hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুখী ও সুন্দর পরিবার গঠন

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

২০
শয়তানের পলিসি হতে সাবধানতা অবলম্বন
ইবলিস (শয়তান) সূরা আ'রাফের ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহকে উদ্দেশ্য করে। বলেছিল :

“আমি এদের (মানবজাতির সামনে থেকে আসবো, পিছন থেকে আসবো, ডান দিক থেকে আসবো, বাম দিক থেকে আসবো এবং তুমি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ পাবে না।”

শয়তানের প্রতিজ্ঞা, প্রতিশ্রুতি ও প্রতিশোধের অংশ হিসেবে সে মানুষকে সবসময় খারাপ কাজে উদ্বুদ্ধ করে। ঈমানদারগণ শয়তানের প্রধান টার্গেট। শয়তানের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে। এসকল কৌশলের মধ্যে সবচাইতে বড় কৌশল ও মিশন হলো মানুষকে কুরআনের কাছে ঘেঁষতে না দেয়া।

এ মিশনে শয়তান ঈমানদারদের ঈমানের মান অনুযায়ী বিভিন্ন ডৌজ দিয়ে থাকে। যারা শুধু পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করেন তাদের জন্য এক ধরণের প্রেসক্রিপশন, এবং যারা সলাত আদায় করেন এবং সৎভাবে জীবনযাপন করেন তাদের জন্য আবার অন্য ধরণের প্রেসক্রিপশন। শয়তানের common strategy হলো আল কুরআনের ব্যাখ্যা বা তাফসীর পড়তে না দেয়া। শয়তানের এ ঘৃণ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য সে ঈমানদারদের মনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সন্দেহ ঢুকিয়ে দিয়েছে, বিভ্রান্তি ঢুকিয়ে দিয়েছে।

তাই দেখা যায় যে কেউ খুব আবেগের সাথে কুরআন তিলাওয়াত করেন কিন্তু তার অর্থ ও ব্যাখ্যা জানার চেষ্টা করেন না। যে সূরা ইয়াসীন বা আয়াতুল কুরসী ছোটকাল হতে মুখস্থ করার তীব্র অনুভূতি সকল মুসলিমের মনে প্রকট, যা এখনো পাঠ করে আপদবিপদ দূর করা হয় এবং ঈমানদারদের বিশ্বাস যে এ সূরা পাঠ করে তারা অনেক উপকার পেয়েছেন, সেই আয়াতুল কুরসীর অর্থ-ব্যাখ্যা ও এর তাৎপর্য কি এটা জানার আগ্রহ যদি জীবনে একবারও মনে উদয় না হয়, তাহলে সবচাইতে বেশী লাভবান হবে ইবলিস (শয়তান), এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে মুসলিমগণ।

আসুন, চোখ বন্ধ করে খানিক চিন্তা করি। সারা জীবন অনেক ইবাদত বন্দেগী করেছি, বিদ্যা শিক্ষা করেছি, ডিগ্রীধারীও হয়েছি। এবার নিজের বিবেককে একবার জিজ্ঞেস করি, সারা জীবন কুরআন বুঝার চেষ্টা না করে যদি আল্লাহর নিকট হাযির হই তাহলে আমার মান কোন পর্যায়ে রয়ে গেলো? ক্লাশের ৫০ জন ছাত্রের মধ্যে সবাই ছাত্র। যাদের ক্রমিক নম্বর মেধা অনুসারে ১ থেকে ৫ তারাও ছাত্র, আর যাদের ক্রমিক নম্বর ৪৫ থেকে ৫০ তারাও ছাত্র। তবে মানগত পার্থক্যই এখানে বিবেচনার যোগ্য। তাই নয় কি? আমরা কিভাবে নিশ্চিন্ত মনে কুরআন বুঝার দায়দায়িত্ব হতে নিজেদের নিস্কৃতি দিতে পারি? আমাদের বিবেক কি এখনো শুধু তিলাওয়াতের মধ্যে কুরআনকে সীমিত রাখার জন্য সায় দেয়? আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাদিআল্লাহু আনহু) বলতেন : ঈমানের লক্ষণ হচ্ছে। কুরআন বুঝা'।

আল কুরআনে বারবার মানুষকে চিন্তা-গবেষণা (তাফাক্কুর-তাদাব্বর) করতে বলা হয়েছে। সূরা সাদ এর ২৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন।

“ইহা এক বহু বরকতপূর্ণ কিতাব যা আমরা নাযিল করেছি যাতে লোকেরা এটার আয়াতগুলি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে, এবং জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিবেকসম্পন্ন লোকেরাই এটা হতে শিক্ষাগ্রহণ করে।”

যারা এ যুগেও প্রচার করে বেড়ান যে কুরআন তিলাওয়াত করলে এত পরিমাণ সওয়াব হবে বা বেশীবেশী কুরআন তিলাওয়াত করা দরকার, অর্থ বোঝার কোন দরকার নেই ইত্যাদি, তারা আল্লাহর কাছে এ অজ্ঞতার কি জওয়াব দেবেন? কারণ মানুষ তিলাওয়াত বলতে বুঝে সুর করে মাথা ঝুলিয়ে ঝুলিয়ে শুধু রিডিং পড়ে যাওয়া। এতেই ঈমানদারগণ খুশী। কেউ কেউ বুক ফুলিয়ে বলে বেড়াই। আমার খতম ২৫শে রমাদানেই শেষ হয়েছে; আর হিসাব-নিকাশ করি কত পরিমাণ সওয়াব অর্জিত হলো। ধারণাটি এমন যে শুধু সওয়াব কামানোর জন্যই মুসলিম জাতির সৃষ্টি, শুধু তিলাওয়াতের জন্যই আল কুরআন নাযিল হয়েছিল। এটাতো বরং আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নিয়ামতের একধরণের অপব্যবহার। আলী (রাদিআল্লাহু আনহু) বলেন, “কুরআন অধ্যয়নে কোন লাভ নেই যদি তা নিয়ে। ভাবা না হয়, চিন্তা করা না হয়।

আমরা দুনিয়ার সব ডিগ্রী, মাষ্টার্স, ডক্টরেট নিয়েও শয়তানের এ কুমন্ত্রণাতেই কাবু হয়ে যাই যে ওস্তাদ ছাড়া কুরআনের অর্থ বুঝা যাবে না বা কুরআন বুঝা আমাদের জন্য নয় অথবা এটা শুধু মাদ্রাসা-শিক্ষিতদের জন্য ইত্যাদি। অথচ বাস্তবতা হলো জীবনের ৪০/৫০/৬০ বছর পার হয়ে গেলো, এখনো ওস্তাদও খোঁজা হয়নি, আর নিজেও সাহস করে শয়তানকে পরাজিত করে আল্লাহর উপর ভরসা করে কুরআনের তাফসীর পড়া হয়নি। আবার কেউ কেউ কুরআনের তাফসীর এজন্য পড়তে চাই না যে যদি পরিবর্তন হয়ে যাই? এসব শয়তানী হিসাব-নিকাশ চুকাতে চুকাতেই জীবনের ফাইনাল হিসাবের দ্বারপ্রান্তে এসে যাই। ঈমানদারদের কুরআন ও সহীহ হাদীস জানা হতে দূরে রাখার শয়তানী এগুলো হচ্ছে শয়তানের কৌশল।

শয়তানের ফাইনাল মিশন হচ্ছে আমি যেন শুধু কুরআন তিলাওয়াতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি যাতে কুরআনের ব্যাখ্যা না বুঝি এবং তাফসীর স্টাডি প্রোগ্রামে না যেতে পারি। সেজন্য সে শেষ পর্যন্ত আপ্রাণ চেষ্টা করে যায়, এবং এ ব্যাপারে সে আমাদের চেয়ে অনেক বেশী সিনসিয়ার। যেমন প্রতি মাসে একবার। ২ ঘন্টার ফিস্ট প্রোগ্রাম। কিন্তু দেখা যায় ঠিক ঐদিনই শয়তান নানারকম কাজ দিয়ে আমাদেরকে ব্যস্ত রাখে। যেমন ধরি ঐদিনই কারো বাসায় দাওয়াত খেতে যেতে হবে অথবা কেউ দাওয়াত খেতে আমার বাসায় আসবে। অথবা শপিংয়ে যেতে হবে। অথবা ঠিক ঐদিনই সন্তানদের নিয়ে বাইরে যেতে হবে। অথবা ঠিক ঐদিনই বাড়িঘর পরিষ্কার করতে হবে অথবা গাড়ি সার্ভিসিংয়ে নিয়ে যেতে হবে অথবা কারো সাথে দেখা করতেই হবে। যতো জরুরী কাজ ঠিক ঐদিন ঐ একই সময়ে এসে উপস্থিত হয়। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। আমাদের কাজের priority নির্ধারণ করতে হবে আখিরাতের কথা স্মরণে রেখে, দুনিয়াকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে নয়।

ঘরে শান্তির জন্য কিছু ইসলামী নিয়ম মেনে চলা খুবই জরুরী

ঘরে বা বাসায় ঢোকার সময় বিসমিল্লাহ বলে ঢুকতে হয় এবং তারপর সালাম দিতে হয়। অতঃপর দু’আ পড়তে হয়, তা না হলে সাথে সাথে শয়তানও ঘরে ঢুকে যায়। কোন কিছু খাওয়ার সময় ডান হাত দিয়ে খেতে হয়। বাম হাত দিয়ে খেলে তার সাথে সাথে শয়তানও তা খায় এবং এতে বরকতও পাওয়া যায় না। খাওয়ার শুরুতে দুআ বলতে হবে। খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে, খাওয়ার মাঝে “বিসমিল্লাহী ফি আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি” বলতে হয়। খাওয়ার শেষে দু’আ পড়তে হয়। বাথরুমে প্রবেশের সময় দু’আ পড়ে ঢুকতে হয়। বাথরুম থেকে বের হওয়ার সময়ও দু’আ পড়তে হয়। ঘুমানোর সময় দু’আ পড়তে হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন