hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুখী ও সুন্দর পরিবার গঠন

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

১৬৬
কর্মক্ষেত্রে অবাধ মেলামেশার করুণ পরিণতি
একটি সত্য ঘটনাঃ

সদরুল ভাই (ছদ্ম নাম) একজন ইঞ্জিনিয়ার। স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছেন। একটি কম্পিউটার কোম্পানিতে চাকুরী চাকুরী করেন। একার আয়ে সচ্ছলভাবে সংসার চলে না বলে স্ত্রীও চাকুরী নিয়েছেন। ঘটনার শুরু এখানেই।

বন্ধের দিনগুলো ছাড়া একে অপরের সাথে ঠিকমতো দেখাই হয় না, সদরুল ভাই অনেক চেষ্টা করেছেন স্ত্রীকে চাকুরী ছাড়ানোর জন্যে, কিন্তু কিছুতেই তিনি রাজি নন। মাঝে মধ্যে এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যও হয়েছে।

যা হোক এভাবে চলতে থাকে বেশ কিছুদিন। একদিন সদরুল ভাইয়ের স্ত্রী অফিস ছুটির পর আর বাসায় আসেননি এবং তিন-চার দিন পর হঠাৎ একদিন বাসায় হাজির, উনি এসেছেন উনার প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক জিনিস-পত্র এবং কাপড়-চোপর নেয়ার জন্যে। অর্থাৎ এতো বছরের সংসার এখানেই সমাপ্ত।

পরে জানা গেল উনি যে লোকটির সাথে পাশাপাশি এক অফিসে চাকুরী করতেন তার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে গেছেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সদরুল ভাইকে ডিভোর্স দিয়ে নতুন জীবন শুরু করবেন। মা তার একমাত্র ছেলের কথা একবারও চিন্তা করলেন না! এর মধ্যে স্ত্রী, সদরুল ভাইয়ের জয়েন্ট একাউন্ট থেকে একমাত্র সঞ্চয় সমস্ত টাকাগুলোও না জানিয়ে তুলে নিয়েছেন। দুজনের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল খুব দ্রুত এবং সদরুল ভাইয়ের স্ত্রী হয়ে গেলেন আরেক জনের স্ত্রী। এ ধরনের ঘটনা ঘটছে অনেক! কিন্তু কেন? আমরা কি একবারও গভীরভাবে ভেবে দেখবো না? আমার জীবনেও তো ঘটে যেতে পারে এমন ঘটনা! আমি কি এখনও সজাগ হবো না?

ঘটনার বিশ্লেষণ :

এতো কিছু ঘটে যাচ্ছে কিন্তু সদরুল ভাই কিছুই টের পাননি। ঘটনা সিনেমার মতো হলেও বাস্তব, সদরুল ভাই কল্পনাও করতে পারেননি যে উনার স্ত্রী এমনটি করতে পারেন! সদরুল ভাইয়ের স্ত্রী নিজেও কোনদিন হয়তো চিন্তাও করেননি যে উনার জীবনে এমনটি ঘটতে পারে, কারণ ইবলিস শয়তানের কাছে তিনি হেরে গেছেন। সদরুল ভাই মানসিকভাবে খুব বেশী ভেঙ্গে পড়লেন। মনে রাখতে হবে, যখনই কোন পরপুরুষ ও নারী কোন জায়গায় দুজনে একাকী থাকে তখন অবশ্যই সেখানে তৃতীয় আর একজন উপস্থিত থাকে আর সে হচ্ছে “ইবলিস শয়তান”, এবং এই ইবলিস শয়তান দু’জনকে দিয়ে অবৈধ কাজ করানোর চেষ্টা করে। আমি যতোই মজবুত ঈমানদার বা পরহেজগার হই না কেন! ইবলিসকে এক মুহূর্তের জন্য বিশ্বাস করা যায় না। (এখানে স্বামী-স্ত্রী দু'জনকেই বলা হচ্ছে) কেন একে অপরে নিজেদেরকে কঠিন পরীক্ষার মধ্যে ফেলবো? নিজেদেরকে কেনইবা অবাধ মেলামেশার সুযোগ দিবো?

নারী-পুরুষের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট পর্দা বা দূরত্ব বজায় রেখে চলা উচিৎ। পর্দা বা দূরত্বের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারীকে পুরুষের অনভিপ্রেত আকর্ষণ হতে নিরাপদ দূরত্বে রাখা। নারীদের চেহারা-সুরত ও ভাবভঙ্গির মতো তাদের কণ্ঠস্বরও পুরুষদেরকে আকর্ষণ করতে পারে। তাই কোনো পরপুরুষের সাথে কথা বলতে বাধ্য হলে নারীদেরকে অনাকর্ষণীয় স্বরে কথা বলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেন কণ্ঠস্বর শুনে কোনো পুরুষ তাদের প্রতি আকৃষ্ট হতে না পারে। সূরা আহযাবের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন :

“চাপা গলায় (আকর্ষণীয় ভাবে কথা বলো না নতুবা যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে, তারা (পরপুরুষরা) প্রলুব্ধ হবে।”

ঘটনা হতে শিক্ষা :

যেসব মহিলারা আগে মোটামুটি পর্দা করে চলতেন তাদের অনেকেই চাকুরী করতে গিয়ে পর্দা করা ছেড়ে দিয়েছেন। মাশাআল্লাহ অনেকেই আবার আরো বেশী পর্দানশীন হয়েছেন। তবে যারা পর্দা করা ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের অবস্থা ইসলামের দৃষ্টিতে খুবই করুণ। অনেকেই মেয়েদের পোশাক ছেড়ে দিয়ে রীতিমতো ছেলেদের পোশাক পড়ে ওয়েস্টার্ন কালচার ফলো করছেন।

যাহোক, যারা পর্দা করেন না তাদেরকে এই বেপর্দা পোশাকেই প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা অন্যান্য পুরুষদের সাথে থাকতে হয় এবং কাষ্টমার সার্ভিস দিতে হয়। মনে রাখতে হবে এই কাষ্টমার বা সহকর্মীরা কেউই আমার স্বামী, পিতা বা ভাই নন। আসলে আমি হয়তো এ ব্যাপারটা এতোটা গভীরভাবে কখনও চিন্তা করে দেখিনি।

তাই আসুন একটু ভেবে দেখি যে, যাদের দৃষ্টি আমার সৌন্দর্য উপভোগ করছে তারা নিশ্চয়ই পবিত্র মন নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে নেই। তাই বাছবিচার না করে এবং অতিরিক্ত পয়সার প্রতি না ঝুকে দেখে-শুনে এমন কাজ নেয়া উচিত যেন পর্দা করে চলা যায় এবং পরপুরুষের সাথে একটা নির্দিষ্ট পর্দা বা দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করা যায়। একটু কম পয়সার চাকুরি হলেও আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আমাকে অন্যদিক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে বরকত দিয়ে দিবেন কারণ আমি মহান আল্লাহ তা'আলার নির্দেশ পালন করার চেষ্টা করছি।

প্রকৃত ঈমানদারের জীবনে কোন দুঃখ থাকে না, থাকে না কোন হতাশা। তারা সবসময়ই সুখী। ইন্শাআল্লাহ গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় যে কুরআনের আলোকে নিজের পারিবারিক জীবনকে গড়ে তুলতে পারলেই আমি সবচেয়ে বেশী সুখী, আমার পরিবারে কোন দুঃখ নেই, নেই কোন অশান্তি, চারিদিকে সুখ আর সুখ। আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই সবচেয়ে ভাল জানেন আমাদের প্রকৃত সুখ কিসে। কিন্তু আমরা আল্লাহর দেয়া শান্তির পথকে বাদ দিয়ে যখন নিজেদের মনগড়া স্টাইলে শান্তি খুঁজতে থাকি তখনই জীবনে নেমে আসে অশান্তি। আসুন আমরা কুরআনকে বোঝার চেষ্টা করি, নিয়মিত কুরআনের তাফসীর (ব্যাখ্যা) অধ্যয়ন করি এবং সেই অনুযায়ী আমাদের জীবনকে পরিচালনা করি।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন