hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুখী ও সুন্দর পরিবার গঠন

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

১০
সংসার সুখের হয় স্বামী-স্ত্রী উভয়ের গুণে
“সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে”- এটা একটি অতি-প্রাচীন বাংলা প্রবাদ। এই প্রবাদের আক্ষরিক অর্থে সংসারে পুরুষের ভূমিকা নিতান্তই গৌণ নারীর ভুমিকা মুখ্য অর্থাৎ সব দায়দায়িত্ব নারীর কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা মোটেও ঠিক নয়। আসলে সংসারে সুখ আনার জন্য শুধু রমনী নয় শুধু পুরুষ নয় তাদের (স্বামী-স্ত্রী) দু’জনেরই ভূমিকা রয়েছে। এখানে কারো চেয়ে কারো ভূমিকা কম নয়। তবে গোড়াতেই স্বীকার করে নিতে হবে যে মানুষের জীবনে সুখ ও দুঃখ দুটি আপেক্ষিক এবং দৃষ্টিভংগিজনিত ব্যাপার।

তাই একজন যাতে সুখী অন্যজন তাতে সুখী না-ও হতে পারে। অন্যদিকে একজন যেটাকে দুঃখজনক বলে মন খারাপ করে বসে থাকে অন্যজন সেটাকে কিছুই মনে করেন। বিষয়টার একটা তৃতীয় দিকও রয়েছে, আর সেটা হলো নারী ও পুরুষের মানসিক গঠন- কেউ স্বভাবতঃই আশাবাদী (optimistic), আবার কেউ স্বভাবতঃই নিরাশাবাদী (pessimistic) বিবাহিত জীবনে সুখ অথবা দুঃখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর জীবনে উপরোক্ত বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আরো মনে রাখা প্রয়োজন যে বিবাহিত জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীতে ভালোবাসার চাষ করা, একে অপরের উপর প্রভুত্ব বিস্তারের প্রতিযোগিতা নয়। মুসলিম স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে সংসার জীবনে শুরু থেকেই ইসলামী শিক্ষার উপর যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে দু’জনকেই। কুরআন, হাদীস এবং রসূলুল্লাহ (ﷺ) - এর জীবনী পাঠ করলে আদর্শ পরিবার গড়ে তোলার উপযোগী সব উপকরণই হাতের কাছে পাওয়া যাবে, অপেক্ষা শুধু যথাসময়ে সেগুলোর সদ্ব্যবহার। স্বামীকে মনে রাখতে হবে যে পরিবারের কর্তা হিসেবে স্ত্রীর উপর তার অধিক মর্যাদা যেমন আল্লাহ তাকে দিয়েছেন, পাশাপাশি তেমনি ভারী দায়িত্বও দিয়েছেন যা অবহেলা করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন, সংসারে অশান্তি দেখা দেবে যার ফলে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সুখী পরিবার গড়ে তোলার জন্যে আল্লাহ ও তাঁর রসূল (ﷺ) -এর প্রদর্শিত ইসলামী শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। অন্য যে কোন model-ই কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হোক না কেন তা ব্যর্থ হতে বাধ্য কারণ সেসব model-এ ইসলামী ঈমান ও আকীদা, পবিত্রতা ও ভারসাম্যের অভাব। মুসলিম স্বামী-স্ত্রীকে সদাসর্বদা মনে রাখতে হবে যে দুনিয়াদারী দ্বীনদারীরই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই বিবাহিত জীবনের সকল কর্মকাণ্ড আল্লাহর ইবাদতের আওতায় পড়ে এবং ইবাদত তো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার-ই জন্যে যাতে আখিরাতে পুরষ্কার লাভ করা যায়।

এবার মানবিক ও মানসিক দিকগুলো পর্যালোচনা করা যাক। স্বামী ও স্ত্রী দু'জন মানুষ, তাদের মানবিক চাহিদা আছে এবং সেটা নিয়মিত মিটাতে হবে। একে অন্যকে অকপট ভালোবাসা দিতে হবে, মনোরঞ্জণকারী কথায়, কাজে ও ব্যবহারে, উপহার দেয়া-নেয়ার বাস্তব উদাহরণ দিয়ে তা প্রমাণ করতে হবে।

সংসারের জন্যে উপার্জন প্রধানত স্বামীর দায়িত্ব কিন্তু সংসার চালানোর দায়িত্বটা প্রধানত স্ত্রীর উপর বর্তায়, তবে সেটা হবে দু’জনে পরামর্শ করে। রান্না ঘর, ঘরবাড়ি গোছানো, অতিথি আপ্যায়নের দায়িত্বটা স্ত্রী নেবেন, কিন্তু স্বামীর সাহায্য-সহযোগিতা স্ত্রী প্রত্যাশা করবেন। সন্তান পালনের দায়িত্বটা মা হিসেবে স্ত্রী অবশ্যই নেবেন, কিন্তু আনুসংগিক সাহায্য-সহযোগিতা স্বামী স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে স্ত্রীকে দেবেন। স্ত্রীর মেজাজ-মরজিটা, সময় বিশেষের প্রয়োজনটা যেমন monthly menstrual cycle, childbirth জনিত সাময়িক শারীরিক অসুস্থতা ও moodswing ইত্যাদির গুরুত্ব স্বামীকে সহৃদয়তার সংগে বুঝতে হবে এবং স্ত্রীর সংগে cooperate করতে হবে। অবিবেচক হলে চলবে না, তখন স্ত্রীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা হারাতে হবে। স্ত্রীর সাময়িক অপারগতায় সন্তানদের দেখাশোনার ভার স্বামীকে হাসিমুখে গ্রহণ করতে হবে। এতে বাবার সংগে সন্তানদের হৃদয়ের বন্ধন দৃঢ়তর হবে, শ্রী-ও আনন্দিত হবেন। যৌথ পরিবারে নূতন পরিবেশে স্ত্রীকে খাপ খাইয়ে নিতে স্বামীর সহযোগিতা অতি প্রয়োজন। পারিবারিক কোন্দল থেকেও স্ত্রীকে বাঁচাতে হবে। স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনলেই স্ত্রীকে দায়ী না ভেবে প্রকৃত বিষয়টা অনুসন্ধান করে তবে যথাযথ action নিতে হবে।

লোকসমক্ষে স্ত্রীকে কিছুতেই চেঁচামেটি করে অপদস্ত-অপমানিত করা চলবে না। পরিবারে বহুক্ষেত্রেই কানকথা বলে জটিলতার সৃষ্টি করে, স্ত্রীকে সেই ধরণের যন্ত্রণা ও অত্যাচার থেকে রক্ষা করতে হবে।

স্বামীর কর্মক্ষেত্র ঘরের বাইরে যেখানে অন্য পরিবেশ, সেখানে অন্য নারীরাও কাজ করে, হয়ত সেখানে পার্টিতে ড্রিংকস সার্ভ করা হয়, নারীপুরুষের মিলিত নাচগান হয়। সেই পরিবেশের খবর পেলেই স্বামীর চরিত্রে সন্দেহ করে তাকে প্রশ্নজর্জরিত করা স্ত্রীর পক্ষে খুবই একটা অনুচিৎ ব্যবহার হবে। তবে যদি সত্যি কোন involvement-এর খবর বিশ্বস্তসূত্রে স্ত্রীর কানে এসে পৌছে তখন অবশ্যই সরাসরি প্রশ্ন করে সত্যতা যাচাই করার চেষ্টা করাটা অন্যায় হবে না। বাইরের লোকের কাছে বলে চোখের পানি ফেলাতে কোন লাভ হবে না।

ঠিক তেমনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর কিছু শুনলেই রেগে আগুন হওয়া, তার সংগে দুর্ব্যবহার করাটাও একটা মারাত্বক ভুল। একে অন্যের বিরুদ্ধে অহেতুক সন্দেহ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। উল্লিখিত উভয় ক্ষেত্রেই ঠান্ডা মাথায়, সবদিক বিচার-বিবেচনা করে স্বামী-স্ত্রীকে এগুতে হবে। মনে রাখতে হবে এজগতে কিছু দুষ্ট লোকের কাজই হচ্ছে মিথ্যা রটনার সৃষ্টি করে মানুষের ঘর ভাংগানো। Never wash your dirty linen in public. ঘরের গোপন কথা বাইরের লোককে জানার সুযোগই দেয়া যাবে না।

স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভাংগন সৃষ্টির বড় একটি কারণ হচ্ছে breakdown in communication অর্থাৎ সামান্য কথা কাটাকাটি হলেই, অথবা একে অন্যের বিরুদ্ধে আপত্তিকর একটা কিছু শুনলেই যাচাই না করেই অপর পক্ষকে সরাসরি প্রশ্ন না করে কথা বলা বন্ধ করে দেয়া। মনে রাখতে হবে এতে ব্যবধান ক্রমেই বাড়তে থাকে, যা এক পর্যায়ে এসে জমাটবদ্ধ হয়ে point of no return-এ পৌছে দেয়। ফিরে তাকাবার মনোবৃত্তি তখন একেবারেই ধ্বংস হয়ে যায়। আর তৃতীয় পক্ষের উস্কানি পেলে তো আর কথাই নেই। তখন তালাক পর্যন্ত পৌঁছতে আর দেরী হয় না। দুই পক্ষকেই তাই line of communication-টা open রাখার চেষ্টা করতে হবে। এক পক্ষকে একটু নতি স্বীকার করে হলেও, কারণ বিচ্ছেদে নয় মিলনেই সুখ। একে অন্যকে বিশ্বাসের মাঝেই সুখশান্তি নিহিত, অবিশ্বাসে বা সন্দেহের মাঝে নয়। মামলা-মোকদ্দমা করে lawyer-কে মোটা ফী দিয়ে নিজেরা ফতুর হওয়া মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

একে অন্যকে ক্ষমা করতে শিখতে হবে, উদারতা দেখাতে হবে এবং কৃপণতা ত্যাগ করতে হবে। কথাবার্তায় শালীনতা বজায় রাখতে হবে, রাগে/মেজাজে লাগাম পড়াতে হবে ও প্রয়োজনের ক্ষেত্রে কৃপণতা ত্যাগ করতে জানতে হবে। একে অন্যকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতে হবে। স্ত্রী একজন নারী বলে তাকে কিছুতেই হেয় বা নীচ নজরে দেখা উচিৎ নয়। এটা অমানবিক ব্যবহার।

বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর একে অন্যের রূপের ও গুণের এটি অনুসন্ধান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যে বিষয় বা প্রসংগ অন্যজনকে বিরক্ত করে বা কষ্ট দেয়, সেই প্ৰসংগ নিয়ে আলোচনা করা বর্জন করতে হবে। সদাসর্বদা স্ত্রীর উপর স্বামীর কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা সংসারে অশান্তি ও ভাংগনের সৃষ্টি করে। একথাটা মনে রাখতে হবে।

সংসার জীবনটা একটা বোঝা, বেশ monotonous (একঘেয়ে) এর বাইরে মাঝেমাঝে যাওয়া দরকার fresh air-এর জন্যে, একে অন্যকে একান্তভাবে পাশে পাওয়ার জন্যে, দুজনে মিলে একান্তে কিছু fun activities-এর মাধ্যমে দু’জনের মাঝে ভালোবাসাটাকে renew করার জন্যে। স্বামীকে এ বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে।

অপর যে বিষয়টি গুরুত্ব রাখে সেটা হলো শান্তির জন্যে স্বার্থত্যাগ (sacrifice) করা শিখতে হবে। ঘরের বাইরে গেলে ফোন করে স্ত্রীর সংগে যোগাযোগ বজায় রাখাটা খুবই প্রয়োজন। অন্যদিকে স্ত্রী ফোন করলে বিরক্ত না হয়ে তার প্রয়োজনের কথাটা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং তার প্রয়োজনটা মিটানো দু’জনের মাঝে সুসম্পর্কটা বজায় রাখতে খুবই সহায়ক। প্রয়োজন না থাকলে স্ত্রী এবং সন্তানদের ঘরে রেখে দীর্ঘক্ষণ ধরে বাইরে বন্ধুদের সংগে আডডা দেয়াটা বাঞ্ছনীয় নয়। এটা দায়িত্ব এড়ানোর লক্ষণ।

সংসারের কাজ স্ত্রীর সংগে share করাটা অতি জরুরী। Sharing করলে সব কাজ অতি সহজে সমাধা হয়, কোন বিশৃংখলার সৃষ্টি হয় না। স্ত্রীর legitimate চাহিদা অবশ্যই সময়মত পূরণ করতে হবে। অন্যদিকে স্বামীর পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে স্ত্রীকে অবশ্যই যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে যাতে স্বামীর মনে এমন একটা ধারণার সৃষ্টি হতে না পারে যে স্ত্রী তাকে অশ্রদ্ধা বা অবহেলা করছেন। স্বামী যেমন স্ত্রীর বিশ্বাসের ও নির্ভরশীলতার commitment চান স্ত্রীও তদ্রুপ স্বামী তার প্রতি committed and sincere সেই আশ্বাস পেতে চান, প্রমাণও পেতে চান। মনে রাখতে হবে, স্বামী ও স্ত্রীকে হতে হবে একে অন্যের বেস্টফ্রেন্ড যেখানে মিথ্যার বা ছলনার ছায়া মাত্রও থাকবে না।

স্বামীর যদি কোন অপচয়মূলক স্বভাব থেকে থাকে, যেমন সিগারেট খাওয়া, জুয়া খেলা, লটারী খেলা, মদ খাওয়া, ক্লাবে যাওয়া ইত্যাদি সেগুলো অবশ্যই বর্জন করতে হবে। এতে সংসারে সচ্ছলতা বাড়বে, অশান্তি দূর হবে, স্ত্রী খুশী হবেন, সন্তানেরা তাদের বাবাকে একজন উত্তম মানুষ পেয়ে তারই আদর্শে গড়ে উঠবে। স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানেরা মিলে বাইরে ঘুরে বেড়ানোটাও সংসার জীবনে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টির জন্যে সহায়ক। সন্তানদের লেখাপড়া কি হচ্ছে সেই বিষয়েও বাবাকে সদাসতর্ক থাকতে হবে, সব ভার মায়ের উপর ছেড়ে দিলে চলবে না। সন্তানদের বুঝতে দিতে হবে যে তাদের মাথার উপর একজন গার্জিয়ান আছেন। এতে ওদের চরিত্রগঠন সুন্দর হবে।

কোন বিষয়ে ঠোকাঠুকি লাগলে conflict resolution-এর জন্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে প্রথমতঃ নিজেদের মাঝে, না হলে পারিবারিকভাবে, সফল না হলে যোগ্য কোন family counselor-এর সাহায্য নিতে হবে। যে কোন মূল্যে সংসারটাকে টিকিয়ে রাখতে হবে, শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে।

খৃষ্টানদের মাঝে একটা চমৎকার কথা চালু আছে যা অতি প্রশংসনীয় ও The family that prays together stays together. মুসলিম পরিবারেও এই একই নীতি চমৎকার ফলপ্রসূ হতে পারে। বাসায় স্বামী ইমাম হয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে নিয়মিত সলাত আদায় করা একটা অতি উৎকৃষ্ট পন্থা। শুক্রবার দিনে সম্ভব হলে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মসজিদে জুমার সলাতে যাওয়াও প্রশংসনীয় কাজ। এছাড়া রমাদান মাসে সপরিবারে একসাথে ইফতার করা ও তারাবী পড়া খুবই আনন্দের ব্যাপার। দুই ঈদে সপরিবারে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করা, ছুটির দিনে সবাই মিলে ইসলামিক ভিডিও দেখার অভ্যাস করাটাও staying together-এর বিষয়ে সাহায্য করবে। এমন একটা পরিবার আল্লাহর রহমত লাভ করবে এবং তারা সুখে ও শান্তিতে বাস করবে, ইনশাআল্লাহ। আমীন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন