hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নারীদের যে বিষয়গুলো না জানলেই নয়

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

১২৩
প্রশ্ন : ১২১) নারীদের কর্মক্ষেত্রে কেমন পর্দা হওয়া উচিত?
কর্মজীবি নারীদেরও কর্মক্ষেত্রে পর্দা করা ফরয। পুরুষ কলিগ, কো-ওয়ার্কার, বস, কোম্পানির মালিক এবং অন্যান্য পুরুষদের সামনে অবশ্যই পর্দা করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে লাঞ্চের সময় অনেক সময় দেখা যায় সবাই মিলে একসাথে আডডা দেয়া হয় বা সময় কাটানো হয় এবং এই ক্ষেত্রে সীমালংঘন করা যাবে না। পুরুষ-নারী মিলেমিশে একাকার হওয়া যাবে না অর্থাৎ ফ্রী মিক্সিং হওয়া যাবে না। যদি চাকুরী করার সার্থে কর্মক্ষেত্রে পর্দা করা সম্ভব না হয় তাহলে আখিরাতের ময়দানে কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। কারণ পাঁচ ওয়াক্ত সলাত যেমন ফরয তেমনি পর্দা করাও ফরয। যে সকল নারীরা চাকুরী করেন তাদেরকে সাধারণত পুরুষদের সাথে মিলেমিশেই কাজ করতে হয়। কোন কোন কর্মক্ষেত্রে মেয়েদেরকে ছেলেদের পোশাক পড়তে হয়। কোন কোন কাজে তাদের দেয়া নির্দিষ্ট ইউনিফর্মও পড়তে হয়। এই বেপর্দা পোশাকেই একজন নারীকে প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা অন্যান্য পুরুষদের সাথে পাশাপাশি কাজ করতে হয় এবং অনেক কর্মক্ষেত্রে কাষ্টমার সার্ভিস দিতে হয়। মনে রাখতে হবে এইসকল পুরুষ কাষ্টমার সহকর্মীরা সবাই পরপুরুষ। আমাকে এই বিষয়ে খুব গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে, সমস্যা সমাধানের জন্য পরিবারে অন্যান্যদের সাথে পরামর্শ করতে হবে, প্রয়োজন হলে ইসলামিক স্কলারদের সাথে কথা বলতে হবে।

কুরআন-হাদীসের আলোকে বিশ্লেষণ ও আমি জ্বীন এবং মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য। (সূরা যারিয়াত : ৫৬)

একজন মুমিনের প্রতিটি কাজ ইবাদত যদি তা আল্লাহর হুকুমের মধ্যে থেকে হয় এবং রসূল (ﷺ) -এর দেখিয়ে দেয়া উপায়ে হয়। অর্থ উপার্জন একটি ইবাদত যদি তা হালাল উপায়ে হয় এবং পর্দার মধ্যে থেকে হয়। এই বইয়ের

আগাগোড়াই আমরা কুরআন এবং সহীহ হাদীস থেকে দলিল পেয়েছি যে সলাত-সিয়ামের মতো পর্দাও একটি ফরয ইবাদত। তাই অর্থ উপার্জনের ইবাদত করতে গিয়ে অন্য ফরয ইবাদত পর্দা অমান্য করাও যাবে না। আরেকটি বিশেষ দিক তা হচ্ছে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে অর্থাৎ লোভ কন্ট্রোল করতে হবে। আমার কী পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অর্থ উপার্জনে প্রতিযোগীতা পরিবারে নিয়ে আসতে পারে অশান্তি। তাই অর্থ উপার্জনেও লিমিট থাকা প্রয়োজন। আল্লাহ বলেন : প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল করে রাখে, এমনকি তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও। (সূরা আত তাকাসুর : ১-২)

বনি আদমের কাছে যদি দুই উপত্যকা সমান সম্পদ থাকে তারপরও সে তৃতীয় একটি উপত্যকা কামনা করবে, তার পেট মাটি ছাড়া আর কোন কিছু দিয়ে ভরবে না। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

প্রত্যেক জাতির জন্য একটি ফিতনা আছে। আর আমার উম্মতের ফিতনা হচ্ছে সম্পদ। (তিরমিযী)

মানুষ বৃদ্ধ হলেও তার দুটি জিনিস বৃদ্ধ হয় না - ধনসম্পত্তি অর্জনের লালসা ও দীর্ঘ জীবনের আশা। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)

আল্লাহর নির্ধারিত রিযিক পূর্ণ মাত্রায় লাভ না করা পর্যন্ত কোন লোকই মারা যাবে না। সাবধান! আল্লাহকে ভয় কর এবং বৈধ পন্থায় আয় উপার্জনের চেষ্টা কর। রিযিকপ্রাপ্তিতে বিলম্ব যেন তোমাদেরকে অবৈধ পন্থা অবলম্বনে প্ররোচিত করে। কেননা আল্লাহর কাছে যা কিছু রয়েছে তা কেবল আনুগত্যের মাধ্যমে লাভ করা যায়। (ইবনে মাজাহ)

রসুল (ﷺ) বলেছেন, মানবজাতির কাছে এমন একটি যমানা আসবে, যখন মানুষ কামাই রোযগারের ব্যাপারে হালাল-হারামের কোন পরওয়া করবে। (সহীহ বুখারী)।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন