hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুখী ও সুন্দর পরিবার গঠন

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

১৫২
দাওয়াত কাদেরকে দিব?
দাওয়াত দিতে হবে।

১) অমুসলিমদিগকে (এটি ১ম কাজ)

২) মুসলিমদেরকে (স্মরণ করিয়ে দেয়া) :-

নিজকে

পরিবারকে

অন্যান্য মুসলিমদেরকে :-

ইসলাম যারা পালন করেন তাদেরকে

ইসলাম যারা পালন করেন না তাদেরকে

ভুল ধারণা দূর হওয়া প্রয়োজন

আমরা দাওয়াত কাদেরকে দেব? দাওয়াতী কাজে আমরা শিক্ষাগ্রহণ করবো রসূল (ﷺ) -এর সুন্নাহ থেকে। আমরা রসূল (ﷺ)-এর জীবনী পড়লে দেখতে পাই যে তিনি দাওয়াত দিয়েছেন মূলতঃ অমুসলিমদেরকে। মক্কী জীবনে সর্বপ্রথম কাফিরদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিয়েছেন, আশেপাশের অমুসলিম দেশে দাওয়াত পৌছিয়েছেন, যেমন ইথিওপিয়া, ইজিপ্ট, ইরান, রোম, বাহরাইন, ইয়ামেন, সিরিয়া এবং ওমান। এই দেশগুলো পূর্বে অমুসলিম দেশ ছিল। আমরা জানি যে রসূল (ﷺ) -কে আল্লাহ পাঠিয়েছেন-ই মুশরিক অমুসলিমদের মাঝে, তিনি তার মিশন শুরু-ই করেছেন অমুসলিমদের মাঝ থেকে। এছাড়া সাহাবীরা (রা.) আরবের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিলেন।অমুসলিমদের মাঝে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে। ইসলামের ইতিহাস থেকে আমরা জানি যে বিদায় হাজ্জের সময় এক লক্ষ বিশ হাজার এর মতো সাহাবা (রা.) উপস্থিত ছিলেন। রসূল (ﷺ) তাদেরকে বলেছিলেন যে “আজ যারা উপস্থিত হতে পারেনি তাদের কাছে আমার এই বাণী পৌঁছে দিবে।” এই এক লক্ষ বিশ হাজার সাহাবা যদি অমুসলিমদের নিকট না গিয়ে শুধু নিজেদের মধ্যে ইসলাম নিয়ে সীমাবদ্ধ থাকতেন তাহলে আজ সারা বিশ্বে ২ বিলিয়ন মুসলিম হতো না। আমরাও বাংলাদেশের মানুষরা মুসলিম হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করতাম না। তাই আমাদের প্রথম ফরয কাজ হচ্ছে অমুসলিমদের মাঝে তাওহীদের দাওয়াত পৌছে দেয়া।

আমরা রসূল (ﷺ) -এর জীবনী পড়লে দেখতে পাই যে যারা তাঁর দাওয়াত পেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, মুসলিম হয়েছিলেন তাদের ঈমানকে আরো মজবুত করার জন্য রসূল (ﷺ) নিয়মিত তারবিয়া বা ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা রেখেছিলেন, তাদের তাকওয়ার লেভেল বাড়ানোর জন্য তাদেরকে নিয়মিত তাগিদ দিতেন। সাহাবা (রা.) একে অপরকে ঈমান রিনিউ (renew) করার তাগিদ দিতেন। তাই কাজটি এখন প্যারালাল অর্থাৎ অমুসলিমদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যেতে হবে, তার পাশাপাশি নিজেদের ক্রমোন্নতির জন্যও মুসলিমদেরকেও তাগিদ দিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে non practicing মুসলিমদের পিছনে আরো বেশী করে কাজ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে non-practicing মুসলিমদের অবস্থা আর অমুসলিমদের অবস্থার মধ্যে তেমন একটা পার্থক্য নেই। আমরা যারা অমুসলিম দেশে বসবাস করি তারা অবশ্যই অমুসলিমদেরকে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দেব এবং যারা বাংলাদেশে বসবাস করি সেখানেও হিন্দু, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ এবং নাস্তিকদের মাঝে নিয়মিত ইসলামের দাওয়াত পৌছে দিতে হবে।

এছাড়াও নিজ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রীবর্গ, সামরিক প্রধান, সংসদ সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেম্বার, কাউন্সিলর এবং দেশের বুদ্ধিজীবীগণ যদি অমুসলিম হন বা সেকুলার হন বা নন-প্র্যাকটিসিং মুসলিম হন তাদেরকেও সম্মানের সাথে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত পৌছে দিতে হবে। তাদেরকে গিফট হিসেবে আল কুরআনের অনুবাদ পাঠানো যেতে পারে। এছাড়া মিডিয়া, ই-মেল এবং ফেইসবুকের মাধ্যমেও তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত পৌছে দেয়া যেতে পারে। কারণ রসূল (ﷺ) আদেশ করেছেন যে একটি আয়াতও যদি জানো তাহলে তা অপরের নিকট পৌছে দাও।

আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে প্রায় একশ কোটি অমুসলিম রয়েছে, বার্মায় প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি অমুসলিম রয়েছে, বাংলাদেশী মুসলিমদের দায়িত্ব তাদের প্রতিবেশীকে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দেয়া।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন