যিনি কোন ব্যক্তি, সংস্থা কিংবা প্রতিষ্ঠানের রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালনা করার দায়িত্বপ্রাপ্ত। আল্লাহ রবুল আলামীন সৃষ্টিগতভাবেই এই ধরনের দায়িত্ব পালনের যোগ্যতার ক্ষেত্রে পুরুষদেরকে বিশিষ্টতা দান করেছেন। এই বিশিষ্টতার কারণেই পরিবার সংগঠনের ক্ষুদ্র পরিসর থেকে শুরু করে রাষ্ট্র-সংগঠনের বৃহৎ পরিসর পর্যন্ত নেতৃত্ব প্রদানের দায়িত্ব পুরুষদের উপরই অর্পিত। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে নারী সাহাবীগণ (রাদিআল্লাহু আনহা) মসজিদে গিয়ে সলাতের জামাআতে শরীক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা ঈদের ময়দানে যেতে চাইতেন। যুদ্ধের ময়দানে যাবার আগ্রহও তাঁরা ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু কেউ রাষ্ট্র প্রধান হতে চাননি বা মসজিদের ইমাম হতে চাননি বা খলিফা হতে চাননি বা কোন এলাকার গর্ভনর হতে চাননি। যদি তা আল্লাহ এবং তার রসূল (ﷺ) চাইতেন তাহলে রসূল (ﷺ) -এর মৃত্যুর পর তার মেয়ে বা তার বিচক্ষণ স্ত্রীরা এসব দায়িত্ব পেতেন।
আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, ইরানীরা তাদের সম্রাটের মৃত্যুর পর সম্রাট-কন্যাকে সিংহাসনে বসায়। এই খবর শুনে রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “যে জাতি কোন নারীর উপর তাদের সামষ্টিক দায়িত্ব অর্পণ করে সে জাতি কিছুতেই কল্যাণ লাভ করতে পারে না।” (সহীহ বুখারী) নারীদেরকে পুরুষ ও নারীদের যৌথ ফোরামের নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগ না দেয়াটাকে কেউ কেউ তাঁদের জন্য মর্যাদাহানিকর মনে করে থাকেন। আসলে এটা তাঁদের জন্যে মোটেই মর্যাদাহানিকর ব্যবস্থা নয়। তাঁদের সৃষ্টিগত শারীরিক ও মানসিক অবস্থার সাথে সংগতি রেখেই মহান স্রষ্টা তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস রাখা উচিত যে জ্ঞানময় প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তাঁর অসীম জ্ঞান ও বিচক্ষণতার ভিত্তিতে পুরুষ ও নারীদের জন্য যেই কর্মবিভাজন করেছেন এতেই নিহিত রয়েছে মানুষের প্রকৃত কল্যাণ।
আবু বকর (রাদিআল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন, ইরানীরা তাদের সম্রাটের মৃত্যুর পর সম্রাট-কন্যাকে সিংহাসনে বসায়। এই খবর শুনে রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, “যে জাতি কোন নারীর উপর তাদের সামষ্টিক দায়িত্ব অর্পণ করে সে জাতি কিছুতেই কল্যাণ লাভ করতে পারে না।” (সহীহ বুখারী) নারীদেরকে পুরুষ ও নারীদের যৌথ ফোরামের নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগ না দেয়াটাকে কেউ কেউ তাঁদের জন্য মর্যাদাহানিকর মনে করে থাকেন। আসলে এটা তাঁদের জন্যে মোটেই মর্যাদাহানিকর ব্যবস্থা নয়। তাঁদের সৃষ্টিগত শারীরিক ও মানসিক অবস্থার সাথে সংগতি রেখেই মহান স্রষ্টা তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস রাখা উচিত যে জ্ঞানময় প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তাঁর অসীম জ্ঞান ও বিচক্ষণতার ভিত্তিতে পুরুষ ও নারীদের জন্য যেই কর্মবিভাজন করেছেন এতেই নিহিত রয়েছে মানুষের প্রকৃত কল্যাণ।
প্রত্যেক সৃষ্টির কল্যাণের উদ্দেশ্যে তার জন্য সবচেয়ে উপযোগী বিধানই স্রষ্টা দিয়েছেন। চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-নক্ষত্র, গাছ-পালা, নদী-নালা, আকাশ-বাতাস, পশুপাখি, কীট-পতঙ্গ সকলেরই জন্য রচিত বিধান মেনে চলা না চলার কোনো অধিকার তাদেরকে দেননি। তিনি নিজেই সব বিধান সব সৃষ্টির উপর চালু করে দিয়েছেন। ঐসব বিধান নবীর মাধ্যমে পাঠানো হয়নি, আল্লাহ তা'আলা নিজেই জারী করেছেন। মানুষের দেহের জন্যও যেসব বিধান দরকার তাও নবীর মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। রক্ত চলাচলের নিয়ম, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের বিধি এবং অন্যান্য যাবতীয় বিধান আল্লাহ তা'আলা নিজেই চালু করে দিয়েছেন। কিন্তু মানুষের নৈতিক জীবনের সকল বিধি-বিধান, সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায়, ভাল-মন্দ বিচার করে মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ে তুলবার জন্য যে জীবনবিধান প্রয়োজন তা-ই নবীর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। এসব মেনে চলার জন্য বাধ্য করা হয়নি। আল্লাহ তা'আলা বলেন :
“তোমরা কী আল্লাহর আনুগত্য ছাড়া অন্য কারো আনুগত্য করতে চাও? অথচ আকাশ ও পৃথিবীর প্রত্যেকটি জিনিস ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক তাঁরই আনুগত্য করে যাচ্ছে। আর সকলেই তাঁর কাছেই ফিরে যাবে।” (সূরা আলে ইমরান : ৮৩)
সুতরাং সৃষ্টির জন্য স্রষ্টার রচিত বিধানই ইসলাম। যে সৃষ্টির জন্য যে বিধান তাই ঐ সৃষ্টির ইসলাম। মানুষের উপযোগী যে বিধান তা-ই মানুষের ইসলাম। মানুষের দেহসহ সকল সৃষ্টির ইসলামই বাধ্যতামূলক এবং তার জন্য নবীর দরকার হয়নি। কিন্তু ভাল-মন্দ পার্থক্য করার মতো বুদ্ধি নিয়ে জন্মগ্রহণ করা মানুষের জন্য যে ইসলাম তা নবীর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে এবং তা পালন করতে মানুষকে বাধ্য করা হয়নি। এমন কি নবীকেও ক্ষমতা দেয়া হয়নি। মানুষকে বাধ্য করতে। যখন কেউ বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর দেয়া বিধানই তার জন্য ভাল তখন বুঝা গেল যে, সে ঈমান এনেছে। অর্থাৎ সে ইসলামকে মেনে চলার জন্য মনের দিক দিয়ে প্রস্তুত হয়েছে বা মুসলিম হিসেবে জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন জানা দরকার যে, এ সিদ্ধান্ত যে নিয়েছে তার করণীয় কী?
“তোমরা কী আল্লাহর আনুগত্য ছাড়া অন্য কারো আনুগত্য করতে চাও? অথচ আকাশ ও পৃথিবীর প্রত্যেকটি জিনিস ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক তাঁরই আনুগত্য করে যাচ্ছে। আর সকলেই তাঁর কাছেই ফিরে যাবে।” (সূরা আলে ইমরান : ৮৩)
সুতরাং সৃষ্টির জন্য স্রষ্টার রচিত বিধানই ইসলাম। যে সৃষ্টির জন্য যে বিধান তাই ঐ সৃষ্টির ইসলাম। মানুষের উপযোগী যে বিধান তা-ই মানুষের ইসলাম। মানুষের দেহসহ সকল সৃষ্টির ইসলামই বাধ্যতামূলক এবং তার জন্য নবীর দরকার হয়নি। কিন্তু ভাল-মন্দ পার্থক্য করার মতো বুদ্ধি নিয়ে জন্মগ্রহণ করা মানুষের জন্য যে ইসলাম তা নবীর মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে এবং তা পালন করতে মানুষকে বাধ্য করা হয়নি। এমন কি নবীকেও ক্ষমতা দেয়া হয়নি। মানুষকে বাধ্য করতে। যখন কেউ বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর দেয়া বিধানই তার জন্য ভাল তখন বুঝা গেল যে, সে ঈমান এনেছে। অর্থাৎ সে ইসলামকে মেনে চলার জন্য মনের দিক দিয়ে প্রস্তুত হয়েছে বা মুসলিম হিসেবে জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন জানা দরকার যে, এ সিদ্ধান্ত যে নিয়েছে তার করণীয় কী?
“আমি তো আসমান, জমিন ও পর্বতমালার প্রতি এই আমানত পেশ করেছিলাম, তারা তা বহন করতে অস্বীকার করল এবং তাতে শঙ্কিত হল, কিন্তু মানুষ তা বহন করল। সে তো অতিশয় যালিম, অতিশয় অজ্ঞ।” (সূরা আল-আহযাব : ৭২)।
ইবনু আব্বাস, মুজাহিদ, সাঈদ ইবন জুবায়ের (রাদিআল্লাহু আনহুম) প্রমুখ বলেন : আমানত হল ফরযসমূহ।
কাতাদা (র.) বলেন : আমানত হল দ্বীন, ফরযসমূহ এবং শরীয়তের সীমারেখা বা দণ্ডবিধিসমূহ।
উবাই ইবন কাব (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন : আমানতের মধ্যে অন্যতম হল নারীকে তার লজ্জাস্থানের ব্যাপারে আমানত রাখা হয়েছে।
ইবনু কাছীর (র.) বলেন : এসব কথার মধ্যে কেনো বিরোধ নেই। বরং এগুলো একই কথা প্রমাণ করছে যে, সেই আমানতটি হচ্ছে তাকলীফ তথা (ইসলামের বিধিবিধানের) দায়িত্ব-প্রদান।
“অবশ্যই আত্মসমর্পনকারী পুরুষ ও আত্মসমর্পনকারী নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরস্ক ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পরক্ষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, সাওম পালনকারী পুরুষ ও সাওম পালনকারী নারী, যৌন অঙ্গ হিফাযতকারী পুরুষ ও যৌন অঙ্গ হিফাযতকারী নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী এদের জন্য আল্লাহ ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান রেখেছেন।” (সূরা আল-আহযাব : ৩৫)
নারীর উপর আবশ্যক হল এই দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে উপলব্ধি করা। সে তা উপলব্ধি করবে পূর্ণ অনুভূতিসহকারে, সে তা জেনে ও বুঝে উপলব্ধি করবে, সে তা প্রতিষ্ঠিত করে ও কাজে পরিণত করার মাধ্যমে স্মরণ রাখবে এবং সে অন্য নারীদের মাঝে তা প্রচার ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার হিফাযত করবে।
ইবনু আব্বাস, মুজাহিদ, সাঈদ ইবন জুবায়ের (রাদিআল্লাহু আনহুম) প্রমুখ বলেন : আমানত হল ফরযসমূহ।
কাতাদা (র.) বলেন : আমানত হল দ্বীন, ফরযসমূহ এবং শরীয়তের সীমারেখা বা দণ্ডবিধিসমূহ।
উবাই ইবন কাব (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন : আমানতের মধ্যে অন্যতম হল নারীকে তার লজ্জাস্থানের ব্যাপারে আমানত রাখা হয়েছে।
ইবনু কাছীর (র.) বলেন : এসব কথার মধ্যে কেনো বিরোধ নেই। বরং এগুলো একই কথা প্রমাণ করছে যে, সেই আমানতটি হচ্ছে তাকলীফ তথা (ইসলামের বিধিবিধানের) দায়িত্ব-প্রদান।
“অবশ্যই আত্মসমর্পনকারী পুরুষ ও আত্মসমর্পনকারী নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সত্যবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরস্ক ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পরক্ষ ও বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ ও দানশীল নারী, সাওম পালনকারী পুরুষ ও সাওম পালনকারী নারী, যৌন অঙ্গ হিফাযতকারী পুরুষ ও যৌন অঙ্গ হিফাযতকারী নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী এদের জন্য আল্লাহ ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান রেখেছেন।” (সূরা আল-আহযাব : ৩৫)
নারীর উপর আবশ্যক হল এই দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে উপলব্ধি করা। সে তা উপলব্ধি করবে পূর্ণ অনুভূতিসহকারে, সে তা জেনে ও বুঝে উপলব্ধি করবে, সে তা প্রতিষ্ঠিত করে ও কাজে পরিণত করার মাধ্যমে স্মরণ রাখবে এবং সে অন্য নারীদের মাঝে তা প্রচার ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার হিফাযত করবে।
একজন মুসলিম বান্দার উপর আল্লাহ তাআলার নিয়ামত ও অনুগ্রহ এত বেশি যে, দুনিয়ার কোন হিসাব-নিকাশ তা আয়ত্ত করতে পারবে না এবং হিসাব করে শেষও করা যাবে না। বিশেষ করে, আল্লাহ তাআলা একজন মুসলিমকে এ মহান দ্বীনের প্রতি যে হিদায়াত দিয়েছেন, এর চেয়ে বড় নিয়ামত দুনিয়াতে আর কিছুই হতে পারে না। কারণ, আল্লাহ তা'আলা নিজেই এ দ্বীনের প্রতি সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করেছেন এবং তিনি তার বান্দাদের জন্য এ দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন এবং পছন্দ করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে, তার বান্দাদের থেকে এ দ্বীন ছাড়া অন্য কোন আর কিছুই তিনি কবুল করবেন না। কারণ, এ দ্বীনের কোন বিকল্প নেই, আল্লাহ তাআলা মানবজাতির কল্যাণের জন্য এ দ্বীনকেই বাছাই করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন :
আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। (সূরা আল-মায়িদা : ৩)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন : নিশ্চয় আল্লাহর নিকট মনোনীত দ্বীন হল ইসলাম। (সূরা আলে-ইমরান : ১৯)
আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন? আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন চায়, তবে তার কাছ থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা আলে-ইমরান ও ৮৫)
দুনিয়াতে একজন বান্দার জন্য সবচেয়ে বড় পাওনা হল এ মহান দ্বীনের প্রতি হিদায়াত লাভ করা। আল্লাহ তা'আলা যাকে এ দ্বীনের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন ও এ দ্বীনের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী চলার তাওফিক দিয়েছেন, তার চেয়ে সৌভাগ্যবান ও সফল ব্যক্তি দুনিয়াতে আর কেউ হতে পারে না। সেই দুনিয়া ও আখিরাতে একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি।
আর এ দ্বীনের পূর্ণতা ও সৌন্দর্য হল, মুসলিম নারী ও নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন। যারা এ দ্বীনের অনুসারী তাদের দায়িত্ব হল, নারীদের ইজ্জত সম্ভমের হিফাযত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করা এবং তাদের অধিকারের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ রাখা, আর তাদের প্রতি কোন প্রকার বৈষম্য না করা। কোন মুসলিম ব্যক্তি যেন কোন নারীর সাথে এমন কোন কাজ না করে, যাতে তাদের অধিকার ক্ষুন্ন হয় এবং তাদের প্রতি কোন প্রকার অবমাননা হয়। এ ধরনের যে কোন কাজকে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেউ যাতে তাদের উপর কোন প্রকার যুলুম-অত্যাচার করতে না পারে, তার প্রতি ইসলাম বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। যে সব কাজে বা কর্মে এ ধরনের অবকাশ থাকে, ইসলাম সে ধরনের কাজকর্ম থেকে মুসলিমদের দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
আল্লাহ তাআলাকে সম্মান করার অর্থ হল, তার বিধানকে আঁকড়ে ধরা এবং তার দেয়া আদেশ ও নিষেধের পরিপূর্ণ আনুগত্য করা। আর এ কথা বিশ্বাস। করা যে, আল্লাহ তা'আলার আদেশ নিষেধের আনুগত্য করার মধ্যেই দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও কল্যাণ নিহিত। আর যে এ বিশ্বাসের পরিপন্থী কোন। বিশ্বাস তার অন্তরে লালন করে, তার চেয়ে হতভাগা দুনিয়াতে আর কেউ হতেই পারে না। দুনিয়া ও আখিরাতে সেই অপমান অপদস্থের জন্য একমাত্র ব্যক্তি।
আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। (সূরা আল-মায়িদা : ৩)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন : নিশ্চয় আল্লাহর নিকট মনোনীত দ্বীন হল ইসলাম। (সূরা আলে-ইমরান : ১৯)
আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন? আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন চায়, তবে তার কাছ থেকে তা কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা আলে-ইমরান ও ৮৫)
দুনিয়াতে একজন বান্দার জন্য সবচেয়ে বড় পাওনা হল এ মহান দ্বীনের প্রতি হিদায়াত লাভ করা। আল্লাহ তা'আলা যাকে এ দ্বীনের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন ও এ দ্বীনের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী চলার তাওফিক দিয়েছেন, তার চেয়ে সৌভাগ্যবান ও সফল ব্যক্তি দুনিয়াতে আর কেউ হতে পারে না। সেই দুনিয়া ও আখিরাতে একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি।
আর এ দ্বীনের পূর্ণতা ও সৌন্দর্য হল, মুসলিম নারী ও নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন। যারা এ দ্বীনের অনুসারী তাদের দায়িত্ব হল, নারীদের ইজ্জত সম্ভমের হিফাযত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করা এবং তাদের অধিকারের প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ রাখা, আর তাদের প্রতি কোন প্রকার বৈষম্য না করা। কোন মুসলিম ব্যক্তি যেন কোন নারীর সাথে এমন কোন কাজ না করে, যাতে তাদের অধিকার ক্ষুন্ন হয় এবং তাদের প্রতি কোন প্রকার অবমাননা হয়। এ ধরনের যে কোন কাজকে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের দুর্বলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেউ যাতে তাদের উপর কোন প্রকার যুলুম-অত্যাচার করতে না পারে, তার প্রতি ইসলাম বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে। যে সব কাজে বা কর্মে এ ধরনের অবকাশ থাকে, ইসলাম সে ধরনের কাজকর্ম থেকে মুসলিমদের দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
আল্লাহ তাআলাকে সম্মান করার অর্থ হল, তার বিধানকে আঁকড়ে ধরা এবং তার দেয়া আদেশ ও নিষেধের পরিপূর্ণ আনুগত্য করা। আর এ কথা বিশ্বাস। করা যে, আল্লাহ তা'আলার আদেশ নিষেধের আনুগত্য করার মধ্যেই দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি ও কল্যাণ নিহিত। আর যে এ বিশ্বাসের পরিপন্থী কোন। বিশ্বাস তার অন্তরে লালন করে, তার চেয়ে হতভাগা দুনিয়াতে আর কেউ হতেই পারে না। দুনিয়া ও আখিরাতে সেই অপমান অপদস্থের জন্য একমাত্র ব্যক্তি।
একজন নারীকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে, ইসলামের বিধানগুলো সম্পূর্ণ নিখুঁত, তাতে কোন প্রকার খুঁত নেই। বিশেষ করে নারীদের সাথে সম্পৃক্ত ইসলামের বিধানগুলো আরও বেশি নিখুঁত ও সঠিক। তার মধ্যে কোন প্রকার ছিদ্র ও ফাঁক নাই, যাতে কেউ আপত্তি তুলতে পারে এবং অবজ্ঞা করার বিন্দুপরিমাণও সুযোগ নেই, যাতে কেউ এড়িয়ে যেতে পারে। ইসলাম নারীদের জন্য যে বিধান দিয়েছে, তা নারীদের স্বভাব ও মানসিকতার সাথে একেবারেই অভিন্ন। ইসলামের বিধানে তাদের প্রতি কোন প্রকার যুলুম, নির্যাতন ও অবিচার করা হয়নি এবং তাদের প্রতি কোন বৈষম্যও করা হয়নি।
আর তা কিভাবে সম্ভব হতে পারে? যেহেতু এ সব বিধানগুলো হল আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ বিধান। আর আল্লাহ তা'আলা হলেন সমগ্র জগতের স্রষ্টা ও প্রতিপালক। তিনিই এ জগতকে পরিচালনা করেন এবং পরিচালনায় তিনি মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ। আল্লাহ তা'আলা তার স্বীয় মাখলুকবান্দাদের বিষয়েও অভিজ্ঞ। কোন কাজে তার বান্দাদের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ ও সফলতা সে বিষয়ে তিনিই সর্বজ্ঞ। সুতরাং তিনি এমন কোন বিধান মানবজাতির জন্য দেবেন না, যাতে তাদের কোন অকল্যাণ থাকতে পারে।
একটি কথা মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে বড় অপরাধ ও অন্যায় হল, নারীদের সাথে সম্পৃক্ত বা অন্য যে বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত আল্লাহর দেয়া শরীয়তের কোন। বিধান সম্পর্কে এ মন্তব্য করা যে, আল্লাহর এ বিধানে তার বান্দাদের প্রতি যুলুম। করা হয়েছে অথবা এ বিধানে দুর্বলতা রয়েছে অথবা এ বিধানটি বর্তমানে প্রযোজ্য নয়, ইত্যাদি। এ ধরনের কথা যেই বলবে, মনে রাখতে হবে, অবশ্যই সে আল্লাহ তা'আলার সম্মান সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। আল্লাহর কুদরাত ও ক্ষমতা সম্পর্কে তার কোন কাণ্ড-জ্ঞান বলতে কিছুই নেই। সে আল্লাহকে যথাযথ সম্মান দেয়নি। তার সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন : “তোমাদের কী হল, তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের পরোয়া করছ না?” (সূরা নুহ : ১৩)
আর তা কিভাবে সম্ভব হতে পারে? যেহেতু এ সব বিধানগুলো হল আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ বিধান। আর আল্লাহ তা'আলা হলেন সমগ্র জগতের স্রষ্টা ও প্রতিপালক। তিনিই এ জগতকে পরিচালনা করেন এবং পরিচালনায় তিনি মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ। আল্লাহ তা'আলা তার স্বীয় মাখলুকবান্দাদের বিষয়েও অভিজ্ঞ। কোন কাজে তার বান্দাদের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ ও সফলতা সে বিষয়ে তিনিই সর্বজ্ঞ। সুতরাং তিনি এমন কোন বিধান মানবজাতির জন্য দেবেন না, যাতে তাদের কোন অকল্যাণ থাকতে পারে।
একটি কথা মনে রাখতে হবে, সবচেয়ে বড় অপরাধ ও অন্যায় হল, নারীদের সাথে সম্পৃক্ত বা অন্য যে বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত আল্লাহর দেয়া শরীয়তের কোন। বিধান সম্পর্কে এ মন্তব্য করা যে, আল্লাহর এ বিধানে তার বান্দাদের প্রতি যুলুম। করা হয়েছে অথবা এ বিধানে দুর্বলতা রয়েছে অথবা এ বিধানটি বর্তমানে প্রযোজ্য নয়, ইত্যাদি। এ ধরনের কথা যেই বলবে, মনে রাখতে হবে, অবশ্যই সে আল্লাহ তা'আলার সম্মান সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ। আল্লাহর কুদরাত ও ক্ষমতা সম্পর্কে তার কোন কাণ্ড-জ্ঞান বলতে কিছুই নেই। সে আল্লাহকে যথাযথ সম্মান দেয়নি। তার সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন : “তোমাদের কী হল, তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের পরোয়া করছ না?” (সূরা নুহ : ১৩)
একমাত্র ইসলামই মুসলিম নারীদেরকে ইসলামের নির্ভুল দিকনির্দেশনা ও বাস্ত ব-ধর্মী নীতি মালার মাধ্যমে তাদের যাবতীয় অসম্মান ও অবমাননা থেকে রক্ষা করেছে। ইসলাম তাদের নিরাপত্তা বিধান করেছে, তাদের সম্ভম রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে, তাদের যাবতীয় কল্যাণের নিশ্চয়তা দিয়েছে। দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা লাভের জন্য সব ধরনের পথ তাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। ইসলামই তাদের জন্য সুন্দর ও আনন্দদায়ক জীবন নিশ্চিত করেছে। সব ধরনের ফিতনা, ফ্যাসাদ, অন্যায় ও অনাচার থেকে ইসলাম নারীদের হিফাযত করেছে। ইসলাম তাদের প্রতি কোন প্রকার বৈষম্য, যুলুম ও নির্যাতন করার সব পথকে রুদ্ধ করেছে। আর এগুলো সবই হল, তার বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তাআলা অপার অনুগ্রহ, বিশেষ করে নারী জাতির প্রতি।
কারণ, তিনি তাদের জন্য এমন এক শরীয়ত নাযিল করেছেন, যা তাদের কল্যাণকে নিশ্চিত করে, ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে তাদের হিফাযত করে, তাদের হঠকারিতা দূর ও তাদের যাবতীয় কল্যাণ নিশ্চিত করে। আল্লাহ তা'আলা ইসলামকে আমাদের জন্য এক বিশাল নিয়ামত হিসেবে দিয়েছেন। বিশেষ করে, ইসলামই আমাদের- এক কথায় আমাদের নারীদের জন্য নিরাপত্তা-স্থল ও আশ্রয় কেন্দ্র। যারা ইসলামের সুশীতল ছায়া তলে আশ্রয় নেবে, তারাই নিরাপদে জীবনযাপন করতে পারবে। বরং ইসলাম সমাজকে সব ধরনের অন্যায়-অনাচার হতে রক্ষা করে। সমাজে যাতে কোন প্রকার বিপদ-আপদ, ঝগড়া-বিবাদ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, তার জন্য ইসলামই একমাত্র গ্যারান্টি। ইসলাম এ সব থেকে সমাজকে রক্ষা করে এবং একটি উন্নত সমাজ জাতির জন্য। নিশ্চিত করে। আর যখন সমাজ থেকে নারীদের সাথে সম্পৃক্ত বিধানগুলো বিলুপ্ত হয়ে যায়, তখন সমাজে অন্যায়, অনাচার, ঝগড়া, বিবাদ ও বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি। পায়। নারীদের কোন নিরাপত্তা সে সমাজে অবশিষ্ট থাকে না।
কারণ, তিনি তাদের জন্য এমন এক শরীয়ত নাযিল করেছেন, যা তাদের কল্যাণকে নিশ্চিত করে, ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে তাদের হিফাযত করে, তাদের হঠকারিতা দূর ও তাদের যাবতীয় কল্যাণ নিশ্চিত করে। আল্লাহ তা'আলা ইসলামকে আমাদের জন্য এক বিশাল নিয়ামত হিসেবে দিয়েছেন। বিশেষ করে, ইসলামই আমাদের- এক কথায় আমাদের নারীদের জন্য নিরাপত্তা-স্থল ও আশ্রয় কেন্দ্র। যারা ইসলামের সুশীতল ছায়া তলে আশ্রয় নেবে, তারাই নিরাপদে জীবনযাপন করতে পারবে। বরং ইসলাম সমাজকে সব ধরনের অন্যায়-অনাচার হতে রক্ষা করে। সমাজে যাতে কোন প্রকার বিপদ-আপদ, ঝগড়া-বিবাদ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, তার জন্য ইসলামই একমাত্র গ্যারান্টি। ইসলাম এ সব থেকে সমাজকে রক্ষা করে এবং একটি উন্নত সমাজ জাতির জন্য। নিশ্চিত করে। আর যখন সমাজ থেকে নারীদের সাথে সম্পৃক্ত বিধানগুলো বিলুপ্ত হয়ে যায়, তখন সমাজে অন্যায়, অনাচার, ঝগড়া, বিবাদ ও বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি। পায়। নারীদের কোন নিরাপত্তা সে সমাজে অবশিষ্ট থাকে না।
কুরআন, যাকে আল্লাহ তার বান্দাদের জন্য বিশেষ রহমত ও অনুপম আদর্শ হিসেবে দুনিয়াতে নাযিল করেছেন, যদি কোন ব্যক্তি তার আয়াতসমূহে গভীরভাবে চিন্তা করে, সে অবশ্যই দেখতে পাবে, আল্লাহ নারীদের বিষয়ে কতই না সুন্দর ব্যবস্থা রেখেছেন এবং নারীদের অধিকারকে তিনি কতই না গুরুত্ব দিয়েছেন এবং সমুন্নত রেখেছেন। আল্লাহ নারীদের অধিকারকে সংরক্ষণ করার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। আর যারা নারীদের অধিকার নষ্ট করে এবং তাদের উপর যুলুম, অত্যাচার ও তাদের সাথে বিমাতাসুলভ আচরণ করে, তাদের বিষয়ে তিনি কঠিন হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। নারীদের অধিকার বিষয়ে আল্লাহ কুরআনে অনেক আয়াত নাযিল করেছেন। এমনকি নারীদের নামে একটি সূরাও তিনি নাযিল করেন, যার নাম সূরা আন-নিসা। যার মধ্যে এমন সব আয়াত রয়েছে, যেগুলোতে আল্লাহ নারীদের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন আইন-কানুন, তাদের সামাজিক মর্যাদা, পুরুষদের প্রতি তাদের করণীয়, নারী অধিকার, বিবাহ, ঘর-সংসার, তালাক ইত্যাদি আলোচনা করেছেন।
ইসলাম একদিকে যেমন আমাদের চরিত্রের ভালমন্দের মাপকাঠি দিয়েছে, অন্যদিকে বিশ্ব-প্রকৃতি ও মানব সম্পর্কীয় ধারণা এবং আমাদের চরিত্রের ভালমন্দ সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করার স্থায়ী ও পূর্ণাঙ্গ উপায় দান করেছে। আমাদের চরিত্র সম্বন্ধীয় জ্ঞান লাভ করার জন্য শুধু মানব-বুদ্ধি কিংবা প্রবৃত্তি। কিংবা নিছক অভিজ্ঞতা অথবা মানুষের অর্জিত বিদ্যার উপরই একান্তভাবে নির্ভর করতে বলে নাই। কারণ তা হলে এই সবের পরিবর্তনশীল সিদ্ধান্ত অনুসারে আমাদের নৈতিক বিধি-নিষেধগুলিও চিরদিনই পরিবর্তিত হয়ে যেত এবং কোন একটি কেন্দ্রে স্থায়ী হয়ে দাঁড়ানো উহার পক্ষে কখনই সম্ভব হতো না।
বস্তুতঃ ইসলাম আমাদের একটা সুনির্দিষ্ট ‘উৎস’ দান করেছে, এটা হতে আমরা প্রত্যেক যুগেই এবং প্রত্যেক অবস্থাতেই প্রয়োজনীয় নৈতিক বিধান লাভ করতে পারি - সেই উৎস হচ্ছে আল্লাহর কুরআন এবং রসূল (ﷺ) -এর হাদীস। কুরআন এবং হাদীস দ্বারা আমরা এমন একটা ব্যাপক বিধান লাভ করতে পারি, যা মানুষের পারিবারিক জীবনের খুঁটিনাটি ব্যাপার হতে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায় বিরাট বিরাট সমস্যা পর্যন্ত জীবনের প্রত্যেকটা দিক ও প্রত্যেকটা শাখাপ্রশাখা সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশ দিতে পারে। মানব-জীবনের বিপুল কাজকর্মের ব্যাপারে ইসলামের এই নৈতিক বিধান এমন সুন্দর সামঞ্জস্য সৃষ্টি করতে পারে যে, কোন অবস্থায়ই এবং কোন কাজের নির্দেশ লাভ করার জন্য। আমাদের অন্য কোন উৎস’রই মুখাপেক্ষী হতে হয় না।
বস্তুতঃ ইসলাম আমাদের একটা সুনির্দিষ্ট ‘উৎস’ দান করেছে, এটা হতে আমরা প্রত্যেক যুগেই এবং প্রত্যেক অবস্থাতেই প্রয়োজনীয় নৈতিক বিধান লাভ করতে পারি - সেই উৎস হচ্ছে আল্লাহর কুরআন এবং রসূল (ﷺ) -এর হাদীস। কুরআন এবং হাদীস দ্বারা আমরা এমন একটা ব্যাপক বিধান লাভ করতে পারি, যা মানুষের পারিবারিক জীবনের খুঁটিনাটি ব্যাপার হতে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায় বিরাট বিরাট সমস্যা পর্যন্ত জীবনের প্রত্যেকটা দিক ও প্রত্যেকটা শাখাপ্রশাখা সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশ দিতে পারে। মানব-জীবনের বিপুল কাজকর্মের ব্যাপারে ইসলামের এই নৈতিক বিধান এমন সুন্দর সামঞ্জস্য সৃষ্টি করতে পারে যে, কোন অবস্থায়ই এবং কোন কাজের নির্দেশ লাভ করার জন্য। আমাদের অন্য কোন উৎস’রই মুখাপেক্ষী হতে হয় না।
প্রথমতঃ
সর্বপ্রথমে আমাকে নিজের জ্ঞানবুদ্ধি, শিক্ষা-চরিত্র সবক্ষেত্রেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আমার অন্যান্য কাজকর্মের পাশাপাশি আমাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ (তাফসীর) পড়ে নিতে হবে। কারণ, হিদায়াতের এই মহাগ্রন্থটিকে তার সঠিক অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ পড়া না হলে তা আমার জীবনে কোন কার্যকরী প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।
কুরআন অধ্যয়নের পাশাপাশি আমাকে হাদীসের চর্চাও শুরু করতে হবে। কারণ, হাদীস হচ্ছে মূলতঃ কুরআনেরই ব্যাখ্যা। তাই, ইসলামকে সঠিক অর্থে অনুধাবনের জন্যে আমাকে হাদীসের অধ্যয়ন অবশ্যই চালু রাখতে হবে। একটি রুটিন করে নিয়ে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ১৫টি আয়াত ব্যাখ্যাসহ পড়া উচিত এবং ১৫টি হাদীস। দয়া করে আমরা কুরআনকে শুধু তিলাওয়াতের মধ্যে যেন সীমাবদ্ধ না রাখি, তাকে বুঝতে চেষ্টা করি।
দ্বিতীয়তঃ
কুরআন ও হাদীস অধ্যয়নের সাথে সাথে ইসলামকে এ যুগের জীবনে। জিজ্ঞাসার আলোকে বুঝার জন্যে আমাকে ইসলামী সাহিত্যের ব্যাপক পড়াশোনা করতে হবে। আমাকে বুঝে নিতে হবে যে ইসলামই হচ্ছে পৃথিবীর বুকে সর্বোৎকৃষ্ট জীবনবিধান। মানুষের চলার জন্যে যতোগুলো মত ও পথ আছে তারমধ্যে ইসলামই হচ্ছে চির আধুনিক ও চির প্রগতিশীল। তাই কুরআন ও হাদীসের পাশাপাশি রসূল (ﷺ)-এর জীবনী, সাহাবীদের জীবনী, ইসলামের পারিবারিক জীবন, ইসলামে হালাল হারামের বিধান, ইসলামী শিক্ষা, নারী শিক্ষা, তাওহীদ ও শিরক এবং সুন্নাত ও বিদ’আত ইত্যাদির উপর অথেন্টিক বই সংগ্রহ করে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। রুটিন করে নিয়ে সপ্তাহে অন্ত তপক্ষে ১০০ পৃষ্ঠা ইসলামী সাহিত্য পড়া উচিত।
তৃতীয়ত:
ইসলামের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আমার তৃতীয় কাজ হবে ইসলামী অনুশাসন অনুযায়ী নিজের জীবন গঠন করা। শরীয়তের ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাত সমূহকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে আদায় করা। সাথে সাথে কবীরা গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। ছোট ছোট গুনাহ থেকেও বেঁচে থাকার চেষ্টা করা। গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা ও শরীয়তের হুকুম আহকাম মেনে চলার মাধ্যমে নৈতিক উৎকর্ষ সাধন সম্ভব। এতে আমার মনে বাহ্যিক জীবনে এমন এক তাকওয়া (আল্লাহ ভীতি) ও দায়িত্বানুভূতির মনোভাব গঠন হবে, যার আলোকে আমি একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষে পরিণত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
চতুর্থতঃ
ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও সে মোতাবেক আমলের কর্মসূচী শুরু করার পর আমার কাজ হবে আমার নিজের ভাই-বোন, আমার স্বামীর ভাইবোন, আমার পিতা-মাতা, আপনার শ্বশুর-শাশুড়ী এবং অন্যান্য আপন আত্মীয়স্বজনদের সত্যের পথে আনার চেষ্টা করা। আমি যে সত্যের সন্ধান নিজে লাভ করেছি, যে সত্য আমার জীবনে এতো বড়ো বিপ্লব সাধন করলো তাকে অন্যদের জীবনেও প্রতিফলিত করার চেষ্টা করতে হবে। এজন্য আমি নিয়মিত বই ও ডিভিডি বিতরণ করতে পারি এবং প্রতি সপ্তাহে অথবা অন্ততপক্ষে প্রতি মাসে একবার তাদেরকে নিয়ে ইসলামিক স্টাডী সার্কেল করতে পারি, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রুপ স্টাডি করতে পারি।
পঞ্চমত :
এরপর আসে আমার বান্ধবী, সহকর্মী, দূরের আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের কথা। এদের ক্ষেত্রেও একই কথা। যেভাবে যাকে পারা যায় সঠিক পথের সন্ধান দিতে হবে। নিজে যে সত্যের সন্ধান লাভ করেছি তা তাদের কাছেও পৌঁছানো আমার নৈতিক দায়িত্ব। কেউ আমার কথা শুনুক আর নাই শুনুক - এদের সামনে আমার নৈতিক চরিত্রের নমুনা তুলে ধরতে হবে। এভাবে দিনে দিনে তাদের জীবনে ইসলাম সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা ও এর পথের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে। তবে কুরআনের আদেশ অনুযায়ী পরপুরুষের সাথে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দাওয়াতী কাজ করতে হবে যদি সে আমার আত্মীয় বা সহকর্মীও হয়।
ষষ্ঠত:
প্রতিনিয়তই আত্মসমালোচনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অর্থাৎ অন্যে কী করল না করল তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজের সমালোচনা নিজে করতে হবে। যেমন, ধরি আমার নিজের মধ্যে কী কী সমস্যা আছে? কীভাবে এই সকল সমস্যাগুলো দূর করা যায়, কীভাবে আল্লাহর প্রিয় হওয়া যায় ইত্যাদি। এতে দেখা যাবে দিন দিন আমার নিজের চারিত্রিক মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি নিজেও সকল কাজ করে তৃপ্তি পাচ্ছি। আমার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের নিকটও আমি ভালোবাসার মানুষ হয়ে উঠেছি।
সর্বপ্রথমে আমাকে নিজের জ্ঞানবুদ্ধি, শিক্ষা-চরিত্র সবক্ষেত্রেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। আমার অন্যান্য কাজকর্মের পাশাপাশি আমাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ কুরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ (তাফসীর) পড়ে নিতে হবে। কারণ, হিদায়াতের এই মহাগ্রন্থটিকে তার সঠিক অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ পড়া না হলে তা আমার জীবনে কোন কার্যকরী প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।
কুরআন অধ্যয়নের পাশাপাশি আমাকে হাদীসের চর্চাও শুরু করতে হবে। কারণ, হাদীস হচ্ছে মূলতঃ কুরআনেরই ব্যাখ্যা। তাই, ইসলামকে সঠিক অর্থে অনুধাবনের জন্যে আমাকে হাদীসের অধ্যয়ন অবশ্যই চালু রাখতে হবে। একটি রুটিন করে নিয়ে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে ১৫টি আয়াত ব্যাখ্যাসহ পড়া উচিত এবং ১৫টি হাদীস। দয়া করে আমরা কুরআনকে শুধু তিলাওয়াতের মধ্যে যেন সীমাবদ্ধ না রাখি, তাকে বুঝতে চেষ্টা করি।
দ্বিতীয়তঃ
কুরআন ও হাদীস অধ্যয়নের সাথে সাথে ইসলামকে এ যুগের জীবনে। জিজ্ঞাসার আলোকে বুঝার জন্যে আমাকে ইসলামী সাহিত্যের ব্যাপক পড়াশোনা করতে হবে। আমাকে বুঝে নিতে হবে যে ইসলামই হচ্ছে পৃথিবীর বুকে সর্বোৎকৃষ্ট জীবনবিধান। মানুষের চলার জন্যে যতোগুলো মত ও পথ আছে তারমধ্যে ইসলামই হচ্ছে চির আধুনিক ও চির প্রগতিশীল। তাই কুরআন ও হাদীসের পাশাপাশি রসূল (ﷺ)-এর জীবনী, সাহাবীদের জীবনী, ইসলামের পারিবারিক জীবন, ইসলামে হালাল হারামের বিধান, ইসলামী শিক্ষা, নারী শিক্ষা, তাওহীদ ও শিরক এবং সুন্নাত ও বিদ’আত ইত্যাদির উপর অথেন্টিক বই সংগ্রহ করে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। রুটিন করে নিয়ে সপ্তাহে অন্ত তপক্ষে ১০০ পৃষ্ঠা ইসলামী সাহিত্য পড়া উচিত।
তৃতীয়ত:
ইসলামের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি আমার তৃতীয় কাজ হবে ইসলামী অনুশাসন অনুযায়ী নিজের জীবন গঠন করা। শরীয়তের ফরয, ওয়াজিব ও সুন্নাত সমূহকে যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে আদায় করা। সাথে সাথে কবীরা গুনাহ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। ছোট ছোট গুনাহ থেকেও বেঁচে থাকার চেষ্টা করা। গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা ও শরীয়তের হুকুম আহকাম মেনে চলার মাধ্যমে নৈতিক উৎকর্ষ সাধন সম্ভব। এতে আমার মনে বাহ্যিক জীবনে এমন এক তাকওয়া (আল্লাহ ভীতি) ও দায়িত্বানুভূতির মনোভাব গঠন হবে, যার আলোকে আমি একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষে পরিণত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
চতুর্থতঃ
ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ও সে মোতাবেক আমলের কর্মসূচী শুরু করার পর আমার কাজ হবে আমার নিজের ভাই-বোন, আমার স্বামীর ভাইবোন, আমার পিতা-মাতা, আপনার শ্বশুর-শাশুড়ী এবং অন্যান্য আপন আত্মীয়স্বজনদের সত্যের পথে আনার চেষ্টা করা। আমি যে সত্যের সন্ধান নিজে লাভ করেছি, যে সত্য আমার জীবনে এতো বড়ো বিপ্লব সাধন করলো তাকে অন্যদের জীবনেও প্রতিফলিত করার চেষ্টা করতে হবে। এজন্য আমি নিয়মিত বই ও ডিভিডি বিতরণ করতে পারি এবং প্রতি সপ্তাহে অথবা অন্ততপক্ষে প্রতি মাসে একবার তাদেরকে নিয়ে ইসলামিক স্টাডী সার্কেল করতে পারি, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রুপ স্টাডি করতে পারি।
পঞ্চমত :
এরপর আসে আমার বান্ধবী, সহকর্মী, দূরের আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীদের কথা। এদের ক্ষেত্রেও একই কথা। যেভাবে যাকে পারা যায় সঠিক পথের সন্ধান দিতে হবে। নিজে যে সত্যের সন্ধান লাভ করেছি তা তাদের কাছেও পৌঁছানো আমার নৈতিক দায়িত্ব। কেউ আমার কথা শুনুক আর নাই শুনুক - এদের সামনে আমার নৈতিক চরিত্রের নমুনা তুলে ধরতে হবে। এভাবে দিনে দিনে তাদের জীবনে ইসলাম সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা ও এর পথের আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে। তবে কুরআনের আদেশ অনুযায়ী পরপুরুষের সাথে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে দাওয়াতী কাজ করতে হবে যদি সে আমার আত্মীয় বা সহকর্মীও হয়।
ষষ্ঠত:
প্রতিনিয়তই আত্মসমালোচনার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অর্থাৎ অন্যে কী করল না করল তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে নিজের সমালোচনা নিজে করতে হবে। যেমন, ধরি আমার নিজের মধ্যে কী কী সমস্যা আছে? কীভাবে এই সকল সমস্যাগুলো দূর করা যায়, কীভাবে আল্লাহর প্রিয় হওয়া যায় ইত্যাদি। এতে দেখা যাবে দিন দিন আমার নিজের চারিত্রিক মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি নিজেও সকল কাজ করে তৃপ্তি পাচ্ছি। আমার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের নিকটও আমি ভালোবাসার মানুষ হয়ে উঠেছি।
উকবা ইবন আমর (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, একদিন আমি রসূলে কারীম (ﷺ) -এর সামনে উপস্থিত হলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম যে, মুক্তির উপায় কী, তা বলে দিন। উত্তরে তিনি বললেন তোমার জিহবা তোমার আয়ত্তে রাখ, তোমার ঘরকে প্রশস্ত কর এবং নিজের ভুল-ভ্রান্তির জন্য কান্নাকাটি কর। (জামে আত তিরমিযী) ব্যাখ্যা ও মুক্তির উপায় কী, জিজ্ঞাসা করা হলে রসূলে কারীম (ﷺ) যে তিনটি উপায় ঘোষণা করলেন তার ব্যাখ্যা হলো --
১ম - নিজের জিহবা সংযত রাখা:
জিহবাকে নিজ আয়ত্বে রাখা এবং সঠিক আদর্শানুযায়ী উহাকে ব্যবহার করা। অন্য কথায় মুখে আল্লাহর বিধানের বিপরীত কোন কথা উচ্চারণ না করা। বস্তুত জিহবা নিজের কন্ট্রোলে না থাকার দরুন মানব সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কত যে বিপর্যয় ও ফিতনা-ফ্যাসাদের সৃষ্টি হয়েছে, তার কোন শেষ নেই; পক্ষান্তরে একে সংযত রাখলে, সঠিক আদর্শ অনুযায়ী আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় একে ব্যবহার করলে কত যে বিপদ, গণ্ডগোল ও তিক্ততা হতে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় তারও হিসাব নেই। জিহবা সংযত না থাকলে, তিক্ত কথা বলার অভ্যাস থাকলে কত মানুষের হৃদয় তার জিহবা-তরবারির বিষাক্ত আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ ও ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় তা বলে। শেষ করা যায় না। এজন্য আল্লাহ এবং তাঁর রসূল, নানাভাবে ও নানা প্রসঙ্গে জিহবাকে সংযত করার নির্দেশ ও উপদেশ দিয়েছেন। বিশেষত সভ্য সমাজের প্রত্যেকটি নাগরিকেরই এটা বিশেষ কর্তব্য -- এটাই ইসলামী জীবনযাপনের বৈশিষ্ট্য।
২য় - নিজের ঘর সব সময় উদার, উন্মুক্ত ও প্রশস্ত রাখা :
যখনই কোন মেহমান আসবে, সে যেন ইসলামী সমাজের কোন ব্যক্তিরই ঘরের দ্বারদেশ হতে প্রতিহত। ও বঞ্চিত হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য না হয়। বরং যেন সেই ঘরের সাদর সম্বর্ধনা লাভ করতে পারে। মুসলিম মুসলিমের নিকট যাবে এটা স্বাভাবিক; কিন্তু একজন মুসলিম অপর একজনের কাছে গিয়ে যদি সম্বর্ধনা না পায় তাহলে সামাজিক জীবনে নিবিড় ঐক্য, বন্ধুত্ব, ভালবাসা গড়ে উঠতে পারে না।
তবে সতর্কতা - অবশ্যই আল্লাহর ফরয হুকুম পর্দার কথা এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে। মেহমানদারী বা family get-together-এর নামে নারী-পুরুষ অবাধে মেলামেশা করা যাবে না। প্রয়োজনীয় আলাপ আলোচনার সময় নারী পুরুষ নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বামী বাসায় না থাকলে স্বামীর কোন বন্ধু বা কোন পরপুরুষকে বাসায় মেহমানদারী করার কোন প্রয়োজন নেই এবং ইসলাম এটা কোনভাবে অনুমোদন দেয় না। ঠিক একইভাবে স্ত্রী বাসায় না থাকলে স্ত্রীর বান্ধবী বা কোন পরনারীকে বাসায় মেহমানদারী করারও কোন প্রয়োজন নেই। তবে একজন আরেক জনের বাসায় যাওয়ার আগে অবশ্যই ফোনে যোগাযোগ করে appointment করে যাওয়া উচিত।
৩য় - নিজ কৃতকর্মের জন্য চোখের পানি ঝরানো :
নিজের ভুল স্বীকার করে আল্লাহর নিকট অনুতপ্ত হয়ে ও ক্ষমা প্রার্থনা করে কান্নাকাটি করতে হবে। ভুলভ্রান্তি, দোষ, অধঃপতন মানুষেরই হয়ে থাকে এবং মানুষ যদি অনুতপ্ত হয় তবে আল্লাহ অপরাধ ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ, ইহা আশা করা যায়। কিন্তু কেউ যদি পাপ করে কিন্তু সেজন্য অনুতপ্ত না হয়, অন্যায়কে অন্যায় মনে না করে, পাপ করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা না করে তবে তা চরম অপরাধ তাতে কোন সন্দেহ নেই। আল্লাহর নিকট শিরক ছাড়া সব অপরাধেরই ক্ষমা আছে; কিন্তু হয়ত ক্ষমা নেই এই ধরনের অপরাধের। কাজেই প্রত্যেক ঈমানদার মানুষেরই উচিত নিজ অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, নিজ গুনাহের জন্য আল্লাহর নিকট সর্বক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করা। এই ক্ষমা প্রার্থনাও কৃত্রিম হওয়া উচিত নয়, আন্তরিক নিষ্ঠা সহকারে হওয়া বাঞ্ছনীয়। সেজন্য মহান আল্লাহ তা'আলার দরবারে কান্নাকাটি করা ও চোখের পানি ঝরানো অপরিহার্য।
১ম - নিজের জিহবা সংযত রাখা:
জিহবাকে নিজ আয়ত্বে রাখা এবং সঠিক আদর্শানুযায়ী উহাকে ব্যবহার করা। অন্য কথায় মুখে আল্লাহর বিধানের বিপরীত কোন কথা উচ্চারণ না করা। বস্তুত জিহবা নিজের কন্ট্রোলে না থাকার দরুন মানব সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কত যে বিপর্যয় ও ফিতনা-ফ্যাসাদের সৃষ্টি হয়েছে, তার কোন শেষ নেই; পক্ষান্তরে একে সংযত রাখলে, সঠিক আদর্শ অনুযায়ী আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় একে ব্যবহার করলে কত যে বিপদ, গণ্ডগোল ও তিক্ততা হতে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় তারও হিসাব নেই। জিহবা সংযত না থাকলে, তিক্ত কথা বলার অভ্যাস থাকলে কত মানুষের হৃদয় তার জিহবা-তরবারির বিষাক্ত আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ ও ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় তা বলে। শেষ করা যায় না। এজন্য আল্লাহ এবং তাঁর রসূল, নানাভাবে ও নানা প্রসঙ্গে জিহবাকে সংযত করার নির্দেশ ও উপদেশ দিয়েছেন। বিশেষত সভ্য সমাজের প্রত্যেকটি নাগরিকেরই এটা বিশেষ কর্তব্য -- এটাই ইসলামী জীবনযাপনের বৈশিষ্ট্য।
২য় - নিজের ঘর সব সময় উদার, উন্মুক্ত ও প্রশস্ত রাখা :
যখনই কোন মেহমান আসবে, সে যেন ইসলামী সমাজের কোন ব্যক্তিরই ঘরের দ্বারদেশ হতে প্রতিহত। ও বঞ্চিত হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য না হয়। বরং যেন সেই ঘরের সাদর সম্বর্ধনা লাভ করতে পারে। মুসলিম মুসলিমের নিকট যাবে এটা স্বাভাবিক; কিন্তু একজন মুসলিম অপর একজনের কাছে গিয়ে যদি সম্বর্ধনা না পায় তাহলে সামাজিক জীবনে নিবিড় ঐক্য, বন্ধুত্ব, ভালবাসা গড়ে উঠতে পারে না।
তবে সতর্কতা - অবশ্যই আল্লাহর ফরয হুকুম পর্দার কথা এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে। মেহমানদারী বা family get-together-এর নামে নারী-পুরুষ অবাধে মেলামেশা করা যাবে না। প্রয়োজনীয় আলাপ আলোচনার সময় নারী পুরুষ নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বামী বাসায় না থাকলে স্বামীর কোন বন্ধু বা কোন পরপুরুষকে বাসায় মেহমানদারী করার কোন প্রয়োজন নেই এবং ইসলাম এটা কোনভাবে অনুমোদন দেয় না। ঠিক একইভাবে স্ত্রী বাসায় না থাকলে স্ত্রীর বান্ধবী বা কোন পরনারীকে বাসায় মেহমানদারী করারও কোন প্রয়োজন নেই। তবে একজন আরেক জনের বাসায় যাওয়ার আগে অবশ্যই ফোনে যোগাযোগ করে appointment করে যাওয়া উচিত।
৩য় - নিজ কৃতকর্মের জন্য চোখের পানি ঝরানো :
নিজের ভুল স্বীকার করে আল্লাহর নিকট অনুতপ্ত হয়ে ও ক্ষমা প্রার্থনা করে কান্নাকাটি করতে হবে। ভুলভ্রান্তি, দোষ, অধঃপতন মানুষেরই হয়ে থাকে এবং মানুষ যদি অনুতপ্ত হয় তবে আল্লাহ অপরাধ ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ, ইহা আশা করা যায়। কিন্তু কেউ যদি পাপ করে কিন্তু সেজন্য অনুতপ্ত না হয়, অন্যায়কে অন্যায় মনে না করে, পাপ করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা না করে তবে তা চরম অপরাধ তাতে কোন সন্দেহ নেই। আল্লাহর নিকট শিরক ছাড়া সব অপরাধেরই ক্ষমা আছে; কিন্তু হয়ত ক্ষমা নেই এই ধরনের অপরাধের। কাজেই প্রত্যেক ঈমানদার মানুষেরই উচিত নিজ অপরাধের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, নিজ গুনাহের জন্য আল্লাহর নিকট সর্বক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করা। এই ক্ষমা প্রার্থনাও কৃত্রিম হওয়া উচিত নয়, আন্তরিক নিষ্ঠা সহকারে হওয়া বাঞ্ছনীয়। সেজন্য মহান আল্লাহ তা'আলার দরবারে কান্নাকাটি করা ও চোখের পানি ঝরানো অপরিহার্য।
নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন : কোন ব্যক্তির ইসলামী জীবনযাপনের সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য ইহাই হতে পারে যে, সে অর্থহীন, উদ্দেশ্যহীন কথা ও কাজ পরিহার করে চলবে। (ইবনে মাজাহ, তিরমিযী, বায়হাকী)।
ব্যাখ্যা : যে কাজ বা কথার কোন অর্থ হয় না, যার কোন সার্থকতা নেই, ফল নেই, ফায়দা নেই, দুনিয়া আখিরাতে কোন দিক দিয়েই যার কোন উপকারিতা নেই, এমন কাজ করা ঈমানদার মুসলিমের উচিত নয়। এ ধরনের সকল কাজ হতে নিজেকে দূরে রাখাই কর্তব্য। কেননা মুসলিমদের জীবনযাপনের একটি মুহূর্তও নষ্ট করা নিষ্ফল ও বেকার কাজে অতিবাহিত করা একেবারেই অনুচিত। কাজেই প্রতিটি মুসলিমের প্রত্যেকটি মুহূর্ত সুফলদায়ক কাজে ও কথায় কাটানো কর্তব্য। মানুষকে আল্লাহর দেয়া অফুরন্ত নিয়ামত সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার মধ্যে মানুষের জীবনকালের প্রত্যেকটি মুহূর্ত কীভাবে কাটানো হয়েছে তা অন্যতম। অতএব প্রত্যেকটি মুহূর্তই যাতে আল্লাহর সন্তোষ এবং কোন না কোন সুফলজনক কাজে ব্যয়িত হয়, সেজন্য সচেতন ও সর্তক হয়ে থাকাই প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য।
ব্যাখ্যা : যে কাজ বা কথার কোন অর্থ হয় না, যার কোন সার্থকতা নেই, ফল নেই, ফায়দা নেই, দুনিয়া আখিরাতে কোন দিক দিয়েই যার কোন উপকারিতা নেই, এমন কাজ করা ঈমানদার মুসলিমের উচিত নয়। এ ধরনের সকল কাজ হতে নিজেকে দূরে রাখাই কর্তব্য। কেননা মুসলিমদের জীবনযাপনের একটি মুহূর্তও নষ্ট করা নিষ্ফল ও বেকার কাজে অতিবাহিত করা একেবারেই অনুচিত। কাজেই প্রতিটি মুসলিমের প্রত্যেকটি মুহূর্ত সুফলদায়ক কাজে ও কথায় কাটানো কর্তব্য। মানুষকে আল্লাহর দেয়া অফুরন্ত নিয়ামত সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার মধ্যে মানুষের জীবনকালের প্রত্যেকটি মুহূর্ত কীভাবে কাটানো হয়েছে তা অন্যতম। অতএব প্রত্যেকটি মুহূর্তই যাতে আল্লাহর সন্তোষ এবং কোন না কোন সুফলজনক কাজে ব্যয়িত হয়, সেজন্য সচেতন ও সর্তক হয়ে থাকাই প্রতিটি মুসলিমের কর্তব্য।
ঘর আর বাহির নিয়ে সংসার। কুরআন পুরুষকে দিয়েছে বাইরের কাজের দায়িত্ব আর স্ত্রীদেরকে দিয়েছে ঘরের কাজের দায়িত্ব। তাই পরিবারের ভরণপোষণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং খাদ্য ও সম্পদ আহরণ ইত্যাদির দায়িত্ব পুরুষের। ঘরের কাজ বলতে গৃহিনীর দায়িত্ব সন্তান জন্ম, লালনপালন এবং পরিবারের আভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ। শারীরিক বৈশিষ্ট্য মানসিক দিক দিয়ে পুরুষ। বাইরের কাজের জন্য আর নারী ঘরের কাজের জন্য উপযোগী, এতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু ঘরের কাজ বড় না বাইরের কাজ বড় এ তর্ক অবান্তর এবং অপ্রয়োজনীয়। ঘরের কাজকে ছোট মনে করা ঠিক নয় আর স্ত্রীদের কাজ করার অর্থ দাসীবৃত্তি নয় বরং পরিবার তথা স্বামী সন্তানের কল্যাণে নিজেকে নিযুক্ত করা। বলতে গেলে বাইরের কাজ থেকে ঘরের কাজে বেশী অধ্যাবসায় ও মনোযোগ দিতে হয়। বিভিন্ন সমাজে স্ত্রীকে দাসী মনে করা হয়। তা সত্য কিন্তু ইসলামের বেলায় এ কথা মিথ্যা। মুসলিম পুরুষদের স্ত্রীদের প্রতি দুর্ব্যবহার অত্যন্ত গুনাহের কাজ বলে স্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে।
পর্দা মেয়েদেরকে ছোট করার জন্য নয় বরং তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও অসম্মানের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। মেয়েদের গোটা শরীরটাই আল্লাহ তাআলা পুরুষদের কামনার বস্তু করে গড়েছেন তাই তাদের পর্দার সীমানা ব্যাপক। মেয়েরা সাধারণতঃ পুরুষদের প্রতি লোলুপ দৃষ্টিতে তাকায় না বা চেয়ে থাকে না। বরং পুরুষরাই তা করে থাকে তাই মেয়েদেরকেই পর্দা করতে হয় এটাই যুক্তিযুক্ত।
পর্দা মেয়েদেরকে ছোট করার জন্য নয় বরং তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি ও অসম্মানের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। মেয়েদের গোটা শরীরটাই আল্লাহ তাআলা পুরুষদের কামনার বস্তু করে গড়েছেন তাই তাদের পর্দার সীমানা ব্যাপক। মেয়েরা সাধারণতঃ পুরুষদের প্রতি লোলুপ দৃষ্টিতে তাকায় না বা চেয়ে থাকে না। বরং পুরুষরাই তা করে থাকে তাই মেয়েদেরকেই পর্দা করতে হয় এটাই যুক্তিযুক্ত।
মা-বোনেরা কী পোশাক পরে বাড়ীর বাইরে আসবেন সেটা তাদের ভাবতে হবে। একথা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়, বরং এটা শুধু সে সকল মা-বোনদের জন্য প্রযোজ্য যারা নিজেদের মুসলিম মনে করেন। যারা মুসলিম পিতামাতার ঘরে জন্ম নিয়েছেন এবং যাদের ভাল নাম কুরআন হাদীসের ভাষায়ই রাখা হয়েছে (ডাক নামটা যতই অনৈসলামী হোক) তারা সবাই নিজেকে মুসলিমই মনে করেন। কিন্তু নামে ও মনে মুসলিম হলেও হয়তো মুসলিম জীবন গড়ে তুলবার সুযোগ সবাই পাননি। যদি কেউ তাদেরকে জিজ্ঞেস করে যে আপনি মুসলিম না হিন্দু বা খৃষ্টান, তাহলে তারা রীতিমতো ক্ষেপে যাবেন। কারণ, তারা নিজেকে মুসলিম বলেই বিশ্বাস করেন এবং এ জাতীয় প্রশ্ন করাটাকেই অপমানজনক মনে করেন। এরা সত্যি মনে-প্রাণে মুসলিম।
৭২
প্রশ্ন : ৬৮) ইসলাম নারীদের অধিকারের কথা বলে, তাহলে কেন তাদেরকে পর্দায় রাখতে চায় এবং কেন পুরুষ এবং নারীদের আলাদা রাখতে চায়?কেন ইসলাম পর্দায় বিশ্বাস করে এবং কেন পুরুষ এবং নারীদের অবাধ মেলামেশায় বিশ্বাস করে না। পর্দা আছে এবং পর্দা নেই এমন দু'টি সমাজকে বিশ্লেষণ করা যাক। যে দেশে সবচেয়ে বেশি অপরাধ হয় সে দেশটি হল যুক্তরাষ্ট্র। এফ.বি. আই (FBI) ১৯৯০ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৯৯০ সালে সেখানে এক হাজার দুইশত পঞ্চাশ জন নারী ধর্ষিতা হয়েছে। এটি হল কেবল প্রতিবেদনের তথ্য। ধর্ষণের মাত্র ১৬% রিপোর্টের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা হল ৬,৪০,০০০ নারী যারা ধর্ষিত হয়েছে। সংখ্যাটিতে ৩৬৫ দ্বারা ভাগ করলে দেখা যায় প্রতিদিন ১,৭৫৬ জন নারী আমেরিকায় ১৯৯০ সালে ধর্ষিতা হয়। ১৯৯১ সালে (১৯৯৩ সালের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী) ১.৩ জন প্রতি মিনিটে ধর্ষিত হয়। আমরা কি জানি, কেন? আমেরিকা নারীদের অধিক অধিকার দিয়েছে এবং তারা অধিক হারে ধর্ষিতা হচ্ছে। ১৬% অভিযোগের মাত্র শতকরা ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় যার ৫০% কে বিচারের আগেই ছেড়ে দেয়া হয়। মানে হল ০.৮% ধর্ষণের মামলা গ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ একজন একশত বিশটি ধর্ষণ করলে ধরা পড়ার আকাঙ্খ মাত্র ১ বার। ১২০টি ধর্ষণ করলে একবার মাত্র ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকলে কে না চেষ্টা করবে। আবার এরও অর্ধেক পরিমাণে মামলার শাস্তি ১ বছরেরও কম। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে আছে- “ধর্ষণের জন্যে যাবতজীবন কারাদণ্ড, যদি ১ম বার ধরা পড়ে তবে তাকে সুযোগ দেয়া হোক এবং ১ বছরের কম শাস্তি দেয়া হোক।”
যদি ধর্ষণের মোট সংখ্যা হিসাব করা হয়, তাহলে প্রতি কয়েক মিনিটেই ১টি হয়ে দাঁড়াবে। একটি সহজ প্রশ্ন যদি করা হয় ও যদি যুক্তরাষ্ট্রের সকল নারী হিজাব পড়েন তাহলে কি ধর্ষণের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকবে, বাড়বে, নাকি কমবে? ইসলামকে সামগ্রিকভাবে বুঝা উচিত। যেখানে নারীরা হিজাব পড়তে এবং পুরুষদেরকে দৃষ্টি অবনত রাখতে বলা হয়েছে এবং এর পরেও যদি কেউ ধর্ষণ করে, তাহলে তার মৃত্যুদণ্ডকে কি আমরা বর্বর আইন বলতে পারি?
যদি ধর্ষণের মোট সংখ্যা হিসাব করা হয়, তাহলে প্রতি কয়েক মিনিটেই ১টি হয়ে দাঁড়াবে। একটি সহজ প্রশ্ন যদি করা হয় ও যদি যুক্তরাষ্ট্রের সকল নারী হিজাব পড়েন তাহলে কি ধর্ষণের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকবে, বাড়বে, নাকি কমবে? ইসলামকে সামগ্রিকভাবে বুঝা উচিত। যেখানে নারীরা হিজাব পড়তে এবং পুরুষদেরকে দৃষ্টি অবনত রাখতে বলা হয়েছে এবং এর পরেও যদি কেউ ধর্ষণ করে, তাহলে তার মৃত্যুদণ্ডকে কি আমরা বর্বর আইন বলতে পারি?
ইসলামে যে পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে, তা সম্পর্কে একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে আমরা তার তিনটি উদ্দেশ্য উপলব্ধি করতে পারি।
প্রথমত: নারী ও পুরুষের নৈতিক চরিত্রের হিফাযত করা এবং নরনারীর অবাধ মেলামেশার ফলে সমাজে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতির উদ্ভব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সে সবের প্রতিরোধ করা।
দ্বিতীয়ত: নারী ও পুরুষের কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষাঙ্গনে বা যে কোন চলার পথে একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করা, যেন প্রকৃতি নারীর উপর যে গুরুদায়িত্ব ন্যস্ত করেছে, তা সে নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠভাবে পালন করতে পারে।
তৃতীয়ত: পারিবারিক ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত ও সুদৃঢ় করা। কারণ জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে যত ব্যবস্থাই রয়েছে, তার ভেতর পারিবারিক ব্যবস্থা শুধু অন্যতমই নয়; বরং এ হচ্ছে গোটা জীবন ব্যবস্থার মূল বুনিয়াদ।
প্রথমত: নারী ও পুরুষের নৈতিক চরিত্রের হিফাযত করা এবং নরনারীর অবাধ মেলামেশার ফলে সমাজে যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতির উদ্ভব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সে সবের প্রতিরোধ করা।
দ্বিতীয়ত: নারী ও পুরুষের কর্মক্ষেত্রে বা শিক্ষাঙ্গনে বা যে কোন চলার পথে একটি নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করা, যেন প্রকৃতি নারীর উপর যে গুরুদায়িত্ব ন্যস্ত করেছে, তা সে নির্বিঘ্নে ও সুষ্ঠভাবে পালন করতে পারে।
তৃতীয়ত: পারিবারিক ব্যবস্থাকে সুরক্ষিত ও সুদৃঢ় করা। কারণ জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রে যত ব্যবস্থাই রয়েছে, তার ভেতর পারিবারিক ব্যবস্থা শুধু অন্যতমই নয়; বরং এ হচ্ছে গোটা জীবন ব্যবস্থার মূল বুনিয়াদ।
পর্দার মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারীকে পুরুষের অনভিপ্রেত আকর্ষণ হতে নিরাপদ দুরত্বে রাখা। এ কারণেই আল-কুরআনে যুবতীদের চেয়ে বৃদ্ধাদের পর্দার গুরুত্ব কম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ বৃদ্ধাদের প্রতি কারো আকর্ষণ থাকে না বরং তাদের প্রতি মা, দাদী ও নানীদের মতো শ্রদ্ধাবোধ এমনিতেই এসে যায়। নারীদের চেহারা সৌন্দর্য্য ও ভাবভঙ্গির মতো তাদের কণ্ঠস্বরও পুরুষদেরকে আকর্ষণ করতে পারে। তাই কোনো পরপুরুষের সাথে কথা বলতে বাধ্য হলে নারীদেরকে অনাকর্ষণীয় স্বরে কথা বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেন কণ্ঠস্বর শুনে কোনো পুরুষ তাদের প্রতি আকৃষ্ট হতে না পারে।
পুরুষদের থেকে মেয়েদেরকে যেমন পর্দা করতে বলা হয়েছে অনুরূপভাবে মেয়েদের থেকেও পুরুষদেরকে পর্দা করতে বলা হয়েছে। কারণ কোনো নারীকে দেখে যেমন কোনো পুরুষ আকৃষ্ট হয়ে কুচিন্তা করতে পারে তেমনি কোনো নারীও কোনো পুরুষকে দেখে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কুচিন্তা করতে পারে। একজন পুরুষের জন্য কোনো পরনারীকে আগ্রহ ভরে দেখা যেমন পাপ তেমনি একজন নারীর জন্য আগ্রহ ভরে পরপুরুষকে দেখাও পাপ। তাই পর্দার মধ্যে থেকেও পরপুরুষকে আগ্রহ নিয়ে দেখলে পর্দাহীনতার গুনাহ হয়ে যাবে। একজন নারীর জন্য একজন পরপুরুষের সামনে বেপর্দা হওয়া যেমন পাপ, নিকটাত্মীয় গায়ের মুহরিমের সামনেও বেপর্দা হওয়া তেমনি পাপ।
যেমন আজকাল আমাদের দেশে দেবর, ভাশুর, ভগ্নিপতি, খালাতো, চাচাতো, মামাতো ও ফুফাতো ভাইদের সামনে মেয়েরা বেপর্দা হওয়াকে পাপ মনে করে না। প্রকৃতপক্ষে, তারা প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাদের সাথে আরও বেশি পর্দা করা। উচিত। কারণ এ ধরনের নিকটাত্মীয় গায়ের মুহররমদের দ্বারা আরও বেশি বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের সমাজে কতিপয় পর্দানশীন পরিবারেও পর্দার মূল লক্ষ্য অনুধাবন করতে না পেরে পর্দার কার্যক্রমে উল্টাপাল্টা করে ফেলেন। অনেক পরিবারের নারীরা নিজেরা বোরকা পরে পর্দা করে বের হন অথচ তাদের যুবতী মেয়েরা তাদেরই সাথে আকর্ষণীয় পোশাকে বেপর্দায় বের হয়। অনেকের ভুল ধারণা এমন যে, বয়স হলেই শুধু পর্দা করতে হয়। যেমন : পুরুষদের মধ্যে ভুল ধারণা যে, বয়স হলে দাড়ি রাখতে হয়, যুবক বয়সে প্রয়োজন নেই।
পুরুষদের থেকে মেয়েদেরকে যেমন পর্দা করতে বলা হয়েছে অনুরূপভাবে মেয়েদের থেকেও পুরুষদেরকে পর্দা করতে বলা হয়েছে। কারণ কোনো নারীকে দেখে যেমন কোনো পুরুষ আকৃষ্ট হয়ে কুচিন্তা করতে পারে তেমনি কোনো নারীও কোনো পুরুষকে দেখে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে কুচিন্তা করতে পারে। একজন পুরুষের জন্য কোনো পরনারীকে আগ্রহ ভরে দেখা যেমন পাপ তেমনি একজন নারীর জন্য আগ্রহ ভরে পরপুরুষকে দেখাও পাপ। তাই পর্দার মধ্যে থেকেও পরপুরুষকে আগ্রহ নিয়ে দেখলে পর্দাহীনতার গুনাহ হয়ে যাবে। একজন নারীর জন্য একজন পরপুরুষের সামনে বেপর্দা হওয়া যেমন পাপ, নিকটাত্মীয় গায়ের মুহরিমের সামনেও বেপর্দা হওয়া তেমনি পাপ।
যেমন আজকাল আমাদের দেশে দেবর, ভাশুর, ভগ্নিপতি, খালাতো, চাচাতো, মামাতো ও ফুফাতো ভাইদের সামনে মেয়েরা বেপর্দা হওয়াকে পাপ মনে করে না। প্রকৃতপক্ষে, তারা প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাদের সাথে আরও বেশি পর্দা করা। উচিত। কারণ এ ধরনের নিকটাত্মীয় গায়ের মুহররমদের দ্বারা আরও বেশি বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের সমাজে কতিপয় পর্দানশীন পরিবারেও পর্দার মূল লক্ষ্য অনুধাবন করতে না পেরে পর্দার কার্যক্রমে উল্টাপাল্টা করে ফেলেন। অনেক পরিবারের নারীরা নিজেরা বোরকা পরে পর্দা করে বের হন অথচ তাদের যুবতী মেয়েরা তাদেরই সাথে আকর্ষণীয় পোশাকে বেপর্দায় বের হয়। অনেকের ভুল ধারণা এমন যে, বয়স হলেই শুধু পর্দা করতে হয়। যেমন : পুরুষদের মধ্যে ভুল ধারণা যে, বয়স হলে দাড়ি রাখতে হয়, যুবক বয়সে প্রয়োজন নেই।
ইসলাম নারীদের জন্য এমন সব নিয়মনীতি ও বিধি-নিষেধ দিয়েছেন, যা পালন করলে একজন নারী তার পবিত্রতা রক্ষা করতে সক্ষম হয়, সতীত্ব ঠিক থাকে এবং ইজ্জত সম্মান রক্ষা পায়। আল্লাহ তা'আলা নারীদের পর্দা করার নির্দেশ দেন, তাদের ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেন, তাদের নগ্ন-পর্দাহীন, সুগন্ধি লাগিয়ে ও সেজেগুজে ঘর থেকে বের হতে ও কোথাও সফর করতে নিষেধ করেন। এছাড়াও নারী পুরুষের এক সাথে মেলামেশা, তাদের সাথে পর্দাহীন কথাবার্তা থেকে নিষেধ করেন। আর এসব আদেশ-নিষেধ ও বিধি-বিধান এ জন্য রাখা হয়েছে যাতে নারীরা তাদের নিজেদেরকে ফিতনা-ফ্যাসাদ, অশ্লীল কার্যকলাপ ও দুষ্ট লোকের কবল হতে রক্ষা করতে পারে। তাদের সতীত্বের উপর যাতে কোন প্রকার আঘাত আসে। আর এভাবেই ইসলাম দিয়েছে নারীর প্রকৃত নিরাপত্তা।
আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত। তিনি রসূল 6 -কে প্রশ্ন করেছিলেন, মেয়েরা নিজেদের কাপড়কে (পোশাক বা বোরকা) কতটুকু নিচের দিকে ঝুলিয়ে দিবে? তার উত্তরে রসূল (ﷺ) বলেছেন, তারা স্বীয় পদতালুর সামনে অর্থাৎ গোড়ালীর নিচে রেখে কাপড় পরবে। উম্মুল মু'মিনীন পুনঃ প্রশ্ন করলেন যে, যখন তারা লম্বা কদমে হাঁটবে? (তখন কাপড় তো উঠে যাবে, সে সময় কি করবে?) উত্তরে রসূল ও বললেন, তারা কখনও এক হাতের বেশী লম্বা কদমে হাঁটবে না।' (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
পর্দা তথা হিজাবের ব্যাপারে আল্লাহর সিদ্ধান্তের পর আমরা যারা নিজস্ব জ্ঞান। প্রকাশ করতে চাই, তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলার ঘোষণা হলো : “আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন বিষয়ের নির্দের্শ কিংবা ফায়সালা করে দিলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোন অধিকার নেই। আর যে, কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য (নাফরমানী) করবে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হবে।” (সূরা আহযাব ও আয়াত ৩৬)
আয়িশা (রাদিআল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত। তিনি রসূল 6 -কে প্রশ্ন করেছিলেন, মেয়েরা নিজেদের কাপড়কে (পোশাক বা বোরকা) কতটুকু নিচের দিকে ঝুলিয়ে দিবে? তার উত্তরে রসূল (ﷺ) বলেছেন, তারা স্বীয় পদতালুর সামনে অর্থাৎ গোড়ালীর নিচে রেখে কাপড় পরবে। উম্মুল মু'মিনীন পুনঃ প্রশ্ন করলেন যে, যখন তারা লম্বা কদমে হাঁটবে? (তখন কাপড় তো উঠে যাবে, সে সময় কি করবে?) উত্তরে রসূল ও বললেন, তারা কখনও এক হাতের বেশী লম্বা কদমে হাঁটবে না।' (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
পর্দা তথা হিজাবের ব্যাপারে আল্লাহর সিদ্ধান্তের পর আমরা যারা নিজস্ব জ্ঞান। প্রকাশ করতে চাই, তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলার ঘোষণা হলো : “আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন বিষয়ের নির্দের্শ কিংবা ফায়সালা করে দিলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোন অধিকার নেই। আর যে, কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য (নাফরমানী) করবে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হবে।” (সূরা আহযাব ও আয়াত ৩৬)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা পর্দা করাকে পবিত্রতার শিরোনাম হিসেবে আখ্যায়িত করেন। আল্লাহ তা'আলা বলেন : “হে নবী (ﷺ) আপনার স্ত্রীদের, কন্যাদের এবং মুমিন নারীদেরকে বলে দিন, তারা যেন তাদের জিলবাবের এক অংশ তাদের উপর ঝুলিয়ে দেয়। এটাই বেশি সঠিক নিয়ম, যাতে তাদেরকে চিনে নেয়া যায় এবং তাদেরকে কষ্ট দেয়া না হয়। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও মেহেরবান”। (সূরা আহযাব : ৫৯)
আর বৃদ্ধ নারী যাদের যৌবনের হ্রাস পেয়েছে এবং তারা বিবাহের আশা করে না, তাদের জিলবাব ব্যবহার না করা, চেহারা ও কবজি-দ্বয় খোলা রাখা দ্বারা ফিতনার আশংকা থাকে না তাদের জন্য আল্লাহ রব্বল আলামীন পর্দা করার ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েছেন। তাদের বিষয়ে আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেন, আর বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না, তাদের জন্যে কোন অপরাধ (গুনাহ) নেই, যদি তারা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে তাদের কিছু পোশাক খুলে রাখে; তবে এটা হতে বিরত থাকাই তাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা নূর : ৬০)
আর বৃদ্ধ নারী যাদের যৌবনের হ্রাস পেয়েছে এবং তারা বিবাহের আশা করে না, তাদের জিলবাব ব্যবহার না করা, চেহারা ও কবজি-দ্বয় খোলা রাখা দ্বারা ফিতনার আশংকা থাকে না তাদের জন্য আল্লাহ রব্বল আলামীন পর্দা করার ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েছেন। তাদের বিষয়ে আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেন, আর বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না, তাদের জন্যে কোন অপরাধ (গুনাহ) নেই, যদি তারা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে তাদের কিছু পোশাক খুলে রাখে; তবে এটা হতে বিরত থাকাই তাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা নূর : ৬০)
যদি নিজেকে মুসলিম মনে করি এবং মুসলিম পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ না করি তা হলে আমাদেরকে জানতে হবে যে, আল্লাহ ও রসূল (ﷺ) মুসলিম নারীদের পোশাকের জন্য কী কী বিধান দিয়েছেন। যাদের সাথে বিয়ে হারাম তাদের সামনে যে পোশাক পরে চলাফেরা করা যায় সে পোশাক পরে অন্যদের সামনে। যাওয়া যাবে না। যেমন পিতা, শ্বশুর, আপন ভাই, আপন চাচা, মামা প্রমুখ। আত্মীয়ের সাথে বিয়ে হারাম। তাই তাদের সামনে শুধু সতর ঢেকে চলাই যথেষ্ট। অন্য সবার সামনে পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে।
রসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজে হাত দিয়ে সতরের সীমা দেখিয়ে দিয়েছেন। মেয়েদের পুরো চেহারা (চুলের গোড়া থেকে থুতনী এবং এক কানের লতী থেকে অন্য কানের লতী পর্যন্ত যেটুকু ওযূ করার সময় ধোয়া ফরয), দু’হাতের আংগুল থেকে কবজির উপর পর্যন্ত এবং পায়ের টাখনু থেকে আংগুল পর্যন্ত - এ তিনটি অংশ ছাড়া বাকী সমস্ত শরীরই সতরের অন্তর্ভুক্ত। মেয়েদের সতর না ঢাকলে সলাত শুদ্ধ হবে না। আল্লাহ ও রসূল, নারীদের জন্য সতরের যে সীমা ঠিক করে দিয়েছেন তা জানার পর আমাদেরকে এ বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
যৌন বিজ্ঞান একথা বলে যে পুরুষের যৌন ক্ষুধা নারীদের তুলনায় অনেক বেশী। শুধু তাই নয় পুরুষের যৌন উত্তেজনা অত্যন্ত ত্বরিত। নারীর প্রতি দৃষ্টি পড়ার সাথে সাথেই পুরুষের মধ্যে যৌন চেতনা জাগ্রত হয়। কিন্তু নারীদের বেলায় অবস্থা এর বিপরীত। পুরুষের পক্ষ থেকে উদ্যোগ ছাড়া সাধারণতঃ নারীদের যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি হয় না। নারী দেহের প্রতিটি অংগ পুরুষের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় বলেই বেপর্দা নারী দেখলে পুরুষকে তার যৌন চেতনা দমন করতে বেগ পেতে হয়। স্রষ্টা নারীকে এতটা আকষর্ণীয় করে সৃষ্টি করেছেন। বলেই তার সৌন্দর্যকে পরপুরুষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখার জন্য পর্দার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূরা আল জারিয়ার ৪৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন : “এবং প্রত্যেকটি জিনিসকে আমি জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছি যেন তোমরা স্মরণ করো।” অর্থাৎ তোমরা যেন এর উপর চিন্তা-গবেষণা করে আল্লাহর সুনিপুণ ব্যবস্থাপনার কথা তোমাদের স্মরণে সদা জাগ্রত রাখতে পারো। আল্লাহ প্রাণীকুল, গাছপালা, ফল-ফলাদিসহ সবকিছুকেই যে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন তা বলতে গিয়ে আল-কুরআনে মোট ৭৬ টি আয়াত নাযিল করেছেন। মানুষ বা প্রাণীকুল ছাড়া অন্যান্য বস্তুর মধ্যে আল্লাহ যে জোড়া সৃষ্টির কথা বলেছেন তার থেকে পর্দার স্বপক্ষে কোনো যুক্তি পাওয়া যায় কি না একটু খুঁজে দেখি। আল্লাহর কথা অনুযায়ী যখন সবকিছুর মধ্যেই জোড়া আছে তখন তড়িৎ বা বিদ্যুতের মধ্যে জোড়া আছে। এই জোড়ার একটাকে আমরা বলি ‘পজিটিভ ও অন্যটাকে বলি ‘নেগেটিভ' যার একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রীর ভূমিকায় কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেখবো এদের মধ্যে কোনো পর্দা সিস্টেম আছে কী নেই।
আজ যেহেতু ইলেক্ট্রনিকসের যুগ তাই প্রায়ই দেখি কখনো কোথাও যদি কোনো নেগেটিভ ও পজিটিভ তার কোনোভাবে একটা আরেকটাকে স্পর্শ করতে পারে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আগুন ধরে যায়। অর্থাৎ বিদ্যুতের মধ্যে যে পর্দাপ্রথা চালু রয়েছে তার কিছুমাত্র ব্যতিক্রম হলেই তাতে আগুন লেগে যায়। আমরা সাধারণতঃ মাইকে কথা বলার সময় দেখি এমপ্লিফায়ার থেকে দু'টি তার এসে মাইক্রোফোনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে, ঐ দুইটা তারের গায়ে রাবারের কটিং (পর্দা) দেয়া রয়েছে। যদি পথিমধ্যে দু'টি তারের কটিং (পর্দা) ছিড়ে যায় কিংবা যদি রাবারের কটিং (পর্দা) ফেলে দিয়ে দু’টিকে একত্র করে দেয়া হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বা কেটে যায় এবং মাইক নষ্ট হয়ে যায়। মাইকের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। কিন্তু মাইক্রোফোন নামক ছোট্ট অন্ধকার ঘরটির মধ্যে যখন দু’টি তারই প্রবেশ করে তখন দু’টি তারের মাথা একত্রে সংযোগ প্রয়োজন হয়, আর সেটা না হলেও মাইকের মূল উদ্দেশ্য সফল হয় না। এই ছোট উদাহরণ থেকেও আমরা দেখলাম পর্দা ছাড়া বিজ্ঞানের থিওরী অচল। অর্থাৎ যে পর্দা বিজ্ঞানে। সেই পর্দাই ইসলামে।
আজ যেহেতু ইলেক্ট্রনিকসের যুগ তাই প্রায়ই দেখি কখনো কোথাও যদি কোনো নেগেটিভ ও পজিটিভ তার কোনোভাবে একটা আরেকটাকে স্পর্শ করতে পারে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আগুন ধরে যায়। অর্থাৎ বিদ্যুতের মধ্যে যে পর্দাপ্রথা চালু রয়েছে তার কিছুমাত্র ব্যতিক্রম হলেই তাতে আগুন লেগে যায়। আমরা সাধারণতঃ মাইকে কথা বলার সময় দেখি এমপ্লিফায়ার থেকে দু'টি তার এসে মাইক্রোফোনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে, ঐ দুইটা তারের গায়ে রাবারের কটিং (পর্দা) দেয়া রয়েছে। যদি পথিমধ্যে দু'টি তারের কটিং (পর্দা) ছিড়ে যায় কিংবা যদি রাবারের কটিং (পর্দা) ফেলে দিয়ে দু’টিকে একত্র করে দেয়া হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বা কেটে যায় এবং মাইক নষ্ট হয়ে যায়। মাইকের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়। কিন্তু মাইক্রোফোন নামক ছোট্ট অন্ধকার ঘরটির মধ্যে যখন দু’টি তারই প্রবেশ করে তখন দু’টি তারের মাথা একত্রে সংযোগ প্রয়োজন হয়, আর সেটা না হলেও মাইকের মূল উদ্দেশ্য সফল হয় না। এই ছোট উদাহরণ থেকেও আমরা দেখলাম পর্দা ছাড়া বিজ্ঞানের থিওরী অচল। অর্থাৎ যে পর্দা বিজ্ঞানে। সেই পর্দাই ইসলামে।
পর্দা (হিজাব বা জিলবাব) শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে আবরণ বা অন্তরাল যাকে ইংরেজীতে বলে Cloak covering the whole body. আর ইসলামের বিধান অনুযায়ী নারী-পুরুষ প্রত্যেকের জন্য নির্ধারিত অঙ্গ, প্রত্যঙ্গসমূহ ঢেকে রাখার নামই হিজাব বা পর্দা। নারী-পুরুষ প্রত্যেকের জন্যই পর্দা করা ফরয। পর্দা সম্পর্কে মহান আল্লাহ রব্বল আলামীন বলেন :
“যারা চায়, ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়াক, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের জন্য অবশ্যই যন্ত্রণাদায়ক আযাব রয়েছে। আল্লাহ জানেন, আর তোমরা জানো না।” (সূরা আন নূর ও ১৯)
“যারা চায়, ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়াক, দুনিয়া ও আখিরাতে তাদের জন্য অবশ্যই যন্ত্রণাদায়ক আযাব রয়েছে। আল্লাহ জানেন, আর তোমরা জানো না।” (সূরা আন নূর ও ১৯)
৮৪
প্রশ্ন : ৮০) অনেকে বলে থাকেন মনের পর্দাই বড় পর্দা, মন ঠিক থাকলে সব ঠিক, বাহ্যিক পর্দার প্রয়োজন নেই। এই উক্তি কতটুকু যুক্তি সঙ্গত?মনের পর্দা অবশ্যই বড় পর্দা। সবার আগে মন পবিত্র তো অবশ্যই থাকতে হবে। তবে মনের পর্দার পাশাপাশি দৈহিক পর্দারও প্রয়োজন আছে আর এটি আল্লাহর তরফ থেকে নারীদের জন্য বিশেষ নিয়ামত এবং সেই সাথে ফরয হুকুম। কেউ কেউ খুব গভীরভাবে ভেবে না দেখেই অনেক সময় বলে থাকেন যে মন পবিত্র থাকলে সব ঠিক, বাহ্যিক পর্দার প্রয়োজন নেই। উদাহরণস্বরূপ যদি বলা হয় মনের পবিত্রতাই পবিত্রতা সেহেতু ওযূ করার প্রয়োজন নেই, তাতে কী সলাত হবে? হবে না। আসুন একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখি আমার মন পবিত্র, আমি কোন পরপুরুষের দিকে তাকাচ্ছি না কিন্তু পরপুরুষরা তো আমার রূপ-সৌন্দর্য প্রাণভরে দেখছে। এতে তারা আমার কারণে কবীরা গুনাহয় লিপ্ত হচ্ছে সেই সাথে আমিও গুনাহগার হচ্ছি। কেউ হয়তো বলতে পারে যে কুরআনে আল্লাহ “মুমিনদের দৃষ্টি সংযত রাখতে বলেছে, কিন্তু এই দুনিয়ায় কয়জন মু'মিন! এবং অমুসলিমরাও তো আমাকে দেখছে, তারাতো আর কুরআন-হাদীস মানে না।
৮৫
প্রশ্ন : ৮১) আমি সলাত আদায় করি, সিয়াম পালন করি, যাকাত দেই, হাজ্জ করেছি, দান-সদকা করি, সত্তাবে জীবনযাপন করি, অন্যের অনিষ্ট করি না। তারপরও কি পর্দা করাটা জরুরী?উপরের যে কাজগুলো আমি নিয়মিত করছি আলহামদুলিল্লাহ সেগুলো সবই ভাল কাজ এবং এই কাজগুলো আমি বুঝে করি আর না বুঝে করি তা সবই আল্লাহর ফরয হুকুম। ঠিক তেমনি সলাত-সিয়ামের মতো পর্দাও আল্লাহর একটি ফরয। হুকুম। আর আমরা জানি যে মুসলিম হিসেবে আল্লাহর ফরয হুকুম কোনটাই অবহেলা করা যাবে না। আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আল্লাহ প্রতিটি ফরয কাজের হিসাব আলাদা আলাদা করে নিবেন, কোনটা থেকেই মাফ পাওয়ার কোন উপায় নেই।
প্রশ্ন : ৮২) আল্লাহ এবং তাঁর রসূল (ﷺ)-এর ভালবাসাই আত্মার সম্ভষ্টির জন্য যথেষ্ঠ, তাই বলে কি পর্দার প্রয়োজন আছে?
আগের প্রশ্নের উত্তরেই আমরা জেনেছি যে সলাত-সিয়ামের মতো পর্দাও আল্লাহর একটি ফরয হুকুম। আর আমরা জানি যে মুসলিম হিসেবে আল্লাহ তাআলার ফরয হুকুম কোনটাই অবহেলা করার কোন উপায় নেই। উদাহরণস্বরূপ যেমন : কোন একজন কর্মচারী যদি বলেন, আমি আমার বসকে খুব ভালোবাসি, বসের কথার উপর আমল করার দরকার নেই, বরং বিনা আমলেই বসের সন্তুষ্টি মিলে যাবে! অবশ্যই না, বরং চাকুরী চলে যেতে পারে, শাস্তিও হতে পারে। সুতরাং আল্লাহর হুকুম পর্দা করতেই হবে, আর তা লংঘন। করে আল্লাহর সন্তুষ্টি কোনভাবেই পাওয়া যাওয়ার কথা নয়।
প্রশ্নঃ ৮৩) কোন কোন বোনেরা বলেন যে, গরমের জন্য পর্দা করা যায় না। গরম কি পর্দা করার জন্য অন্তরায়?
এটা অবশ্যই শিকার করতে হবে যে গরমের দিনে বা গরমের দেশে পর্দা করাটা খুবই কষ্টকর। গরমের মধ্যে যে মা-বোনরা পর্দা করেন তারা এটার মর্ম বুঝেন। আর আলহামদুলিল্লাহ মা-বোনদের এটা যে কত বড় sacrifice তার জন্য তারা অবশ্যই মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদাবান। মা-বোনদের সান্ত্বনার জন্য বলছি, দেখুন পুলিশ বা আর্মিরা চাকুরীর জন্য মোটা পোশাক পরিধান করে রোদে কর্মরত থাকে। এভাবে পুলিশ-আর্মিরা যদি দুনিয়ার চাকুরীর খাতিরে তা পারে, তাহলে আমি তো করছি আমার মহান প্রভুর সন্তষ্টির জন্যে, আর এর জন্য রয়েছে আখিরাতে মহাপুরষ্কার। তাই ধৈর্যধারণ করি। পুলিশ-আর্মির যেমন মোটা পোশাক গরমে অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে, ঠিক তেমনি আমার পোশাকটিও একদিন অভ্যেসে পরিণত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন।
প্রশ্ন : ৮২) আল্লাহ এবং তাঁর রসূল (ﷺ)-এর ভালবাসাই আত্মার সম্ভষ্টির জন্য যথেষ্ঠ, তাই বলে কি পর্দার প্রয়োজন আছে?
আগের প্রশ্নের উত্তরেই আমরা জেনেছি যে সলাত-সিয়ামের মতো পর্দাও আল্লাহর একটি ফরয হুকুম। আর আমরা জানি যে মুসলিম হিসেবে আল্লাহ তাআলার ফরয হুকুম কোনটাই অবহেলা করার কোন উপায় নেই। উদাহরণস্বরূপ যেমন : কোন একজন কর্মচারী যদি বলেন, আমি আমার বসকে খুব ভালোবাসি, বসের কথার উপর আমল করার দরকার নেই, বরং বিনা আমলেই বসের সন্তুষ্টি মিলে যাবে! অবশ্যই না, বরং চাকুরী চলে যেতে পারে, শাস্তিও হতে পারে। সুতরাং আল্লাহর হুকুম পর্দা করতেই হবে, আর তা লংঘন। করে আল্লাহর সন্তুষ্টি কোনভাবেই পাওয়া যাওয়ার কথা নয়।
প্রশ্নঃ ৮৩) কোন কোন বোনেরা বলেন যে, গরমের জন্য পর্দা করা যায় না। গরম কি পর্দা করার জন্য অন্তরায়?
এটা অবশ্যই শিকার করতে হবে যে গরমের দিনে বা গরমের দেশে পর্দা করাটা খুবই কষ্টকর। গরমের মধ্যে যে মা-বোনরা পর্দা করেন তারা এটার মর্ম বুঝেন। আর আলহামদুলিল্লাহ মা-বোনদের এটা যে কত বড় sacrifice তার জন্য তারা অবশ্যই মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ মর্যাদাবান। মা-বোনদের সান্ত্বনার জন্য বলছি, দেখুন পুলিশ বা আর্মিরা চাকুরীর জন্য মোটা পোশাক পরিধান করে রোদে কর্মরত থাকে। এভাবে পুলিশ-আর্মিরা যদি দুনিয়ার চাকুরীর খাতিরে তা পারে, তাহলে আমি তো করছি আমার মহান প্রভুর সন্তষ্টির জন্যে, আর এর জন্য রয়েছে আখিরাতে মহাপুরষ্কার। তাই ধৈর্যধারণ করি। পুলিশ-আর্মির যেমন মোটা পোশাক গরমে অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে, ঠিক তেমনি আমার পোশাকটিও একদিন অভ্যেসে পরিণত হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সাহায্য করুন।
এটা সত্যি যে অনেকের প্রচন্ড গরম থেকে মাথা ব্যাথা শুরু হয় আর পর্দা করলে হয়তো সেটা আরো তীব্র আকার ধারণ করে। যাহোক, যাদের এমন অবস্থা হয় তাদের জন্য আমরা দু’আ করি এবং তারা নিজেরাও যেন এই সমস্যার জন্য মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চান। কারণ পর্দা আল্লাহর ফরয হুকুম, আর প্রত্যেকের আমলের হিসাব প্রত্যেককেই দিতে হবে, এর জন্য কোন প্রকার ছাড় নেই। তাই এই ফরয কীভাবে পালন করা যায় তার জন্য নিজেদেরকেই একটি সুন্দর সমাধান বের করে আনতে হবে। তবে যাদের মাথা ব্যাথার সমস্যা আছে। তাদের অবশ্যই উচিত এ ব্যাপারে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা। মনে রাখতে হবে আমার সবচেয়ে বড় সান্ত্বনা হচ্ছে আমি আল্লাহর ফরয হুকুম পর্দা পালন করে ইবাদতের মধ্যে শামিল আছি, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সাহায্য করবেন।
৮৭
প্রশ্ন : ৮৫) কেউ পর্দা করেন না লজ্জায় এবং মানুষের উপহাসের ভয়ে। কারণ পর্দা করলে অন্যেরা আনস্মার্ট বা ব্যাকডেটেট ভাবতে পারে। এ থেকে উত্তরণের উপায় কি?আল্লাহ নারীকে যে সৌন্দর্য দান করেছেন, তা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং তা কেবল তার নিজের জন্য এবং স্বামীর জন্যই সু-নির্দিষ্ট। সেই অমূল্য সম্পদ (সৌন্দর্য) লোকের দৃষ্টির সম্মুখে প্রকাশ না করাইতো প্রকৃত স্মার্টের কাজ। তাই এই অমূল্য সম্পদ সংরক্ষণ করতে লজ্জা কোথায়? পর্দা করার কারণে প্রথম প্রথম আমার কাছে আনস্মার্ট বা ক্ষেত মনে হতে পারে কিন্তু এক সময় দেখা যাবে আমার মনে প্রকৃত শান্তি ফিরে এসেছে কারণ আমি আল্লাহ তাআলার হুকুম পালন করছি। আসলে যারা পর্দা করেন তাদেরকে সবাই খুবই সম্মানের চোখে দেখেন। যুগ পরিবর্তন হয়ে গেছে পর্দানশীনদের এখন আর কেউ আনস্মার্ট বা ক্ষেত ভাবেন না।
যারা এমন বলেন তারা হয়তো খুব গভীরভাবে চিন্তা করে বলেন না। আমরা এই বইয়ের উপরের প্রশ্নের উত্তরগুলো যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকি তাহলে অবশ্যই বুঝতে পেরেছি যে পর্দার আসল উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব কী? মহান আল্লাহ তাআলা কাদের উপর এই পর্দা ফরয করেছেন আর কেনই বা ফরয করেছেন? একজন কম বয়সী নারীর রূপসৌন্দর্য দেখে একজন পরপুরুষের যে ক্ষতি হবে তা কোন বৃদ্ধাকে দেখে হবে না। আর এতে সকল পরপুরুষ রক্ষা পাবে সেই সাথে সমাজও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। আল্লাহ তা'আলা বলেন :
“যে সকল অতি বৃদ্ধা স্ত্রী লোক পুনরায় কোন বিবাহের আশা পোষণ করে না, তারা যদি দোপাট্টা খুলে রাখে তা হলে তাতে কোন দোষ নেই। তবে শর্ত এই যে, বেশভূষা প্রদর্শন করা যেন তাদের উদ্দেশ্য না হয়। এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা তাদের জন্যে মঙ্গলময়। আর আল্লাহ সবকিছুই জানেন ও শুনেন।” (সূরা নূর ও ৬০)
“যে সকল অতি বৃদ্ধা স্ত্রী লোক পুনরায় কোন বিবাহের আশা পোষণ করে না, তারা যদি দোপাট্টা খুলে রাখে তা হলে তাতে কোন দোষ নেই। তবে শর্ত এই যে, বেশভূষা প্রদর্শন করা যেন তাদের উদ্দেশ্য না হয়। এ ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা তাদের জন্যে মঙ্গলময়। আর আল্লাহ সবকিছুই জানেন ও শুনেন।” (সূরা নূর ও ৬০)
আসলে এটা আমাদের দেশের একটা কালচার, আমরা ছোটবেলা থেকে পর্দা করার পরিবেশ স্কুল বা নিজ বাড়ি থেকে পাই না এবং যখন বুঝতে শিখি তখন। একা একা পর্দা করতেও লজ্জাবোধ করি। তাই বিয়ের পর স্বামী যদি চান তখন অনেকে পর্দা করা শুরু করি। আসলে ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে পর্দা প্রাপ্তবয়স্কা হলেই করতে হয়। তাই পারিবারিকভাবে প্রতিটি বাড়িতে পর্দার পরিবেশ গড়ে উঠা উচিত এবং প্রতিটি বাবা-মাকে এজন্য সচেতন হওয়া উচিত। যদি কেউ। এমন ভাবেন যে এখন মোটামুটি এভাবে চলি বিয়ের পর না হয় পুরোদমে পর্দা। শুরু করব। কিন্তু আমি এখন বেঁচে আছি, আর আমার কি এক মিনিটেরও ভরসা আছে? এক মিনিট তো দূরের কথা এক সেকেন্ডেরও ভরসা নেই! তাহলে বিবাহের পরে পর্দা করার কী নিশ্চয়তা আছে? তাই পর্দা সলাত-সিয়ামের মতোই ফরয, যখন থেকে পর্দা ফরয হয়েছে তখন থেকে পর্দা না করার কারণে গুনাহগার হতে হবে।
৯০
প্রশ্ন : ৮৮) কেউ কেউ বলেন, আল্লাহ পুরুষের উপর পর্দা ফরয না করে, কেবল নারীদের উপরে করে যুলুম করেছেন। একথার যুক্তি কতটুকু?পর্দা কেবল নারীর উপরেই ফরয নয়, বরং পুরুষের উপরেও ফরয- তাই তো আল্লাহ সূরা আন নূরের ৩০ নং আয়াতে ঘোষণা করেছেন। “হে নবী! মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হিফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন ....।” (সূরা আন-নূর ও ৩০)
৯১
প্রশ্ন : ৮৯) কেউ কেউ হয়তো বলেন যে, পর্দানশীন মেয়েদের চরিত্র খারাপ, অতএব পর্দার দরকার নেই, এভাবেই ভাল আছি। এটি কি আদৌও সত্য?এটা ঠিক যে আমাদের দেশে কিছু অসাধ নারী পর্দার নাম করে নানা রকম অন্যায় কাজ করেন। তবে তাদের সংখ্যা খুবই কম। আসলে তারা পর্দাটাকে ব্যবহার করে অবৈধ কাজ করার জন্য, সেই জন্য পর্দার কোন দোষ নেই। পর্দাতো আল্লাহ তাআলার দেয়া বিধান। ধরুণ কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ছিনতাই করার কাজে আর কেউ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক কাজে। তাই বলে তো মোবাইল ফোনকে দোষ দেয়া যাবে না। একজন অন্যায় করেছে বলে সবাইকে এক পাল্লায় না মাপাই উচিত। যার যার আমল তার তার কাছে। অনুরূপ যার যার হিসাবও তার তার নিকট।
৯২
প্রশ্নঃ ৯০) আবার অনেকে সাধারণত পর্দা করেই চলেন কিন্তু যখন কোন পার্টিতে বা অনুষ্ঠানে যান তখন পর্দা ছেড়ে দেন। এই কাজটা কি ঠিক?এই চিত্র খুবই কম দেখা যায়। তিনি হয়তো মনে করেন এই অনুষ্ঠানে কেউ পর্দা করে আসবে না, আমি একা করলে কেমন দেখায় এবং আমার হাজবেন্ডের বন্ধুরাই বা কী ভাববেন! এছাড়া তিনি নিজের অজান্তে এসব অনুষ্ঠানে পর্দা ছেড়ে দিয়ে সাজসজ্জার মাধ্যমে একধরণের ইনডাইরেক্ট প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পরেন এবং পরিণামে ক্ষতিগ্রস্থ হন। আসলে সবকিছুর মূলে তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি। আমি পর্দা কেন করবো বা কার ভয়ে করবো সেটা যদি আমার কাছে পরিষ্কার থাকে তাহলে আর কোথাও পর্দা করতে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা না। তাই মহান আল্লাহ দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করা ফরয করে দিয়েছেন। বিশেষ অনুরোধ : ইসলামকে বুঝতে হলে অবশ্যই কিছু পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই। কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য বুঝতে হবে, কুরআনের মূল আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে, রসূল (ﷺ) -এর আগমনের উদ্দেশ্য জানতে হবে, এবং Islamic way of life সম্পর্কে ভাল জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
ক) হিজাব (পর্দা) হবে এমন লম্বা কাপড় যা পুরো শরীরটাকে ঢেকে দিবে।
খ) হিজাব হবে মোটা কাপড়ের যার মধ্যদিয়ে মেয়েলি শরীরের কোন কিছু দেখার বা বুঝার কোন আশঙ্কা থাকবে না।
গ) কাপড় হবে সাধারণ, কারুকার্য বিহীন।
ঘ) সংকীর্ণ বা চিকন হবে না বরং প্রশস্ত ও মোটা হবে যাতে করে হিজাব পরিহিতার শরীরের গঠন আকৃতি পরিলক্ষিত না হয়।
ঙ) পোশাকটি প্রসিদ্ধ হবে না।
চ) সুগন্ধিময় হতে পারবে না।
ছ) রঙিন হবে না (আকর্ষণীয় রংয়ের হবে না)।
জ) পুরুষদের ব্যবহৃত পোশাকের অনুরূপ হবে না।
খ) হিজাব হবে মোটা কাপড়ের যার মধ্যদিয়ে মেয়েলি শরীরের কোন কিছু দেখার বা বুঝার কোন আশঙ্কা থাকবে না।
গ) কাপড় হবে সাধারণ, কারুকার্য বিহীন।
ঘ) সংকীর্ণ বা চিকন হবে না বরং প্রশস্ত ও মোটা হবে যাতে করে হিজাব পরিহিতার শরীরের গঠন আকৃতি পরিলক্ষিত না হয়।
ঙ) পোশাকটি প্রসিদ্ধ হবে না।
চ) সুগন্ধিময় হতে পারবে না।
ছ) রঙিন হবে না (আকর্ষণীয় রংয়ের হবে না)।
জ) পুরুষদের ব্যবহৃত পোশাকের অনুরূপ হবে না।
উপরের কুরআনের শর্তানুযায়ী পর্দা আকর্ষণীয় বা প্রসিদ্ধ হওয়া যাবে না। যেমন বোরকা বা স্কার্ফ আকর্ষণীয় কারুকার্য খচিত বা ডিজাইনের হওয়া যাবে না যাতে করে কোন পুরুষের দৃষ্টি কোন নারীর দিকে পরতে পারে এবং তার মনে কোন প্রকার চিন্তার সুযোগ দেয়া যাবে না, কেউ যেন মনে মনে বলতে না পারে “ওয়াও খুব সুন্দর লাগছে তো !”
কুরআনে আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী বলা হয়েছে নারীদের বুকের উপর সাধারণ। ওড়না ছাড়াও অতিরিক্ত মোটা চাদর জাতীয় ওড়না ব্যবহার করতে হবে যেন কোনভাবেই তার বুক বোঝা না যায়।
“আর মুমিন নারীদের বলে দাও, তারা যেন নিজেদের চোখ বাঁচিয়ে চলে, লজ্জাস্থানের হিফাযত করে এবং রূপ সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে চলে, তবে যা এমনিতেই প্রকাশ হয়ে পড়ে তা ছাড়া। আর যেন তারা নিজেদের বক্ষদেশের উপর ওড়না ফেলে রাখে।” (সূরা আন নূর : ৩১)।
“হে নবী (ﷺ) আপন বিবি, কন্যা ও মুমিন নারীদের বলে দিন, তারা যেন তাদের শরীর ও মুখমন্ডল চাদর দ্বারা আবৃত করে রাখে। এতে করে তাদের চেনা সহজ হবে এবং তাদের উত্যক্তও করা হবে না।” (সূরা আল আহযাব : ৫৯)।
“আর মুমিন নারীদের বলে দাও, তারা যেন নিজেদের চোখ বাঁচিয়ে চলে, লজ্জাস্থানের হিফাযত করে এবং রূপ সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে চলে, তবে যা এমনিতেই প্রকাশ হয়ে পড়ে তা ছাড়া। আর যেন তারা নিজেদের বক্ষদেশের উপর ওড়না ফেলে রাখে।” (সূরা আন নূর : ৩১)।
“হে নবী (ﷺ) আপন বিবি, কন্যা ও মুমিন নারীদের বলে দিন, তারা যেন তাদের শরীর ও মুখমন্ডল চাদর দ্বারা আবৃত করে রাখে। এতে করে তাদের চেনা সহজ হবে এবং তাদের উত্যক্তও করা হবে না।” (সূরা আল আহযাব : ৫৯)।
এমন কোন আকর্ষণীয় পারফিউম বা বডি স্প্রে ব্যবহার করা উচিত নয় যার কারণে (মিষ্টি ঘ্রানে) পরপুরুষের দৃষ্টি কোন নারীর দিকে গিয়ে পরতে পারে এবং তাকে নিয়ে মনে মনে কোন চিন্তা করতে পারে। তবে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে যে শরীর থেকে ঘামের দুর্গন্ধও যেন না বের হয়। তাই সতর্কতাস্বরূপ কম ঘ্রানের ডিউডেরন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
রসূল (ﷺ) বলেছেন, “আল্লাহর নারী বান্দাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করো। তবে তারা যেন সুগন্ধি লাগিয়ে বাইরে না আসে।” (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)
আল্লাহর রসূল (ﷺ) আরো বলেছেন, “যেই নারী সুগন্ধি লাগিয়ে ঘরের বাইরে লোকদের কাছে যাবে এই উদ্দেশ্যে যে লোকেরা সেই সুগন্ধি পাবে, সেই নারী যিনাকারিণী বলে গণ্য হবে।” (মুসনাদে আহমদ)
রসূল (ﷺ) বলেছেন, “আল্লাহর নারী বান্দাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করো। তবে তারা যেন সুগন্ধি লাগিয়ে বাইরে না আসে।” (আবু দাউদ, মুসনাদে আহমাদ)
আল্লাহর রসূল (ﷺ) আরো বলেছেন, “যেই নারী সুগন্ধি লাগিয়ে ঘরের বাইরে লোকদের কাছে যাবে এই উদ্দেশ্যে যে লোকেরা সেই সুগন্ধি পাবে, সেই নারী যিনাকারিণী বলে গণ্য হবে।” (মুসনাদে আহমদ)
ঐ নারীর প্রতি আল্লাহর অভিশাপ যে পরচুরা লাগায়। ঐ নারীর প্রতিও আল্লাহর অভিশাপ যে পরচুলা প্রস্তুত করে। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম) জনৈক নারী রসূলুল্লাহর (ﷺ) নিকট এসে জিজ্ঞেস করলো : হে আল্লাহর রসূল! আমার একটি মেয়ের বসন্ত উঠেছিল। এতে ওর চুল ঝরে পড়ে গেছে। এখন। সে বধূ হতে যাচ্ছে। আমি কি তার মাথায় পরচুলা জুড়ে দেবো? রসূলুল্লাহ, বললেন : যে নিজে পরচুলা লাগায় এবং যে তা লাগিয়ে দেয় তাদের উভয়ের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)।
রসূল, সেসব নারীদের উপর লানত করেছেন, যারা হাত অথবা দেহের অন্য কোনো অংশে ছিদ্র করে অথবা দাঁত কেটে কেটে ধারালো করে। অথবা আসল চুলের সাথে নকল চুল লাগায়। এর দ্বারাই উইগ ব্যবহারের বিষয়টি জানা যায়। যে, এই কাজ হারাম। কারণ উইগ প্রকৃতপক্ষে আসল চুলের সাথে নকল চুল মিশ্রিত করা এবং চুল ফাঁপিয়ে তোলার জন্যেই ব্যবহার করা হয়। এ কথাও কারও অজানা নয় যে, উইগ সৌন্দর্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ এই উইগ হচ্ছে ধোকা এবং প্রতারণার একটি বিষয়। ইসলাম থোকা, প্রতারণাকে নাজায়িয বলে আখ্যায়িত করেছে। (সহীহ বুখারী)
রসূল, সেসব নারীদের উপর লানত করেছেন, যারা হাত অথবা দেহের অন্য কোনো অংশে ছিদ্র করে অথবা দাঁত কেটে কেটে ধারালো করে। অথবা আসল চুলের সাথে নকল চুল লাগায়। এর দ্বারাই উইগ ব্যবহারের বিষয়টি জানা যায়। যে, এই কাজ হারাম। কারণ উইগ প্রকৃতপক্ষে আসল চুলের সাথে নকল চুল মিশ্রিত করা এবং চুল ফাঁপিয়ে তোলার জন্যেই ব্যবহার করা হয়। এ কথাও কারও অজানা নয় যে, উইগ সৌন্দর্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ এই উইগ হচ্ছে ধোকা এবং প্রতারণার একটি বিষয়। ইসলাম থোকা, প্রতারণাকে নাজায়িয বলে আখ্যায়িত করেছে। (সহীহ বুখারী)
রসূল (ﷺ) সেসব নারীদের উপর লানত করেছেন, যারা ভ্রর লোম পরিষ্কার করে দৃষ্টিনন্দন করে (সহীহ্ বুখারী)। তাই ভ্রর লোম তুলে চেহারার সৌন্দর্য বাড়ানো নাজায়িয।
আলকামা (রহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) লানত করলেন এমন সব নারীকে যারা অপরের অঙ্গে উলকি উৎকীর্ণ করে, যারা কপালের উপরিভাগের চুলগুলো উপড়ে ফেলে (ভ্র উপড়ে ফেলে) এবং যারা সৌন্দর্যের জন্য দাঁত সরু ও এর ফাঁক বড় করে আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলে দেয়। তখন উম্মু ইয়াকুব বলল, এটা কেন? আবদুল্লাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, আমি কেন তাকে লানত করব না, যাকে রসূলুল্লাহ, লানত করেছেন এবং আল কুরআনেও। উম্মু ইয়াকুব বলল, আল্লাহর কসম! আমি সম্পূর্ণ কুরআন পড়েছি কিন্তু এ কথা তো কোথাও পাইনি। আবদুল্লাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, আল্লাহর কসম! তুমি যদি তা পড়তে তবে অবশ্যই পেতে যে, “রসূল তোমাদেরকে যা দেন তা আকড়ে ধর এবং যা থেকে বারণ করেন, তা থেকে বিরত থাক” (সূরা হাশর : ৭)। (সহীহ বুখারী)।
http://www.youtube.com/watch?v=9gNevpKwKGs http://www.youtube.com/watch?v=S9WckQxRwN8&feature=related
আলকামা (রহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাদিআল্লাহু আনহু) লানত করলেন এমন সব নারীকে যারা অপরের অঙ্গে উলকি উৎকীর্ণ করে, যারা কপালের উপরিভাগের চুলগুলো উপড়ে ফেলে (ভ্র উপড়ে ফেলে) এবং যারা সৌন্দর্যের জন্য দাঁত সরু ও এর ফাঁক বড় করে আল্লাহর সৃষ্টিকে বদলে দেয়। তখন উম্মু ইয়াকুব বলল, এটা কেন? আবদুল্লাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, আমি কেন তাকে লানত করব না, যাকে রসূলুল্লাহ, লানত করেছেন এবং আল কুরআনেও। উম্মু ইয়াকুব বলল, আল্লাহর কসম! আমি সম্পূর্ণ কুরআন পড়েছি কিন্তু এ কথা তো কোথাও পাইনি। আবদুল্লাহ (রাদিআল্লাহু আনহু) বললেন, আল্লাহর কসম! তুমি যদি তা পড়তে তবে অবশ্যই পেতে যে, “রসূল তোমাদেরকে যা দেন তা আকড়ে ধর এবং যা থেকে বারণ করেন, তা থেকে বিরত থাক” (সূরা হাশর : ৭)। (সহীহ বুখারী)।
http://www.youtube.com/watch?v=9gNevpKwKGs http://www.youtube.com/watch?v=S9WckQxRwN8&feature=related
৯৯
প্রশ্ন : ৯৭) মেয়েরা কি মাথার চুলের খোপা উপরের দিকে খাড়া করে বাঁধতে পারবে? বা, সৌন্দয্য বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত কিছু লাগিয়ে কি খোপ বড় করতে পারবে?না, চুলের সাথে অন্য কিছু জড়িয়ে চুলকে খাড়া করে বেঁধে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যাবে না। নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) বলেছেন : দুই শ্রেণীর লোক জাহান্নামী হবে, যাদের আমি আমার যুগে দেখতে পাব না। এক শ্রেণীর লোক, তারা এমন এক সম্প্রদায়, তাদের সাথে থাকবে গরুর লেজের মত এক ধরনের লাঠি যা দ্বারা তারা মানুষকে পিটাবে। অপর শ্রেণী হল, কাপড় পরিহিতা নারী, অথচ নগ্ন, তারা পুরুষদেরকে আকৃষ্টকারিণী ও নিজেরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট। তাদের মাথা হবে উটের চোটের মত বাঁকা। তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি জান্নাতের সুঘ্রাণও তারা পাবে না। অথচ জান্নাতের সু-ঘ্রাণ অনেক অনেক দূর থেকে পাওয়া যাবে। (সহীহ মুসলিম)
প্রয়োজনে নারীদেরকে পরপুরুষের সাথে কথা বলার অনুমতি স্বয়ং আল্লাহ রব্দুল আলামীনই দিয়েছেন। রসূল (ﷺ)-এর স্ত্রীগণ তাঁদের কথার মাধ্যমে লোকদেরকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেছেন। কিন্তু যেই ক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই, দ্বীনি কোন উপকার নেই সেই ক্ষেত্রে পরপুরুষের সাথে নারীদের অযথা কথা বলা ইসলাম সমর্থন করে না। যেমন : নারীদের কণ্ঠস্বর পরপুরুষের কানে যাওয়াকে পছন্দ করা হয়নি বলেই
ইসলাম নারীদেরকে আযান দেয়ার কাজে লাগায়নি।
জামাতে সলাত আদায় করা কালে ইমাম ভুল করলে একজন পুরুষকে ‘আল্লাহু আকবার” অথবা “সুবহানাল্লাহ' বলে লোকমা দিতে বলা হয়েছে এবং একজন নারীকে বলা হয়েছে মুখে কোন শব্দ না করে হাতের উপর হাত রেখে শব্দ করতে। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
প্রয়োজনে একজন পরপুরুষের সাথে নারীদের কথা বলতে দোষ নেই। কিন্তু এইক্ষেত্রে কথা বলার ভংগি কেমন হবে তাও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। বাক্যালাপে কোমলতা অবলম্বন করতে নিষেধ করেছেন এবং প্রয়োজনীয় কথা সোজা ও স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই টেলিফোনে কোন পরপুরুষের সাথে কথা বলার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
নারীদের চেহারার সৌন্দর্য্য ও ভাবভঙ্গির মতো তাদের কণ্ঠস্বরও পুরুষদেরকে আকর্ষণ করতে পারে।
তাই কোনো পরপুরুষের সাথে কথা বলতে বাধ্য হলে নারীদেরকে অনাকর্ষণীয় স্বরে কথা বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যেন কণ্ঠস্বর শুনে কোনো পুরুষ তাদের প্রতি আকৃষ্ট হতে না পারে।
কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন : “কোমল স্বরে (বা মিষ্টি কন্ঠে) কথা বলো না, নতুবা যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে, তারা প্রলুব্ধ হবে।” (সূরা আহযাব : ৩২)।
ইসলাম নারীদেরকে আযান দেয়ার কাজে লাগায়নি।
জামাতে সলাত আদায় করা কালে ইমাম ভুল করলে একজন পুরুষকে ‘আল্লাহু আকবার” অথবা “সুবহানাল্লাহ' বলে লোকমা দিতে বলা হয়েছে এবং একজন নারীকে বলা হয়েছে মুখে কোন শব্দ না করে হাতের উপর হাত রেখে শব্দ করতে। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
প্রয়োজনে একজন পরপুরুষের সাথে নারীদের কথা বলতে দোষ নেই। কিন্তু এইক্ষেত্রে কথা বলার ভংগি কেমন হবে তাও আল্লাহ বলে দিয়েছেন। বাক্যালাপে কোমলতা অবলম্বন করতে নিষেধ করেছেন এবং প্রয়োজনীয় কথা সোজা ও স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই টেলিফোনে কোন পরপুরুষের সাথে কথা বলার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
নারীদের চেহারার সৌন্দর্য্য ও ভাবভঙ্গির মতো তাদের কণ্ঠস্বরও পুরুষদেরকে আকর্ষণ করতে পারে।
তাই কোনো পরপুরুষের সাথে কথা বলতে বাধ্য হলে নারীদেরকে অনাকর্ষণীয় স্বরে কথা বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যেন কণ্ঠস্বর শুনে কোনো পুরুষ তাদের প্রতি আকৃষ্ট হতে না পারে।
কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন : “কোমল স্বরে (বা মিষ্টি কন্ঠে) কথা বলো না, নতুবা যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে, তারা প্রলুব্ধ হবে।” (সূরা আহযাব : ৩২)।
মহান আল্লাহ তাআলা সূরা আন নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে নির্দেশ দিয়েছেন “তারা যেন নিজেদের যে সৌন্দর্য তারা লুকিয়ে রেখেছে তা লোকদের সামনে প্রকাশ করে দেবার উদ্দেশ্যে সজোরে চলাফেরা না করে।”
তাই,
হাইহিল পরলে সাবধান থাকতে হবে যেন হাঁটার সময় শব্দ না হয়। কারণ এর শব্দ পরপুরুষকে আকৃষ্ট করতে পারে।
অলংকার ব্যবহার করা যাবে কিন্তু বাইরে প্রদর্শন করা যাবে না এবং অলংকারের কোন ঝনঝনানী শব্দ পরপুরুষের কানে না যায়।
তাই,
হাইহিল পরলে সাবধান থাকতে হবে যেন হাঁটার সময় শব্দ না হয়। কারণ এর শব্দ পরপুরুষকে আকৃষ্ট করতে পারে।
অলংকার ব্যবহার করা যাবে কিন্তু বাইরে প্রদর্শন করা যাবে না এবং অলংকারের কোন ঝনঝনানী শব্দ পরপুরুষের কানে না যায়।
হিজাব আরবি শব্দ, এর উর্দু অর্থ পর্দা। সঠিক না জানার কারণে আমরা অনেকে হিজাব মানে বুঝে থাকি শুধু মাথার স্কার্ফ, অর্থাৎ মাথাটাকে একটুকরো বিশেষ সুন্দর কাপড় বা ওড়না দিয়ে ঢেকে রাখার নামই হিজাব, আসলে এটা ভুল ধারণা। পর্দার পুরোপুরি অর্থ হচ্ছে উপরের শর্তগুলো। একটা চিত্র অহরহ দেখা যায় যে কলেজ-ইউনিভার্সিটির মেয়েরা মাথায় স্কার্ফ পরেছে খুব সুন্দর করে কিন্তু নিজের অজান্তে শরীরের গঠন প্রকাশ করে ফেলছে। যেমন
ছেলেদের মতো টাইট প্যান্ট পরিধান করেছে যা পাছা, উড় এবং পায়ের গঠন সুস্পষ্ট ও আকর্ষণীয়ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে;
এমন শার্ট বা গেঞ্জি পরেছে যা বুকের, পেটের এবং কোমড়ের গঠন পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে;
এমন কাপড় পরেছে যা শরীরের অন্যান্য অংশ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
এমন প্যান্ট, জামা বা কামিজ পরেছে যা পিছনের দিক দিয়ে under garment কিছুটা দেখা যাচ্ছে।
ছেলেদের মতো টাইট প্যান্ট পরিধান করেছে যা পাছা, উড় এবং পায়ের গঠন সুস্পষ্ট ও আকর্ষণীয়ভাবে প্রকাশ পাচ্ছে;
এমন শার্ট বা গেঞ্জি পরেছে যা বুকের, পেটের এবং কোমড়ের গঠন পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে;
এমন কাপড় পরেছে যা শরীরের অন্যান্য অংশ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
এমন প্যান্ট, জামা বা কামিজ পরেছে যা পিছনের দিক দিয়ে under garment কিছুটা দেখা যাচ্ছে।
প্যান্ট-শার্ট বা ট্রাওজার-গেঞ্জি অবশ্যই ভেতরে পরা যেতে পারে কিন্তু তার উপরে অবশ্যই বোরখা বা ওভার কোট জাতীয় ঢিলেঢালা কিছু একটা পরতে হবে যাতে করে শরীরের কোন অংগ প্ৰত্যংগ বাইরে থেকে বোঝা না যায়। কিন্তু ছেলেদের মতো শুধু প্যান্ট-শার্ট বা টি-শার্ট পরে চলাফেরা করা যাবে না। কারণ ছেলেদের মতো জামা-কাপড় পড়া কুরআনের নিষেধ।
আমাদের দেশে একটা দৃশ্য অহরহ দেখা যায় যে, মেয়েরা ওড়না মাফলারের মতো গলায় পেচিয়ে রাখে আর বুকটা খোলা রাখে। আবার দেখা গেল যে। শীতকালে ওভার কোট বা জ্যাকেট পরে কোন বাসায় বেড়াতে গেলাম এবং সেই বাসায় ঢুকে যখন ওভার কোট বা জ্যাকেট খুলে রাখলাম তখন যেন ভেতরের সর্ট জামা-কাপড় বের হয়ে না পরে, তখন কিন্তু সবার সামনে লজ্জা পেতে হবে। তাই ওভার কোর্টের ভেতরেও বড় ঢিলেঢালা কাপড় পরতে হবে।
শাড়ি আমাদের দেশের একটি কমন পোশাক যা হয়তো হিন্দু কালচার থেকে এদেশে এসেছে। শাড়ি পরলে পেট বের হয়ে থাকে এবং শরীরের অন্যান্য অংশ কোন না কোনভাবে প্রকাশ পেয়ে থাকে। তাই শাড়ি-ব্লাউজে সত্যিকার পর্দা টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন যদি তার উপরে কোন বোরকা বা ওভার কোট জাতীয় কিছু না পরিধান করা হয়।
অনেকে পর্দা করেন ঠিকই কিন্তু অজ্ঞতার কারণে নিজেদের গোপন সৌন্দর্য পরপুরুষের নিকট প্রকাশ করে ফেলেন। তাদের ধারণা যে শুধু কাপড়-চোপড় হচ্ছে পর্দা। যেমন মাথায় হিজাব করেছেন ঠিকই এমনকি বোরকা বা ওভার কোট পরিধান করেছেন। কিন্তু নিজেদের গোপন সৌন্দর্য পরপুরুষের নিকট প্রকাশ করে ফেলছেন। যেমন :
লিপিস্টিক দিয়ে ঠোটকে আরো আকর্ষণীয় করে;
কসমেটিকস ব্যবহার করে মুখমন্ডলকে আরো সুন্দর করে;
ভ্রু প্লাক করে ভ্রকে আরো সুন্দর করে;
আই-ভ্র বা আই লাইনারের মাধ্যমে চোখের সৈৗন্দর্য বৃদ্ধি করে;
হাতে সুন্দর সুন্দর চুরি বা ব্রেসলেইট পরে;
আঙুলে নানা ডিজাইনের আংটি পড়ে;
হাত-পা-এর নখে নেইলপলিশ ব্যবহার করে;
পায়ে নুপুর বা ব্রেসলেট পরে;
অনেকের হয়তো এগুলো অন্যকে দেখানোর উদ্দেশ্যে থাকে না বা প্রকাশের নিয়তও থাকে না। কিন্তু সে যখন ঘরের বাইরে যাচ্ছে তখন এই সকল কারণে পরপুরুষের দৃষ্টি কিন্তু আপনা-আপনি তার উপর গিয়ে পরছে। সাজগোজ, রূপচর্চা অবশ্যই করা যেতে পারে এবং অলংকারও অবশ্যই পরতে পারবে কিন্তু তা হতে হবে শুধু নারী অঙ্গনে অর্থাৎ তা যেন পরপুরুষের নিকট কোনভাবেই প্রকাশ হয়ে না পরে। আর যেসকল নূপুর পরে হাটলে শব্দ করে তা তো অবশ্যই বাইরে পরে যেতে পারবে না। তাই মহান আল্লাহ আমাদের ভালোর জন্যই সূরা আন নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে নির্দেশ দিয়েছেন।
“তারা যেন নিজেদের যে সৌন্দর্য তারা লুকিয়ে রেখেছে তা লোকদের সামনে প্রকাশ করে দেবার উদ্দেশ্যে সজোরে চলাফেরা না করে।”
লিপিস্টিক দিয়ে ঠোটকে আরো আকর্ষণীয় করে;
কসমেটিকস ব্যবহার করে মুখমন্ডলকে আরো সুন্দর করে;
ভ্রু প্লাক করে ভ্রকে আরো সুন্দর করে;
আই-ভ্র বা আই লাইনারের মাধ্যমে চোখের সৈৗন্দর্য বৃদ্ধি করে;
হাতে সুন্দর সুন্দর চুরি বা ব্রেসলেইট পরে;
আঙুলে নানা ডিজাইনের আংটি পড়ে;
হাত-পা-এর নখে নেইলপলিশ ব্যবহার করে;
পায়ে নুপুর বা ব্রেসলেট পরে;
অনেকের হয়তো এগুলো অন্যকে দেখানোর উদ্দেশ্যে থাকে না বা প্রকাশের নিয়তও থাকে না। কিন্তু সে যখন ঘরের বাইরে যাচ্ছে তখন এই সকল কারণে পরপুরুষের দৃষ্টি কিন্তু আপনা-আপনি তার উপর গিয়ে পরছে। সাজগোজ, রূপচর্চা অবশ্যই করা যেতে পারে এবং অলংকারও অবশ্যই পরতে পারবে কিন্তু তা হতে হবে শুধু নারী অঙ্গনে অর্থাৎ তা যেন পরপুরুষের নিকট কোনভাবেই প্রকাশ হয়ে না পরে। আর যেসকল নূপুর পরে হাটলে শব্দ করে তা তো অবশ্যই বাইরে পরে যেতে পারবে না। তাই মহান আল্লাহ আমাদের ভালোর জন্যই সূরা আন নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে নির্দেশ দিয়েছেন।
“তারা যেন নিজেদের যে সৌন্দর্য তারা লুকিয়ে রেখেছে তা লোকদের সামনে প্রকাশ করে দেবার উদ্দেশ্যে সজোরে চলাফেরা না করে।”
ইসলামে কপালে টিপের ব্যাপারে কিছু নেই। নারীরা স্বামীর সামনে সাজসজ্জা করতে পারবে পরপুরুষের সামনে নয়। হিন্দু বিবাহিতা নারীরা ধর্মীয় কারণে কপালে সিঁদুরের টিপ ব্যবহার করে থাকে। মুসলিম নারীদের এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে যে যেন অন্য জাতির অনুকরণ না হয়ে যায়।
সৌন্দর্য প্রদর্শন ও পর্দাহীনতা আল্লাহর নাফরমানি ও আল্লাহর রসূল (ﷺ)-এর। অবাধ্যতা। এই অবাধ্যতা নিজেদেরই ক্ষতি। নবী (ﷺ) বলেন :
আমার সব উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে, তবে যারা অস্বীকার করে তারা ছাড়া। সাহাবী এ কথা শুনে বলল, হে আল্লাহর রসূল! যারা অস্বীকার করে তারা কারা?
রসূল (ﷺ) বললেন, যে আমার অনুকরণ করল সে জান্নাতে প্রবেশ করল, আর যে আমার নাফরমানি করল, সে অস্বীকার করল। (সহীহ বুখারী)
নিশ্চয় যারা এটা পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না। (সূরা নূর ও ১৯) শয়তান বনী আদমের চির শত্রু। পৃথিবীর শুরু থেকেই শয়তান মানুষকে বিপদে ফেলে আসছে। রসূল (ﷺ) বলেন, আমি আমার পরপুরুষদের জন্য নারীদের ফিতনার চেয়ে বড় ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাইনি। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
রসূল (ﷺ) আরো বলেন : তোমরা দুনিয়াকে ভয় কর এবং নারীকে ভয় কর, কারণ, বনী ইসরাঈলের প্রথম ফিতনা ছিল নারীর ফিতনা। (সহীহ মুসলিম)।
রসূল (ﷺ) উম্মতকে কাফিরদের সাথে সাদৃশ্য অবলম্বন করতে এবং তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে নিষেধ করেন। বিশেষ করে নারীর ক্ষেত্রে তিনি উম্মতে মুসলিমাহকে অধিক সতর্ক করেন। কিন্তু তারপর দুঃখের সাথে বলতে হয়, বর্তমানে অধিকাংশ মুসলিম নারী ও পুরুষ রসূল (ﷺ) -এর সতর্ক করণের বিরোধিতা করেন। রসূল (ﷺ) উম্মতকে যে ভবিষ্যৎ বাণী দিয়ে গেছেন, তার প্রতিফলনই আমরা আজ লক্ষ্য করছি।
রসূলুল্লাহ, বলেছেন : নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী জাতি সমূহের আচার-আচরণ সর্বোতভাবে অনুসরণ করবে। এমনকি তারা গুই সাপের গর্তে প্রবেশ করলে তোমরাও তাতে প্রবেশ করবে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন হে রসূল! পূর্ববর্তী জাতি বলতে কি ইহুদী খৃষ্টানদের বুঝানো হয়েছে? রসূলুলাহ (ﷺ) বললেন ও তারা ছাড়া আর কারা? (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
আর যে রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে তার জন্য হিদায়াত প্রকাশ পাওয়ার পর এবং মুমিনদের পথের বিপরীত পথ অনুসরণ করে, আমি তাকে ফেরাব যেদিকে সে ফিরে এবং তাকে প্রবেশ করাব জাহান্নামে। আর আবাস হিসেবে তা খুবই মন্দ। (সূরা নিসা : ১১৫)
হিদায়াতের পথ স্পষ্ট হওয়ার পরও যদি কেউ গোমরাহির পথ অবলম্বন করে, এবং মুমিনদের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধাচরণ করে, তাদের জন্য আল্লাহ রব্দুল আলামীন কঠিন আযাব রেখেছেন। আখিরাতে আল্লাহ রব্বল আলামীন তাদের কঠিন শাস্তি দেবেন। আর আখিরাতের শাস্তি কত কঠিন হবে তা বর্ণনা দিয়ে বোঝানো যাবে না।
আমার সব উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে, তবে যারা অস্বীকার করে তারা ছাড়া। সাহাবী এ কথা শুনে বলল, হে আল্লাহর রসূল! যারা অস্বীকার করে তারা কারা?
রসূল (ﷺ) বললেন, যে আমার অনুকরণ করল সে জান্নাতে প্রবেশ করল, আর যে আমার নাফরমানি করল, সে অস্বীকার করল। (সহীহ বুখারী)
নিশ্চয় যারা এটা পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না। (সূরা নূর ও ১৯) শয়তান বনী আদমের চির শত্রু। পৃথিবীর শুরু থেকেই শয়তান মানুষকে বিপদে ফেলে আসছে। রসূল (ﷺ) বলেন, আমি আমার পরপুরুষদের জন্য নারীদের ফিতনার চেয়ে বড় ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাইনি। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
রসূল (ﷺ) আরো বলেন : তোমরা দুনিয়াকে ভয় কর এবং নারীকে ভয় কর, কারণ, বনী ইসরাঈলের প্রথম ফিতনা ছিল নারীর ফিতনা। (সহীহ মুসলিম)।
রসূল (ﷺ) উম্মতকে কাফিরদের সাথে সাদৃশ্য অবলম্বন করতে এবং তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করতে নিষেধ করেন। বিশেষ করে নারীর ক্ষেত্রে তিনি উম্মতে মুসলিমাহকে অধিক সতর্ক করেন। কিন্তু তারপর দুঃখের সাথে বলতে হয়, বর্তমানে অধিকাংশ মুসলিম নারী ও পুরুষ রসূল (ﷺ) -এর সতর্ক করণের বিরোধিতা করেন। রসূল (ﷺ) উম্মতকে যে ভবিষ্যৎ বাণী দিয়ে গেছেন, তার প্রতিফলনই আমরা আজ লক্ষ্য করছি।
রসূলুল্লাহ, বলেছেন : নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী জাতি সমূহের আচার-আচরণ সর্বোতভাবে অনুসরণ করবে। এমনকি তারা গুই সাপের গর্তে প্রবেশ করলে তোমরাও তাতে প্রবেশ করবে। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন হে রসূল! পূর্ববর্তী জাতি বলতে কি ইহুদী খৃষ্টানদের বুঝানো হয়েছে? রসূলুলাহ (ﷺ) বললেন ও তারা ছাড়া আর কারা? (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
আর যে রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে তার জন্য হিদায়াত প্রকাশ পাওয়ার পর এবং মুমিনদের পথের বিপরীত পথ অনুসরণ করে, আমি তাকে ফেরাব যেদিকে সে ফিরে এবং তাকে প্রবেশ করাব জাহান্নামে। আর আবাস হিসেবে তা খুবই মন্দ। (সূরা নিসা : ১১৫)
হিদায়াতের পথ স্পষ্ট হওয়ার পরও যদি কেউ গোমরাহির পথ অবলম্বন করে, এবং মুমিনদের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধাচরণ করে, তাদের জন্য আল্লাহ রব্দুল আলামীন কঠিন আযাব রেখেছেন। আখিরাতে আল্লাহ রব্বল আলামীন তাদের কঠিন শাস্তি দেবেন। আর আখিরাতের শাস্তি কত কঠিন হবে তা বর্ণনা দিয়ে বোঝানো যাবে না।
১১০
প্রশ্নঃ ১০৮) কাপড় পরিহিতা হয়েও বিবস্ত্রা ও অন্যদের আকর্ষণকারিণী হওয়া বলতে হাদীসে কি বলা হয়েছে?রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : জাহান্নামবাসী দু'ধরনের লোক, যাদের আমি (এখনও) দেখতে পাইনি। একদল লোক, যাদের সাথে গরুর লেজের ন্যায় চাবুক থাকবে, তা দিয়ে তারা লোকজনকে পিটাবে। আর এক দল স্ত্রীলোক, যারা বস্ত্র পরিহিতা হয়েও বিবস্ত্রা, যারা অন্যদের আকর্ষণকারিণী ও আকৃষ্টাকারিণী, তাদের মাথার চুলের অবস্থা উটের হেলে পড়া কুঁজের ন্যায়। ওরা জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এমনকি তার সুগন্ধিও পাবে না। অথচ এত দূর থেকে তার সুগন্ধি পাওয়া যায়। (সহীহ মুসলিম)।
বাড়ীর ভেতরে নারীদের কর্মব্যস্ত থাকাকালে সবসময় সতর ঢেকে থাকা কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই বাড়ীর অন্দর মহলে পুরুষদের অবাধ যাতায়াত থাকা উচিত নয়। সেখানে মেয়েরা যাতে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে এর পূর্ণ সুযোগ থাকতে হবে। স্বামী-স্ত্রীর ছোট্ট সংসারে পর্দার সমস্যা নেই। কিন্তু একান্নবর্তি বা যৌথ পরিবারে এটা রীতিমতো সমস্যা। নিকটাত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও যেসব পুরুষের সাথে দেখা দেয়া শরীয়তে নিষেধ তাদের অন্দর মহলে যেতে দেয়া মোটেই উচিত নয়। তাহলে মেয়েরা সতর না ঢেকে অবাধে নিজেদের কাজকর্ম করতে পারবে।
“হে নবী! মুমিন পুরুষদের বলে দাও তারা যেন নিজেদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে। এবং নিজেদের লজ্জাস্থানসমূহের হিফাজত করে। এটি তাদের জন্য বেশী পবিত্র পদ্ধতি। যা কিছু তারা করে আল্লাহ তা জানেন। আর হে নবী! মু'মিন নারীদের বলে দাও তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানগুলোর হিফাজত করে আর তাদের সাজসজ্জা না দেখায়, যা নিজে নিজে প্রকাশ হয়ে যায় তা ছাড়া। আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে। তারা যেন তাদের সাজসজ্জা প্রকাশ না করে, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়া। স্বামী, বাবা, স্বামীর বাবা, নিজের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, অতি বৃদ্ধ, নিজের খরিদকৃত গোলাম, নিজের মেলামেশার মেয়েদের, এমন শিশুদের সামনে ছাড়া যারা মেয়েদের গোপন বিষয় সম্পর্কে এখনো অজ্ঞ।
হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর কাছে তাওবা করো, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে।” (সূরা আন নূর : ৩০-৩১)।
হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর কাছে তাওবা করো, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে।” (সূরা আন নূর : ৩০-৩১)।
বাড়ির সাবালক ছেলেদেরও ঘরে ঢোকার সময়ে অনুমতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যাতে করে ঘরে অবস্থানকালে অসতর্ক অবস্থায় যেন সতর কারও দৃষ্টিগোচর না হয়। সূরা আন নূর এর ৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন : “তোমাদের ছেলেরা যখন বুদ্ধির পরিপক্কতা পর্যন্ত পৌঁছবে, তখন তারা অবশ্যই যেন অনুমতি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে। যেমন তাদের বড়রা অনুমতি নিয়ে ঘরে ঢোকে।”
হ্যা, দেবর ও ভাসুরের সামনেও পর্দা করতে হবে। মেয়েদের এটুকু সচেতন থাকা দরকার যে তাদের শরীরের কোন অংশ খোলা থাকা অবস্থায় এবং ভালভাবে না ঢেকে স্বামী ছাড়া আর কারো সামনে যাওয়া শালীনতার বিরোধী। অথচ রসূল (ﷺ) দেবরকে ‘যম’ মনে করে সাবধান থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে স্বামী ও শাশুড়ীর সহযোগীতা পেলে সমস্যা থাকে না। তাছাড়া এক বাড়ীতে বসবাস করে দেবরকে মোটেই দেখা না দিয়ে থাকা সবচেয়ে কঠিন। তাইতো স্বামী ও শাশুড়ীর সহযোগীতা না পাওয়া পর্যন্ত দেখা দিতে হলে ভালভাবে সতর ঢাকা থাকা দরকার অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে পর্দা করেই দেবরের বা ভাসুরের সামনে যেতে হবে। বিনা প্রয়োজনে তাদের সাথে কথা বলা যাবে না, হাসি-ঠাট্টা, খোস-গল্প করা যাবে না।
রসূল (ﷺ) বলেছেন সাবধান! নিভৃত নারীদের নিকটে যেওনা, জনৈক আনসার বললেন হে আল্লাহর রসূল! দেবর সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কি? নবী কারীম (ﷺ) বললেন, সেতো মৃত্যুর সমান। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, তিরমিযী)
রসূল (ﷺ) বলেছেন সাবধান! নিভৃত নারীদের নিকটে যেওনা, জনৈক আনসার বললেন হে আল্লাহর রসূল! দেবর সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কি? নবী কারীম (ﷺ) বললেন, সেতো মৃত্যুর সমান। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, তিরমিযী)
হ্যা, দুলাভাইয়ের সামনেও পর্দা করতে হবে। আমাদের সমাজে শ্যালিকাদুলাভাই সম্পর্ক খুবই বিপদজনক! সাধারণত দেখা যায় বিয়ের দিন থেকেই শ্যালিকা-দুলাভাই একটি হাসি ঠাট্টার সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং এতে পরিবারের কেউ কিছু মনে করেন না। কারণ এটা আমাদের কালচারের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু কুরআন-হাদীসের আলোকে এই সম্পর্ক হারাম। তাই শ্যালিকাকে অবশ্যই দুলাভাই এর সামনে ১০০% পর্দা মেইনটেইন করে চলতে হবে।
অবশ্যই এদের সামনে পরিপূর্ণ পর্দা করতে হবে। চাচাত, মামাত, খালাত ও ফুফাত ভাইদের সাথে পর্দা না করার কুফল সমাজে কারো অজানা নয়। আল্লাহ তা'আলা অনর্থক পর্দার হুকুম দেননি। বাড়ীর মুরুব্বীরা যদি নিজেদের বাড়ীতে পর্দার বিধান চালু রাখার চেষ্টা করেন তাহলে মেয়েদের কোনো সমস্যা পোহাতে হয় না। মেয়েদের বেপর্দা হওয়ার জন্য পিতা-মাতাই আসলে দায়ী। আল্লাহর কাছে তারা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবেন বলে যদি অন্তরে ভয় থাকে তাহলে। কোনো পিতা-মাতা এ বিষয়ে অবহেলা করতে পারেন না।
অবশ্যই প্রাইভেট শিক্ষকের সাথে পর্দা করতে হবে। আর গৃহ শিক্ষকের মাধ্যমে নানা অঘটন তো রয়েছেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একসময় ছাত্রী শিক্ষকের প্রেমে পরে যায় এবং একদিন শিক্ষক ছাত্রীকে নিয়ে উধাও। এমনও দেখা গেছে যে ঠিকমতো পর্দা রক্ষা না করার কারণে সন্তানের শিক্ষকের সাথে সন্তানের মায়ের অবৈধ সম্পর্ক হয়ে গেছে।
আবার অনেকেই বাড়ির ড্রাইভার, দারোয়ান, কেয়ারটেকার বা চাকরের সামনে। পর্দা করেন না, মনে করেন এরা তো আমাদের নিজেদেরই লোক। মনে রাখতে হবে এদের সামনেও অবশ্যই পর্দা করতে হবে, এরা সম্পূর্ণরূপে পরপুরুষ, এদের সামনে পর্দা করা ফরয। আসলে পর্দা মেনে চলা প্রধানতঃ মেয়েদের মনোবলের উপরই নির্ভর করে। যে মেয়ে পর্দা পালন করে তাকে বেপর্দা হবার জন্য কেউ চাপ দেয় না। স্বামী যদি শরীয়তের ব্যাপারে অমনোযোগী হয় তাহলে সে-ই শুধু চাপ দিয়ে স্ত্রীকে বেপর্দা করার চেষ্টা করে। তা না হলে দেবর ও চাচাত মামাত ভাইয়েরা কিছু সময় অসন্তুষ্ট থাকলেও পর্দা পালনের কারণে দোষ দেয় না, বরং অন্তরে শ্রদ্ধাই করে।
মুসলিম নারীকেও স্বাভাবিক প্রয়োজনেই বাড়ীর বাইরে যেতে হয়। বাড়ীর ভেতরে থাকাকালে বাপ ভাইয়ের সামনে যেখানে সতর ঢাকা প্রয়োজন, সেখানে ঘরের বাইরে তো নিশ্চয়ই আরও বেশী সতর্ক হওয়া উচিত। আজকাল পার্টিতে, অফিসে, শপিং মলে, পার্কে, রেস্টুরেন্টে, ইউনিভার্সিটিতে যে ধরনের পোশাক পরে নারীরা চলাফেরা করেন তা মুসলিম নারীর কোনো পরিচয় বহন করে কিনা তা ভেবে দেখা উচিত! নারীদের দেহের যে তিনটি অংশ সতরের বাইরে রাখা হয়েছে সেটুকু সহ গোটা শরীর ঢেকে রাখার নামই হলো পর্দা। বিশেষ করে বাড়ীর বাইরে পরপুরুষদের সামনে যেতে হলে চেহারা অবশ্যই ঢেকে রাখা প্রয়োজন। ইসলামী পরিভাষায় এর নাম হলো হিজাব বা পর্দা। পর্দা সম্পর্কে কুরআনে সূরা নূর ও সূরা আহযাবে বিস্তারিত বিধান দেয়া হয়েছে। যাদের সাথে বিয়ে হারাম নয় এমন ঘনিষ্ট আত্মীয়দের সাথেও পর্দা করার নির্দেশ রয়েছে। কারণ তাদের সাথে দেখা সাক্ষাত ও মেলামেশার পরিণামে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠার আশংকা রয়েছে। আজকাল সমাজে ব্যাপকভাবেই যে এসব হচ্ছে তা কারোই অজানা নয়।
বিশেষ করে যেসকল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কো-এডুকেশন সেখানে তো অবশ্যই ছাত্রীদের ১০০% পর্দা মেইন্টেন করে চলতে হবে। ছাত্রদের সাথে। বিনা প্রয়োজনে গল্প-আডড়া দেয়া যাবে না। গ্রুপ স্টাডি বা এসাইনমেন্ট করতে গিয়ে ছেলেমেয়ে সবাই মিলে একাকার হওয়া যাবে না। এবং পুরুষ শিক্ষকের সাথেও অবশ্যই পর্দা করতে হবে যদিও সে পিতার বয়সী হন। এছাড়া কোন শিক্ষকের কাছে গ্রুপে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে বা কোন কোচিং সেন্টারে কোচিং করতে গিয়েও অবশ্যই পর্দা মেনে চলতে হবে।
কোনো সুস্থ মনের নারী কখনও এটা কামনা করতে পারেন না যে, তার স্বামী ছাড়া অন্য কেউ তার প্রতি আকৃষ্ট হোক। তাই এ মনোভাবের নারীর পক্ষে নিজেকে আকর্ষণীয় সাজে সজ্জিত করে পরপুরুষের সামনে তার সৌন্দর্য প্রকাশ করার মতো মানসিকতা প্রদর্শন করা সম্ভব নয়। আসলে যারা সাধারণত পর্দা করেন না তারা কেউ-ই এ ব্যাপারটা এতোটা গভীরভাবে কখনও চিন্তা করে দেখেন নাই। একটু ভেবে দেখি যে, যাদের দৃষ্টি আমাদের সৌন্দর্য উপভোগ করছে তারা নিশ্চয়ই পবিত্র মন নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে নেই। যে দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকায় সে দৃষ্টিতে কি কেউ আমাদেরকে দেখে?
বাড়ীর বাইরে যাবার পূর্বে সাজগোজ করার সময় এ কয়টি কথা ঠান্ডা মাথায় ও সুস্থ মনে বিবেচনা করা উচিত :
ক) আমি কাদের সামনে আমার রূপ সৌন্দর্য প্রকাশ করতে চাচ্ছি? আমার সৌন্দর্য উপভোগ করার অধিকার একমাত্র আমার স্বামীর। আমি কী তার জন্য এভাবে কখনো সাজগোজ করি?
খ) সাজগোজ করে রাস্তায় চলার সময় যখন সবাই আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তখন আমার মনে কেমন বোধ হয়?
গ) এভাবে সৌন্দর্য প্রকাশ করে আমি দুনিয়ায় কী উপকার পাচ্ছি? এটা না। করলে আমার কী ক্ষতি হতো?
ঘ) যারা আমাকে দেখে চোখ ও মনের জিনায় লিপ্ত হলো তাদের এ কবীরা গুনাহের জন্য আখিরাতে আমি দায়ী হবো কিনা?
ঙ) আমার এ আচরণ থেকে আমার কন্যারা কী শিক্ষাগ্রহণ করছে? তাদের বিবেক কি এটা ভাল কাজ বলে মনে করছে?
আমি এভাবে হয়তো এতদিন চিন্তা করিনি। অনেকেই যা করছে আমিও ফ্যাশন বা আধুনিকতা হিসেবে তা করে যাচ্ছি। যুক্তি, বুদ্ধি, বিবেক ও নৈতিকতাবোধের বিচারে আমার এ অভ্যাস সঠিক বলে আমার মন কিছুতেই সায় দিতে পারে না। সাজসজ্জা কোন দোষণীয় নয়। নারী মহলে সেজেগোজে যেতে ইসলাম আপত্তি করে না। শুধু পরপুরুষদের দৃষ্টি থেকে নিজের সৌন্দর্যকে লুকিয়ে রাখাই হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ তাও মানবজাতির কল্যাণে।
ক) আমি কাদের সামনে আমার রূপ সৌন্দর্য প্রকাশ করতে চাচ্ছি? আমার সৌন্দর্য উপভোগ করার অধিকার একমাত্র আমার স্বামীর। আমি কী তার জন্য এভাবে কখনো সাজগোজ করি?
খ) সাজগোজ করে রাস্তায় চলার সময় যখন সবাই আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তখন আমার মনে কেমন বোধ হয়?
গ) এভাবে সৌন্দর্য প্রকাশ করে আমি দুনিয়ায় কী উপকার পাচ্ছি? এটা না। করলে আমার কী ক্ষতি হতো?
ঘ) যারা আমাকে দেখে চোখ ও মনের জিনায় লিপ্ত হলো তাদের এ কবীরা গুনাহের জন্য আখিরাতে আমি দায়ী হবো কিনা?
ঙ) আমার এ আচরণ থেকে আমার কন্যারা কী শিক্ষাগ্রহণ করছে? তাদের বিবেক কি এটা ভাল কাজ বলে মনে করছে?
আমি এভাবে হয়তো এতদিন চিন্তা করিনি। অনেকেই যা করছে আমিও ফ্যাশন বা আধুনিকতা হিসেবে তা করে যাচ্ছি। যুক্তি, বুদ্ধি, বিবেক ও নৈতিকতাবোধের বিচারে আমার এ অভ্যাস সঠিক বলে আমার মন কিছুতেই সায় দিতে পারে না। সাজসজ্জা কোন দোষণীয় নয়। নারী মহলে সেজেগোজে যেতে ইসলাম আপত্তি করে না। শুধু পরপুরুষদের দৃষ্টি থেকে নিজের সৌন্দর্যকে লুকিয়ে রাখাই হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ তাও মানবজাতির কল্যাণে।
কর্মজীবি নারীদেরও কর্মক্ষেত্রে পর্দা করা ফরয। পুরুষ কলিগ, কো-ওয়ার্কার, বস, কোম্পানির মালিক এবং অন্যান্য পুরুষদের সামনে অবশ্যই পর্দা করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে লাঞ্চের সময় অনেক সময় দেখা যায় সবাই মিলে একসাথে আডডা দেয়া হয় বা সময় কাটানো হয় এবং এই ক্ষেত্রে সীমালংঘন করা যাবে না। পুরুষ-নারী মিলেমিশে একাকার হওয়া যাবে না অর্থাৎ ফ্রী মিক্সিং হওয়া যাবে না। যদি চাকুরী করার সার্থে কর্মক্ষেত্রে পর্দা করা সম্ভব না হয় তাহলে আখিরাতের ময়দানে কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। কারণ পাঁচ ওয়াক্ত সলাত যেমন ফরয তেমনি পর্দা করাও ফরয। যে সকল নারীরা চাকুরী করেন তাদেরকে সাধারণত পুরুষদের সাথে মিলেমিশেই কাজ করতে হয়। কোন কোন কর্মক্ষেত্রে মেয়েদেরকে ছেলেদের পোশাক পড়তে হয়। কোন কোন কাজে তাদের দেয়া নির্দিষ্ট ইউনিফর্মও পড়তে হয়। এই বেপর্দা পোশাকেই একজন নারীকে প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা অন্যান্য পুরুষদের সাথে পাশাপাশি কাজ করতে হয় এবং অনেক কর্মক্ষেত্রে কাষ্টমার সার্ভিস দিতে হয়। মনে রাখতে হবে এইসকল পুরুষ কাষ্টমার সহকর্মীরা সবাই পরপুরুষ। আমাকে এই বিষয়ে খুব গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে, সমস্যা সমাধানের জন্য পরিবারে অন্যান্যদের সাথে পরামর্শ করতে হবে, প্রয়োজন হলে ইসলামিক স্কলারদের সাথে কথা বলতে হবে।
কুরআন-হাদীসের আলোকে বিশ্লেষণ ও আমি জ্বীন এবং মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য। (সূরা যারিয়াত : ৫৬)
একজন মুমিনের প্রতিটি কাজ ইবাদত যদি তা আল্লাহর হুকুমের মধ্যে থেকে হয় এবং রসূল (ﷺ) -এর দেখিয়ে দেয়া উপায়ে হয়। অর্থ উপার্জন একটি ইবাদত যদি তা হালাল উপায়ে হয় এবং পর্দার মধ্যে থেকে হয়। এই বইয়ের
আগাগোড়াই আমরা কুরআন এবং সহীহ হাদীস থেকে দলিল পেয়েছি যে সলাত-সিয়ামের মতো পর্দাও একটি ফরয ইবাদত। তাই অর্থ উপার্জনের ইবাদত করতে গিয়ে অন্য ফরয ইবাদত পর্দা অমান্য করাও যাবে না। আরেকটি বিশেষ দিক তা হচ্ছে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে অর্থাৎ লোভ কন্ট্রোল করতে হবে। আমার কী পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অর্থ উপার্জনে প্রতিযোগীতা পরিবারে নিয়ে আসতে পারে অশান্তি। তাই অর্থ উপার্জনেও লিমিট থাকা প্রয়োজন। আল্লাহ বলেন : প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল করে রাখে, এমনকি তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও। (সূরা আত তাকাসুর : ১-২)
বনি আদমের কাছে যদি দুই উপত্যকা সমান সম্পদ থাকে তারপরও সে তৃতীয় একটি উপত্যকা কামনা করবে, তার পেট মাটি ছাড়া আর কোন কিছু দিয়ে ভরবে না। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
প্রত্যেক জাতির জন্য একটি ফিতনা আছে। আর আমার উম্মতের ফিতনা হচ্ছে সম্পদ। (তিরমিযী)
মানুষ বৃদ্ধ হলেও তার দুটি জিনিস বৃদ্ধ হয় না - ধনসম্পত্তি অর্জনের লালসা ও দীর্ঘ জীবনের আশা। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
আল্লাহর নির্ধারিত রিযিক পূর্ণ মাত্রায় লাভ না করা পর্যন্ত কোন লোকই মারা যাবে না। সাবধান! আল্লাহকে ভয় কর এবং বৈধ পন্থায় আয় উপার্জনের চেষ্টা কর। রিযিকপ্রাপ্তিতে বিলম্ব যেন তোমাদেরকে অবৈধ পন্থা অবলম্বনে প্ররোচিত করে। কেননা আল্লাহর কাছে যা কিছু রয়েছে তা কেবল আনুগত্যের মাধ্যমে লাভ করা যায়। (ইবনে মাজাহ)
রসুল (ﷺ) বলেছেন, মানবজাতির কাছে এমন একটি যমানা আসবে, যখন মানুষ কামাই রোযগারের ব্যাপারে হালাল-হারামের কোন পরওয়া করবে। (সহীহ বুখারী)।
কুরআন-হাদীসের আলোকে বিশ্লেষণ ও আমি জ্বীন এবং মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য। (সূরা যারিয়াত : ৫৬)
একজন মুমিনের প্রতিটি কাজ ইবাদত যদি তা আল্লাহর হুকুমের মধ্যে থেকে হয় এবং রসূল (ﷺ) -এর দেখিয়ে দেয়া উপায়ে হয়। অর্থ উপার্জন একটি ইবাদত যদি তা হালাল উপায়ে হয় এবং পর্দার মধ্যে থেকে হয়। এই বইয়ের
আগাগোড়াই আমরা কুরআন এবং সহীহ হাদীস থেকে দলিল পেয়েছি যে সলাত-সিয়ামের মতো পর্দাও একটি ফরয ইবাদত। তাই অর্থ উপার্জনের ইবাদত করতে গিয়ে অন্য ফরয ইবাদত পর্দা অমান্য করাও যাবে না। আরেকটি বিশেষ দিক তা হচ্ছে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে অর্থাৎ লোভ কন্ট্রোল করতে হবে। আমার কী পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অর্থ উপার্জনে প্রতিযোগীতা পরিবারে নিয়ে আসতে পারে অশান্তি। তাই অর্থ উপার্জনেও লিমিট থাকা প্রয়োজন। আল্লাহ বলেন : প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল করে রাখে, এমনকি তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও। (সূরা আত তাকাসুর : ১-২)
বনি আদমের কাছে যদি দুই উপত্যকা সমান সম্পদ থাকে তারপরও সে তৃতীয় একটি উপত্যকা কামনা করবে, তার পেট মাটি ছাড়া আর কোন কিছু দিয়ে ভরবে না। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
প্রত্যেক জাতির জন্য একটি ফিতনা আছে। আর আমার উম্মতের ফিতনা হচ্ছে সম্পদ। (তিরমিযী)
মানুষ বৃদ্ধ হলেও তার দুটি জিনিস বৃদ্ধ হয় না - ধনসম্পত্তি অর্জনের লালসা ও দীর্ঘ জীবনের আশা। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
আল্লাহর নির্ধারিত রিযিক পূর্ণ মাত্রায় লাভ না করা পর্যন্ত কোন লোকই মারা যাবে না। সাবধান! আল্লাহকে ভয় কর এবং বৈধ পন্থায় আয় উপার্জনের চেষ্টা কর। রিযিকপ্রাপ্তিতে বিলম্ব যেন তোমাদেরকে অবৈধ পন্থা অবলম্বনে প্ররোচিত করে। কেননা আল্লাহর কাছে যা কিছু রয়েছে তা কেবল আনুগত্যের মাধ্যমে লাভ করা যায়। (ইবনে মাজাহ)
রসুল (ﷺ) বলেছেন, মানবজাতির কাছে এমন একটি যমানা আসবে, যখন মানুষ কামাই রোযগারের ব্যাপারে হালাল-হারামের কোন পরওয়া করবে। (সহীহ বুখারী)।
ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে পুরুষের দায়িত্ব হলো সংসারের সকল খরচ বহন করা। অর্থাৎ পরিবারের ভরণ-পোষণের সমস্ত দায়-দায়িত্ব স্বামীর (সহীহ বুখারী)। স্ত্রী চাকুরী করতে বাধ্য না বা তাকে আয়-রোজগার করার জন্য স্বামী কোন প্রকার চাপ প্রয়োগও করতে পারবেন না। হ্যা যদি স্ত্রী চাকুরী করার কারণে সংসারে অতিরিক্ত কিছু আসে তাহলে তা আলহামদুলিল্লাহ তবে স্ত্রী অবশ্যই পর্দার মধ্যে থেকে আয়-রোজগার করবেন। এবং অতিরিক্ত আয় করতে গিয়ে যদি স্ত্রীকে বেপর্দা হতে হয় বা ঠিক মতো পর্দা করা সম্ভব না হয় তাহলে তার দায়-দায়িত্ব নিজের আমলনামা ছাড়াও স্বামীর আমলনামায় এসে পরবে। অর্থাৎ এই কবীরা গুনাহর জন্য এবং ফরয হুকুম অমান্য করার জন্য আল্লাহর কাছে দু’জনকেই জবাবদিহি করতে হবে। তবে স্বামী যদি স্ত্রীর চাকুরী করা পছন্দ না করেন তাহলে জোর করে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি করে চাকুরী করা যাবে না।
যদি পরিবারের অবস্থা এমন হয় যে স্বামী চাকুরী করতে শারীরিকভাবে অক্ষম (disable) এবং স্ত্রী-ই একমাত্র কাজের জন্য যোগ্য তাহলে তো কোন উপায়ই নেই। তবে এক্ষেত্রেও স্ত্রীকে যতদূর সম্ভব পর্দার মধ্যে থেকে চাকুরী করতে হবে। এবং জীবন বাঁচানোর জন্য পর্দা কিছুটা ভঙ্গ হলেও আর একটি ভাল চাকুরীর সন্ধানে থাকতে হবে এবং পর্দা বজায় রেখে কাজ করা যায় এমন চাকুরীতে যত দ্রুত সম্ভব পরিবর্তন করতে হবে।
এমন যদি হয় যে স্বামী তার প্রফেশন অনুযায়ী চাকুরী পাচ্ছেন না এবং তিনি তার এডুকেশন অনুযায়ী প্রফেশন ছাড়া চাকুরীও করবেন না বা ভাল অন্য কোন। প্রফেশন ছাড়াও চাকুরী করবেন না এবং তিনি হয়তো আরো পড়াশোনা করবেন। আর তাই স্ত্রীকে যদি বেপর্দা হয়ে চাকুরী করতে হয় তাহলে এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। স্বামীকে আল্লাহর উপর ভরসা করে যে কোন হালাল কাজ বেছে নিতে হবে একটু কষ্ট হলেও নিজ প্রফেশনে চাকুরী না পাওয়া পর্যন্ত। মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন :
“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।” (সূরা তালাক : ৩)
ইসলামী নৈতিকতার দিক থেকে কোন বৈধ পেশাই ছোট নয় আবার কোনটি বড়ও নয়। আসল হলো আয়-রোজগারের ক্ষেত্রে হারাম হালাল বাছবিচার করে উপার্জন করা। আল্লাহর নবীগণ ছিলেন মানব ইতিহাসের সবচাইতে সম্মানীত মানুষ। তাঁরা সবাই নিজ হস্তে জীবিকা উপার্জন করতেন। অতএব সর্বপ্রথম আমাদেরকে এ মূলনীতি ঠিক করতে হবে যে, কাজ বা পেশা যাই হোক না কেন। কোনটিই ছোট নয় আবার কোনটি বড়ও নয়। বরং আদর্শভিত্তিক জীবন ও আদর্শের জন্য সমস্ত ত্যাগই আল্লাহর কাছে প্রিয়।
“যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।” (সূরা তালাক : ৩)
ইসলামী নৈতিকতার দিক থেকে কোন বৈধ পেশাই ছোট নয় আবার কোনটি বড়ও নয়। আসল হলো আয়-রোজগারের ক্ষেত্রে হারাম হালাল বাছবিচার করে উপার্জন করা। আল্লাহর নবীগণ ছিলেন মানব ইতিহাসের সবচাইতে সম্মানীত মানুষ। তাঁরা সবাই নিজ হস্তে জীবিকা উপার্জন করতেন। অতএব সর্বপ্রথম আমাদেরকে এ মূলনীতি ঠিক করতে হবে যে, কাজ বা পেশা যাই হোক না কেন। কোনটিই ছোট নয় আবার কোনটি বড়ও নয়। বরং আদর্শভিত্তিক জীবন ও আদর্শের জন্য সমস্ত ত্যাগই আল্লাহর কাছে প্রিয়।
১২৭
প্রশ্ন : ১২৫) অফিসে একজন নারী এবং একজন পুরুষ (শুধুমাত্র দু’জন) কর্মকর্তা কি একই রুমে বসে কাজ করতে পারবে?ইসলাম বলে কোন স্থানে শুধুমাত্র একজন নারী ও একজন পুরুষ যখন একাকী থাকে তখন সেখানে তৃতীয় একজন উপস্থিত থাকে আর সে হচ্ছে ইবলিস শয়তান, তার কাজ হচ্ছে ফিতনা সৃষ্টি করা। তাই একটি রুমে একজন পরনারী এবং একজন পরপুরুষ একাকী কিছুতেই বসা ঠিক না, এতে দূর্ঘটনা ঘটার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ আজকাল বেশিরভাগ নারীরাই শিক্ষিতা, শুধু তাই নয় অনেকেই উচ্চ শিক্ষিতা। আমরা শিক্ষিতারা অনেকেই মনে করি যে এত পড়াশোনা করেছি, কীভাবে ঘরে বসে থাকি? একটা কিছু করা প্রয়োজন, শিক্ষাটাকে কাজে লাগানো প্রয়োজন। শিক্ষাকে অবশ্যই কাজে লাগানো প্রয়োজন, আর এই শিক্ষাকে কীভাবে কাজে লাগাবো, কোন ক্ষেত্রে কাজে লাগাবো সেদিকে ভেবে চিন্তে এগুতে হবে। সবকিছুর মূলে হচ্ছে তাকওয়া (আল্লাহভীতি), কারণ আমি যত উচ্চ শিক্ষিতাই হই না কেন আমাকে একদিন আখিরাতের ময়দানে মহান বিচারকের সামনে দাঁড়াতে হবে, প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর এক এক করে দিতে। হবে। তাই আমরা যা কিছু করব তা অবশ্যই তাকওয়ার সীমার মধ্যে থেকে করব এবং কোন ক্ষেত্রেই সীমালঙ্ঘন করব না, আল্লাহর কোন হুকুমকেই অমান্য করব না। এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে আল্লাহর প্রতিটি হুকুম পালনের মধ্যেই রয়েছে আমাদের প্রকৃত কল্যাণ। তাই আমাকে যদি চাকরি করতেই হয় তাহলে বাছবিচার না করে এবং অতিরিক্ত পয়সার প্রতি না ঝুকে দেখেশুনে এমন কাজ নেয়া উচিত যেন পর্দা করে চলতে পারি। একটু কম পয়সার চাকরি হলেও আল্লাহর উপর ভরসা রাখি, ইন্শাআল্লাহ আল্লাহ আমাকে অন্যদিক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে বরকত দিয়ে দিবেন কারণ আমি মহান আল্লাহর ফরয নির্দেশ পালন করার চেষ্টা করছি। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমীন।
আমরা যেন কেউ কাউকে ভুল না বুঝি। উপরের কয়েকটি প্রশ্ন-উত্তরে এ কথা বলা হচ্ছে না যে নারীরা চাকুরী করবেন না বা চাকুরী করতে পারবেন না। নারীরা অবশ্যই চাকরি করতে পারবেন কিন্তু আল্লাহর ফরয হুকুম পর্দা মেটে করে। মুসলিমদের dress code হচ্ছে Women rights অর্থাৎ একজন নারী যেমন ইচ্ছা তেমন ড্রেস পরতে পারবেন এক্ষেত্রে কারো কিছু বলার নেই। আর মুসলিম নারীদের পর্দা হচ্ছে তাদের religious rights এবং সেই সাথে Women rights। তাই আমরা যেন পর্দা করতে কিছুতেই সংকোচ বোধ না করি। আমি পর্দা করার কারণে আমার কর্মক্ষেত্রে বা রাস্তা-ঘাটে কেউ আমাকে। কোন নেগেটিভ মন্তব্য করলে আমি অবশ্যই আইনের আশ্রয় নিতে পারবো, তাই ভয়ের কিছু নেই।
দেশে হোক আর প্রবাসে হোক আমাদের ছেলেমেয়েরা সাধারণত ছেলেমেয়ে মিশ্রিত (কম্বাইন্ড) স্কুল, কলেজ বা ইউনির্ভাসিটিতে পড়াশোনা করে থাকে। আমরা কী কখনও গভীরভাবে চিন্তা করে দেখেছি? কী ড্রেসে আমাদের মেয়েদেরকে স্কুল, কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে পাঠাচ্ছি? আমার মেয়ে যদি পর্দা করে না থাকে তাহলে এর জন্য কে দায়ী হবে? কারণ আমার মেয়ে পর্দা না করার কারণে সে নিজে, আমি (অভিভাবক) এবং অন্যান্য ছেলেরাও গুনাহগার হচ্ছে! তাই আমার সতর্ক হওয়া উচিত নয় কী?
আজকাল ছেলেমেয়ে একে অপরের সাথে হ্যান্ডশেক করে থাকে, এটা বিদেশেী কালচার। আজকাল বাংলাদেশেও হরহামেসাই এমনটি ঘটে থাকে। কিন্তু আমি একজন মুসলিম, ইসলাম হচ্ছে আমার কালচার। ইসলাম যেখানে অবৈধভাবে একে অপরের দিকে তাকানোটাই অনুমোদন করে না সেখানে হ্যান্ডশেক বা হাত মেলানো তো প্রশ্নই উঠে না। হ্যা অনেক সময় আমাদেরকে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়।
যেমন কোন অমুসলিম যদি হাত বাড়িয়ে দেয় হ্যান্ডশেক করার জন্যে তখন আমি ভদ্রতার খাতিরে কী করবো? এর উত্তর কিন্তু আমার কাছেই আছে। যেমন ধরি কেউ যদি আমাকে ওয়াইন বা বিয়ার অফার করে তখন আমি ভদ্রতার খাতিরে কী করি? অবশ্যই সেটা পান করি না! তবে এই সকল বিষয়গুলো অমুসলিমদের সাথে খুব সুন্দর উপায়ে (হিকমতের সাথে) সামলিয়ে নিতে হবে। যাতে আমার সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে সে ইসলামের প্রকৃত ম্যাসেজ বা দাওয়াত পেয়ে যায়।
যেমন কোন অমুসলিম যদি হাত বাড়িয়ে দেয় হ্যান্ডশেক করার জন্যে তখন আমি ভদ্রতার খাতিরে কী করবো? এর উত্তর কিন্তু আমার কাছেই আছে। যেমন ধরি কেউ যদি আমাকে ওয়াইন বা বিয়ার অফার করে তখন আমি ভদ্রতার খাতিরে কী করি? অবশ্যই সেটা পান করি না! তবে এই সকল বিষয়গুলো অমুসলিমদের সাথে খুব সুন্দর উপায়ে (হিকমতের সাথে) সামলিয়ে নিতে হবে। যাতে আমার সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে সে ইসলামের প্রকৃত ম্যাসেজ বা দাওয়াত পেয়ে যায়।
যিনা আরবী শব্দ। এর অর্থ হলো বিয়ে বহির্ভুত নরনারীর মধ্যকার অবৈধ সম্পর্ক। বিভিন্ন উপায়ে নারী এবং পুরুষের মধ্যে যিনা সংগঠিত হয়ে থাকে। সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম ও আবু দাউদ অনুযায়ী জানা যাকঃ
ক) কামভাবে কারো দিকে তাকানো চোখের যিনা (জীবন্ত মানুষ বা পর্ণগ্রাফী)।
খ) কামভাবে কারো কণ্ঠস্বর শোনা কানের যিনা।
গ) কামভাবে কাউকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা হাতের যিনা।
ঘ) কামভাবে কারো দিকে দুই পা অগ্রসর হওয়া পায়ের যিনা।
ঙ) কামভাবে কারো সঙ্গে কথা বলা জিহবার যিনা।
চ) কামভাবে কারো কথা মনে মনে চিন্তা করা মনের যিনা।
ছ) কামভাব মনে রেখে email/chatting করা হাতের ও মনের যিনা।
জ) কামভাব মনে রেখে কাউকে text/sms পাঠানো হাতের ও মনের যিনা।
প্রকৃত যিনার পূর্বে এত ধরনের আনুষঙ্গিক যিনা হয়ে থাকে তাই আল্লাহ বলেছেন- “তোমরা যিনার নিকটবর্তীও হইও না।” (সূরা বনী ইসরাঈল : ৩২)
ক) কামভাবে কারো দিকে তাকানো চোখের যিনা (জীবন্ত মানুষ বা পর্ণগ্রাফী)।
খ) কামভাবে কারো কণ্ঠস্বর শোনা কানের যিনা।
গ) কামভাবে কাউকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা হাতের যিনা।
ঘ) কামভাবে কারো দিকে দুই পা অগ্রসর হওয়া পায়ের যিনা।
ঙ) কামভাবে কারো সঙ্গে কথা বলা জিহবার যিনা।
চ) কামভাবে কারো কথা মনে মনে চিন্তা করা মনের যিনা।
ছ) কামভাব মনে রেখে email/chatting করা হাতের ও মনের যিনা।
জ) কামভাব মনে রেখে কাউকে text/sms পাঠানো হাতের ও মনের যিনা।
প্রকৃত যিনার পূর্বে এত ধরনের আনুষঙ্গিক যিনা হয়ে থাকে তাই আল্লাহ বলেছেন- “তোমরা যিনার নিকটবর্তীও হইও না।” (সূরা বনী ইসরাঈল : ৩২)
আমাদের কাছে যখন কোন দামী সম্পদ, স্বর্ণালংকার ইত্যাদি থাকে তা আমরা লোকচক্ষুর দৃষ্টি থেকে লুকিয়ে রাখি, লকারে রাখি বা ব্যাংকে রাখি যাতে কেউ চুরি-ডাকাতি করে নিয়ে যেতে না পারে। এই সম্পদ দেখে কারো লোভও হতে। পারে, হিংসাও জাগতে পারে। ঠিক তেমনি নারীর মহামূল্যবান রূপ-সৌন্দর্য আল্লাহ তা'আলা দিয়েছেন তাকে আমানত স্বরূপ। এই রূপ আল্লাহ তাআলা চাইলে যেকোন সময় আবার ফেরত নিয়েও নিতে পারেন। তাই মহান আল্লাহর দেয়া এই রূপ-সম্পদ নারীর উচিত পরপুরুষ থেকে লুকিয়ে রাখা, ঢেকে রাখা, আড়াল করে রাখা, আর এতেই রয়েছে তার প্রকৃত কল্যাণ। এতে সে দুই দিক দিয়ে লাভবান হচ্ছে - এক, আল্লাহর হুকুম পালন করছে আর অন্যদিকে তার মহামূল্যবান সম্পদ পরপুরুষের কু-দৃষ্টি হতে রক্ষা পাচ্ছে। আসলে নারীর রূপসৌন্দর্য্য শুধু তার স্বামীর জন্য। এই রূপ অন্য কাউকে প্রদর্শন করলে অকল্যাণ ছাড়া জীবনে কোন প্রকার কল্যাণ নেই।
জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী হবে মহিলা- কথাটি ঠিক। কেননা নবী (ﷺ) একদা খুৎবা প্রদানের সময় তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “হে নারী সমাজ! তোমরা বেশী বেশী করে সদাকা কর। কারণ আমি জাহান্নামের অধিকাংশকেই দেখেছি তোমাদের মধ্যে থেকে। জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী কেন মহিলাদের মধ্যে থেকে হবে- এই প্রশ্ন নবী (ﷺ) -কে করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন, তোমরা বেশী পরিমাণে মানুষের উপর অভিশাপ করে থাক এবং স্বামীর সদাচরণ অস্বীকার কর। (সহীহ বুখারী) নবী (ﷺ) এই হাদীসে নারীদের বেশী হারে জাহান্নামে যাওয়ার কারণ বর্ণনা করেছেন। তারা বেশী পরিমাণে মানুষকে গালি-গালাজ করে, অভিশাপ করে, এবং স্বামীর অকৃতজ্ঞ হয়।
স্ত্রীকে স্পর্শ করলে কখনোই ওযু ভঙ্গ হবে না। একথার দলীল হচ্ছে, নবী (ﷺ) থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত, তিনি স্ত্রীকে চুম্বন করে সলাত আদায় করতে বের হয়েছেন কিন্তু ওযূ করেন নি। কেননা দলীল না থাকলে ওযু ভঙ্গ হয় না। যদি বলা হয়, আল্লাহ তো বলেছেন, “অথবা যদি তোমরা স্ত্রীদের স্পর্শ কর।”
উত্তরে বলা হবে : আয়াতে স্ত্রীদের স্পর্শ করার অর্থ হচ্ছে তাদের সাথে সহবাসে। লিপ্ত হওয়া। যেমনটি ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া আয়াতের মধ্যে তাহারাত বা পবিত্রতাকে দু'ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে? প্ৰকৃতরূপ ও বদলীরূপ এবং পবিত্রতাকেও দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে : ছোট পবিত্রতা ও বড় পবিত্রতা। অনুরূপভাবে ছোট পবিত্রতার কারণ ও বড় পবিত্রতার কারণও উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, “হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা সলাতের ইচ্ছা কর, তখন তোমরা মুখমন্ডল ও হাত দু'টি কনুই পর্যন্ত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং দু’পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত কর।” (সূরা মায়িদা : ৬)
এখানে পানি দ্বারা প্রকৃত ছোট পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। তারপর আল্লাহ বলেন, “তোমরা যদি অপবিত্র হও, তবে পবিত্রতা অর্জন কর।” এখানে পানি দ্বারা প্রকৃত বড় পবিত্রতা অর্জনের কথা আলোচনা করা হয়েছে। তারপর আল্লাহ আবার বলেন, “ তোমরা যদি অসুস্থ হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ পেশাব-পায়খানা করে অথবা তোমরা স্ত্রীদের স্পর্শ কর, তারপর পানি না পাও, তবে তোমরা তায়াম্মুম কর।” এখানে। (তায়াম্মুম কর) কথাটি পানি দ্বারা প্রকৃত পবিত্রতা অর্জন করার বদলীরূপ (পরিবর্তীত পদ্ধতি) আলোচনা করা হয়েছে। এখানে তোমাদের কেউ পেশাবপায়খানা করে একথা দ্বারা অপবিত্রতার ছোট একটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এবং স্ত্রীদের স্পর্শ কর’ কথাটি দ্বারা অপবিত্রতার বড় একটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এখন যদি স্ত্রীদের স্পর্শ কর’ কথাটি দ্বারা সাধারণভাবে হাত দ্বারা স্পর্শ করার অর্থ করা হয়, তবে তো আল্লাহ এই আয়াতে অপবিত্রতার দু'টিই ছোট কারণ উল্লেখ করলেন এবং বড় কারণ উল্লেখ করা ছেড়ে দিলেন। অথচ তিনি এর আগে বলেছেন, “তোমরা যদি অপবিত্র হও, তবে পবিত্রতা অর্জন কর।” এটা কুরআনের বালাগাতের বা উচ্চাঙ্গ সাহিত্যের পরিপন্থী। তাই আয়াতে স্ত্রীদের স্পর্শ কর’ কথাটি দ্বারা বুঝা যায় স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা। তাহলেই তো আয়াতে দু'টি তাহারাতের বর্ণনা পাওয়া যায়। বড় কারণ এবং ছোট কারণ। ছোট পবিত্রতা হচ্ছে, শরীরের চারটি অঙ্গের সাথে সম্পর্কিত। আর বড় পবিত্রতা সমস্ত শরীরের সাথে সম্পর্কিত। আর বদলী পবিত্রতা তায়াম্মুম শুধুমাত্র দুটি অঙ্গের সাথে সম্পর্কিত চাই তা বড় পবিত্রতার ক্ষেত্রে হোক বা ছোট পবিত্রতার ক্ষেত্রে। এই ভিত্তিতে আমরা বলব, স্ত্রীকে স্পর্শ করা কখনই ওযু ভঙ্গের কারণ নয়। চাই স্পর্শ উত্তেজনার সাথে হোক বা উত্তেজনার সাথে না। হোক। তবে স্পর্শ করার কারণে যদি কোন কিছু নির্গত হয় তবে তা বিধান ভিন্ন। যদি বীর্য বের হয়, তবে গোসল করা ফরয আর মযী নির্গত হলে অন্ডোকোষসহ লিঙ্গ ধৌত করে ওযূ করা আবশ্যক।
আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) কখনো তাঁর কোন স্ত্রীকে চুম্বন করতেন অতঃপর সলাত আদায় করতেন কিন্তু ওযূ করতেন না। (তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, আহমাদ)।
উত্তরে বলা হবে : আয়াতে স্ত্রীদের স্পর্শ করার অর্থ হচ্ছে তাদের সাথে সহবাসে। লিপ্ত হওয়া। যেমনটি ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাছাড়া আয়াতের মধ্যে তাহারাত বা পবিত্রতাকে দু'ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে? প্ৰকৃতরূপ ও বদলীরূপ এবং পবিত্রতাকেও দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে : ছোট পবিত্রতা ও বড় পবিত্রতা। অনুরূপভাবে ছোট পবিত্রতার কারণ ও বড় পবিত্রতার কারণও উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, “হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা সলাতের ইচ্ছা কর, তখন তোমরা মুখমন্ডল ও হাত দু'টি কনুই পর্যন্ত ধৌত কর, মাথা মাসেহ কর এবং দু’পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত কর।” (সূরা মায়িদা : ৬)
এখানে পানি দ্বারা প্রকৃত ছোট পবিত্রতা অর্জনের পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। তারপর আল্লাহ বলেন, “তোমরা যদি অপবিত্র হও, তবে পবিত্রতা অর্জন কর।” এখানে পানি দ্বারা প্রকৃত বড় পবিত্রতা অর্জনের কথা আলোচনা করা হয়েছে। তারপর আল্লাহ আবার বলেন, “ তোমরা যদি অসুস্থ হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ পেশাব-পায়খানা করে অথবা তোমরা স্ত্রীদের স্পর্শ কর, তারপর পানি না পাও, তবে তোমরা তায়াম্মুম কর।” এখানে। (তায়াম্মুম কর) কথাটি পানি দ্বারা প্রকৃত পবিত্রতা অর্জন করার বদলীরূপ (পরিবর্তীত পদ্ধতি) আলোচনা করা হয়েছে। এখানে তোমাদের কেউ পেশাবপায়খানা করে একথা দ্বারা অপবিত্রতার ছোট একটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এবং স্ত্রীদের স্পর্শ কর’ কথাটি দ্বারা অপবিত্রতার বড় একটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এখন যদি স্ত্রীদের স্পর্শ কর’ কথাটি দ্বারা সাধারণভাবে হাত দ্বারা স্পর্শ করার অর্থ করা হয়, তবে তো আল্লাহ এই আয়াতে অপবিত্রতার দু'টিই ছোট কারণ উল্লেখ করলেন এবং বড় কারণ উল্লেখ করা ছেড়ে দিলেন। অথচ তিনি এর আগে বলেছেন, “তোমরা যদি অপবিত্র হও, তবে পবিত্রতা অর্জন কর।” এটা কুরআনের বালাগাতের বা উচ্চাঙ্গ সাহিত্যের পরিপন্থী। তাই আয়াতে স্ত্রীদের স্পর্শ কর’ কথাটি দ্বারা বুঝা যায় স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা। তাহলেই তো আয়াতে দু'টি তাহারাতের বর্ণনা পাওয়া যায়। বড় কারণ এবং ছোট কারণ। ছোট পবিত্রতা হচ্ছে, শরীরের চারটি অঙ্গের সাথে সম্পর্কিত। আর বড় পবিত্রতা সমস্ত শরীরের সাথে সম্পর্কিত। আর বদলী পবিত্রতা তায়াম্মুম শুধুমাত্র দুটি অঙ্গের সাথে সম্পর্কিত চাই তা বড় পবিত্রতার ক্ষেত্রে হোক বা ছোট পবিত্রতার ক্ষেত্রে। এই ভিত্তিতে আমরা বলব, স্ত্রীকে স্পর্শ করা কখনই ওযু ভঙ্গের কারণ নয়। চাই স্পর্শ উত্তেজনার সাথে হোক বা উত্তেজনার সাথে না। হোক। তবে স্পর্শ করার কারণে যদি কোন কিছু নির্গত হয় তবে তা বিধান ভিন্ন। যদি বীর্য বের হয়, তবে গোসল করা ফরয আর মযী নির্গত হলে অন্ডোকোষসহ লিঙ্গ ধৌত করে ওযূ করা আবশ্যক।
আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) কখনো তাঁর কোন স্ত্রীকে চুম্বন করতেন অতঃপর সলাত আদায় করতেন কিন্তু ওযূ করতেন না। (তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, আহমাদ)।
এটা একটা ভুল ধারণা, পোশাক সম্পর্কে আইন পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য প্রযোজ্য, উভয়কেই চলাফেরার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ ইসলামী আইন মেনে চলতে হয়। এ সংক্রান্ত যে আইন আল্লাহ দিয়েছেন তাতে তিনি ছেলেদের তুলনায় মহিলাদের আওরা বেশী নির্ধারণ করেছেন, যেমন মেয়েদের মাথা ঢাকতে হয় যেটা ছেলেদের করতে হয় না। তবে মোয়ামেলাত বা সামাজিক মেলামেশার জন্য ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্য সাধারণ নিয়ম একই।
কিছু আলেম মনে করেন রাষ্ট্রপতি, বিচারক ও সেনাপ্রধান এই তিনটি পদে মহিলাদের আসা উচিত নয়। কুরআনে রাষ্ট্রের শীর্ষপদে মহিলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কিছু নেই। তবে আলেমরা যে হাদীসটি উল্লেখ করেন যে আল্লাহর রসূল (ﷺ) বলেন, “সে জাতি উন্নতি করতে পারে না যারা তাদের নেতা হিসেবে একজন নারীকে নির্বাচিত করে।” রসূল (ﷺ) পারস্যের শাহজাদী “পুরান” এর রাষ্ট্রপ্রধানের জন্য মনোনীত হওয়া প্রসংগে এ মন্তব্য করেন বলে জানা যায়। (এ হাদীসের যথার্থতা ও ব্যাখ্যা নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ আছে)।
রাষ্ট্রপ্রধান: ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধানকে সকল কাজে নেতৃত্ব দিতে হয়, প্রধান সলাতের জামাতের ইমামতিও করতে হয়, সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্বও পালন করতে হয়। যেহেতু মেয়েরা সলাতে পুরুষদের ইমামতি করতে পারেন না, তাই রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বও তারা পালন করতে পারেন না। এছাড়া এটা একটা ফুলটাইম জব, এধরনের টাইম কমিটমেন্ট মুসলিম মেয়েদের জন্য অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।
বিচারক : ইমাম আবু হানিফার মতে, মেয়েরা যেহেতু আদালতে স্বাক্ষী দিতে পারেন, তাই তারা বিচারকও হতে কোন বাঁধা নেই।
সেনাপ্রধান: মহিলারা সেনাপ্রধান হতে পারবেন না এসম্পর্কে অনেক আলেম দ্বিমত পোষণ করেন।
রাষ্ট্রপ্রধান: ইসলামী রাষ্ট্রের প্রধানকে সকল কাজে নেতৃত্ব দিতে হয়, প্রধান সলাতের জামাতের ইমামতিও করতে হয়, সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্বও পালন করতে হয়। যেহেতু মেয়েরা সলাতে পুরুষদের ইমামতি করতে পারেন না, তাই রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বও তারা পালন করতে পারেন না। এছাড়া এটা একটা ফুলটাইম জব, এধরনের টাইম কমিটমেন্ট মুসলিম মেয়েদের জন্য অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে।
বিচারক : ইমাম আবু হানিফার মতে, মেয়েরা যেহেতু আদালতে স্বাক্ষী দিতে পারেন, তাই তারা বিচারকও হতে কোন বাঁধা নেই।
সেনাপ্রধান: মহিলারা সেনাপ্রধান হতে পারবেন না এসম্পর্কে অনেক আলেম দ্বিমত পোষণ করেন।
১৩৯
প্রশ্নঃ ১৩৭) মহিলাদের সাক্ষী ছেলেদের তুলনায় অর্ধেক কেন? অনেক সময় বলা হয় ১জন ছেলে সাক্ষীর সমান হলো দু’জন মেয়ে সাক্ষী, এতে কি মহিলাদের খাটো করা হলো না?এটা শুধুমাত্র আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত চুক্তি ইত্যাদির সাক্ষী হবার সময় প্রযোজ্য, ক্রিমিনাল কেসে এটা প্রযোজ্য নয় (ডঃ জামাল বাদাবি)। মেয়েরা সাধারণত ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকেন ও এধরনের চুক্তিতে সাক্ষ্য কম দেন বলে তারা যদি চুক্তি সংক্রান্ত কোন কিছু ভুলে যান তাই দু’জন সাক্ষী রাখতে বলা হয়েছে যাতে একজন আরেকজনকে চুক্তির শর্ত মনে করিয়ে দিতে পারেন। বরং এই ব্যবস্থার ফলে মেয়েরা যাতে এধরনের চুক্তির সাক্ষী হতে পারেন তার বাঁধা দূর করা হয়েছে। কুরআনে ৭ জায়গায় সাক্ষ্যদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার মাত্র ১ জায়গায় আর্থিক বিষয়ে ২জন পুরুষ না পেলে ১ জন পুরুষ ও ২ জন নারী সাক্ষী নিতে বলা হয়েছে (সূরা বাকারা : ২৮২)
১৪০
প্রশ্নঃ ১৩৮) স্বামীকে অধিকার দেয়া হয়েছে স্ত্রীকে প্রহার করার, কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে এর ব্যাখ্যা কি?সূরা আন নিসার ৩৪ আয়াতে বলা হয়েছে “আর যখন কোন নারীর অবাধ্যতার আশংকা করো তা হলে তোমরা তাদের (ভালো কথার মাধ্যমে) উপদেশ দাও, (তাতে ফল না হলে) তাদের থেকে বিছানা আলাদা করো, (তাতেও সংশোধন না হলে চুড়ান্ত ব্যবস্থা হিসেবে) তাদের (মৃদু) প্রহার করো, যদি তারা এমনিতেই সংশোধিত হয়, তবে (কষ্ট দেয়ার জন্য) তাদের কোন অজুহাত খুঁজে বেড়িয়োনা।
এই আয়াতের প্রেক্ষাপট : যায়িদ ইবনে জুবায়ের (রা.)-এর কন্যা হাবিবা (রা.)এর বিয়ে হয় সাদ ইবনে রাবী (রা.)-র সাথে। একদিন স্বামী চড় দিলে হাবিবা (রা.) এসে পিতার কাছে অভিযোগ করলে তিনি মেয়েসহ রসূল (ﷺ) -এর কাছে আসেন মিমাংসার জন্য। রসূল আys হাবিবাকে বলেন স্বামীর উপর কিসাস নেয়ার জন্য। একথা শুনে তারা যখন চলে যাচ্ছিলেন তখন এই আয়াত নাযিল হয় যাতে স্বামীর উপর কিসাস নিষিদ্ধ হয়। এর কিছুদিন পরে মদিনার মহিলারা এসে রসূল (ﷺ) -এর স্ত্রীদের কাছে স্বামীদের মারধরের অভিযোগ করলে রসূল (ﷺ) বলেন, দেখা যাচ্ছে বহু মহিলা মুহাম্মাদের পরিবারের কাছে তাদের স্বামীদের সম্পর্কে অভিযোগ করছে, ওরা (মারধরকারী স্বামীরা) মোটেই তোমাদের মধ্যে ভালো লোক নয়। রসূলুল্লাহ নিজের জীবনে শুধু প্রথম ২টা ব্যবস্থা নিয়েছেন, তিনি জীবনে কোন স্ত্রীকে প্রহার করেন নি, এমনকি বকাও দেন নি। রসূল (ﷺ) বলেছেন, যার চরিত্র সবচেয়ে উত্তম, সে সবচেয়ে বেশী পূর্ণ ঈমানদার। আর তোমাদের মধ্যে ভালো লোক হলো সেই সে তার স্ত্রীর নিকট সবচেয়ে ভালো। রসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ভালো লোক হলো সে, যে তার স্ত্রী ও পরিবারের জন্য ভালো। আর আমি নিজের পরিবারের জন্য তোমাদের তুলনায় অনেক ভালো। এরপরে কারো পক্ষে স্ত্রীকে প্রহার করা কিভাবে সম্ভব?
এই আয়াতের প্রেক্ষাপট : যায়িদ ইবনে জুবায়ের (রা.)-এর কন্যা হাবিবা (রা.)এর বিয়ে হয় সাদ ইবনে রাবী (রা.)-র সাথে। একদিন স্বামী চড় দিলে হাবিবা (রা.) এসে পিতার কাছে অভিযোগ করলে তিনি মেয়েসহ রসূল (ﷺ) -এর কাছে আসেন মিমাংসার জন্য। রসূল আys হাবিবাকে বলেন স্বামীর উপর কিসাস নেয়ার জন্য। একথা শুনে তারা যখন চলে যাচ্ছিলেন তখন এই আয়াত নাযিল হয় যাতে স্বামীর উপর কিসাস নিষিদ্ধ হয়। এর কিছুদিন পরে মদিনার মহিলারা এসে রসূল (ﷺ) -এর স্ত্রীদের কাছে স্বামীদের মারধরের অভিযোগ করলে রসূল (ﷺ) বলেন, দেখা যাচ্ছে বহু মহিলা মুহাম্মাদের পরিবারের কাছে তাদের স্বামীদের সম্পর্কে অভিযোগ করছে, ওরা (মারধরকারী স্বামীরা) মোটেই তোমাদের মধ্যে ভালো লোক নয়। রসূলুল্লাহ নিজের জীবনে শুধু প্রথম ২টা ব্যবস্থা নিয়েছেন, তিনি জীবনে কোন স্ত্রীকে প্রহার করেন নি, এমনকি বকাও দেন নি। রসূল (ﷺ) বলেছেন, যার চরিত্র সবচেয়ে উত্তম, সে সবচেয়ে বেশী পূর্ণ ঈমানদার। আর তোমাদের মধ্যে ভালো লোক হলো সেই সে তার স্ত্রীর নিকট সবচেয়ে ভালো। রসূল (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে ভালো লোক হলো সে, যে তার স্ত্রী ও পরিবারের জন্য ভালো। আর আমি নিজের পরিবারের জন্য তোমাদের তুলনায় অনেক ভালো। এরপরে কারো পক্ষে স্ত্রীকে প্রহার করা কিভাবে সম্ভব?
ঘরে যদি কোনো লোক না থাকে আর এ আওয়াজ যদি ঘরের বাইরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা না থাকে তা হলে ঘরের মধ্যে আওয়াজ সীমাবদ্ধ রেখে পড়া যাবে। কিন্তু কারী সাহেবরা যেভাবে কানে আংগুল দিয়ে উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করেন, সেভাবে পড়া উচিত নয়। এছাড়া বড় মেয়েদের প্রকাশ্যে পরপুরুষদের সামনে কোন কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগীতায়ও অংশগ্রহণ করা যাবে না, কুরআন তিলাওয়াত করে তা ফেইসবুকে বা ইউটিউবে ছেড়ে দেয়াও যাবে না।
১৪২
প্রশ্ন : ১৪০) স্বামীর খারাপ আচরণের কারণে স্ত্রী যদি বদ দু’আ করে তাহলে স্ত্রী কি আল্লাহর কাছে দায়ী থাকবে?স্বামীকে কখনও বদ দু’আ করা উচিত নয়, শুধু স্বামী নয় কোন মুসলিমকেই বদ দু’আ করা ঠিক নয়। রসূলে কারীম (ﷺ) কখনও কোন মুসলিমকে বদ দু'আ করেন নি। যদি স্বামীর কোনো বদ অভ্যাসের কারণে মন খারাপ হয় তাহলে।
তার হিদায়াতের জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করাটাই শ্রেয়। বদ দু’আ যদি লেগেই যায় তাহলে তো স্ত্রীরই ক্ষতি হবে। (আল্লাহ না করুক) যদি মারা যায়। তাহলে তো স্ত্রীই বিধবা হবেন। যদি পঙ্গু হয় তাহলে তো স্ত্রীরই ক্ষতি হবে। সুতরাং পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসা এবং একে অপরের জন্য দু'আ করা উচিত।
তার হিদায়াতের জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করাটাই শ্রেয়। বদ দু’আ যদি লেগেই যায় তাহলে তো স্ত্রীরই ক্ষতি হবে। (আল্লাহ না করুক) যদি মারা যায়। তাহলে তো স্ত্রীই বিধবা হবেন। যদি পঙ্গু হয় তাহলে তো স্ত্রীরই ক্ষতি হবে। সুতরাং পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসা এবং একে অপরের জন্য দু'আ করা উচিত।
যে সমস্ত গানে মিউজিক আছে বা মিউজিক দিয়ে যে সমস্ত গান করা হয় সে সমস্ত গান শোনা জায়িয নয়। যেহেতু রসূলে কারীম (ﷺ) বলেছেন গান মানুষের মধ্যে মুনাফিকি সৃষ্টি করে। এগুলো মানুষকে আল্লাহর দ্বীন থেকে, ঈমান থেকে, ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। সেজন্য এগুলো শুনা বা দেখা বৈধ নয়। মিউজিক ছাড়া গান হতে পারে, আজকাল সুন্দর সুন্দর ইসলামী সঙ্গীত বেরিয়েছে, এগুলো শুনা যেতে পারে।
১৪৪
প্রশ্নঃ ১৪২) স্ত্রী তার আয় থেকে কিছু অংশ স্বামীর অনুমতি ছাড়া তার ভাই-বোন বা আত্মীয়-স্বজনকে কি দিতে পারে?হ্যা অবশ্যই দিতে পারবে। স্ত্রীর যদি নিজের আয় হয়, নিজে উর্পাজন করে তাহলে সেটা স্বামীর অজান্তে নিজের মা-বাবা, ভাই-বোন আত্মীয়স্বজন ও আল্লাহর ওয়াস্তে যাকে খুশি তাকে দিতে পারবে। আর রোযগার যদি স্বামীর হয় তাহলেও দিতে পারবে তবে স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে।
১৪৫
প্রশ্ন : ১৪৩) কালো মেয়েকে কেউ বিয়ে করতে চায় না, ছেলেরা সব সময় সুন্দরী মেয়ে খোঁজ করে থাকে। তাহলে কেউ কি কালো মেয়েকে বিয়ে করবে না? কালো মেয়ে হয়ে জন্ম হওয়া কি অন্যায়?এধরনের মনোভাব পোষণ করা উচিত নয়। কালো মেয়ে আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টি। সুতরাং এ ধরনের মনোবৃত্তি পরিহার করা উচিত।
একবার উমর (রা.)-এর আমলে তিনি নিজে এলাকায় এলাকায় হাঁটতেন আর দেখতেন কারও কোনো অভাব আছে কিনা? একদিন গভীর রাতে ঘরের ভিতর থেকে এক মেয়েকে তার মা বলছে, মা! উঠো গাভীর দুধ দোহন করে, পানি মিশ্রিত করে বাজারে বিক্রি করে এসো। মেয়ে তখন বললো মা এটা আমি করতে পারবো না, কারণ উমর (রা.) আমীরুল মু'মিনীন এ ব্যাপারে কঠিন আইন জারী করেছেন। তখন মা বললেন মেয়ে, এখন গভীর রাত আমীরুল মু'মিনীন নিজে এবং তাঁর সমস্ত সৈন্য বাহিনী এখন ঘুমন্ত অবস্থায় সুতরাং কেউ দেখতে পাবে না। মেয়ে বললো, মা উমর (রা.)-কে ও তাঁর বাহিনীকে ফাঁকি দেয়া যাবে কিন্তু এমন একজন দেখছেন যাকে কেউ ফাঁকি দিতে পারে না। আর তিনি হলেন আল্লাহ রবুল আলামীন। উমর (রা.) একথা গুনে, বাড়িতে গিয়ে তার নিজের ছেলের জন্য ঐ মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন। এখানে কালো না সুন্দর সেটা দেখা হয়নি। দেখা হল ঐ মেয়ের তাকওয়া ও আমল। হাশরের ময়দানে আমল দিয়েই বিচার হবে।
একবার উমর (রা.)-এর আমলে তিনি নিজে এলাকায় এলাকায় হাঁটতেন আর দেখতেন কারও কোনো অভাব আছে কিনা? একদিন গভীর রাতে ঘরের ভিতর থেকে এক মেয়েকে তার মা বলছে, মা! উঠো গাভীর দুধ দোহন করে, পানি মিশ্রিত করে বাজারে বিক্রি করে এসো। মেয়ে তখন বললো মা এটা আমি করতে পারবো না, কারণ উমর (রা.) আমীরুল মু'মিনীন এ ব্যাপারে কঠিন আইন জারী করেছেন। তখন মা বললেন মেয়ে, এখন গভীর রাত আমীরুল মু'মিনীন নিজে এবং তাঁর সমস্ত সৈন্য বাহিনী এখন ঘুমন্ত অবস্থায় সুতরাং কেউ দেখতে পাবে না। মেয়ে বললো, মা উমর (রা.)-কে ও তাঁর বাহিনীকে ফাঁকি দেয়া যাবে কিন্তু এমন একজন দেখছেন যাকে কেউ ফাঁকি দিতে পারে না। আর তিনি হলেন আল্লাহ রবুল আলামীন। উমর (রা.) একথা গুনে, বাড়িতে গিয়ে তার নিজের ছেলের জন্য ঐ মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেন। এখানে কালো না সুন্দর সেটা দেখা হয়নি। দেখা হল ঐ মেয়ের তাকওয়া ও আমল। হাশরের ময়দানে আমল দিয়েই বিচার হবে।
১৪৬
প্রশ্ন : ১৪৪) এক মাস ফরয সিয়াম (রোযা) পালন করার পর ঈদের পরের দিন সাক্ষী সিয়াম রাখলে হবে কি? কেউ কেউ বলে ঈদের পরের দিন সিয়াম রাখা হারাম এটা কি ঠিক?ইসলামে সিয়ামের মধ্যে সাক্ষী (রোযা) সিয়াম বলতে কিছু নেই। ফরয শেষ হয়ে যাওয়ার পর রসূলে কারীম (ﷺ) বলেছেন শাওয়াল মাসে একটার পর একটা করে ছয়টি নফল সিয়াম যদি কেউ রাখে তাহলে সে যেনো সারা বছর সিয়ামই পালন করলো। ঈদের পরের দিন সিয়াম পালন করা হারাম নয়। এটা মানুষের বানানো কথা। এতে কুরআন হাদীসের কোনো প্রমাণ নেই।
তাবিজ বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করা শরীয়তে কোনো বিধান নেই। বরং এগুলোর অনেক কিছুই শিরকের অন্তর্ভুক্ত। কারণ আল্লাহ রব্বল আলামীন কুরআনে বলেছেন- “আর যদি তোমাকে কোন খারাবী স্পর্শ করে তবে তা দূর করার ক্ষমতা তিনি ছাড়া অন্য কারও নেই।” (সূরা আনআম : ১৭)।
এ ব্যাপারে কুরআন হাদীস কি বলে? নিশ্চয়ই নয়, কারণ দ্বীন তো হবে সলাত প্রতিষ্ঠার জন্য। দ্বীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে যদি সলাতই না আদায় করি তাহলে আল্লাহ তাআলার কাছে এ দাওয়াতের কোনো দাম নেই। আগে সলাত তারপর সংগঠন। কোনো অবস্থাতেই সলাত ছেড়ে দেয়া যাবে না। পুরুষ দুই অবস্থায় সলাত ছেড়ে দিতে পারে।
১) পাগল হয়ে গেলে এবং
২) বেহুস হয়ে গেলে।
(৩) আর মহিলাদের পিরিয়ডের সময় মাফ আছে।
এছাড়া আর কোনো অবস্থাতেই সলাত ছাড়া যাবে না। আল্লাহ তা'আলা আখিরাতে সর্বপ্রথমই সলাতের হিসাব নিবেন।
১) পাগল হয়ে গেলে এবং
২) বেহুস হয়ে গেলে।
(৩) আর মহিলাদের পিরিয়ডের সময় মাফ আছে।
এছাড়া আর কোনো অবস্থাতেই সলাত ছাড়া যাবে না। আল্লাহ তা'আলা আখিরাতে সর্বপ্রথমই সলাতের হিসাব নিবেন।
১৫৩
প্রশ্নঃ ১৫১) স্বামী-স্ত্রী রাগারাগি করে কথা বন্ধ করলে এভাবে করে কতদিন পর্যন্ত শরীয়াতে বন্ধ রাখা জায়িয আছে?এক জায়গায় থাকলে এটা হওয়াটা স্বাভাবিক। তিন দিনের বেশি কথা বন্ধ রাখা জায়িয নেই। যদি একজনের রাগ বেশি থাকে তাহলে আরেক জনে এটার অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। স্বামী-স্ত্রী যদি ঘরের মধ্যে আনন্দে থাকে তাহলে ঘরটা সুখে শান্তিতে ভরে যায়।
ধর্ম ছেলে ও ধর্ম ভাই বলে ইসলামে কোন ভাই বা ছেলে নেই। শরীয়তে ধর্ম ছেলে নাজায়িয। আল্লাহ এটার প্রমাণ করেছেন রসূল (ﷺ)-কে দিয়ে। ধর্ম ছেলের যদি ভিত্তিই থাকত তাহলে যায়িদের পরিত্যাক্ত স্ত্রী যায়নাবকে রসূল (ﷺ) কি বিয়ে করতে পারতেন? যায়িদ রসূল (ﷺ) -কে পিতা ডেকেছিলেন। মুখে ডাকা পিতা আর মুখে ডাকা ছেলে এবং মুখে ডাকা ভাই এর কোন শরীয়াতে ভিত্তি নেই। এজন্য ধর্ম ছেলে, পিতা, ভাই এ ধরনের আত্মীয়তা বানানোও সঠিক নয়। এরা সবাই পরপুরুষ। এদের সঙ্গে দেখা করা জায়িয নেই।
বিনা ওযুতে কুরআন ধরতে পারবে এবং অবশ্যই পড়তে পারবে। তবে ও ছাড়া কুরআন স্পর্শ করার বিধিনিষেধ ফিরিশতাদের জন্য নাকি মানুষের জন্য তা অনেকের কাছে পরিষ্কার না। কুরআনের যে আয়াতে বলা হয়েছে যে এটি যারা পবিত্র তারা ছাড়া কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। এখানে ফিরিস্তাদের বুঝানো হয়েছে যারা সবসময় পবিত্র থাকে এবং লাওহেমাফুজে যে কুরআনের মুল কপিটি আছে তা ফিরিস্তারা ছাড়া কেউ স্পর্শ করতে পারে না। ইসলামে পবিত্রতা এবং ওযু এক নয়। ইসলামে শুধুমাত্র দুটি ইবাদত করতে ওযু লাগে আর তা হচ্ছে সলাত আদায় করতে এবং কাবা ঘর তাওয়াফ করতে যার সুস্পষ্ট দলিল রয়েছে।
তবে কুরআন ওযু ছাড়া স্পর্শ করা যাবে কিনা তা নিয়েও বেশ মতভেদ লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন জন, যেমন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম হাম্বল, ইমাম মালেকসহ বিভিন্ন মনীষী বিভিন্ন মত দিয়েছেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) মনে করেন, বিনা ওযুতে কুরআন ছোঁয়া নিষিদ্ধ, তবে কাপড়ে পেঁচানো থাকলে বা কাপড়ের আবরণ থাকলে ধরতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে বেশীরভাগ ইমামের মতামত হচ্ছে ওযূ ছাড়া কুরআন অবশ্যই স্পর্শ করা যাবে। এবং তিলাওয়াতও করা যাবে। ইমাম শাফেয়ী (রহ.)বলেন, খালি দু মলাটই কাপড়ের কাজ করে, তাই আলাদা কাপড় না হলেও চলবে। ইমাম হাম্বল (রহ.) মনে করেন, কুরআন ওযূ ছাড়া স্পর্শ করতে কোনো সমস্যা নেই, তবে আরবি লিখিত অংশে হাত দেয়া যাবে না। তবে ইমাম মালেক (রহ.) বলেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জন্য ও শিক্ষকেরা শেখানোর নিমিত্তে কুরআনের যে কোনো অংশই ওযূ ছাড়া স্পর্শ করতে পারবে। তাঁর মতে, এক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা রাখলে কোনো না কোনোভাবে তাদের শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেয়া দুটোতেই বাঁধার সৃষ্টি হতে পারে যা তাদের জন্য কুরআন থেকে দূরে সরে যাওয়ার পথ সৃষ্টি করতে পারে। তাই শিক্ষা দেয়া ও গ্রহণ করার ব্যাপারে তিনি বেশ উদার। এভাবে দেখা যায়, এ বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত বর্তমান তবে ইবনে হাজার আসকালানী, যিনি এ বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা করেছেন। তিনি মত প্রদান করেছেন যে, কুরআন। ওযু ছাড়াও তিলাওয়াত করা যায়। ওযু ব্যতীত কুরআন স্পর্শ করা যাবে কিনা তা নিয়ে অনেক মতানৈক্য থাকলেও একটি বিষয়ে সকলে একমত আর তাহলো ওযূসহ কুরআন তিলাওয়াত উত্তম। এখন টেকনলোজির যুগ। আমরা জানি কুরআন অনেক আগেই কম্পিউটারে এবং অনলাইনে চলে এসেছে। আজকাল মানুষ কুরআন তিলাওয়া করা, তিলাওয়া শুনা, অর্থ পড়া, তাফসীর পড়া ইত্যাদি সবই ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, আইফোন, স্মার্টফোন ইত্যাদিতে ব্যবহার করে আর তা হাতে ধরেই করে থাকে। এখন প্রশ্ন এই ডিভাইজগুলোর মধ্যে তো সম্পূর্ণ কুরআন রয়েছে এবং তখন কেউ প্রশ্ন তুলে না যে এই ইলেকট্রনিক কুরআন ধরতে বা পড়তে ওযু লাগবে কিনা? প্রশ্ন শুধু কাগজের বাইন্ড করা কপিটি নিয়ে।
তবে কুরআন ওযু ছাড়া স্পর্শ করা যাবে কিনা তা নিয়েও বেশ মতভেদ লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন জন, যেমন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম হাম্বল, ইমাম মালেকসহ বিভিন্ন মনীষী বিভিন্ন মত দিয়েছেন। ইমাম আবু হানিফা (রহ.) মনে করেন, বিনা ওযুতে কুরআন ছোঁয়া নিষিদ্ধ, তবে কাপড়ে পেঁচানো থাকলে বা কাপড়ের আবরণ থাকলে ধরতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে বেশীরভাগ ইমামের মতামত হচ্ছে ওযূ ছাড়া কুরআন অবশ্যই স্পর্শ করা যাবে। এবং তিলাওয়াতও করা যাবে। ইমাম শাফেয়ী (রহ.)বলেন, খালি দু মলাটই কাপড়ের কাজ করে, তাই আলাদা কাপড় না হলেও চলবে। ইমাম হাম্বল (রহ.) মনে করেন, কুরআন ওযূ ছাড়া স্পর্শ করতে কোনো সমস্যা নেই, তবে আরবি লিখিত অংশে হাত দেয়া যাবে না। তবে ইমাম মালেক (রহ.) বলেন, শিক্ষার্থীরা শিক্ষার জন্য ও শিক্ষকেরা শেখানোর নিমিত্তে কুরআনের যে কোনো অংশই ওযূ ছাড়া স্পর্শ করতে পারবে। তাঁর মতে, এক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা রাখলে কোনো না কোনোভাবে তাদের শিক্ষা করা ও শিক্ষা দেয়া দুটোতেই বাঁধার সৃষ্টি হতে পারে যা তাদের জন্য কুরআন থেকে দূরে সরে যাওয়ার পথ সৃষ্টি করতে পারে। তাই শিক্ষা দেয়া ও গ্রহণ করার ব্যাপারে তিনি বেশ উদার। এভাবে দেখা যায়, এ বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত বর্তমান তবে ইবনে হাজার আসকালানী, যিনি এ বিষয় নিয়ে অনেক আলোচনা করেছেন। তিনি মত প্রদান করেছেন যে, কুরআন। ওযু ছাড়াও তিলাওয়াত করা যায়। ওযু ব্যতীত কুরআন স্পর্শ করা যাবে কিনা তা নিয়ে অনেক মতানৈক্য থাকলেও একটি বিষয়ে সকলে একমত আর তাহলো ওযূসহ কুরআন তিলাওয়াত উত্তম। এখন টেকনলোজির যুগ। আমরা জানি কুরআন অনেক আগেই কম্পিউটারে এবং অনলাইনে চলে এসেছে। আজকাল মানুষ কুরআন তিলাওয়া করা, তিলাওয়া শুনা, অর্থ পড়া, তাফসীর পড়া ইত্যাদি সবই ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, আইফোন, স্মার্টফোন ইত্যাদিতে ব্যবহার করে আর তা হাতে ধরেই করে থাকে। এখন প্রশ্ন এই ডিভাইজগুলোর মধ্যে তো সম্পূর্ণ কুরআন রয়েছে এবং তখন কেউ প্রশ্ন তুলে না যে এই ইলেকট্রনিক কুরআন ধরতে বা পড়তে ওযু লাগবে কিনা? প্রশ্ন শুধু কাগজের বাইন্ড করা কপিটি নিয়ে।
সাধারণভাবে হাদীসে এসেছে ‘তাহারাত অর্থাৎ পবিত্রতা ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে না। কিন্তু ‘তৃহারাত’ বা পবিত্রতা বলতে কিন্তু ওযূ নয়, এটি বড় অপবিত্রতা। যেমন : স্ত্রী সহবাস, হায়েয বা নিফাস। সহীহ স্কলাররা এ বিষয়ে বিশ্লেষন করে বলেছেন ও মেয়েরা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ ছাড়া তিলাওয়াত করতে পারবে। কেউ কেউ বলেছেন : মেয়েরা এসময়ে হাতে কোন গ্লাস পরে কুরআন ধরে তিলাওয়াত করতে পারবে। আবার কেউ কেউ বলেছেন যে কুরআনের অর্থ ও তাফসীর পড়তে পারবে। কেউ কেউ বলেছেন। মুখস্থ তিলাওয়াত করতে পারবে। আবার কেউ কেউ বলেছেন : গবেষণার জন্য হায়েয অবস্থায় মেয়েরা কুরআন ধরতে ও পড়তে পারবে। আবার কেউ কেউ বলেছেন : কোন মেয়ে যদি হায়েয অবস্থায় পরীক্ষার্থী হয় তাহলে অবশ্যই কুরআন হাত দিয়ে ধরতে পারবে, পড়তে পারবে এবং পরীক্ষার খাতায় লিখতে পারবে। তাই খুব জরুরী ছাড়া হায়েয এবং নিফস অবস্থায় মেয়েদের কুরআন হাত দিয়ে না ধরাই উত্তম।
প্রয়োজন দেখা দিলে ঋতুবতী কুরআন পাঠ করা জায়িয। যেমন সে যদি শিক্ষিকা হয়, তবে পাঠ দানের জন্য কুরআন পড়তে পারবে। অথবা ছাত্রী। কুরআন শিক্ষা লাভ করার জন্য পাঠ করতে পারবে। অথবা নারী তার শিশু সন্তানদের কুরআন শিক্ষা দেয়ার জন্য পাঠ করবে, শিখানোর জন্য তাদের আগে আগে কুরআন পাঠ করবে। মোটকথা যখনই ঋতুবতী নারী কুরআন পাঠ করার প্রয়োজন অনুভব করবে, তখনই তার জন্য তা পাঠ করা জায়িয কোন অসুবিধা নেই। অনুরূপভাবে কুরআন পাঠ না করার কারণে যদি ভুলে যাওয়ার আশংকা করে, তবে স্মরণ রাখার জন্য তিলাওয়াত করবে- কোন অসুবিধা নেই। স্কলারদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, বিনা প্রয়োজনেও তথা সাধারণ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্যে ঋতুবতীর জন্য কুরআন পাঠ করা জায়িয।
সাধারণ স্পর্শ, শৃঙ্গার, চুম্বন আলিঙ্গন প্রভৃতির মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী পরস্পর আনন্দ বিনোদন করলে তাদের উপর গোসল ফরয হবে না। তবে যদি উভয়ের থেকে বীর্যস্খলিত হয়, তবে উভয়ের উপর গোসল করা ফরয হবে। একজনের থেকে বীর্যস্খলিত হলে শুধু তার উপরই গোসল ফরয হবে। এ বিধান হচ্ছে সাধারণ শৃঙ্গার, চুম্বন, আলিঙ্গন প্রভৃতির ক্ষেত্রে। কিন্তু যদি তারা সহবাসে লিপ্ত হয়, তবে নারী-পুরুষ উভয়ের উপর গোসল ফরয হবে- যদিও তাদের কারোই বীর্যস্খলিত না হয়।
কেননা আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদীসে নবী (ﷺ) বলেন, “স্ত্রীর চার শাখার (দু’হাত, দু’পা) মাঝে বসে তার সাথে সহবাসে লিপ্ত হলেই গোসল ফরয হবে।” (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
মুসলিমের বর্ণনায় বলা হয়েছে, “যদিও বীর্যপাত না হয়। এ বিষয়টি অনেক লোকের অজানা। তাদের ধারণা নারী-পুরুষ মিলিত হয়ে বীর্যপাত না হলে তাদের উপর গোসল ফরয নয়। কিন্তু এটা বিরাট ধরনের অজ্ঞতা। অতএব সহবাস হলেই সর্বাবস্থায় গোসল ফরয হবে। কিন্তু সহবাস না করে যে কোন প্রকারে আনন্দ করলে গোসল ফরয হবে না।
কেননা আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদীসে নবী (ﷺ) বলেন, “স্ত্রীর চার শাখার (দু’হাত, দু’পা) মাঝে বসে তার সাথে সহবাসে লিপ্ত হলেই গোসল ফরয হবে।” (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
মুসলিমের বর্ণনায় বলা হয়েছে, “যদিও বীর্যপাত না হয়। এ বিষয়টি অনেক লোকের অজানা। তাদের ধারণা নারী-পুরুষ মিলিত হয়ে বীর্যপাত না হলে তাদের উপর গোসল ফরয নয়। কিন্তু এটা বিরাট ধরনের অজ্ঞতা। অতএব সহবাস হলেই সর্বাবস্থায় গোসল ফরয হবে। কিন্তু সহবাস না করে যে কোন প্রকারে আনন্দ করলে গোসল ফরয হবে না।
এই মাসআলায় বিশুদ্ধ কথা হচ্ছে, শিশু যদি পুরুষ হয় এবং শুধুমাত্র মাতৃদুগ্ধ তার খাদ্য হয়, তবে তার পেশাব হালকা নাপাক। এটাকে পবিত্র করার জন্য পানির ছিটা দেয়াই যথেষ্ট। অর্থাৎ হাতে পানি নিয়ে কাপড়ের উপর এমনভাবে ছিটিয়ে দিবে যাতে সম্পূর্ণ স্থানকে শামিল করে, ঘঁষতে হবে না এবং তাতে এত বেশী পরিমাণ পানি ঢালতে হবে না যে, চিপে পানি বের করতে হয়। এর কারণ হচ্ছে নবী (ﷺ) থেকে প্রমাণিত হয়েছে, একদা একটি শিশু পুত্র নিয়ে এসে তাঁর কোলে দেয়া হল। সে পেশাব করে দিলে, তিনি পানি নিয়ে আসতে বললেন, অতঃপর তার উপর ছিটা দিলেন, কিন্তু তা ধৌত করলেন না। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
আর শিশু যদি কন্যা সন্তান হয়, তবে তার পেশাব অবশ্যই ধৌত করতে হবে। কেননা মেয়ে শিশুর পেশাব মূলতঃ অপবিত্র। উহা ধৌত করা ওয়াজিব। কিন্তু শিশু পুত্রের পেশাবে ব্যতীক্রম। কেননা সুন্নাতে নববীতে এর প্রমান বিদ্যমান। (নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)।
আর শিশু যদি কন্যা সন্তান হয়, তবে তার পেশাব অবশ্যই ধৌত করতে হবে। কেননা মেয়ে শিশুর পেশাব মূলতঃ অপবিত্র। উহা ধৌত করা ওয়াজিব। কিন্তু শিশু পুত্রের পেশাবে ব্যতীক্রম। কেননা সুন্নাতে নববীতে এর প্রমান বিদ্যমান। (নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)।
১৬৩
প্রশ্নঃ ১৬১) পঞ্চাশোর্ধ নারীর স্রাব পরিচিতি নিয়মে হয় না; বরং হলদে রং বা মেটে রঙ্গের পানি নির্গত হয়। এদের বিধান কি?জনৈক নারী পঞ্চাশ বছর বয়স অতিক্রম করেছে। কিন্তু পরিচিতি নিয়মেই তার স্রব প্রবাহিত হচ্ছে। আরেক পঞ্চাশোর্ধ নারীর স্রাব পরিচিতি নিয়মে হয় না; বরং হলদে রং বা মেটে রঙ্গের পানি নির্গত হয়। এদের বিধান কি? নির্দিষ্ট ও পরিচিত নিয়মে যে নারীর স্রাব নির্গত হচ্ছে, তার উক্ত স্রাব বিশুদ্ধ। মতে হায়েয বা ঋতুস্রাব হিসেবে গণ্য হবে। কেননা ঋতুবতী হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ কোন বয়স নেই। অতএব ঋতুর নির্দিষ্ট বিধান সমূহ এই নারীর জন্য প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ- সলাত, সিয়াম ও স্বামী সহবাস থেকে বিরত থাকা। স্রাব বন্ধ হলে ফরয গোসল করা এবং ছুটে যাওয়া সিয়ামের কাযা আদায় করা। আর যে নারীর হলদে রং বা মেটে রঙ্গের পানি নির্গত হচ্ছে, যদি এটা ঋতুর নির্দিষ্ট সময়ে বের হয়ে থাকে, তবে তা হায়েয বা ঋতু হিসেবে গণ্য হবে। আর ঋতুর সময়ে না হলে তা হায়েয নয়। কিন্তু তার স্রাব যদি পরিচিত ঋতুস্রাবের মত হয় কিন্তু কখনো আগে হয় কখনো পরে, তাতে কোন অসুবিধা নেই। যখন স্রাব আসবে তখন সলাত, সিয়াম প্রভৃতি থেকে বিরত থাকবে আর যখন স্রাব। বন্ধ হয়ে যাবে তখন গোসল করে পবিত্র হবে। এসমস্ত কথা বিশুদ্ধ মতানুযায়ী - ঋতুর জন্য বয়সের নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নেই।
গর্ভবতীর হায়েয হয় না। কেননা নারীর গর্ভ তো হায়েয বন্ধ হওয়ার মাধ্যমেই জানা যায়। স্কলারগণ বলেছেন, আল্লাহ্ তা'আলা নিজ হিকমতে হায়েযের রক্তকে মাতৃগর্ভে ভ্রণের খাদ্য হিসেবে সৃষ্টি করে থাকেন। গর্ভে সন্তান এসে গেলে ঐ হায়েয বাইরে বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কোন কোন নারীর গর্ভধারণের পরও সঠিক নিয়মে হায়েয হতে থাকে। যেমনটি গর্ভধারণের পূর্বে হচ্ছিল। তাদের এই স্রাব ঋতু হিসেবে গণ্য হবে। কেননা গর্ভধারণ তার মধ্যে প্রভাব ফেলেনি। ফলে ঋতু আপন গতিতে চলমান রয়েছে। অতএব তার এই স্রাব ঋতুর সবধরণের বিধানকে শামিল করবে। মোটকথা গর্ভবতী থেকে যে স্রাব নির্গত হয়, তা দু'ভাগে বিভক্ত:
প্রথম প্রকার :
গর্ভধারণের পূর্বে যে নিয়মে ঋতু চলছিল গর্ভের পরেও যদি সেই নিয়মে স্রাব চলতে থাকে, তবে উহা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। কেননা এখানে। গভর্ধারণ তার স্বাভাবিক স্রাবের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ফলে উহা হায়েয বা ঋতু হিসেবেই গণ্য হবে।
দ্বিতীয় প্রকার:
আকস্মিক কোন কারণ বশতঃ স্রাব নির্গত হওয়া। দুর্ঘটনাবশতঃ ভারী কোন বস্তু বহন করা বা কোন স্থান থেকে পড়ে যাওয়া প্রভৃতি কারণে রক্ত প্রবাহিত হওয়া। তখন তা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না। বরং তা শিরা থেকে নির্গত। তাই সে সলাত, সিয়াম প্রভৃতি থেকে বিরত থাকবে না; পবিত্র অবস্থায় যা করতো তা সবই স্বাভাবিক নিয়মে করতে থাকবে।
প্রথম প্রকার :
গর্ভধারণের পূর্বে যে নিয়মে ঋতু চলছিল গর্ভের পরেও যদি সেই নিয়মে স্রাব চলতে থাকে, তবে উহা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। কেননা এখানে। গভর্ধারণ তার স্বাভাবিক স্রাবের ক্ষেত্রে কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ফলে উহা হায়েয বা ঋতু হিসেবেই গণ্য হবে।
দ্বিতীয় প্রকার:
আকস্মিক কোন কারণ বশতঃ স্রাব নির্গত হওয়া। দুর্ঘটনাবশতঃ ভারী কোন বস্তু বহন করা বা কোন স্থান থেকে পড়ে যাওয়া প্রভৃতি কারণে রক্ত প্রবাহিত হওয়া। তখন তা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না। বরং তা শিরা থেকে নির্গত। তাই সে সলাত, সিয়াম প্রভৃতি থেকে বিরত থাকবে না; পবিত্র অবস্থায় যা করতো তা সবই স্বাভাবিক নিয়মে করতে থাকবে।
বিশুদ্ধ মতে ঋতুর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দিন নির্দিষ্ট বলে কিছু নেই। কেননা আল্লাহ বলেন : অথাৎ “আর তারা তোমার কাছে জিজ্ঞাসা করে হায়েয সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অপবিত্র। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রী মিলন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাসে লিপ্ত হবে না; যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়।” (সূরা বাক্বারা : ২২২) এখানে স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধতা নির্দিষ্ট দিনের সাথে সম্পর্কিত করা হয়নি। এর সম্পর্ক হচ্ছে অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়ার সাথে।
এ থেকে বুঝা যায়, বিধানটির করণ হচ্ছে ঋতু থাকা বা না থাকা। যখনই ঋতু পাওয়া যাবে, বিধান প্রযোজ্য হবে। যখনই পবিত্র হয়ে যাবে, তার বিধান সমূহও বাদ হয়ে যাবে।
তাছাড়া নির্দিষ্ট দিন বেঁধে দেয়ার কোন দলীলও নেই। অথচ বিষয়টি বর্ণনা করে দেয়ার দরকার। বয়স বা দিনের নির্দিষ্টতা যদি শরীয়ত সম্মত হত, তবে তা অবশ্যই আল্লাহর কিতাব ও রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সুন্নাতে বর্ণিত হত। অতএব এই ভিত্তিতে নারীদের কাছে পরিচিতি স্রাব যখনই দেখা যাবে, নারী তখনই নিজেকে ঋতুবতী গণ্য করবে। এখানে কোন দিন নির্দিষ্ট করবে না।
কিন্তু নারীর স্রাব যদি চলতেই থাকে বন্ধ না হয়, অথবা সামান্য সময়ের জন্য বন্ধ হয়, যেমন মাসে একদিন বা দু'দিন তবে তা ইস্তেহাযার স্রাব (বা অসুস্থতা) বলে গণ্য হবে।
এ থেকে বুঝা যায়, বিধানটির করণ হচ্ছে ঋতু থাকা বা না থাকা। যখনই ঋতু পাওয়া যাবে, বিধান প্রযোজ্য হবে। যখনই পবিত্র হয়ে যাবে, তার বিধান সমূহও বাদ হয়ে যাবে।
তাছাড়া নির্দিষ্ট দিন বেঁধে দেয়ার কোন দলীলও নেই। অথচ বিষয়টি বর্ণনা করে দেয়ার দরকার। বয়স বা দিনের নির্দিষ্টতা যদি শরীয়ত সম্মত হত, তবে তা অবশ্যই আল্লাহর কিতাব ও রসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সুন্নাতে বর্ণিত হত। অতএব এই ভিত্তিতে নারীদের কাছে পরিচিতি স্রাব যখনই দেখা যাবে, নারী তখনই নিজেকে ঋতুবতী গণ্য করবে। এখানে কোন দিন নির্দিষ্ট করবে না।
কিন্তু নারীর স্রাব যদি চলতেই থাকে বন্ধ না হয়, অথবা সামান্য সময়ের জন্য বন্ধ হয়, যেমন মাসে একদিন বা দু'দিন তবে তা ইস্তেহাযার স্রাব (বা অসুস্থতা) বলে গণ্য হবে।
নিজের ইচ্ছায় ঋতুস্রাব চালু করার কারণে যদি স্রাব চালু হয়ে যায় এবং নারী সলাত পরিত্যাগ করে তবে উক্ত সলাতের কাযা আদায় করতে হবে না। কেননা ঋতুস্রাব যখনই দেখা যাবে, তখনই তার বিধান প্রযোজ্য হবে। অনুরূপভাবে। নারী যদি ঋতুস্রাব বন্ধ করার জন্য কোন ঔষধ গ্রহণ করে এবং তার ফলে স্রাব আসে, তবে সলাত ও সিয়াম আদায় করবে এবং সিয়ামের কাযা করবে না। কেননা সে তো ঋতুবতী নয়। অতএব কারণ পাওয়া গেলেই বিধান প্রযোজ্য হবে। যেমনটি আল্লাহ বলেছেন : “আর তারা তোমার কাছে জিজ্ঞাসা করে হায়েয সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অপবিত্র।” (সূরা বাক্বারা : ২২২)
অতএব যখনই এই অপবিত্রতা পাওয়া যাবে, তার বিধান পাওয়াও যাবে। যখন অপবিত্রতা থাকবে না, কোন বিধি-বিধানও থাকবে না।
অতএব যখনই এই অপবিত্রতা পাওয়া যাবে, তার বিধান পাওয়াও যাবে। যখন অপবিত্রতা থাকবে না, কোন বিধি-বিধানও থাকবে না।
১৬৭
প্রশ্নঃ ১৬৫) নির্গত স্রাবের ব্যাপারে নারী যদি সন্দিহান হয় যে, এটা কি হায়েযের রক্ত না কি ইস্তেহাযার রক্ত না কি অন্য কিছুর রক্ত? এবং সে পার্থক্যও করতে পারে না। তবে সে উহা কি গণ্য করবে?নারীর গর্ভ থেকে নির্গত রক্ত হায়েযেরই হয়ে থাকে। কিন্তু যখন প্রমাণিত হয়ে যাবে যে, তা ইস্তেহাযার (অসুস্থতা) স্রাব তখন ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করবে। অন্যথায় ইস্তেহাযা কিনা সুস্পষ্টভাবে না হওয়া পর্যন্ত নির্গত রক্ত হায়েয বা ঋতু হিসেবেই গণ্য করবে।
সলাতের সময় প্রবেশ করার পর যদি নারীর ঋতুস্রাব শুরু হয়, যেমন উদাহরণ স্বরূপ যোহরের সলাত শুরু হওয়ার আধাঘন্টা পর ঋতুস্রাব আরম্ভ হল, তবে পবিত্র হওয়ার পর এই ওয়াক্তের সলাত কাযা আদায় করবে। কেননা সে পবিত্র থাকাবস্থায় তার উপর সলাত আবশ্যক হয়েছিল। আল্লাহ বলেন : “নিশ্চয় নির্দিষ্ট সময়ে সলাত আদায় করা মু'মিনদের উপর ফরয করা হয়েছে।” (সূরা নিসা : ১০৩)।
আর ঋতু চলমান অবস্থায় যে সমস্ত সলাত পরিত্যাগ করবে, তার কাযা আদায় করবে না। কেননা নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত দীর্ঘ একটি হাদীসে তিনি বলেন : “নারী কি এমন নয় যে, সে ঋতুবতী হলে সলাত আদায় করে না ও সিয়াম রাখে না?” (সহীহ বুখারী) সমস্ত উলামায়ে কেরাম একথার উপর ঐকমত্য যে, ঋতু চলাবস্থায় ছুটে যাওয়া সলাতের কাযা আদায় করতে হবে না।
আর ঋতু চলমান অবস্থায় যে সমস্ত সলাত পরিত্যাগ করবে, তার কাযা আদায় করবে না। কেননা নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত দীর্ঘ একটি হাদীসে তিনি বলেন : “নারী কি এমন নয় যে, সে ঋতুবতী হলে সলাত আদায় করে না ও সিয়াম রাখে না?” (সহীহ বুখারী) সমস্ত উলামায়ে কেরাম একথার উপর ঐকমত্য যে, ঋতু চলাবস্থায় ছুটে যাওয়া সলাতের কাযা আদায় করতে হবে না।