hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

নারীদের যে বিষয়গুলো না জানলেই নয়

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

২৬৭
খ) অর্থনৈতিক অধিকার
ইসলাম নারীদেরকে পশ্চিমাদের ১৩০০ বছর পূর্বে অর্থনৈতিক অধিকার প্রদান করেছে। একজন পূর্ণবয়স্ক মুসলিম নারী, তিনি বিবাহিত হন বা নাই হন, কারো সাথে পরামর্শ ব্যতিরেকেই সম্পদের মালিক হতে পারেন, বিলি-বণ্টন করতে পারেন, মালিকানা আদান-প্রদান করতে পারেন।

১৮৭০ সালে প্রথম ইংল্যান্ডে বিবাহিত নারীকে কারো সঙ্গে পরামর্শ ব্যতিরেকে সম্পদ অর্জন ও বণ্টন করার আইনগত অধিকার দান করা হয়। ইসলাম নারীদেরকে ১৩০০ বছর (পশ্চিমাদের তুলনায়) পূর্বে যে অর্থনৈতিক অধিকার দান করেছে এটা অনেক পুরাতন অধিকার।

ইসলামে একজন নারী যদি কাজ করতে চায় তাহলে করতে পারে, এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞামূলক কোন দলীল নেই, যতক্ষণ না তা হারাম হবে, সে বাইরেও যেতে পারবে তবে (তার মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে) শরীয়াহ সমর্থিত পোশাক পরিধান করে যেতে হবে।

কিন্তু প্রকৃতিগত কারণে তিনি তাঁর দেহ ও সৌন্দর্যের প্রদর্শনীমূলক কোন কাজে অংশ নিতে পারবেন না। যেমন মডেলিং, অশ্লীল সিনেমা এবং এ ধরনের নানাবিধ কাজে। আরো কিছু নিষিদ্ধ কাজ আছে যা নারীর জন্য হারাম, পুরুষের জন্যও হারাম। যেমন- মদ সরবরাহ করা, জুয়া খেলা, অন্যান্য অসৎ ব্যবসা এ সকল কাজ নারী-পুরুষ সকলের জন্যই নিষিদ্ধ। সত্যিকার মুসলিম সমাজ নারীদের ডাক্তারি পেশা গ্রহণে উৎসাহিত করে। আমাদের নারী গাইনোকোলজিষ্ট দরকার, আমাদের নারী নার্স দরকার, নারী ল্যাব টেকনিশিয়ান দরকার, নারী ইনভেস্টিগেটর দরকার, নারী উকিল দরকার, নারী শিক্ষিকা দরকার।

কিন্তু একজন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কোন বাধ্য-বাধকতা বা দায়-দায়িত্ব নেই। অর্থনৈতিক দায়-দায়িত্ব পরিবারের পুরুষের উপর ন্যস্ত। অতএব জীবিকার্জনের জন্য তার কোন দায়-দায়িত্ব নেই। বাস্তব ক্ষেত্রে যেখানে অর্থনৈতিক সংকট আছে, সেখানে তার কাজ করার সুযোগ আছে। এখানেও তাকে কাজ করতে বাধ্য করা যাবে না, তিনি তার নিজস্ব সম্পূর্ণ স্বাধীন ইচ্ছায় কাজ করবেন কিন্তু অবশ্যই পর্দার মধ্যে থেকে।

এ ছাড়া বাড়ীতেও কাজ করতে পারেন। ঘরে বসে কম্পিউটারে অনেক রকম কাজ করতে পারেন। ইন্টারনেটে অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। তিনি ফ্যাক্টরী বা ছোট আকারের কারখানা যেগুলো নারীদের জন্য করা হয়েছে সেখানেও কাজ করতে পারেন। তিনি এমন স্থানে কাজ করতে পারেন। যেখানে নারীদের জন্য পৃথক সেকশন করা আছে। কেননা ইসলামে নারীপুরুষে মেলামেশার বিধি-নিষেধ রয়েছে।

তিনি ব্যবসা করতে পারেন, যেখানে লেনদেনের প্রশ্ন আসে, বিশেষ করে বিদেশী কোন পুরুষ বা গায়রে মাহরামের সাথে লেন-দেনের প্রশ্ন আসে সেখানে। তিনি পিতা, ভাই, স্বামী অথবা পুত্রের মাধ্যমে এগুলো করতে পারেন। সর্বোত্তম উদাহরণ খাদীজা (রাদিআল্লাহু আনহা) যিনি আমাদের প্রিয়নবী (ﷺ) -এর স্ত্রী ছিলেন। তিনি তাঁর সময়ের সবচেয়ে সফল ব্যবসায়ী নারী ছিলেন এবং তিনি তাঁর লেনদেন তাঁর স্বামী নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) -এর মাধ্যমে করতেন। একজন নারী পুরুষের তুলনায় অধিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা লাভ করে। অর্থনৈতিক দায়িত্ব নারীর উপর বর্তায় না। এটা পরিবারের পুরুষের উপর। এটা পিতা, বা ভ্রাতার উপর বিয়ের পূর্বে। বিয়ের পর স্বামী অথবা সন্তানের উপর। বিয়ের পর তার থাকা, খাওয়া, পোশাক ও অন্যান্য অর্থনৈতিক দায়িত্ব তার স্বামীর উপর বর্তায়।

বিয়ের সময় তিনি অংশ পাচ্ছেন। তিনি একটা উপহার পাচ্ছেন, যাকে বলা হয় ‘মোহর’। এটাও কুরআনের সূরা নিসার ৪ নম্বর আয়াতের নির্দেশ? “নারীদের তাদের মোহরানা আবশ্যিকভাবে দিয়ে দাও।” বিবাহকে ইসলাম পবিত্র করণার্থে মোহর আবশ্যকীয় করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের মুসলিম সমাজে শুধু নামকা ওয়াস্তে মোহর নির্ধারণ করা হয়, কুরআনের নির্দেশের নামান্তর মাত্র। অথচ তারাই জাকজমক রিসিপশন, বাড়ি-গাড়ি সাজানো, ডিনার ও নাচের পিছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করছেন।

ইসলামে মোহর নির্ধারণের কোন সর্বোচ্চ অথবা সর্বনিম্ন পরিমাণ নির্ধারণ করেনি। কিন্তু যখন কেউ রিসিপশনেই লাখ লাখ টাকা খরচ করেন তখন মোহর এর তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণ ভাল হওয়া উচিত।

মুসলিম সমাজে বহু অপসংস্কৃতি অনুপ্রবেশ ঘটেছে, বিশেষ করে পাক-ভারত এলাকায়। তারা সামান্য মোহর দিয়ে আশা করে স্ত্রীর নিকট হতে ফ্রিজ, টিভি, আসবাবপত্র, আশা করে স্ত্রী তাকে ফ্লাট দিবে, গাড়ি দিবে ইত্যাদি এবং বিরাট অংকের যৌতুক স্বামীর মর্যাদার উপর ভিত্তি করে। সে যদি গ্র্যাজুয়েট হয়। তাহলে ৫ লক্ষ টাকা আশা করতে পারে, যদি প্রকৌশলী হয় তাহলে ১০ লক্ষ, যদি ডাক্তার হয় তাহলে ২০ লক্ষ ইত্যাদি ইত্যাদি।

একজন স্বামীর জন্য তাঁর স্ত্রীর নিকট সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে যৌতুক দাবি করা ইসলামে নিষিদ্ধ। ইসলাম নারীদের উত্তরাধিকার দান করেছে বহু শতাব্দী। পূর্বে। যদি আমরা কুরআন অধ্যয়ন করি তাহলে সূরা নিসা, সূরা বাকারা ও সূরা মায়িদার বহু আয়াতে পাবো যে একজন নারী তিনি স্ত্রী, মা, বোন বা কন্যা যাই হন না কেন তার উত্তরাধিকার রয়েছে এবং এগুলো আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়াতা'আলা) কর্তৃক আল কুরআনে নির্ধারিত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন