hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নারীদের যে বিষয়গুলো না জানলেই নয়

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

২৬৮
গ) সামাজিক অধিকার
একে চারটি উপ-বিভাগে ভাগ করা যেতে পারে। সামাজিক অধিকার যেগুলো দেয়া হয়েছে- কন্যাকে, স্ত্রীকে, মাকে ও বোনকে। কন্যা হিসেবে নারীর অধিকার কন্যাকে যে অধিকার ইসলাম দিয়েছে সেদিকে দেখা যাক। ইসলাম নারী শিশু হত্যা নিষেধ করেছে। এ প্রসঙ্গে সূরা তাকভীরের ৮ ও ৯ আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,

“যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যা জিজ্ঞাসিত হবে, কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে?” শুধু কন্যা সন্তান হত্যাকেই নিষিদ্ধ করা হয়নি? সকল প্রকারের শিশু সে পুত্র শিশু বা কন্যা শিশু হোক না কেন?

সূরা আনআমের ১৫১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ

“আর তোমরা খাদ্য দানের ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা করো না, আমরাই তোমাদের ও তাদের আহার যোগাই।”

ইসলামপূর্ব আরবে যখনই কোন কন্যা শিশু জন্মলাভ করত, তাদের বেশিরভাগকেই জীবন্ত পুঁতে ফেলা হতো। আলহামদুলিল্লাহ! ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে এ প্রথা চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজও ইন্ডিয়াতে এ কুপ্রথা চলছে। বি.বি.সি রিপোর্ট অনুযায়ী, “তাকে (কন্যা) মরতে দাও” নামক অনুষ্ঠানে এমিনি বেকমেন নামক একজন ব্রিটিশ নাগরিক যিনি ব্রিটেন থেকে ভারতে কন্যা শিশু হত্যার পরিসংখ্যান প্রদানের জন্য এসেছিলেন। তাঁর রিপোর্ট অনুযায়ী এ পরিসংখ্যান দেয়া হয়েছে যে, প্রত্যেক দিন ৩,০০০ এরও অধিক দ্রুণ হত্যা করা হয় যখন আন্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে জানা যায় যে সেগুলো কন্যা। যদি এ সংখ্যাকে ৩৬৫ দ্বারা গুণ করা হয় তাহলে দেখা যায়। ইন্ডিয়াতে প্রতি বছর এক মিলিয়নেরও অধিক কন্যা ভ্রূণ-এর গর্ভপাত করানো হচ্ছে।

ইসলাম আমাদেরকে সন্তান হত্যা করতে নিষেধ করেছে। সে শিশু নর-নারী যাই হোক না কেন? ইসলামে একজন কন্যাকে যথাযথভাবে লালনপালন করতে হবে। আহমাদ হাদীস গ্রন্থের একটি হাদীস অনুযায়ী রসূল (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি দু’টি কন্যাকে যথাযথভাবে লালন করবে, সে শেষ বিচারের দিন এরকম আমার সঙ্গে থাকবে। অর্থাৎ শেষ বিচারের দিন আমার খুবই নিকটবর্তী হবে।”

মাতা হিসেবে নারীর অধিকার

“আর আমি মানুষকে তার মাতা-পিতার প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। তা মা তাকে অতিকষ্টে গর্ভেধারণ করেছে এবং অতি কষ্টে তাকে প্রসব করেছে। তার গর্ভধারণ ও দুধপান ছাড়ানোর সময় লাগে ত্রিশ মাস। অবশেষে যখন সে তার শক্তির পূর্ণতায় পৌছে এবং চল্লিশ বছরে উপনীত হয়, তখন সে বলে, হে আমার রব, আমাকে সামর্থ দাও, তুমি আমার উপর ও আমার মাতা-পিতার উপর যে নিয়ামত দান করেছ, তোমার সে নিয়ামতের যেন আমি শোকর আদায় করতে পারি এবং আমি যেন সৎকর্ম করতে পারি, যা তুমি পছন্দ কর। আর আমার জন্য তুমি আমার বংশধরদের মধ্যে সংশোধন করে দাও। নিশ্চয় আমি তোমার কাছে তওবা করলাম এবং নিশ্চয় আমি মুসলিমদের অন্তর্ভূক্ত।” (সূরা আহকাফ, ৪৬ : ১৫)

আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে। জিজ্ঞাসা করা হল, হে আল্লাহর রসূল! সবচেয়ে বেশি ভালো ব্যবহারের উপযুক্ত লোকটি কে? তিনি বললেন, তোমার মা, লোকটি বলল, তারপর কে? বলল, তোমার মা, লোকটি আবারো বলল, তারপর কে? বলল, তোমার পিতা। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

এখানে ৭৫% সম্মান মায়ের জন্য এবং পিতার জন্য ২৫% সম্মান। চারভাগের তিনভাগ সম্মান, মর্যাদার প্রথমাংশ বরং উত্তমাংশ মাতার জন্য, বাকী চার ভাগের এক ভাগ সম্মান এবং মর্যাদা পিতার জন্য।

স্ত্রী হিসেবে নারীর অধিকার

পূর্ববর্তী সকল সভ্যতাই নারীকে ‘শয়তানের যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করত। কুরআন নারীকে ‘মুহসানা’ আখ্যা দিয়েছেন যার অর্থ “শয়তান থেকে সুরক্ষিত।” ভাল নারীকে একজন বিয়ে করলে সে তাকে খারাপ পথ থেকে ফিরিয়ে রাখে এবং সিরাতুল মুস্তাকীম এর উপর টিকিয়ে রাখে- যেটা হচ্ছে। সঠিক পথ।

সহীহ বুখারী থেকে রসূল যুব সম্প্রদায়কে বলেন, “যাদের বিয়ের সামর্থ্য আছে, তারা যেন বিয়ে করে। এটা তাদের চক্ষুকে অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে রক্ষা করে।”

মহান আল্লাহ বলেন, “আমরা স্বামী-স্ত্রীর হৃদয়ে ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছি।” “আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে এটাও একটি যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গীদের বানিয়েছেন, যাতে করে তোমরা তাদের নিকট প্রশান্তি লাভ করতে পার, তদুপরি তিনি তোমাদের মাঝে ভালোবাসা এ সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে দিয়েছেন।” (সূরা রূম : ২১)

সূরা নিসার ২১ নম্বর আয়াত অনুযায়ী বিবাহ একটি পবিত্র চুক্তি, পবিত্র কনটাক্ট। সূরা নিসার ১৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে? “হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের জন্য নারীদের জোর করে অধিকারভুক্ত করা যায়েজ অর্থাৎ বিয়েতে উভয়ের অনুমতি ও সম্মতি প্রয়োজন। এটা আবশ্যক যে, নরনারী উভয়কে বিয়েতে সম্মতি দিতে হবে অন্য কেউ এমনকি পিতাও তার কন্যার অসম্মতিতে জোর করতে পারবেন না।

সহীহ বুখারীর হাদীসে বলা হয়েছে- এক নারীর বিয়ে তার অসম্মতিতে তার পিতা দিয়েছিলেন, তিনি মহানবী (ﷺ) এর নিকট গেলেন, মহানবী (ﷺ) তার বিয়ে বাতিল করে দেন।

“আর তোমরা তাদের সাথে সদভাবে বসবাস কর। আর যদি তোমরা তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এমনও হতে পারে যে, তোমরা কোন কিছুকে অপছন্দ করছ আর আল্লাহ তাতে তোমাদের জন্য অনেক কল্যাণ রাখবেন।” (সূরা নিসা ৪: ১৯)

বিচ্ছেদ সংক্রান্ত অধিকার

অসুস্থাবস্থায় নারীর প্রতি ইহসানের আচরণ করার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ সময়ে কোন কঠিন কথা বা তর্ক এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। নিম্নোক্ত সময় তালাক দেয়া যাবে না।

১) অসুস্থাবস্থায় তালাক (পীরিয়ড চলাকালীন সময়ে)।

২) অসুস্থতা শেষে মেলামেশা করলে পরবর্তী অসুস্থাবস্থা না আসা পর্যন্ত।

৩) সন্তান জন্মের অব্যাহতির পর।

৪) একবারে তিন তালাক (মারাত্মক গুনাহের কাজ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ)।

আইনবিদরা বলেছেন এগুলি সুন্নাহ বিরোধী এবং ক্ষেত্র বিশেষে শাস্তিযোগ্য।

নারীদের প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয়ার শাস্তি

যারা সতী-সিদ্ধ রমণীদের অপবাদ দেয় তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন এবং তাদের ফাসিক বলে আখ্যায়িত করেন।

আর যারা সচ্চরিত্র নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারপর তারা চারজন সাক্ষী নিয়ে আসে না, তবে তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত কর এবং তোমরা কখনই তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করো না। আর এরাই হলো ফাসিক। (সূরা নূর ২৪ : ৪)

যারা সচ্চরিত্রা সরলমনা মু'মিন নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত। আর তাদের জন্য রয়েছে মহা আযাব। (সূরা নূর ২৪ : ২৩)

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া

আল্লাহ তা'আলা বিবাহ সম্পর্কে বলেন, বিবাহ হল, আল্লাহ তাআলার মহান নিদর্শন, যার মাধ্যমে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের মাঝে প্রেম, ভালোবাসা ও পারস্পরিক অনুগ্রহ তৈরি হয়।

• আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। (সূরা রূম ৩০ ও ২১)

আল্লাহ ও রসূলের প্রতি নারীর দায়িত্ব

• মুমিন পুরুষ ও নারী পরস্পরের বন্ধু বা সহযোগী, তারা সৎকাজের নির্দেশ দেয় ও অসৎ কাজে বাধা দেয়, সলাত কায়েম করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে। এদেরকেই আল্লাহ অনুগ্রহ করবেন এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (সূরা তাওবা ৯: ৭১)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন