hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু সম্পর্কে ১৫০টি শিক্ষণীয় ঘটনা

লেখকঃ আহমাদ আবদুল আলী তাহতাভী

২৮
হাবসায় আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর হিজরত
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা বলেন, যেদিন থেকে আমার বোধশক্তি হয়েছে সেদিন থেকেই আমি আমার পিতা-মাতাকে দ্বীন ইসলামের অনুসারী রূপে পেয়েছি (ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম পালন করতে আমি তাদেরকে কখনো দেখিনি) এবং আমাদের এমন কোন দিন যায়নি যার দুই প্রান্তে সকাল সন্ধ্যায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের কাছে আসেননি (অর্থাৎ প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় তিনি আমাদের ঘরে আসতেন)। মুসলিমরা যখন কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হলো তখন কোন একদিন আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হিজরতের নিয়তে আবিসিনিয়া অভিমুখে যাত্রা করলেন। তিনি বারকুল গিমাদ নামক জায়গায় পৌছলে ইবনেদ দাগিনাহ তার সাথে দেখা করলেন।

তিনি ছিলেন কারা সম্প্রদায়ের দলপতি। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আবূ বকর! কোথায় যেতে চাচ্ছেন? আবূ বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বললেন, আমার জাতি আমাকে বের করে দিয়েছে। তাই আমি মনস্থ করেছি যে, আমি দেশে দেশে ঘুরে বেড়াব আর আমার প্রতিপালকের ইবাদাত করব। (এ কথা শুনে) ইবনে দাগিনাহ বললেন, আপনার মতো লোক (স্বেচ্ছায় দেশ থেকে বেরিয়ে যেতে পারে না এবং আপনার মতো ব্যক্তিকে বের করাও চলে না (অর্থাৎ আপনার মতো একজন সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তির পক্ষে স্বেচ্ছায় দেশ ত্যাগ করা যেমন ঠিক নয় তেমনি আপনাকে দেশ থেকে বের করে দেয়াও অন্যায়)।

কেননা আপনি অসহায়কে উপার্জনক্ষম করেন, আত্মীয়তার বন্ধন ঠিক রাখেন, অক্ষমের বোঝা বহন করেন, অতিথির মেহমানদারী করেন এবং বিপদ-দুর্ভিক্ষে লোকদেরকে সাহায্য করেন। আমি আপনার আশ্রয়দাতা (অর্থাৎ আপনার আশ্রয় ও নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার উপর)। সুতরাং আপনি ফিরে যান এবং নিজ দেশে গিয়ে আপন প্রতিপালকের ইবাদাত করুন। এ কথা বলে ইবনেদ দাগিনাহ যাত্রা করলেন এবং আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে সঙ্গে নিয়ে (মাক্কায়) ফিরে এলেন। তিনি কুরাইশ কাফিরদের নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে ঘোরাফেরা করলেন এবং বললেন : আবু বকরের মতো ব্যক্তি যেমন বেরিয়ে যেতে পারে না, তেমনি তার মতো ব্যক্তিকে বের করে দেয়াও চলে না। আপনারা কি এমন একজন ব্যক্তিকে (দেশ থেকে) বের করতে চাচ্ছেন যিনি অসহায়কে উপার্জনক্ষম করেন, আত্মীয়তার বন্ধন ঠিক রাখেন, অপরের বোঝা বহন করেন, অতিথির মেহমানদারী করে থাকেন এবং বিপদ-দুর্ভিক্ষে সাহায্য করেন।

এ কথা শুনে (আবূ বকরকে) ইবনেদ দাগিনাহর আশ্রয় প্রদান কুরাইশরা মেনে নিল এবং তারা আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুকে নিরাপত্তা প্রদান করে ইবনেদ দাগিনাহকে বলল, আপনি আবূ বকরকে বলুন, তিনি যেন নিজ ঘরে তার প্রতিপালকের ইবাদাত করেন, সেখানেই যেন নামায পড়েন এবং তার যা ইচ্ছা তা (ঘরেই যেন) পড়েন। এ বিষয়ে তিনি আমাদেরকে যেন কষ্ট না দেন এবং এসব তিনি যেন প্রকাশ্যে না করেন। কেননা আমাদের ভয় হচ্ছে তিনি (প্রকাশ্যে ঐসব করে) আমাদের স্ত্রী-সন্তানদের মধ্যেও (ধর্মের বিষয়ে) আবার কোন ঝামেলা বাঁধিয়ে দেন। ইবনেদ দাগিনাহ এসব কথা আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু কে বললেন। তাই তিনি নিজ ঘরে স্বীয় প্রতিপালকের ইবাদাত করতে থাকেন, প্রকাশ্যভাবে নামায এবং কুরআন তিলাওয়াত করেন না। কিছুদিন পর আবু বকরের মনে কি যেন খেয়াল চাপল। তিনি নিজ বাড়ির উঠানে একটি মাসজিদ তৈরি করলেন এবং (ঘর থেকে) বেরিয়ে সেখানে নামায পড়তে ও কুরআন তিলাওয়াত করতে লাগলেন।

ফলে মুশরিকদের স্ত্রী-সন্তানরা তাঁর কাছে ভিড় জমাতে লাগল। তাঁর অবস্থা দেখে তাঁরা অবাক হতো এবং একদৃষ্টিতে তাঁর প্রতি তাকিয়ে থাকত। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ছিলেন বেশি আল্লাহভীরু ব্যক্তি। যখন তিনি কুরআন তিলাওয়াত করতেন তখন চোখের পানি ধরে রাখতে পারতেন না। এটা মুশরিক কুরাইশ নেতাদেরকে ভাবিয়ে তুলল। তারা ইবনেদ দাগিনাহকে ডেকে পাঠাল। তিনি তাদের কাছে এলে তারা বলল, আমরা তো আবু বকর কে এ চুক্তিতে আশ্রয় দিয়েছিলাম যে, তিনি নিজ ঘরে তার প্রভুর ইবাদাত করবেন। কিন্তু তিনি তা ভঙ্গ করে নিজ বাড়ির উঠানে একটি মসজিদ তৈরি করেছেন এবং (তাতে) জনসম্মুখে নামায পড়ছেন ও কুরআন তিলাওয়াত করছেন। এতে আমরা ভয় করছি যে, তিনি আমাদের স্ত্রী-পুত্রদের বিভ্রান্তিতে ফেলে দিবেন।

সুতরাং আপনি তাকে গিয়ে বলুন, যদি তিনি নিজ ঘরে (অপ্রকাশ্যে) নিজ প্রভুর ইবাদাত করে সীমাবদ্ধ থাকতে চান তবে তাই করুন। আর যদি তিনি অস্বীকার করেন এবং প্রকাশ্যে ঐ সব করতে চান তাহলে আপনি তাকে বলুন, তিনি যেন আপনার জিম্মাদারী ফিরিয়ে দেন। কেননা, একদিকে আমরা যেমন আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করাটা অপছন্দ করি, অন্যদিকে তেমনি আবু বকরের প্রকাশ্য ধর্মানুষ্ঠানকেও আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না।

‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা বলেন, অতঃপর ইবনেদ দাগিনাহ আবু বকরের কাছে এসে বললেন, যে চুক্তিতে আমি আপনার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম তা আপনার বেশ জানা আছে। সুতরাং হয় আপনি (বাড়াবাড়ি না করে) ঐ চুক্তির উপর সীমাবদ্ধ থাকুন, নয়ত আমার জিম্মাদারী আমাকে ফিরিয়ে দিন। কেননা কোন লোকের সাথে আমি নিরাপত্তা চুক্তি করার পর আমার সেই জিম্মাদারী বিনষ্ট করা হয়েছে এমন একটি কথা আরব জাতি শুনতে পাক এটা আমি মোটেই পছন্দ করি না। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বললেন, আপনার আশ্রয় দানের প্রতিশ্রুতি আমি আপনাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি এবং মহান আল্লাহর আশ্রয় লাভেই আমি সন্তুষ্ট। (ফাতহুল বারী, ৭/২৭৪)

অতঃপর যখন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু ইবনেদ দাগিনার জিম্মাদারী থেকে বের হয়ে গেলেন, তখন কুরাইশদের এক মূর্খ ব্যক্তি তার সাথে সাক্ষাত করল। তখন সে কাবার দিকে যাচ্ছিল। এমতাবস্থায় সে আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর মাথায় মাটি ছুঁড়ে মারল। তখন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর নিকট দিয়ে ওয়ালিদ ইবনে মুগীরা অথবা আস ইবনে ওয়ায়িল যাচ্ছিল। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা তাকে বললেন, এই বোকা লোকটির আচরণ কি লক্ষ্য করেছ? সে বলল, তুমিই তো তোমাকে এই আচরণের উপযুক্ত করেছ। তখন আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু বলছিলেন, হে আমার রব! তুমি কতই না ধৈর্যশীল। হে আমার রব! তুমি কতই না ধৈৰ্যশীল, হে আমার রব! তুমি কতই না ধৈর্যশীল আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া- ৩৯৫)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন