hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুখী ও সুন্দর পরিবার গঠন

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

২৪
মুমিনের জীবনের যে সাতটি গুণ
প্রত্যেক মানুষ সফলতা অর্জন করতে চায়। যে যে কাজই করুক, তার ফলাফল যদি ভালো হয়, তবে সে সফলতা লাভ করল। আর যদি তার বিপরীত হয়। অর্থাৎ তার কর্মফল যদি ভালো না হয়, তা হলে সে সফলতা লাভ করতে পারল। এই দুনিয়া দুঃখ ও কষ্টের জায়গা। দুনিয়ায় পূর্ণাঙ্গ সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। এমনকি নবী-রসূলরাও নানা বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। সূরা’আল আসর’-এ আল্লাহ বলেন :

“সময়ের শপথ, নিশ্চয়ই সব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং একে অপরকে তাকিদ করে সত্যের এবং তাকিদ করে ধৈর্যের।”

এ সূরাটিতে উল্লিখিত চারটি কাজ যে নিষ্ঠার সাথে পালন করবে, তাকে আল্লাহ ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন। আমরা সকলে পরকালের যাত্রী। পরকালীন সাফল্য লাভ করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। পূর্ণাঙ্গ সফলতা একমাত্র পরকালেই লাভ করা সম্ভব। আল্লাহ বলেন, “তোমরা দুনিয়াকে পরকালের উপর অগ্রাধিকার দিয়ে থাকো; অথচ পরকাল উত্তম এবং চিরস্থায়ী। সুতরাং চিরস্থায়ী সাফল্য হচ্ছে জান্নাত লাভ। আল্লাহ মু'মিনদেরকে সাতটি গুণ অর্জন করতে বলেছেন। আর যে মুমিন এই সাতটি গুণে গুণান্বিত হবে সে জান্নাত লাভ করবে।

অবশ্যই মুমিনরা সফলকাম হয়েছে। যারা তাদের সলাতে বিনয়ী ও ভীত থাকে। যারা বেহুদা কাজ থেকে দূরে থাকে। যারা যাকাতের ব্যাপারে কর্মতৎপর হয়। যারা তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তাদের স্ত্রীদের ও ডান হাতের অধিকারী দাসীদের কাছে ছাড়া। এদের ব্যাপারে তাদের দোষ ধরা হবে না। অবশ্য যারা এর বাইরে আরও কিছু চায় তারাই সীমা লংঘনকারী। যারা তাদের আমানত ও ওয়াদা রক্ষা করে। যারা তাদের সলাতের হিফাযত করে। এসব লোকই ঐ ওয়ারিশ, যারা ফিরদাউস নামক জান্নাতের উত্তরাধিকারী হবে, যেখানে তারা চিরদিন থাকবে। (সূরা মু'মিনুন : ১-১১)

প্রথম গুণ : খুশ’-এর সাথে সলাত আদায় করা। সলাত মু'মিনের প্রথম মৌলিক ইবাদত। সলাতে’খুশয়ু অর্থ আল্লাহকে উপস্থিত ভেবে অন্তরকে স্থির রেখে সঠিকভাবে সলাত আদায় করা। সলাতে অস্থির ও চঞ্চল হওয়া মুনাফিকের লক্ষণ। আবুজর গিফারি (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছে, রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, সলাতের সময় আল্লাহ তাআলা সলাত আদায়কারীর প্রতি সারাক্ষণ দৃষ্টি রাখেন, যতক্ষণ না সলাত পড়ার সময় সলাত আদায়কারী কোনো দিকে দৃষ্টি না দেয়। যখন সে অন্য দিকে দৃষ্টি দেয়, তখন আল্লাহ তা'আলা তার দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন (আবু দাউদ) সলাতে সিজদার জায়গার দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে এবং ডানে-বামে তাকানো যাবে না। যদি সলাত আদায়কারী সলাত আদায়ে তাড়াহুড়া করে, তাহলে খুশ'-এর সাথে সলাত আদায় হবে না এবং তার সলাতও শুদ্ধ হবে না।

দ্বিতীয় গুণ : সলাত আদায়ে অত্যন্ত যত্নবান হওয়া। সলাতে যত্নবান হওয়ার অর্থ হচ্ছে নিজের জন্য ভেবে নিজের জীবনে পাঁচ ওয়াক্ত সলাতকে সব সময় চালু রাখা। সলাতের ব্যাপারে কখনো অবহেলা না করা। ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত, মুস্তাহাব ও নফল যে সলাতই হোক, সব সলাতকে একাগ্রচিত্তে যথাসময়ে আদায় করা। কখনো চিরস্থায়ী আবাসস্থল জান্নাতের অধিবাসী হতে হলে উল্লিখিত সাতটি গুণের অধিকারী হওয়া একান্ত কর্তব্য। যিনি এই গুণাবলির অধিকারী হবেন, তাকে আল্লাহ তা'আলা জান্নাতুল ফেরদাউস দানের ওয়াদা করেছেন। আর আল্লাহর ওয়াদা সত্য।

তৃতীয় গুণ : অনর্থক কথাবার্তা থেকে বিরত থাকা। একজন পূর্ণ ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য হলো সে নিজেকে অহেতুক কথাবার্তা থেকে রক্ষা করবে। যেসব কথায় দ্বীনের কোনো উপকার নেই, সেসব কথা থেকে নিজেকে দূরে রাখা অবশ্য কর্তব্য। অহেতুক কথাবার্তায় গুনাহ হওয়ার আশঙ্কা বেশী। প্রয়োজনীয় কথা বলতে দোষ নেই। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় কথা না বলে চুপ থাকা ভালো।

চতুর্থ গুণ : যাকাত প্রদান করা। যাকাত ইসলামের পাঁচটি মৌলিক বিষয়ের একটি। যাকাত প্রদান করা ফরয। আল্লাহ তাআলা সলাত আদায়ের সাথে যাকাত দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অনেক মু'মিন যাকাত প্রদান করতে গড়িমসি করে থাকেন। এটা আসলে পূর্ণ ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য নয়। স্বতঃস্ফূর্তভাবে যাকাত আদায় করা প্রত্যেক মুমিনের অবশ্য কর্তব্য। কেউ যদি যাকাত প্রদান না করে, তা হলে কিয়ামতের দিন তার ওই সম্পদ একটি বিষধর সাপ হয়ে তাকে দংশন করতে থাকবে।

পঞ্চম গুণ : ওই সব লোক যারা স্ত্রী ছাড়া অন্যসব পরনারী থেকে গোপনাঙ্গকে সংযম রাখে। রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি তার গোপনাঙ্গকে হিফাজত করবে আমি তার জন্য জান্নাতের জামিনদার হয়ে যাবো। সুতরাং একজন সত্যিকার ঈমানদার ব্যক্তি পরনারীর এবং পরপুরুষের প্রতি দৃষ্টি দেবে না এবং সে আল্লাহর ভয়ে নিজেকে সংযত রাখবে।

ষষ্ঠ গুণ : আমানত সম্পর্কে সতর্ক থাকা। বিষয়টি খুবই তাৎপর্যবহ। আমানত দুই প্রকার। প্রথমত, আল্লাহর হক সম্পর্কিত আমানত; দ্বিতীয়ত, মানুষের হক সম্পর্কিত আমানত। শরিয়ত নির্দেশিত সব ফরয ও ওয়াজিব পালন করা এবং যাবতীয় হারাম থেকে নিজেকে রক্ষা করা হচ্ছে আল্লাহর হক সম্পর্কিত আমানত। আর বান্দার হক সম্পর্কিত আমানত হচ্ছে কেউ কারো কাছে ধনসম্পদ গচ্ছিত রাখলে তা যথাযথভাবে ফেরত দেয়া, কারো গোপন কথা অন্যের কাছে প্রকাশ না করা। রাষ্ট্রের কোনো গোপন তথ্য অন্য দেশের কাছে প্রকাশ না করা।

সপ্তম গুণ : ওয়াদা পূর্ণ করা। ওয়াদা পূর্ণ করা ওয়াজিব। একজন মু'মিন ব্যক্তি কোনো ওয়াদা করলে সে ওয়াদা পালন করা তার জন্য ওয়াজিব হয়ে দাঁড়ায়। সেটা যেকোনো ওয়াদাই হোক না কেন। কেউ যদি ওয়াদা করে সেটা রক্ষা না করে, তাহলে সে গুনাহগার হবে। মুমিনের কথা ও কর্ম এক ও অভিন্ন থাকবে। কথা বলবে ভেবে-চিন্তে আর কর্মে থাকবে স্বচ্ছতা।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন