hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সুখী ও সুন্দর পরিবার গঠন

লেখকঃ আমির জামান, নাজমা জামান

৬২
স্বামীর সামর্থ্যের অতিরিক্ত দাবি
স্বামীর উপার্জন সম্পর্কে ধারণা রেখে তার কাছে সংসারের প্রয়োজনটুকু উপস্থাপন করা উচিৎ। মূলতঃ স্বামীর উপার্জনের পরিমাণ যদি কম হয় তাহলে অনেক অভাবের মধ্যে যেটি সবার আগে বা সময়ভেদে প্রথম পূরণ করা উচিৎ তাই স্বামীর কাছে পেশ করা উত্তম। যেমন মনে করি, ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করা দরকার, স্কুল ড্রেস, স্কুলে বই বহন করার ব্যাগ, নতুন শ্রেণীর বই ও খাতা ক্রয় করা দরকার। বাসা ভাড়া দেয়া দরকার। বাসার আনুষঙ্গিক খরচ করা দরকার। আবার মেরিজ ডে আসছে এতে স্ত্রীর জন্য উপহার হিসেবে অলংকার বা দামি শাড়ি স্ত্রীর দাৰি। নইলে তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে তার ইজ্জত সম্মান সব ধূলোয় মিশে যাবে।

এখন স্বামীর আয় অনুসারে সব প্রয়োজন একসাথে পূরণ করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় আদর্শবান স্ত্রীর দায়িত্ব হলো এতসব অভাব ও চাহিদার মধ্যে সময়ের দাবি অনুসারে কোনটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ তা স্বামীর সামনে পেশ করা। অর্থাৎ ছেলের ভর্তির সময় অনুযায়ী তাকে স্কুলে ভর্তি করানোর বিষয়টি স্বামীর কাছে সবকিছুর আগে তুলে ধরা জরুরী। তারপর স্কুল ড্রেস ও কয়েকটি বই ও খাতা ক্রয়, তারপর বাসার ভাড়া এবং বাসার কিছু আনুষঙ্গিক খরচ করা। এরপর সম্ভব হলে স্ত্রী স্বামীকে বলে অনৈইসলামী অনুষ্ঠান মেরিজ ডে এ ধরনের প্রোগ্রাম ও কেনাকাটা বাদ দেয়াই উত্তম। আদর্শবান স্ত্রী এমনই হওয়া দাবী।

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ কিছু কতিপয় স্ত্রী স্বামীকে বলে কোথা থেকে টাকা আনবা কিভাবে দিবা তা জানি না। কিন্তু আমার এটা দরকার। এটা না হলে আমার ইজ্জত যাবে ইত্যাদি। যা দুঃখজনক এবং এমন পরিবারে অশান্তি আসাই যুক্তিযুক্ত। আসলে সত্যি কথা বলতে কি অভাব কখনই শেষ হয় না। একটি অভাব পূরণ না হতে হতেই অন্য অভাব তার স্থান দখল করে। অর্থাৎ অর্থনৈতিক ভাষায় অভাবের বৈশিষ্ট হলো অভাব অসীম কিন্তু এ অভাব পূরণের জন্য যে সম্পদ দরকার তা সসীম। আর এ অবস্থায় কেবলমাত্র অল্পে তুষ্ট ধৈর্য ধারণে অভ্যস্ত এবং আল্লাহর কাছে অভাব পেশ করে সাহায্য কামনায় পারিবারিক শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

স্বামীর কাছে কোনো কিছুর দাবী পেশ না করে আল্লাহর কাছে দাবী পেশ করাই পরিবার ও পারিবারিক জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রধান ও একমাত্র দিক। এ ধরনের পরিবারে অশান্তি তথা স্বামী স্ত্রীর মাঝে কোন ধরনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে না। তবে এমন চরিত্রের আদর্শবান স্ত্রী পাওয়া যায় যে, পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। এ যে সত্যি কোন কোন স্বামীর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ামত স্বরূপ।

যাহোক সবাইতো আর এরকম হয় না। মানবজীবনে এই ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে তাই মহান আল্লাহ তা'আলা নবী কারীম (ﷺ) -এর পারিবারিক জীবনেও এধরনের একটা সমস্যা দিয়ে তার সমাধান আমাদেরকে শিক্ষাস্বরূপ দেখিয়ে দিয়েছেন। একবার তিনি স্ত্রীদের দাবী পূরণে অসন্তুষ্ট হয়ে স্ত্রীদের থেকে আলাদা হয়ে রাত কাটান। আল্লাহর পক্ষ থেকে কুরআনে এ প্রসঙ্গে আয়াত নাযিল হয়। আল্লাহ সূরা আহযাবের ২৮-২৯ নম্বর আয়াতে বলেন:

“হে নবী (ﷺ) স্ত্রীদের বলে দিন যদি তোমরা দুনিয়ার জীবন ও তার জাকজমক কামনা কর তবে আসো তোমাদেরকে কিছু সহায় সম্পদ দিয়ে সুন্দরভাবে বিদায় করে দেই। আর যদি তোমরা আল্লাহ, রসূল ও আখিরাতের বাড়ী চাও তাহলে তোমাদের মধ্যেকার পূর্ণশীলদের জন্য বিরাট পুরস্কার তৈরী করে রাখা হয়েছে।”

এ আয়াতের প্রেক্ষিতে নবী পত্নীগণ ধৈর্যের পথকেই গ্রহণ করেছিলেন। অবশ্য এ ধরনের অবস্থায় কুরআন স্বামীকে সাধ্যমত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। আর স্ত্রীদেরকে স্বামী যতটুকু দিতে পারে ততটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকতে উপদেশ দিয়েছেন। তাই কিয়ামত পূর্ব পর্যন্ত আগত সকল নবী পত্নীদের অনুকরণে আখিরাতের জীবনকে অগ্রাধিকার দিয়ে দুনিয়ার প্রাপ্তিকে পদোদলিত করতে পারলে কোন পরিবারে পারিবারিক জীবনে কোন অশান্তির ছায়া পড়তেও পারে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন