hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নারীদের যে বিষয়গুলো না জানলেই নয়

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

২৬৬
ক) আত্মিক অধিকার
ইসলাম সম্পর্কে পশ্চিমাদের সবচেয়ে বড় ভুল ধারণা এই যে, তারা চিন্তা করে। ইসলামে জান্নাত শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য, নারীদের জন্য নয়। এ ভুল ধারণা সূরা নিসার ১২৪ নম্বর আয়াত এর দ্বারা দূর করা যায়। মহান আল্লাহ বলেন :

“তোমাদের যে কেউ সে নারী হোক বা পুরুষ মু'মিন সৎ আমল করলে জান্নাতে প্রবেশ করাব এবং সামান্যতম অবিচারও তাদের প্রতি করা হবে না।”

একই রূপ বর্ণনায় সূরা আন নাহলে ৯৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন :

“যে ব্যক্তি মুমিন অবস্থায় সৎ আমল করবে সে নারী-পুরুষ যাই হোক না কেন তাকে আমি পবিত্র জীবন দান করব এবং তারা যে আমল করে তার চেয়ে উত্তম প্রতিদান দিবো।”

এটা এ কারণে যে, ইসলামে জান্নাতে প্রবেশের জন্য লিঙ্গ কোন মাপকাঠি নয়। সূরা ইসরায় (বনী ইসরাঈল) ৭০ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে“আমরা আদম সন্তানকে সম্মানিত করেছি; স্থলে ও সমুদ্রে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি তাদেরকে উত্তম রিযিক দান করেছি এবং আমি যাদেরকে সৃষ্টি করেছি তাদের অনেকের উপর তাদেরকেই বিশেষ মর্যাদা দান করেছি।”

এখানে সকল আদম সন্তানকে সম্মানিত করা হয়েছে, পুরুষ এবং নারীকে।

কিছু ধর্মগ্রন্থ রয়েছে, যেমন- বাইবেল, যা মানবতার পতনের জন্য হাওয়া (আলাইহিস সালাম)-কে দায়ী করে। বাস্তবে আল কুরআনের সূরা আরাফ ১৯ থেকে ২৭ নম্বর আয়াতগুলোতে দেখা যায় সেখানে আদম ও হাওয়াকে ১২ এর অধিক বার সময় সম্বোধন করা হয়েছে। উভয়েই আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছিলেন, উভয়ে ক্ষমা প্রার্থনা ও তাওবা করেছিলেন এবং উভয়কে ক্ষমা করা হয়েছিল।

বাইবেলের জেনেসিস ৩য় অধ্যায় পড়লে দেখা যায় মানবতার পতনের জন্য শুধুমাত্র হাওয়া (আলাইহিস সালাম)-কে দায়ী করা হয়েছে এবং “মূল পাপ” এর বিশ্বাস অনুযায়ী হাওয়া (আলাইহিস সালাম)-এর কারণে সকল মানবতা পাপের মধ্যে জন্ম নিয়েছে। বাইবেলের জেনেসিস, ৩য় অধ্যায়, শ্লোক নং ১৬-তে বলা হচ্ছে নারীদের লক্ষ্য করে ও তুমি গর্ভধারণ করবে, দুঃখের মাঝে জন্ম দেবে, তোমার আশা হবে তোমার স্বামী এবং সে তোমাকে শাসন করবে। অর্থাৎ গর্ভধারণ ও শিশু জন্মদানকে বাইবেলে নারীদের জন্য অসম্মানজনক এবং প্রসববেদনা এক ধরনের শাস্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বাস্তবে আল কুরআন গর্ভধারণ এবং শিশু জন্মদান নারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।

সূরা লুকমান, আয়াত ১৪ বলেন :

“আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে এবং তার দুধ ছাড়াতে দু’বছর লেগেছে। তাই আমি নির্দেশ দিলাম আমার ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। আমার নিকটই ফিরে আসতে হবে।” সূরা আহকাফ, আয়াত ১৫ এ একই নির্দেশ?

“আমি মানুষকে তাদের পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা কষ্ট সহ্য করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছে।”

কষ্ট সহ্য করে তাকে দুগ্ধ দান করেছে। আল কুরআনে গর্ভধারণ নারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে, মর্যাদাকে ক্ষুন্ন করেনি।

আল্লাহর দৃষ্টিতে বিচারের একমাত্র মাপকাঠি হলো “তাকওয়া” তথা আল্লাহভীতি বা ‘ন্যায়নীতি।

সূরা হুজুরাতে ১৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন :

“ওহে মানবমণ্ডলী! আমরা তোমাদের এক জোড়া মানব-মানবী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদের গোত্র-উপগোত্রে বিভক্ত করেছি তোমাদের পরিচিতির জন্য। নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আল্লাহর দৃষ্টিতে অধিক সম্মানিত সেই ব্যক্তি যে আল্লাহকে বেশি ভয় করে।” লিঙ্গ, বর্ণ, গোত্র, সম্পদ এগুলো ইসলামের কোন মাপকাঠি নয়। আল্লাহর দৃষ্টিতে মাপকাঠি হল ‘তাকওয়া। কোন ব্যক্তিকে শাস্তি বা পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রে পুরুষ কি নারী এ কোন মাপকাঠি নয়।

সূরা আলে ইমরানের ১৯৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন :

“আমি তোমাদের কোন কর্মীর কাজ নষ্ট করি না, সে নারী হোক কি পুরুষ, তোমরা পরস্পরের সঙ্গী।”

সূরা আহযাবের ৩৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন :

“মুসলিম নর ও মুসলিম নারীর জন্য বিশ্বাসী নর ও নারীর জন্য, একনিষ্ঠ নর ও নারীর জন্য, সত্যবাদী নর ও নারীর জন্য, ধৈর্য ও সহনশীল নর ও নারীর জন্য, বিনয়ী নর ও নারীর জন্য, সৎ নর ও সতী নারীর জন্য, সিয়ামদার নর ও নারীর জন্য, লজ্জাস্থান হিফাযতকারী নর ও নারীর জন্য, আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণকারী নর ও নারীর জন্য। আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও বিশাল প্রতিদান নির্ধারণ করে রেখেছেন।” এ আয়াতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যে, ইসলামে আত্মিক কর্তব্য, নৈতিক কর্তব্য নারী-পুরুষের জন্য সমান। কিন্তু ইসলামে নারীদের জন্য বিশেষ শিথিলতা প্রদর্শন করেছে। যদি তিনি ঋতুমতী বা গর্ভবতী হন তাহলে তাঁকে সিয়াম পালন করতে হবে না, তবে পরবর্তীতে স্বাস্থ্য ভাল হলে সিয়াম পালন। করবেন। ঋতু ও সন্তান জন্মদানের পর তাঁকে সলাত আদায় করতে হয় না। পরবর্তীতেও এ সলাত আদায় করতে হবে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন